রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭

অবুঝ হৃদয়ে লিপিটুকু ইনজেব চাঙমা



             প্রণয় বায়ূর ন্যায় নিরাকার। ওটা স্পর্শ করা যায়না, তবে অনুভবনীয়, দেখা যায়না, কিন্তু বোঝা যায়। প্রেমিকের প্রেম -দুনিয়ার এই অনাহূত অতিথিটি বহু রূপী। সে কখনো আসে স-সাগরা পৃথিবীর সম্রাটের বেশে, কখনও বা আওলীয়া - পীর - ফকীরের বেশে। পৃথিবীর অতি প্রাচীর এই অতিথিটি  কিন্তু যে  বেশেই আসুক না কেন, প্রেমিক - প্রেমিকার কাছে সে চির নতুন - চির বরণ্য। বায়ূর ন্যায় সে নিরাকার হলেও এই প্রেমু অতিথির ভক্ত জন কিন্তু পূর্ব হতে পায় তার চরণ ধ্বনি। তাই এই ঈপ্সিত জনের আগমনে পূর্বাভাসে প্রেমিক - প্রেমিকা সাজায় তাদের বরণ ডালাঃ তারপর তারা অনুভব করে কখন তাদের অলক্ষ্যে সে যেন স্থান নিয়েছে হৃদয় মাঝেঃ অর্থাৎ স্বপ্ন বাসত্মবের তুলির টানে রূপ পেয়েছে।
            প্রেমিক একবার অবাক হয়ে দেখে, তার নয়নের মণির মাঝে স্থান পেয়েছে একখানা মুখ যাহুরপরী ন্যায় কাল্পনিক নয়, আলোছায়ার খেলা নয়অ সে খানা পরিচিতু অতি পরিচিত। এরপর তার অতি পরিচিত মুখখানা ঘুরতে ঘুরতে থমকে দাঁড়ায় চোখের  সম্মুখে ও প্রেমিক অনুভব করে তার অবস্থিতি। ভেঙ্গে যায় তার স্বপ্ন। স্বপ্ন রূপ ধরে তার কল্পনা। অথাৎ শূন্য হতে সত্যেও সন্ধান পেয়ে নতুন আবিষ্কারের আনন্দেও সে উঠে অধির।
তার এ নতুন তথ্যেও গোপনীয়তা কিন্তু বেশী দিন অপ্রকাশ থাকেনা। হঠাৎ একদিন হয়তো ‘‘শুক্লা’’ তার মা’ কানে কানে বলেছে, শুনেছিস মা’ পিসি বিউটি কাকার বাবুর সাথে প্রেম করেছে। আর যায় কোথায়? তড়িৎ গতিতে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রেমে পড়লে ভাব হয় উদাসীন উদাসীন, চাহুনীবেচেরা, বেচারা গতি বিধি সন্দেহ জনক, কাজে অকাজে সময় নষ্ট, মন আনন্দহীনু ছনপ্রবণ। নিরাশার প্রবাহে অমত্মরটা করে থৈ থৈ। অর্থাৎ রক্তহীনতা সমস্ত প্রকার লক্ষনই থাকে প্রাচুর্য। তাই প্রেমিকের অবস্থা দেখে তাকে সহানুভুতির চেয়ে মায়া করেতে ইচ্ছে করে বেশী।
             রাজাধি রাজার ক্ষেত্রে প্রেমে পড়াটা খেয়াল, আউলিয়া - পীরু ফকীরের ক্ষেত্রে বন্দেগী বা উচ্চচাঙ্গের একটা মারফতী মার্গের দুর্বোধ কথা অবতারদের বেলায় লীলা-খেলা। আর রাম-রহিম শ্যামদের ক্ষেত্রে? লাম্পট্য! অথাৎ প্রথমে কানা-কানি, তারপর হৈ চৈ, পরিশেষে - প্রেমিকস্যলাঠোষীধি। যার ফল - চ কিংবা ছ’ব ঝাড়ের সদ্য কাট। গিত ওয়ালা হাত দুয়েক এক কঞ্চির মিঠে কড়া মাত্র কয়েকটি ঘা! আমাদেও হতভাগা দেশে এটাই হল প্রেমের পরিণতি।
             সুতরাং এপথে যাত্রা না করা ভালো। এ পথে যে যাত্রা করে সে সহজে সুখি হতে পারেনা। কারণ এ পথ স্বগীয় হলেও সমাজের কাছে অভিশপ্ত। এ পথ প্রথমে মধুর, তারপর অপরিহার্য - শেষে অনুতপ্ত। কিন্তু তা হলে কি হবে? এ পথে চির সত্য সংজ্ঞা জানা থাকার সত্ত্বেও শত শত তরম্নন - তরম্ননী উনেমত্তের ন্যায় ছুটে চলে এই অনুতপ্ত পপথের অভিশপ্ত প্রেমের দুর্বার আকর্ষণে। হায় নিয়তী! বিধি লিপি অখ-নীয়। ললাট লিখন পরিহাসের ‘অপু’ আজ এই অভিশপ্ত পথের নয়া যাত্রী।
