সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২১
“আমি সে দিনর আঝায়- সুনানু ইনজেব চাঙমা
বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও কিংবদন্তি হেলেন কেলার - তানিয়া তুষ্টি সাইফ ইমন

বিভিন্ন মঞ্চে বক্তৃতার আয়োজন করতেন। দলে দলে লোক ভিড় করত সেসব অনুষ্ঠানে। তার বক্তৃতায় সূক্ষ্মতা ও চিন্তার গভীরতা দেখে মুগ্ধ হন শ্রোতারা।
কিছুদিনের মধ্যেই হেলেনের অসংখ্য অনুরাগী-ভক্ত তৈরি হলো। প্রচ- রাজনীতি সচেতন ছিলেন তিনি। নারীদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তিনি ছিলেন সোচ্চার। লিঙ্গগত বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানাতেন সবাইকে। মাত্র দুই বছর বয়সে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিত্ব বরণ করতে বাধ্য হলেও সংগীত উপভোগ করার এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল তার। আত্মজীবনীমূলক বই ‘The story of my life’ এ নিজের জীবনের বিপর্যয়, লড়াই ও ভালোবাসার জীবনচিত্র তুলে ধরেন তার অপূর্ব লেখনীতে। লোকের মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে তার নাম। তিনি কিংবদন্তি হেলেন কেলার।
নিরাশা থেকেও জন্ম নিতে পারেন হেলেন কেলাররা
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সম্পর্কে আমাদের একটি সাধারণ ধারণা হলো, তারা আর
দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতো চলাফেরা করতে পারে না। জীবনের অর্জন বলতে
কিছুই থাকে না। শুধু পরিবারের সবার ওপর তারা কেবলই বোঝা। কিন্তু এ ধরনের
কিছু প্রচলিত ধারণাকে পাল্টে দিয়েছেন হেলেন কেলার। এক গভীর নিরাশা থেকেও
জন্ম নিতে পারে তাদের মতো কিংবদন্তি। অন্ধ-বধির হয়েও কীভাবে মানুষ তার দেখা
ও বোঝার ক্ষমতা দিয়ে আকাশ স্পর্শ করতে পারে, তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন
হেলেন কেলার। তার পুরো নাম হেলেন অ্যাডামস কেলার। হেলেন কেলার ১৮৮০ সালের
২৭ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুবরণ করেন ১
জুন, ১৯৬৮ সালে। বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিত্ব নিয়েও মাত্র ২৪ বছর বয়সে
তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি পর্যন্ত
অর্জন করেন। তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করে গেছেন।
একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী। তার বাবার
নাম আর্থার কেলার এবং মায়ের নাম কেইট অ্যাডামস। মাত্র ১৯ মাস বয়সে তিনি
গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবা-মা আদরের মেয়ের জীবনের
আশা ছাড়তে পারেননি। চিকিৎসা করা শুরু করেন। বহু চিকিৎসার পর হেলেনের জীবন
হয়তো রক্ষা পায়, কিন্তু তার কথা বলা, শোনা এবং দেখার শক্তি চিরদিনের জন্য
হারিয়ে যায়। শিশুকাল থেকেই হেলেন কেলার একাধারে বাক-শ্রবণ ও
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিত্বের শিকার হয়ে বহুমুখী প্রতিবন্ধিত্ব নিয়েই বড় হতে
থাকেন। তার বয়স যখন মাত্র ছয় বছর তখন বাবা-মা তাকে ওয়াশিংটনের প্রসিদ্ধ
বিজ্ঞানী, টেলিফোন আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের কাছে পরামর্শ
গ্রহণের জন্য নিয়ে যান। হেলেন কেলারকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে
তিনি বলেন, হেলেন আর কোনো দিন চোখে দেখতে পাবে না এবং কানেও শুনতে পাবে না।
তবে গ্রাহাম বেল হেলেন কেলারের তীক্ষè বুদ্ধিমত্তা দেখে অনুধাবন করেন
পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে স্বাভাবিক জীবনের
কাছাকাছি একটি সুন্দর জীবন ফিরে পাওয়া সম্ভব।
সমাজসেবা
