শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২

পার্বত্য চুক্তি করে পিসিজেএসএস কি ভুল করেছে? - Anurug Chakma

 

১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি করে পিসিজেএসএস জুম্ম জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। সরকারের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে সন্ত লারমা জুম্ম জনতার সাথে বেইমানি করেছে। জুম্ম জনগণের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করেছে। এটা কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ? চুক্তির ২৫ বছর পরেও এই প্রশ্নটি জুম্ম সমাজে প্রাসঙ্গিক থেকে গেছে।

পিসিজেএসএস কেন শান্তি চুক্তি করল? আপনি এই প্রশ্নটি নিয়ে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ভাবতে পারেন। বিশ্বে কি শুধুমাত্র পিসিজেএসএস সরকারের সাথে শান্তি চুক্তি করেছে? চুক্তি করার মাধ্যমে জনগণকে প্রতারিত করেছে? আপনার-আমার পারসেপশন অনুসারে প্রতিটি শান্তি চুক্তি যদি প্রতারণার বিষয় হয়, তাহলে UCDP Peace Agreement Dataset Version 22.1 তথ্য মতে ১৯৭৫-২০২১ সালের মধ্যে দেশে-দেশে ৩৭৪টি শান্তি চুক্তি কিভাবে হল? পিসিজেএসএস না হয় প্রতারণা করল, দালালি করল, ভুল করল, তাহলে দেশে-দেশে শত-শত অধিকারকামী সংগঠন কেন একই ভুল করবে? আমার প্রশ্নটা সেখানে।
গবেষণা দাবি করে, স্নায়ু যুদ্ধের পরে বিশ্বে শান্তি চুক্তি কয়েকগুন বেড়েছে। এজন্য আপনাকে বুঝতে হবে, কেন শান্তি চুক্তি হয়? কখন সরকার এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো চুক্তি করে? এই প্রশ্ন নিয়ে আমাদের ডিসিপ্লিনে অনেক গবেষণা হয়েছে। এসব অনেক গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Johns Hopkins University-এর অধ্যাপক I. William Zartman-এর দেওয়া Ripeness Theory ব্যবহৃত হয়েছে। এই তত্ত্বের মূল বক্তব্য হল, দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত গোষ্ঠীগুলো (Conflicting Parties) এমন সময়ে চুক্তিতে উপনীত হয় যখন উভয় পক্ষ উপলব্ধি করতে পারে এক পাক্ষিক (Unilateral means) পদক্ষেপ/কৌশলের মাধ্যমে যুদ্ধের সন্তোষজনক কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে না। বরং, যুদ্ধ চলমান থাকলে উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেটাকে আমরা Negative-Sum Outcome বলে থাকি। উভয় পক্ষ যখন এটা বুঝতে পারে সেই সময় এবং বাস্তবতাকে আমরা “Ripe Moment” এবং “Mutually Hurting Stalemate” হিসিবে অধ্যয়ন করে থাকি। অর্থাৎ, Ripe Moment-এ উভয় পক্ষ যুদ্ধ থেকে বের হয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চলমান সমস্যার একটা সমাধান (Way Out/Positive-Sum Outcome) করার চেষ্টা করে। অনেকটা Prisoner Dilemma Game থেকে বের হয়ে Cooperative Game শুরু করে।
তত্ত্ব নিয়ে লেখাটা জটিল করতে চায় না। বরং, Simulation-এ গেলে বুঝতে সুবিধা হবে। আমরা সবায় জানি, সরকার শান্তি চুক্তি করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পেরেছে। সরকার নানা দিকে থেকে লাভবান হয়েছে। আপাতত সরকারের লাভ-ক্ষতির হিসাবটা (Cost-benefit analysis) বাদই দিন। বরং পিসিজেএসএসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেটা নিয়ে ফোকাস করা যাক। ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি না হলে জুম্মরা কি লাভবান হত? লাভবান হলে কিভাবে হত? স্বায়ত্তশাসনের বেশি পেতেন? নাকি বর্তমান শান্তি চুক্তির চেয়ে বেশি রাজনৈতিক অধিকার পেতেন? মাইগ্রেশন থেমে থাকত? পাহাড়িদেরকে উচ্ছেদ করার কর্মযজ্ঞ বন্ধ থাকত?
এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আপনার আফ্রিকায় যাওয়ার দরকার নেই। ল্যাটিন আমেরিকায় যাওয়ার দরকার নেই। দক্ষিণ এশিয়া থেকে সিমিলার কেস স্টাডি নিতে পারেন। প্রতিবেশী ভারতে মিজোরা কি পেয়েছে? শ্রীলঙ্কায় তামিলরা কি পেয়েছে? ভারতের কাশ্মীরে জনগণ কি পেয়েছে? পাকিস্তানের বেলুচেস্তানে জনগণ কি পেয়েছে? আপনার সমস্যা তো আপনার একার না। দেশে-দেশে লড়ায়-সংগ্রাম চলছে। এসব কেস স্টাডি বিবেচনায় নিলে আপনার কি মনে হয়, বর্তমান শান্তি চুক্তি আপনার জন্য কম হুয়েছে?
বর্তমান চুক্তিতে ভাল কিছু কি একেবারে নেই? তবে হ্যাঁ, চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা এবং রোডম্যাপ নেই। কথা সত্য। বিশ্বে কি একমাত্র পিসিজেএসএস এই কাজটি করেছে? আমাদের এটা জানা দরকার। অনেক দেশের শান্তি চুক্তিতে বাস্তবায়নের সময়সীমা নেই। ক্রোয়েশিয়ার ১৯৯৫ সালের Erdut Agreement এবং ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী সরকারের সাথে নেলসন ম্যাণ্ডেলার স্বাক্ষরিত Interim Constitution Accord-এ চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ নেই। Kroc Institute-এর মতে, চুক্তি সম্পাদনের দশ বছরের মধ্যে ক্রোয়েশিয়ার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের হার ৭৩.৩৩ শতাংশ। অপরদিকে, চুক্তি সম্পাদনের দশ বছরের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের হার ৯২.০০ শতাংশ। চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ না থাকার পরেও এই দুটো চুক্তির অগ্রগতি কি প্রমাণ করে না, চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বরং সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ?
তাই, চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা এবং রোডম্যাপ (যেটা দিয়ে পিসিজেএসএসকে খোঁচা মারা হয়) থাকলে যে চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেটা সন্দেহাতীতভাবে ভাবা অনেকটা বোকার স্বর্গে বসবাস করা। কেন বলছি জানেন? দুটো উদাহরণ দিয়ে বিষয়টার ব্যাখ্যা করি। Djibouti-তে ২০০১ সালে শান্তি চুক্তি হয়েছিল। বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ থাকার পরেও চুক্তি সম্পাদনের দশ বছরের মধ্যে মাত্র ৫১.৮৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। Philippines-এ ১৯৯৬ সালে Mindanao Final Agreement হয়েছে। এই চুক্তিটিতেও বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ থাকার পরেও এই চুক্তির মাত্র ৫৯.৭২ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এই দুটো চুক্তির বাস্তবায়নের অগ্রগতি অনেকটা আমাদের পার্বত্য চুক্তির মত বলা যেতে পারে। তাই, আমাদের পার্বত্য চুক্তিতে না হয় বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ নেই। কিন্ত এই দুই দেশের চুক্তিতে তা উল্লেখ আছে। তাহলে কেন এই দুটো চুক্তির বাস্তবায়ন থমকে গেছে? বাস্তবায়নের সময়সীমার সাথে চুক্তির অগ্রগতির হওয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে, এই দুটো উদাহরণ তা ভুল প্রমাণিত করে। তবে হ্যাঁ, চুক্তিতে বাস্তবায়নের সময়সীমা এবং রোডম্যাপ থাকলে ক্ষতি হয় না। তবে, এটা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য একমাত্র Explanatory Variable না।
চুক্তি বাস্তবায়ন প্রত্যাশিতভাবে না হলেও সরকারের পাশাপাশি পাহাড়িদেরও একটা বিশাল অর্জন হয়েছে। সেটা হল, শান্তি চুক্তি করার মাধ্যমে সরকার পাহাড়িদের অধিকার মেনে নিয়েছে। পাহাড়িরা দীর্ঘ দুই যুগের বেশি যে লড়ায়-সংগ্রাম করেছে তা যে যৌক্তিক ছিল অন্তত তার বৈধতা মিলেছে। একথা কমবেশি আমাদের সবায়কে মানতে হবে।
শেষ করব এই বলে, নিজের ইতিহাসকে অস্বীকার করে কেউ নিজের ভবিষ্যতকে গড়তে পারে না। ভুলে গেলে চলবে না, ১৯৭২ সাল থেকে জুম্ম জনগণের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে লড়ায়–সংগ্রামের গোরবোজ্জল ইতিহাস, সেটার জন্ম দিয়েছে আজকের দিনের এই পিসিজেএসএস। তখন তো আজকের দিনের মত অনেক সংগঠন ছিল না। মনে রাখবেন, আপনি যদি আপনার সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের সন্মান করেন, আপনার জুনিয়ররাও আপনাকে সন্মান করবে। কারণ, আপনি সেই শিক্ষা আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে দিয়েছেন। জুম্ম জনগণের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসুক। ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সঠিক ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে সমাজে মঙ্গল আসুক – এই প্রত্যাশা রইল।

মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

জাদর সেবক নোয়ারামা চাঙমা ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষীকি: নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ

 

নোয়ারাম চাঙমার অপ্রকাশিত বই “আঞ্জি” দেখাছেন সুনানু আর্য্যমিত্র চাঙমা, চাঙমা লেখক সদস্য, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ।


চানে সূর্য্যে সদর ভেই

ঝু জানাঙর ভূমিত থেই।

 

আজ ৮ নভেম্বর ২০২২ খ্রি. ২৩ কাদি ১৪২৯ বাংলা, ২৫৬৬ বুদ্ধ বঝর, মঙ্গলবার । সুনানু নোয়ারামা চাঙমা ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষীকি উপলক্ষ্যে নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ এর পক্ষ থেকে মহান ব্যক্তিকে স্মরণ করা হয়েছে অনলাইনে মাধ্যমে।

৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী অনলাইন অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থেকে মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন চাকমা লেখক সদস্য, সাবাঙ্গি, জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ ও চাকমা ভাষা গবেষক, ঔপন্যাসিক  সুনানু আর্য্যমিত্র চাকমা ও নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুনানু ইনজেব চাঙমা।

নোয়ারাম চাকমা জীবনি পাঠ করেন সুনানু রিয়াজ জ্যোতি চাঙমা, নোয়ারাম চাকমাকে নিয়ে কবিতা পাঠ করেন সুনানু সুচিন্তা চাকমা প্রমুখ।

নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পাঠ করেন সুনানু অপনিকা চাঙমা।

বক্তারা বলেন, নোয়ারাম চাকমা এমন একটি ব্যক্তি যিনি নিবেদিত প্রাণ হয়ে চাকমা ভাষা, বর্ণমালা ও সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নিজের অপূর্ণ্যতা রেখে সমাজ ও দেশের তরে কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে ও নোয়ারাম চাঙমাকে নিয়ে গবেষণা কাজ করে যাওয়া অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সুনানু ইনজেব চাঙমা এবং নোয়ারাম চাঙমা নামে পদক আবিষ্কার করাও ঘোষণা করেন।

 

সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

৩৩ বছর পর এম এন লারমার জন্য সংসদে শোক

 


৩৩ বছর পর এম এন লারমার জন্য সংসদে শোক
মৃত্যুর ৩৩ পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা ও সাবেক সাংসদ মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ওপর শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতীয় সংসদ।

