শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

পিসিপি’র কর্মী ও সমর্থকদের নামে ছাত্রলীগ কর্তৃক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে পিসিপি


February 17, 2018
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে খেলার দু-পক্ষের মারামারিতে সুপায়ন চাকমা আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ সন্ধ্যায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করে। উল্লেখ্য যে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার নগ্ন উদ্দেশ্যে তারা উক্ত কর্মসূচী পালন করেছিল যা তাদের কার্যক্রমে প্রতিফলিত হয়েছে।
জানা গেছে, সেদিন ক্রিকেট খেলায় রান চুরির পর জয়-পরাজয় নির্ধারণ করার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হলে সুপায়ন চাকমা আহত হয়। বস্তুত: সেই ঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কোন সদস্য জড়িত ছিল না এবং খেলায়ও অংশগ্রহণ করেনি। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের যে বক্তব্য তা মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়। রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত মারামারির ঘটনার সাথে কেবল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পিসিপিকে জড়িয়ে ক্ষান্ত থাকেনি, তারা এ ঘটনার প্রতিবাদের নামে ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করে। সাধারণ পথচারী, সাংবাদিক ও পুলিশের উপরও ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা হামলা করে আহত করে।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে পিসিপি’র কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে হেয় এবং হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার জন্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানাচ্ছে।
খেলোয়াড়দের ঘটনাকে রাজনৈতিক মাঠে নিয়ে হীন উদ্দেশ্য সাধন করার ছাত্রলীগের এই ন্যাক্কারজনক ষড়যন্ত্র কখনো শুভ ফল বয়ে আনবে না। হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা না হলে তার জন্য উদ্ভূত যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য ছাত্রলীগই দায়ি থাকবে বলে পাহাড়ি ছাত্র সুস্পষ্টভাবে বলতে চায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি, তারিখ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।। নিতীষ চাকমা, তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, রাঙ্গামাটি জেলা শাখা

মারমা দুই বোনকে ধর্ষণ ও নিপীড়ন করেছে কারা?



১. জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান
২. বিলাইছড়ির ১০ আনসার ব্যাটালিয়নের জোন কমান্ডার আফজল হোসেন
৩. রাঙামাটি জেলার আনসার কমান্ডার আব্দুল আউয়াল
তিনজনের বক্তব্য মিলিয়ে দেখুন। আসল সত্যটা জানতে পারবেন। সেনাবাহিনী যে কিছু ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে সেটা পরিষ্কার!
মারমা কিশোরী ধর্ষণের শিকার ঘটনার #চারদিন_অতিবাহিত_হওয়ার_পর_সেনাবাহিনী_পক্ষ_থেকে_বলা_হচ্ছে!
( পত্রিকায় প্রকাশিত খবর)
ঘটনার ওই রাতেই -
#আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে!
#আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে ব্যাটালিয়ন সদরে ক্লোজড করা হয়েছে!
তাহলে আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে আটক, ব্যাটালিয়ন সদরে ক্লোজড করার কথা তারা গোপন রেখেছিল কেন?
#গিয়াস উদ্দিনকে আটক, ব্যাটালিয়ন সদরে ক্লোজড করা হয়েছে এটার সত্যটা কি?
#আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে কেন পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়নি?
#আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনের বিচার কি তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে হবে না?
গিয়াস উদ্দিন আটক বা ব্যাটালিয়ন সদরে ক্লোজড -এর ঘটনা সব সাজানো নাটক হলেও এ প্রশ্ন আসতেই পারে।

#ঘটনা: -
গত ২২ জানুয়ারি ২০১৮ দিবাগত রাত আনুমানিক ২:৩০ টায় রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ওড়াছড়ি গ্রামে এক মারমা কিশোরী (১৭) ফারুয়া সেনা ক্যাম্পের সেনাসদস্য কর্তৃক নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার এবং তার আরেক ছোট বোন (১৫) শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়।

