বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০

হিল চাদিগাঙত দোল আভা বেই যেব- ইনজেব চাঙমা


বাপ-ভেই, ম-ভোনলক
 তুমি নুয়ো মন মানসিকতা অথাত এম এন লারমা নীতি আদর্শলোই জাগি উদ।তোমার দরেবার কিচছু নেই, তোমা লগে হিলর মানেউন আঘন তুমি পোতপোততে বোম্বা আহ্’দ লোই মুজুঙে আককোই জ’। তোমারে কন’ জনে দোঙে 'পারিবাক।জয় তোমার খামাক্কাই অভ’।
তোমা জাদর মানেউনর জীবনর দুগ, পেরাশানি,তচ্যা, আঝা, সবন জিংকানি লারেই,জয় পরাজয়  বেক আমল গরি ভাবিবার অক্ত এস্যে।তে জাগী উদ’
জাদর মরন কাভুক কাপ্তে গদাআনে কারি নিল জাদর সুক -শানতিভাঙি দিল মনর অতালিয়ে সবন অলং ছিত্তিরিং পাত্তারাং।পুত্তো-পারা অই ছিদি পচ্যেই নেপা, বারমা, মিজোরাম সুমুত্ত কোণা কুণি, গোনা গুণি ছেরে;নানাঙ কিত্তেতমা ' আহ্’রেল তা 'আওজর পুঅ, বাপে আরেল তা 'আওজর ঝি ইক্যে গরি নেগে মোকে পারক অই বাকী জীংকানি বুক দিবেদিপ্যা, বে -সুনজুক গরি, এক বুক আভিল্যাচ্ছোই দিন কাল তোরে পিয়ন, তোরাদনইয়ান আমা চাঙমা জাদর বাস্তব চিত্রকালা বিজকএচ্যে যারা দেচ কুলত আঘি খুউব গম নেই, তিগুচচে দর দর -থর থরভেইয়ে ভেইয়ে মারা মারি নানাঙ পেরাশানিত আঘি। আ ইক্যে জুম্মউন যে বুদ্ধিজীবি বা লেঘিয়্যা কবিউন আঘন তারাও ফারক অভার অক্ত।

এ বেক ভুলানি, মিলেকুত্তুরি, কুদুম্মোইন্দি বাজানা ইআনি বরগাঙ লামুনি ভাজেই দিই বেক্কুন আমি চাঙমা এধক্যে মন বুগত বানি পারিলে এগদিন গাজে গাজে ফুল ফুদিবাক, পেইখে গীদ শোনেবাক।ফাওনো আভা ফিরিবো।হিল চাদিগাঙত দোল আভা বেই যেব।সে অভাত বেগে মিজি যেই আহ্’লুলো-দুলুল্লো জীংকানি গঙে দিবং।

মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০

কোচপানা আর’ এক নাঙ ধুন্দুক- ইনজেব চাঙমা

জীংকানি দিঘলী পত কারর সুগর নয়। সুক দুক আহ্’জি কানানা নিনেই মানেই জীংকানি। জীংকানি ভালেদ’ পধে আহ্’ধি যাদে গধেল গধেল মোন-মুড়, তারেঙ-রিঝেঙ আ আরাচাক দি’ খুচ ফেলে যা পরে। কন’ জন সাল্যেঙত লুমন আ কন’ জন সাল্যেঙত লুমি ন’ পারানা আহ্’ল পাগল ওই আধা পদত বাক থুম গরন। এ আগাথ্যা পদে এক বুক সবন-আঝা নিনেই অনসুর মুজুঙে আক্কোই যান বুগর আঝা বোম্বা জালেই।
এ চান-তারা, দিন-বেল মা মেদিনিরে সাক্খী রাঘেই কঙর- চিজি, তরে কায় রাঘেই এ জীংকানি পার গরি আর’ এক জীংকানিত তর ওই জনম লোম। পোতপোত্যা জুন’ পহ্’রত ইজোর মাধাত জিত্তো কাবিলি করত পরি এ কধান কল’। জিত্তো কধা নাল আধেই কাবিলি কল’- দাধা, পিত্তিমী নাঙে গ্রহবোত যারে নিনেই জীংকানি গমে দিবার অতালিয়ে সবন আঘে সে বান্দাবো অলে তুই। তুইয়্য কধা দে এ পিত্তিমী গুলি গেলেয়্য আমা এ সত্য আন গুলি ন’ যেব’।
 সে রেত তারা দি’  জনে লগর সমারী অবার তিন সত্য দি দি গরলাক। আ সে রেত এল’ তারার এক্কো ইধোত গাদে রাঘেবার রেত। যক্যে পোত্তে আমল পুরি এল’ রাদাবো দাক কারের আ ভান্তে শিলে কর তারা দি’ জনে ফারক অই যা ঘরত তে গেলাক।
জিত্তো রাজনীতি গরে। বালক বঝর বিদি যানা পর দিন মাধান এক্কা গম ওই এলে তে তারা ঘরত বুড় মা বাপ চা এল’। এধক দিন সং জিত্তোলই কাবিলি বানা ফেসবুকত কধা কোই কোই এত্তন। অক্তে অক্তে কাবিলি জু পেলে জিত্তো দেঘা গরা যাই। মাত্তর মন’ কধা মুজুঙ মুজুঙি গরি বোই কনা ন’ অয়। এচ্যে তারা মন পারন খুলি কধা কলাক।
কয়েক দিন পর জিত্তো তা কামত গেল’। এক দিন এল’ তারা এক্কো সমাবেশ। সে সমাবেশত আর’ দাঘি হামলা গচ্ছোন। সিয়োত জিত্তো মরি গেল’। তার পেদত গুলি লাগি রাঙা লোয়ে নালে বেই চেঙে গাঙর লামুনি বর গাঙত মিজি যেল’। এ অক্তত কাবিলি ভাত খার কন্না যেন ফোন গরি কল’ জিত্তো গুলি খেই মুরি যেল’। কাবিলি পরানান চিগুত গরি উদিলেয়্য তে বিশ্চেস যেই ন’ পারে জিত্তো মরি যেব’। তা বিশ্চেস জিত্তো বাজি আঘে।
   
[ধারাদিঘলী চলিব]

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

চতুর্থ পর্যায়ে ইতালি| অসহায় ডাক্তাররা কাঁদছে| শত শত লাশ| চারিদিকে হাহাকার।


Photo Credits go to it's Rightful owners


চতুর্থ পর্যায়ে ইতালি|
অসহায় ডাক্তাররা কাঁদছে|
শত শত লাশ|
Photo Credits go to it's Rightful owners

চতুর্থ পর্যায়ে ইতালি|
অসহায় ডাক্তাররা কাঁদছে|
শত শত লাশ|
একদিনে মারা গেল ৭৯৩ জন, মোট ৮০০০জন |সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৩৫০০জন!
শহরে কবর দেওয়ার জায়গা নেই সেনাবাহিনী ট্রাকে করে মৃতদেহ শহরের বাইরে নিয়ে কবর দিচ্ছে| অন্তিম সংস্কারের সময় পরিবারের কাউকে যেতে দিচ্ছে না কারণ সংক্রমণের ভয়|



Photo Credits go to it's Rightful owners


 হ্যাঁ আজকে থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে|এটা মহামারী|
আপনারা বাড়িতেই থাকুন| যে বা যারা নির্বোধের মত বিনা প্রয়োজনে(একান্ত নিরুপায় না হলে)রাস্তায় বা বাইরে বেরচ্ছে সেই আহাম্মক দের হাল্কা করে নিরামিষ ভাবে জানালা দিয়ে ঘরে থাকতে বলুন, আবার দেখলে হুলিয়ে খিস্তি দিন (মনে, মনে)|মাথায় রাখবেন ৫০০ বা ৫০০০ লোকের সমস্ত প্রচেষ্টা/প্রতিরোধ ভেঙে দিতে পারেন ওই একজনই|

