বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

চতুর্থ পর্যায়ে ইতালি| অসহায় ডাক্তাররা কাঁদছে| শত শত লাশ| চারিদিকে হাহাকার।


Photo Credits go to it's Rightful owners


চতুর্থ পর্যায়ে ইতালি|
অসহায় ডাক্তাররা কাঁদছে|
শত শত লাশ|
Photo Credits go to it's Rightful owners

চতুর্থ পর্যায়ে ইতালি|
অসহায় ডাক্তাররা কাঁদছে|
শত শত লাশ|
একদিনে মারা গেল ৭৯৩ জন, মোট ৮০০০জন |সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৩৫০০জন!
শহরে কবর দেওয়ার জায়গা নেই সেনাবাহিনী ট্রাকে করে মৃতদেহ শহরের বাইরে নিয়ে কবর দিচ্ছে| অন্তিম সংস্কারের সময় পরিবারের কাউকে যেতে দিচ্ছে না কারণ সংক্রমণের ভয়|



Photo Credits go to it's Rightful owners


 হ্যাঁ আজকে থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে|এটা মহামারী|
আপনারা বাড়িতেই থাকুন| যে বা যারা নির্বোধের মত বিনা প্রয়োজনে(একান্ত নিরুপায় না হলে)রাস্তায় বা বাইরে বেরচ্ছে সেই আহাম্মক দের হাল্কা করে নিরামিষ ভাবে জানালা দিয়ে ঘরে থাকতে বলুন, আবার দেখলে হুলিয়ে খিস্তি দিন (মনে, মনে)|মাথায় রাখবেন ৫০০ বা ৫০০০ লোকের সমস্ত প্রচেষ্টা/প্রতিরোধ ভেঙে দিতে পারেন ওই একজনই|

Photo Credits go to it's Rightful owners


বাড়িতে আসা ও যাওয়া বন্ধ করুন,সে যত প্রিয়জনই হোক| সামনের লড়াই টা আরও কঠিন| মনে রাখুন প্রথমবার বাড়িতে শুয়ে বসে থেকে দেশ বাঁচানোর সুযোগ পেয়েছেন|এই সুযোগ হেলায় হারাবেন না|ইতিহাস আপনাদের মনে রাখবে|।

শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০

শহর আ মোন-মুড়ত অঝাপাত শিঘানা তামাজা অই যার

এচ্যে ১৩ মার্চ ২০২০ খ্রী. শুক্করবার চাঙমা সাহিত্য বাহ্ আওজে এচ্যে এক লগে কয়েক্কান জাগাত চাঙমা লেঘা কোর্স আরগানি গরা অইয়ে। যারা নিজরে কোচপান তারা এ কামানত দুগরে দুক ন’ কোই, পেদত্তুন, মুরত্তুন কারি কারি লেঙে লেঙে ফোবে ফোবে এগামার গরি কাম গরি যাদন। যা জাদর এক্কান ভালেদি লক্খন।

ঢাকা এওজি খবর দিল’ এচ্যে বেন্যা মাধান ১০.০০টা বাজি ঢাকা আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজত "চাঙমা সাহিত্য বাহ্" তপ্পেত্তুন চাঙমা লেগা শেঘানা আ তিন মাচ্চে সার্টিফিকেট কোর্স আরগানি গরা অইয়ে। সে চাঙমা লেগা শেঘানা হলাবোত আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা দাঙর মানবলা সুনানু পূজ্য প্রজ্ঞানন্দ মহাথের বেগ’ পল্লে পাত্তুরুতুরু জানেই ফগদাং গরা অইয়ে।

সে লগে এক্কো কলেজ’ সাত্থুয়া মানবলা সুনানু ধন মুনি চাঙমা, সাত্থুয়া মানবলা সুনানু প্রীতি চাঙমা, সাত্থুয়া মানবলা সুনানু সুনেন্দু চাঙমা, আ সাত্থুয়া মানবলা দাঙগু কৌশিক চাঙমা দাগি আজিল এলাক।
চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ঢাকা ধেলা কমিটি তপ্পেত্তুন জধানানু মঞ্জুমিত্র চাঙমা হলা পজ্জনী গুরিনেই দোলেইদালে ফগদাং গোচ্ছে। সে লগে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ঢাকা ধেলা কমিটি তপ্পেত্তুন এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ সুনানু প্রবীণ চাঙমা (রতন) দাগুবি সুনানু সুবর্ণা চাঙমা দাগি আজিল এলাক।


বেক্কুনোর দোল দোল সল্লাই আ উচ্ছামিলোই একাহুত্তুর (৭১) জন শিগিয়ে-পুরিয়ে ভুর্তি ওয়োন। একাহুত্তুর (৭১) জন শিগিয়ে-পুরিয়ে লোই দাঙগুবি সুর্বনা চাঙমা পত্থম ক্লাস আরগানি গোচ্ছে। চাঙমা সাহিত্য বাহ্ মনে গরে ইক্যে গরি নিজ’ মা-ভাচ, অহরক্কুন বেক্কুনো ইদু  পিত্থিমি বুগোত থিদবর গরি বাজেই রাঘেবং।