#সেনা_সন্ত্রাস!
> ২২ জানুয়ারি ২০১৮ দিনের বেলায় ফারুয়া ক্যাম্পের একদল সেনা ওড়াছড়িতে ভিকটিমের বাবার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন এবং কেউ এসে জানতে চাইলে ‘ধর্ষিত হয়েছে’ বলে কেউ যাতে না বলে তা নির্দেশ দিয়ে আসেন। বললে #মেরে_ফেলা_হবে_বলে_হুমকি_দেন। তবে ‘শুধু একটু গায়ে ধরে টানাটানি করা হয়েছে’ বলতে বলা হয়!
> ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ রাংগামাটি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল ওড়াছড়িতে গিয়ে ভিকটিমের মা বাবার ও এলাকার মুরুব্বিদের সাথে কথা বলেন এবং ভিডিও করেন বলে জানা যায়। এ সময়ে ভিকটিমের মা বাবা সেনাবাহিনীর শিখিয়ে দেয়া কথাগুলো বলতে বাধ্য হন।
> ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ রাত ১১.০০ টায় আবার ভিকটিমের বাবার বাড়িতে সেনাবাহিনী যায়। তবে সেখানে গিয়ে কি বলেছে সেটা জানা না গেলেও কি বলতে পারে সেটা অনুমান করা যায়। ভিকটিমদের রাঙ্গামাটি হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করতে ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ সারাদিন গাছকাবাছড়া ক্যাম্পের চেকপোস্টে সেনা সদস্যরা তল্লাসী চালিয়ে যাত্রীবাহী বোট ও নৌকায় কোন মারমা লোকজন আছে কিনা খুঁজতে থাকে!
> ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ দুপুর ১২:০০ টার দিকে ভিকটিমকে রাঙ্গামাটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর স্থানীয় প্রশাসন ও প্রশাসনের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়। সন্ধ্যার পর থেকেই একদল পুলিশ এসে ভিকটিমদেরকে সার্বক্ষণিক প্রহরায় রাখে। এরপর রাত ৮:০০ টার দিকে দুইজন পুরুষ পুলিশ এসে দুই ভিকটিমকে হাসপাতালের অফিস কক্ষে নিয়ে যায়। প্রায় একঘন্টা ধরে উক্ত দুইজন পুলিশ ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেসময় উক্ত কক্ষে কোন নার্স বা চিকিৎসক কিংরা মহিলা পুলিশ রাখা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই টিভটিমকে হাসপাতালের বেডে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশকে না জানিয়ে ভিকটিমের জন্য কোন খাবার বা ঔষধ অন্য কাউকে দিয়ে নিয়ে না আসার জন্য নার্সদেরকে পুলিশ নির্দেশ দেয়!
>> ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ভোরে একদল সেনা সদস্য ভিকটিমদের বাড়িতে গিয়ে তাদের মাতা-পিতা, স্থানীয় এক হেডম্যান ও এক কার্বারীকে দীঘলছড়ি সেনা জোনে নিয়ে যায়। পরে হেডম্যান ও কার্বারীকে ছেড়ে দিলেও ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের মা-বাবাকে জোর করে এনে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রাম চরণ মারমা ওরফে রাসেল মারমাকে দিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রেস ক্লাবে #গত ২৪_জানুয়ারি_২০১৮ সকালে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ছোট ভাই জানান( মারমা ভাষায়) - সেই রাতে তাদের বাড়িতে যারা ঢুকেছিল তারা-
১. সেনাবাহিনীর পোশাক পড়া ছিল
২. কথা বলতে চাইলে মাথায় বন্দুকের নল তাক করে
=============================
#আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিলাইছড়ির ওড়াছড়ি গ্রামের একটি বাড়িতে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল তল্লাশি চালাচ্ছিল। এ সময় পাশের আরেকটি বাড়ি থেকে একটি চিৎকারের শব্দ শুনে সেনা সদস্যরা সেখানে যান এবং একজন আনসার সদস্যকে দেখতে পান। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই আনসার সদস্যকে স্থানীয় আনসার কমান্ডারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।’
#বিলাইছড়ির ১০ আনসার ব্যাটালিয়নের জোন কমান্ডার আফজল হোসেন বলেন, ‘অপরাধীদের ধরতে ২০ জনের একটি টহল দল সন্দেহজনক বাড়িগুলোয় অভিযান চালাচ্ছিল। টহল দলে ছিলেন সেনাবাহিনীর ১৪ জন ও আনসারের ৬ জন সদস্য। অভিযানের অংশ হিসেবে সেদিন একটি বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছিল। একজন আনসার সদস্য বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়লে পোশাক পরা দেখে একটি মেয়ে চিৎকার করে ওঠে। সেখানে আর কিছুই হয়নি, হওয়ার সুযোগও ছিল না। আমরা পাহাড়ের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত। কিছু লোক আছে যারা পাহাড়কে অশান্ত করতে এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
# বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেলার আনসার কমান্ডার আব্দুল আউয়াল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তল্লাশি অভিযানের সময় একটি মেয়ের চিৎকারে শুনে সবাই সেখানে যায়। কিন্তু সন্দেহজনক কিছুই পায়নি। এরপরও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে ব্যাটালিয়ন সদরে ক্লোজড করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে সেখানে আদৌও কিছু ঘটেছিল কিনা।’


বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪:২৩, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮ |সর্বশেষ আপডেট: ০৮:২৭, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮

রাঙামাটি সদর হাসপাতালরাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ওড়াছড়ি গ্রামে মারমা পরিবারের এক বোনকে ধর্ষণ ও আরেক বোনকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা এক আনসার সদস্যকে আটক করে তার ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে ক্লোজড করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  ২২ জানুয়ারি গভীর রাতে বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ওড়াছড়ি গ্রামে সেনাবাহিনী ও আনসারের সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় এক মারমা পরিবারের বড় বোনকে (১৮) ধর্ষণ এবং ছোট বোনকে (১৩) যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার দুই বোনকে ২৩ জানুয়ারি রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুই কিশোরীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়, রানি য়েন য়েন, রাঙামাটির এমপি ঊষাতন তালুকদার ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
এরপর চাকমা রাজা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “গতকাল (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটির সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম ধর্ষণ ও যৌন হামলার শিকার দুই বোনকে দেখতে ও তাদের সঙ্গে কথা বলতে। ঘটনায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলাটা সম্ভব হলো ‘নিরাপত্তা’ বাহিনীর বিশেষ পোশাকধারী ও ওয়াকি-টকিওয়ালা এবং ওয়াকি-টকিবিহীন বিশেষ পোশাকবিহীন ব্যক্তিদের বিরোধিতার মুখে। প্রথম বাধা ছিল দর্শনার্থী সংখ্যা নিয়ে। আমার সঙ্গে ছিলেন প্রফেসর বাঞ্চিতা,রানি য়েন য়েন। দ্বিতীয় বাধা ছিল ভাষা। তৃতীয় বাধা ছিল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি আছে কিনা। আমি বললাম, চাকমা সার্কেলের প্রধান হিসেবে অবশ্যই আমার অধিকার আছে আমার সার্কেলের অধিবাসীর খোঁজ-খবর নেওয়ার। আর মানিবাধিকারের বিষয়ে প্রফেসর বাঞ্চিতার রয়েছে দেশের যেকোনও নাগরিকের মানবাধিকার বিষয়ে তদারকি করার। পালটা প্রশ্ন করলাম যে আমাদের দেখা করার ও কথা বলার বিপক্ষে কি কোনও আইন-আদেশ আছে কিনা? উত্তপ্ত ব্যক্তি পরামর্শ দিলেন, এসপি বা ওসি সাহেবের অনুমতি নিতে। আমিও উত্তপ্তভাবে বললাম, তাদের আপত্তি থাকলে যেন তারাই আমাকে কথাটি জানায়।  গরজ তাদের, আমাদের নয়। দুই বোনের মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা যে আতঙ্কগ্রস্ত, তা স্পষ্ট। ভাগ্যিস রানি য়েন য়েন মারমা ভাষাভাষী। এতে অন্তত জড়তা পুরোপুরি দূরীভূত না হলেও তারা কিছুটা মাত্রায় হলেও স্বস্তিবোধ করছিলেন।’

খাগড়াছড়িতে নব্য মুখোশ বাহিনী সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবারো এক ইউপিডিএফ কর্মী খুন

শনিবার, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮, আপডেট: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার হরিণাথ পাড়ায় সেনা সৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবারো এক ইউপিডিএফ কর্মী খুন হয়েছেন। আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউপিডিএফ কর্মীর নাম দীলিপ কুমার চাকমা ওরফে বিনয় (৪২)। তিনি পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের পুজগাঙের মুনিপুর (লেন্দিয়া পাড়া) গ্রামের সন্তোষ কুমার চাকমার ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নব্য মুখোশ বাহিনীর ৯ জনের একটি সশস্ত্র দল ইউপিডিএফ’র স্থানীয় কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় প্রাণ রক্ষার জন্য দৌঁড়ে পালানোর সময় পেছন থেকে সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার করলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দিলীপ কুমার চাকমা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ জানুয়ারি নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ইউপিডএফ সংগঠক মিঠুন চাকমাকে বাড়ির গেইট থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে এবং ২৬ জানুয়ারি শান্তিময় চাকমা নামে অপর এক ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।