Photo Credits go to it's Rightful owners


বাড়িতে আসা ও যাওয়া বন্ধ করুন,সে যত প্রিয়জনই হোক| সামনের লড়াই টা আরও কঠিন| মনে রাখুন প্রথমবার বাড়িতে শুয়ে বসে থেকে দেশ বাঁচানোর সুযোগ পেয়েছেন|এই সুযোগ হেলায় হারাবেন না|ইতিহাস আপনাদের মনে রাখবে|।

শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০

শহর আ মোন-মুড়ত অঝাপাত শিঘানা তামাজা অই যার

এচ্যে ১৩ মার্চ ২০২০ খ্রী. শুক্করবার চাঙমা সাহিত্য বাহ্ আওজে এচ্যে এক লগে কয়েক্কান জাগাত চাঙমা লেঘা কোর্স আরগানি গরা অইয়ে। যারা নিজরে কোচপান তারা এ কামানত দুগরে দুক ন’ কোই, পেদত্তুন, মুরত্তুন কারি কারি লেঙে লেঙে ফোবে ফোবে এগামার গরি কাম গরি যাদন। যা জাদর এক্কান ভালেদি লক্খন।

ঢাকা এওজি খবর দিল’ এচ্যে বেন্যা মাধান ১০.০০টা বাজি ঢাকা আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজত "চাঙমা সাহিত্য বাহ্" তপ্পেত্তুন চাঙমা লেগা শেঘানা আ তিন মাচ্চে সার্টিফিকেট কোর্স আরগানি গরা অইয়ে। সে চাঙমা লেগা শেঘানা হলাবোত আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা দাঙর মানবলা সুনানু পূজ্য প্রজ্ঞানন্দ মহাথের বেগ’ পল্লে পাত্তুরুতুরু জানেই ফগদাং গরা অইয়ে।

সে লগে এক্কো কলেজ’ সাত্থুয়া মানবলা সুনানু ধন মুনি চাঙমা, সাত্থুয়া মানবলা সুনানু প্রীতি চাঙমা, সাত্থুয়া মানবলা সুনানু সুনেন্দু চাঙমা, আ সাত্থুয়া মানবলা দাঙগু কৌশিক চাঙমা দাগি আজিল এলাক।
চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ঢাকা ধেলা কমিটি তপ্পেত্তুন জধানানু মঞ্জুমিত্র চাঙমা হলা পজ্জনী গুরিনেই দোলেইদালে ফগদাং গোচ্ছে। সে লগে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ঢাকা ধেলা কমিটি তপ্পেত্তুন এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ সুনানু প্রবীণ চাঙমা (রতন) দাগুবি সুনানু সুবর্ণা চাঙমা দাগি আজিল এলাক।


বেক্কুনোর দোল দোল সল্লাই আ উচ্ছামিলোই একাহুত্তুর (৭১) জন শিগিয়ে-পুরিয়ে ভুর্তি ওয়োন। একাহুত্তুর (৭১) জন শিগিয়ে-পুরিয়ে লোই দাঙগুবি সুর্বনা চাঙমা পত্থম ক্লাস আরগানি গোচ্ছে। চাঙমা সাহিত্য বাহ্ মনে গরে ইক্যে গরি নিজ’ মা-ভাচ, অহরক্কুন বেক্কুনো ইদু  পিত্থিমি বুগোত থিদবর গরি বাজেই রাঘেবং।

দিঘীনালা এওজি: এচ্যে বেন্যা মাধান ১০ দিঘীনালা উপজেলাত চেরান জাগাত চাঙমা লেঘা কোর্স ফগদাঙ গরা অইয়ে- 
 ১। কবাখালী মৈত্তী বৌদ্ধ বিহার,কবাখালী,দীঘিনালা. (বেন্ন্যা ১০টা) 
২। পাবখালী শান্তিপুর প্রাইমারি ইক্কুল,শান্তিপুর,দীঘিনালা, (বেন্ন্যা ১১টা) 
৩। ধলাইমা বৌদ্ধবিহার, কামুক্কোছড়া, দীঘিনালা.(বেল্ল্যা ২টা) 
৪। ভিদিরে বানছড়া প্রাইমারি ইক্কুল, বানছড়া,দীঘিনালা (বেন্ন্যা ১০টা)

