শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

নাটের গুরু: তলবিচ - সুনানু ইনজেব চাঙমা

 

কয়েক দিন আগে মর ফেসবুক সমাজ্যা এক্কান স্ক্রিনশর্ট পাদেল কাচালং বালিকা হাই ইক্কুলর প্রধান শিক্ষক সুনানু ভদ্র সেন চাঙমাদাঘি তারাদাঘি মেসেজ দিনেই কল- মুই “নাটের গুরু”। সে পর পর আর ৩/৪জনে পাদেলাক এধক্যে মেজেস। 'নাটের গুরু' বাগধারার অর্থ - মূলনায়ক। 'নাটের গুরু' অর্থ - প্রধান প্রস্তাবক; তারের টানা। সে স্ক্রিনশর্ট চাং আ মনে মনে ভাবং কিত্যাই মরে সে কধান কল’ আ পত্তিক জনরে সিয়ান কয়? এধক্যে পুজোর মর মনত উদের আ পরের। যা ওক সালে, যিবে মরে “নাটের গুরু” কল’ সিবে কন্না তার কাম কি এক্কা পিচ্ছে ফিরি যাং।  

সুনানু ভদ্রসেন চাঙমাদাঘি মেসেজ

ইরুক ফেসবুকত দেঘা যারচাঙমা ইউনিকোড গরানা নিনেই নানান জনর নানান মত। সুনানু বিভূতি চাঙমাদাঘি দাবী গরন তে নিজেচাঙমা ইউনিকোড গচ্ছে। অন্য কিথ্যাদি নানাঙ পৈনাঙি প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, øগার ভাঝর গবেষক্খুনে রেফারেন্স তথ্য মজিম দেঘা যায় সুনানু জ্যোতি চাঙমাদাঘি সুনানু বিভূতি চাঙমাদাঘি মিলিনেই কামান গচ্ছোন। ইয়ান সুনানু বিভূতি চাঙমা কনমতে মানি নি পারে। যিবে সে তথ্যআনি শেয়ার দেয় তারে অসম্মান গরে। সে কধা পরেদি কোম। তার আগে এক্কো গল্পলোই কোই যাং

ম’ স্ট্যাটাস

এত্থে এক গুর(শিশু) এল তারে দাবি গরন দ্বিবে মিলে। কধা আঘে- “পদ থুম অহ্য় সাঙু দুঅরত, কধা থুম অহ্য় নানু দুঅরত। দ্বিজনে নিজর  ইজেবে দাবি গরানার রাজা ইধু বিজের পরিল রাজা দ্বি/তিন খেপ বিজের গরানা কন কিচ্ছু দিরিঙি দি পারানা মঞ্জুক গরিল গুরবোরে মধ্যে গরি কাবি ভাক গরি দ্বিজনরে ভাক গরি দিবার। যেমেন চিদে তেমেন কাম। রাজা লগে লগে হুম দিল কাবিনেই ভাক গরিবার। যক্যে কাবিনেই ভাক গরিবার জলদাজ্যা যেল অক্তত এক্কো মিলে রাজা দ্বি থেঙত চুল বেড়েই পরিনেই সেলাঙ গরিল তে ভাবে গুরবো দ্বিকত্তা দিলে মুরি যেব  ইক্যে তা সিধু থেলেও পিত্তিমি পহ্ মু দিঘিব চিদেত্তুন তে কল- কর্তাবাবু ইবে গুর নয়। তার গুর তারে দিঙিরি দি দে। মুই মিজে মিজে গরি দাবি গরঙর। রাজা বুঝি পাচ্ছে আজলে গুরবো আজল নানুবো এল তে, যিবে রাজা থেঙত পরিনেই তার নয় কল গুরবোরে। রাজাবো সিয়ানও সিয়ে আজল নানুবোরে নিঘিলেবার।

গল্পবো মর এক্কো থোবিয়্যা গল্প। গল্পবো কলুং অর্থে, আমি চাঙমা, এক্কো তজিমপুর জাত। আমার কি নেই? বেক আঘে, এক্কো জাদর যা যা থায়। ভাচ, ওক্কোর, সাহিত্য সংস্কৃতি। এককালে দেচ এল, এলং সাধিন। রাজা এলং, অলং প্রজা, প্রজা এলং ইক্যে তিন্নো খেদাকতুক। দেঘা যার হিল দিন মাধান গম নেই। অনসুর বনা বনা কালা মেক ভাঝে জুম্মউনর মাধাউগুরে। বানা ইরুক নয়। যুক যুক ধুরি নানান তচ্যা পেরাশানি খেই খেই শত শত বঝর বিদি যার। ইয়োত থুম নয়। কদক মা-বোন, বাপ-ভেই আহ্রেলং, শত শত বোন নেক আহ্রেই রানি পিদি জিংকানি তোরাদন। সে দুগর লামা থুম নেই এয ধক্যে হনসুচুক্যা দিনমাধানার সেরে সেরে আমা পিড়িউন দোল দোল কাম গচ্ছোন। চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ১০ আজার মানচ্যারে চাঙমা লেঘা শেঘেল বেগর এজালে। চাঙমা বর্ণমালা  ডিজিটাল অহ্ ইয়ান খামাক্কাই জাদর দাঙর পাওত্তি (অর্জন) অক্ত ভেজাল উদি যেল ফেসবুকতচাঙমা ইউনি কোড” কন্না গচ্ছে সিয়ান নিনেই। সুনানু বিভূতি চাঙমাদাঘি দাবি গরন তে নিজে গচ্ছে নানাঙ পৈনাঙি প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, øগার, ভাঝর গবেষক রিবেং ইউনি রেফারেন্স কয় তারা দ্বি জনে কামান গচ্ছোন [লিংক তলেদি দিলুং]