           অপু, তুমি কামত্ম হও; নতুবা কাঁদবে; তোমার অশ্বের বল্গাকষ, তা না হলে ধরাশায়ী হতে হবে। এ পথে সহজে কেউ সাফল্যের জয় মুকুট পরে গমত্মব্য স্থলে পৌঁছাতে পারে না।
           এ পথে সমাজে শ্যেন দৃষ্টি সদা জাগ্রত। ভেবে দেখো লাইলী - মজনুর কথা, নুয়োরাম- চান্দবীর কাহীনি। পেরেছে কি তাদের কেউ ঈপ্সিত - স্থানে তরী ভিড়াতে?
          ও হো অভিশপ্ত পথের নয়াু যাত্রী! তুমি বিরত হও; নতুবা ভাগ্যে তোমার ‘মহাজনো যেন গতঃ সপন্থায়।
           বিবেকের এত সর্তকবাণী সত্ত্বেও বেচারা ‘অপু’ নিজেকে সংযত করতে পারলনা। সে বিউটি’র প্রেম - দনিয়ায় ভাসলো তার জীর্ণ তরী।
       বর্তমানে দু’জনই এস.এস.সি পরীক্ষার্থী। অপু ছোট মেরম্নং হাই স্কুল হতে আর বিউটি বাবুছড়া হাই স্কুল হতে। অপু আজ তার চলার পথের সর্বক্ষণের বন্ধু। হয়তো কোন সুকর্ম ফলে তারা দু’জনে দেখা - দেখি। তারা দু’জনে একই ঘরে লোজিঙে থাকে। অর্থাৎ অপু চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে। ইনি কবাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক। আর অপর ভাবী শুক্লা মা ও সবৃদা বাহিরে যান। সুতরাং তারার অবর্তমানে বাসায় বেশ কয়েকদিন ধরে খেলা-ধুলা, আমোদ-প্রমোদ ও নানান ভাবে মেলা মেশায় ভেতওে দিয়ে্এক জনে আর্একজনের কাছে মনের মানুষ অর্থাৎ একজনকে না দেখলে অর একজনে থাকাটা বিষম কষ্ট কর ও বিষাদে। যেন তাদের কে মনে হয় রাধামন - ধনপদি।
টুকরো মেঘ জমে হয় ঘনীভূত; ঘনীভূত মেঘ জমে করে বৃষ্টি সৃষ্টি; আর বৃষ্টি জমে হয় বরফ। তেমনি বিউটি - অপু অবাধ মেলা-মেশায় দু’জনের মধ্যে সঞ্চার হলো পরস্পরে  প্রতি আকর্ষণ আর বিক্ষিপ্ত আকর্ষণ জমে একদিন আত্মপ্রকাশ করলো প্রেমাকারে।
বিউটি ভাবে, অপু তার জীবন চলার পথে বন্ধু। অপু ভাবে বিউটি সাথে তার সমন্ধটা ভাই-বোন; বন্ধু হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা কল্পনায়। সে ভাবে নারী ছলানময়ী। আর সে...........................................?
তাই বিউটির প্রেম দরিয়ার সে তার জীর্ণ তরী ভাসালেও কখনও সে তরী মাত্রায় বাইওে যায় না; অতিক্রম কওে না সীমা।
বিউটি, কিন্তু তা পছন্দ কওে না।  সে ভাবে অপু তাকে বুঝি ভুল বুঝছে। তাই যেন এড়িয়ে চলতে চায়।
অপু তার বড় ভাইয়ের আত্মমর্যাদা সম্বন্ধে সদা সজাগ। তাই সে নিজেকে আদব - কায়দার কৃষ্টি পাথরে ঘষে চায় বড় ভাইয়ের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করতে। বিউটি কিন্তু চায় নিজেকে অপু’র মাঝে বিলিয়ে দিতে।
অপু ভাবে নারী ছলনাময়ী বিউটি তাকে নিয়ে ফার্ন করছে; বিউটি ভাবে অপু তাকে পরীক্ষা করছে। কিন্তু তাদেও পরস্পওে এ ভুল ভাঙ্গল যে দিন তারা দু’জনই পড়াধ্যানে মগ্ন। এস.এস.সি পরীক্ষা শুরু হয়েছে সপ্তাহ ধরে। নিরব নিথর রাত চারিদিকে অন্ধকার; শুধু আকাশের বুকে তারার মেলা আর বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে। মাঝে মাঝে দু’ একটি জোনাকি পোকা মিট মিট করে জ্বলছে। মানুষের আনাগোনা নেই বললে চলে। এমন সময় বিউটি কিছুতে ঘুমাতে পারছেনা। অপুকে না বলার কথাগুলো বলার জন্য তীরবিদ্ধ পাখির মতো ছটফট করছে। শুধু বই খুলে চেয়ে আছে, কিন্তু পড়ে না; আবার ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু ঘুম নেই। শুধু দু’চোখে ভাসে অপুর প্রতিচ্ছবি। বিউটি অপুকে নিয়ে ভাবতে লাগল। ‘‘দাদা, তুমি কি জান না, আমি যাকে ভালোবাসি সে ছেলেটি হলে তুমি। আমি  যে শুধু তোমাকে না দেখলে থাকতে পারিনা। আমি যে তোমাকে ছাড়া আর কাউকে ভাববার সময় পাইনা। আমি তোমাকে না দেখলে থাকতে পারিনা।ামি সব সময় তোমার পাশে থাকতে চাই। দাদা, তুমি আমাকে তোমার হৃদয়ে স্থান দাও।’’
