বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২

পাবর্ত্য চট্রগ্রামের আদিবাসীর সংবাদ

 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারাই আদিবাসী জুম্ম জাতির উপর জুম্মগণহত্যা তান্ডব চালিয়েছিল তাহা বিস্তারিত বিবরণ নিম্ন বর্ণনা দেওয়া হলঃ
সিরিয়ালঃ তালিকাঃ- জুম্ম গণহত্যা তারিখ ও সালঃ- উল্লেখ করা হলোঃ-
01. শুভলং পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- রাঙ্গামাটি জেলায়, ৭ জানুয়ারি 1979, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনীর মিলিয়ে 16 জন জুম্ম পাহাড়ি আদিবাসীকে নির্মমভাবে গণহত্যা করেছিল, আহত হয়েছিল 12 জন, 5টি গ্রামে 300 এর অধিক বাড়িঘর আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, সব বাঙ্গালীরা লুটপাট, ডাকাত, লুটপাট, করে এনেছিল। পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী 5000 এর অধিক ভারতে মিজোরামে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল।
02. গুইমারা পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলায়, 27 এপ্রিল 1979 স্থানের নাম গুইমারা, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে পাহাড়ি জুম্ম গণহত্যা চালিয়েছিল, এই সময় নির্মমভাবে 27 জন জুম্ম পাহাড়িকে হত্যা করা হয়, জুম্ম পাহাড়ি আহত হয়েছিল 31 জন, সেটলার বাঙালি ও সেনাবাহিনীর মিলিয়ে তিনটি গ্রামে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছিল 300 ঘরবাড়ি থেকে টাকা পয়সা, স্বর্ণ-রুপা, ধন সম্পদ, লুটপাঠ ও ডাকাত করে এনেছিল। পাহাড়ের জুম্ম 400 জন ভারতের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
03. কানুনগোপাড়া পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলায়, 22 এপ্রিল 1979, বাঙালির সেটেলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে নিরহ পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী উপর 5 জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। 2টি গ্রামে 120 টি বাড়িঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল, ওই এলাকায় বাঙালির সেটলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে বাড়িঘর লুটপাট, টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, স্বর্ণ-রুপা, লুটপাট ও ডাকাত করে এনেছিল। 2500 পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী ভারতের ত্রিপুরায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
04. রামগড় পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলায়, 7ই নভেম্বর 1979, বাঙালি সেটলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসীদের 2টি গ্রামের উপর জুম্মগণহত্যা চালিয়েছিল, এতে প্রায় বন্দুকের বেয়নেট মাথা ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছিল। পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসীর 18 জনকে গুরুতর অবস্থায় আহত করা হয়েছিল, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে 4 জন নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, এতে আদিবাসী জুম্ম পাহাড়ি ২০০০ জন অধিক ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
05. কাউখালি পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- রাঙ্গামাটি জেলায় কাউখালী ইউনিয়ন কমলপতি নামে বড় 1টি গ্রামে বাঙালিসেটলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী উপর গণহত্যা চালিয়েছিল 25 শে মার্চ 1980 সালে, তখনকার কর্তব্যরত জোন কমান্ডার পলিসি প্রয়োগ করে জুম্ম আদিবাসী পাহাড়িদেরকে শান্তির আলোচনা মিটিং এর নাম দোহাই দিয়ে জোন এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তারপর নারী-পুরুষ প্রায়ই 330 জন মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে গিয়েছিলেন, তখন পুরুষদেরকে সারিবদ্ধ ভাবে লাইনে দাঁড় করে সোজা দাঁড়িয়ে রেখেছিলেন, এবং নারীদেরকে আলাদা জায়গায় দাঁড়িয়ে রেখেছিলেন। তখন 300 জন পুরুষের উপর নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। এবং 30 জন নারীকে ধর্ষণ করা হয়। বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী বাড়িঘর লুটপাট করে টাকা-পয়সা ধন-দৌলত স্বর্ণ-রুপা, এরপর বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়, বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গায় পরিবর্তে এখন অনেকগুলো মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। বাঙালি ও সেনাবাহিনীদের অত্যাচারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে 1000 জুম্ম পাহাড়ের আদিবাসী শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ
06. তবলছড়ি মাটিরাঙ্গা পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানায় তখন 27 শে মে 1981 সাল, সেনাবাহিনী ও বাঙালির সেটেলার মিলিয়ে 146 জন নিরীহ পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী এর উপর নির্মমভাবে গণহত্যা করা হয়েছিল। নির্মমভাবে দা বতি দিয়ে আঘাত করতে থাকে এতে 58 জন আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এখনো পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী 18 জন নিখোঁজ অবস্থায় কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। ঐদিন ওই সময়ে বাঙালি সেটলার সেনাবাহিনী মিলিয়ে ঘরবাড়ি উপর অতর্কিত হামলা চালায়, হাজার হাজার পাহাড়ি ঘর বাড়ির উপর লুটপাট ডাকাতি করে, টাকা পয়সা, স্বর্ণ- রুপা লুটপাত করেছিল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের 18000 জুম্ম জাতির আদিবাসী ভারতের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
07. বানরাইবারী বেলতলী বেলছড়ি পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায়, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে অতর্কিতে পাহাড়ে জুম্ম আদিবাসী উপর 4টি নির্মম ভাবে গণহত্যা চালিয়ে 200 জন পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তখনকার সময়ে 40 জন নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের 2000 জন পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ওই এলাকায় বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনীরা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার আগে স্বর্ণ-রুপা, টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত সবকিছু লুটপাট ও ডাকাতি করে নিয়ে আসা হয়।
08. তেপালং- আসালং- গৌরাঙ্গ পাড়া - তবলছড়ি- বরনাল- পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গণহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানায় বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনীর মিলিয়ে 18 সেপ্টেম্বর 1981 সালে, বাঙালি সেটেলার ও সেনাবাহিনীর মিলিয়ে নিরীহ পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী জনগণের 5টি গ্রামের ওপর নিষ্ঠুরভাবে হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিলেন, এই সময়ে নিরীহ পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী উপর 1000 জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘর বাড়ির উপর অত্যাচার করে টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, ধন-দৌলত লুটপাট ও ডাকাতি করে নেই। তারপরে 35 টি বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়েছিল। ঐসময় অগণিত পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের অগণিত পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী জগনগ আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
09.গোলকপতিমা ছড়া পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গণহত্যা:-মাইচ্যেছড়া:
তারাবনছড়ি গনহত্যাঃ 1983 সালের জুন মাসের 26 তারিখ জুলাই মাসের 11, 26 ও 27 তারিখ এবং আগষ্ট মাসের 9, 10,11 তারিখ সেনাবাহিনী ও সেটেলার বাঙ্গালীরা একত্রে গোলকপতিমাছড়া- মাইচ্যেছড়া – তারাবনছড়িতে পাহাড়ি-জুম্মদের 4টি গ্রামগুলোতে অগ্নি সংযোগ লুটতরাজ হত্যা ধর্ষণ , নারকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো। এই গনহত্যায় 800 জুম্ম নিহত হয়েছিল। নিহতদের সিংহ ভাগ বৃদ্ধ, নারী ও শিশু। গনহত্যার পর সরকার সেখানে বাঙ্গালী বসতি স্থাপন করে।
10. তারাবনছড়ি পাহাড়ের জুম্মা আদিবাসী গনহত্যাঃ তখন ছিল 1983 সালে 26 জুন তারাবনছড়িতে 1টি গ্রামে আদিবাসী গনহত্যার সংঘটিত হয়। উক্ত গনহত্যায় 87 জনকে নিষ্ঠুর ও নির্মম ভাবে হত্যা ৪জন নারীকে ধর্ষণ ও অসংখ্যা বাড়ি ঘর লুটপাট অগ্নি সংযোগ করা হয়।