দিঘীনালা এওজি: এচ্যে বেন্যা মাধান ১০ দিঘীনালা উপজেলাত চেরান জাগাত চাঙমা লেঘা কোর্স ফগদাঙ গরা অইয়ে- 
 ১। কবাখালী মৈত্তী বৌদ্ধ বিহার,কবাখালী,দীঘিনালা. (বেন্ন্যা ১০টা) 
২। পাবখালী শান্তিপুর প্রাইমারি ইক্কুল,শান্তিপুর,দীঘিনালা, (বেন্ন্যা ১১টা) 
৩। ধলাইমা বৌদ্ধবিহার, কামুক্কোছড়া, দীঘিনালা.(বেল্ল্যা ২টা) 
৪। ভিদিরে বানছড়া প্রাইমারি ইক্কুল, বানছড়া,দীঘিনালা (বেন্ন্যা ১০টা)

খাগাড়াছড়ি এওজি: দক্ষিণ খবংপড়িয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুলত বিল্লে মাদান ৩টা অক্তত  ক্লাস আরগানি গরা অইয়ে।
সমারে নন্যাচর কলেচ, খাগাড়াছড়ি কমলছড়ি পাইলট হাই ইক্কুল, পানছড়ি ধুদুকছড়া উজেবং সমারে যুব ক্লাব , ঢাকা গাজীচর চাঙমা একাডেমি কালাচারাল আ লংগদু করল্যাছড়ি হাই ইক্কুলত চাঙমা লেঘা শেঘা অর।

শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০

পানছড়ি কবিদ্যা খলা

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি উপজেলা ধেলাউদ্যোগে পত্তিক মাজে কবিদ্যা কনা খলা এক্কো খলা জুগল গরা অহ্’য়। ইআন ২০১৯ সালত্তুন ধরি চলি এযের। সে ধারাদিঘলী গেল্লে ০৫ মার্চ ২০২০ খ্রি. রবিজয় কার্বারী পাড়া বা বাংলাদেঝর দাঙর নকবাচ্যা মানবলা দুখ্যে মানুচ সেবিয়্যা, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার সুজন চাঙমা বাগানত এ কবিদ্যা খলাবো অই যেল।
এ খলাবোত সভানানু চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি উপজেলা ধেলা জধানানু বিভাস চাঙামা, নকবাচ্যা গরবা বাংলাদেঝর দাঙর নকবাচ্যা মানবলা দুখ্যে মানুচ সেবিয়্যা, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার সুজন চাঙমা সুজন চাঙামা, মুলুক গরবা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার, সাত্থুয়া সুনানু ভদ্র সেন চাঙমা, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার রুপা চাঙামা, পানছড়ি ধেলা সল্লাদার সুবিতা চাঙমা, চাসাবা গরাকমিতি জধানানু ইনজেব চাঙমা, এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ পরেশ চাঙমা, তথ্য গবেষণা কাবিদ্যাঙ স্মরণিকা চাঙমা, চেঙ্গীচারি বালা স্মৃতি মহা বিদ্যালয় সাত্থুয়া ইতি চাঙমা, সমাক  গরা কমিতি দাঙর কাবিদ্যাঙ ডিপেন চাঙমা আ চাসাবা পানছড়ি উপজেলা ধেলা সাবাঙ্গীদাঘী।
কধগীউনে কলাক- “মিলেউন যনি কন’ কাম ন’ গরন সালেন পিত্থিমীত কন ভালেদ’ মু ন’ দেঘিবং। ...... যদক্কন মা ভাচ্ছান দাপ্তরিক ভাচ গরি পারা ন’ ততক্কন এ পোইদ্যানে কাম গরি যানা। ........যেধক ঝর বোইয়ের এযে মানুচ সেধক বেচ ঘর দুয়োর দরমর ঘরন। .................. কন’ কামত আহ্’ল পাগল ন’ অলে সে কামত মেহ্’ত ন’ পায়।