আজ রোববার দশম জাতীয় সংসদে দ্বাদশ অধিবেশনের প্রথম দিনের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করলে তা গৃহীত হয়।

শোকপ্রস্তাবে বলা হয়েছে, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এম এন লারমা) ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার খেদারছড়ার থুম এলাকায় ‘বিভেদপন্থী গিরি-প্রকাশ-দেবেন-পলাশ চক্র’ নামের একটি সশস্ত্র গ্রুপের আক্রমণে নিহত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। স্বতন্ত্র হিসেবে তিনি ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের এবং ১৯৭৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র সাংসদ নির্বাচিত হন। এম এন লারমা জনসংহতির বর্তমান নেতা সন্তু লারমার বড় ভাই।

৩৩ বছরে পরে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করার কারণ সম্পর্কে সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক মোতাহের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রেওয়াজ অনুযায়ী কোনো সাংসদ মারা গেলে তা সংসদের পরের অধিবেশনের প্রথম দিনে শোকপ্রস্তাব আকারে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এম এন লারমা মারা যাওয়ার পর কোনো শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। যে কারণে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি সংসদের নথিতে নেই। বিষয়টি সংসদের নজরে আনেন রাঙামাটির স্বতন্ত্র সাংসদ উষাতন তালুকদার। পরে এই অধিবেশনে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি শোকপ্রস্তাব আকারে গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

শোকপ্রস্তাবে বলা হয়েছে, এম এন লারমা ১৯৩৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার মাহাপুরমে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৬৫ সালে একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি বিএড এবং ১৯৬৯ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে ১৯৬৬ সালে তিনি দীঘিনালা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি চট্টগ্রাম রেলওয়ে কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৬৯ সালে আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেন।

এম এন লারমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৬৫ সালে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৫৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে তাঁর উদ্যোগে পাহাড়ি ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন করে এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি এই সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৯৭৩ সালে। এরপর এম এন লারমা ১৯৭৫ সালে বাকশালে যোগদান করেন। তবে ১৯৭৭ ও ১৯৮২ সালে তিনি জনসংহতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

রেওয়াজ অনুযায়ী শোকপ্রস্তাবের একটি অনুলিপি এম এন লারমার পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠানো হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৮: ৩৭ দৈনিক প্রথম আলো
 

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২

আমি চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন পদত্যাগ ন’ গরি, গচ্ছেই দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ত্তুন সুনানু ইনজেব চাঙমা

যে লাম্বা ১৮ বঝর ধুরি চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান এগাচিত্তে এগামনে নিআলচি গরি যার তে অহ্’ল সুনানু ইনজেব চাঙমা। তার জনম ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮১ খ্রি. বাজেইছড়া ২৯ নং ছোট মেরুং মুউজ চাঙমা সার্কেলত। চাঙমা লেঘা শেঘানা সমারে চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা, হিল চাদিগাং, জুম চাব, মেদিনি আ জুম নাঙে ম্যাগাজিন কাবিদ্যাঙ গচ্ছে। তাত্তুন চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা “চাদি” এ এজাল কাবিদ্যাঙ সুনানু বর্ষা চাঙমা আ সুনানু ধর্ম বিকাশ চাঙমাদাঘি মুঝুঙ’ পুজোর জোপ লুয়ন।
 
চাদি: সিঝি বেন্যা মাধান আ ঝু ঝু।
ইনজেব: তমারেও সিঝি বেন্যা মাধান আ অতালিয়ে কোচপানা।

 
চাদি: কেঝান আঘচ দা?
ইনজেব: গাউলি গম আঘং। 


চাদি: চাঙমা সাহিত্য, ভাচ আ ওক্কোর নিনেই যে কাম গরর কেঝানচলের?
ইনজেব: খুপ গম চলের। কিত্তে? ইরুক পিড়িউন ঘুমত্তুন জাগিলাক। তারা আজার দুগর সেরে সেরে নিজ’ গধেল কিঝু অপুরন থানার পরও জাদত্যাই লেঙে লেঙে, ফোবে ফোবে কাম গরি যাদন। 