গেল্লে জুন ২০২২ খ্রি. সাজন্যা মাধান :৩০ ত্তো বাজি ভাগা øগত লাইভত এই সুনানু বিভূতি চাঙমাদাঘি দাবি গরন, সুনানু জ্যোতি চাঙমা এক ফুদ অবদান নেই নানান রেফারেন্সর কধা কলে সুনানু বিভূতি চাঙমাদাঘি পাংপাং গরি কল- ইয়ানি ঘাপলা আঘে। মানে তেঙা দিলে বাঘ চোক পায়। অর্থাৎ সুনানু জ্যোতি চাঙমা তেঙা দিনেই বেক জাগাত তা নাঙান লিক্যা তা সমারে নানাঙ জনে নানাঙ কমেন্ট গত্তে দেঘা যার। যা এক্কো সভ্য মানচ্যা কন।

অন্য কিথ্যাদি সুনানু জ্যোতি চাঙমা গেল্লে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রি. হিল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নাঙে এক্কো জধা ইউনি কোড গরানা পৈাইদ্যানে মান দিলে সুনানু জ্যোতি চাঙমাদাঘি সিয়ান গজি লয় ১৩ মে ২০২২ খ্রি. পিবিএল তপ্পেত্তুন মান দিলে সুনানু বিভূতি চাঙমাদাঘি সিয়ান গজি লয়। 

হিল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ যুক্তি দেঘায়- তারার এক্কান সিরিসুধোম আঘে। তারার যে জধা আঘে  সে জধাবো ভিদিরে  মান দিয়্যা অহ্য়। অন্য কিত্তেদি সুনানু অশোক কুমার চাঙমাদাঘিপিবিএল তপ্পেত্তুন কল- “..যারা তুদি (আবেদন) গরিবাক তারা উগুরে নানাঙ তথ্য লোই সত্য অহ্লে নকবাচ গরি মান দিয়্যা অহ্ সুনানু জ্যোতি চাঙমাদাঘি তারার এক্কোপিবিএল সাবাঙ্গি। সুনানু বিভূতি চাঙমাদাঘি তুদি/আবেদন গচ্ছোন তারারে মান দিয়্যা অহ্য়্যা। সুনানু জ্যোতি চাঙমাদাঘি তুদি/আবেদন গরন সেনে তারারে মান দিয়্যা অহ্য়। তারার যুক্তিত কারর কিচ্ছু কবার জু নেই। কিত্তে? পত্তিক জধা এক্কো গঠনতন্ত্র থায়। বা সিরিসুধোম থায়। সে সুধোম মুজিম চলা পরে। তবে আর এক্কা দোল তলবিচ গরি মান দিয়্যা অদ আর দোল ওলুং ভিলে মনে গরং। 

যা ওক সালে আরাং কধাত এজং। দেঘা যিয়ে উগুরেদি লিখ্যা গল্পবো সান তারা দ্বিজনে গুরবো মর কন। যুনি মর কধাক সালেন তারা মানও গজি লদাক।

সালেন ইক্যে রাজা কি গরিব? দ্বিজনর যা যা লাগে সে তথ্য প্রমাণ তারা সিদু আঘে। ইক্যে কন্না পেব গুরবো? বুঝ যিয়ে, গুরবো সুনানু জ্যোতি চাঙমাদাঘিরও অধিগার আঘে।

সেরেদি সুনানু ভদ্র সেন চাঙমা কয়েক জনরে মেজেঞ্জারে ছিদি দিল - ম্ইু নাকি ইয়ানরনাটের গুরু। মনে মনে হিরো আলম সান খুজি ওলুং। মাত্তর, মনে মনে ভাবি চেলুং যিয়ানর লাক মর নেই সিয়ান দেনায়ান জানে কেঝান পাঙর। আর’ ভাবি মদনত উদিল’- গান্ধারী ভেই শকুনি। তার বেগত্তুন বেচ দাঙর চিনপচ্যে অহ্লদে গান্ধার রেজ্যর রাজকুমর। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ বাজানা একমাত্র শকুনি দায়ি। সে সুনানু ভদ্র সেন চাঙমা অহ্’ল চাঙমাউনর শকুনি মামা। কধেও লাজ গরে পারা। ত্যুঅ কোই পরের।

