শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩

৪৮ আন ইক্কুলত কন’ জনে পাস ন’ গরন

এ বঝর এসএসসি সমমানর পরিক্কে রেজাল্ট ফগদাঙ গরা অয়ে। এবার   ৮০.৩৯ শতাংশ পাস গরিলেও  ৪৮আন ইক্কুললত একজনও পাস ন’ গরন সে খবর পা যেল।  

শুক্কবার ২৮ জুলাই এসএসসি সমমানর পরিক্কে রেজাল্ট ফগদাঙ নিনেই সংবাদ মিলনি খলা জুগল গরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

 

রেজাল্ট দেঘা যিয়ে, এ বঝর ২৯ হাজার ৭১৪আন হাই ইক্কুল সরিত অয়। এ সেরে শতভাক পাস গচ্ছে ইক্কুল ২ হাজার ৩৫৪ আন ইক্কুলর পর্বোয়া। অন্নো কিথ্যাদি ৪৮ আন ইক্কুলত কন’ জনে পাস ন’ গরন।

এ বঝর জিপিএ-৫ পিয়োন ১,৮৩,৫৭৮ জন। গেল্লে বঝর জিপিএ-৫ পিয়োন ‍২৬৯৬০২ জন পর্বোয়া।

এ বঝর  ১১আন শিক্ষা বোর্ডর ২০, ৭৮ ,২১৬ জন পর্বোয়া এলাক। এ সেরে  ১০,২৪, ৯৮০ জন আ ঝি ১০,৫৩,২৪৬ জন পার্বোয়া এলাক।

তথ্য: আরটিভি

 

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩

আমরা কি ইতিহাস পাঠ করি? ইতিহাসের কাছ থেকে শিক্ষা নিই? Anurug Chakma

 

Anurug Chakma
পথভ্রষ্ট-দিকভ্রান্ত-আত্মভোলা-ভোগবাদী জুম্ম সমাজকে নিকট অতীতের ইতিহাস স্মরণ করে দিতে চায়। এই প্রজন্মের অনেকে হয়তোবা জানেন না, ১৯৭৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান কেন এই পদক্ষেপ নিয়েছিল? আগে সহজ উত্তরটা দিয়ে দিই। পিসিজেএসএসের নেতৃত্বে জুম্মদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সশস্ত্র সংগ্রামকে ধ্বংস করার জন্য তৎকালীন শাসক গোষ্ঠী অনেকগুলো কাউণ্টার ইন্সারজেন্সির কৌশল নিয়েছিল। তার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড একটি।