নিজে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও সমাজের এই ধরনের মানুষের জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করেছেন। তার জীবদ্দশায় যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রেসিডেন্টের এবং আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, মার্ক টোয়েন, চার্লি চ্যাপলিনের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের সহায়তা পান। হেলেন ১৯১৫ সালে জর্জ কেসলারকে সঙ্গে নিয়ে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থাটি এখনো বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের অনুরোধে হেলেন কেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যুদ্ধাহত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাবিক ও সৈনিকদের দেখতে যেতেন এবং শান্তি ও আশার বাণী শোনাতেন।
রাজনৈতিক জীবন
রাজনৈতিক বিষয়েও অভিজ্ঞ ছিলেন হেলেন কেলার। এই বিষয় নিয়ে তিনি লেখালেখি করেছেন। তিনি ছিলেন আমেরিকান সোশ্যালিস্ট পার্টির সমর্থক। হেলেন সেখানে ১৯০৯ সালে যোগদান করেন। তিনি আয়ের সুষম বণ্টন দেখতে চাইতেন। ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অসমতার শেষ দেখাই ছিল তার ইচ্ছা। তার বই ‘Out of The Dark’-এ এই বিষয়ে বিস্তারিত রচনা লিখেছেন। ১৯১২ সালে তিনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ডে যোগদান করেন। হেলেন ছিলেন একজন শান্তিবাদী এবং তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার জড়িত থাকার বিরুদ্ধে ছিলেন।
সাহিত্যেও ছিল দখল
সব
প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তিনি যেমন সমাজের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তেমনি
সাহিত্যাঙ্গনেও রেখেছিলেন দক্ষতার ছাপ। হেলেনের রচিত বইয়ের সংখ্যা ১১টি।
প্রধান বই হচ্ছে দি স্টোরি অব মাই লাইফ (১৯০৩), লেট আস হ্যাভ ফেইথ, দি
ওয়ার্ল্ড আই লিভ ইন (১৯০৮), ওপেন ডোর ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে হেলেনের
খুবই সুসম্পর্ক ছিল। হেলেনের সুখ্যাতি সম্পর্কেও রবীন্দ্রনাথ জ্ঞাত ছিলেন।
এ ছাড়াও তিনি বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অভিশপ্ত বিড়ম্বনা
জীবনের বিষাদের ওপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রে তার নিজের
ভূমিকায় তিনি নিজেই অভিনয় করেছেন। হেলেনর লেখা একটি কবিতা-
‘আমার দৃষ্টিদ্বয় তারা সরিয়ে নিল যেখানে যা হওয়া উচিত ছিল কিন্তু আমি স্মরণ করি মিল্টনের স্বর্গখনি,
আমার শ্রবণদ্বয় তারা সরিয়ে নিল যেখানে যা হওয়া উচিত ছিল বিথোভেন এসে মুছালো আমার চোখের পানি।
আমার জিহ্বা তারা সরিয়ে নিল যেখানে যা হওয়া উচিত ছিল যখন আমি ছোট ছিলাম ঈশ্বরের সাথে কত কথা,
সম্পূর্ণ পোষণ করি তিনি তাদের অনুমতি দেবেন না সরিয়ে নিতে আমার আত্মা।’
স্পর্শের অনুভূতি ছিল সূক্ষ্ম
হেলেন কেলারের অসামান্য কিছু প্রতিভা ছিল। যেমন- তিনি বাদ্যযন্ত্রের ওপর হাত রেখেই তাতে কী সুর বাজছে তা বলতে পারতেন।
অথচ তিনি কিছুই শুনতে পেতেন না। বাদ্যযন্ত্রের তরঙ্গের সঙ্গে স্থাপিত হয়
হেলেনের নিবিড় যোগাযোগ। ১০ বছর বয়সে নরওয়েতে উদ্ভাবিত পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে
কথা বলা শেখেন হেলেন। এমনকি দীর্ঘদিন পরও কারও সঙ্গে হাত মেলালে বলে দিতে
পারতেন লোকটি কে। তার স্পর্শের অনুভূতি ছিল অত্যন্ত সূক্ষ্ম। নোবেলজয়ী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হেলেনের হাত স্পর্শ করে তাকে কবিতা পড়ে শোনাতেন। হেলেন
বিশ্বকবির হাতের স্পর্শে অনুভব করতেন কবিতার শব্দমালা। এমনকি হেলেন কেলার
নৌকাও চালাতে পারতেন। শুধু তাই নয়, নকশিকাঁথা সেলাই করতে পারতেন হেলেন। আর
একজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই তিনি দাবা, তাস খেলতে পারতেন। বরং তার সঙ্গে
বিপরীতে খেলাটা মোটেই খুব সহজ ছিল না। এই হেলেন অন্ধদের জন্য তহবিল সংগ্রহ
করে গড়ে তোলেন নতুন নতুন সমিতি ও স্কুল। সমাজের বাক-শ্রবণ ও
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও গণমানুষের সহায়তা