রাঙামাটির এসপি ভিক্টিমদের নাম ও ছবি প্রকাশ

রাঙমাত্যা পুলিশ সুপার।
Dipo Chakma
রাঙামাটির এসপি ভিক্টিমদের নাম ও ছবি প্রকাশ করে আজ নিজের চরিত্র উম্মোচন করেছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা রাঙামাটির পুলিশের প্রধান হিসেবে তার ন্যূনতম দায়িত্বজ্ঞান ও বিবেকবান নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন আমরা তাই তুলছি। এসব মানুষ রাষ্ট্রের বড় দায়িত্বগুলোতে বসে থাকেন বলে দেশের আজ এই অবস্থা।
আর প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণঃ
আপনারা জানেন, গতকাল রাঙামাটি হাসপাতালে মারমা বোনদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং রাণী ইয়েন ইয়েন সহ বাকিদের মারধর করা হয়েছে। এর আগে হাসপাতালের সমস্ত লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়, শুধুমাত্র মহিলা ওয়ার্ড ছাড়া যেখানে ভিক্টিমদের সাথে অবস্থান করছিলেন রাণী ও ভলান্টিয়াররা।
লাইট অফ করে ১০-১২ জন মহিলা (মুখে কাপড় পেঁচানো) আর সাথে ৬-৭ জন পুরুষ ওয়ার্ডে প্রবেশ করে। এদের সকলের নেতৃত্বে ছিল রমেল চাকমার হত্যাকারী মেজর তানভীর। এসেই তারা ভলান্টিয়ারদের অন্য রুমে আটকে রাখে। রাণীর সাথে তখন ছিল মাত্র একজন ভলান্টিয়ার যে সেখান থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এরপর তারা সমন্বিতভাবে রাণী ও অন্য একজন ভলান্টিয়ারের উপর আক্রমণ করে। দুইজনকেই মাটিতে ফেলে পেটানো হয়। রাণীর মাথায় কিল-ঘুষি দিয়ে আঘাত করা হয় অনেকবার। লাথি মারা হয়েছে বেশ কয়েকটি। এরপর তাদের মারতে মারতে হাসপাতালের দোতলা থেকে নিচতলায় নিয়ে আসা হয়। ভলান্টিয়ার মেয়েটিকে সামনের দরজায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাণীকে পিছনের দরজার দিকে। নিয়ে যাওয়ার সময় রাণী ও অন্য ভলান্টিয়ারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল তারা বারবার।
ওয়ার্ডের মধ্যে রাণীর ফোন ছিনতাই করার চেষ্টাও চলে। আর মেয়ে ভলান্টিয়ারটি সে ফোনটি নিয়ে ধস্তাধস্তি করে আর্মি-পুলিশের সাথে। ফলে তাকে সবচেয়ে বেশি মারধর করা হয়।
মেয়ে ভলান্টিয়ারকে ভিক্টিমদের সাথে গাড়িতে তুলে নেয়ার প্রথমে চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে সে সিদ্ধান্ত বাতিল করে তারা। এ সুযোগে মেয়েটি সেখান থেকে পালিয়ে দোতলায় একটি স্টোররুমে নিয়ে আটকে রেখে নিজেকে রক্ষা করে। পরবর্তীতে জানা গেছে যে, মেয়েটিকে খুঁজতে পুলিশ আর রাত ১১টার দিকে আর্মির একটি দল হাসপাতালে গিয়েছিল। তবে এর আগে মেয়েটি সেখান থেকে সরে পড়ে।
আর রাণীকে যখন পিছনের দরজা দিয়ে ঠেলে দেয়া হয় তখন অন্ধকারের সুযোগে তিনি দেয়াল টপকে হাসপাতালের পিছনের লেকের পাড়ে আশ্রয় নেন। আশ্রয় নেয়ার আগে তিনি হাসপাতালের মেইন গেইটের দিকে এগিয়ে যান এবং হাসপাতালের কম্পাউন্ডে সিলভার কালারের একটি মাইক্রোবাস (যেখানে করে মেয়েদের নেয়া হয়েছিল) এবং সে গাড়ির আগে পিছে আর্মির ভ্যান দেখতে পেয়েছিলেন। কাউকে তখন হাসপাতাল এরিয়ায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না তাই হাসপাতাল ছিল একেবারে খাঁ খাঁ। এরপর রাণী নিজেকে রক্ষার
সেখানে তিনি অনেকগুলো লাইট দেখতে পেয়েছিলেন। প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট পরে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন এবং সিএনজি দিয়ে রাজবাড়িতে চলে যান।
সর্বশেষঃ এসপির আপলোড দেয়া ছবিতে বাড়ির যে ঠিকানা দেয়া হয়েছে সেখানে আর মেয়েগুলো নেই। আর আমরা তাদের দেখবো কিনা জানি না, তবে একটি বিচারের বাণী এভাবে নিভৃতে হারিয়ে গেল। দেখিয়ে দিয়ে গেল, পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোর জন্য রাষ্ট্রের আইন ইচ্ছে মতো পরিবর্তন করা যায়, নিজেদের সুবিধা মতো ব্যবহার করা যায়। আর এই অন্যায়টি ধামাচাপা দেয়া হল আরেকটি অন্যায়ের হোতা রমেল চাকমার হত্যাকারী মেজর তানভীরের মাধ্যমে।
এই রাষ্ট্রকে ঘৃণা ছাড়া আমাদের আর দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রাণী য়েন য়েন ও ভলান্টিয়ারদের হামলার প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