১৯৮৯ সালে সৈয়দ আজিজ আল আহসান এবং ভুমিত্র চাকমা “Problem of National Integration in Bangladesh: The Chittagong Hill Tracts” শিরোনামে একটি আর্টিকেল Asian Survey-তে প্রকাশ করেছিলেন। এই দুজন গবেষক ৯৬৯ পৃষ্টায় এম কিউ জামান এবং সুধীন কুমার চাকমার গবেষণার রেফারেন্স দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড যে জুম্মদের বিরুদ্ধে তৎকালীন শাসক গোষ্ঠীর একটি ষড়যন্ত্র ছিল তা বলার চেষ্টা করেছেন।
“Sidetracking the political aspects, successive governments identified the problem of the Hill Tracts either as economic or as an issue of law and order. Accordingly, the Chittagong Hill Tracts Development Board was established in 1976 to attack the problem through economic means. An officer of the Chittagong Division of the Bangladesh army was made chairman of the Development Board, which undertook some projects such as construction of roads and highways and organization of cooperative farming for the tribal people. But the tribals had reservations about these projects; they considered the roads to have been strategically built for easy military movement and the so-called cooperative farming or "model village" projects as a tactic to bring tribal people together into "concentration camps." In a survey it was found that 87.9% of the tribal respondents were suspicious of the government's economic development plans and projects. They did not believe that these would change their lot but rather would facilitate the influx of outsiders.”
২০০২ সালে জোবাইদা নাসরীন এবং মাসাহিকো টগোয়া “Politics of Development: ‘Pahari-Bangali Discourse in the Chittagong Hill Tracts” শিরোনামে Journal of International Development and Cooperation থেকে একটি গবেষণা প্রবন্ধ পাবলিশ করেন। এই গবেষণা প্রবন্ধের ১০৪ পৃষ্টায় এই দুজন গবেষক পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড যে তৎকালীন সরকারের জুম্মবিরোধী একটি কৌশল ছিল তা বর্ণনা করতে গিয়ে Wolfgang Mey-এর লিখিত Genocide in the Chittagong Hill Tracts, Bangladesh থেকে নিচের অংশটুকু তুলে ধরেন।
“The CHTDB was established in 1976 by the late president Ziaur Rahman to fight the Shanti Bahini. It is a purely political organization to bribe the tribal. Loans are given for private purpose, to business and tribal leaders. They are showpieces of the Government. Yes, it is mostly apolitical bribe to tribal leaders to buy them off so that they would not help the Shanti Bahini’ (Mey: 1991).”
বুঝতে পারছেন, কেন তৎকালীন সরকার এই কৌশল হাতে নিতে হয়েছিল? উদ্দেশ্য একটাই, জুম্মদের শিক্ষিত অংশকে কিনে নিয়ে জুম্ম সমাজের ঐক্যে ফাটল ধরানো এবং সমাজের অগ্রসর অংশটিকে আন্দোলন বিমুখ করা। সোজা কথায়, “ডিভাইড এন্ড রুল পলিসি”।
২০২৩ সালে এসে এরকম একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টির ইতিহাস জুম্মরা এত সহজে ভুলে গেল? এতই আত্মভোলা জুম্মরা? তাই, এই নিপীড়িত মানুষদের সমাজে ইতিহাস অধ্যয়ন এবং দর্শন চর্চা জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথায়, পাহাড়ে আপনার কষ্টার্জিত সুদর্শন অট্টালিকাটা ঠিকই আছে, কিন্ত আপনার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে গেছে। দেশের সমতলের পরিত্যক্ত জমিদার বাড়িগুলো দেখলে অভাগা জুম্মদের বিকাশমান পুঁজিবাদী শ্রেণীর কথা মনে পড়ে। আর আমার অবুঝ মনে প্রশ্ন জাগে, এই দুলো দরিয়ে রাজনীতি বিমখু শ্রেণীকেও কি একই ভাগ্য বরণ করতে হবে? বিশ্বাস হচ্ছে না? সর্বশেষ জরিপটা দেখুন না, বিগত ১৫/২০ বছরে কত পারসেণ্টে চলে এসেছেন?
এটাও যুক্ত করতে চায়, পাহাড়ে ইন্সারজেন্সি শেষ হয়েছে। কিন্ত, অতীত এবং বর্তমান সব শাসক শ্রেণী জুম্মবিরোধী তার পূর্বের অবস্থান থেকে এক বিন্দুও সরে আসেনি। চুক্তি বাস্তবায়নে গড়িমসি করা, প্রতিনিয়ত জুম্মদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চালিয়ে যাওয়া, জুম্ম নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান জাতিগত সহিংসতা, জুম্ম দিয়ে জুম্মদের হত্যা করা, জুম্ম দিয়ে জুম্মবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে নেওয়া এই পলিসি দিয়ে রাষ্ট্র সেটা প্রমাণ করে যাচ্ছে। এছাড়াও, এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে প্রতিবছর জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক পার্মানেন্ট ফোরামে সরকারের প্রতিনিধি হিসিবে প্রেরণ করার মাধ্যমে জুম্ম দিয়ে জুম্মবিরোধী এবং আদিবাসী স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ চলমান রয়েছে যা সত্যিই উদ্বেগের এবং নিন্দনীয়। হতভাগা জুম্মদের হয়তোবা এবারও সেটা দেখতে হবে। ভাগ্যের লিখন যায় না খণ্ডন! চুক্তি পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের এই পদে আঞ্চলিক পরিষদের সাথে আলোচনা না করে সরকার প্রতিটি নিয়োগের মাধ্যমে যে পার্বত্য চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে সে কথা আপাতত এই লেখায় বাদই দিলাম।
“মর থুম হদা হল দে জুম্মউন মরিবার যে পথ দুজ্জন মাজারা উদি যাদে বজ যাদে পিত্তিমী বুগত্তুন লুগি যাদে আর বেজ সময় ন’লাগিবু। পোড়া হবাল জুম্ম আমি। মরিবং না বাজিবং হবর ন’পেই।”
পোস্ট :  Anurug Chakma
শিক্ষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...