অর্জনে আজীবন প্রচেষ্টা চালান। ‘হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল’ নামে
আন্তর্জাতিক সংস্থাটি এখনো কাজ করে যাচ্ছে। তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য
১৯৭৭ সালে ‘আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দি ওভারসিজ ব্লাইন্ড’ গঠিত হয়। হেলেন
এই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও পৃথিবীর বহু দেশের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে
প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সভা-সমিতিতে বক্তৃতা দিয়ে যা অর্থ
পাওয়া যেত তা দিয়ে বিভিন্ন দেশে অন্ধদের কল্যাণার্থে ৫০টিরও বেশি
প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন হেলেন। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য পেয়ে হাজার হাজার
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ শিক্ষালাভ করেছে। নিজেকে সফলভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত
করেছে। একজন সুস্থ সবল মানুষের জন্যও হেলেন একজন অনুপ্রেরণীয় ব্যক্তিত্ব।
কর্মযজ্ঞে অবিস্মরণীয়
প্রাথমিকভাবে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যখন জানা গেল হেলেন আর কোনোদিন
চোখে দেখতে এবং কানে শুনতে পারবেন না। কিন্তু গ্রাহাম বেল হেলেনের তীক্ষè
বুদ্ধিমত্তা দেখে বাবা আর্থারকে বলেন বোস্টনের পার্কিনস ইনস্টিটিউশনে
হেলেনকে ভর্তি করে দেওয়ার জন্য। ডাক্তার হোর এই প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ ছিল
অন্ধদের শিক্ষাদান। ডাক্তার নিজেই হেলেনকে স্নেহ দিয়ে লেখাপড়া
শেখাতে শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ ডাক্তার হো মারা গেলে অ্যানি সুলিভ্যান
ম্যানসফিল্ড নামের এক শিক্ষিকার হাতে যায় হেলেনের দায়িত্ব। অ্যানি অন্ধ এই
শিশুকে স্পর্শের মাধ্যমে জগৎ চেনাতে লাগলেন। আলোর ছোঁয়া এবং অন্ধকারের
অনুভূতির তফাৎ বোঝালেন। কল চালিয়ে হাতের ওপর বয়ে যাওয়া তরলকে চেনালেন ‘জল’
বলে। একে একে পরিচয় ঘটল তার সঙ্গে বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র, টেবিল, চেয়ার,
বিছানা ইত্যাদির সঙ্গে। আস্তে আস্তে হেলেন অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সব শিখে
নিতে থাকেন। লুই ব্রেইল আবিষ্কৃত ব্রেইল পদ্ধতির মাধ্যমে হেলেন লেখাপড়া
শিখতে শুরু করেন। কয়েক বছরেই হেলেন ইংরেজি, ল্যাটিন, গ্রিক, ফরাসি এবং
জার্মান ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তিনি ব্রেইল টাইপ রাইটারে
লিখতে শেখেন। হেলেন ১১ বছর বয়সে এক বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে কথা বলার
চর্চা করতে থাকেন। ধীরে ধীরে চিকিৎসার মাধ্যমে তার বাকশক্তি অনেকটা
স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। ২০ বছর বয়সে হেলেন সাহিত্য, দর্শন, ধর্ম,
ইতিহাসে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, ভর্তি হন র্যাডক্লিফ কলেজে। কলেজে
পড়াকালীন তিনি লেখেন তার প্রথম আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘Optimism’। চার বছর পর
তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিএ পাস করেন। কলেজে স্নাতক হওয়ার পর তিনি
লেখেন তার জীবনের নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সাংবাদিক পেশায় তার কর্মজীবন
শুরুর কথা। ১৯২২ সালে ডাক্তার বেলের মৃত্যুর পর তারই শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী
হেলেন বেলের প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। অন্ধ শিশুদের নিয়ে কাজ করতে প্রায়ই হেলেন
অন্ধদের জন্য নির্মিত বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শনে যেতেন। ১৯৩৫ সালে হেলেনের
শিক্ষয়িত্রী ও সহযোগী অ্যানি সুলিভ্যান মৃত্যুবরণ করেন। অ্যানির এই
মৃত্যুকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না হেলেন। জীবনের চলার পথের সঙ্গীকে