আর অপু, ঘুমের বিভোর। সেই নিজেকে সামলে নিয়ে কোন মতে ঘুমিয়ে গেছে। শয্যা সুপ্ত অবস্থাতে বিউটি তার রম্নম থেকে বেরিয়ে এসে অপু রম্নমে ঢুুকে অপুর নাকে টিপে ধরলে অপুর ঘুম ভাঙে।
             অপু:     কে তুমি অমন করলে কেন?
            বিউটি:    দাদা, তুমি এত ঘুমাও? কেন জানিনা আমার দু’নয়নে ঘুমম আসেনা। তুমি কেন বোঝনি
                      আমার কষ্টতা। দাদা, আমার বুকটা ধরে দেখো।
            অপু:     ধরলাম।
      বিউটি অপুর দু’হাতে ধরে বিছানা হতে তুলে দু’জনে হাতে হাত ধরে ঘরের বাহিরে আম গাছে নিচে বসে পড়ল।
           বিউটি:   যে হাত ধরেছি সে হাত ধওে মরতে চাই দাদা। বায়ূ ছাড়া মানুষ যেমন বাচঁতে পারেনা,   
                     তেমনি তোমাকে ছেড়ে আমিও বাঁচবোনা।
           অপু:     চিজী, আমি যদি তামাকে আমার জীবনে না পায় এই পৃথিবীতে আমার বেঁচে থাকা কোন
                     লাভ নেই। আমার জীবনে সমসত্ম ভাবনা শুধু তুমি। আমি তোমাকে পেয়ে আমার জীবনে
                     আলোর প্রদ্বীপ খুঁজে পেয়েছি।
          বিউটি:     দাদা, তুমি আমা জীবসেুখের প্রদ্বীপ খঁজতে গিয়ে আমাদের ভালোবাসাটুকু  ভুলে গিয়ে
                    আমার কাছ থেকে দূওে যাবেনাতা?
           অপু:       না ছিজী। আমি যে তুমি ছাড়া কিছুতেই ভাবতে পারিনা। আমার সম্সত্ম কল্পনা জুড়ে শুধু তুমি।
         বিউটি:    দাদা, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবোনা। জানিস দাদা, আমি তোমাকে ছাড়া এক মুহুর্তেও জন্য           
                    ভুলে থাকতে পারিনা। সবসময় তোমাকে কাছে পেতে স্বাদ জাগে।
কিন্তু আজ!!! অপু জীবনে বয়ে এলো এক অমানিশা ঘোর অন্ধকার। সুখ-দুঃখ মানুষের চির সাথী। তাই মানুষ হারনো ধন ফিরে পেলে যেমন আনন্দ পায় তেমনি অপু প্রত্যাশিত বস্ত্ত না পাওয়ার বেদনা মুষড়ে পড়ে। অপু এত ভালোবাসা সত্ত্বেও অপু জীবনকে অনেক দূও টেলে দিয়েছিল। যে ফুল দিয়ে মালা গাথিয়ে সারা জীবনকে সুখের থাকার স্বপ্নের জাল বিসত্মার করেছে সে ফুল তাহাকে বেদনা ভরে রেখেছে। অপু সকল স্বপ্ন, আশাু আকাঙ্খাটুকু ভেঙ্গে দিয়ে অবুঝ নরম হৃদয়ে এক শোকের ছায়া বয়ে এনে দিয়েছে। জানিনা অপু জীবনে কোথায় কি হবে। হয়তো এমন শূন্য হৃদয় নিয়ে মরতে হবে। আজ  অপুর পানে কেউ নেইঅ সেই ছেড়া ফুলের দুগন্ধ অপুকে আতঙ্গ করে ফেলেছে। জীবনে কোন শামিত্ম আভাস নেই। আমিও ভেবে ছিলাম এই ফুল অপুকে সুখী করবে কিন্তু সে আশা নিষ্ফল। সে আশা আজ নিরাশায় পরিণত হলো। সত্যি অপু আজ হতভাগা- আভাগাঅ Once unlucky. Always unlucky. দুঃখের ভরাক্রামত্ম হৃদয়ে লেখা অপু বিরহের লিপিটি হুবহু তলে ধরলাম।
[চলবে]




