শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আর ১৫ বঝর ৫ মাচ ১৯ দিন পর ঢাকাত চাঙমা লেঘা শিঘিয়্যা পরবোয়াউনরে সার্টিফিকেট দিয়্যা অহ্’ল




২০০৪ সাল, সেপ্টেম্বর ৭ তারিক চাঙমা সাহিত্য বাহ্ উদ্যোগে ঢাকা ট্রাইব্যাল হোস্টেলত চাঙমা লেঘা কোর্স ফাংফগদাঙ গচ্ছে সক্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উপমন্ত্রী সুনানু মণিসবন দেবান। তা সমারে আহ্’জিল এল’ আদিবাসী লেখক সঞ্জীব দ্রং দাঘি। যা বেক আদিবাসীউনর এক্কান দাঙর চেদন এই যায়।
নানান অনটনে আর ঢাকাত চাঙমা লেঘাশিঘানা কোর্স গরা ন’ অহ্’য়। গেল্লে ২১ জুলাই ২০২০ সালত জুম্ম কালচারাল একাডেমিত চাঙমা সাহিত্য বাহ্ উদ্যোগে তিন মাজ্যা চাঙমা লেঘা শিঘানা কোর্স ফাংগদাঙ গরানা ১৫ বঝর ৫ মাচ ১৯ দিন পর আর’ ঢাকাত চাঙমা লেঘা শিঘিয়্যা পরবোয়াউনরে সার্টিফিকেট ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সাল এক সিজি কেনত সার্টিফিকেট দিয়্যা অইয়ে।
চাঙমা কালচারাল একাডেমি ভবনত এ কেজ্জোআন গরা অইয়ে। কেজ্জোআনর পত্থম ত্রিপিটক পাঠ গচ্ছে সুনানু রিটন চাঙমাদাঘি। আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ যার অবদানে পিত্তিমীত সিদি পচ্ছে সে স্বগীয় পাহাড়ীকা চাঙমারে ইধোত তুলি ১ মিনিট অলর গরি তানার পর চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ফাংফগদাঙ গীত শুনা অইয়ে।
এ খলাবোত খলানানু সুনানু মোহন চাঙমা(সাত্থুয়া, ওমর আলী ইক্কুল এন্ড কলেচ), সুনানু স্মৃতি বিকাশ চাঙমার খলা পজ্জনীয়ে পাত্তুরুতুরু কধগী সানানু তপন চাঙমাদাঘি।

এ খলাবোত নকবাচ্যা গরবা এল’ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু সুনানু ইনজেব চাঙমা, মুলুক গরবা এলাক চাঙমা সাহিত্য বাহ্’র গরা কমিতি দাঙর কাবিদ্যাঙ সুনানু সম্ভুমিত্র চাঙমা, সুনানু রতন বিজয় চাঙমা, সুনানু দিলীপ চাঙমা আ মঞ্জুমিত্র চাঙমাদাঘি।
কধগীউনে কলাক- “এক্কো জাত পিত্তিমীত বুগত থিগী থেবার চেলে ভাচ আ অঝাপাত শিঘানা খামাক্কাই সাতকাম। তারা আঝা রাঘেই অহ্’লাক মুজুঙর দিনতয়্য নিআহ্’লচি গরি কাম গরিবার।




মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

দূঃখ- 𑄌𑄋𑄴𑄟 𑄛𑄳𑄢𑄧𑄉𑄴𑄉 𑄖𑄛𑄧𑄥𑄴

কানাডার সর্বচ্চো বিচারালয় দেখতে গিয়েছিলাম আজকে দেশের রাজধানীতে । সেই এক অনুভূতি নিয়ে ঘরে ফিরলাম। কাজের জন্য দুতাবাসে গেছিলাম। ঘরে ঢুকতেই এক ছোট বোনের বার্তায় জানলাম , আমার অন্যতম সহযোদ্ধার ( ইনজেব দা) দুঃখজনক খবর। বড় ক্ষতি হয়ে গেল তার যা আর ফিরে পাওয়ার নয়! বাস্তবতা মেনে নিতে হবে সবাইকে। আমরা সবাই এই পথের পথিক। দূঃখ!