।।বিনয় চাকমা।। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং
গত বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চাকমা সার্কেলের রাণী য়েন য়েন, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার দুই মারমা তরুণীদের এবং ভলান্টিয়ারদের উপর বর্বরোচিত হামলায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, হিমাওয়ান্তি, উইমেন্স রিসোর্স নেটওয়ার্ক, পার্বত্য চট্টগ্রাম হেডম্যান নেটওয়ার্ক, পার্বত্য চট্টগ্রাম কার্বারী নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতারা।
আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় শহরের রাজবাড়ীস্থ সাবারাং রেস্টুরেন্সটে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সের পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই ৬ সংগঠন ’নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে এ প্রেস কনফারেন্সে আয়োজন করে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টায় রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের বিলাইছড়িতে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার দুই মার্মা তরুণীর সাথে অবস্থানরত চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রাণী য়েন য়েন ও ভলান্টিয়ারদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। এতে রাণী সহ কয়েক জন ভলান্টিয়ার আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে এক নারী ভলান্টিয়ারকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ করেছেন নেতারা। নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা রহ্মাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঐদিন একই সময়ে দুই মারমা তরুনীকে তুলে নেয় হাসপাতাল থেকে।
এই ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবাহিনীকে দায়ি করে রাঙ্গামাটির ৬ সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রেস কনফারেন্সে অভিযোগ করা হয় হাইকোটের এক আদেশ মোতাবে গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টায় দিকে ইউনিফর্মধারী পুলিশ ও সদাপোশাকধারী নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ( পুরুষ ও নারী ) ভ’ক্তভোগীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদেরকে মা-বাবার হেফাজতে দেওয়ার কথা বলে হাসপাতাল থেকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার অযোগ করেছে নেতরা ।
৬ সংগঠনের নেতারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় ওয়ার্ডের পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের বিভিন্ন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন এবং এর সাথে আরো সাদা পোশাকধারী অনুমানিক ১০ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ ছিল । এদের মধ্যে নারীরা ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকা ও পুরুষেরা মাস্ক পরা অবস্থায় ছিল।
নেতারা আরো বলেন, প্রশাসনে এহেন জবরদস্তিমূলক আচারণে নাগরিক সমাজ মনে করে পার্বত্য চুক্তির অভিপ্রায়ের সাথেও সাংঘর্ষিক।
সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গামাটির ৬ সংগঠনের নেতারা ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন,
দাবীগুলো হলো—বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় স¦াধীন, নিরপেক্ষ ও যথাযথ ক্ষমতা সম্পূন্ন একটি তদন্ত কমিটি দ্রুত গঠন করা , হামলার ঘটনার জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার ও শাস্তির প্রদান করা, ভ’ক্তভোগী মার্মা দুই তরুণীর বর্তমান অবস্থান নিরুপন করে তার একটি সুস্পষ্ট প্রতিবেদন মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে প্রেরণ করা , দুই মার্মা তুরণী সহ পরিবারের নিরাপত্তা বিধান করা, চাকমা রাজপরিবার সহ সংশ্লিষ্ট সকল শুভাঙ্খীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত দাবি জানিয়েছেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনের পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ানে নেতৃন্দ্রেীদের ৬ সংগঠনে নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা মারমা তরুণীদের কোন হদিস মিলাতে পারছেনা এবং নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রহ্মাকারী বাহিনীর সদস্যরা কোথায় রেখেছে এ ব্যাপাওে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, দুই মারমা তরুণী সাবেক রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য তাদের পিতা-মাতার সঙ্গে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

রাঙামাটি হাসপাতাল থেকে দুই মারমা মেয়েকে নিয়ে গেছে সেনাবাহিনী, রাণী য়েন য়েন নিঁখোজ!