হারিয়ে তার প্রায় পাগল পাগল অবস্থা। এর মধ্যেই শুরু হয় বিশ্বযুদ্ধ। মার্কিন
প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের অনুরোধে হেলেন কেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যুদ্ধাহত
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাবিক ও সৈনিকদের দেখতে যেতেন। তাদের শান্তি ও আশার বাণী
শোনাতেন। যুদ্ধ শেষ হলে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য
বিশ্বব্যাপী এক আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। ১৯৫০ সালে হেলেনের ৫০ বছরের
কর্মময় জীবনকে সম্মান জানাতে প্যারিসে এক বিরাট সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা
হয়। তখন তার বয়স পৌঁছে গেছে সত্তর এর কোঠায়। ১৯৫৯ সালে হেলেন জাতিসংঘ
কর্তৃক বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত
১১টি বই রচনা করেছেন তিনি। হেলেন কেলার এমনই এক নাম যা অন্ধ, বিকলাঙ্গ,
প্রতিবন্ধী মানুষের কাছে আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। যুগে যুগে এই মহীয়সী নারীর
রেখে যাওয়া দৃষ্টান্তই হোক সবার পথচলার মন্ত্র। প্রচ- ইচ্ছাশক্তি মানুষকে
যে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হেলেন কেলার। শারীরিক সব
অক্ষমতাকে প্রচ- মানসিক শক্তি দিয়ে জয় করে হেলেন হয়ে উঠেছিলেন একজন
চিন্তাশীল-সৃষ্টিশীল মানুষ।
দ্য মিরাকল ওয়ার্কার
১৪
বছর বয়সে হেলেন কেলার ‘রাইট হামসন’ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর বিশ্ববিখ্যাত
লেখক মার্ক টোয়েনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মার্ক টোয়েন তার বর্ণনায় হেলেন
কেলারকে উল্লেখ করেছিলেন মিরাকল ওয়ার্কার হিসেবে। সারা বিশ্বের জন্য
অনুপ্রেরণীয় এই মহীয়সী নারীকে নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি হয় ১৯৬২ সালে। যেখানে
নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন পেটি ডিউক। চলচ্চিত্রটির নামকরণ করা হয় মার্ক
টোয়েনের সেই রচনা থেকে ‘দ্য মিরাকল ওয়ার্কার’। এই চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী
আলোড়ন তোলে। যার ফলে পরবর্তীতে দুইবার ছবি নির্মাণ করা হয় ১৯৭৯ ও ২০০০
সালে। যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে টেলিভিশনেও রিলিজ পায়। হেলেন কেলারের জীবনের
সবচেয়ে কঠিন দিকগুলো অবলোকন করেছেন এবং নিজের মেধা আর অধ্যবসায় দিয়ে জয়ও
করে নিয়েছিলেন। সেটাই চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয় চলচ্চিত্রে। হেলেনের
শিক্ষয়িত্রী ও সহযোগী অ্যানি সুলিভ্যান চরিত্রটি পরবর্তীতে চিত্রায়ণ করেন
পেটি ডিউক। প্রথম চলচ্চিত্রে এই চরিত্রে কাজ করেছিলেন অ্যানি বেনক্র্যাফট।
সব চলচ্চিত্রই দর্শক এবং সমালোচকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।
রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১
ইধোত উদে তরে- সুনানু ইনজেব চাঙমা
পজিম মোনত রাঙা গরি পহ্’র ছিদিলে
ইধোত উদে তরে,
কুধু আঘচ কেঝান আগচ
সবন দেঘেচ মরে।
ও ও আওজোর কোচপানাবি
কুধু ফেলে যেলে মরে।
ঝুপঝুপ্যা দেবা ঝরত সাজি নালত
তুই মুই দ্বিজনে গাদিলং কধক
দেবাবো ঝর দিলে
সাজি পানি আহ্’দিলে
ইধোত উদে তরে।
ও ও আওজোর কোচপানাবি
কুধু ফেলে যেলে মরে।
চিকচিক্যা রাঙা বেলান
পজিম মোনত এলান দিলে
বুগত আঝা বানে
কাল্লো বুগি ফিরি এভে তুই।
ফাওনর আভা ফিরিলে বিঝু কায় এলে,
শুনং ত’ মিধে র’বো
পাজন তোন তগা যেবার
কুজোলী গরর মরে।
মোহিনী বান- সুনানু ইনজেব চাঙমা
ও বাপ-ভেই, মা-বোন লক
মুরত পরি অমাল গরি ভাবি চ’,
আগে কধক সুক এল’
ইক্যে সে সুক কধু আহ্’জি যেল’?
চোগে রিনি ন’ পাচ্যে ভূইয়ো মাদ
চাদিগাং ফেলে এই পেলং,
আন্দার ঝার মুরুল্যা দেঝত
কধক দুগে বাহ্ বানি নিলং।
সে সাগিনর বাহ্ ভাঙি দিল কাপ্তে গদা পানি,
ছিদি পরলং মিজোরাম, নেপা আ তিবিরি।
ইক্যে!
