রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭

অবুঝ হৃদয়ের লিপিটুকু ইনজেব চাঙমা



২য় পরে:
এ সংসারে যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন ছিজী বিউটি তুমি আমার হৃদয়ে আকাশে ধ্রম্নবতারার  মত স্মৃতি হয়ে জ্বলবে। বস্ত্ততঃ পক্ষে ছিজী আমাকে ভুলে যেতে পারেনি কখনো ভুলে যায়নি। জানিনা এত আঘাত, এই নীরবতা।  তাই এই পরিণতি। কিন্তু ছিজী, তোমার আমার ব্যবধান ৩০-৩৫ কিঃমিঃ। অথচ এই ৩০-৩৫কিঃমিঃ ব্যবধানে মাঝে তুমি আমার হৃদয়ে মন্দিরে, দু’নয়নে সারাক্ষণ ভেসে থাকো। মনে হয় যেন আঁকাশে উদিত পূর্ণিমার চাঁদ। ছিজী, এত কিছু বাধা বিপত্তি থাকার সত্ত্বেও আমি যেমনি ছিজী তোমাকে ভুলে যেতে পারিনি, আমার পবিত্র ভালবাসাকেও তুমি কখনো অমত্মর থেকে মুছে ফেলো না।

                      হায়! ছিজী..... তুমিম এত নিষ্ঠুর, আমাকে এত সহজে তুমি দূওে সরিয়ে দিলে। মনে পড়ে না, সে রাতের কথা? মনে পড়ে বলেছিলে ‘‘দাদা, তোমাকে ছাড়া আমার কিছুই ভালো লাগেনা। তুমিহীন আমার অমানিশা ঘোর অন্ধাকার। তোমাকে পেলে ভাঙ্গা ঘরে থাকলের মনে করবো স্বর্গে বাস করছি।’’

                      বিশ্বাস করো সেদিন কেন জানিনা আমার দু’চোখে জলে ভরে উঠেছিল আমার এই ছন্ন ছাড়া জীবনে সেণহ মমতা প্রেম ভালোবাসা এক আশ্চার্য ভাবে। তোমার উৎসাহে, তোমার কল্যাণময় মায়া-মমতায় আমি ধন্য। ভুলবোনা কোন দিনও।

                      হয়তো তুমি ভুলে যাবে, কিংবা মনে রাখবার চেষ্টা করবেনা। যদি তোমার বিবেক বলে কোন জিনিস থাকে তাহলে তোমার মনকে প্রশ্ন কর তাহলে উত্তর পাবে।

                      তুমি কি জাননা ছিজী, আমি কী চেয়েছি তোমার কাছ থেকে শুধু বিশ্বাস, সেণহ আর শাসন। করম্ননা নয়, দয়া নয়। তুমি এমন বদলে গেলে কেন? স্মরণ হয় কি একদিন তুমি বলেছিলে, ‘‘দাদা, তোমার সঙ্গে আমার পরিচয় ভগবানের রহস্য। শুধু তাই নয়, আমি পালিয়ে গেলেও তুমি আমাকে বেঁধে রাখবে কঠিন শাসনে। এই বিশাল পৃথিবীতে তোমাকে আমার নিজের মনে করেছি।’’ আর বলেছ, ‘‘আমি আজীন তোমার কাছে থাকবো ছায়ার মতন।’’

                   তবে কি আমি গরিব বলে বলেই এত অবহেলা! হায়রে! ছিজী, তোমাকে বলেছিলাম হিসাবে আমি বাহিওে অর্থে চেয়েও বড় আমার মন। আমার মন তুমি হারিয়ে দিওনা। মনে নেই তোমার। আমি এক দিন বলেছিলাম তুমি বলেছিলাম তুমি আমার জীবনে শেষ নারী। নিজের প্রাণে চেয়ে বেশী দেখি। তোমাকে ভালোবেসে যদি আমার অপরাধ হয়, তাহলে তুমি আমাকে শাসিত্ম দাঙ। কিন্তু অবহেলা করোনা।

