শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮

ভালেদি আ এজাল এই দ্বি’আন সং অহলে আমি আমা সবন - আঝা বেক পুরে পারিবং



দাঙগুবি শ্রেয়সী

শ্রেয়সী চাঙমা (ফগদাঙি সিদানা কাবিদ্যাঙ, চাঙমা সাহিত্য বা, গরা কমিতি) তার এক্খান কধা মর খুউব বুক ভরি যিয়ে, মুরি গেলতিরোচ গেল্লে কেল্যা মালছড়ি কলেজত তিন মাজ্যা চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেচ কোর্স ফগদাঙি অক্ত খলা পজ্জোনীত তে কোইয়ে, “যারা জাত্তোরে কোচপান তারারে চাঙমা লেঘা শিঘানা কুজোলী গরা পরেআর কোইয়ে, “এচ্যে মার্চ মাস তারিক ২০১৮ ইংরেজি ইবে এক্কো মাস যে মাজত গাজপাদা ঝুড়ি যায় মোন-মুড়ত গাজে গাজে নানাঙ ফুল ফুদি পিত্থিমীআন রাঙেয়্যন কু-কু কোকিলনানাঙ পেইকয়ে ভরি উত্তে এধক্যে এক অক্তত এচ্যা চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স ফগদাঙি কধ যার এই দিন্নু আমি, তুমি, এচ্যে যারা ইয়োত সাতকাম পেলে সরিত অইয়েই এ কলেজত তমারে ঈদোত গাদে রাঘেব’ বিজক’ পাদা।”
               মুইয়্য তা কধা সুদ নাল আহদে কোম, বাপ-ভেই, মা-বোন লক, গোদা পিত্তিমীআন মুজুঙে আক্কোই যার, নিজভাচ, ওক্কোর, সাহিত্য-সংস্কৃতিলোই। বানা আমি পর ভাচ, ওক্কোর, সাহিত্য, সংস্কৃতিলোই লুধুপুধু অই আঘি। আঘি জাত ভেইয়ে রুগরুগ্যা গরি; কেনা বানি রাঘেই মন খুলমেলা গরি বোই কধা বাত্তায় সংমিলনিত আমনর সাহিত্য সংস্কৃতিলোই উজে যেই। ভালেদি এজাল এই দ্বি’আন  সং অহলে আমি আমা সবন - আঝা বেক পুরে পারিবং। 
             এচ্যে দেঘর, আমা জাত ভেই-বোনুন কুধু পুরি আঘন? যক্যে হিলর ভিদিরে যেবং সক্যে দিঘি জাত্তো কত্তমান লেম পরি আঘে? নেই লেঘা পড়া। ১২-১৪ বয়স অহরে বো দেদন, লদন মোক। এচ্যে মেরুং যেনেই শুনিলুঙ, ক্লাশ সেভেনত পর্বোয়া এক্কো পুঅলাই এক্কো মিলে বো উত্তেগি। আ এক জন বিচের অহর, মদ খেই তা ঘরান আগুন বাজেই দিয়্যা; তার বিচের। এধক্যে ঘটনা বানা এচ্যে নয়।
চাঙমা লেঘা কোর্স ফগদাঙ গরের দাঙগু সুসময় চাঙমা

                সালেন আমি কুধু পরি আঘি ইত্তুন অনুমান গরি পারির। সেনে আমাত্তুন কাম গরিবার বহুত কাম পরি আঘে। জাত ভেইয়ে রেনা রেনি গরি থেলে অন কাম গরি ন’ পারিবং। মুই বিশ্চেস গরঙ, এই কুলি যুগতয়্য সে সত্য যুগর রাম, মহাভারতর অর্জুন আঘন। তারা নিজ’ কধা ন’ ভাবি, বুড় মা-বাপর কধা চিন্তে ন’ গরি বানা সমাজর কধা, জাদর কধা ভাবি, জাত্তোত্যাই, সমাচ বারেদিত্যাই অনসুর লারেই গরি যাদন। এচ্যে তারা বেন্যা আনুনি-নুনচো ভাত খেই গোদা দিন্নু উবোচ আহবাচ কাম গরিবার গরি যাদন।
            সালেন, এচ্যে যারা জাদর রাজনীতি দলুন আঘন, তারা যুনি তারারে এক্কা রিনি চেলে, এজাল দিলে তারা খামাক্কাই জাদর ভাচ, ওক্কোর, সাহিত্য সংস্কৃতি থিদব্বর গরি পারিবাক। গাজ’ পাদা ঝুড়ি যেব আর নুয়ো গরি কোর উদিব, গাজে গাজে ফুল ফুদি ঝাক ঝাক নুয়ো নুয়ো গাচ উদিবাক। সক্যে হিলচাদেগাঙ এ্যাইলে সাজিব’।সে পুরোন’ রীদিসুদোম ফেলে মিলে-মরদে মিলি জুলি সংসমারে বাকত লামি পারল্লে দোল এক্কান সমাচ থিদব্বর অহব।     

বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

OurLand OurLife


পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত,পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সব অবৈধভাবে পর্যটন রয়েছে সেগুলো কাছ থেকে বিরতা থাকার জন্য অনুরোধ করা গেল, কারন পাহাড়ীদেরকে উচ্ছেদ করে ভূমিগুলো কেড়ে নিয়ে জোর পূর্বক ভাবে দখল করে সেখানে পর্যটন স্থাপন করা হয়েছে। যেমন, বান্দরবান -নীলগিরি- ৬০ একর জমি দখল করে ২০০ ম্রো ও মারমা পরিবার উচ্ছেদ হয়েছে। (জীবননগর ) ৬০০ একর উচ্ছেদ -১২৯ ম্রো পরিবার। (চন্দ্রপাহাড়) ৫০০ একর । (নীলাচল) ২০ একর উচ্ছেদ - ১০০ ত্রিপুুরা,তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা পরিবার।(ডিমপাহাড়) ৫০০ একর উচ্ছেদ -২০২ ম্রো পরিবার । (রাঙ্গামাটি) সাজেক ভ্যালি ৫ একর উচ্ছেদ ৬৫ পাংখোয়া ও ত্রিপুরা।

শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

১৩ বজর পর “চাঙমা সাহিত্য বা” নুয়ো কমিতি:

এচ্যে ২৩/০২/২০১৮ ইং “চাঙমা সাহিত্য বা” কমিতি বানা অয়্যা। সমারে দিঘীনালা ডিগ্রি কলেজ ধেলা, বাবুছড়া ইউপি ধেলা, বাবুছড়া কলেজ ধেলা আ সাজেক ইউপি ধেলা উগুম দিয়্যা ।
সংমিলনি খলাত খলানানু এল চাঙমা সাহিত্য বা থিদব্বর গচ্ছে ভজমান দাঙগু দেব প্রিয় চাঙমা। তেয়্য এচ্যে চাঙমা সাহিত্য বা নুয়ো গরা কমিতি কাম গরানা উগুম দিয়্যা।
চাঙমা সাহিত্য বা নুয়ো গরা কমিতি:
১। জধানানু- দাঙগু কে.ভি দেবাশীষ চাঙমা,
২। এজাল জধানানু- দাঙগু দেবপ্রিয় চাঙমা,
৩। দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগু ইনজেব চাঙমা,
৪। এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগু সম্বুমিত্র চাঙমা,
৫। বা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু এলিয়েন্স চাঙমা,
৬। ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ- দাঙগু পরেশ চাঙমা,
৭। ফগদাঙ আ সিদানা কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী শ্রেয়সী চাঙমা,
৮। দপ্তর, তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ- সুমন চাঙমা,
৯। আন্তর্জাতিক আ সেমিনার কাবিদ্যাঙ- দাঙগু বিকেন চেগে,
১০। সিক্খা, খারা আ সংস্কৃতি কাবিদ্যাঙ- দাঙগু সুমঙ্গল চাঙমা,
আ ১১। সাবাঙ্গী- দাঙগুবী প্রিয়সী চাঙমা।