ঘদনা ১: গেল্লে ০৭ আগস্ট ২০২০ খ্রি. পরম স্বর্গীয় সুনানু বিভূতি চাঙমার(শিক্ষক) সাপ্তাক্রীয়া কেজ্জো পোইদ্যানে দাঙর এক্কো ধর্ম সভা কাজলঙ তুলাবান আদামত অই গেল ধর্ম সভাত সুনানু ভদ্র সেন চাঙমাদাঘিও অন্যজনর সান গরি সরিত অলাক। দিবুজ্যে মাধান কাচালং সরকারি কলেজর প্রভাষক সুনানু লালন কান্তি চাঙমাদাঘিরে দিঘিনেই কাচালং বালিকা হাই ইক্কুলর প্রধান শিক্ষক সুনানু ভদ্র সেন চাঙমাদাঘি সুনানু লালন কান্তি চাকমাদাঘিরে উগুরে আহ্ তুল্যে। যা ভাবদে বঃনিঝেচ এযে,অগলা এযে। পিত্তিমীত কনদেঝত,কনজাদর সাহিত্য জগদত এধক্যে ঘদনা দেঘা যায়, শুনা ' যায়। এক্কো হেড মাচতরে ইনিক্কেন বজং কাম কন' সভ্য সমাজত গরি ' পারে।

তথ্য মজিম ২০১৪ খ্রি. রাঙামত্যা জেলা বাঘাই ছড়ি উপজেলাত ৬২ জন সাবাঙ্গী নিনেইআরাংনাঙে এক্কো সাহিত্য জধা থিদ অহ্য়। সুনানু লালন কান্তি চাঙমাদাঘিরে সভাপতি সুনানু ভদ্রসেন চাঙমাদাঘিরে সাধারণ সম্পাদক ইজেবে আরাঙর জধাত নকবাচ গরা অয়্যা। লাম্বা চের বঝর সং আড়াঙর কাম বন্ধ থানার পর গেল্লে ০২ আগস্ট ২০২০ ইং সুনানু ভদ্রসেন চাঙমাদাঘি ফেইসবুক টাইম লাইনত দেঘা যিয়ে- “আরাঙর জনম পোইদ্যানে এগত্তরি (স্ক্রিনশর্ট দিয়্যা অয়্যা)। নুঅ জনম, নুঅ সবন, নুঅ মানুচ, মন ভরনক্যাপশন দিনেই ১২/১৩ জনর দ্বিবে আরুক/সুভি। তথ্য মজিম খবর পা যেল’- আরাঙর যে ৬২ জন সাবাঙ্গী/সদস্য আঘন তারালোই কনকধা নেই, তেম্মাঙ-সুল্লুক নেই গরি যে নুঅ আড়াং জনম দেনা তারা কনসাবাঙ্গী/সদস্য মানি নেযে পারানার পোইদ্যানে সুনানু লালন কান্তি চাঙমাদাঘি সংগঠনর সভাপতি ইজেবে সুয়োল গরিলে সুনানু ভদ্র সেন চাঙমাদাঘি তার উগুরে আহ্ তুল্যে সে ধর্ম খলাবোত।

ঘদনা- ২: সুনানু ভদ্র সেন চাঙমাদাঘি চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার (উপদেষ্টা) থানা সময়তচাঙমা সাহিত্য বাহ্রে আরাং নাঙ দিবার এক্কান প্রস্তাব আনে (স্ক্রিনশর্ট দিলুং)। চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কনসাবাঙ্গী মানি নেযানার সে প্রস্তাবয়ান গজি লোনা অহ্য়। কিঝু দিন আগেও চাঙমা সাহিত্য বাহত তে ভেজাল বাজেই দিবার চেইয়্যে। বানা ভেজাল বাজে দেনা নয়, চাঙমা সাহিত্য কেনে বিপদত পেলেব সিয়ান অনসুর ভাবে। খাগাড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউত আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্’রে ভেজান বাজে দিবার অ-কাম (ব্যর্থ চেষ্টা) গচ্ছে (স্ক্রিনশর্ট দিলুং)।

ঘদনা ৩:  খবর পা যিয়ে, সুনানু ভদ্র সেন চাঙমাদাঘিচাকমা কালচার কাউন্সিল অফ বাংলাদেশ (সিসিসিবি-)” জধাবোতও ভেজাল তুলি দিয়্যা। পরে   সল্লাদার পদত্তুন সরে এবার এক্কান কাগোজ দিল’ আ সিসিসিবি সিয়ান খুজি মনে গজি লল।  

ঘদনা ৪: এর আগেও আদিবাসী লেখক ফোরামতও সুনানু সুজালো জোসদাঘি আ সুনানু আলোময় চাঙমাদাঘিরে লোইনেই এক্কান দাঙর বেজাল ওইয়্যে। কদ' জনে তার ইনিক্কেন চাল বাজির কারনে আদিবাসী লেখক ফোরামত্তুন নিগিলি যিয়োনদোই।

ইআনিত্তুন বুঝা যায় সুনানু ভদ্র সেন চাঙমাদাঘি যিয়ত সিয়োত শিয়েলর পাক চক্কর নিগিলানার কাবিদ্যাঙ। তার গভীর ষড়যন্ত্র নিঘিলেনেই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ আ সিসিবিত ভেজাল তুলিনেই আরাঙর যে ৬২ জন সাবাঙ্গীরে কিঝু কোই নুঅআরাংথিদগরিবার -কাম (ব্যর্থ প্রচেষ্টা) গরিল তা ফল চাঙমা জাত্তো পেল লাজর/কলঙ্গ এক্কো দিন, ০৭ আগস্ট। ইক্কো আনকরা মানজ্যেও ইনিক্কেন লাজর কাম ' গরন।