চাদি: চাঙমা লেঘা শিঘানা চিদেয়ান কেনে সমেল?
ইনজেব: আচ্ছা, দোল এক্কান পুজোর। এ কধা কদ’ যেলে পল্যা পিচ্ছে ফিরি চেই পেবং। সে ১৮৬০ সালত ব্রিটিঝে পার্বত্য চট্টগ্রামান দঙল গরানা পর চন্দ্রঘোনা বোর্ডিং ইক্কুল নাঙে এক্কান ইক্কুল চালু গরা অয়। সিয়োত বাংলা, ইংরেজি সমারে চাঙমা আ মারমা ভাচ শেঘেবার এক্কান জু দিয়্যা অয়। মাত্তর! আমা চেলাউন সিয়ান গজি ন’ লন। সে পরে ১৯৩৭/৩৮ সালত মিলান সাপ্যা রাঙামাত্যা মা ভাচ্ছোই লেঘা শিঘেবার চেল’। সিয়োত সক্কে চেলা সুনানু কামিনী মোহন দেবানে ন’ চানার আ ১৯৫৯ সালত পাকিস্তান আমলত সুনানু নোয়ারাম চাঙমা “চাঙমার পত্থম শিক্ষা” বইবো প্রাইমারি ইক্কুলত দিঙিরি পেলেও দেবানদাঘি ন’ চানার, মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘিবার ন’ চানার আর শেঘা ন’ অয়।
এ গেল’ ব্রিটিশ আমল আ পাকিস্তান আমল। এ পর এল’ বাংলাদেশ আমল। দাঙর আহ্ভিল্যাঝর কধা, যে দেচ মা-ভাঝর পোইদ্যানে লাড়েই গরি এক্কান দেচ, বাবদা পেল সেই দেঝর অন্য ভাঝর বাজার কন’ খবর নেই। লাম্বা এক্কো অক্ত লাড়েই গরি পেলং পার্বত্য চুক্তি। সে পার্বত্য চুক্তিত লেঘা থেলেয়্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে মা-ভাঝে লেঘা শেঘেবার কন’ গরচ মনে ন’ গরে। পাবর্ত্য চুক্তি এক যুক পর মহান জাতীয় সংসদত ২০১০ সালত জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা গচ্ছে। সিয়োত দেঝর যা আদিবাসী আঘন যা যা মা ভাচ্ছোই লেঘা শেঘেবার  কধা এল’ আ কো কোইয়ে- ২০১৪ সালত্তুন ধুরি পল্যাদি বাংলাদেঝর ছ’য়ান আদিবাসী ভাচ্ছোই লেঘা শিঘিবার। মাত্তর! ২০১৪ সাল এনেই দেঘা গেল বাজেট নেই। ইয়ানি ম’ কধা নয়। নানান কিথ্যাত্তুন তথ্য ম’ আহ্’দত আঘে। সেনে কামান চালে ন’ পাত্তন। এ অক্তত কয়েক্কো এনজিও মুজুঙে আক্কোই এলে সংশ্লিষ্ট লেঘিয়্যাউনরে ঢাকাত নিনেই বই বানা ধরল। সক্যেও কো অয়ে ১৫ সালত্তন ধরি বই আহ্’দত তুলি দিব’। সে ১৫ সালতও কন’ বই দেঘা নেই। আর কো কয় ১৬ সাল কধা। সক্কেও দেঘা নেই বই।  
ইন্দি বাংলা ভাচ্ছান মরা মচ্যে গরি ভুগে দের। দিন দিন আমাহ্ ভাচ্ছান চাংলা আ চাংলিশ অই যার। আমি দ’ সরকার আঝায় বোই থেলে ন’ অভ’। ইয়ান আমার কাম। আমাত্তুন গরা পরিব’। এধক্যে এক্কান ভাপ উদি ২০১৪ সালত্তুন ধুরি এঘামার গরি এ চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান গরি যের। যুনি মুই ২০০৪ সালত্তুন ধুরি চাঙমা লেঘা শেঘে থাং। 



চাদি: চাঙমা লেঘা ছিদি দেনা কামান গত্তে কেঝান এজাল পা যিয়্যা?
ইনজেব: এজাল ন’ পেলে এত্তমান কাম আমাহ্ পক্কে গরানা সম্ভব নয়। চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান ২০০৪ সালত্তুন ধুরি আরগানি অলেও মূলত ২০১৫ সালত্তুন ধুরি এঘামার গরি গরা অয়ে। সক্কে দিঘীনালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুনানু সুসময় চাঙমা ১৫০০ তেঙা এজালে ফ্রি চাঙমা লেঘা কোর্স ফাংফগদাঙ গরা অয়। চাঙমা লেঘা শিঘিবার উচ্চোপুক তুলি দিবাত্তে ফ্রি চাঙমা লেঘা ২০১৫-২০১৬ সাল সং দ্বি’বঝর গরা অয়ে। ২০১৭ সালত সুনানু শ্রেয়সী চাঙমা এজালে বাবুছড়া ফ্রেন্ডশীপ ইক্কুলত কোর্স গরানা পর আর’ বেচ চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান ভারি যিয়ে। ২০১৮ সালত খাগাড়াছড়ি জেলা পরিষদর সাবাঙ্গি সুনানু শতরুপা চাঙমাদাঘি ১০ হাজার তেঙা এজাল দিলে ৩৩জন চাঙমা লেঘা পর্বোয়াদাঘিরে টিওটি ট্রেনিং দেনার পর ঢাকা, রাঙামাত্যা, বান্দরবানসুমুত্ত নানান জাগাত চাঙমা লেঘা এয সং শেঘে যের।  সে পরে জেএসএস (লারমা) একলাক তেঙা এজাল দিলে আমি দিঘীনালাত অফিস গরি পারির। ২০১৮ সালত ২০ হাজার চাঙমা লেঘা বই ছাবে মাগানা ভাক গরিদিবার উদ্যোগ ললে ইয়োত বহুত মানুঝর এজাল পা যিয়ে। এধক্যে গরি নানান জনর এজালে আমি এয’ মুজুঙে আহ্’দি যের।