(11)ভুষণছড়া পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ 31 মে 1984 সালে ভুষণছড়া গনহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। প্রথমে শান্তিবাহীনির সেনা ক্যাম্প আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে বাঙালি সেনা সেটেলার হায়েনার দল 305 সেনা ব্রিগেড,26 বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও বি ডি আরের 17 নং ব্যাটালিয়ন মিলে নিরস্ত্র পাহাড়ি গ্রাম ( হাটবাড়িয়া, সুগুরী পাড়া, তেরেঙ্গা ঘাট, ভূষণছড়া, গোরস্তান, ভূষণবাঘ) 6টি আদিবাসী গ্রাম জালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। 400 পাহাড়ি নিহত হয়েছিলো যার উল্লেখ যোগ্যা সংখ্যক ছিলো শিশু ও নারী। অনেক পাহাড়ি নারী সেনা দ্বারা গন ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছিলো। আর 7000 জুম্ম আদিবাসী পাহাড়ি শরনার্থী হিসেবে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।
(12)পানছড়ি পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ সেই দিন ছিল 1মে 1986 সাল এই গনহত্যা সংঘটিত হয় গোলক পদিমা ছড়া,কালানাল ছড়া,করমাপাড়া,শান্তিপুর,মির্জাবিল,হেদারাছড়া,পুঁজ গাঙ, হাতিমুক্তি পাড়া,মাতেশর পাড়া,নাবিদাপাড়া,ও দেওয়ান বাজারে 11টি গ্রামে গনহত্যা চালিয়েছিল। 29শে এপ্রিল শান্তিবাহীনি বি,ডি,আর ক্যাম্প আক্রমণ করেছিলো। তার ফলশ্রুতিতে সেনা আর সেটেলার বাঙ্গালীরা যৌথভাবে সেখানকার পাহাড়ি গ্রাম গুলোর মানুষজন কে ডেকে একটা মাঠে জড়ো করে নির্মমভাবে জবাই ও গুলি আর হত্যা। এতে 100 জনকে হত্যা করা হয় ও 20,000 জুম্ম পাহাড়ের আদিবাসী হাজারের অধিক ভারতের এিপুরা রাজ্যের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করে।
(13)মাটিরাঙা পাহাড়ের জন্য আদিবাসী গনহত্যাঃ
পানছড়ির ঠিক একদিন পর 2রা মে 1986 সালে মাটিরাঙা তে পাহাড়ি রিফিউজি যারা ভারতে পালাচ্ছিলো, সেই নিরস্ত্র দেশত্যাগী মানুষের উপর এলোপাথারি গুলি চালিয়েছিলো বর্বর নরপশু সেনাবাহিনীরা এতে 70 জন পাহাড়ি বৃদ্ধ,, শিশু, নারী, নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো।
(14)কুমিল্লাটিলা-তাইন্দং, তবলছড়ি জুম্ম পাহাড়ি আদিবাসী গনহত্যাঃ-3টি গ্রামে 18মে 1986 তে, আগের গনহত্যাগুলির ক্ষত না শুকাতেই মাটিরাঙা থেকে প্রায় 200 জন ত্রিপুরা নারী পুরুষের দল যারা বাঁচার আশায় শিলছড়ি থেকে ভারতীয় সীমান্তের দিকে পার হচ্ছিলো কিন্তু তাইদং , কুমিল্লাটিলা গ্রামের মাঝামাঝি এক সরু পাহাড়ি পথ পাড়ি দেবার সময় বাংলাদেশ বি ডি আর এর 31 ব্যাটালিয়নের নর পশু জোয়ানরা তাদের উপর হামলা চালায় যার ফলে প্রায় 160 জনকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় , এমনকি বর্বর পশু জোয়ান বাহীনির গুলির হাত থেকে বেচে যাওয়া আহত দের কে সেটেলার বাঙাল এনে বেয়নেট খুচিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঐ ঘটনার বেচে যাওয়া অল্প কিছু সাক্ষী আজো আছে।
(15)দিঘীনালা পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ- খাগড়াছড়ি দিঘীনালা মেরুং -চংড়াছড়িতে 3টি গ্রামে 19 ডিসেম্বর 1986 সালে নিরীহ আদিবাসী পাহাড়ি মানুষ জীবনের ভয়ে ভারতে পালানোর সময় সেনাবাহিনীরা পেছন থেকে গুলি করে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে 30 জনকে।
(16)হিরাচর, সারোয়াতলী খাগড়াছড়ি,পাবলাখালী পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ
8, 9, 10 আগস্ট 1988 সালে হিরাচর, সারোয়াতলী, খাগড়াছড়ি, পাবলাখালীতে 100 পাহাড়ি জুম্ম কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। অনেককে গুম করা হয়।গণধর্ষণ করা হয় পাহাড়ি নারীদেরকে।
(17)লংগদু পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ
4ঠা মে, 1989 সালে লংগদু তে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ অজ্ঞাত নামা লোকের হাতে খুন হন। এর দায় চাপানো হয় শান্তিবাহীনির কাঁধে। এর জের ধরে সেনাবাহিনী সৃষ্ট ভি,ডি,পি ও সেটেলারদের ও সেনাবাহিনী একত্রে দলবেঁধে পাহাড়ী গ্রামে উপর হামলা করে। এতে নিহত হয় 40 জন আদীবাসি নারী পুরুষ শিশু। তাদের মৃতদেহ পর্যন্ত ফেরত দেয়া হয়নি। পুড়িয়ে দেয়া হয় বৌদ্ধ মন্দির। এমন কি তৎকালীন সাবেক চেয়ারম্যান অনিল বিকাশ চাকমার স্ত্রী , সন্তান ও নাতি কে পর্যন্ত নির্মম হত্যা যজ্ঞের শিকার হতে হয়। সেটেলার হায়েনা রা আজো অনিল বিকাশ বাবুর সমস্ত জমি দখল করে রেখেছে।