জাগি উদ




ও বাপ - ভেই লক!
ও মা বোন লক!
উদ উদ ঘুমত্তুন জাগি
পহর ফাদি এযের চেরো মক্যা।
 বেগে ধজ্যেন বাকপাহদি এয আমি ঘুমত আঘি।
পোত্যারাজি পরিল রাদাবু ডাক দিল
উদি এয ঘুমত্তুন তুমি,
সংসমারে হুচ্ পেলেই মুজুঙে আক্কোই যেই;
ন থেবং আর  লেম পরি।
সাঙু পাঠপগার আমা নুয়ো আঝা নুয়ো সমারি।
মোন-মুড় ঝাগালা, ছড়া-ছড়ি ছাহ্জা
চিৎ জুরেবার কিচ্ছু নেই,
আঘেবানা মনবল আঘে সাঙু পাঠাগার
নুয়ো দিনর নুয়ো আঝা ভরি তুলিবার।
সাঙুু পাঠাগার ওক আমার মুজুঙে
আক্কোই যেবার হাত্যার।

সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭

নুয়ো পিহরি জাগি উত্তন


২৩,২৪ আ ২৫ জুলাই ট্রেনিঙর ছবি

 ক’দিন আঘে মুই খুউব চিওম্যা এলুঙ। কিত্যাই, আমার চেরোপালা মানুচর কধা ভাবি। ইধোত উদে নুয়ো রামর সে কবিদ্যা কধা। তে কোইয়ে ‘‘অজল পাগজ্যা নিজ ঝুপ দিন দিন পরেলিস্ন কলি যুগ, কলি যুগত সত্য নেই, বুগ ছিরি দেঘেলেও  পত্য নেই।’’ আজলে সিয়ান মুই যধবদে গরি বিশ্চেস যাঙ। ইরম্নক দিনত কারে কন্না থোগেই পারে, কারে কন্না কদক বেজ পরাদি পারে এধক্যে গরি দিন-কাল তোড়াদন।
               গেলেস্ন জুন মাজ এল আমার চাঙমা লেঘা শেঘানা মাজ। বাঙালর পবিত্র রমজাম মাজ। এ মাজত ইশকুলত লাম্বা ইক্কু বন্ধ এল। এই বন্ধ দিনত আমি দিঘীনালা উপজেলাত ১১য়ান জাগাত(হাই আ প্রাইমারি ইশকুল) চাঙমা লেঘা শেঘেয়্যাই চাঙমা সাহিত্য বা আ সাঙু পাঠাগার তপ্পেত্তুন। ইয়ত দাঙগু এলিয়েন্স চাঙমা এল মর ছাবা সান। বানা কি সিয়ান? না, তে মরে  নানা কিজু পরামর্শ দিদ। আ দাঙগুবী শ্রেয়সী চাঙমা, দাঙগু রিকন চাঙমা(তারা দ্বি জনে মাস্টর, বাবু ছড়া ফ্রেন্ডশিপ ইচকুলত), দাঙগু রির্টান চাঙমা(বাঘাইছড়ি, বাবুছড়া) আ দাঙগু উজ্জ্বল চাঙমা চাঙমা(বাবু ছড়া হাই ইচকুলর মাস্টর) তারারে ইধোত ন তুলি ন পাঙর। তারার এজালে চাঙমা লেঘা কোর্সু দোলে দোলে থুম গরি পারা যিয়ে।
২৩ জুলাই ট্রেনিং গরার বিদ্যুৎ জ্যোতি চাঙমা