ইরুক ঘদনানি তলবিচ গরিনেই বুঝা যার অর্থাৎ পিবিএল এ তপ্পেত্তুন সুনানু বিভূতি চাঙমাদাঘিরে পদক দেনা পোইদ্যানে সুনানু ভদ্রসেন চাঙমাদাঘি কু-পাক ন’ থেব’ কন আদং নেই। কিত্তে, তার পরামর্শ কয়েক দিন আঘে তারার দাঘির মেজেঞ্জার গ্রুপত্তুন (ঝাদর ভালেদি Think tank….) মরে নিগিলে দিল সুনানু রণজ্যোতি চাঙমাদাঘি।  

ইয়ানি বেক্কানি তলবিচ গরিলে পোতপোত্যা অহ্’য় সুনানু ভদ্রসেন চাঙমাদাঘি অহ্’লাক্কে চাঙমা সাহিত্য জগদত শকুনি (তিনি মহাভারতের প্রধান খলনায়ক। সুবলের কোনো এক পাপের কারণে দেবতাদের অভিশাপে তাঁর বংশে শকুনির জন্ম হয়। শকুনির জন্ম কলির অংশে; তাই তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধূর্ত কপট। গান্ধারীর বিবাহের পর থেকে শকুনি ধৃতরাষ্ট্রের সংসারেই থাকতেন এবং ভাগিনেয় দুর্যোধনের সঙ্গে ওঁর বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল।)।

গান্ধারীর ভেই শকুনি। তার  বেগত্তুন বেচ দাঙর চিনপচ্যে অহ্’লদে তে গান্ধার দেঝর রাজকুমর। কুরুক্ষেত্রর যুদ্ধ বাজানা একমাত্র তে দায়ী। থিক, চাঙমাউনর সাহিত্য জগদত ভেজাল উদানার একমাত্র সুনানু ভদ্রসেন চাঙমাদাঘি দায়ী কলে বজং ন’ অব। সেনে তারে মুই শকুনি উপাদি দিনেই মান দিলুং।











    

