দিঘীনালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুসময় চাঙমা বক্তব্য রাখছেন। |
ভাষা জাতীয় স্বকীয়তার
প্রতীক। আর বর্ণমালা হলো তার অন্যতম ধারক ও বাহক। কেননা বর্ণমালার মধ্যে দিয়ে
জাতীয় বুদ্ধি ও চিমত্মা-চেতনা বিকাশ ঘটে। চাকমাদের বর্ণমালা থাকার এবং বাংলাদেশে
দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা হওয়ার সত্বেও সে প্রাণ প্রিয় বর্ণমালা ও ভাষা চর্চা না থাকার
বা না শেখার ২০১৭ সালে মাননীয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পাঁচটির ভাষার প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব ভাষা
বই দেওয়ার সত্বেও শিক্ষক/শিক্ষিকারা পড়াতে পারছেনা। এটা অত্যন্ত লজ্জার
বিষয়। বলাবাহুল্য, এক সময় নিজস্ব বর্ণমালার ব্যবহার গ্রামের বৈদ্যদের তালিকশাস্ত্র
ছাড়া আর কোথাও লজ্জাজনক ভাবে অনুপস্থিত। তেমনি ইদানিং, চাঙমা বর্ণমালা শিক্ষা বই যেখানে সেখানে পাওয়ার সত্ত্বেও এখনো
পর্যমত্ম চাঙমা সুধী মহলে কাছে তার প্রভাব পরিলক্ষিত
দেখা না গেলেও কলেজ ও স্কুলে ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে নিজ ভাষা ও
বর্ণমালা শিখার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বলে আশা ব্যক্ত করেন চাঙমা লেখা শিক্ষার্থীদের
সার্টিফিকেট বিতরন অনুষ্ঠানে বক্তারা।
আজ সকাল ১০টায় বাবুছড়া ফেন্ডশিপ স্কুলে‘‘ত্রিশতিন জাতির ভাষার
পারদর্শী হওয়া একটা মহৎ গুণ কিন্তু, তার আগে নিজ ভাষা ও বর্ণমালার সম্বন্ধে জ্ঞান
থাকার অত্যমত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ।’’ এই শেস্নাগানে মুখরিত করে আজ দিঘীনালায় উপজেলায় বাবুছড়া ফ্রেন্ডশিপ
স্কুলে চাঙমা লেখা শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট
বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিঘীনালা উপজেলায় ভাইস
চেয়ারম্যান দাঙগু সুসময় চাঙমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আবুল কামাল
আজাদ, এস আই বাবুছড়া পুলিশ ফাঁড়ি; চাঙমা ভাষায় লেখক সদস্য(জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ) দাঙগু
আনন্দময় চাঙমা; চাঙমা সাহিত্য বা এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং উপন্যাসিক দাঙগু
দেবপ্রিয় চাঙমা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অরম্নণ বিকাশ চাঙমা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক দাঙগু
জ্যোতি ময় চাঙমা প্রমুখ।
দাঙগুবী শ্রেয়সী চাঙমা উপস্থপনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য
রাখেন দাঙগু ইনজেব চাঙমা সাধারণ সম্পাদক, চাঙমা সাহিত্য বা ও সাঙু পাঠাগার
এর
প্রতিষ্ঠাতা। অনুষ্ঠান শুরুতে ত্রিপিটক পাঠ করেন দাঙগুবী প্রত্যাশা চাঙমা(৯ম
শ্রেণী ছাত্রী, উদাল বাগান হাই স্কুল)। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিতব করেন, দাঙগু তিমির
বরণ চাঙমা, প্রধান শিক্ষক, বাবুছড়া
ফ্রেন্ডশিপ স্কুল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দাঙগু
ইনজেব চাঙমা বলেন, এবছর ৯১৮জনকে নিজ বর্ণমালা সম্বন্ধে ক্লাশ করানো হয় এরই মধ্যে
কৃতকার্য্যা হয়েছেন মাত্র ৩১৮জন। ২০১৫ সালে ২৭১জন ও ২০১৬ সালে ৫৭জনকে সার্টিফিকেট
প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি চাঙমা
সাহিত্য বা, সাঙু পাঠাগার ও চাঙমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী উদ্যোগে আয়োজন করা
হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন