বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭

অবুঝ হৃদয়েরর লিপিটুকু



৩য় পরে:
                   ওগো মোর ছিজী, তুমি আমাকে ভুল বুঝলেও আমি তোমাকে ভুল বুঝিনি। তুমি আমকে যতদূর সরাও পারবেনা । ছিজী, কেন তুমি আমার এত স্নেহ ভালোবাসা দিলে, কেন আপন জন ভেবে নিয়ে ঠাঁই দিলে তোমার বুকে। সেই মায়া মমতাময়ী তুমি এত নিষ্ঠুর! কেন? কেন? কেন?

                   ছিজী তুমি স্নেহের ডিঞ্জির কেটে চলে গেছ। বেশ করেছ। আমিও এই জন কোলাকল হতে দূরে বহু দূরে লতা-পাতা ঘেরা নির্জন কোন এক বনবীথি তলে একখানি ছোট্ট কুড়ে ঘরের বাস করতে পারলে বাঁচতাম। কিন্তু বনের পাখি ধরে এনে পিঞ্জরী বদ্ধ করলেও তার বন্য স্বভাব যায়না, সব সময় দৃষ্টির খাঁচার দুয়ারটির দিকে।

                আমি জানিনা ছিজী, তুমি আমার শুধু আমার -  আমার পাশে থাকবে। অন্যেও কাছে যাবে কেন? আমি কখনো অসহায় পঙ্গুর মত দু’চোখে তা সহ্য করবো না; মেনে নিতে পারিনা। ছিজী,  ওগো মোর প্রাণের ছিজী আমার, অমত্মরে কত আশা ছিলো তোমাকে নিয়ে সুখের নীড় বাধবো। রচনা করবো প্রেমের স্বর্গ, যেখানে থাকবেনা কোন সমস্যা, সেখানে থাকবে শামিত্মর বাতায়নে আনন্দের জোয়ার। স্মরণ করো ছিজী, কেঁদে কেঁদে বিছানায় তোমার বুকে হাত রেখে তোমাকে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলাম, আমি চিদিন তোমর হয়ে থাকবো। জানা- অজানা অবস্থা মনের অগোচরেকত দুঃখ দিয়েছি, আমার জন্য কত শরীরিক মানসিক আঘাত সহ্য করেছো, সমস্ত  অপরাধ তুমি ক্ষমা করে দিও।

                 ছিজী, তোমাকে আর্শীবাদ করি তোমার জীবনে বয়ে আনুক হিমালয়ে চির অনাবিল শামিত্মর সুবাতাস। আকাশ বরিষণ করম্নন তোমাকে পুষ্প বৃষ্টি। ছিজী, তোমার কাছে আমার একামত্ম অনুরোধ, আমাকে ভুল বুঝনা ছিজী। আমার স্মৃতি তোমার পবিত্র অমত্মর থেকে মুছে দিওনা কোন দিন। জানি তোমাকে আর পেলামনা ইহকালেতবু তোমার প্রতিশ্রম্নতি দিচ্ছি যদি বেঁচে থাকি আপদে-বিপদে চিরদিন তোমার পাশে থাকবো। যদিও তুমি এখন আর আমার  পাশে নেই, কিন্তু তোমার হাজারো স্মৃতি, হাজারো কাহিনী আকাশে নিভু নিভু তারার মতো আমার অমত্মরে জ্বলবে। আমাকে প্রেমিক রূপে বরণ করে নিয়ে নারী হিসেবে যে সতীতব আছে তা সব আমার জন্য বিলিয়ে দিয়ে ছিলে। কোন দি ব্যতিক্রম করনি। আমার কত অশ্রম্ন তুমি মুছে দিতে, আমাকে শামত্মনা দিয়ে ছিলে, ‘‘দাদা, তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালোবেসে থাকো তোর বুকে দুঃখ বেদনা মুছে যাবে।’’ আজ আমার কেউ নেই সে শামত্মনা বাণী শোনাতে। কেউ নেই, নেই কেউ আমার। জীবনে যা কল্পনা করেনি কিন্তু বাসত্মবতায় আমার বুকে চাপা দিয়ে রয়েছে। শ্বাস আমা রম্নদ্ধ হচ্ছে, চারিদিকে দেখছি কুয়াশা ঘেরা অমানিশা রাতে ঘোর অন্ধকার।
কল্পনা তমি এত নিষ্ঠুর এত নির্মম?
তুমি কল্পনা কল্পনা ক...ল্প....না.....।

ছিজী, তোমার সাথে আমার পবিত্র প্রেমের পরিনতি রেখাপাত হলো। এলো যুবনিকা। প্রেমের বিরহ বেদনা বুকে নিয়ে শুধু ঘুরছি আর ঘুছি। যে দিকে যায় সেদিকে কেবল তোমার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়, মরিচিকার মত। হায়ওে অবুঝ মন বুঝনা কেন! শত চেষ্টায় শত আর্তনাদে, শত কান্নায় ফিরে আসবেনা ছিজী, প্রাণের ছিজী। পাষাণে গড়াব স্ত্তর মাঝে বিলিন হয়ে গেছে আমার মন মাতানো হৃদয় জুড়ানো রম্নপসী ছিজী। জ্বলুক আমার অন্তেরের শুধু আগুন আগুন। না আর কিছু বলব না শুধু বলব তুমি মোর স্মৃতি, ভালোবাসা শেষ কোথায়?