শেজে সুজন চাঙমা এজাল আ লোবিয়দে ৩০ জন মানুজরে ভাত খাবা অয়।

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০২০

সরকাররে চেই ন’ থেবং, আমি আমা কাম গরিবং: বাঘাইছড়ি আ লংগদু উপজেলাত তেম্মাঙ


বাঘাইছড়িত তেম্মাং
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা ডেস্ক: ২০১০ সালত গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেচ সরকারে রাজ দাগি কোইয়ে- এ দেঝর ভাঝত্যাই এক্কান বাবদা আ এক্কান মানচিত্র পিয়ে। এ দেঝর বেক ভাষানি আমি রক্কে গরিবং। ২০১৪ সালত্তুন ধরি খামাক্কাই অন্য আদিবাসীউনত্যা মা ভাঝর বই প্রাইমারিত শেঘা অভ’। মাত্তর দুগ’ কধা ২০১৪ সাল এনেই নানান ছলনা দিয়্যা। নানান অনটনর কধা কোইয়ে। সক্যে আর রাজ দাগি কোই ২০১৫ সালত আদিবাসী চিজিউন আহ্’দত বই তুলি দি পারিবার। মাত্তর সিআনয়্য বানা মুয়ো কধা বাদে কিচ্ছু নয়। এ পর দি বঝর ভিদি যানার পর ২০১৭ সালত বই পেলাক।  মাত্তর দাঙর দুন্ধুগর কধা এজ’ আদিবাসী বই ইক্কুলত পড়া ন’ অহ্’য়।
এ দুগত্তুন সরান পেবাত্যাই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ হিল চাগিদাঙ বাদেয়্য ঢাকাত চাঙমা লেঘা শিঘানা কোর্স চালে যার। যেন সরকার উদ্দেচ্ছোআানি পত্থম গত্তে উজু অহ্’য়। এ পোইদ্যানে গেল্লে ০৩ মার্চ ২০২০ ইংরেজি কাচালং সরকারি কলেচ আ ০৪ মার্চ ২০২০ ইংরেজীত লংগদু কলেজত দাঙর তেম্মাঙ অই যেল’ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গীউনর। তারা ২০১৯ সালত রাজ দাগি কলাক- ২০২০ সালত্তুন ধরি আদামে আদামে চাঙমা লেঘা কোর্স জুগল গরিবার। সে কধা পত্থম (বাস্তবায়ন) গরিবত্যাই তারা এ তেম্মাঙ ভিলি চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু সুনানু ইনজেব চাঙমা চাঙমা সাহিত্য পত্রিকারে কোইয়ে। সরকার আঝা বোই ন’ থেই যে যিঙরি পারে কাম গরি যেবার চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বেক সাবাঙ্গীউনে জুগল অই আঘন।
লংগদুত তেম্মাং
এ তেম্মাঙ খলাবোত নিজে ইনজেব চাঙমা আহ্’জিল অই কল- “মুই নিজরে কোচপাং। নিজরে যনি সত্যি সত্যি কোচপেলে দোল এক্কান আদাম সাজেবার সবন দেঘে। যে আদামত বেগে মা-ভাচ পারিবাক, চাংলা আ চাংলিশ ভাঝে ন’ মাদিবাক।” এ আঝা রাঘেই বেগে লেঙে লেঙে, ফোঃবে ফোঃবে অহ্’লেয়্য কাম গরি যেবার ইমে (প্রতিজ্ঞা) গরিলাক।

মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০

বাংলাদেশে অাদিবাসীদের মধ্যে প্রথম ইঞ্জিনীয়ার মিঃ পুলিন চন্দ্র দেওয়ান এর সংক্ষিপ্ত জীবনপুঞ্জিঃ ধীমান খীসা



পুলিন চন্দ্র দেওয়ান ১৯১১ সালের জানুয়ারী মাসে বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলাধীন খবংপড়িয়া (খবংপুজ্যা) গ্রামে 'লারমা গোজা পিড়েভাঙা গুত্তি'(চাকমাদের গোত্র)র এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ছিলো উগ্রমনি দেওয়ান ও মায়ের নাম জুরপুদি দেওয়ান। তিনি অামার পিতামহ গগন চন্দ্র খীসার অাপন জ্যাঠাতো ভাই। তিনভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার কনিষ্ঠ। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে খবংপড়িয়ার নির্মল প্রকৃতি ও অালো বাতাসের সান্নিধ্যে। খুব অল্প বয়সেই তিনি পিতৃহারা হন। বাবা মারা গেলে বড় ভাই রমেশ চন্দ্র দেওয়ান ও বিমল চন্দ্র দেওয়ানের উপর তাঁর লেখাপড়ার দ্বায়িত্বভার ন্যস্ত হয়। ছোটকাল থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন এবং মনে সবসময় উচ্চাশা পোষন করতেন। তাইতো বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও শত প্রতিকুলতার মাঝেও তিনি তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচলিত হননি। তাঁদের সময়ে রাজন্যবর্গ ও সামন্তপ্রভূদের প্রভাব এতই প্রকট ছিলো যে, তৎকালীন সময়ে সাধারন চাকমাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা সহজসাধ্য ছিলোনা। সেরকম প্রতিকুল পরিবেশেও সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে ডিঙিয়ে তিনি সাফল্য ছিনিয়ে এনেছিলেন এবং অাদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইঞ্জিনীয়ার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষাজীবনঃ
অদম্য মেধাবী এ ব্যক্তিটির শিক্ষাজীবন শুরু হয় Khabong Parya Lower Primary School (বর্তমানে খবংপড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়)এ। সেখানে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর খাগড়াছড়ি অাপার প্রাইমারী স্কুলে(বর্তমানে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) ভর্তি হন। উল্লেখ্য যে, তৎকালীন সময়ে Lower Primary School(L.P.School)গুলোতে ১ম ও ২য় শ্রেণি, Uper Primary School(U.P.School)গুলোতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি এবং Middle English School (M. E. School)গুলোতে ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত চালু ছিলো। খাগড়াছড়ি অাপার প্রাইমারী স্কুলে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তিনি বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলাধীন নানিয়ার চর উপজেলার অন্তর্গত বুড়িঘাট মৌজার মহাপ্রুম মিডল ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। অতপর উচ্চ শিক্ষার্থে তিনি রাঙ্গামাটি হাইয়ার ইংলিশ স্কুলে(বর্তমানে রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) চলে যান এবং সেখান থেকে তৎকালীন কলকাতা বোর্ডের অধীনে ১৯৩১ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন (ম্যাট্রিক) পাশ করেন। ম্যাট্রিক পাশের পর তিনি ঢাকার অাহসান উল্লাহ ইঞ্জিনীয়ারিং ইনষ্টিটিউটে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে সিভিল ইঞ্জিনীযারিংএ কৃতিত্ব সহকারে ডিপ্লোমা পাশ করেন। তৎকালীন সময়ে এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলা, অাসাম ও উড়িষ্যায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ারিং পড়ার জন্য একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুবই প্রসিদ্ধ ছিলো।
কর্মজীবনঃ