                    কিন্তু মানুষের মন বড় অশামত্ম। বড় চঞ্চল। নদীর মত। তোমাকে ঠোকাতে মন চায়না। ভুলে গেলেও কি ভুলে থাকা যায়। কেমন কওে ভুলব তোমাকে। ছিজী, সেই নলকূপে সণান করতে গিয়ে তুমি আমাকে দিয়ে ছিলে প্রেম ভালোবাসা এক স্বপ্ন, দিয়ে ছিলে তোমার পরিচয়, জেনে নিলে আমার বংশের পরিচয়, কেড়ে নিলে আমার অমত্মর। কে জানে স্বপ্ন ভরা সেই সব স্মৃতি আর আসবেনা আমার জীবনে।

 ওগো ছিজী নয়নের কাজল আমার, আমি গরীব হতে পারি কিন্তু তাই বলে কি আমার কোন অধিকার নেই? যে সাহস, যে অধিকারর দাবী তুমি আমাকে দিয়েছো তারই দাবীতে বলব, সহজ হয়ে যা, মান অভিমান ত্যাগ কওে আগের মত হতে পারনা? আমি চাই তুমি যে আমাকে শাসন করবে ভালবাসা কোন স্বার্থ নিয়ে নয়। কেন তুমি আমাকে ভুল বুঝেছ। জানো একটা ভুলের জন্য আমার মনে কোন পাপ নেই। শুনুন একটি বার, তাকান আমার দিকে। শুধু একটিবার বলুন আমার প্রতি তোমার কোন রাগ নেই।
[চলবে]




অবুঝ হৃদয়ের লিপিটুকু ইনজেব চাঙমা



১ম পরে:
ও গো মোর প্রাণের পুষ্প বিউটি, এই আমর ক্ষুদ্র নগণ্য লিপিটি পড়লে জানি ভাটা পড়া সাগরের তরঙ্গ মালা প্রবল ভাবে তোমার হৃদয়ে জোয়ার বয়ে আসবে। তবুতো না লিখে পারলামনা লক্ষীটি। শুধু কি তাই? আরো বেশী অমত্মরের দোলা দেয় তোমার কোমল নরম তুলতুলে হাতে লেখা বেদনা ভরা প্রেমের গান গুলো। যা তুমি লিপির সাথে সংযুক্ত করেছিলে:
যদি আকাশ ধওে রাখে ঐ নীলকে
সাগর বেঁধে রাখে ঐ নদীকে(২)
তবে আমিও রাখবো বেঁধে তোমাকে
এইবুকে এইবুকে\
ফুলের যেমন গন্ধ আছে পথ হারাতে সুখ
তেমনি তুমি আমারী আছো থাকো যত দূর(২)
পারবোনা বুলে যেতে তোমাকে আমি
আঁকবো তোমার ছবি দু’চোখ\
নদী যেমন ঝর্ণা আছে মেঘের আছে নীল
তুমি আমার শুধু আমার হবে দু’জনার মিল(২)
পারবেনা কেড়ে নিতে কেউ তোমাকে
থাকবো দু’জন সুখে-দুঃখে\

কাল সারা রাত দু’টি চোখেতে
ঘুম আসেনি ভেবে তোমাকে
তুমি আমার জীবন তুমি আমার মরণ
আছো সুখে-দুঃখে ছায়ার মতন(২)
দিন কেটে যায় রাত কাটেনা
তুমি ছাড়া কিছুউ ভালো লাগেনা
মন ছুটে যায় তোমার কাছে
আছো তুমি আমারী বুকেরী মাঝে
তুমি আমার জীবন................
..........................ছায়ার মতন\
স্বপ্ন আমার তোমকে ঘিরে
থেকো পাশে আমারী যেওনা দূরে
যাবনা আমি তোমকে ছেড়ে
রাখবো বুকের মাঝে তোমাকে ধরে।
তুমি আমার জীবন................
..........................ছায়ার মতন\