খাগাড়াছড়ি এওজি: দক্ষিণ খবংপড়িয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুলত বিল্লে মাদান ৩টা অক্তত  ক্লাস আরগানি গরা অইয়ে।
সমারে নন্যাচর কলেচ, খাগাড়াছড়ি কমলছড়ি পাইলট হাই ইক্কুল, পানছড়ি ধুদুকছড়া উজেবং সমারে যুব ক্লাব , ঢাকা গাজীচর চাঙমা একাডেমি কালাচারাল আ লংগদু করল্যাছড়ি হাই ইক্কুলত চাঙমা লেঘা শেঘা অর।

শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০

পানছড়ি কবিদ্যা খলা

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি উপজেলা ধেলাউদ্যোগে পত্তিক মাজে কবিদ্যা কনা খলা এক্কো খলা জুগল গরা অহ্’য়। ইআন ২০১৯ সালত্তুন ধরি চলি এযের। সে ধারাদিঘলী গেল্লে ০৫ মার্চ ২০২০ খ্রি. রবিজয় কার্বারী পাড়া বা বাংলাদেঝর দাঙর নকবাচ্যা মানবলা দুখ্যে মানুচ সেবিয়্যা, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার সুজন চাঙমা বাগানত এ কবিদ্যা খলাবো অই যেল।
এ খলাবোত সভানানু চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি উপজেলা ধেলা জধানানু বিভাস চাঙামা, নকবাচ্যা গরবা বাংলাদেঝর দাঙর নকবাচ্যা মানবলা দুখ্যে মানুচ সেবিয়্যা, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার সুজন চাঙমা সুজন চাঙামা, মুলুক গরবা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার, সাত্থুয়া সুনানু ভদ্র সেন চাঙমা, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার রুপা চাঙামা, পানছড়ি ধেলা সল্লাদার সুবিতা চাঙমা, চাসাবা গরাকমিতি জধানানু ইনজেব চাঙমা, এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ পরেশ চাঙমা, তথ্য গবেষণা কাবিদ্যাঙ স্মরণিকা চাঙমা, চেঙ্গীচারি বালা স্মৃতি মহা বিদ্যালয় সাত্থুয়া ইতি চাঙমা, সমাক  গরা কমিতি দাঙর কাবিদ্যাঙ ডিপেন চাঙমা আ চাসাবা পানছড়ি উপজেলা ধেলা সাবাঙ্গীদাঘী।
কধগীউনে কলাক- “মিলেউন যনি কন’ কাম ন’ গরন সালেন পিত্থিমীত কন ভালেদ’ মু ন’ দেঘিবং। ...... যদক্কন মা ভাচ্ছান দাপ্তরিক ভাচ গরি পারা ন’ ততক্কন এ পোইদ্যানে কাম গরি যানা। ........যেধক ঝর বোইয়ের এযে মানুচ সেধক বেচ ঘর দুয়োর দরমর ঘরন। .................. কন’ কামত আহ্’ল পাগল ন’ অলে সে কামত মেহ্’ত ন’ পায়।