চাদি: আমি দেঘিলং বিশেষ গরি তর অবদানে, তর নিআলচি কামর বলে এচ্যে এক ঝাঁক কাম্মো চাঙমা সাহিত্য বাহ্’বো পিত্তিমি বুগত ছিদি পচ্যে। মাত্তর! এধক খাদুনির পর যে বাহ্ শূন্যত্তুন জাগা জুরি দিলা কধ’ গেলে সহ¯্রকোটি গরিনেই কিত্তে পদত্যাগ গরিলা?
ইনজেব: আমি চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন পদত্যাগ ন’ গরি, গচ্ছেই দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ত্তুন। ইয়োত বানা আমি নয়, যারা দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ ভিলিনেই বুঝি পাচ্ছোন তারা পদত্যাগ গচ্ছোন প্রায় ১০০ উগুরে সাবাঙ্গি কাম্মো। ২০২০ সালতও শ্রেয়সী, প্রিয়সী, সম্ভুমিত্র, এলিয়েন্স, বিকেন সুমুত্ত ২০/২৫ জনর এক্কো তম্ভা চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন আহ্’ত ইরি যেলাক।  
বেগে ভাবন চাঙমা সাহিত্য বাহ্ আমাহ্ চাঙমা জাদর এক্কো জধা। মুই ভাবিদুঙ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ মানে বেক চাঙমাউনর এক্কো সাহিত্য বাহ্’। সেনে মুই এধক্যে গরি কোচপিয়োং রাধামনে সাপ’ কুদুন খেব’ খবর পেনেও ধনপুদিরে নাকশা ফুল্লো পারি দিয়্যা। এ যে লাঙ, কোচপানা থিক সেধক্যে গরি মুই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ লাঙত পচ্ছোং। সেনে মর নিজ’ ঘর সংসার কক্কে উবোত ভচ যিয়ে থাহ্’র গরি ন’ পারং। মর’ সবন আ আঝা এল’ এ চাঙমা সাহিত্য বাহ্’বোত্তুন ঝাক ঝাক কবি, লেঘিয়্যা, শিল্পী নিঘিলি এবাক। সেনে মর দিন রেত সময় দি যেলুং। ঘরত অসুক, ইন্দি চাঙমা সাহিত্য বাহ্ দ্বিদশক পূর্তি ত্যুঅ নিজ’ মোক্কো অসুগত সময় ন’ দিনেই বাহ্’বোত সময় দি যাঙর। ভাবিদুং মর’ বানা দ্বিবে পুঅ, এ বাহ্’বোত শত শত পুঅ। তারা চেদন জাগি তুলি পারিলে আমার অনতন ন’ থেব’। রাহ্’ত ন’ থেব কন’। মাত্তর, যেদক দিন, মাচ, বঝর পর বঝর যার বুঝি পারিলুং ইবে দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নয়। কিত্তে? তার কধালোই বেক্কানি চলে, তারে কন’ জনে কিঝু পুজোর গরিলে তারে খারাপ ভাবে। তা পিচ্ছেদি মানুচ লাগেই দ্যা।  এধক্যে গরি কন’ জধা মুজুঙে আক্কোই ন’ যায়, যেই ন’ পারে আ কন’ জাতয়্য মুঝুঙে আক্কোই যেই ন’ পারে। কমিতি মেয়াদ শেচ ন’ অদে তা মনে মতন ন’ অলে আর কমিতি বানায় আ কন’ কমিতিলোই তেম্মাং নেই, সল্লা নেই গরি।  গঠনতন্ত্র ন’ মানি  তে কাররে কোচপেলে, গম লাগি নীতি নিধারর্ণী কমিতি আনে। তেহ্, তা ধক্যে তে কাম গরেনাত্যাই আমি দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ত্তুন পদত্যাগ গরিলুং, চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন নয়। আমি এজ’ কাম গরি যের। সিয়ান বাদেয়্য তুমি যিবে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ মনে গরর ইবে এক্কো বিশেষ আঞ্চলিক দল’ আঞ্জামে যিয়ে। আমি মনে গরি ইরুক হিলর দিন মাধানে কয় কন’ আঞ্চলিক দলরে কোচ পেলেও কোচপানা দেঘে পারা ন’ যায়। দেঘেলে সক্যে আমাহ্ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সফল ন’ অভ। 

  
চাদি: চাঙমা সাহিত্য বাহ্ আ দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্ কধান ভাঙি কবে?
ইনজেব: চাঙমা নাঙান গোদা চাঙমা জাত্তোরে প্রতিনিধিত্ব গরে আ দেবপ্রিয় বানা এক্কো বন্দা। মুই ভাগ্যবান যে, যে জাদে এক অক্তত সাগুচ্যা দেচ জয় গচ্ছে, যে জাদে এক অক্তত রাজা এল’ যে জাদত্তুন গৌতম বুদ্ধ আ এম.এন লারমা সান দাঙর দাঙর মানুচ জনম অন সে জাদর মুইও এক্কো সাবাঙ্গি। মাত্তর! আহ্’ভিল্যাচ থায়, আমি যেম্বা শিক্ষিত অই না কেন আমাহ্ মনানি ভারি চিগোন। এ চিগোন মন্নোই মুঝুঙে আক্কোই যে ন’ পারে। বিশ্চেচ রাঘা পরে, কোচপানা রাঘা পরে। সে জিনিচ্ছান দেবপ্রিয় চাঙমদাঘির নেই। যুনিও তে এক্কো লেখক। লেখকর ধর্ম সিয়ান নয়।       কিত্তে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এক্কান চিদে এল’ লাম্বা এক্কান অক্তত নমিজিল্যা(সামন্ত) সমাচ্ছোই লুদু পুদু গরি এলং। কবি সুনানু আলোময় চাঙমা লেঘা, সুনানু কে.ভি দেবাশীষ চাঙমা লেঘা ছাবা ন’ যেব’। আ লেঘিয়্যা সুনানু আর্য্যমিত্র চাঙমাদাঘিরে কন ফাংশানত ফাং গরা ন’ যেব’। ইয়ানি চাঙমা সাহিত্য বাহ্’বোরে ন’ মানায়। এ ন’ মিজিল্যা খাজ্যাক্কোত্তুন নিঘিলি আনানা আমার ধর্ম। মাত্তর, সুনানু দেবপ্রিয় চাঙমাদাঘি সিয়ান গরন। সিয়ান বাদেও চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বানা আমি কাম গরি ভিলে আমার নয়, ইবে বেক চাঙমাউনর এক্কো বাহ্’। আ সে বিপরিত দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’। মুই বিশ্চেচ আ অমহদ’ গরি কোচপেদুং সুনানু দেবপ্রিয় চাঙমাদাঘিরে। ম’ সাঙু বইবো তারে উৎসর্গ গরিলুং। মনে গত্তুং তেও পারিব’ জাদত্যাই কিঝু গরি। মাত্তর! যদ’ দিন, মাস, বঝর পর বঝর ভিদি যার সেধক ম’ মনত তার এধক্যে কারবারলোই মর চিদমুরুত্তুন বিশ্চেচ উদি যেল’। ইয়ান সত্য দেবপ্রিয় চাঙমা এ বাহ্’বোত যক্কে আহ্’ত ন’ দ্যা সক্কে আমি দোলে কাম গরি যিয়েই। সে কামত তেজে তার চোগত যক্কে উদিল’ সক্যে নানান সল্লা-পরামর্শ দি যার আর আমাহ্ জধা ভাঙি যা ধরল’।  