মারা অহ্’ল’ মোহিনী বান
শত্রু মিত্রু ন’ চিনি
ভেইয়ে ভেইয়ে গরির মারা-মারি।
শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১
আমাহ্ জাত্তোরে পিত্তিমী বুগত বাজে রাঘেবাত্তেই আ পোতপোত্তে গরি ফুদি রাঘেবাত্তেই, জাদ' গরা আন দর'মর' গরিবাত্যাই- আমাহ্ মা ভাচ্চান খামাক্কাই শিঘি রাঘানা গরচ আঘে- সুনানু মুনিয়া চাঙমা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ত্ ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগত্ পর্বোয়া।
মুই মুনিয়া চাঙমা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ত্ ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগত্ পর্বোয়া। মুই যক্কে কলেজত এলুঙ সক্কে ম' সমাজ্জে কয়েক জনরে তারা নাঙানি আমাহ্ চাঙমা লেঘাদি লিঘদে দিঘিনেই মত্তনু আমাহ্ মা-ভাচ শিঘিবার ভজমান আওচ উয়ে। মাত্তর দুঘর কধা, মুই সে সময়ত আমাহ্ চাঙমা অহ্'রক্কুন শিঘিবার জু ন' পাঙ। দংগা পিরেহ্ করোনাত্যাই ঘরত ফিরি এ পেইনেই ম' আওচ্চান পূরণ গরিবার জু অহ্'য়। আর এ জু'আন গরি দিয়্যা সুনানু লিটন চাঙমা আ সুনানু কিংশুক চাঙমা দা দাঘি। তে গেলদে ২০২০ সালর নভেম্বর মাঝত 'চাঙমা সাহিত্য বাহ্' তপ্পেত্তুন আমাহ্ 'কুকিছড়া' আদামত্ 'কুকিছড়া দ্যা হিলম্যান যুব ক্লাব'ত ১২ দিনর চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স ফাং গরা অহ্'য়। তে মুই সে কোর্সত চাঙমা লেঘা শিঘিবার আওচ্চান পূরণ গরি পাজ্জুং। ইক্যে মুই আমাহ্ মা-ভাচ্, আমাহ্ চাঙমা অহ্'রক্কুন চিনং, লেঘি জানং, পরিহ্ পারং। সিত্যাই মুই 'চাঙমা সাহিত্য বাহ্' আ 'কুকিছড়া দ্যা হিলম্যান ক্লাব' রে জু জু আহ্ ভালেদি জানাঙর। চাঙমা লেঘা শিঘিনেই, ম' আওচ্চান পূরণ গরি পারিনেই মর' ভজমান গম' লাগিল’ যিয়ান মুই লিঘিনেই বা কোইনেই ফগদাং গরি ন' পারিম। মুই ইক্কু কোই পারিম, "মুই চাঙমা। তজিমপুর জাত। আমার আঘে নিজ' ভাচ্, নিজ' লেঘা, নিজ' রিদিসুধোম, নিজ' উরন-পিনন." জাদর ভাচ্ অহ্'লদে এক্কো জাদর নিঝেনী। যে জাদর নিঝেনী থেব', সে জাত্তু কন' দিন ন' লুগেব'। মাত্তর, দুগর অলহ্'দে এচ্যে আমাহ্ সেই ভাচ্, ওক্কোর, রিধিসুধোম আনি লুগে যাল্লোই। ইক্কু যনি আমি আমাহ্ ভাচ্চান্ শিঘি ন' রাঘেই, রিধিসুধোম আনি ধরি ন'রাঘেই, আমাহ্ পরেন্দি যে পিরিহ্'উন্ এবাক্ তারায়ু ন' পারিবাক। আমাহ্ জাত্তোর পিত্তিমীত্তুন লুগে যেবার দরআন থেব’। সিনাত্যাই, আমাহ্ জাত্তোরে পিত্তিমী বুগত বাজে রাঘেবাত্তেই আ পোতপোত্তে গরি ফুদি রাঘেবাত্তেই, জাদ' গরা আন দর'মর' গরিবাত্তেই- আমাহ্ মা ভাচ্চান খামাক্কাই শিঘি রাঘানা গরচ আঘে।
সে লগে কুজোলি থেব' আমাহ্ জাদর চিগোন-দাঙর বেগ ইদু, "আমাহ্ চাঙমা অঝাপাত্ শিঘানা আন সাতকাম ধরিনেই বেগে শিঘি রাঘেই আহ্ আমাহ্ পরেন্দি উদন্দি পিরিহ্ উনরেয়্য শিঘিবাত্তেই জিত তুলি দি।"
ইক্কে মুই কোই পারং দাঙর মু গরি, ম’ নিজ' মা ভাচ মাদে পারং লিঘি পারং- সুনানু টন্নী তালুকদার মাষ্টার্স ১ম বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাঙামাত্যা সরকারি কলেজ ।
সুনানু টন্নী তালুকদার মাষ্টার্স ১ম বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাঙামাত্যা সরকারি কলেজত পরেহ্। গেল্লে ডিসেম্বর ২০২০ইং চাঙমা লেঘা শিঘি নিজরে চাঙমা আ শিক্ষিত ভিলেন দাবি গরে। যারা মা- ভাচ আ নিজ’ ওক্কোরলোই দুরত আঘন তারারে শিক্ষিত মনে ন’ গরে।
তাত্তুন (চাঙমা সাহিত্য বাহ্ জধানানু, সুনানু ইনজেব চাঙমাদাঘি) পুজোর গরা অইয়ে- কি ভাপ উদি এধক দেরি গরি চাঙমা লেঘা শিঘিল? চাঙমা লেঘা শেঘি নিজরে কেঝান লাঘে? আ চাঙমা লেঘা শিঘানা পোইদ্যানে কাররে কি কবার আঘে?