প্রথম ইঞ্জিনীয়ার মিঃ পুলিন চন্দ্র দেওয়ান
১৯৩৩ সালে পার্বত্য চট্টগাম জেলায় প্রথম ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনীয়ার পদে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনীয়ার ও ১৯৫৮ সালে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনীয়ার হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। দীর্ঘ অনেক বছর সফলতার সাথে সরকারি দ্বায়িত্ব পালনের পর ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
পারিবারিক জীবনঃ
তিনি কাচালং ঘনমোর মৌজার স্বনামধন্য হেডম্যান শশী মোহন দেওয়ানের জৈষ্ঠ কণ্যা নিরুপমা দেওয়ানের সাথে বিবাহ বন্ধনে অাবদ্ধ হন। তাঁদের ঔরসে তিন পুত্র ও ছয় কণ্যা সন্তানের জন্ম হয়। চাকুরিকালীন সময়ে রাঙ্গামাটিতে অবস্থানের কারনে তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি করেন এবং ১৯৮৬ সালের ২রা জুন রাঙ্গামাটির নিজ বাসভবনে ৭৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর চেষ্টা, অধ্যবসায়, লেখাপড়ার প্রতি গভীর অাগ্রহের কারনে তিনি বাংলাদেশে অাদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইঞ্জিনীয়ার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। খবংপড়িয়ার মাটির সন্তান হিসেবে তাঁকে নিয়ে অামরা(খবংপড়িয়াবাসীরা) এখনো গর্ব বোধ করি।

পাহাড়ীকা - অপুর বিকাশ চাঙমা

পাহাড়ীকা চাঙমা বানা এক্কান নাঙ নয়, নয় এক্কো মিলে আ এক্কো মা। তে এক্কো সমাচ ভালেদি কাম্মো। যে কামর বলে বাজি আঘে মানচ্চোর মুয়ে মুয়ে, থেব’ যুগে যুগে, কালে কালে। জেধক দিন সং হিল চাদিগাঙ থেব’, থেব’ এ দেঝর সরা গাঙ। জেধক্যে গরি ফুল পিবির পিবির মিদে মিদে বোইয়েরত দুলি দুলি থান, রেদো আগাজত তারাউন জলন। পুগ আগাজত পূন্নিমা জুনান পহ্র সিদিব, সিদিব’ পুগ’ সে রাঙা বেলান।

কন্না সে পাহাড়ীকা: চাঙমা সার্কেল মিঙিনি গাঙত এক্কান দোল ভরন পিরোন আদাম যে আদামান দেঘিলে পূন্নিমা জুনান লাজে মু ফেরায়। অজল নিজ’ মোন-মুড় বুক সিরি হ্ঙো বেঙা গরি বেই যিয়ে সে চংড়াছড়ি গাঙ পারত সিগোন এক্কো ভিদেত ১৯৮১ খ্রি. ২৩ সেপ্টেম্বর পাহাড়ীকা চাঙমা জনম অহ্’য় ২৯ নং ছোট মেরুং মুইজ’ হেডম্যান স্বগীয় সুনানু সুশীল জীবন চাঙমা আ সুনানু মেরুনী বালা চাঙমার দোল কোচপানা এক্কান সংসারত। কনসুচুক্যা দিন মাধান নিজ’ ঘরপাদা জাগা ফেলে ১৯৮৬ সালত ভারদত শরনার্থী জীংকানিত দাঙর-দিঙর অই ১৯৯৭ সালত নিজ’ আদামত ফিরি এজন। তারা দি ভেই, দি বোনর সেরে দি’ জনর তলেদি পাহাড়ীকা চাঙমা। লেঘাপরা জীংকানি থুম গরি ২০০৩ সালত আসার মাচ বাজেই ছড়া আদামত সুনানু তরুনী কুমার চাঙমা আ সুনানু বিজয় শোভা চাঙমা বেগ’ দাঙর পুঅ ইনজেব চাঙমার ঘরনি ইজেবে এজে।
পাহাড়ীকা চাঙমা চিগোনত্তুন ধরি কাম্মো। কন’ কাম তার আগাথ্যা নয়। ভারদত তা’ বর ভেই সুনানু রাইটার চাঙমা ইরুক হেডম্যান লেঘাপরা থানাকিজে পরি গেলে পাহাড়ীকা চাঙমা খাদি, কজাল (ঝলা) বুনি বিজি লেঘাপরা খরচ তা বাপরে বল দিদ’। আ নিজ’ লেঘাপরা খরচ থুবেদ’। মানচ্চোলই কন’ দিন কোল ন’ বাজায়। নিজর খুহ্’তি অহ্’লেয়্য কন’ সুয়োল ন’ গরিদ’। তা বাবা হেডম্যান ইজেবে তারা ঘরত গ’ গ’ মানুচ এজন। কধ জেলে ফা আগুন ন’ মরে। তার বর বোন ভেই থেলেয়্য কন’ পিজুম নেই গরি ভাত রানি লোবিয়ত গত্তে তার কন’ বিরিং বারাং নেই। সেনে তার এ গুন কারণে তারে বেক্কুনে চিজি দাগন। তার গুর ভেই টুয়েন চাঙমা মরানা সং বেহ্ ন’ দাগি চিজি দাগি জিয়ে।