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২

পাবর্ত্য চট্রগ্রামের আদিবাসীর সংবাদ

 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারাই আদিবাসী জুম্ম জাতির উপর জুম্মগণহত্যা তান্ডব চালিয়েছিল তাহা বিস্তারিত বিবরণ নিম্ন বর্ণনা দেওয়া হলঃ
সিরিয়ালঃ তালিকাঃ- জুম্ম গণহত্যা তারিখ ও সালঃ- উল্লেখ করা হলোঃ-
01. শুভলং পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- রাঙ্গামাটি জেলায়, ৭ জানুয়ারি 1979, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনীর মিলিয়ে 16 জন জুম্ম পাহাড়ি আদিবাসীকে নির্মমভাবে গণহত্যা করেছিল, আহত হয়েছিল 12 জন, 5টি গ্রামে 300 এর অধিক বাড়িঘর আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, সব বাঙ্গালীরা লুটপাট, ডাকাত, লুটপাট, করে এনেছিল। পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী 5000 এর অধিক ভারতে মিজোরামে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল।
02. গুইমারা পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলায়, 27 এপ্রিল 1979 স্থানের নাম গুইমারা, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে পাহাড়ি জুম্ম গণহত্যা চালিয়েছিল, এই সময় নির্মমভাবে 27 জন জুম্ম পাহাড়িকে হত্যা করা হয়, জুম্ম পাহাড়ি আহত হয়েছিল 31 জন, সেটলার বাঙালি ও সেনাবাহিনীর মিলিয়ে তিনটি গ্রামে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছিল 300 ঘরবাড়ি থেকে টাকা পয়সা, স্বর্ণ-রুপা, ধন সম্পদ, লুটপাঠ ও ডাকাত করে এনেছিল। পাহাড়ের জুম্ম 400 জন ভারতের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
03. কানুনগোপাড়া পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলায়, 22 এপ্রিল 1979, বাঙালির সেটেলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে নিরহ পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী উপর 5 জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। 2টি গ্রামে 120 টি বাড়িঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল, ওই এলাকায় বাঙালির সেটলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে বাড়িঘর লুটপাট, টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, স্বর্ণ-রুপা, লুটপাট ও ডাকাত করে এনেছিল। 2500 পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী ভারতের ত্রিপুরায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
04. রামগড় পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলায়, 7ই নভেম্বর 1979, বাঙালি সেটলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসীদের 2টি গ্রামের উপর জুম্মগণহত্যা চালিয়েছিল, এতে প্রায় বন্দুকের বেয়নেট মাথা ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছিল। পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসীর 18 জনকে গুরুতর অবস্থায় আহত করা হয়েছিল, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে 4 জন নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, এতে আদিবাসী জুম্ম পাহাড়ি ২০০০ জন অধিক ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
05. কাউখালি পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- রাঙ্গামাটি জেলায় কাউখালী ইউনিয়ন কমলপতি নামে বড় 1টি গ্রামে বাঙালিসেটলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী উপর গণহত্যা চালিয়েছিল 25 শে মার্চ 1980 সালে, তখনকার কর্তব্যরত জোন কমান্ডার পলিসি প্রয়োগ করে জুম্ম আদিবাসী পাহাড়িদেরকে শান্তির আলোচনা মিটিং এর নাম দোহাই দিয়ে জোন এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তারপর নারী-পুরুষ প্রায়ই 330 জন মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে গিয়েছিলেন, তখন পুরুষদেরকে সারিবদ্ধ ভাবে লাইনে দাঁড় করে সোজা দাঁড়িয়ে রেখেছিলেন, এবং নারীদেরকে আলাদা জায়গায় দাঁড়িয়ে রেখেছিলেন। তখন 300 জন পুরুষের উপর নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। এবং 30 জন নারীকে ধর্ষণ করা হয়। বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী বাড়িঘর লুটপাট করে টাকা-পয়সা ধন-দৌলত স্বর্ণ-রুপা, এরপর বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়, বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গায় পরিবর্তে এখন অনেকগুলো মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। বাঙালি ও সেনাবাহিনীদের অত্যাচারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে 1000 জুম্ম পাহাড়ের আদিবাসী শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ
06. তবলছড়ি মাটিরাঙ্গা পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানায় তখন 27 শে মে 1981 সাল, সেনাবাহিনী ও বাঙালির সেটেলার মিলিয়ে 146 জন নিরীহ পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী এর উপর নির্মমভাবে গণহত্যা করা হয়েছিল। নির্মমভাবে দা বতি দিয়ে আঘাত করতে থাকে এতে 58 জন আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এখনো পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী 18 জন নিখোঁজ অবস্থায় কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। ঐদিন ওই সময়ে বাঙালি সেটলার সেনাবাহিনী মিলিয়ে ঘরবাড়ি উপর অতর্কিত হামলা চালায়, হাজার হাজার পাহাড়ি ঘর বাড়ির উপর লুটপাট ডাকাতি করে, টাকা পয়সা, স্বর্ণ- রুপা লুটপাত করেছিল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের 18000 জুম্ম জাতির আদিবাসী ভারতের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