তে কল’- “মুই পল্যে ঝু জানাং চাঙমা সাহিত্য বাহ্ রে। দোল চেহারায়ান আমারে একদিন সারি যেব, মাত্তর, জ্ঞান আমারে সারি যেদ’ নয়। মর খুপ আওচ এল’ চাঙমা লেগা সিগানা ম’ মা ভাচ শিগানা । নিজ মা ভাচ্ছোই কারর মা ভাচ তুলনা গরা ন’ যায় । এক্কো তজিমপুর জাত ইজেবে আমার ওক্কোর, ভাচ আ এক্কো জাদর যে দরপ্পানি থায় আমার কন’ উন’ নেই। সেনে আমি চাঙমা কোলেই, চাঙমা নাঙ দিই কেনেই চাঙমা লেঘা শিঘিবং, সে চদনাত্তুন মর দেরি অলেয়্য চাঙমা লেঘা শিঘানা। মা-ভাচ যে কন’ জাদর দাঙর আহ্ত্যার, একজনলোই আর’ একজনে মাদামাদি গত্তে, সুক, দুগর কধা ফগদাং গত্তে যিয়ান সাতকাম সিয়ান অলদে মা-ভাচ।
মুই একদিন শুননং মহালছড়ি কলেজত নায়ি চাঙমা লেঘা শিঘান। করোনা এনেই মর শিঘানা নঅয়, গেলদে ২০২০ সালর ডিসেম্বর মাঝত কায়াংঘাট আদামত কায়াংঘাট করুনাদয় বৌদ্ধ বিহারত দাঙর চিগোন ভেই বোনসুমুত্ত এক সমারে মর চাঙমা লেঘা শিঘানা জু অইয়ে। গুর ভেই-ভোনদোই এক সমারে লেঘা শিঘানা ইয়ান আর এক্কান দাঙর খুজি।
চাঙমা লেঘা শিঘানার জু গুরিদি শুক্রমনি তালুকদার। তারে মুই এ্যাংকুর জানাঙর। আরো জু জানাঙর চাঙমা সাহিত্য বাহ্ মানুচ্ছূনরে। আ সুনানু ইনজেব দা দাঘি আ সুনানু সুপায়ন দা দাঘিরে। তারার এজালে মুই নিজো মা ভাচ্চান শিঘি পাজ্জুং। আগে মুই চাঙমা লেগা অহ্’রক্কুন ন’ চিনিদুং, ইক্কে মুই মাদে জানং লিঘি জানং। ইক্কে মুই কোই পারং দাঙর মু গরি ম’ নিজ মা ভাচ মাদে পারং লিঘি পারং।
যারা নুও উদন্দি ভেই-বোন আঘন তারা ইদু চাঙমা লেঘা চিনপচ্যা গরিদি পারিবং আ চাঙমা জাত্তরে বাজেই রাঘে পারিবং। সেনত্তে চাঙমা লেঘা শিঘানা। আমার বেক্কুনর দায়িত্ব নিজো মা ভাচ্চান ধরি রাঘেবার নিজো জাত্তুরে বাজেবার, চাঙমা ভাচ্চান শিঘোদে লিঘোদে বেক্কুনে ন’ লাজেবং, ন’ দরে বং, বেক্কনে উজেয় যেবং আদাম্মে পারাল্লে আজু নানু, মা বাপ,ভেই বোন লক।”
বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২১
"ন' লাজেবং ন' দরেবং, উযেই এজ ভেই বোনলক। আমি বেগে চাঙমা লেঘা শিঘিবং, চাঙমা মা-ভাচ্চানরে মুজুঙেন্দি- আক্কোই নেজেবং- সুনানু পরেশ চাঙমা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২১
মুই চাঙমা লেঘা লিঘি জানঙ, চাঙমা অহ্’রক্কুন মাদে জানঙ। ম’ ইধু ইক্যে চুচ্যাঙ্যা- কা, গুজঙ্যা- খা অহ্’রক্কুন খুব সদর সদর লাগদন- সুনানু ইলি চাঙমা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলা বিভাগ।
![]() |
সুনানু ইলি চাঙমা |
সক্কে, আমা মা ভাচ আ আমা জাত্তো যুক যুক ধরি বাজি থেব’ মাধা উজু গরি। ইক্কু মুই চাঙমা লেঘা লিঘি জানঙ, চাঙমা অহ্’রক্কুন মাদে জানঙ। ম ইধু ইক্যে চুচ্যাঙ্যা- কা, গুজঙ্যা- খা অহ্’রক্কুন খুব সদর সদর লাগদন। ম’ ইদু ইক্যে মা মানে বুগত পদলা মা আ বা মানে উবরমুয়া বা। এক্কো সাহিত্য নিনেই পড়িয়ে ইজেবে ইক্যে মুই মনে অলে চাঙমা লেঘালোই কবিদে লিাঘ পারঙর, পজ্জন লিঘি পারঙর। মন’ সুন্দুগত্তুন এক্কান কোই ন’ পাজ্জে গম লাগানা কাম গরের মর। অনতিত্যে শিঙোর লোই যিনিক্যা গরি গাচ্ছুন এক ঝলগা বোয়েরত আলগে উগুরে পড়ন, ঠিক সেধক্যে আমিও অনতিত্যে গরি বানা চাঙমা নাঙ দিনেই এ বাঙালাদেঝত আ গদা পিত্তিমিত থিগি থেই ন’ পারিবং।