শেজে সুজন চাঙমা এজাল আ লোবিয়দে ৩০ জন মানুজরে ভাত খাবা অয়।

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০২০

সরকাররে চেই ন’ থেবং, আমি আমা কাম গরিবং: বাঘাইছড়ি আ লংগদু উপজেলাত তেম্মাঙ


বাঘাইছড়িত তেম্মাং
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা ডেস্ক: ২০১০ সালত গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেচ সরকারে রাজ দাগি কোইয়ে- এ দেঝর ভাঝত্যাই এক্কান বাবদা আ এক্কান মানচিত্র পিয়ে। এ দেঝর বেক ভাষানি আমি রক্কে গরিবং। ২০১৪ সালত্তুন ধরি খামাক্কাই অন্য আদিবাসীউনত্যা মা ভাঝর বই প্রাইমারিত শেঘা অভ’। মাত্তর দুগ’ কধা ২০১৪ সাল এনেই নানান ছলনা দিয়্যা। নানান অনটনর কধা কোইয়ে। সক্যে আর রাজ দাগি কোই ২০১৫ সালত আদিবাসী চিজিউন আহ্’দত বই তুলি দি পারিবার। মাত্তর সিআনয়্য বানা মুয়ো কধা বাদে কিচ্ছু নয়। এ পর দি বঝর ভিদি যানার পর ২০১৭ সালত বই পেলাক।  মাত্তর দাঙর দুন্ধুগর কধা এজ’ আদিবাসী বই ইক্কুলত পড়া ন’ অহ্’য়।
এ দুগত্তুন সরান পেবাত্যাই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ হিল চাগিদাঙ বাদেয়্য ঢাকাত চাঙমা লেঘা শিঘানা কোর্স চালে যার। যেন সরকার উদ্দেচ্ছোআানি পত্থম গত্তে উজু অহ্’য়। এ পোইদ্যানে গেল্লে ০৩ মার্চ ২০২০ ইংরেজি কাচালং সরকারি কলেচ আ ০৪ মার্চ ২০২০ ইংরেজীত লংগদু কলেজত দাঙর তেম্মাঙ অই যেল’ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গীউনর। তারা ২০১৯ সালত রাজ দাগি কলাক- ২০২০ সালত্তুন ধরি আদামে আদামে চাঙমা লেঘা কোর্স জুগল গরিবার। সে কধা পত্থম (বাস্তবায়ন) গরিবত্যাই তারা এ তেম্মাঙ ভিলি চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু সুনানু ইনজেব চাঙমা চাঙমা সাহিত্য পত্রিকারে কোইয়ে। সরকার আঝা বোই ন’ থেই যে যিঙরি পারে কাম গরি যেবার চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বেক সাবাঙ্গীউনে জুগল অই আঘন।
লংগদুত তেম্মাং
এ তেম্মাঙ খলাবোত নিজে ইনজেব চাঙমা আহ্’জিল অই কল- “মুই নিজরে কোচপাং। নিজরে যনি সত্যি সত্যি কোচপেলে দোল এক্কান আদাম সাজেবার সবন দেঘে। যে আদামত বেগে মা-ভাচ পারিবাক, চাংলা আ চাংলিশ ভাঝে ন’ মাদিবাক।” এ আঝা রাঘেই বেগে লেঙে লেঙে, ফোঃবে ফোঃবে অহ্’লেয়্য কাম গরি যেবার ইমে (প্রতিজ্ঞা) গরিলাক।

মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০

বাংলাদেশে অাদিবাসীদের মধ্যে প্রথম ইঞ্জিনীয়ার মিঃ পুলিন চন্দ্র দেওয়ান এর সংক্ষিপ্ত জীবনপুঞ্জিঃ ধীমান খীসা