চাদি: কে.ভি. দেবাশীষ চাঙমা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু এল?
ইনজেব: এল’। মুই যক্যে ফ্রি চাঙমা লেঘা কোর্স দিঘীনালা বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদত ফাং গরঙর সক্যে তে সে ফাংশানত যিয়ে। মুই তারে সক্যে ন’ চিনং যুনিও তার বই পড়ি থাং। সিয়োত চিনপচ্যা অহ্ল’। সিত্তুন ধুরি এক্কো রেগা অল’। সে রেগা নালে ২০১৮ সাল তারে জধানানু বানে আ মুই দাঙর কাবিদ্যাঙ ইজেবে কাম চালে নেযা অয়ে। মাত্তর, দেবপ্রিয় চাঙমা একবুচ্ছে সিদ্ধান্তত্যাই মেয়াদ থুম ন’ অদে আর’ কমিতি বানা অয়ে। আহ্’ভিল্যাঝর কধা সুনানু দেবাশীষ দাও খবর ন’ পায় কমলে কমিতি অহ্ল। ফেসবুকত দেঘিনেই এক্কান কমেন্ট গচ্ছে কে.ভি দা- কমলে কমলে মেয়াত থুম অল খবর ন’ পাং, বঝরউন এক্কি বাদি? সিয়োত দেবপ্রিয় দা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পেজত্তুন কমেন্ট গচ্ছে
।           

 ত্রৈমাসিক চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা “চাদি”  পল্যা পয়ধে পল্যা বঝর                          [ধারাদিঘীলি চলিব]

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২

চাঙমা গান- সাত্তো: সুনানু ইনজেব চাঙমা


 ১
স্বাক্ষি থেব’ বিজগত
যুক যুক ধরি তোমা নাঙ
স্বাক্ষি থেব’ বিজগত
তোমা গুনে আন্ধার রেত
ফুদি গেল’ পহ্’র।

মা-বোন মেয়্যা বেক ছারি
লাম্মো জাত ভিলি
ফেলে যেয়ো ঘর
ঝাগে ঝাগে সুর গরি।

সুক কি জিনিচ ন’ পেলা
ন’ দ’ চিনিলা
ঝারে ঝারে ঘুরিলা
রোত পুরি ঝরত ভিজি।

পরান দিলা আমাত্যাই
জুম্ম জাদত্যাই
পিড়ির পর পিড়ি বাজি থেবা
তুমি জুম্ম জাদ’ ইধু।


আমাহ্ত্যাই যারা
আমাহ্ত্যাই যারা ফেলাদন ঘাম
তারারে দ্যুঙর মুই ঝু ঝু
মা-ভোন, বাপ -ভেই জাদর চিদেই
নহ্ পাদন তারা ঘুম।

পথ দেঘে দিয়্যা যে আমাহ্’রে
ঝু দ্যুঙর লারমারে
বর মাগঙর দিবাত্যাই
আমাহ্’রে তা তেজআন।

লারমা নীতিআন ধরিনেই
গাভুজ্যা পুঅ/ছা মিলিনেই
ঘাম পুজিবার সময় নেই
কোজে যাদন রান।

আতলাক বন্দার এক্কান ইমে
সরান পেবার লাড়েই
ন’ খেমিবং কন’ জন
থাক্কে পরানান।


সমক খেই
সমক খেই উজেবং মুঝুঙে
মরন আমি ন’ দরেবং
আর কয়দিন গায়সুয়েবং
ভারি বেচ গত্তন।

তাগল কুরোল জাদি চ’
মুঝুঙত যিয়ান সিয়ান ল’
শুন’ ভেই-ভোন লক
মা-ভোন কানদন।

পিত ন’ লামিবং কন’ জন
জীবন যেক্কে গোচ্ছেই পন
শুনি থাগ’ দাগি কধন
মা-বোন ঝাবাদন।

নহ্ বাজিবং কিঙুরি
মুরি জুনি ন’ পারি
উজে এজ’ ধারাদিঘলি
জম্ম জনগণ।


যেই যেই যেই
যেই যেই যেই
জাগি উদ’ জুম্ম ভেই
বোই থেবার আর সময় নেই
আহ্’ত্যার ধুরি উজে যেই
এজ’ ভেই-বোনলক যেই।

রুকসেক ভুগি আহ্’ত্যার ধুরি
যুদ্ধত যেবং সাহচ গরি
দেঝত্যাই আমি পারন দিবং
বাজি থোক জাত ভেই।

সিদিরেউনর পেরাসারে
বাপ-ভেই মত্তন ঝারে ঝারে
বুগর লোই ধালি দেদন
আর্মি গুলি খেই।

ঘুমত এলং এদক দিন
সজ্য গত্তং কদক দিন
আমার জাগা আমি লবং
শত্রæমারি নেই।

মা-ভোনর ইজ্জোত্তানি
বাপ-ভেইয়োর চোগ পানি
ন’ দিবং আর ফেলেবার
বেক্কুন আমি উজে যেই।


মগ তিবিরে চাঙমা ভেই
মগ তিবিরে চাঙমা ভেই
মুরত পুরি ভাবি চেই
মাছ কাঙারা তোগেই খেবার
আরদ’ সময় নেই।

বর ভেই অলং আমি তিনজন
গুও ভেই আঘন আত্তোজন
এগার ভেইয়ে এক্কান কধায়
চলি ফিরি থেই।

আগে আমি ন’ বুঝি
সিত্তেই আমাহ্’র এ গুদি
ঘর তুলিবার ভূই ভিদে
হ্ারেই ফেলেয়েই।



ন’ থেবং আর ঘরত বুজি
ন’ থেবং আর ঘরত বুজি
বাপ-ভেই দেদন ফাঁসি
নিজ’ দেঝত পরবাসী
ইয়ান কি জ¦ালা।