![]() |
এ দেঝত, আমার আঘেদে জাগানিত বুক ফুলে বাজি থেবাত্তেই আমার চাঙমা জাত্তোরে আরো শক্ত গরা পুরিবো। এক্কো জাদর নিজ’ ভাচ, নিজ’ ওক্কোর, নিজ’ রিদিসুদুম শক্ত মক্ত গরি ধরি রাঘেবার আমার বেক্কুনর গরচ আঘে। আমি নিজ উরোন পিনোন আনি চর্চা গরলেও আমার নিজ’ ভাচ্ছান এয’ দোলে দরমর গরি ন’ পারি। নিজ’ ওক্কোরুন লিঘদে আহ্ত বেঙা কঙা অহ্’য়, নিজ’ ভাচ পড়দে দাত ভাঙি যান, দিাঘলে দলামজা লাগে। সেনত্যেই আমার গাবুজ্যা গাবুরী, চিগোন চিজি দাঘি লগরে আ আমার সমাজর মুরুব্বি আ বর মানুচ্চুনরে কুজোলি গরিম- “চাঙমা ভাচআন দোলে শিগা পুরিবো আ সাতকাম মনে গরা পরিবো। সমাজর গম চিদে গরিয়্যা মুরুব্বিগুন জাদর সুদো আন শক্ত গরিলে আমার মুজুঙেদি যে পিড়িবো এবাক, চিজিদাগি আমা জাদ’ আ ভাচআনোরে দোলে চিনি পারিবাক আ কোচপেবাক। আমিও যিগুন শিগিলোয়েই আমা ভাচ আন, আমি বানা আমা ভিদিরে ন’ রাঘেই ছিদি দিবং যে যিদু পারি, যে যিধু থেই, যে যিয়োত জু পেই সিয়ত।
![]() |
আমাত্তুন খামাক্কাই খামাক্কাই চাঙমা ভাচ, অঝাপাত শিগানা দরগার- মিঠুন চাঙমা, থিয়েটার এণ্ড পারফরম্যান্স, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
মিঠুন চাঙামা |
![]() |
চাঙমা সাহিত্য বাহ্ জধানানু সুনানু ইনজেব চাঙমা সমারে |
সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২১
দরত্তুন, লজাত্তুন মরয়্য চাঙমা লেঘা শিঘানা - সুনানু সুস্মিতা চাঙমা
![]() |
সুনানু সুস্মিতা চাঙমা |
তে কল’- মুই, খবর পাং আমি বার বাঙানে মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘিবার জু পানার পরয়্য আ নেতাদাঘি অলিপ গরানার এচ্যে চাঙমা জাত্তো লেহ্ম পরি আঘি। আজি যার, মা-ভাচ, আল্যাক আ রিদিসুধোমানি। যেন কোই পারি ১৮৬০ সালত ব্রিটিশে পার্বত্য চট্টগ্রাম দঙলে নেযা সমারে চাঙমা, মারমা ভাচ্ছো লেঘা শিঘিবার জু দিয়্যা। এর পর ১৯৩৭-৩৮ সালতয়্য জু গরি দিয়্যা। সুনানু কামিনী মোহন দেবানদাঘি সিয়ান গজি ন’ লনার মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘানা আর ন’ অহ্’য়। তা পর ১৯৩৯ সালত ইন্দুস্তান - পাকিস্তান ভাক অলে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তানর ভাগে পরিলে পাকিস্তান সরকারস্যা আমারে চাঙমা লেঘা শিঘিবার জু গরি দিল’ ১৯৫৯ সালত। সক্যে দেবানদাঘি ন’ চানার আমি বারবাঙানে মা-ভাচ্চোই লেঘা শিঘিনা লেহ্ম পরির।
১৯৯৭ সালত পার্বত্য চুক্তি অহ্’য়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিত ৩৩ নং ধারাত (B) অনুচ্ছেদে পার্বত্য চাগালত মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘিবার পোতপোত্য গরি লেঘা থানা পরয়্য ২০১৭ সালত এনেই প্রাক প্রাথমিকত বই পেনেই কন’ লাভ নেই। মাষ্টরুনর পড়েবার যেমনি গরচ মনে ন’ গরন তেমনি সরকার কন’ শিক্ষা কারিকলাম নেই মা-ভাঝর পোইদ্যানে।