                ইক্যে কধা কত্তে, হাজাছড়া জোড়া ব্রীজ  জনিয়র ইচকুলত ২৩ জুন চাঙমা লেঘা শেঘা যাদে জীপ গাড়ি ন পেন্যাই এক্কান হোন্ডা নেযা পয্যা। তে মত্তুন ৮০ তেঙা চাই। শেজে ৭০ তেঙালোই দর গরি লত্ দিলুঙ। মর এক্কান পাজা অহলদে মুই পাত্তে ভাগে বাঙাল গাড়িত কম উধোং। কিত্যাই, বাঙাল্যা যুনি কন এক্কান অয়? ইদোত উদে ২জুন লংগদু কধা। ৩০০ উগুরে ঘর ছেই বানে দ্যুন। সিত্যাই চাঙমা গাড়িত গরি জোড়া ব্রীজ গেলুঙ। সিধু যেন্যাই মরে ইক্কু মিলে কত্তে(তে, চে রম্নয়ে মুই ভাড়া দেদ্যা), আ দা কত্তুন এযর? দিঘীনালাত্তুন। তে কল দিঘীনালাত্তুন জোড়া ব্রীজ একজন ৩০ তেঙা, দ্বি জন অলে ৫০ তেঙা হোন্ডা ভাড়া। মুই চাঙমা ইজেবে বিশ্চেস আঘে মরে ন থোগেবাক। সে বিশ্চেস মর লারে লারে  জাঙারে ধরের।
               ২০১৫ সাল। দিন - পুর ইক্যে ইদোত নেই।চাঙমা লেঘা শেঘা যাঙর উত্তর রেংকায্যা হাই উচকুলত। মেরম্নং স্টেশনত লামিনে ম ইক্কু ইচকুলর সমাজ্যা লাগত পিয়ঙ। তে মত্তুন পুজোর গরে মুই কন কুম্পানিত চাগুরি গরঙ। তা ধক বুঝি হোচ গরি কলুঙ, ‘চাঙমা সাহিত্য বা’।
-বেতন কদক পাচ?
ট্রেনিং চলানা অক্তত কৃতি চাঙমা পুঅ/ঝিউনর উদ্দেশ্য কধা কর।
- আপাতত ন পাঙ। দ্বি-তিন বজর যাদে  লাখ উগুওে বেতন পেম।
           এই কধায়ান শেজ অধে ন অধে মরে চা দোগাত আহদত ধরি থানি নিল। পেজেহ্ পেজেহ্ পুজোর গরে নানাঙ কধা। শেজে তারে  দোলে বুজে কলুঙ- ‘‘চাঙমা সাহিত্য বা ইক্কু অলাভ জনক সংস্থা। আমা কাম মাগানা গরানা, দেচ-জাত কোচপেন্যাই ইয়ানি গরি, চাঙমা সাহিত্যরে বিশব সাহিত্য ইজেবে থিদ গরিবাত্যা। তরে  লাখ উগুরে যে বেতনর কধা কলুঙ সিয়ান অলদে আমি এযাবত ৩০০জনরে চাঙমা লেঘা শিঘিয়েই। এযেত্তে বজরত যুনি যার যার মা ভাচেছাই ইচকুলত লেঘা শিঘি পান। তারাও চাঙমা লেঘা পারন ইজেবে চাকরী পেবাক। যুনি দুর্নীতি ন অয়। ৩০০জনত্তুন যুনি ১০জনে চাগরি পান তারা বেতন ১৫ আজার ধরলেস্ন ১০জনর বেতন ১৫০,০০০ আজার টেঙা। তরে এই কধায়ান কবার চেনেই ইক্কু চা বকশিষ পেলুং।’’