১৭ বঝর সংসার: সুনানু ইনজেব চাঙমার সুনানু  পাহাড়ীকা চাঙমা জধন অহ্’য় ২০০৩ সালর আসার মাচ। এক্কা কধা ন’ কলে ন’ অহ্য়- ১৯৯৪ সালত ভারদত্তুন যক্যে পাহাড়ীকা চাঙমা নিজ’ ঘরপাদা জাগাত বেড়া এল’ সক্যে ইনজেব চাঙমালোই পত্থম দেঘা। এ দেঘা তারা দাঙর এক্কো ইধোত গাদে রাঘেবার দিন অভ’ তারা কন’ দিন ভাবি ন’ পারন। দি’ জনে এক সমারে জালা লাগেয়্যন। যনিও ইনজেব চাঙমা জালা লাগে ন’ জানে। ১৯৯৭ সালত ভারদ’ শরনার্থীউন আমনর ঘরপাদা সাগিনত বেক্কুন ফিরি এজন। সক্যে হ্ডেম্যান্নেরে গজি লবাত্তে তা মুউজ’ মানুচ্ছুন মেরং প্রাইমারি ইক্কুলত থুব অলাক। তারে দুলে দগরে গজি ললাক। সে সভাবোত ইনজেব চাঙমা এল’। সিয়োত তারা দি খেপ দেঘা। এ পর ১৯৯৮ সালত চংড়াছড়ি বরাদমত “ভিক্ষারি ছেলে” যাত্রা দিলাক। সক্যে পাহাড়ীকা চাঙমা খাগাড়াছড়িত লেঘা পড়া গরিদ’। ঘরত কি এক্কান গরজে এলে তেয়্য যাত্রা চা গেলে ইনজেব চাঙমালোই দেঘা। ইক্যে গরি তারা দি’ জনে একজনে আর একজনর কায় গেলাক। মাত্তর তারা ভাঙি কোই ন’ পারন- “মনর কোচপানা কধা।” বানা ভাবে বুঝা যায় একজনে আর’ একজনরে ন’ দেঘিলে থেই ন’ পারন। চোগত্তুন আহ্’জি যেলে তগা তুগি গরন। এক দিনে ইনজেব চাঙমা পাহাড়ীকারে চিদি লেঘিল’। সিত্তুন ধরি তারার কোচপানা কধা মুয়েদি কোই ন’ পারিলেয়্য চিদি দি দি গরিদাক। পরে সমাজ্যা ঘরত বেড়েম্মো গরি পাহাড়ীকা চাঙমা ইনজেব চাঙমা দাগিদু বেড়া এজে। এ পদত সমাজর মানু”উন ভারি সজাক। পরে বেগে খবর পেলাক তারা দি জনর কোচপানা কধা। তারা ঘরর মানুচ্চুন ন’ চান ইনজেব চাঙমালোই তার জধন ওক। সিত্তুন ধরি কন’ বেইল সুক নেই পাহাড়ীকা চাঙমার। পত্তিক বেইল ভাত খাদে ইনজেবরে লালি মারিদাক। সিআনি তার সহ্য ন’ অহ্’য়। ধারা ধারা চোগ’পানি লোই এক দিনে ইনজেবরে চিদি লেঘিল’- “পরান, তুই যনি মরে সত্যি সত্যি কোচপাচ মত্তুন দুরত যা। খামাক্কাই পরান, তুই খবর পাচ এ কধাআন ম’ মুয়োত্তুন ন’ এজে। ত্যুঅ কোই পাঙর। লেঘদে আহ্’ত গিরগিরাই। ত্যুঅ লেঘি পাঙর। আঝা গরঙ মর মঙ্গল তবনা গরিবে।
তা ১ বঝর পরে লেঘিল- “পরান, তুই মরে দুরত নেযা। ত’ ছারা মুই সুগি অই ন’ পারিম। বিশ্চেস গর পরান, তরে দুরত যেবার কোইয়ং সিত্তুন ধরি কন রেত ঘুম নেই গরি তোড়ে দুঙর। মরে যুনি সত্যি সত্যি কোচপাচ মরে বাজা পরান। ত’ ভাঙা ঘরত থেলেও মর স্বর্গ। না অহ্’ ম’ মরা মুআন দেঘিবে।”  ..........................................................................................................................................
[থুম ন’ অহ্’য়। ইবে এক্কো উপন্যাস। লেঘিয়্যাবো আঝা গরের ২০২১ সাল ফেব্রুয়ারিত ফগদাঙ অভ।]

শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আর ১৫ বঝর ৫ মাচ ১৯ দিন পর ঢাকাত চাঙমা লেঘা শিঘিয়্যা পরবোয়াউনরে সার্টিফিকেট দিয়্যা অহ্’ল