রাঙামাটি : বিলাইছড়িতে ধর্ষণ যৌন নিপীড়নের শিকার দুই মারমা মেয়েকে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮) রাত ৭টা ২৫মিনিটের দিকে রাঙামাটি সদর হাসপাতাল থেকে সেনাপুলিশবিজিবি’র যৌথ দল জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে। মেয়েদের সাথে থাকা রাণী য়েন য়েনকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে মেয়েদের দেখাশুনার কাজে নিয়োজিত এক নারী স্বেচ্ছাসেবক তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর দলের সদস্যরা প্রথমে মেয়েদের দেখাশুনার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের মারধর করে তাদের একটি রুমে আটকে ফেলে। পরে হাসপাতালের বাতি নিভিয়ে দিয়ে হাসপাতালে থাকা ধর্ষণ যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বোনকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
সময় মেয়েদের সাথে থাকা রাণী য়েন য়েনকেও সেনারা তুলে নিয়ে গেছে এবং তাঁকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। মেজর তানভীর ঘটনায় নেতৃত্ব দেন বলেও সূত্রটি জানায়।
তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  তা জানা যায়নি।

* পুলিশ বলপ্রয়োগ করে মেয়েদেরকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছে! কার্ Bidhayak Chakma.



চিত্রে থাকতে পারে: 3 জন ব্যক্তি, ব্যক্তিগণ দাঁড়িয়ে রয়েছেন
চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়,  ড. কামাল স্যার ও এডভোকেট নিকোলাস)।
Nicolas Chakma
রাঙামাটি র‍্যাপ কেইসটি খুবিই জটিল আকার ধারন করেছে। আজ আপ্রান চেষ্টা করেও শুনানি পয্যন্ত যাওয়া গেলনা।
মামলার Back ground হচ্ছে, ১ম ওল্ড ১৪ নং কোর্টএ ভিক্টিমের পক্ষে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ খুশী কবিরসহ দেশের ৬ জন বুদ্ধিজীবী কেন নিজ জিম্মায় যেতে দেওয়া হবেনা জানতে চেয়ে রিট দায়ের করলে, রাস্ট্রের পক্ষে ডিএজি স্পরশকাতর বিষয় তাই জানার জন্য ১ দিন সময় চেয়ে নেয়। যথা সময়ে মামলার দিনে আবার রাষ্ট্র ১ সপ্তাহের Stand Over নেয়। এরি মধ্যে ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত তারা চুপি চারে victim এর বাবার নামে একটা ওকালতনামা দিয়ে বাবার জিম্মায় যেতে দেওয়ার জন্য এনেক্স ২০ নং কোর্ট এ
রিট করে পুলিশ প্রটেকশনে বাবার জিম্মায় যাওয়ার জন্য কোর্ট থেকে ডাইরেকশন পেয়ে যায়। ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্র আমাদের গোচরে আসলে ১৪ নং কোর্টকে অবহিত করি কোর্ট আমাদের অভিযোগ আমলে নেয়নি। এবিষয়ে সিনিয়রের সাথে আলাপ করে বিষয়টি আজকে ২০ নং কোর্টকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়। একটা রিট পেইন্ডিং থাকা অবস্থায় এটা কিভাবে হয়। এবং ড.কামাল স্যার, রাজাবাবু ও রিটকারীরা উপস্থিত থাকবেন। কোর্ট চেম্বার জাজে যেতে পরামরশ দেয়। তাই দুই ঘন্টার মধ্যে CMP ফাইলিং করে চেম্বার জাজে যাওয়ার প্রক্রিয়া করতে করতে চেম্বার জাজ কোর্ট নেমে যান। এরপর জাজের খাস কামরায় নিয়ে যাওয়া হলে, দেখা যায় ঐ পক্ষ Cavet দিয়ে রেখেছে। তাই জাজ সাহেব এটরনি জেনারেলের উপস্থিতি ছাড়া শুনানি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দেন। ইতিমধ্যে বিকাল ৫টা এটরনি সাহেব চলে গেছেন। তাই কোর্ট আগামী রোববার মামলাটি টপ ওয়ানে রেখেছেন। আর উক্ত CMP নিষ্পত্তি না হওয়া পয্যন্ত ভিক্টিমকে যেন স্থানান্তর করা না হয় তার জন্য আপীলকারী উকিল Cartificate প্রদান করেছেন। যা হসপিটাল কতৃপক্ষ, এস পি, ডি সি কে অবগতি দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার চুড়ান্ত রেজাল্টের জন্য রবিবার পয্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সকল উদগ্রীব মানবতাবাদী মানুষদের জ্ঞাতার্থে পোষ্টি দিলাম।