আ বেগত্তুন বেচ দাঙর কধা অলদে- মর রুমমেট শাহীনা এক দিনে মত্তুন পুজোর গরের এক্কো চাঙমা জাত ইজেবে আমার ওক্কোর আঘননি নেই। মর মনত সক্যে দর সম্যে কন’ লেঘা বাজে দ্যে নিনা। মাত্তর, মুই আঘন কনা সমারে সমারে আর কিচ্ছু পুজোর ন’ গরিল’। মুই বাজি গেলুং দর আ লাজত্তুন। ত্যুঅ দর থায় বাঙাল সমাজ্যালোই কধা কলে। কন’ আ অঝাপাদর পোইদ্যানে কিঝু পুজোন গরন নিনা। এ দরত্তুন, এ লজাত্তুন মরয়্যা চাঙমা লেঘা শিঘানা।
মুই নিজরে চাঙমা ভাবঙর, মুই চাঙমা লেঘা পারং- অন্বেশন চাঙমা (দর্শন ১ম বর্ষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ)।
পরেদি যক্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ত ভর্তি ওলুং সিধু ম’ সমাজ্যাদাঘি (বাঙাল) পুজোর গরন, চাঙমা লেঘা পারং নিনা? কিথ্যা তারা খবর পান চাঙমাদাঘির বেক আঘে, ভাচ, ওক্কোর, আল্যাক (সাহিত্য), রিদিসুধোম আ চাঙমাদাঘি বাংলাদেঝত জনসংখ্যাদি দ্বি’ নম্বরত। শিক্ষে-দিক্ষেদিয়্য বেগত্তুন বেচ আক্কোয়ে আঘন। সিত্যাই তারা পুজোর লদন।
মাত্তর! মুই ন’ জানঙ আমা অঝাপাত। বানা অন্য জনত্তুন শুনিনেই আদালং-পাদালং গরি কোই দিলুং চুচ্যাঙ্যা- কা, গুজঙ্যা- খা, চান্দ্যা- গা এ তিন্নো ওক্কোর। সিয়োত নিজরে নিজে কত্তমান লাজেলুং মুই বাদে কন’ জনে বুঝি ন’ পারিবাক। লাজে ধচ্যে। সে লাজত্তুন ইমে গরিলুং চাঙমা লেঘা খামাক্কাই খামাক্কাই শিঘিম।
![]() |
সুনানু ইনজেব চাঙমা আ সুনানু অন্বেশন চাঙমা |
মুই ইয়ান কোইম- “আজলে মুই দাঙর কবাল্যা। করোনাত্যাই রাজশাহীত্তুন ঘরত ফিরি এই পেলং, সরকারে ইক্কুল কলেচ বন্ধ গরানা সমারে সমারে। ঘরত এনেই পুজ্য জ্ঞান কীর্তি ভান্তেদাঘি আমা আদামত চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন চাঙমা লেঘা কোর্স জুগল গচ্ছে। আর দেরি ন’ গরি চাঙমা লেঘা শিঘিলুং। কারণ, মুই খবর পাঙর এক্কো জাত অদ’ যেনেই আমাত্তুন বেক্কানি লাগিবো। ভাচ, ওক্কোর, আল্যাক (সাহিত্য), রিদিসুধোম বাজি থেলে এক্কো জাত বাজি থায়। এধক্যে চিদেত্তুন চাঙমা লেঘা শিঘি নিজরে নিজে চাঙমা ভাবঙর, এর আগেদি এলুং মুই কজ্জর।
রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২১
চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন ১৬৪ জনরে সার্টিফিকেট দিয়্যা অহ্’য়
![]() |
২০৫০ ভিশন ভালেদি ওক-
মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০
পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বান
সবাই বাঙালি : বিদ্রোহের সূচনা
আমরা বাঙালি না বাংলাদেশি ? জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় , তখনই এই বিতর্কের সঙ্গে মানুষ পরিচিত হলেন। বাম এবং আওয়ামী বুদ্ধ...

-
"পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন-১৯০০" চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট (পার্বত্য চট্টগ্রাম) রেগুলেশন ১৯০০ এখনো কার্যকর একটি আইন। এ রেগুলেশনটির ...
-
১ বাবুছড়া ক্যাম্পের অপরিসর আঙিনায় সৈনিকরা জলপাই রঙের ম্যাট বিছিয়ে রাইফেল পরিষ্কারে ব্যস্ত। প্রতিমাসে একবার গোটা ক্যাম্প জুড়ে চলে পরিষ্কার ঘষ...
-
বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...