এচ্যে ২৩/০২/২০১৮ইং শুক্করবার বেন্যা ৯টা অক্তত দিঘীনালা ডিগ্রি কলেজত চাঙমা সাহিত্য বা অতালিয়ে আওজে ১৩ বজর পর আর’ নুয়ো গরি “চাঙমা সাহ
চাঙমা সাহিত্য বা দিগীনালা ডিগ্রি কলেজ ধেলা:
১। জধানানু- দাঙগু ধর্ম বিকাশ চাঙমা,
২। এজাল জধানানু- দাঙগু নবেল চাঙমা চাঙমা,
৩। দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী লাকী চাঙমা
৪। এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী রাবিনা চাঙমা,
৫। বা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু শ্যামল চাঙমা,
৬। ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ- দাঙগু প্রকৃতি চাঙমা,
৭। ফগদাঙ আ সিদানা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু লক্ষী ধন চাঙমা,
৮। দপ্তর, তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু নয়ন শান্তি চাঙমা,
৯। আন্তর্জাতিক আ সেমিনার কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী টিংকু চাঙমা,
১০। সিক্খা, খারা আ সংস্কৃতি কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী রেশমি চাঙমা,
আ ১১। সাবাঙ্গী- দাঙগুবী এটিনা চাঙমা।

১। জধানানু- দাঙগু সোনা মনি চাঙমা,
২। এজাল জধানানু- দাঙগু সুখেন চাঙমা,
৩। দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী সুনয়না চাঙমা,
৪। এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী টিনা চাঙমা,
৫। বা কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী বিনা চাঙমা,
৬। ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী প্রমিকা চাঙমা,
৭। ফগদাঙ আ সিদানা কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী মানিকা চাঙমা,
৮। দপ্তর, তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী রুনা চাঙমা,
৯। আন্তর্জাতিক আ সেমিনার কাবিদ্যাঙ- দাঙগু বিক্রম চেগে,
১০। সিক্খা, খারা আ সংস্কৃতি কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী বর্ষা চাঙমা,
আ ১১। সাবাঙ্গী- দাঙগুবী জোসিনা চাঙমা।
চাঙমা সাহিত্য বা বাবুছড়া কলেজ ধেলা:
চাঙমা সাহিত্য বা সাজেক ইউপি ধেলা:
১। জধানানু- দাঙগু প্রকৃতি চাঙমা,
২। এজাল জধানানু- দাঙগুবী বৈশাখী চাঙমা,
৩। দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগু লক্ষী ধন চাঙমা,
৪। এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগু সুসম জয় চাঙমা,
৫। বা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু নয়ন শান্তি চাঙমা,
৬। ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী নিষ্কৃতি চাঙমা,
৭। ফগদাঙ আ সিদানা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু জয়ীতা চাঙমা,
৮। দপ্তর, তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু বিশাল চাঙমা,
৯। আন্তর্জাতিক আ সেমিনার কাবিদ্যাঙ- দাঙগু রাসেশ চাঙমা,
১০। সিক্খা, খারা আ সংস্কৃতি কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী সপ্না চাঙমা,
আ ১১। সাবাঙ্গী- দাঙগু এলবিন চাঙমা।

বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

সাজেকে সেনা-সেটলার হামলার ৭ বছর


Sajek-hamla-photo2-300x241ডেস্ক রিপোর্ট।। ২০১০ সালের এ দিনে (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে সেনা ও সেটলার বাঙালিরা যৌথভাবে পাহাড়িদের ওপর বর্বরোচিত হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে তাণ্ডবলীলা চালায়। পরদিন ২০ ফেব্রুযারিও পাহাড়িদের উপর হামলা চালানো হয়। সেনা জওয়ানরা নিরস্ত্র পাহাড়ি জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করলে ঘটনাস্থলে নিহত হন বুদ্ধপুদি চাকমা ও লক্ষী বিজয় চাকমা নামে দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা।
হামলার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়িতেও ২২-২৩ ফেব্রুয়ারী সাতভাইয়্যাপাড়া-মা’জনপাড়ায় সেটলাররা সেনা সহায়তায় হামলা চালায়। সাতভাইয়্যাপাড়ায় বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। মা’জনপাড়ায় দোকানপাটসহ পাহাড়িদের বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। পরের দিন খবংপুজ্যায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে নির্বিচারে গ্রামবাসীদের ধরপাকড় চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে।
হামলাকারী দুর্বৃত্তরা সাজেকে ২টি বৌদ্ধ বিহার ও ৩টি গীর্জাসহ ১১টি গ্রামের পাহাড়িদের পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই করে দেয়। এছাড়া শিশুতলি গ্রামের বাসিন্দা রূপন চাকমাকে গুম করে ফেলে। এটা ছিল সাজেকের দ্বিতীয় বারের মত হামলা। এর আগে ২০০৮ সালেও সাজেকে সেনা সহায়তায় সেটলাররা পাহাড়িদের কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল।
সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত লক্ষ্মী বিজয় চাকমা। ফাইল ছবি।
# সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত লক্ষ্মী বিজয় চাকমা। ফাইল ছবি।
সাজেকে হামলার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাহাড়িদের ভূমি বেদখল করে সেখানে সেটলার জনবসতি গড়ে তোলা। মূলতঃ এ ষড়যন্ত্র শুরু হয় বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়। পরে ২০০৭ সালে-২০০৮ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত মঈন উদ্দিন – ফখরুদ্দীনের সরকারের আমলে উক্ত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চুড়ান্ত পদক্ষেপ গৃহীত হয়। সে সময় সেনা সহায়তায় নতুন করে বিভিন্ন এলাকা থেকে সেটলারদের সাজেক এলাকায় পুনর্বাসন করা হয়।
এর আগেও ২০০৮ সালের ২০ এপ্রিল সেনাবাহিনী ও সেটলাররা পাহাড়িদের গ্রামে হামলা চালায়। সে সময় ৪টি গ্রামের ৭৭টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু তারা ফিরে যেতে না যেতেই সেটলাররা সেনা সহায়তায় ৯ আগষ্ট আবার গঙ্গারামদোরের ৪টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এরপর ১৯ আগষ্ট সেটলাররা অপর এক হামলায় রেতকাবা গ্রামের লাদুমনি চাকমাকে কুপিয়ে খুন করে। বাঘাইহাট সেনা জোন এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে প্রধান ভূমিকায় থেকে নেতৃত্ব দেয়।
সাজেক জনগণের প্রতিবাদ। ফাইল ছবি
সাজেক জনগণের প্রতিবাদ। ফাইল ছবি
উক্ত  হামলার  প্রতিবাদে সাজেকের জনগণ ব্যাপক গণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখা দেয়। ভূমি বেদখল বিরোধী আন্দোলনের প্রক্রিয়ায় বাঘাইহাট বাজার বয়কট করে গঙ্গারাম দোরে উজো বাজার নামে একটি জনগণের বাজার গড়ে তোলা হয়। এই উজো বাজার সাজেকের জনগণের সংগ্রামের এক মূর্ত প্রতীক। উজো একটি চাকমা শব্দ, যা যুদ্ধে বা সংগ্রামে রণধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পার্বত্য  চট্টগ্রামের আন্দোলনের ইতিহাসে উজো বাজারের এক বিশেষ তাৎপর্য আছে বলেই সরকার ও সেনাবাহিনী এ বাজারকে ধ্বংস করার জন্য শুরু থেকেই উঠেপড়ে লেগে যায়। তারা জনগণকে ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শনের মাধ্যমে বাজারটি বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে হামলার ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিচার ও শাস্তি হয়নি হামলায় জড়িত সেনা-সেটলারদের। উপরন্তু পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে সাজেক থেকে পাহাড়ি উচ্ছেদসহ নতুন নীল-নক্সা বাস্তবায়ন করছে সরকার-সেনাবাহিনী।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ২, ধৃতদের পক্ষে নেই উকিলরা


দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডিতে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় গ্রেফতার ২, ধৃতদের পক্ষে নেই উকিলরা।
মূল অভিযুক্ত রামপ্রবেশ শর্মাকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে জেরা করে অপর অভিযুক্ত আন্ধারু বর্মনকে মঙ্গলবার ইটাহার থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে অত্যাচারের ঘটনার পর প্রায় ১৮ ঘন্টা ধরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকা যুবতীকে রবিবার বিকেলে উদ্ধার করে মাথায় জল দিয়ে জ্ঞান ফেরান বলে এলাকাবাসীর দাবি। এরপর কুশমণ্ডি হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই যুবতীর জবানবন্দি অনুযায়ী রামপ্রবেশের নাম জানতে পারে পুলিশ। এরপর দেহাবন্ধ এলাকার বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ বছরের কাঠমিস্ত্রি রামপ্রবেশকে পুলিশ পাকড়াও করে। অপর অভিযুক্ত লাগোয়া ইটাহারের পূর্ব নওগাঁ এলাকা থেকে কৃষিজীবী আন্ধারু বর্মনকে এদিন পুলিশ গ্রেফতার করে।
গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে ধৃত ওই দুজনকে তোলা হলে তাদের পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। বিচারক ১১ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আন্ধারুর বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় পুরনো অপরাধের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে রামপ্রবেশ শর্মার গ্রেফতারে এলাকার অনেকেই অবাক। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘‘রামপ্রবেশের কাঠের দোকান রয়েছে। বড় দুটি মেয়ে। এমন জঘন্য ঘটনায় ও জড়িত থাকবেন ভাবলে অবাক হচ্ছি।” রামপ্রবেশের বাড়িতে গিয়ে কাউকে মেলেনি।
সোমবার নির্যাতিতার প্রতিবেশী প্রৌঢ় ধুমা সরেনকে দিয়ে কুশমণ্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে যুবতীকে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টায় মূল অভিযুক্ত বলে রামপ্রবেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতা যুবতী রামপ্রবেশের নাম বলেছেন। তাকে ধরে জেরা করে অপর অভিযুক্ত আন্ধারুর নাম মিলেছে। দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চলছে।”
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবেই হোক তরুণীকে সুস্থ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে কলকাতায় নিয়ে কিংবা কলকাতা থেকে চিকিৎসক দল পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোও হতে পারে। রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকেও দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধৃতদের আরএসপি সমর্থক বলে দাবি করা হয়েছে। আরএসপির দাবি, ‘‘ধৃতরা আগে আরএসপি সমর্থক ছিলেন। এখন তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন।”
সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা, ২১/০২/২০১৮।
http://www.anandabazar.com/district/north-bengal/kushmandi-rape-accused-convicts-got-no-lawyer-in-court-1.759712?ref=north-bengal-new-stry

গেল্লে কেল্যা দীঘিনালা ১নং যৌথ খামারত ইউপিডিএফ’র এক্কো কর্মী মরি গেল

গেল্লে কেল্যা দীঘিনালা ১নং যৌথ খামারত ইউপিডিএফ’র এক্কো কর্মী মরি গেল । তা নাঙান সাইন চাঙমা(সুপার)২০ বাপ নাঙ ভূবন বিজয় চাঙমা, আদাম রস্যামুনি কার্বারী পাড়া দিঘীনালা। বেন্যা ৯ টা বর্মা গ্র্রুপে তারে মারি যিয়োন ইউপিডিএফ’র কয়। সমারে ৩ জন আহত।

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

পাহাড়ি নারীর ধর্ষণ ইতিহাসের কষ্টিপাথরে বিচার করতে হবে



সম্প্রতি রাঙামাটির বিলাইছড়িতে উনিশ বছরের এক মারমা তরুণী ধর্ষিত হয়েছেন আর তাঁর কিশোরী বোনটি যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন৷ অথচ আইরনিক্যালি বিলাইছড়ি থানা বাংলাদেশের একমাত্র থানা যেখানে গত চার বছরে কোনো অপরাধ মামলা হয়নি৷

আদিবাসীদের মূল্যবোধ সেখানকার সমাজকে এতদিন সুরক্ষিত রেখেছে, ঠিক সেখানেই ধর্ষণ হয়েছে আর ধর্ষণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা
কাপেং ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ৩৬৪ জন আদিবাসী নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে৷ তার মধ্যে ১০৬ জন শারীরিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, ১০০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ৬৬ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে৷ চলতি বছরের কেবল জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ১০ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তার মধ্যে তিনজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে৷ ধর্ষণের পর মেরে ফেলা হয়েছিল সবিতা চাকমা, সুজাতা চাকমা, ছবি মারমা আর তুমাচিং মারমাকে৷ এই নামগুলো ইন্টারনেটে বেশ আলোচিত হয়েছিল৷

উখিয়ায় আদিবাসী ছাত্রী ইলা রানী চাকমা'কে (১৫) ধর্ষণের চেষ্ঠা

উখিয়ায় আদিবাসী ছাত্রী ইলা রানী চাকমা'কে (১৫) ধর্ষণের চেষ্ঠা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে দুর্বৃত্তরা,তাকে রক্ষা করতে গিয়ে ইলা রানীর বড় বোন মাছাউ চাকমাককেও (২৫) আহত করেছেন দুর্বৃত্তরা।দুর্বৃত্তরা হলেন ইব্রাহিম,আব্দুর রহমান ও রফিক সহ আরো ৪-৫ জন ছিলেন।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...