২০০৪ সাল, সেপ্টেম্বর ৭ তারিক চাঙমা সাহিত্য বাহ্ উদ্যোগে ঢাকা ট্রাইব্যাল হোস্টেলত চাঙমা লেঘা কোর্স ফাংফগদাঙ গচ্ছে সক্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উপমন্ত্রী সুনানু মণিসবন দেবান। তা সমারে আহ্’জিল এল’ আদিবাসী লেখক সঞ্জীব দ্রং দাঘি। যা বেক আদিবাসীউনর এক্কান দাঙর চেদন এই যায়।
নানান অনটনে আর ঢাকাত চাঙমা লেঘাশিঘানা কোর্স গরা ন’ অহ্’য়। গেল্লে ২১ জুলাই ২০২০ সালত জুম্ম কালচারাল একাডেমিত চাঙমা সাহিত্য বাহ্ উদ্যোগে তিন মাজ্যা চাঙমা লেঘা শিঘানা কোর্স ফাংগদাঙ গরানা ১৫ বঝর ৫ মাচ ১৯ দিন পর আর’ ঢাকাত চাঙমা লেঘা শিঘিয়্যা পরবোয়াউনরে সার্টিফিকেট ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সাল এক সিজি কেনত সার্টিফিকেট দিয়্যা অইয়ে।
চাঙমা কালচারাল একাডেমি ভবনত এ কেজ্জোআন গরা অইয়ে। কেজ্জোআনর পত্থম ত্রিপিটক পাঠ গচ্ছে সুনানু রিটন চাঙমাদাঘি। আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ যার অবদানে পিত্তিমীত সিদি পচ্ছে সে স্বগীয় পাহাড়ীকা চাঙমারে ইধোত তুলি ১ মিনিট অলর গরি তানার পর চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ফাংফগদাঙ গীত শুনা অইয়ে।
এ খলাবোত খলানানু সুনানু মোহন চাঙমা(সাত্থুয়া, ওমর আলী ইক্কুল এন্ড কলেচ), সুনানু স্মৃতি বিকাশ চাঙমার খলা পজ্জনীয়ে পাত্তুরুতুরু কধগী সানানু তপন চাঙমাদাঘি।

এ খলাবোত নকবাচ্যা গরবা এল’ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু সুনানু ইনজেব চাঙমা, মুলুক গরবা এলাক চাঙমা সাহিত্য বাহ্’র গরা কমিতি দাঙর কাবিদ্যাঙ সুনানু সম্ভুমিত্র চাঙমা, সুনানু রতন বিজয় চাঙমা, সুনানু দিলীপ চাঙমা আ মঞ্জুমিত্র চাঙমাদাঘি।
কধগীউনে কলাক- “এক্কো জাত পিত্তিমীত বুগত থিগী থেবার চেলে ভাচ আ অঝাপাত শিঘানা খামাক্কাই সাতকাম। তারা আঝা রাঘেই অহ্’লাক মুজুঙর দিনতয়্য নিআহ্’লচি গরি কাম গরিবার।




মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

দূঃখ- 𑄌𑄋𑄴𑄟 𑄛𑄳𑄢𑄧𑄉𑄴𑄉 𑄖𑄛𑄧𑄥𑄴

কানাডার সর্বচ্চো বিচারালয় দেখতে গিয়েছিলাম আজকে দেশের রাজধানীতে । সেই এক অনুভূতি নিয়ে ঘরে ফিরলাম। কাজের জন্য দুতাবাসে গেছিলাম। ঘরে ঢুকতেই এক ছোট বোনের বার্তায় জানলাম , আমার অন্যতম সহযোদ্ধার ( ইনজেব দা) দুঃখজনক খবর। বড় ক্ষতি হয়ে গেল তার যা আর ফিরে পাওয়ার নয়! বাস্তবতা মেনে নিতে হবে সবাইকে। আমরা সবাই এই পথের পথিক। দূঃখ!

সবকিছু পেছনে ফেলে রেখে শুরু হোক অবিরাম পথচলা - Pragati Khisa (14 ফেব্রুয়ারি, 8:10 AM-এ ·)

সকল অানন্দোজ্জ্বল সৃষ্টি বিলয়ধর্মী
তাই অপ্রমত্ত হও।
ওঠো, জাগো।
তোমার মনের অন্ধ বিবরে জ্বেলে রাখা
কামনা চেরাগ নিভে দাও

প্রজ্জ্বলিত করো প্রজ্ঞার দীপাবলি।
মানব জাতির কাছে এটাই তথাগত শাস্তার অন্তিম শিক্ষা।