07. বানরাইবারী বেলতলী বেলছড়ি পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায়, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে অতর্কিতে পাহাড়ে জুম্ম আদিবাসী উপর 4টি নির্মম ভাবে গণহত্যা চালিয়ে 200 জন পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তখনকার সময়ে 40 জন নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের 2000 জন পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ওই এলাকায় বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনীরা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার আগে স্বর্ণ-রুপা, টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত সবকিছু লুটপাট ও ডাকাতি করে নিয়ে আসা হয়।
08. তেপালং- আসালং- গৌরাঙ্গ পাড়া - তবলছড়ি- বরনাল- পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানায় বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনীর মিলিয়ে 18 সেপ্টেম্বর 1981 সালে, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনীর মিলিয়ে নিরীহ পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী জনগণের 5টি গ্রামের ওপর নিষ্ঠুরভাবে হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিলেন, এই সময়ে নিরীহ পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী উপর 1000 জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘর বাড়ির উপর অত্যাচার করে টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, ধন-দৌলত লুটপাট ও ডাকাতি করে নেই। তারপরে 35 টি বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়েছিল। ঐসময় অগণিত পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের অগণিত পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী জগনগ আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
09.গোলকপতিমা ছড়া পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গণহত্যা:-মাইচ্যেছড়া:
তারাবনছড়ি গনহত্যাঃ 1983 সালের জুন মাসের 26 তারিখ জুলাই মাসের 11, 26 ও 27 তারিখ এবং আগষ্ট মাসের 9, 10,11 তারিখ সেনাবাহিনী ও সেটেলার বাঙ্গালীরা একত্রে গোলকপতিমাছড়া- মাইচ্যেছড়া – তারাবনছড়িতে পাহাড়ি-জুম্মদের 4টি গ্রামগুলোতে অগ্নি সংযোগ লুটতরাজ হত্যা ধর্ষণ , নারকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো। এই গনহত্যায় 800 জুম্ম নিহত হয়েছিল। নিহতদের সিংহ ভাগ বৃদ্ধ, নারী ও শিশু। গনহত্যার পর সরকার সেখানে বাঙ্গালী বসতি স্থাপন করে।
10. তারাবনছড়ি পাহাড়ের জুম্মা আদিবাসী গনহত্যাঃ তখন ছিল 1983 সালে 26 জুন তারাবনছড়িতে 1টি গ্রামে আদিবাসী গনহত্যার সংঘটিত হয়। উক্ত গনহত্যায় 87 জনকে নিষ্ঠুর ও নির্মম ভাবে হত্যা ৪জন নারীকে ধর্ষণ ও অসংখ্যা বাড়ি ঘর লুটপাট অগ্নি সংযোগ করা হয়।
(11)ভুষণছড়া পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ 31 মে 1984 সালে ভুষণছড়া গনহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। প্রথমে শান্তিবাহীনির সেনা ক্যাম্প আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে বাঙালি সেনা সেটেলার হায়েনার দল 305 সেনা ব্রিগেড,26 বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও বি ডি আরের 17 নং ব্যাটালিয়ন মিলে নিরস্ত্র পাহাড়ি গ্রাম ( হাটবাড়িয়া, সুগুরী পাড়া, তেরেঙ্গা ঘাট, ভূষণছড়া, গোরস্তান, ভূষণবাঘ) 6টি আদিবাসী গ্রাম জালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। 400 পাহাড়ি নিহত হয়েছিলো যার উল্লেখ যোগ্যা সংখ্যক ছিলো শিশু ও নারী। অনেক পাহাড়ি নারী সেনা দ্বারা গন ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছিলো। আর 7000 জুম্ম আদিবাসী পাহাড়ি শরনার্থী হিসেবে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।
(12)পানছড়ি পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ সেই দিন ছিল 1মে 1986 সাল এই গনহত্যা সংঘটিত হয় গোলক পদিমা ছড়া,কালানাল ছড়া,করমাপাড়া,শান্তিপুর,মির্জাবিল,হেদারাছড়া,পুঁজ গাঙ, হাতিমুক্তি পাড়া,মাতেশর পাড়া,নাবিদাপাড়া,ও দেওয়ান বাজারে 11টি গ্রামে গনহত্যা চালিয়েছিল। 29শে এপ্রিল শান্তিবাহীনি বি,ডি,আর ক্যাম্প আক্রমণ করেছিলো। তার ফলশ্রুতিতে সেনা আর সেটেলার বাঙ্গালীরা যৌথভাবে সেখানকার পাহাড়ি গ্রাম গুলোর মানুষজন কে ডেকে একটা মাঠে জড়ো করে নির্মমভাবে জবাই ও গুলি আর হত্যা। এতে 100 জনকে হত্যা করা হয় ও 20,000 জুম্ম পাহাড়ের আদিবাসী হাজারের অধিক ভারতের এিপুরা রাজ্যের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করে।
(13)মাটিরাঙা পাহাড়ের জন্য আদিবাসী গনহত্যাঃ
পানছড়ির ঠিক একদিন পর 2রা মে 1986 সালে মাটিরাঙা তে পাহাড়ি রিফিউজি যারা ভারতে পালাচ্ছিলো, সেই নিরস্ত্র দেশত্যাগী মানুষের উপর এলোপাথারি গুলি চালিয়েছিলো বর্বর নরপশু সেনাবাহিনীরা এতে 70 জন পাহাড়ি বৃদ্ধ,, শিশু, নারী, নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো।