পুলিন চন্দ্র দেওয়ান ১৯১১ সালের জানুয়ারী মাসে বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলাধীন খবংপড়িয়া (খবংপুজ্যা) গ্রামে 'লারমা গোজা পিড়েভাঙা গুত্তি'(চাকমাদের গোত্র)র এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ছিলো উগ্রমনি দেওয়ান ও মায়ের নাম জুরপুদি দেওয়ান। তিনি অামার পিতামহ গগন চন্দ্র খীসার অাপন জ্যাঠাতো ভাই। তিনভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার কনিষ্ঠ। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে খবংপড়িয়ার নির্মল প্রকৃতি ও অালো বাতাসের সান্নিধ্যে। খুব অল্প বয়সেই তিনি পিতৃহারা হন। বাবা মারা গেলে বড় ভাই রমেশ চন্দ্র দেওয়ান ও বিমল চন্দ্র দেওয়ানের উপর তাঁর লেখাপড়ার দ্বায়িত্বভার ন্যস্ত হয়। ছোটকাল থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন এবং মনে সবসময় উচ্চাশা পোষন করতেন। তাইতো বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও শত প্রতিকুলতার মাঝেও তিনি তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচলিত হননি। তাঁদের সময়ে রাজন্যবর্গ ও সামন্তপ্রভূদের প্রভাব এতই প্রকট ছিলো যে, তৎকালীন সময়ে সাধারন চাকমাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা সহজসাধ্য ছিলোনা। সেরকম প্রতিকুল পরিবেশেও সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে ডিঙিয়ে তিনি সাফল্য ছিনিয়ে এনেছিলেন এবং অাদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইঞ্জিনীয়ার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষাজীবনঃ
অদম্য মেধাবী এ ব্যক্তিটির শিক্ষাজীবন শুরু হয় Khabong Parya Lower Primary School (বর্তমানে খবংপড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়)এ। সেখানে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর খাগড়াছড়ি অাপার প্রাইমারী স্কুলে(বর্তমানে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) ভর্তি হন। উল্লেখ্য যে, তৎকালীন সময়ে Lower Primary School(L.P.School)গুলোতে ১ম ও ২য় শ্রেণি, Uper Primary School(U.P.School)গুলোতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি এবং Middle English School (M. E. School)গুলোতে ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত চালু ছিলো। খাগড়াছড়ি অাপার প্রাইমারী স্কুলে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তিনি বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলাধীন নানিয়ার চর উপজেলার অন্তর্গত বুড়িঘাট মৌজার মহাপ্রুম মিডল ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। অতপর উচ্চ শিক্ষার্থে তিনি রাঙ্গামাটি হাইয়ার ইংলিশ স্কুলে(বর্তমানে রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) চলে যান এবং সেখান থেকে তৎকালীন কলকাতা বোর্ডের অধীনে ১৯৩১ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন (ম্যাট্রিক) পাশ করেন। ম্যাট্রিক পাশের পর তিনি ঢাকার অাহসান উল্লাহ ইঞ্জিনীয়ারিং ইনষ্টিটিউটে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে সিভিল ইঞ্জিনীযারিংএ কৃতিত্ব সহকারে ডিপ্লোমা পাশ করেন। তৎকালীন সময়ে এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলা, অাসাম ও উড়িষ্যায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ারিং পড়ার জন্য একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুবই প্রসিদ্ধ ছিলো।
কর্মজীবনঃ

প্রথম ইঞ্জিনীয়ার মিঃ পুলিন চন্দ্র দেওয়ান
১৯৩৩ সালে পার্বত্য চট্টগাম জেলায় প্রথম ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনীয়ার পদে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনীয়ার ও ১৯৫৮ সালে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনীয়ার হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। দীর্ঘ অনেক বছর সফলতার সাথে সরকারি দ্বায়িত্ব পালনের পর ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
পারিবারিক জীবনঃ
তিনি কাচালং ঘনমোর মৌজার স্বনামধন্য হেডম্যান শশী মোহন দেওয়ানের জৈষ্ঠ কণ্যা নিরুপমা দেওয়ানের সাথে বিবাহ বন্ধনে অাবদ্ধ হন। তাঁদের ঔরসে তিন পুত্র ও ছয় কণ্যা সন্তানের জন্ম হয়। চাকুরিকালীন সময়ে রাঙ্গামাটিতে অবস্থানের কারনে তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি করেন এবং ১৯৮৬ সালের ২রা জুন রাঙ্গামাটির নিজ বাসভবনে ৭৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর চেষ্টা, অধ্যবসায়, লেখাপড়ার প্রতি গভীর অাগ্রহের কারনে তিনি বাংলাদেশে অাদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইঞ্জিনীয়ার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। খবংপড়িয়ার মাটির সন্তান হিসেবে তাঁকে নিয়ে অামরা(খবংপড়িয়াবাসীরা) এখনো গর্ব বোধ করি।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...