ও গো বিউটি আদরের বোনটি আমার, জানিনা কী অপরাধ করেছি বা কী দোষ আমার? তবুও ক্ষমা চাইছি। যেখানে প্রীতি টান সেখানে ক্ষমা চাইতে নেই। জানিনা এমন কেন হলো। হয়তো আমার কোন ব্যবহার বা কথায় আঘাত পেয়েছ, যার জন্য তোমার এই নীরবতা, এত অনাদও, এত নিষ্ঠুরর মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করি যদি াপরাধ কওে থাকি তাহলে নিজ গুনে ক্ষমা কওে দিও। আমাকে হারালে তোমার কোন ক্ষতি হবেনা। আমাকে ভুল বুঝনা। ভল বুঝে চলে যাওয়ার চেয়ে ভুল ভেঙ্গে দেওয়ার ভাল। মধর বিচ্ছেদ সটাও মধুর। তুমি আমার অমত্মওে পরিচয় পাওনি?
মানুষ যাকে দেবতা আসনে বসায় তার কাছে আঘাত পেলে সহ্য করা হয় কঠিন। আমি না গেলে তুমি ভুল বুঝবে। ভাববে রাগ করছি। না, রাগ নেই । তবে আমার াভিমান আছে। যদি কিছু বলে থাকি বা অভিমান কওে থাকি সে ত তোমার কাছেই করেছি। তুমিই তো আমাকে সাহস দিয়েছ। আমি চাই যদি আমি কোন অপরাধ কওে থাকি তাতে তুমি কঠোর ভাবে বিচার করম্নণ। যদি বলো তুমি আর এসোনা, আসবোনা কোন দিনই। শুধু ভাবব আমার সততা,  আমার ভালোবাসা ধুলোর মিশে গেছে।

ছিজী বিউটি, তুমি আমার জীবনে একদিন প্রেমে শতদল হয়ে ফুটেছিলে আর তুমি দীর্ঘ দিন ধওে নিষ্ঠুর প্রেমের অভিনয় কওে পালিয়ে যাচেছা। শুধু প্রতিদানে দিয়ে যাচেছা ব্যর্থতা ছবি। আর সে ব্যর্থতা অনলে আমার বুকের মধ্যে গুমওে কেঁদে উঠে। তবুও ভালবাসা এমন দুর্গম যে ভোলা যায়না, যাবেনাওনা। তাই ভুলে যেতে পারিনি তোমাকে। শুধু তোমার মঙ্গল কামনা করছি প্রতি মুগহুর্তে।

ছিজী, আমার জীবনটাই একটা নাটক। কেন তুমি আমাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে যাচেছা। পালিয়ে যাচেছা কেন? আর সে ভুল বোঝার মামুল দিতে হচ্ছে আমাকেই। তুমি জানো, আমি হিসাব করেনি কোন দিনই।

ও গো সোহাগী বোনটি আমার, তোমার কত স্মৃতি আমার মনে পড়ে। মনে পড়ে তোমা শ্রম্নতি মদুর কণ্ঠে গাওয়া প্রেমের গানগুলির কথা। মনে জাগে তোমার দেওয়া প্রীতি উপহার। সে প্রীতি উপহার আমাকে তোমার সমসত্ম স্মৃতি জাগারিত কওে দেয়। খুলে দেয় প্রেমের উমক্ত হাওয়া। সৌনালি বাতায়নে শীতল কওে দেয়ু আমার অশামত্ম মনকে, নিভে দেয় বুকের জ্বলমত্ম আগুন; তাই তো তুমি সত্যি পবিত্র পেমিক হয়ে থাকবে তোমার পবিত্য ভালবাসা আমার হৃদয় মন্দিওে তুমি মোরস্মৃতি, তুমি মোর প্রথম, তুমি মোর শেষ। কে বলেছে তুমি আমার পাশে নেই, আমার মন বলেছে তুমি আছো, তোমার স্মৃতি উজ্জ্বল হয়ে জ্বলছে আমার হৃদয়াকাশে।