(14)কুমিল্লাটিলা-তাইন্দং, তবলছড়ি জুম্ম পাহাড়ি আদিবাসী গনহত্যাঃ-3টি গ্রামে 18মে 1986 তে, আগের গনহত্যাগুলির ক্ষত না শুকাতেই মাটিরাঙা থেকে প্রায় 200 জন ত্রিপুরা নারী পুরুষের দল যারা বাঁচার আশায় শিলছড়ি থেকে ভারতীয় সীমান্তের দিকে পার হচ্ছিলো কিন্তু তাইদং , কুমিল্লাটিলা গ্রামের মাঝামাঝি এক সরু পাহাড়ি পথ পাড়ি দেবার সময় বাংলাদেশ বি ডি আর এর 31 ব্যাটালিয়নের নর পশু জোয়ানরা তাদের উপর হামলা চালায় যার ফলে প্রায় 160 জনকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় , এমনকি বর্বর পশু জোয়ান বাহীনির গুলির হাত থেকে বেচে যাওয়া আহত দের কে সেটেলার বাঙাল এনে বেয়নেট খুচিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঐ ঘটনার বেচে যাওয়া অল্প কিছু সাক্ষী আজো আছে।
(15)দিঘীনালা পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি দিঘীনালা মেরুং -চংড়াছড়িতে 3টি গ্রামে 19 ডিসেম্বর 1986 সালে নিরীহ আদিবাসী পাহাড়ি মানুষ জীবনের ভয়ে ভারতে পালানোর সময় সেনাবাহিনীরা পেছন থেকে গুলি করে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে 30 জনকে।
(16)হিরাচর, সারোয়াতলী খাগড়াছড়ি,পাবলাখালী পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ
8, 9, 10 আগস্ট 1988 সালে হিরাচর, সারোয়াতলী, খাগড়াছড়ি, পাবলাখালীতে 100 পাহাড়ি জুম্ম কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। অনেককে গুম করা হয়।গণধর্ষণ করা হয় পাহাড়ি নারীদেরকে।
(17)লংগদু পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ
4ঠা মে, 1989 সালে লংগদু তে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ অজ্ঞাত নামা লোকের হাতে খুন হন। এর দায় চাপানো হয় শান্তিবাহীনির কাঁধে। এর জের ধরে সেনাবাহিনী সৃষ্ট ভি,ডি,পি ও সেটেলারদের ও সেনাবাহিনী একত্রে দলবেঁধে পাহাড়ী গ্রামে উপর হামলা করে। এতে নিহত হয় 40 জন আদীবাসি নারী পুরুষ শিশু। তাদের মৃতদেহ পর্যন্ত ফেরত দেয়া হয়নি। পুড়িয়ে দেয়া হয় বৌদ্ধ মন্দির। এমন কি তৎকালীন সাবেক চেয়ারম্যান অনিল বিকাশ চাকমার স্ত্রী , সন্তান ও নাতি কে পর্যন্ত নির্মম হত্যা যজ্ঞের শিকার হতে হয়। সেটেলার হায়েনা রা আজো অনিল বিকাশ বাবুর সমস্ত জমি দখল করে রেখেছে।
(18)মাল্যে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ
2রা ফেব্রুয়ারি, 1992 তে মাল্য গনহত্যা সংঘটিত হয়। ঐ দিন মারিস্যাতে রাঙ্গামাতটি গামী যাত্রীবাহী লঞ্চে এক বোমা বিস্ফোরনে এক যাত্রী ও চালক নিহত হন। বাংগালী অধ্যুষিত মাল্যেতে লঞ্চটে পৌছা মাত্র সেখানে ঔত পেতে বসে থাকা সশস্র সেটেলারা পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী যাত্রীদের উপর হামলা করে। এটে 30 জন জুম্ম নিহত হন যার মধ্যে 14 জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এটে অনেক যাত্রী রাংগামাটি হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। প্রতক্ষ্যদর্শীদের ভাষ্য থেকে জানা যায় যে এই ঘটনাটি আর্মিদের সাজানো পরিকল্পিত হত্যা কান্ড ঘটনা ঘটায় যাহা পরে গনমাধ্যমে শান্তিবাহিনীর উপর দোষ চাপানো হয়।
(19)লোগাং পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ
10ই এপ্রিল,1992 সালে লোগাং-এ পাহাড়ির জুম্ম জাতির বিরুদ্ধে নির্মম হত্যা যজ্ঞ চলে। সেই দিন এক পাহাড়ী মহিলা তার গাবাদি পশু চড়াতে গ্রামের অদূরে গিয়েছিলো সেখানে দুই জন সেটেলার বাঙাল দ্বারা সে ধর্ষিত হয়। এতে এক পাহাড়ি যুবক বাধা দিলে সেটেলাররা তাকে সেখানেই হত্যা করে, পরে এই ঘটনা শান্তিবাহীনির উপর চাপানো হয় এর জের ধরে সেনাবাহিনীও বাঙালি-সেটেলার দলবেঁধে 1500 পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী জনসংখ্যা অধ্যুষিত গ্রামে হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে 400 জন পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী কে।এটে 800 পাহাড়ি বাড়ি ঘরে, টাকা পয়সার স্বর্ণ-রুপা ধন-দৌলত লুটপাট ও ডাকাতি করে পরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পাশের গ্রামগুলো থেকে প্রায় 2000 জন পাহাড়িকে শরনার্থী হয়ে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
20.ছোট ডুলু পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ- রাঙ্গামাটি কাউখালীতে ছোট ডুলুতে সেনাবাহিনীরা আদিবাসী গনহত্যা সংঘটিত করেছে। 30মে 1992 সালে উক্ত গনহত্যায় 12 জনকে হত্যা তাদের মধ্যে ৫ জনের লাশ পাওয়া যায়নি। 40 টি মত ঘরবাড়ি টাকা-পয়সা স্বর্ণ-রুপা ধন দৌলত লুটপাট ও ডাকাতি করে নেই। এরপরে বাড়ীঘরগুলো অগ্নিসংযোগ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় ও 1 টি বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস করা হয়।
21.নানিয়াচর পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ 17নভেম্বর 1993 সালে নানিয়াচর বাজারে আদিবাসিদের শান্তিপুর্ন মিচ্ছিলে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে বাঙ্গালি সেটেলারর-সেনাবাহিনীরা নিষ্ঠুর ও নির্মম ভাবে হত্যা করে নিরীহ জুম্ম আদিবাসী পাহাড়ীদেরকে। এর নেতৃত্বে ছিলো সেটেলারদের সংগঠন পার্বত্য গনপরিষদ যা নেতৃত্বে ছিলো মোঃ আয়ুব হোসাইন নামক হায়েনা নেতা এবং তৎকালীন বুড়িঘাট ইউ,পি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ। এতে নিহত হয় 29 জন জুম্ম নাগরিক আহত হয় শতাধিক। এতে জুম্ম ছাত্ররা যখন প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে তখন সেনা ক্যাম্প হতে জুম্ম ছাত্রদের উপর উন্মুক্ত এলোপাথারি গুলি চালানো হয়।