সময় নেই বোই থেবার
যা বুঝিলুং মুই এবার
এধক কিত্তে অনাচার
রেজ্য ভাঙালা।

বুক ফুলেনেই উজে যেই
জাদর কধা ভাবি চেই
আমাহ্ জাদর কিচ্ছুন নেই
বেক্কুন মু কালা।

ম’ কধানি শুননা
মনত বানি রাঘনা
সং সমারে উজনা
মুক্তি গরি চট্টলা।


ভুলি ন’ যেবং
ন’ যেবং লারমা তরে ভুলি
থেব’ জনম্মো ত নিঝেনি
তরে জুনি ইধোত উদে
চিত্তান যায় আহ্’ঙি।

ন’ দেখ্যা জিনিচ দেঘেয়োচ
ন’ শুন্নে কধা শুনেয়োচ
পুঅ/ছা সান পালেয়োচ
দচ্চো জাত ভেই আওচ গরি।

জাত ভেই বিপদত পরিলে
সাতগাঙ সাজুরি তুই যেদে
তারারে উদ্ধোর তুই গত্েেত
ইক্যে কন্না চেব’ ফিরি
দিলান দিনেই খুলি।

পুজুন মনা চোগত কুদিলাক
বুক চেই জাত্তোরে লাত্থেলাক
ভাবি চিন্তে ন’ চেলাক
মা-বাপ, ভেই-বোন কানেলাক
সিয়ান না উদে জ্বলি জ্বলি।

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২

ধনপুদির আল্যাঙ

 

ধনপুদির আল্যাঙ

বা-রা বেগে বানান্দৈ
বাজার গোরি আন্যন্দৈ
পোহ্’ত্যা দগল্য মোনবগা
কেল্যা যেবাক  জুম কাবা।
তেম্মাং যেক্কে ফুরেল
ধন্নুয়া রাধারে দাগিল।
বরগি সুদ’ তুম গোচ্যা
বোচ্যন ইজরত জুন পোরজ্য।
পুগ’ কেত্যা চানন্দি
মুয়োমুয়ি বোচ্যান্দি
উত্তে চানান পুগেদি
দোল অইয়েদে পহ্’রেদি।
জুন’ পহ্’র রেদোমায়
কোচ্যা মাদানান ভাঝি যায়।
ফুল’ বিজন বিজিনে
কধা কধন দ্বিজনে।
বোচ্যে ধন্নুয়া সাজিপের
দাদা রাধারে বিজি দের।
দেব’ ধর্ম মানিচ্ছোই
সচ্চেক তাগলক লোই দিচ্ছোই।
ফুল’ গামছার বেইন গরং
সাত আঙুল্যা খেংগরং।
মিদিঙ্যা বাঝর লোই দিবে।
ধুমো উজু  থোই দিবে।
ফুনি শলা কাবি দিচ
হ্্েইল সাম্মুয়া  বুনি দিচ।
পার্বুয়া বাঝর দিপ্যাবুয়া
ব’ কাদি  লোই দিবে শুল’বুয়া ।
রেদোত লামের জুন’ পহ্’র
শুনিচ দাদু হ্ােচ্ছান  মর।
ঝাগে জুনি উরি যার
ফুল’ খাদি বুনিবার।
বাগে থেগে গাং যেব।
জনমত্যে নাঙ থেব’।
খোল্যা মেলি পান খেলু’
রাধামনে খাম খেল’।
জুন’ পহ্’রান ফুরেই যার
কধা ভূয়া ন’ ফুরার।
নানান কধা কোই লাক
জেরে দ্বিজনে ঘুম গেলাক।

রাধামন ধনপুদির জন্ম

 


রাধামন ধনপুদির জন্ম

সেক্থে  দিন মাধান যেজান্যা
মনদি শুন’ কং কেঝান্যা।
ঝুরি পরে রেই গুলা
দেবায় গরেহ্ মেগুলা।
দ্যা ধোরিব’ রেত্তো ঝর
ভাদে পানিয়ে পোত্তি ঘর।
পিজি ছরা থুপ ভান্দি
সেকথে মিলা মদ্দর সুক শান্দি।
খালে নালে ঘাত্তানি
দেঝত উন নেই ভাত পানি।
ধুধুক  বেইয়া তেত্রেতুক
পরানি দিন মাধান সত্যযুক।
ঘরত বান্যা এল সুক
লাগত নহ্ পান কন’ দুক।
ছরা ছরিত মাছ ইজা
সেকথে সুদা মন পাচ্চিগা।
ধানে তুলি বয় ঝারি
তেঙ্গাত  ধান পেধ’ দচ আরি।
মুখত ভাজেইয়া পুদি পুদি
অশ^ পুদি লোই ক’ পুদি।
জয়মংগল খীজা মেনগা
এলাক তারাহ্ কন’ জাগা?
পানিত ন’ এল’ খজাত্তি
চম্পক নগরত বজথি।
সপ্পান  পুরা তারাহ্ মন
মেনগা গর্ভে ওল রাধামন।
বঝর চেরেক যায় বিদি
গর্ভিদা অহ্’লগোই ক’ পুদি।
দিনে মাহ্’ঝে পুরা ওল
অঝা খজা চলাবাপ ধরা পোল।
ভাত পানি খেই লল’ গোই
খিজাখিজ্যা লর দিলো গোই।
ফোবেই ফোবেই তে যেইয়ে,
চিদ্রসুখী অঝাওে লাক পেইয়ে।
ঘর পেজাঙত  বোই আঘে
চিত্রসুখী নেক ছয় যুগে।
মাঘ’ শেঝত পরের ঈন
মোক ইর নদের কন দিন।
চলাবাবে বুঝেই নায়
ছয় যুগ মনান ধরি নায়।
নজর এক তেঙা দি পেল
রাজি ছয় যুগে অহ্ই গেল।
চালোন পানি ঘনাত্যা
ঝিয়্যঘর’ নাদিন সমাজ্যা
খিজাখিছ্যায় পথ গেলাক,
যখন আদামত লুমিলাক
বঘ’ দওে লয় তাগল,
অহ্’ল চলামার মন দাঙর।
ধল্যা যঘন শুলপীরা,
গরের কপুদিও পেত পীরা।
নেয়্যত তেলফুদা দি দিল’,
মিলা অহ্’ভদে কোই দিল।
স্বর্গ রংগ ভংগ দি
ভূয়্যত পলঘি ধনপুদি।


রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২

“মা, মরোক, বাপ মরোক কাল পরানে খা গরোক” - ইনজেব চাঙমা

কধা আঘে- “মা, মরোক, বাপ মরোক কাল পরানে খা গরোক”
এ কধা মজিম ম’ মল্লে, জেত্তা, জেদেঙা, ভেই, ভোচ, বরঙা, মত্যালা, মল্লে শোওর, জেদেঙা শুরি মরানা পরও তারার কন’ সাপ্তাক্রিয়া, দাহক্রিয়া মিলানা জু ন’ অহ্’য়। শেজে লগর সমারি মরি যানার পরও, আজার অনটনর সেরে বেগর সেপবত্তালোই কাম গরি যাঙর।
“মা, মরোক, বাপ মরোক কাল পরানে খা গরোক” অর্থাৎ মা-বাপ মরিলেও পরান বাজেবাত্তে খা পরিব। তত্তুন বাজা পরিব’। জিংকানিত ইয়ান বুঝি এলুং-
আমি যে বাজি আঘি ইয়ান বাজানা নয়। পিত্তিমিত গধেল গধেল পরান বলা বাজি আঘন। মাত্তর, জাত ইজেবে, চাঙমা জাত ইজেবে বাজদে জেনেই যে আরাং আধিগার দরগার সিয়ান নেই। আর বেচ দিন দিন আগাচুজো অই এযের। এ অক্তত মর ইমে ঘর সংসার যিধু যেব’ যোক আমা জাদর শিঙোর দরমর গরা পরিব। আমা জিংকানিয়ানি দ’ আহ্’লেয় যেল’। মুজুঙে যে পিরিহ্‌উন উদদন, এত্তন, এবাক তারা যেন নিজ’ ভাঝে, মন কধা কোই পারন, নিজ’ ওক্কোরে গান, গল্প, উপন্যাস, কিত্তে লেঘি পারন যে জু অহ্’য় মর এ ঘাম ঝরানাত, মর এ সময় দেনাত। ইয়ান মর সবন।

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২

বর্তমানে আদিবাসীরা খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেনঃ ফজলে হোসেন বাদশা

 

১৮ আগস্ট ২০২২, ঢাকা: ঢাকায় ‘আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সুরক্ষা’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেছেন, বর্তমানে সমতল ও পাহাড়ের আদিবাসীরা খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তারা সবক্ষেত্রে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদেরকে নিজ ভূমি থেকেও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে বাধ্য হচ্ছেন।

গতকাল ১৭ আগস্ট ২০২২ সিরডাপ মিলনায়তনে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কালেক্টিভ (আরডিসি) ও ইউএনডিপির হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রাম আয়োজিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে হোসেন বাদশা এমপি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও আরডিসির চেয়ারপার্সন মেসবাহ কামাল।
মূল প্রবন্ধের উপর আরো আলোচনা করেন প্রতিথযশা নাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের টেকনোক্র্যাট সদস্য জান্নাত-ই-ফেরদৌসী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর সুস্মিতা পাইক, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব নির্মল রোজারিও, ভদন্ত সানন্দপ্রিয় ভিক্ষু প্রমুখ।
নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশে যত আইনই থাকুক না কেন, বাঙালি জাতি মূলত আইন অমান্যকারী জাতি। সর্বপ্রথম আইন অমান্য করে রাষ্ট্র নিজেই। এদেশের এমপি, মন্ত্রীরা রাস্তার উল্টোদিক দিয়ে গাড়ি চালায়। তাদের সঙ্গে দানব হয়ে যুক্ত হয়েছে ব্যবসায়ী ও আমলারা। তারা সকলে মিলে লুটপাট করে যাচ্ছে। নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। বাঙালি জনগোষ্ঠী ও আদিবাসীদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য, সহমর্মিতাই আইন, রীতি-নীতি ভাঙার অবসান ঘটাতে পারে। আর এমন অবস্থা সৃষ্টির জন্য সবাইকে মিলে আন্দোলনে নামতে হবে।
দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, আদিবাসীরা দেশের সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠী। আদিবাসীরা নির্যাতিত হলে পুলিশও তাদের পাশে থাকে না। এভাবে চলতে পারে না। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে আদিবাসীদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। আদিবাসীদের এই সংগ্রামে আদিবাসীদের সুহৃদ বাঙালিদেরকে সঙ্গে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে এক শ্রেণির লোক লুটপাট করে দ্রুত ধনী হচ্ছে। তারা দুর্বলের সম্পদ লুটপাট করছে।
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও আদিবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। আদিবাসীরা তাদের পরিচয় আদিবাসী হিসেবে দিতে পারছে না। জাতীয় সংসদে ২২ জন সংখ্যালঘু এমপি থাকলেও তারা আদিবাসীদের পক্ষে কথা বলেন না। তাদের কাছে এ নিয়ে বললে তারা বলেন, তারা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, তারা এই বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের স্বাধীনতার ১১ বছরের মধ্যে দেশটির আদিবাসীদের আলাদা নীতিমালা তৈরি করেছে। আর এ দেশের স্বাধীনতার ৫১ বছরেও আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কোনো নীতিমালা হয়নি। তিনি বলেন, দেশের সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তারা পদে পদে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষাব্যবস্থা চালুর যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার মধ্যে পাঁচটি গোষ্ঠী নিজেদের মাতৃভাষায় পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। এটি প্রশংসার দাবি রাখে। এর বাইরে অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর নিজেদের ভাষায় শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। তিনি সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠনের তাগিদ দেন। 
By Hill Voice -আগস্ট 18, 2022

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...