* রাণী ইয়েন ইয়েনকে পুলিশ মেরেছে ও ধরে নিয়ে গেছে. কোথায় নিয়ে গেছে তা জানা যাচ্ছে না.
* ভলান্টিয়াকেও পুলিশ মেরেছে....
পুলিশ বলপ্রয়োগ করে মেয়েদের নিয়ে গেছে!...রানী, এক ভলান্টিয়ারকে শারিরীকভাবে নি‍র্যাতন করেছে, আহত!... এই মুহু‍র্তে হাসপাতালে আছে এমন একজনের মতে, রাণীকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা ট্র্যাস করে জানা যাচ্ছে না; তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! তবে মেয়েদের সাথে যে মারমা মেয়ে ভলান্টিয়ারকে ছিলো তাকে মেরেছে, কিন্তু এখন পাওয়া গেছে. সে-ই দেখেছে রাণীকে মারতে; তাদেরকে একসাথে মেরেছে. এখনো রাণীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না.
মেয়েদেরকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার সময় ভলান্টিয়াররা যারা নীচ তলায় ছিলো তাদেরকে বের করে দিয়েছে তারপর তালা মেরে দিয়েছে. আর উপড়ে যারা ছিলো তাদেরকে সেখানে আটকে রেখে উপড় ততেও তালা মেরে দিয়েছে.
রাণীও ভলান্টিয়ারকে মারধোর ও নিখোঁজের সংবাদটি প্রথমে এক আইনজীবী ফোনে জানিয়েছেন. 

মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

চাঙমা ভাচ ফাওন মিদে বোইয়েরে ছিদি পরোক কোণা-কুণিত




বাবুছড়া কলেজত চাঙমা লেঘার শেঘার সোনামণি চাঙমা
এচ্যে ইউনেসকোর ইজেবে গেলদে একশ বজরে ভচ্ যিয়ে এধক্যে ভাচ ২০০ আনত্তুনয়্য ভেচ। ইরুক যে ৬৯১২ আন ভাচ বাজি আঘে ইত্তুন ২০০০ আজার ভাচ ভচ যেব’। আ যে ভাচ্ছানি ভচ যেব সি-আনি অহ্লদে যারা নানাঙ তচ্যা পেরাশানিত দিন কাল তোরাদন।
ইত্তুন আমা জাত্তোয়্য ফারক নেই। ব্রিটিচ, পাকিসত্মান আ ইরম্নক বাংলাদেশ আমল এয নানাঙ তচ্যা পেরাশানিত হনসুকসুক্যে দিন মাধান তোরাদন।
বাবুছড়া কলেজ, ১২/০২/২০১৮
এধক্যে এক অক্তত ‘‘চাঙমা সাহিত্য বা’ কাম্মোউন যে যেঙরি পারে জু তোগেই তোগেই, দিন মাধান বুঝি বুঝি নানাঙ জাগাত চাঙমা লেঘা নিআলঝি গরি শেঘেই যাদন। চাঙমা ভাচ ফাওন মিদে বোইয়েরে ছিদি পরোক কোণা-কুণিত এই কধাআন বুগত বানি গেলদে ১২ ফেব্রম্নয়ারী ২০১৮ ইং চাঙমা সাহিত্য বা’ অতালিয়ে ধারাজে বাবু ছড়া কলেজত চাঙমা লেঘা শেঘার কামান আরকানি গরা অয়্যা। ইয়োত দাঙগু সোনা মণি চাঙমা (জধানানু, চাঙমা সাহিত্যা বা’ বাবুছড়া কলেজ ধেলা), চাঙমা লেঘা শেঘায়।

‘‘জাদর ভাচ, জাদর লেঘা শিঘানা সাত কাম’’- দাঙগু সুগত প্রিয় চাঙমা।


বাবুছড়া ফ্রেন্ডশিপ ইক্কুলত “সাঙু- ২০১৭” চাঙমা লেঘা বই ভাক গরি দেনা ছবি।
রামনিধি গুপ্ত কোইয়ে,
‘‘নানান দেশের নানান ভাষা।
বিনে স্বদেশী ভাষা,
পুরে কি আশা?
না, আশা পুরে না।’’
এচ্যে ফাওন আ ভাঝর মাচ। নানাঙ ফুল রঙে মিজি আঘে মা মেদেনি। সিক্যে গরি চাঙমা ভাচ্ছানরে ছিদি দিবাত্তে এগামনে এগাচিত্তে নিআলজি গরি নিগুচ নিগুচ কাম কাম গরি যাদন চাঙমা সাহিত্য বা আ সাঙু পাঠাগার কাম্মোউন।
এচ্যে বাবুছড়া ফ্রেন্ডশিপ ইক্কুলত জাদর নুয়ো পিড়িউনরে মাগানা ‘‘সাঙু- ২০১৭’’ বইবো ভাক গরি দেনা ফাংশানত মু দেঘেয়্যন ৫নং বাবুছড়া ইউপি চেয়ারম্যান দাঙগু সুগত প্রিয় চাঙমা কোইয়ে, ‘‘জাদর ভাচ, জাদর লেঘা শিঘিানা সাত কাম’’ । ইয়োত আর মু দেঘেয়্যন ফদাঙতাঙ ক্লাবর জধানানু দাঙগু নিউটন চাঙমা, ভজমান মুরম্নববী দাঙগু অরুন বিকাশ চাঙমা, বাবুছড়া ফ্রেন্ডশিপ হেডমাস্টর দাঙগু তিমির বরণ চাঙমা আ চাঙমা সাহিত্য বার দাঙর কাবিদ্যাঙ ইনজেব চাঙমা, এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ দাঙগু সম্ভু মিত্র চাঙমা, বা কাবিদ্যাঙ দাঙগু এলিয়েন্স চাঙমা, ফগদাঙ আ ছিদানা কাবিদ্যাঙ দাঙগুবী শ্রেয়সী চাঙমা, ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ দাঙগু পরেশ চাঙমা, দপ্তর তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ দাঙগু নভেল চাঙমা, সাবাঙ্গী প্রিয়সী চাঙমা আ বাবুছড়া কলেচ ধেলা জধানানু দাঙগু সোনামনি চাঙমাসমুত্তু বাবুছড়া ইউপি ধেলা জধানানু দাঙগু রিকন চাঙমা।

