বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭

যে কথাটি বলতে চাই


দিন চলে যায় রাত আছে। আবার ভোর হয়। এভাবে হু হু কৌকিলের সুরে বসন্ত চলছে বিঝু’র আগমনী বার্তা নিয়ে। ক’দিন পর বিঝু পরেই নূতনের আবাহন। জীর্ণ - দিনের বেদনার অতীত শেষে নূতন অহনার স্নিগ্ধ উল্লাস আজ দুয়ারে দাঁড়িয়ে। এমনই আবহে আমরা দিন বদলের স্বপ্ন দেখি, দেখি কুস্কংকার মুক্ত আদর্শ সমাজ গড়তে। দুঃখ - দীর্ণ বিগত দিনের স্মৃতিতে দাঁড়িয়ে আমরা দেখি সমৃদ্ধি পৃথিবী। যেখানে ভাইয়ে-ভাইয়ে ভালোবাসা রামায়নের রাম-লক্ষণকে হার মানাবে। এমনই স্বপ্নময় সৌনালী দিনের মায়াবী বিভায় আমরা চলেছি নূতন পথ। সাঙু পাঠার স্বপ্ন দেখে মননশীলতার দৈনতা থেকে বেরিয়ে এসে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সমাজ ও আদর্শ জাতি। তথা আত্মনির্ভরশীল সমাজ। স্বপ্ন দেখে জাতির অঝাপাত, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধি পথে এগিয়ে নিতে। এ স্বপ্নকে স্বর্গ হতে মাটিতে এনে বাস্তবরূপ দিতে দৃঢ় প্রত্যয়ে আজ সাঙু পাঠাগার রেংকার্য্যা উচ্চ বিদ্যালয় হতে লক্ষীছড়ি উপজেলা পর্যন্ত চাঙমা লেখা(অঝাপাত), ভাষা কোর্স পরিচালনা করে যাচ্ছে।
আমরা সবসময় আশা নিয়ে থাকি, আশা নিয়ে বাঁচি। আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে দুঃসময়। যদিও বিভিন্ন রঙ্গতামাশা করে সে দুঃসময়কে সুসময় করার ব্যর্থ প্রয়াস একটি মহল চালায়। এ দুঃসময় একদিন কেটে যাবেই, অন্ধকার রাতের পর সৌনালী রোদ্রু ঝলমল করে তোলে গোটা পৃথিবীকে। কেননা, সামনে আসছে আপসহীন, রুখে দাঁড়ানো প্রজন্ম, তা যত ক্ষুদ্র আকারেই হোক না কেন।
ইতিহাসের ধারা চির বহমান। কাল অতিক্রম করে হয় অতীত। আজ যা কিছু অনাগত ভবিষ্যৎ কাল তাই বর্তমান। সুতরাং, ইতিহাস হলো মানুষ ও প্রকৃতি মহাকালের স্রোতধারা। সেই স্রোতধারায় তথ্যপ্রযুক্তি যুগে আমাদেও সমাজ অত্যধিক ক্ষুদ্র ও শুন্য। তাই আমরা ছোট্ট অবোধ শিশুর মতো নিশ্চুপ থাকতে পারিনা। অজানাকে জানার, অচেনাকে চেনা তথা আকাশ - পাতাল সব অংশকে জানার আমাদের এ্ই ক্ষুদ্র প্রয়াস হলো সাঙু নামক পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা।
দায়িত্ব মাত্রেই কঠিন। মানুষতো! তার পরও সাঙু পাঠাগার প্রতিষ্ঠাতা কঠিন দায়িত্ব পদে কারণে আহুত আপদ যেনো। এই আগুন মুখো কর্মে যাঁরা কায়িক, মানসিক ও আর্থিক সহযোগীতায় দিয়েছিলেন তাঁহাদেরকে জানাই আমায় নির্মল ভালোবাসা, বিঝুর শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা জানাই তাঁহাদেরকে যাঁরা বই সহযোগীতা দিয়েছেন(#দাঙগু, সুকৃতি চাঙমা, #দাঙগু রিকেন চাঙমা, #কেভি দেবাশীষ চাঙমা #দাঙগু সুসময়চাঙমা, ও #বিপ্রদাশ বড়ুয়া)। আরো কৃতজ্ঞতা সাথে স্মরণকরছি দাঙগুবী শতরূপা চাঙমাকে। তিনি পাঠাগারে বুক সেল্প দিয়েছেন আর একটি ল্যাপটপ দেওয়ার জন্য বলেছেন। সর্বশেষ সবাইকে আগাম বিঝুর শুভেচ্ছা জানিয়ে আমাদের ভাষার সংগ্রামে অংশীদারী হবেন এমন প্রত্যয়। ধন্যবাদ।
নিবেদক
দাঙগু ইনজেব চাঙমা চারু
সভাপতি
সাঙু পাঠাগার

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...