           বেগ শেজে লক্ষীছড়ি উপজেলাত চাঙমা লেঘা কোর্স চালু গরিবাত্য দাঙগু সুমন চাঙমা লোই(সদস্য, সাঙু পাঠাগর) এবজর মার্চ মাজত সিধু গেলঙ। ১নং লক্ষীছড়ি ইউনিয়নর চেয়ারম্যান্যেলোই এগত্তন অই হবর পেলঙ উপজেলা চেয়ারম্যান্যে নেই। ঢাকা কামে যিয়ে। তারলেস্নাই কধাবাত্তায় কোর্সু দিন - পুর বানিলং, এপ্রিল ৭দিনত কোর্সু ফগদাঙি গরানা। বেক্কানি তাত্তুন পরামর্শ গরি এলঙ। শুগনছড়ি দেয়ান পাড়াত্তুন দাঙগু প্রদীপ চাঙমা তারে ফাঙগরা যেইন্যাই উপজেলা চেয়ারম্যান্যে তারে আগে ন মাধেনেই এক্কা কুজুক কুজুক পেন্যাই প্রদীপ্যা মরে ফোনে কয়দ্যা দা, তুই এক্কা উপজেলা চেয়ারম্যান্যেলোই কধা কোইচ। কধা কোইনেই চেয়ারম্যান্যে মরে কল- ‘‘ইধু(লক্ষীছড়িত) কন্না কন্না কাম গরত্তে?......শুন, ইয়ানি অলদে বৃহত্তর বিষয়-সাহিত্য বিষয়। এচ্যে বাংলাদেশ কমেলেত্তুন ধরি সাহিত্য নিনেই গবেষনা গরেত্যা। আন্দাজ্যা অহ্লে ন গাত্তো। .................এম পাশ পদে ঘাদে। দিঘীনালাত দ আর বেজ। বানা চিগেরেত খেই খেই থানদে - জুয়া খেলা খেলে খেলে। ..... তুমি আন্দাজ্যা দ শেঘে গেলে ন অহব। তোমালেই কধা কনা যথেষ্ট দরগার এল ....................।’’
                আঘে কোই অয়্যা উপজেলা চেয়ারম্যান্যে ন থানার আ ইউনিয়ন চেয়াম্যান দাঙগু প্রবীল চাঙমার সলস্না পরামর্শলোই গরবা বলা যেব কারে কারে বেগ থিগ গরা অয়্যা। এই কধানি শুনি পল্যে মনত এক্কা ডর সম্যে। কধা আঘে, ‘‘পদ ফুরোই সাঙু দুয়োরত, কধা ফুরোই নানু দুয়োরত। ইয়ান চিন্দে গরি নানু থোগেই ৭এপ্রিল লক্ষীছড়ি পিএফসি ইচকুলত ‘‘চাঙমা লেঘা কোর্স’’ ফগদাঙ গচ্ছে। হমাক্কাই কোম ইয়ত আমার আত্তো আজারউগুরে টেঙা করচ অহলেয়ু আমি কোর্সু গরি পাচ্ছেই। ইয়ান এই কনচুসুক্যা দিন মাধানত ডাঙর ফাওত্তি ভিলি মনে গরঙ।