              এক্ রাজা তিনান্ পুজোর্ (প্রশ্ন) জোপ্ (উত্তর) চায়। বেগত্থুন দাঙর সাতকামর(গুরম্নত্বপূর্ণ) অক্ত কি? বেগত্থুন্ দাঙর্ সাত্কামর্(গুরম্নত্বপূর্ণ) মানুচ্ কন্না? আ বেগত্থুন্ দাঙর্ সাত্কামর্(গুরম্নত্বপূর্ণ) কাম্ কি?
       রাজা গোদা রেয্যত্  ঢুল্ দিল, যে তারে এই তিনান্ পুজোর্ মেহ্ত ভাঙি দি পারিব তে তারে গধেল্ গধেল্ বুকশিচ্ দিব। রেয্যত্ কেইবান্যে কেইবান্যে কধগী, পুন্ডিক্খুন্ এলাক্ মাত্তর্ রাজারে এই কধানির্ মেহ্ত্ ভাঙি দি ন পারন্। এক্ জনর্ কধালোই আর একজনর্ কধা কন মিল্ নেই। শেজে রাজা খবর্ পেলদে এক্কো সাধুর কধা। তে থেদ ঝারত্।  তেহ্ খামাক্কাই গিয়েনী। এক দিনে রাজা অন্য ভেদ্ ধরি সাধুবু ইধু যিয়ে। সাধুবু সক্যে এক্কান ফাগারালোই গাত্ কুরের। রাজা তাত্থুন পুজোর গরে বেগত্থুন দাঙর সাতকাম্যা (গুরম্নত্বপূর্ণ) অক্ত কি,  বেগত্থুন দাঙর সাতকাম্যা(গুরম্নত্বপূর্ণ) মানুচ্ কন্না আ বেগত্থুন দাঙর সাতকাম্যা(গুরম্নত্বপূর্ণ) কাম কি? সাধুবু কন কধা ন কয়। তা মনে তে গাত্ কুরের। রাজা কল, মরে ত’ ফাগারান দে, মুই তরে বল্ দুঙ। সাধুবু জেরার্ আ রাজা কাম গরের। এ অক্তত ইক্কু মানুচ ফোবে ফোবে তারা কায় এল। বুগত্ ঘোবা। রাঙা লো থেপ্ থেপ ঝুরি পরের। রাজা আ সাধুবু দ্বি’জনে তারে চিকিৎস্যে গরলস্নাক। তে কল, রাজার পুরণ শুত্রম্ন তেহ। রাজারে মারিবাত্যাই যেনেই রাজা সৈন্যউনে খবর পেনেই তারে মাজ্জোন্। রাজালোই তেহ্ হাদ মেলেল। সাধুবো কল, রাজা, ত’ তিনান্ পজোরর উত্তর দ্যি অয়্যা।
       বেগত্থুন দাঙর সাতকামর (গুরম্নত্বপূর্ণ) অক্ত(সময়) অলদে: ইক্যে (এখন),  রেগত্থুন দাঙর সাতকামর্ (গুরম্নত্বপূর্ণ) মানুচেছা অলদে: এ অক্তত ত’ কায় যে আগে আ বেগত্থুন দাঙর সাতকামর (গুরম্নত্বপূর্ণ) কাম হ্লদে: মুজুঙত যে আগে-তারে উপকার গরানা। থিক সেধক্যে্ইক্যে আমার, বেগর সাত কাম অহলদে জাদর লেঘা চাঙমা লেঘা শিঘানা গরচ অই পচ্যে কধা আন কধগীউনে কলাক।



কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...