(18)মাল্যে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ
2রা ফেব্রুয়ারি, 1992 তে মাল্য গনহত্যা সংঘটিত হয়। ঐ দিন মারিস্যাতে রাঙ্গামাতটি গামী যাত্রীবাহী লঞ্চে এক বোমা বিস্ফোরনে এক যাত্রী ও চালক নিহত হন। বাংগালী অধ্যুষিত মাল্যেতে লঞ্চটে পৌছা মাত্র সেখানে ঔত পেতে বসে থাকা সশস্র সেটেলারা পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী যাত্রীদের উপর হামলা করে। এটে 30 জন জুম্ম নিহত হন যার মধ্যে 14 জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এটে অনেক যাত্রী রাংগামাটি হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। প্রতক্ষ্যদর্শীদের ভাষ্য থেকে জানা যায় যে এই ঘটনাটি আর্মিদের সাজানো পরিকল্পিত হত্যা কান্ড ঘটনা ঘটায় যাহা পরে গনমাধ্যমে শান্তিবাহিনীর উপর দোষ চাপানো হয়।
(19)লোগাং পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ
10ই এপ্রিল,1992 সালে লোগাং-এ পাহাড়ির জুম্ম জাতির বিরুদ্ধে নির্মম হত্যা যজ্ঞ চলে। সেই দিন এক পাহাড়ী মহিলা তার গাবাদি পশু চড়াতে গ্রামের অদূরে গিয়েছিলো সেখানে দুই জন সেটেলার বাঙাল দ্বারা সে ধর্ষিত হয়। এতে এক পাহাড়ি যুবক বাধা দিলে সেটেলাররা তাকে সেখানেই হত্যা করে, পরে এই ঘটনা শান্তিবাহীনির উপর চাপানো হয় এর জের ধরে সেনাবাহিনীও বাঙালি-সেটেলার দলবেঁধে 1500 পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী জনসংখ্যা অধ্যুষিত গ্রামে হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে 400 জন পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী কে।এটে 800 পাহাড়ি বাড়ি ঘরে, টাকা পয়সার স্বর্ণ-রুপা ধন-দৌলত লুটপাট ও ডাকাতি করে পরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পাশের গ্রামগুলো থেকে প্রায় 2000 জন পাহাড়িকে শরনার্থী হয়ে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
20.ছোট ডুলু পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ- রাঙ্গামাটি কাউখালীতে ছোট ডুলুতে সেনাবাহিনীরা আদিবাসী গনহত্যা সংঘটিত করেছে। 30মে 1992 সালে উক্ত গনহত্যায় 12 জনকে হত্যা তাদের মধ্যে ৫ জনের লাশ পাওয়া যায়নি। 40 টি মত ঘরবাড়ি টাকা-পয়সা স্বর্ণ-রুপা ধন দৌলত লুটপাট ও ডাকাতি করে নেই। এরপরে বাড়ীঘরগুলো অগ্নিসংযোগ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় ও 1 টি বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস করা হয়।
21.নানিয়াচর পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী গনহত্যাঃ 17নভেম্বর 1993 সালে নানিয়াচর বাজারে আদিবাসিদের শান্তিপুর্ন মিচ্ছিলে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে বাঙ্গালি সেটেলারর-সেনাবাহিনীরা নিষ্ঠুর ও নির্মম ভাবে হত্যা করে নিরীহ জুম্ম আদিবাসী পাহাড়ীদেরকে। এর নেতৃত্বে ছিলো সেটেলারদের সংগঠন পার্বত্য গনপরিষদ যা নেতৃত্বে ছিলো মোঃ আয়ুব হোসাইন নামক হায়েনা নেতা এবং তৎকালীন বুড়িঘাট ইউ,পি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ। এতে নিহত হয় 29 জন জুম্ম নাগরিক আহত হয় শতাধিক। এতে জুম্ম ছাত্ররা যখন প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে তখন সেনা ক্যাম্প হতে জুম্ম ছাত্রদের উপর উন্মুক্ত এলোপাথারি গুলি চালানো হয়।
এছাড়াও, 1995 সালে মার্চে বান্দরবান সদর, 2001 সালের আগষ্টে রামগড়, 2003 সালের আগষ্টে মহালছড়ি, 2006 সালে এপ্রিলে মাইসছড়িতে, 2008 সালের ফেব্রুয়ারিতে বাঘাইহাটে, 2010 সালের ফেব্রুয়ারিতে বাঘাইহাট-খাগড়ছড়িতে এবং সর্বশেষ গুইমারা-মাটিরাঙ্গা-জালিয়াপাড়ায় গাড়ি থেকে নামিয়ে নিষ্ঠুর ও নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। এভাবে একের পর এক গনহত্যায় রক্তে রঞ্জিত হয়েছে পাহাড়ী মানুষের পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছে। সেই জুম্মগনহত্যারগুলির নিষ্ঠুর বর্বরতা এখনো জুম্মজাতিকে পিছু তাড়া করে বেড়ায়।
এইভাবে নির্বিচারে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাঙালী সেটলার দ্বারা জোরপুর্বক বসতি স্থাপন একদিকে শান্ত পাহাড়কে নরকের দিকে ঠেলে দিয়েছে অন্যদিকে শান্তিপ্রিয় পাহাড়বাসীর জীবনকে করেছে বিপন্ন। এভাবে জুম্মজাতির প্রতি চাপিয়ে দেয়া জাতি হত্যার নীলনকশার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আরেক বার 97 এর আগে ফিরে আসুক। এভাবে আর কত মা, বোন, ধর্ষণ, জুম্মবাপভাইকে বিনাবিচার হত্যা সহ্য করবো আমরা। তাই পরিশেষে মাননীয় সম্মানিত আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কাছে বলেতে চাই… তিন পার্বত্য জেলায় থেকে সেনাবাহিনী ও বাঙালির সেটলারদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়ে বাংলাদেশের সমতল জেলায় নিয়ে আসা হোক।