ওগো চিজী, সমসত্ম কিচু ওজন করা যায় কিন্তু ভালোবাসা ব্যথা, প্রেমিকা হারানো ব্যথা ওজন করা যায়না। পর্বতের চেয়ে ভারী সাগরের চেয়েও গভীর - অটল। প্রেমের বিরহ বেদনা হৃদয়ে বিদায়ক মর্ম স্পর্শী তুলনাহীন। তার চেয়ে অধিক যন্ত্রনা দায়ক ব্যর্থ প্রেম, ব্যর্থ ভালোবাসা, সে কালের এটম বোমা বর্তমান সভ্যযুগে পারমাণবিক বোমার চেয়ে উপ্তত্ত বিষাদের।

ওগো পুষ্প ছিজী, ভুল বুঝে তুমি তোমার হৃদকে আমার থেকে সরিয়ে আনতে পারবে, লিপ্সা  রূপের মোহে পেশী শক্তির বলে অর্থের অহংকার দেখিয়ে মানুষকে হীরন এবং নগণ্য মনে করে একজন পবিত্র প্রেমিকের কাছছ থেকে পবিত্র ভালবাসা ওপর আঘাত হেনে প্রেমিক প্রেমিকা হাজারো স্মৃতি প্রেমের সংলাপ প্রেমের করম্নন ইতিহাস কেড়ে নেয়া যায় না প্রেমের জ্বলমত্ম শিখা, জ্বলমত্ম আগুন।

সৃষ্টিকর্তা বিশব মানবহিতের জন্য তাদের মঙ্গলার্থে আমাদের মাঝে প্রেমপ্রীতি ভালবাসা সৃষ্টি করেছিলেন। বিলিয়ে দিয়েছেন মানবের মাঝে। যারা এই ধ্রম্নব সত্যকে অস্বীকার করেন প্রেমিক প্রেমিকা ভালবাসার মাঝে অমত্মরায় নরাধম-নর পশাসদেও ধিক্কার জানায়। তাদেও অপকর্মে বিচার হবে প্রেমের সমাধিতে।

হায়রে বিধি! হায় নিয়তি! কল্পনা তুমি কি সত্যই কল্পনা নও। সকালে পূর্ব দিকে উদিত হয়ে পশ্চিম দিকে অসত্ম যায়। আসে সন্ধ্যা জনমানব সব ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু আমি শুধু তোমার কল্পনায়। যেন দিনকে মনে হয় যুগ রাতকে মনে হয় শতাব্দী। ঘুমিয়ে যায় পৃথিবী। শামত্ম পৃথিবী, জোনাকীরা মিট মিট আলোর মাঝে সারা রাত ঝি-ঝি পোকা ডাকে। তুমি যে ঝিঝি পোকার মত কল্পনা। তুমি কখনো ঘুমিয়ে পড়োনি। শ্রাবনে মেঘগুলো মতো, হেমমেত্মর সেই সাদা মেঘ টুকরো মতো সারাক্ষণ আমার দু’নয়নে ভেসে থাকো। এমতাবস্থায় তোমার নরম তুলতুলে হাতে লেখা চিঠি পড়ি বার বার। তার কয়েকটি অংশ এখানে লিখলাম।

আওজর দাদা,
                তোমাকে ছাড়া এখন অন্য কাউকে ভাবতে ঢেলে দিও না ডাস্ট বিনের ময়লার মত করে।     
                দাদা, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কিভাবে থাকবো তোমাকে ছেড়ে। ভেবে দেখো পরান। I 
                Love you. I Love you. I Love you.
               বিদ্র: One by one two by two kiss me one I Love you.
               I Love you. I Love you. I Love you.
                                                                                             ইতি
                                                                                             @টু

                   
 হায়রে বিধি লিপি! এতো ভালোবাসার সত্বেও আমার হৃদয়ে স্থান হলো না। তুমি জান না ছিজী, আমি তোমাততৈরি কওে রেখেছি। আমি যে তোমাকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসি।
ওগো চিজী স্বপ্নের বোনটি আমার, এত কিছু প্রতিশ্রম্নতি দেওয়ার সত্ত্বেও এত কিছু বলার, করার ও লিখার স্বত্ত্বেও কেন আমাকে এড়িয়ে চলো। আমি কি তোমার কাছে অন্যায় করেছি? যদি ভহলে কোন অন্যায় করে থাকি ক্ষমা করে দিও। প্লিজ। বারবার মনে পড়ে সেই অতীতে স্মৃতির কথা। দু’জনে তুমি আর আমি নলকূপে গোসল করা, পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া আর রিক্সায় করে স্টেশনে ঘুরা ইত্যাদি হৃদয়ে আমার আজো দোলা দেয়। আর সবচেয়ে স্মৃতিময় দু’জনে গভীর রাতে বের হয়ে জোনাকি পোকা সাথে খেলায় মেতে গেলাম। স্মরণ হয় কি তোমার? যা শত চেষ্টা করেও ভুলতে পারছি না। আজ কি এক মুহুর্তের তোমার সে পুরোনো স্মৃতিগুলো মনে আছে? না, তুমি সব ভুলে গেছ। যদি ভুলে যাবে তবে কেন আমাকে ভালবাসিলে? কেন???

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...