শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৭

একটি আকুল আবেদন

আমরা একঝাঁক শান্তিশ্বেত পায়রা। দীর্ঘদিন যাবৎ চাঙমা বর্ণমালা ও ভাষাকে বিকশিত করার জন্যের বিভিন্ন প্রত্যান্ত অঞ্চলে গিয়ে চাঙমা লেখা কোর্স পরিচালনা করে আসছি। এভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে অভিজ্ঞতা আলোকে দেখেছি আমাদের মা-বোন, বাপ-ভাইরা অত্যন্ত গরীব - প্রান্তিক। ২০ টাকা দামে বই কিনে সামর্থ্যটুকু অনেকের নেই।
আপনা নিশ্চয়ই জানেন, ভাষা জাতীয় স্বকীতার প্রতীক। আর বর্ণমালা হলো তার অন্যতম ধারক ও বাহক। কেননা বর্ণমালার মধ্যে দিয়ে জাতীয় বুদ্ধি ও চিন্তা- চেতনা বিকাশ ঘটে। চাকমাদের বর্ণমালা থাকার ও বাংলাদেশে দ্বিতীয় ভাষা হওয়ার সত্বেও সে প্রাণ প্রিয় চাঙমা বর্ণমালা ও ভাষা চর্চা না থাকার বা না শেখার ২০১৭ সালে মাননীয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পাঁচটির ভাষার প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব ভাষা বই হাতে পেয়েও আমরা পড়াতে পারছিনা। এটা অত্যান্ত লজ্জার বিষয়। বলাবাহুল্য, এক সময় নিজস্ব বর্ণমালার ব্যবহার গ্রামের বৈদ্যদের তালিকশাস্ত্র ছাড়া আর কোথাও লজ্জাজনক ভাবে অনুপস্থিত। তেমনি ইদানিং, চাঙমা বর্ণমালা শিক্ষা বই যেখানে সেখানে পাওয়ার সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত সুধী মহলে কাছে তার প্রভাব পরিলাক্ষিত দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে ইউনিরস্কো সর্তক করে দিচ্ছে যে, প্রতি চৌদ্দ দিনে একটি বিপন্ন ভাষা মৃত্যু বা বিলুপ্ত ঘটছে। ভাষা ব্যবহারীর সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের নিচে নেমে গেলেই ভাষা বিপন্ন হয়ে পড়ে বলে ভাষা গবেষকের মত। আবার সংখ্যাটি পঞ্চাশ হাজারের উপরে হলেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে যদি শিশু - কিশোরের সংখ্যা আনুপাতিক ভাবে কম হয়, সে ভাষা বাচিঁয়ে রাখার দুরূহ হয়ে পড়ে।
মর্মাহত হলেও সত্য যে, মাত্র একশ বছরে আগে বাংলাদেশের ভাষার সংখ্যা ছিল বায়ান্ন। একশ বছরে বিলুপ্ত হয়েছে দশটি ভাষা। বর্তমানে বাংলা বাদে যে একচল্লিশটি ভাষা টিকে আছে অত্যান্ত ধুঁকে ধঁকে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী একুশ’শ সালের মধ্যে চাঙমা ভাষা বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যান্ত বেশী।
তাই এমন এক স্বন্ধিক্ষণে আমরা তিন পার্বত্য জেলাতে কমপক্ষে বিশ হাজার স্কুলের প্রাণ প্রিয় ভবিষ্যৎ জাতির কর্ণধারকে আগামী ১লা জানুয়ারী ২০১৮ইং ‘‘সাঙু’’ নামে চাঙমা লেখা শিক্ষা বইটি বিনামূল্যে হাতে তুলে দিতে সকল পেশা, সকল শ্রেণীর কাছে দু’হাত পেতে Sponsor চাচ্ছি। আপনাদের ১০টাকা ভবিষ্যৎ একটি জাতির ভাষা পৃথিবীর বুকে চির প্রতিষ্ঠিত হবেই – হবে।