               আ আমা নুয়ো তববা বা নুয়ো পিড়ি কধা ভাবিলে গত্তনাত কাজি  দিন্যাই মরিবার মনে কয়। তারা ফেসবুক বাদে কিচ্ছু ন বুঝন। কুধু গেলে ইক্কু দোল ছবি আপলোড দি পারিম, কন কিয়োঙত, কন তানজাঙত, কন রিঝেং-ঝুরঝরিত  না পর্যটনত। বেগে এচ্যে রঙ্গতামাশাত মিজি থেবার চান। ইন্দি ঘর উন্দোরবু উদে আর্ পরের খবর নেই। ইয়ান মুই তারারে দুষ দিবার ন চাঙ। দুচ্ছান আমার রাজরর চেলাউনর। মুই বিশ্চেস গরঙর আমা চাঙমা জাত্তু তলে পরিয়্যা নয়। যুগে যুগে তারা সুয়োল গরি এত্তন। রেয্য পর রেয্য শাসন গরি ইচ্ছুন। সে বংশর পুঅ/ছাউন এধক্যে অহনার ডাঙর কারন আঘে।
              যা ওক, গেলদে ২৩, ২৪ আ ২৫ জুলাই মাজত চাঙমা সাহিত্য বা আ সাঙু পাঠাগার এই দ্বিবে জধা দিঘীনালাত তিন দিন সং যারা মুজুঙর দিনত আদামে আদামে, ইচকুলত, কলেজত চাঙমা লেঘা শেঘেবাক তারারে ট্রেনিং গরা অয়্যা। এই ট্রেনিঙত্তুন বুঝি পাচেছাঙ আজলে জাত্তুরে কোচপিয়ে মানুচ এয আঘন। কিত্যাই বারেজ্যা দিনত, উরহুজ্যা ঝরত তারা নিআলসি গরি ট্রেনিং গচেছান, নিজ খরচে। তারা ইমে গচেছান, সাপ্তাই দ্বি’ঘন্টা জাদত্যাই নিজ জীংহানিত্তুন খরচ গরিবাক।
     এচ্যে সময়র গঙারে বেক্ বদলি যিয়ে, বদলি যিয়ে হিল চাদেগাঙ সমুত্তু গোদা পিত্তিমীর ধক। যক্যে ভারদত কালা মেঘ চাগা ভেদা দের সক্যে মোদি বেক্কুনরে মিটিঙত ডাগিলে বেগে উজে যিয়োন। মাত্তর, আমি? এই উত্তর তোমা সিধু। মুই ন কলুঙ। তবে ইক্যে মর আঝায় বুক ভরি যার ইয়ান ভাবিনেই, দেচ হারেলেয়ু আমা মা ভাচ্ছান আহজি ন যেব। কিত্যাই নুয়ো পিরি জাগি উত্তন। মা ভাচেছাই সাহিত্য চযযা গত্তন। এধক্যে নালে আহদিলে হিলর ছড়াগাঙ ঝালাববর অহব, গাজে গজে নানাঙ ফুলে তম্বাস ছিদিব। মোন-মুড় এ্যাই অহব। যিধু যেই, যিধু থেই এই অমূল্য দরপ্পান লগে নি পাবিবং।  ইধোত গাদে রাঘ হিল চাগোঙ বাদে আমা কন কিত্যা জাগা নেই।

মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭

দিঘীনালায় তিন দিন ব্যাপী চাঙমা লেখা প্রশিক্ষণ


প্রশিক্ষার্থীর একাংশ


প্রশিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ২নং বোয়লখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাঙগু চয়ন বিকাশ চাঙমা কথা বলছেন।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাতৃভাষাকে মায়ের দুধের সাথে তুলনা করেছেন শিশুর জীবন ধারণ বৃদ্ধির জন্য যেমন মায়ের দুধ অপরিহার্য তেমনি নৈতিক, মানসিক আত্মিক বিকাশের জন্য মাতৃভাষার কোন বিকল্প থাকতে পারেনা বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সংগ্রামের ২০১৭ সালের দেশের পাঁচটি আদিবাসী শিশুরা নিজ নিজ মাতৃভাষা বই হাতে পেয়েও নিজ নিজ ভাষায় পড়া লেখা শিখতে পারছেনা এমন বস্তবতায় চাঙমা সাহিত্য বা সাঙু পাঠাগার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়ে চাঙমা লেখা ২০০৩ সাল হতে বর্তমান পর্যন্ত স্বউদ্যোগে শিক্ষার্থীকে শিখে যাচ্ছে।প্রশিক্ষণ সমাপণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “দেশের দ্বিতীয় ভাষা হচ্ছে চাঙমা ভাষা। তাই সবাই চাঙমা ভাষাকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠা করেতে প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থীকে সপ্তাহে দুই ঘন্টা সময় দেশের জন্য ও জাতির জন্য ব্যয় করার আহ্বান জানান।”
গত ২৩ জুলাই ২০১৭ইং সম্মানীত শতরূপা চাঙমা (সদস্য, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ)র আর্থীক সহযোগীতায় ২নং বোয়াল খালী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনাযতনে চাঙমা বর্ণমালা ও ভাষা প্রশিক্ষণ কোর্স তিন দিন ব্যাপী আয়োজন করেন, চাঙমা সাহিত্য বা ও সাঙু পাঠাগার।প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বৌদ্ধ ধর্মীও প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঙমা লেখা কোর্স চালু করা।এতে এক ঝাঁক সাহিত্য কর্মী ও চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা প্রতিনিধিরা চাঙমা বর্ণমালা প্রশিক্ষণে অংগ্রহণ করেন।
দাঙগু বিদ্যুৎ জ্যোতি চাঙমা।
অংশগ্রহন প্রতিনিধিরা হচ্ছেন, দাঙগু সুমন চাঙমা, লক্ষীছড়ি উপজেলা, দাঙগুবী সনিকা চাঙমা ও দাঙগুবী কনিকা চাঙমা মাটিরাঙ্গা উপজেলা, দাঙগু সুমঙ্গল চাঙমা, পানছড়ি উপজেলা, দাঙগুবী অপ্রমিয় চাঙমা, খাগড়াছড়ি মহিলা কলেজ, দাঙগু সুদর্শন চাঙমা, খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ, দাঙগু সুফল চাঙমা, লংগদু উপজেলা, ১নং মেরুং ইউনিয়ন হতে দাঙগু শ্যামল চাঙমা, দাঙগু ভূমিত্র চাঙমা ও দাঙগুবী ইনিকা চাঙমা, বাবুছড়া উপজেলা হতে, দাঙগু রিকন চাঙমা, দাঙগুবী শ্রেয়সী চাঙমা, বাবুছড়া কলেজ হতে দাঙগু সোনামণি চাঙমা, ৪নং দিঘীনালা হতে দাঙগুবী জুইঁ চাঙমা, দাঙগুবী এমি চাঙমা ও দাঙগু নিকালাশ চাঙমা, উদল বাগান হাই স্কুল হতে দাঙগুবী প্রত্যাশা চাঙমা ও দাঙগুবী জেকি চাঙমা, ২নং কবাখালী ইউনিয়ন হতে দাঙগুবী রিয়া চাঙমা ও দাঙগু নভেল চাঙমা, দিঘীনালা সঃ উচ্চ বিদ্যালয় হতে দাঙগু জিনিয়েট চাঙমা, দিঘীনালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে দাঙগুবী কালজয়ী চাঙমা, দিঘীনালা কলেজ হতে দাঙগুবী লাকী চাঙমা, খাগড়াছড়ি হতে দাঙগু বিকেন চেগে ও দাঙগু পরেশ চাঙমা ও দিঘীনালা উপজেলা হতে দাঙগু এলিয়েন্স চাঙমা প্রমুখ।

দাঙগুবী প্রত্যাশা চাঙমা গান পরিবেশন করছেন।
প্রশিক্ষন চলাকালীন পরিদর্শন করেন ২নং বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান দাঙগু চয়ণ বিকাশ চাঙমা, খাগড়াছড়ি সঃ মহিলা কলেজের লেকচারাল, সাবেক সম্পাদক, চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা ও চাঙমা সাহি্য বা’ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দাঙগু কৃতি চাঙমা ও বাংলাদেশ আদিবাসী কবি পরিষদের সভাপতি দাঙগু কে.ভি. দেবাশীষ চাঙমা প্রমুখ।
২৩, ২৪ ও ২৫ জুলাই ২০১৭প্রশিক্ষণ কোর্সে ট্রেনার ছিলেন দাঙগু বিদ্যুৎ জ্যোতি চাঙমা, ম্যানেজার, জাবারাং কল্যাণ সমিতি ও সাঙু পাঠাগার প্রতিষ্ঠতা ও চাঙমা সাহিত্য বা সদস্য সচীব দাঙগু ইনজেব চাঙমা চারু।
প্রশিক্ষণ শেষে দাঙগু ইনজেব চাঙমা কৃতজ্ঞতা জানাই যারা প্রশিক্ষণের জন্য আর্থীক ও শারীরিক সহযোগীতা করেছেন তাঁদেকে। বিশেষ করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পড়িষদের সদস্য দাঙগুবী শতরুপা চাঙমা, দিগীনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দাঙগু নবকমল চাঙমা ও দিঘীনালা রিবেং যুব সঙঘ সভাপতি দাঙগু রিপন চাঙমা প্রমু


  

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...