আর যদি মাননীয় সম্মানিত প্রেসিডেন্ট এই সমস্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সমস্যা ঘটনার সমাধান দিতে যদি ব্যর্থ হয়, তিন পার্বত্য জেলা থেকে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসীগণ পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের আনাচে-কানাচে গিয়ে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে। আর যারা তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসীরা পালিয়ে যেতে চাই না, তারা বাঙ্গালীদের সাথে সম্মুখী বা মুখোমুখি হয়ে যুদ্ধ করে লক্ষ লক্ষ পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসী ও বাঙালি সেটেলার মারা যেতে পারে।
জুম্ম পাহাড়ি আদিবাসীদের ভূমি, জমি, পাহাড়ের টিলা, এইগুলো বাঙালি সেটলার ও সেনাবাহিনি মিলিয়ে জোর-জবরদস্তি করে জুম্ম পাহাড়ে আদিবাসী জনগণের ভূমি, জমি, পাহাড়ের টিলা, গুলো জোরপূর্বকভাবে ভূমি বেদখল, জমি বেদখল, পাহাড়ের টিলা বেদখল করে ছিনিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্ত। শেষমেষ বাংলাদেশ সরকার জুম্মজাতি আদিবাসী শব্দটি থেকে নাগরিক হিসেবে জু্ম্মজাতিআদিবাসী অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখেছে । 2011 সালের সংবিধান সংশোধনীতে আদিবাসী শব্দটি পরিবর্তে উপজাতি, সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী হিসেবে শব্দ সংবিধানে সংশোধনীতে প্রতিস্থাপন করেছে। এইটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বসবাসরত জুম্মজাতিকে আদিবাসী শব্দটি থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে চিরতরের জন্য বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ সরকার পাহাড়ের নিরীহ জুম্মজাতির আদিবাসীর উপর এমন নিষ্ঠুরভাবে জুম্মগণহত্যা ব্যবস্থা, নির্মম অাচারণ, কঠিন অত্যাচার, নিষ্ঠুর ব্যবহার, নিষ্ঠুর অত্যাচার, জঘন্য অপরাধ, স্টিমরোলার সেনাবাহিনীর সেনাশাসন চালিয়ে প্রশাসনের দৌরাত্ম্য, বাঙালি প্রশাসনের বিমাতাসুলভ দুর্ব্যবহার, বর্ণবাদের অপবাদ, বাঙালীজাতিগত সহিংসতা, পাহাড়ের জুম্ম আদিবাসী জনগণের ওপর সেনাবাহিনী অপারেশন উত্তরণ নামে কাল অধ্যায় সেনাশাসন ও শোষণ করে আসছে উপনিবেশিকবাদের শাসন কায়দায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাঙালি সেটলাররা প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত, প্রতি মুহূর্তই জুম্মগণহত্যা ঘটনা ঘটে চলেছে ।
সেনাবাহিনী ও জঙ্গী সেটলার বাঙালী দ্বারাই গোপনীয় ভাবে জুম্ম গণহত্যা তাণ্ডব চালিয়েছিল তাহা পরিসংখ্যান জুম্মগণহত্যার এর সারমর্ম
সেনাবাহিনী দ্বারাই জুম্ম জাতি ঘরবাড়ি আগুন দেওয়া হয়েছিল ঘরবাড়ি= 96015টি ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছিল।
গ্রাম ছিল ==259টি গ্রামে সেনাবাহিনী দ্বারাই জুম্মগণহত্যার তাণ্ডব চালানো হয়েছিল।
সেনাবাহিনী দ্বারাই হত্যা=37,096 জন মোট জুম্মকে নিষ্ঠুরভাবে দা, কুড়াল, বেনেয়ট দিয়ে কুরে কুরে জুম্মহত্যা নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটনো হয়েছিল।
সেনাবাহিনী দ্বারাই আহত=12,112 জনকে জুম্ম জাতি আহত অবস্থায় রেখে দিয়েছিল।
সেনাবাহিনী দ্বারাই নিখোঁজ করা হয়েছিল =50058 জন জুম্ম জাতির এখনো নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে।
সেনাবাহিনী দ্বারাই জুম্মনারী উপর গণধর্ষণ =38038 জন নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল।
আদিবাসী জুম্মজাতি ভারতের আশ্রয় নিয়েছিল =3,93100 জন ভারতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
জঙ্গী সেনাবাহিনী ও জঙ্গী সেটলার বাঙালী দ্বারাই বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল মোট =11টি+ বৌদ্ধ প্যাগোডা এদের উপস্থিতিতে একটি বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল।
জুম্মজাতি আদিবাসীদের জুম্মগণহত্যার বিনিময়ে
পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্মল্যান্ড হবে হবেই।
কার্টেসিঃ তুষার কান্তি চাকমা।