[বিদ্র: যে ৫০টি বই প্রকাশে খরচ দিবে তাঁদের নাম(পরিচিতি) বইটিতে প্রকাশ করা হবে। আর ০৮টাকা হতে যত টাকা দেওয়ার আগ্রহ থাকে দিতে পারবেন। এককপি বইয়ের খরচ পড়বে ৮ টাকা।বইটি কভারসহ ৩০পৃষ্ঠা। যে ব্যক্তি বাংলা পড়তে জানে সে সহজে এই বইটির মাধ্যমে চাঙমা লেখা আয়ত্ত্ব করতে পারবে।বানান রীতিসহকারে দেওয়া হয়েছে।]
বিকাশ নং- ০১৯১-৬৯৯৩২২, ইনজেব চাঙমা; ০১৮২-৮৮২৪৯৩৯ – শ্রেয়সী চাঙমা।
“সাঙু” প্রকাশন কমিটি – ২০১৭ইং
সাঙু - ২০১৭
প্রকাশনা পরিষদ
১। কেভি দেবাশীষ চাঙমা - জধানানু (বোয়াল খালী, মিঙিনিকুল)
২। ইনজেব চাঙমা - এজাল জধানানু(বোয়াল খালী, মিঙিনিকুল)
৩। রিকন চাঙমা- এজাল জধানানু(দিঘীনালা, মিঙিনিকুল)
৪। বিকেন চাঙমা - দাঙর কাবিদ্যাঙ(মেরুং, মিঙিনিকুল)
৫। রিটন চাঙমা - এজাল কাবিদ্যাঙ(মালছড়ি, চেঙেকুল)
৬। শ্রেয়সী চাঙমা - এজাল কাবিদ্যাঙ(বাবুছড়া, মিঙিনিকল)
৭। এলিয়েন্স চাঙমা- ফগদাঙি কাবিদ্যাঙ(বোয়ালখালী, মিঙিনিকুল)
৮। সুমঙ্গল চাঙমা - এজাল ফগদাঙি কাবিদ্যাঙ(পানছড়ি, চেঙেকুল)
৭। এনিকা চাঙমা - সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
৮। ধর্ম বিকাশ চাঙমা - সাবাঙ্গী(সাজেক, কাজালংকুল)
৯। ম্যাকলিন চাঙমা - সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
১০। রিয়া চাঙমা- সাবাঙ্গী,(কবাখালী, মিঙিনিকুল)
১১। জুঁই চাঙমা - সাবাঙ্গী(দিঘীনালা, মিঙিনিকুল)
১২। সুমন চাঙমা - সাবাঙ্গী (লক্ষীছড়ি, ধুরুংকুল)
১৩। শ্যামল চাঙমা - সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
১৪। সোনা মণি চাঙমা - সাবাঙ্গী(বাবুছড়া, মিঙিনিকুল)
১৫। সুফল চাঙমা - সাবাঙ্গী(করল্যাছড়ি, মিঙিনিকুল)
১৬। জেকি চাঙমা - সাবাঙ্গী(দিঘীনালা, মিঙিনিকুল)
১৭। প্রত্যাশা চাঙমা - সাবাঙ্গী(দিঘীনালা, মিঙিনিকুল)
১৮। বিশ্বজিৎ চাঙমা - সাবাঙ্গী(কবাখালী, মিঙিনিকুল)
১৯। মানব চাঙমা - সাবাঙ্গী(মারিশ্যা, কাজালংকুল)
২০। প্রিয়সী চাঙমা - সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
২১। লাকি চাঙমা - সাবাঙ্গী(বোয়াল খালী, মিঙিনিকুল)
২২। পরেশ চাঙমা- সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
২৩। সুস্মিতা চাঙমা - সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
২৪। নভেল চাঙমা - (কবাখলী, মিঙিনিকুল)
২৫। অপ্রমিয় চাঙমা- সাবাঙ্গী (বোয়ালখালী , মিঙিনিকুল)
২৬। সুবল চাঙমা- সাবাঙ্গী (দিঘীনালা , মিঙিনিকুল)
২৭। বিনা চাঙমা- সাবাঙ্গী (দিঘীনালা , মিঙিনিকুল)
২৮। পরমিকা- সাবাঙ্গী (দিঘীনালা , মিঙিনিকুল)
২৯। জোসিনা চাঙমা- সাবাঙ্গী (দিঘীনালা , মিঙিনিকুল)
৩০। সুমত্রি চাঙমা –সাবাঙ্গী (মেরুং, মিঙিনিকুল)
৩১। সুনীল বিকাশ চাঙমা -(মেরুং, মিঙিনিকুল)
সাঙু পাঠাগার আ চাঙমা সাহিত্য বা
উপদেষ্টা পরিষদ আগামী ২/১ দিন পর প্রকাশ প্রকাশ করা হবে।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...