রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসনের অবসান চাই: Binota M Dhamai

"একটা জায়গায় একজন লিখেছেন: "বমরা প্রায় অর্ধেক দেশ ছেড়েছে। ডিসেম্বর নাগাদ মনে হয় বম পার্বত্য চট্টগ্রামে খুব বেশি পাওয়া যাবে না। থাকলে জেলা ও উপজেলা শহরে দু-এক পরিবার থাকবে। অধিকারের ললিপপ দেখিয়ে অপরাধীকরণ করে এখন অপরাধী ধরার অভিযান চলছে। বমরা পুরোটাই তথাকথিত কাউন্টার ইন্সারজেন্সি পলিটিক্সের শিকার।" বৈষম্যের বেড়াজাল কাকে বলে, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে সংক্ষেপে এখানে একটু যোগ করি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যা এখনো চলমান - চুক্তির আগে এবং পরে - যে নামেই ডাকুক না কেন, অপারেশন দাবানল বা অপারেশন উত্তরণ, সেটা হলো তাত্ত্বিকভাবে কাউন্টার ইন্সার্জেন্সি স্ট্রাটেজি। এই পলিসি ব্রিটিশরা এশিয়া অঞ্চলে মালয়েশিয়াতে সরাসরি প্রয়োগ করেছিল এবং সেই একই ব্যবহারিক দিক আমাদের দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর প্রয়োগ করছে। এই তাত্ত্বিক দিকে কয়েকটি বিষয় বিদ্যমান, প্রথমতঃ loyal population তৈরী করা। সেটা দুইভাবে করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। একটি হলো transmigration - বাইরে থেকে এনে বাঙালিদের পূর্ণবাসন করে জনমিতি বদলে দেওয়া, এবং সেটা করে ফেলেছে। আরো একটি হলো ভাগ করো শাসন করো যেখানে আমাদের পাহাড়ের আদিবাসীদের ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল, যেটা আমরা দেখেছি ১৯৮৯ সালে স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে এবং ১৯৯৭ চুক্তি পরবর্তীতে। দ্বিতীয়তঃ হার্ট এন্ড মাইন্ড কর্মসূচি, সেটি মূলত অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়ন যা সেনা কতৃত্বে চলে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো কোটি কোটি টাকার ব্যয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কোনো প্রকার অডিট ছাড়াই ব্যয় হয়। বহিরাগত বাঙালিদের যে রেশন এবং পূর্ণবাসন করা হয় সেই টাকা ও এই কোটি টাকার লেনদেন। উনারা পলিটিকাল কাজও করে থাকেন এই যেমন হেডম্যান কারবারি সম্মেলন। আবার বহিরাগত বাঙালিদেরকে আমাদের পাহাড়ি আদিবাসীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লেলিয়ে দেওয়া হয়। তৃতীয়তঃ কম্যান্ড এন্ড কন্ট্রোল - প্রশাসনের সমস্ত কিছু প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সেনাদের নিয়ন্ত্রণে চলবে। পুলিশ এবং বেসামরিক প্রশাসনের ক্ষমতা সীমিত। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে আজ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমরা সেটাই দেখি। একটা সাধারণ দেওয়াল লিখন বা সেখানে কি লিখবো না লিখবো, তার জন্যে সেনাবাহিনীর অনুমতি নিতে হয়। বাংলাদেশের আমার মানবাধিকার সেই কণ্ঠরোধের, নিপীড়ন নির্যাতনের বেড়াজালে, এই বৈষম্য পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ বহমান। আজকে এইখানে রাখলাম।"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...