সবকিছু পেছনে ফেলে রেখে শুরু হোক অবিরাম পথচলা - Pragati Khisa (14 ফেব্রুয়ারি, 8:10 AM-এ ·)

সকল অানন্দোজ্জ্বল সৃষ্টি বিলয়ধর্মী
তাই অপ্রমত্ত হও।
ওঠো, জাগো।
তোমার মনের অন্ধ বিবরে জ্বেলে রাখা
কামনা চেরাগ নিভে দাও

প্রজ্জ্বলিত করো প্রজ্ঞার দীপাবলি।
মানব জাতির কাছে এটাই তথাগত শাস্তার অন্তিম শিক্ষা।

অতএব, অামাদের কাছে কারোর জীবনপাতে কোন অশ্রুপাত নেই। তবুও মাঝে মধ্যে এমন কারো কারো মৃত্যু ঘটে তাতে শুধু অশ্রুপাত নয়, তার প্রজন্মের হৃদয়াকাশে ঘটে যায় বিনামেঘে বজ্রপাত।চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কর্ণধার স্নেহভাজন শ্রী ইনজেব চাকমা চারু'র সহধর্মীনি পাহাড়ীকা চাকমার অকাল জীবনপাত তারই প্রোজ্জ্বল উপমা।
স্নেহভাজন ইনজেব চাকমা'কে অামরা যখন বলি-বিশ্বজুড়ে চলছে মিছিল, অালোর মিছিল, স্বজাতির ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অাবাহন সৃষ্টির মিছিল, চলছে অধিকার অাদায়ের বজ্রকন্ঠে চিৎকার, কেওক্রাডং হতে অঝলচুগ পর্যন্ত যে মূহুর্তে চলছে অঝাপাতের মিছিল, অামরা যখন বলি এগিয়ে যাও ইনজেব ভাইয়া অারো সম্মূখে এমনতর সময়ে তার প্রাণ শক্তির মূলস্রোতধারা নিভে যাওয়া সত্যিই বেদনার। তবুও অাশায় বুক বাঁধি এই বলে যে, প্রিয় ইনজেবকে যে কিনা অপ্রমত্ত ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ে তিলে তিলে ইমারতের মতো করে গড়ে তুলেছে তার পবিত্র মরদেহের পুষ্পিত কফিন অামাদের কাছে একদীপ্ত প্রত্যয়ের অঙ্গীকার। তার সমস্ত কফিন ভরে ওঠুক ফুলে ফুলে অার চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পতাকার চাদরে মোড়ানো হয়ে ওঠুক পূরোটা কফিন।
মানুষ জানুক, দেখুক অার অনুধাবণ করুক একজন সহধর্মীনি স্বামীকে কতটা যোগাতে পারে প্রাণশক্তি?
সুপ্রিয় ইনজেব মনের অপূর্ণ অাকাংখার দহন বুকে জ্বেলে রেখে অারো এগিয়ে যাও সম্মূখে। থেমে যাওয়া নয়, সবকিছু পেছনে ফেলে রেখে শুরু হোক অবিরাম পথচলা। পরপারে তুমি ভালো থেকো অনেক অনেক বেশি।
১৪-০২-২০২০