এছাড়াও, 1995 সালে মার্চে বান্দরবান সদর, 2001 সালের আগষ্টে রামগড়, 2003 সালের আগষ্টে মহালছড়ি, 2006 সালে এপ্রিলে মাইসছড়িতে, 2008 সালের ফেব্রুয়ারিতে বাঘাইহাটে, 2010 সালের ফেব্রুয়ারিতে বাঘাইহাট-খাগড়ছড়িতে এবং সর্বশেষ গুইমারা-মাটিরাঙ্গা-জালিয়াপাড়ায় গাড়ি থেকে নামিয়ে নিষ্ঠুর ও নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। এভাবে একের পর এক গনহত্যায় রক্তে রঞ্জিত হয়েছে পাহাড়ী মানুষের পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছে। সেই জুম্মগনহত্যারগুলির নিষ্ঠুর বর্বরতা এখনো জুম্মজাতিকে পিছু তাড়া করে বেড়ায়।
এইভাবে নির্বিচারে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাঙালী সেটলার দ্বারা জোরপুর্বক বসতি স্থাপন একদিকে শান্ত পাহাড়কে নরকের দিকে ঠেলে দিয়েছে অন্যদিকে শান্তিপ্রিয় পাহাড়বাসীর জীবনকে করেছে বিপন্ন। এভাবে জুম্মজাতির প্রতি চাপিয়ে দেয়া জাতি হত্যার নীলনকশার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আরেক বার 97 এর আগে ফিরে আসুক। এভাবে আর কত মা, বোন, ধর্ষণ, জুম্মবাপভাইকে বিনাবিচার হত্যা সহ্য করবো আমরা। তাই পরিশেষে মাননীয় সম্মানিত আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কাছে বলেতে চাই… তিন পার্বত্য জেলায় থেকে সেনাবাহিনী ও বাঙালির সেটলারদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়ে বাংলাদেশের সমতল জেলায় নিয়ে আসা হোক।
আর যদি মাননীয় সম্মানিত প্রেসিডেন্ট এই সমস্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সমস্যা ঘটনার সমাধান দিতে যদি ব্যর্থ হয়, তিন পার্বত্য জেলা থেকে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসীগণ পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের আনাচে-কানাচে গিয়ে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে। আর যারা তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসীরা পালিয়ে যেতে চাই না, তারা বাঙ্গালীদের সাথে সম্মুখী বা মুখোমুখি হয়ে যুদ্ধ করে লক্ষ লক্ষ পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী ও বাঙালি সেটেলার মারা যেতে পারে।
জুম্ম পাহাড়ি আদিবাসীদের ভূমি, জমি, পাহাড়ের টিলা, এইগুলো বাঙালি সেটলার ও সেনাবাহিনি মিলিয়ে জোর-জবরদস্তি করে জুম্ম পাহাড়ে আদিবাসী জনগণের ভূমি, জমি, পাহাড়ের টিলা, গুলো জোরপূর্বকভাবে ভূমি বেদখল, জমি বেদখল, পাহাড়ের টিলা বেদখল করে ছিনিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্ত। শেষমেষ বাংলাদেশ সরকার জুম্মজাতি আদিবাসী শব্দটি থেকে নাগরিক হিসেবে জু্ম্মজাতিআদিবাসী অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখেছে । 2011 সালের সংবিধান সংশোধনীতে আদিবাসী শব্দটি পরিবর্তে উপজাতি, সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী হিসেবে শব্দ সংবিধানে সংশোধনীতে প্রতিস্থাপন করেছে। এইটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বসবাসরত জুম্মজাতিকে আদিবাসী শব্দটি থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে চিরতরের জন্য বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ সরকার পাহাড়ের নিরীহ জুম্মজাতির আদিবাসীর উপর এমন নিষ্ঠুরভাবে জুম্মগণহত্যা ব্যবস্থা, নির্মম অাচারণ, কঠিন অত্যাচার, নিষ্ঠুর ব্যবহার, নিষ্ঠুর অত্যাচার, জঘন্য অপরাধ, স্টিমরোলার সেনাবাহিনীর সেনাশাসন চালিয়ে প্রশাসনের দৌরাত্ম্য, বাঙালি প্রশাসনের বিমাতাসুলভ দুর্ব্যবহার, বর্ণবাদের অপবাদ, বাঙালীজাতিগত সহিংসতা, পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী জনগণের ওপর সেনাবাহিনী অপারেশন উত্তরণ নামে কাল অধ্যায় সেনাশাসন ও শোষণ করে আসছে উপনিবেশিকবাদের শাসন কায়দায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাঙালি সেটলাররা প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত, প্রতি মুহূর্তই জুম্মগণহত্যা ঘটনা ঘটে চলেছে ।
সেনাবাহিনী ও জঙ্গী সেটলার বাঙালী দ্বারাই গোপনীয় ভাবে জুম্ম গণহত্যা তাণ্ডব চালিয়েছিল তাহা পরিসংখ্যান জুম্মগণহত্যার এর সারমর্ম
সেনাবাহিনী দ্বারাই জুম্ম জাতি ঘরবাড়ি আগুন দেওয়া হয়েছিল ঘরবাড়ি= 96015টি ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছিল।
গ্রাম ছিল ==259টি গ্রামে সেনাবাহিনী দ্বারাই জুম্মগণহত্যার তাণ্ডব চালানো হয়েছিল।
সেনাবাহিনী দ্বারাই হত্যা=37,096 জন মোট জুম্মকে নিষ্ঠুরভাবে দা, কুড়াল, বেনেয়ট দিয়ে কুরে কুরে জুম্মহত্যা নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটনো হয়েছিল।
সেনাবাহিনী দ্বারাই আহত=12,112 জনকে জুম্ম জাতি আহত অবস্থায় রেখে দিয়েছিল।
সেনাবাহিনী দ্বারাই নিখোঁজ করা হয়েছিল =50058 জন জুম্ম জাতির এখনো নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে।
সেনাবাহিনী দ্বারাই জুম্মনারী উপর গণধর্ষণ =38038 জন নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল।
আদিবাসী জুম্মজাতি ভারতের আশ্রয় নিয়েছিল =3,93100 জন ভারতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
জঙ্গী সেনাবাহিনী ও জঙ্গী সেটলার বাঙালী দ্বারাই বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল মোট =11টি+ বৌদ্ধ প্যাগোডা এদের উপস্থিতিতে একটি বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল।
জুম্মজাতি আদিবাসীদের জুম্মগণহত্যার বিনিময়ে
পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্মল্যান্ড হবে হবেই।
কার্টেসিঃ তুষার কান্তি চাকমা।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...