শনিবার, ১১ জুন, ২০২২

উইকিপিডিয়ায় চাকমা ভাষায় তথ্য মিলবে: বিপ্লব রহমান


জ্যোতি চাকমা নাম রিবেং ইউনি থেকে সরানো হয়েছে- ইনজেব চাঙমা

ইন্টারনেটভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে চাকমা ভাষা। বাংলা, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ও সাঁওতালি ভাষার পর এটি বাংলাদেশের চতুর্থ ভাষা, যা উইকিপিডিয়ায় যুক্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উইকিপিডিয়ায় চাকমা ভাষা যুক্ত হলে এই ভাষার শিক্ষার্থী ও আগ্রহীদের জন্য তো বটেই, গবেষকদের জন্যও অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, চাকমা ভাষাকে ইন্টারনেটজগতে যুক্ত করতে গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই ভাষায় উইকিপিডিয়া (সংক্ষেপে উইকি) নির্মাণের কাজ। কিছুদিন আগে প্রথমে চাকমা ইউনিকোড ফন্ট এবং ইউনিকোডভিত্তিক চাকমা টাইপিং সফটওয়্যার 'রিবেং ইউনি' চালু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এখন নির্মাণ করা হচ্ছে চাকমা ভাষার উইকি। চাকমা উইকি নির্মাণে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের অংশ হিসেবে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিয়েছেন একদল তরুণ চাকমা লেখক। তাঁরা চাকমা জাতিগোষ্ঠীর সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, রীতিনীতি, ঐতিহ্যসহ বাংলাদেশ ও বিশ্বের নানা বিষয়ের ওপর নিবন্ধ চাকমা ভাষায় অনুবাদের কাজ করে চলেছেন। চাকমা উইকিকে সমৃদ্ধ করতে নতুন নতুন নিবন্ধ লেখার কাজও চলছে পুরোদমে। চাকমা ভাষা জানেন এবং কম্পিউটারে চাকমা ভাষা লিখতে পারেন- এমন যে কেউ এখন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া চাকমা উইকিতে [http://incubator.wikimedia.org/wiki/wp/ccp] অবদান রাখতে পারবেন। উদ্যোক্তাদের মতে, জ্ঞান-বিজ্ঞান যেহেতু একটি ক্রমবিকাশমান প্রক্রিয়া, তাই অন্যান্য ভাষার উইকির মতো চাকমা উইকিও প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করতে হবে। এ কাজে তাঁদের প্রচুর সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন। বাংলা উইকির জন্য 'বিএন', ইংরেজি উইকির জন্য 'ইএন' এবং সাঁওতালি উইকির জন্য 'এসএটি'-এর আদলে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আইএসও) ল্যাঙ্গুয়েজ কোড হিসেবে চাকমা উইকির এক্সটেনশন হচ্ছে 'সিসিপি'। জানা গেছে, চাকমা ভাষায় উইকি নির্মাণকাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জ্যোতি চাকমা ও সুজ মরিজ চাকমা। এ দুজন মিলে কিছুদিন আগে চাকমা ইউনিকোড ফন্ট এবং ইউনিকোডভিত্তিক চাকমা টাইপিং সফটওয়ার 'রিবেং ইউনি'র উদ্ভাবন করেন। নেপথ্যে তাঁদের সহযোগিতা দিচ্ছেন বাংলা উইকির অন্যতম উদ্যোক্তা ও উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য ড. রাগিব হাসান। উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়ে রাগিব হাসান বলেন, 'উইকিপিডিয়ায় আদিবাসী ভাষাগুলোর অংশগ্রহণে মুক্ত জ্ঞানচর্চার জগত আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের তরুণ চাকমাদের অংশগ্রহণে চাকমা ভাষায় উইকিপিডিয়া দিন দিন বিকশিত হবে বলে মনে করছি।' তিনি চাকমা উইকিতে বাংলাদেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বের চাকমা জনগোষ্ঠীর তরুণ প্রযুক্তিপ্রেমীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করেন। জ্যোতি চাকমা ও সুজ মরিজ চাকমা কালের কণ্ঠকে বলেন, নানা কারণে তাঁদের মৌলিক মানবিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ায় এখন হুমকির মুখে পড়েছে চাকমা লেখ্য ভাষা। এ অবস্থায় নিজেরাই নিজেদের ভাষা রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে তাঁরা চাকমা উইকির কাজ শুরু করেছেন। জ্যোতি ও সুজ মরিজ জানান, নির্মাণাধীন চাকমা উইকিতে আগ্রহী যে কেউ তাঁর নিজ জাতিসহ সারাবিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান, সংস্কৃতিবিষয়ক তথ্য বা ছবি যুক্ত করে মাতৃভাষার পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারবেন। তাঁদের আশা, চাকমা উইকি নির্মাণে বাংলাদেশি চাকমারাই অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। চাকমা উইকির নির্মাণকাজ সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করছেন উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য ও বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ান আলী হায়দার খান। তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, বর্তমানে উইকিপিডিয়া ইনকিউবেটরে চাকমা ভাষার পরীক্ষামূলক উইকি নির্মাণকাজ চলছে। সেখানে চাকমা ভাষায় লিখতে-পড়তে জানা যে কেউ নিবন্ধ, তথ্য ও ছবি যোগ করার কাজ করতে পারবেন। তবে সব কিছুই রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে। পুরো কাজটিকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন বেশ কিছু দক্ষ ও নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবী। তিনি আরো জানান, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের লক্ষ্য এ দেশের সব ভাষায় উইকিপিডিয়ার প্রসার ও সমৃদ্ধকরণের কাজ করা। এরই অংশ হিসেবে তাঁরা চাকমা উইকি নির্মাণে আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য বিভিন্ন কর্মশালা করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে চাকমা উইকি নির্মাণের মূল কাজ এগিয়ে নিতে হবে চাকমা ভাষাভাষী স্বেচ্ছাসেবীদেরই। আর তাঁদের নেপথ্যে প্রযুক্তিগত সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেবে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ। সাঁওতালি ভাষার উইকিপিডিয়ার প্রধান উদ্যোক্তা সমর মাইকেল সরেন এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উইকিতে আরো একটি আদিবাসীর ভাষা যুক্ত হলে শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাই বিকশিত হবে না, সারাবিশ্বেই ছড়িয়ে পড়বে বাংলাদেশের বহু জাতির ভাষা ও সংস্কৃতির গৌরব। লেখক বিজয় কেতন চাকমা এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটি চাকমা জাতিসত্তার বিকাশের জন্যও অবদান রাখবে। তিনি নিজেও এ উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'আমি চাকমা উইকির জন্য সানন্দে নিবন্ধ লিখব। আমার ছেলেমেয়ে ও বন্ধুবান্ধব সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই মহতী কাজে অংশ নিতে উৎসাহ দেব।' উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গেছে, চাকমা ভাষার উইকিপিডিয়ায় লেখার জন্য আগ্রহীদের এই ভাষার ইউনিকোডভিত্তিক টাইপিং সফটওয়্যার 'রিবেং ইউনি' ফন্টের প্রয়োজন পড়বে। আগ্রহীরা সহজেই http://uni.hilledu.com ওয়েবসাইট থেকে বিনা মূল্যে চাকমা ইউনিকোড ফন্ট এবং টাইপিং সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারবেন। গবেষকদের মতে, বাংলাদেশে প্রায় ৭৫টি ভাষাগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বসবাস। তাদের আনুমানিক লোকসংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। তাদের মধ্যে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর পরেই চাকমারা সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। 

