মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

কল্পনা চাকমা অপহরণ: ২৮ বছর পর মামলা খারিজ

প্রতিনিধি, রাঙামাটি, দৈনিক প্রথম আলো
দীর্ঘ ২৮ বছর পর বহুল আলোচিত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলাটি শেষ হয়েছে। আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি কল্পনা চাকমা আবেদন নামঞ্জুর করে মামলাটি অবসানের আদেশ দেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটির জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তা এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের মাধ্যমে কল্পনা চাকমা অপহৃত হলেও কে বা কারা অপহরণ করেছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনই বহাল থাকছে। প্রতিবেদনে কারও দায় পাওয়া না যাওয়ায় ২৮ বছর আগের মামলাটির অবসান হচ্ছে। তবে মামলার বাদী কল্পনার চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা আদালতের এ আদেশে ক্ষুব্ধ। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলার আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মামলার শুনানিতে বাদীর বক্তব্যও শোনেন আদালত। পরে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি আবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদন নথিভুক্ত করেন। এর মাধ্যমে ২৮ বছর চলার পর মামলাটি সমাপ্তি ঘটেছে। তিনি বলেন, 'পুলিশ সুপারের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত আসামিদের নাম উল্লেখ না করে সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দায়মুক্ত করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।'
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ১১ জুন মধ্যরাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার লাইল্যাঘোনায় নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন কল্পনা চাকমা। পরদিন কল্পনার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় অপহরণের মামলা করেন। প্রথমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত। পরে আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য রাঙামাটির পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেন। ২০১৬ সালে মামলার ৩৯তম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার।
পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে কল্পনা চাকমা অপহৃত হলেও কে বা কারা করেছে, তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন জানিয়ে মামলার অধিকতর তদন্তের দাবি জানান বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা। নারাজি আবেদনের ওপর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শুনানি চলে আদালতে। অবশেষে গতকাল পূর্বনির্ধারিত শুনানির দিনে আদালত পুলিশ সুপারের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
মামলার বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা আদালতের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এই বিচারে অসন্তুষ্ট। তিনি উচ্চ আদালতে গিয়ে আবার আবেদন করবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...