ইনজেব দার কাছে ফাগুনের চিঠি:Pragya Alo Taluckder 14 ফেব্রুয়ারি, 9:28 AM-এ ·

ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনদের একটু স্পেশালভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়। এই দিনটি হয়তো হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝে একদিনের জন্য হলেও প্রিয়জনদের নিয়ে চিন্তা করার একটি দিন। কিন্তুু সে দিনটি যদি হয় প্রিয়জন হারানোর একটি দিন তখন সেটা কেমন বেদনার তা আমার প্রকাশ করার কোন ভাষা নেই!
ইনজেব দা আপনাকে কতদিন ধরে চিনি তা হয়তো কম কিন্তু যতদিন ধরে চিনি তাতে আপনার প্রতি ভালোবাসাটা অনেক আর অনেক। আজকের এইদিনে আপনার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষটিকে হয়তো চিনিনা এখনো কিন্তু আপনার চির বৈশিষ্টের গুণে আমি জানি উনি কেমন হবেন। আর উনার প্রতি আপনার ভালোবাসাটাও।
আপনার কষ্টের ভাগ হয়তো নেওয়া যাবেনা। অন্যদিকে আপনার এখানে এসে আপনার প্রতি আমার ভালোবাসা প্রকাশের যে সুযোগ সেটাতেও আমি অংশগ্রহণে ব্যর্থ! তাই এখান থেকেই আমার সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারলামনা। তার জন্য আমি খুবই দুঃখিত।
আপনি জানেন পৃথিবীর কোন কিছুই স্থায়ী নয়।কি ফুল কি পশু কি মানুষ! আমরা এই পৃথিবীতে শুধু নিজের কর্মের দ্বারাই নিজেদের চালিত রাখি। আর এটি এমন যে তার জন্য কাউকে ধরেও রাখতে পারিনা কিংবা সঙ্গেও নিতে পারিনা! আমরা ক্ষণিকের জন্য এই পৃথিবীতে এসে দুঃখের সাথে যুদ্ধ করতে থাকি। অনেকেই ভুলে যাই আমার কি করা উচিত! আর বাস্তবতাকে আমরা মেনে নিতে পারিনা, এখানেই আমাদের পরাজয়। শুধু আশার কথা হলো আমরা কিছুদিন পরে হলেও সেই করুণ কালো অধ্যায়কে ছুঁড়ে ফেলে দিতে সক্ষম হই। আর নতুন করে স্বপ্ন বানতে পারি আপন গতিতে।
আমি জানে আপনার স্বপ্ন কি। আর এও জানি আপনার স্বপ্নের সাথে আমাকেও গেঁথে ফেলেছেন। কারণ এই স্বপ্ন যে শুধু একজনের নয়! পৃথিবীর প্রতিটি শোষিত জাতির এমন স্বপ্ন থাকে যা হয়তো প্রায় ঘুমন্ত। আপনি আমাদের মাঝে সে ঘুমন্ত স্বপ্নকে জাগিয়ে তুলেছেন। হ্যাঁ, তাই আজ আমরা আমাদের মাতৃভাষায় লেখালিখি করতে জানি। এটা আমাদের অন্য কারোর সাথে যুদ্ধ নয়! যুদ্ধটা বরং আমাদের নিজেদের সাথেই। তাই আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি ধরে রাখার এই যুদ্ধে আবারো আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে পাবো এই প্রত্যাশা রাখি।
পরিশেষে ভাবির আত্মার সৎগতি কামনা রইল। ভালো থাকুন আপনি, ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল প্রাণী।
★★ সাধু সাধু সাধু ★★

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

তোমার মত বড়ভাই পেয়ে সত্যি অনেক অনেক গর্বিত আমি- সোহেল চাঙমা

পৃথিবীতে খুবই কম মানুষ আছে যারা সমাজের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু যারা সমাজের জন্য কাজ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে তাদের নামও মানুষের হৃদয়ে শতাব্দী থেকে শতাব্দী পরও থেকে যায়।
দাদা,তুমিও নিজের পরিবারে অনেক কিছু অভাব থাকলেও সমাজকে কোনোদিন সেই অভাবে থাকতে দাওনি।সেই ছোটকাল থেকে দেখে আসছি কিভাবে সমাজের জন্য কাজ করে চলতেছ।জুম্মদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য একদিনতো নিজের জীবনকেও বিলিয়ে দিতে বসেছিলে।হয়ত ভগবানের অশেষ কৃপায় সেই মৃত্যুর দরজা থেকে রক্ষা পেয়েছিল।কিন্তু মৃত্যুর দরজার থেকেও বেঁচে গিয়েও অনেক বছর পরিবারকে ছেড়ে থাকতে হয়েছিল অনেক কষ্টে। এখনো তুমি বসে নেই।নিজের জুম্ম জাতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলতেছ।
তোমার একটা দিন যায়নি মনে হয় পরিবারের যেকোনো সদস্য থেকে বকা না খেয়ে।বিশেষ করে মা। মা'তো প্রতিনিয়ত বলত যে(পোবু ভালেদ ন অব আার,পর বালেত্তি)এই পুত্র টা জীবনে উন্নতি করতে পারবেনা শুধু অন্যর জন্যে।আরও বলত মানুষের কাজ করে কি লাভ এদিকে নাতনিগুলো ভালোভাবে পড়তে পারছেনা।আরও অনেক কিছু।কিন্তু এটাও সত্যি যে,এই পৃথিবীতে খুবই কম মা-বাবা আছে যারা চায় নিজের ছেলে-মেয়েরা সমাজের জন্য কাজ করুক,সংগ্রামী হোক, বিপ্লব করুক।
এটা কোনোদিন আশা করিনি তোমার জীবনে এরকম অবস্হা পরতে হবে।আাজকে ভাবী(বুজি) যে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে এটা কিন্তু পরিবারের যেকোনো সদস্য থেকে তোমাকে বেশি প্রিয়জন হারনোর আগুনে জ্বলতে হবে।কিছুওতো করার ছিলনা।আসলে জীবনে চলতে গেলে সব কিছু স্বাদ গ্রহন করতে হয়।প্রিয়জন পাওয়ার আনন্দ,হারানো শোক সবকিছু।এগুলা সারা আসলে জীবন অপূর্ণ মনে হয়।তবুও এই হারানোতা কিন্তু ব্যাতিক্রম।
কিন্তু ভাবীও(বুজি) তো তোমাকে অনেক সাহাযা করেছে তোমার এই সমাজকে সাহায্য করার ব্যাপারে। আামার মনে হয় কোনোদিন তোমার এই কাজে বাধা সৃষ্টি করেনি।তুমি সাংসারিক কাজে উদাসীন হলেও ভাবী(বুজি)তোমার যে একটা মেয়ে আর একটা ছেলে তাদেরকে কোনোদিন অভাবে থাকতে দেয়নি।টাকা না থাকলে অন্যর কাছে দৈনিক কাজ করে পরিবারের খরচ,ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা খরচ জুগিয়েছে।এগুলো কি কম!


ভবিষ্যৎ অনেক অন্ধকার। জোনাকি রাও আলো দেখাচ্ছেনা আমাদের।তবুও আমরা চলেছি গুতিকয়েক মানুষের অবদান নিয়ে।যাদের অবদানে আজকে আমি নিজেকে জুম্ম বলে পরিচয় দিতে পারতেছি সারা পৃথিবীর মধ্যে।
আমি মনে করি তুমিও শোক ভুলে আরও বেশি সমাজের জন্য কাজ করে যেতে পারবা।
সবকিছু অন্ধকার হলেও একদিন এই অন্ধকার থেকে আলো ছিনিয়ে আানতে হবে।ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পৃথিবীতে টিকে থাকার মত আলো জুগিয়ে যেতে হবে।
যেহেতু আমাদের মা-বাবা চাকরি করেনা তাই একটু অভাব দিয়ে বড় হয়েছি।জীবনের সবকিছু অভাব পেয়েছি।কিন্তু একটা জিনিষের অভাব মনে হয় কোনোদিন পায়নি,তা হচ্ছে বইয়ের অভাব।জীবনকে যখন থেকে বুঝতে পেরেছি, জীবনকে জানতে চেষ্টা করেছি।এই অভাবটা পেলে হয়ত আজকে আমিও এই জায়গায় আসতে পারতাম না।
ভাবী মরেও মরেনি সে বেঁচে থাকবে তোমার কাজের মাধ্যমে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তুৃমি যে অবদান রেখে যাচ্ছ একদিন সত্যি ভাবীকেও পাওয়া যাবে সেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্য।এই অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মনে রাখবে।
দিনশেষে,
তোমার মত বড়ভাই পেয়ে সত্যি অনেক অনেক গর্বিত আমি।





কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...