দৈনিক কালের কণ্ঠ, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ০০:০০ |

সোমবার, ৩০ মে, ২০২২

চাাঙমা লেঘা ট্রেনিং আ তেম্মাং খলা: চাঙমা সাহিত্য বাহ্

 


চাঙমা ভাচ্চান এক্কান উজু সুরুঙ ভাচ। যার নেই কন' কুজুরো-কাজারা, কুলুক কালুক, যে ভাঝত নেই মুই তারে চিগোন গুরিম, দাঙর গুরিম। বেক্কুন সঙ, বেক্কুনরে সমান চোগে চেনে কধা কো অয় যিয়ান যদবদে এক্কান দোল সুধোম/খাচ্চেক। যিয়ান ভাচ্চানর এক্কান সাম্যর উপাদান।

গেল্লে  ২৮ মে ২০২২ খ্রি. চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন খাগাড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট হল রুমত দ্বি’দিন সং চাঙমা লেঘা ট্রেনিঙত  পল্যা দিনোত নকবাচ্যা গরবা এল' খাগারাছুরির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব গোলাম মো. বাতেনদাঘি আঝিল থেই এ কধা কোইয়ে ।

 গোলাম মো. বাতেনদাঘি আর’ বাইনি গরি কোইয়ে- বাংলা দেচ্চান যুনি এচ্যা সোনার দেচ অয়দি অয় সালে দেঝর নানাঙ জাদর নানাঙ ভাঝর কারণেই ওপাচ্ছি। আমা পার্বত্য চট্টগ্রামত চাঙমা সুমুত্তো আর' যে ভাচ যে সংস্কৃতি আঘে সিয়ানি ছারা বাংলাদেচ তুজিমপুরো ওই পারে।