 হে ভগবান, তুমি কেন বিদায় শব্দটি সৃষ্টি করে ছিলে! বিদায় শব্দ শুনাবার আগে আমাকে কেন মৃত্যু দিলেনা কেন? কেন? কেন?
প্রতিদিন বিছানায় শুয়ে শুয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি। বিভিন্ন চিমত্মায় সারা রাত ঘুম হয়না। অনেক জল্পনা-কল্পনা উদয় হয়। একমাত্র মনকে শামত্মনা দিই, চিজী! তুমি আমাকে বুলে গেলেও আমি  আ---মি তোমাকে ভুলে যেতে পারিনি, পারবোনা।
[চলবে]


অবুঝ হৃদয়ে লিপিটুকু ইনজেব চাঙমা



             প্রণয় বায়ূর ন্যায় নিরাকার। ওটা স্পর্শ করা যায়না, তবে অনুভবনীয়, দেখা যায়না, কিন্তু বোঝা যায়। প্রেমিকের প্রেম -দুনিয়ার এই অনাহূত অতিথিটি বহু রূপী। সে কখনো আসে স-সাগরা পৃথিবীর সম্রাটের বেশে, কখনও বা আওলীয়া - পীর - ফকীরের বেশে। পৃথিবীর অতি প্রাচীর এই অতিথিটি  কিন্তু যে  বেশেই আসুক না কেন, প্রেমিক - প্রেমিকার কাছে সে চির নতুন - চির বরণ্য। বায়ূর ন্যায় সে নিরাকার হলেও এই প্রেমু অতিথির ভক্ত জন কিন্তু পূর্ব হতে পায় তার চরণ ধ্বনি। তাই এই ঈপ্সিত জনের আগমনে পূর্বাভাসে প্রেমিক - প্রেমিকা সাজায় তাদের বরণ ডালাঃ তারপর তারা অনুভব করে কখন তাদের অলক্ষ্যে সে যেন স্থান নিয়েছে হৃদয় মাঝেঃ অর্থাৎ স্বপ্ন বাসত্মবের তুলির টানে রূপ পেয়েছে।
            প্রেমিক একবার অবাক হয়ে দেখে, তার নয়নের মণির মাঝে স্থান পেয়েছে একখানা মুখ যাহুরপরী ন্যায় কাল্পনিক নয়, আলোছায়ার খেলা নয়অ সে খানা পরিচিতু অতি পরিচিত। এরপর তার অতি পরিচিত মুখখানা ঘুরতে ঘুরতে থমকে দাঁড়ায় চোখের  সম্মুখে ও প্রেমিক অনুভব করে তার অবস্থিতি। ভেঙ্গে যায় তার স্বপ্ন। স্বপ্ন রূপ ধরে তার কল্পনা। অথাৎ শূন্য হতে সত্যেও সন্ধান পেয়ে নতুন আবিষ্কারের আনন্দেও সে উঠে অধির।
তার এ নতুন তথ্যেও গোপনীয়তা কিন্তু বেশী দিন অপ্রকাশ থাকেনা। হঠাৎ একদিন হয়তো ‘‘শুক্লা’’ তার মা’ কানে কানে বলেছে, শুনেছিস মা’ পিসি বিউটি কাকার বাবুর সাথে প্রেম করেছে। আর যায় কোথায়? তড়িৎ গতিতে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রেমে পড়লে ভাব হয় উদাসীন উদাসীন, চাহুনীবেচেরা, বেচারা গতি বিধি সন্দেহ জনক, কাজে অকাজে সময় নষ্ট, মন আনন্দহীনু ছনপ্রবণ। নিরাশার প্রবাহে অমত্মরটা করে থৈ থৈ। অর্থাৎ রক্তহীনতা সমস্ত প্রকার লক্ষনই থাকে প্রাচুর্য। তাই প্রেমিকের অবস্থা দেখে তাকে সহানুভুতির চেয়ে মায়া করেতে ইচ্ছে করে বেশী।