অতএব, অামাদের কাছে কারোর জীবনপাতে কোন অশ্রুপাত নেই। তবুও মাঝে মধ্যে এমন কারো কারো মৃত্যু ঘটে তাতে শুধু অশ্রুপাত নয়, তার প্রজন্মের হৃদয়াকাশে ঘটে যায় বিনামেঘে বজ্রপাত।চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কর্ণধার স্নেহভাজন শ্রী ইনজেব চাকমা চারু'র সহধর্মীনি পাহাড়ীকা চাকমার অকাল জীবনপাত তারই প্রোজ্জ্বল উপমা।
স্নেহভাজন ইনজেব চাকমা'কে অামরা যখন বলি-বিশ্বজুড়ে চলছে মিছিল, অালোর মিছিল, স্বজাতির ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অাবাহন সৃষ্টির মিছিল, চলছে অধিকার অাদায়ের বজ্রকন্ঠে চিৎকার, কেওক্রাডং হতে অঝলচুগ পর্যন্ত যে মূহুর্তে চলছে অঝাপাতের মিছিল, অামরা যখন বলি এগিয়ে যাও ইনজেব ভাইয়া অারো সম্মূখে এমনতর সময়ে তার প্রাণ শক্তির মূলস্রোতধারা নিভে যাওয়া সত্যিই বেদনার। তবুও অাশায় বুক বাঁধি এই বলে যে, প্রিয় ইনজেবকে যে কিনা অপ্রমত্ত ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ে তিলে তিলে ইমারতের মতো করে গড়ে তুলেছে তার পবিত্র মরদেহের পুষ্পিত কফিন অামাদের কাছে একদীপ্ত প্রত্যয়ের অঙ্গীকার। তার সমস্ত কফিন ভরে ওঠুক ফুলে ফুলে অার চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পতাকার চাদরে মোড়ানো হয়ে ওঠুক পূরোটা কফিন।
মানুষ জানুক, দেখুক অার অনুধাবণ করুক একজন সহধর্মীনি স্বামীকে কতটা যোগাতে পারে প্রাণশক্তি?
সুপ্রিয় ইনজেব মনের অপূর্ণ অাকাংখার দহন বুকে জ্বেলে রেখে অারো এগিয়ে যাও সম্মূখে। থেমে যাওয়া নয়, সবকিছু পেছনে ফেলে রেখে শুরু হোক অবিরাম পথচলা। পরপারে তুমি ভালো থেকো অনেক অনেক বেশি।
১৪-০২-২০২০

ইনজেব দার কাছে ফাগুনের চিঠি:Pragya Alo Taluckder 14 ফেব্রুয়ারি, 9:28 AM-এ ·

ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনদের একটু স্পেশালভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়। এই দিনটি হয়তো হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝে একদিনের জন্য হলেও প্রিয়জনদের নিয়ে চিন্তা করার একটি দিন। কিন্তুু সে দিনটি যদি হয় প্রিয়জন হারানোর একটি দিন তখন সেটা কেমন বেদনার তা আমার প্রকাশ করার কোন ভাষা নেই!
ইনজেব দা আপনাকে কতদিন ধরে চিনি তা হয়তো কম কিন্তু যতদিন ধরে চিনি তাতে আপনার প্রতি ভালোবাসাটা অনেক আর অনেক। আজকের এইদিনে আপনার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষটিকে হয়তো চিনিনা এখনো কিন্তু আপনার চির বৈশিষ্টের গুণে আমি জানি উনি কেমন হবেন। আর উনার প্রতি আপনার ভালোবাসাটাও।
আপনার কষ্টের ভাগ হয়তো নেওয়া যাবেনা। অন্যদিকে আপনার এখানে এসে আপনার প্রতি আমার ভালোবাসা প্রকাশের যে সুযোগ সেটাতেও আমি অংশগ্রহণে ব্যর্থ! তাই এখান থেকেই আমার সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারলামনা। তার জন্য আমি খুবই দুঃখিত।
আপনি জানেন পৃথিবীর কোন কিছুই স্থায়ী নয়।কি ফুল কি পশু কি মানুষ! আমরা এই পৃথিবীতে শুধু নিজের কর্মের দ্বারাই নিজেদের চালিত রাখি। আর এটি এমন যে তার জন্য কাউকে ধরেও রাখতে পারিনা কিংবা সঙ্গেও নিতে পারিনা! আমরা ক্ষণিকের জন্য এই পৃথিবীতে এসে দুঃখের সাথে যুদ্ধ করতে থাকি। অনেকেই ভুলে যাই আমার কি করা উচিত! আর বাস্তবতাকে আমরা মেনে নিতে পারিনা, এখানেই আমাদের পরাজয়। শুধু আশার কথা হলো আমরা কিছুদিন পরে হলেও সেই করুণ কালো অধ্যায়কে ছুঁড়ে ফেলে দিতে সক্ষম হই। আর নতুন করে স্বপ্ন বানতে পারি আপন গতিতে।
আমি জানে আপনার স্বপ্ন কি। আর এও জানি আপনার স্বপ্নের সাথে আমাকেও গেঁথে ফেলেছেন। কারণ এই স্বপ্ন যে শুধু একজনের নয়! পৃথিবীর প্রতিটি শোষিত জাতির এমন স্বপ্ন থাকে যা হয়তো প্রায় ঘুমন্ত। আপনি আমাদের মাঝে সে ঘুমন্ত স্বপ্নকে জাগিয়ে তুলেছেন। হ্যাঁ, তাই আজ আমরা আমাদের মাতৃভাষায় লেখালিখি করতে জানি। এটা আমাদের অন্য কারোর সাথে যুদ্ধ নয়! যুদ্ধটা বরং আমাদের নিজেদের সাথেই। তাই আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি ধরে রাখার এই যুদ্ধে আবারো আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে পাবো এই প্রত্যাশা রাখি।
পরিশেষে ভাবির আত্মার সৎগতি কামনা রইল। ভালো থাকুন আপনি, ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল প্রাণী।
★★ সাধু সাধু সাধু ★★