তে আর' কয় বাংলাদেচ্চান জুনি অয় এক্কো সোনার মুকুট সালে আমা ভাচ, আমা সংস্কৃতিআন সে মুকুট্টুর এক্কো দামি রত্ন (মানেক) ভাচ অলদে এক্কান নিত্য বদোল্লি জিনিস। এচ্যা কেল্যা গুরি এত্তে এত্তেই আধুনিক অয়। ইক্কু যে আমি আধুনিক বাংলা ভাচ দিগির ইয়ানও সেদোক্যা বদ'লদে বদ'লদে, সোর গত্তে গত্তে ইধ্দুরোত এচ্চি। ভাচ্চান দোল তুজিমপুরো বানাদে উধোর লোয়ি আরবি, ফারসি ধোক্যা নানাঙ ভাঝর '।সে লগে বাংলা একাডেমিও বানা অয়। আমার আমা ভাচ্চান দোল, পোতপোত্যা, তুজিমপুরো বানেবাত্যা চেলে যেন অন্য ভাজর র’ উধোর লো পোরিবো সেন আমা ভাচ, আমা ঘাচ্চারা ধক অহ্ত রাগেবাত্যা খামাক্কায় আমাত্তুন উঝে থা পোরিবো। নিজো ভাজর ধক,ঘাচ্ছারা, মাজারা খামাক্কায় ধুরি রাঘা পোরিবো যেন আমি অন্য ভাজর সেরে সুমি আমা ভাঝর খাচ মাজারা/চিন (স্বকিয়তা) আন আরে ফেলেবার উচ্চান আমারে দি গেল'

তে আহ্’ভিল্যাচ খেই কল-  চাঙমা ভাচ্চান নানাঙ কারণে তা মাজারা আরে ফেলার। মর যে চাঙমা সমাজ্যা  তারা বেচভাক কন্নে নাকি চাঙমা ভাচ্চান মা মুওত্তুন সুনি সেনে পারি খালিক লিগি পারি। সিয়ান মরে ভজান দুক দে।


শেজে চাঙমা সাহিত্য বাহ্’রে বাইনি গরি কল- চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এচ্যা যে কামান গরি যার নিআলচি, নেই তুচ্যা গরি ভাচ্চানরে তিগে রাগেবাত্যা আ চাঙমা লেগা সিগেয়্যা সাত্থুয়াউনোরে ট্রেনিং দেনা সান্যা সেত্তোমান দাঙর এক্কান কাম আহ্’দত লনায় তে চাঙমা সাহিত্য বাহ্রে পাত্তুরুতুরু।

গেল্লে ২৮ মে ২০২২ খ্রি. ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বাংলা, ২৫৬৬ বুদ্ধাব্দ শনিবার চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন যারা নানাঙ জাগাত চাঙমা লেঘা শেঘান সিত্তুন ৩৫ জন সাত্থুয়াদাঘিরে নিনেইভাষা হল মনের দৈন্যতা কূপমন্ডুকতা থেকে বেড়িয়ে আসার শক্তিশালী মাধ্যম মুলুক কধাআন মুজুঙে রাঘেই খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট হলরুমত চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন দিন সং চাঙমা লেঘা সাত্থুয়াদাঘি ট্রেনিঙ খলা জুগল গরা অহ্য়্যা। ইয়োত খলানানু গিরি গচ্ছে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু সুনানু ইনজেব চাঙমাদাঘি। নকবাচ্যা গরবা ইজেবে সরিত অহ্য়্যা খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইটিসি), গোলাম মো. বাতেনদাঘি। মুলুক গরবা ইজেবে সরিত অয়ে খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজর প্রভাষক (ইংলিশ) চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নীতি নির্ধারণী কমিটির সাবাঙ্গি সুনানু কৃতি চাকমাদাঘি।


কোচপানা কধগি এল চাঙমা সাহিত্য বাহ্ থিদগরিয়্যা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নীতি নির্ধারণী কমিতির জধানানু সুনানু দেবপ্রিয় চাঙমাদাঘি খলাপচজোনি গিরি গচ্ছে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি দাঙর কাবিদ্যাং সুনানু প্রজ্ঞা আলো তালুকদারদাঘি।

ট্রেনিঙত বরকল, নান্যাচর, বাঘাইছড়ি, লক্ষীছড়ি, খাগাড়াছড়ি, গুইমারা, মালছড়ি, দিঘীনালা পানছড়ি উপজেলাত্তুন সরিত অলাক ভিলে চাঙমা সাহিত্য পত্রিকারে কোইয়ে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ সুনানু রিমি চাঙমাদাঘি।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...