             রাজাধি রাজার ক্ষেত্রে প্রেমে পড়াটা খেয়াল, আউলিয়া - পীরু ফকীরের ক্ষেত্রে বন্দেগী বা উচ্চচাঙ্গের একটা মারফতী মার্গের দুর্বোধ কথা অবতারদের বেলায় লীলা-খেলা। আর রাম-রহিম শ্যামদের ক্ষেত্রে? লাম্পট্য! অথাৎ প্রথমে কানা-কানি, তারপর হৈ চৈ, পরিশেষে - প্রেমিকস্যলাঠোষীধি। যার ফল - চ কিংবা ছ’ব ঝাড়ের সদ্য কাট। গিত ওয়ালা হাত দুয়েক এক কঞ্চির মিঠে কড়া মাত্র কয়েকটি ঘা! আমাদেও হতভাগা দেশে এটাই হল প্রেমের পরিণতি।
             সুতরাং এপথে যাত্রা না করা ভালো। এ পথে যে যাত্রা করে সে সহজে সুখি হতে পারেনা। কারণ এ পথ স্বগীয় হলেও সমাজের কাছে অভিশপ্ত। এ পথ প্রথমে মধুর, তারপর অপরিহার্য - শেষে অনুতপ্ত। কিন্তু তা হলে কি হবে? এ পথে চির সত্য সংজ্ঞা জানা থাকার সত্ত্বেও শত শত তরম্নন - তরম্ননী উনেমত্তের ন্যায় ছুটে চলে এই অনুতপ্ত পপথের অভিশপ্ত প্রেমের দুর্বার আকর্ষণে। হায় নিয়তী! বিধি লিপি অখ-নীয়। ললাট লিখন পরিহাসের ‘অপু’ আজ এই অভিশপ্ত পথের নয়া যাত্রী।
           অপু, তুমি কামত্ম হও; নতুবা কাঁদবে; তোমার অশ্বের বল্গাকষ, তা না হলে ধরাশায়ী হতে হবে। এ পথে সহজে কেউ সাফল্যের জয় মুকুট পরে গমত্মব্য স্থলে পৌঁছাতে পারে না।
           এ পথে সমাজে শ্যেন দৃষ্টি সদা জাগ্রত। ভেবে দেখো লাইলী - মজনুর কথা, নুয়োরাম- চান্দবীর কাহীনি। পেরেছে কি তাদের কেউ ঈপ্সিত - স্থানে তরী ভিড়াতে?
          ও হো অভিশপ্ত পথের নয়াু যাত্রী! তুমি বিরত হও; নতুবা ভাগ্যে তোমার ‘মহাজনো যেন গতঃ সপন্থায়।
           বিবেকের এত সর্তকবাণী সত্ত্বেও বেচারা ‘অপু’ নিজেকে সংযত করতে পারলনা। সে বিউটি’র প্রেম - দনিয়ায় ভাসলো তার জীর্ণ তরী।
       বর্তমানে দু’জনই এস.এস.সি পরীক্ষার্থী। অপু ছোট মেরম্নং হাই স্কুল হতে আর বিউটি বাবুছড়া হাই স্কুল হতে। অপু আজ তার চলার পথের সর্বক্ষণের বন্ধু। হয়তো কোন সুকর্ম ফলে তারা দু’জনে দেখা - দেখি। তারা দু’জনে একই ঘরে লোজিঙে থাকে। অর্থাৎ অপু চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে। ইনি কবাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক। আর অপর ভাবী শুক্লা মা ও সবৃদা বাহিরে যান। সুতরাং তারার অবর্তমানে বাসায় বেশ কয়েকদিন ধরে খেলা-ধুলা, আমোদ-প্রমোদ ও নানান ভাবে মেলা মেশায় ভেতওে দিয়ে্এক জনে আর্একজনের কাছে মনের মানুষ অর্থাৎ একজনকে না দেখলে অর একজনে থাকাটা বিষম কষ্ট কর ও বিষাদে। যেন তাদের কে মনে হয় রাধামন - ধনপদি।
টুকরো মেঘ জমে হয় ঘনীভূত; ঘনীভূত মেঘ জমে করে বৃষ্টি সৃষ্টি; আর বৃষ্টি জমে হয় বরফ। তেমনি বিউটি - অপু অবাধ মেলা-মেশায় দু’জনের মধ্যে সঞ্চার হলো পরস্পরে  প্রতি আকর্ষণ আর বিক্ষিপ্ত আকর্ষণ জমে একদিন আত্মপ্রকাশ করলো প্রেমাকারে।