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

তোমার মত বড়ভাই পেয়ে সত্যি অনেক অনেক গর্বিত আমি- সোহেল চাঙমা

পৃথিবীতে খুবই কম মানুষ আছে যারা সমাজের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু যারা সমাজের জন্য কাজ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে তাদের নামও মানুষের হৃদয়ে শতাব্দী থেকে শতাব্দী পরও থেকে যায়।
দাদা,তুমিও নিজের পরিবারে অনেক কিছু অভাব থাকলেও সমাজকে কোনোদিন সেই অভাবে থাকতে দাওনি।সেই ছোটকাল থেকে দেখে আসছি কিভাবে সমাজের জন্য কাজ করে চলতেছ।জুম্মদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য একদিনতো নিজের জীবনকেও বিলিয়ে দিতে বসেছিলে।হয়ত ভগবানের অশেষ কৃপায় সেই মৃত্যুর দরজা থেকে রক্ষা পেয়েছিল।কিন্তু মৃত্যুর দরজার থেকেও বেঁচে গিয়েও অনেক বছর পরিবারকে ছেড়ে থাকতে হয়েছিল অনেক কষ্টে। এখনো তুমি বসে নেই।নিজের জুম্ম জাতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলতেছ।
তোমার একটা দিন যায়নি মনে হয় পরিবারের যেকোনো সদস্য থেকে বকা না খেয়ে।বিশেষ করে মা। মা'তো প্রতিনিয়ত বলত যে(পোবু ভালেদ ন অব আার,পর বালেত্তি)এই পুত্র টা জীবনে উন্নতি করতে পারবেনা শুধু অন্যর জন্যে।আরও বলত মানুষের কাজ করে কি লাভ এদিকে নাতনিগুলো ভালোভাবে পড়তে পারছেনা।আরও অনেক কিছু।কিন্তু এটাও সত্যি যে,এই পৃথিবীতে খুবই কম মা-বাবা আছে যারা চায় নিজের ছেলে-মেয়েরা সমাজের জন্য কাজ করুক,সংগ্রামী হোক, বিপ্লব করুক।
এটা কোনোদিন আশা করিনি তোমার জীবনে এরকম অবস্হা পরতে হবে।আাজকে ভাবী(বুজি) যে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে এটা কিন্তু পরিবারের যেকোনো সদস্য থেকে তোমাকে বেশি প্রিয়জন হারনোর আগুনে জ্বলতে হবে।কিছুওতো করার ছিলনা।আসলে জীবনে চলতে গেলে সব কিছু স্বাদ গ্রহন করতে হয়।প্রিয়জন পাওয়ার আনন্দ,হারানো শোক সবকিছু।এগুলা সারা আসলে জীবন অপূর্ণ মনে হয়।তবুও এই হারানোতা কিন্তু ব্যাতিক্রম।
কিন্তু ভাবীও(বুজি) তো তোমাকে অনেক সাহাযা করেছে তোমার এই সমাজকে সাহায্য করার ব্যাপারে। আামার মনে হয় কোনোদিন তোমার এই কাজে বাধা সৃষ্টি করেনি।তুমি সাংসারিক কাজে উদাসীন হলেও ভাবী(বুজি)তোমার যে একটা মেয়ে আর একটা ছেলে তাদেরকে কোনোদিন অভাবে থাকতে দেয়নি।টাকা না থাকলে অন্যর কাছে দৈনিক কাজ করে পরিবারের খরচ,ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা খরচ জুগিয়েছে।এগুলো কি কম!


ভবিষ্যৎ অনেক অন্ধকার। জোনাকি রাও আলো দেখাচ্ছেনা আমাদের।তবুও আমরা চলেছি গুতিকয়েক মানুষের অবদান নিয়ে।যাদের অবদানে আজকে আমি নিজেকে জুম্ম বলে পরিচয় দিতে পারতেছি সারা পৃথিবীর মধ্যে।
আমি মনে করি তুমিও শোক ভুলে আরও বেশি সমাজের জন্য কাজ করে যেতে পারবা।
সবকিছু অন্ধকার হলেও একদিন এই অন্ধকার থেকে আলো ছিনিয়ে আানতে হবে।ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পৃথিবীতে টিকে থাকার মত আলো জুগিয়ে যেতে হবে।
যেহেতু আমাদের মা-বাবা চাকরি করেনা তাই একটু অভাব দিয়ে বড় হয়েছি।জীবনের সবকিছু অভাব পেয়েছি।কিন্তু একটা জিনিষের অভাব মনে হয় কোনোদিন পায়নি,তা হচ্ছে বইয়ের অভাব।জীবনকে যখন থেকে বুঝতে পেরেছি, জীবনকে জানতে চেষ্টা করেছি।এই অভাবটা পেলে হয়ত আজকে আমিও এই জায়গায় আসতে পারতাম না।
ভাবী মরেও মরেনি সে বেঁচে থাকবে তোমার কাজের মাধ্যমে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তুৃমি যে অবদান রেখে যাচ্ছ একদিন সত্যি ভাবীকেও পাওয়া যাবে সেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্য।এই অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মনে রাখবে।
দিনশেষে,
তোমার মত বড়ভাই পেয়ে সত্যি অনেক অনেক গর্বিত আমি।





কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...