বিউটি ভাবে, অপু তার জীবন চলার পথে বন্ধু। অপু ভাবে বিউটি সাথে তার সমন্ধটা ভাই-বোন; বন্ধু হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা কল্পনায়। সে ভাবে নারী ছলানময়ী। আর সে...........................................?
তাই বিউটির প্রেম দরিয়ার সে তার জীর্ণ তরী ভাসালেও কখনও সে তরী মাত্রায় বাইওে যায় না; অতিক্রম কওে না সীমা।
বিউটি, কিন্তু তা পছন্দ কওে না।  সে ভাবে অপু তাকে বুঝি ভুল বুঝছে। তাই যেন এড়িয়ে চলতে চায়।
অপু তার বড় ভাইয়ের আত্মমর্যাদা সম্বন্ধে সদা সজাগ। তাই সে নিজেকে আদব - কায়দার কৃষ্টি পাথরে ঘষে চায় বড় ভাইয়ের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করতে। বিউটি কিন্তু চায় নিজেকে অপু’র মাঝে বিলিয়ে দিতে।
অপু ভাবে নারী ছলনাময়ী বিউটি তাকে নিয়ে ফার্ন করছে; বিউটি ভাবে অপু তাকে পরীক্ষা করছে। কিন্তু তাদেও পরস্পওে এ ভুল ভাঙ্গল যে দিন তারা দু’জনই পড়াধ্যানে মগ্ন। এস.এস.সি পরীক্ষা শুরু হয়েছে সপ্তাহ ধরে। নিরব নিথর রাত চারিদিকে অন্ধকার; শুধু আকাশের বুকে তারার মেলা আর বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে। মাঝে মাঝে দু’ একটি জোনাকি পোকা মিট মিট করে জ্বলছে। মানুষের আনাগোনা নেই বললে চলে। এমন সময় বিউটি কিছুতে ঘুমাতে পারছেনা। অপুকে না বলার কথাগুলো বলার জন্য তীরবিদ্ধ পাখির মতো ছটফট করছে। শুধু বই খুলে চেয়ে আছে, কিন্তু পড়ে না; আবার ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু ঘুম নেই। শুধু দু’চোখে ভাসে অপুর প্রতিচ্ছবি। বিউটি অপুকে নিয়ে ভাবতে লাগল। ‘‘দাদা, তুমি কি জান না, আমি যাকে ভালোবাসি সে ছেলেটি হলে তুমি। আমি  যে শুধু তোমাকে না দেখলে থাকতে পারিনা। আমি যে তোমাকে ছাড়া আর কাউকে ভাববার সময় পাইনা। আমি তোমাকে না দেখলে থাকতে পারিনা।ামি সব সময় তোমার পাশে থাকতে চাই। দাদা, তুমি আমাকে তোমার হৃদয়ে স্থান দাও।’’
আর অপু, ঘুমের বিভোর। সেই নিজেকে সামলে নিয়ে কোন মতে ঘুমিয়ে গেছে। শয্যা সুপ্ত অবস্থাতে বিউটি তার রম্নম থেকে বেরিয়ে এসে অপু রম্নমে ঢুুকে অপুর নাকে টিপে ধরলে অপুর ঘুম ভাঙে।
             অপু:     কে তুমি অমন করলে কেন?
            বিউটি:    দাদা, তুমি এত ঘুমাও? কেন জানিনা আমার দু’নয়নে ঘুমম আসেনা। তুমি কেন বোঝনি
                      আমার কষ্টতা। দাদা, আমার বুকটা ধরে দেখো।
            অপু:     ধরলাম।
      বিউটি অপুর দু’হাতে ধরে বিছানা হতে তুলে দু’জনে হাতে হাত ধরে ঘরের বাহিরে আম গাছে নিচে বসে পড়ল।
           বিউটি:   যে হাত ধরেছি সে হাত ধওে মরতে চাই দাদা। বায়ূ ছাড়া মানুষ যেমন বাচঁতে পারেনা,   
                     তেমনি তোমাকে ছেড়ে আমিও বাঁচবোনা।
           অপু:     চিজী, আমি যদি তামাকে আমার জীবনে না পায় এই পৃথিবীতে আমার বেঁচে থাকা কোন
                     লাভ নেই। আমার জীবনে সমসত্ম ভাবনা শুধু তুমি। আমি তোমাকে পেয়ে আমার জীবনে
                     আলোর প্রদ্বীপ খুঁজে পেয়েছি।
          বিউটি:     দাদা, তুমি আমা জীবসেুখের প্রদ্বীপ খঁজতে গিয়ে আমাদের ভালোবাসাটুকু  ভুলে গিয়ে
                    আমার কাছ থেকে দূওে যাবেনাতা?
           অপু:       না ছিজী। আমি যে তুমি ছাড়া কিছুতেই ভাবতে পারিনা। আমার সম্সত্ম কল্পনা জুড়ে শুধু তুমি।
         বিউটি:    দাদা, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবোনা। জানিস দাদা, আমি তোমাকে ছাড়া এক মুহুর্তেও জন্য           
                    ভুলে থাকতে পারিনা। সবসময় তোমাকে কাছে পেতে স্বাদ জাগে।
কিন্তু আজ!!! অপু জীবনে বয়ে এলো এক অমানিশা ঘোর অন্ধকার। সুখ-দুঃখ মানুষের চির সাথী। তাই মানুষ হারনো ধন ফিরে পেলে যেমন আনন্দ পায় তেমনি অপু প্রত্যাশিত বস্ত্ত না পাওয়ার বেদনা মুষড়ে পড়ে। অপু এত ভালোবাসা সত্ত্বেও অপু জীবনকে অনেক দূও টেলে দিয়েছিল। যে ফুল দিয়ে মালা গাথিয়ে সারা জীবনকে সুখের থাকার স্বপ্নের জাল বিসত্মার করেছে সে ফুল তাহাকে বেদনা ভরে রেখেছে। অপু সকল স্বপ্ন, আশাু আকাঙ্খাটুকু ভেঙ্গে দিয়ে অবুঝ নরম হৃদয়ে এক শোকের ছায়া বয়ে এনে দিয়েছে। জানিনা অপু জীবনে কোথায় কি হবে। হয়তো এমন শূন্য হৃদয় নিয়ে মরতে হবে। আজ  অপুর পানে কেউ নেইঅ সেই ছেড়া ফুলের দুগন্ধ অপুকে আতঙ্গ করে ফেলেছে। জীবনে কোন শামিত্ম আভাস নেই। আমিও ভেবে ছিলাম এই ফুল অপুকে সুখী করবে কিন্তু সে আশা নিষ্ফল। সে আশা আজ নিরাশায় পরিণত হলো। সত্যি অপু আজ হতভাগা- আভাগাঅ Once unlucky. Always unlucky. দুঃখের ভরাক্রামত্ম হৃদয়ে লেখা অপু বিরহের লিপিটি হুবহু তলে ধরলাম।
[চলবে]




জাগি উদ




ও বাপ - ভেই লক!
ও মা বোন লক!
উদ উদ ঘুমত্তুন জাগি
পহর ফাদি এযের চেরো মক্যা।
 বেগে ধজ্যেন বাকপাহদি এয আমি ঘুমত আঘি।
পোত্যারাজি পরিল রাদাবু ডাক দিল
উদি এয ঘুমত্তুন তুমি,
সংসমারে হুচ্ পেলেই মুজুঙে আক্কোই যেই;
ন থেবং আর  লেম পরি।
সাঙু পাঠপগার আমা নুয়ো আঝা নুয়ো সমারি।
মোন-মুড় ঝাগালা, ছড়া-ছড়ি ছাহ্জা
চিৎ জুরেবার কিচ্ছু নেই,
আঘেবানা মনবল আঘে সাঙু পাঠাগার
নুয়ো দিনর নুয়ো আঝা ভরি তুলিবার।
সাঙুু পাঠাগার ওক আমার মুজুঙে
আক্কোই যেবার হাত্যার।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...