শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩

নাগরিক ইজেবে আমা উত্তিপুত্তি আমাত্তুন আদায় গরি লো পুরিবো সুনানু জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা

"আমি সিদ্ধ চলো ধক্কে ঝরা ঝরা থেলে দ’ ন’ অবহ্, বিনি ভাদর ধক্কে বোদাবুদি, আমার একতা আন, সংহতি আন সেক্কেন অহ্’না দরগার আঘে। আমার লুঙি মারিলে থিয়েই থেই পারি পারা, সেবাত্তে মনর জোর লাগিব। পাদারা অলে দ’ ন’ অহ্’ব। আমা জীবনান দ’ এনেবাদে নানা দুগোত। সিয়েনত্তুন নিগিলি এবাত্তেই আমার যিয়েন দরগার, সিয়েন আমাত্তুন ভাবানা গরচ আঘে। আমা সমাজর ভিদিরে, হিলত যে আমি তেরো ভাষাভাষী যে চৌদ্দবোয়া জাত আঘি, এ চৌদ্দবোয়া জাদর ভিদিরে ঐক্য -সংহতি আন ইয়ান গমত্তুন গম, দরত্তুন আর’ দর’, গম অত্তুন আরো গম গরানা গরচ আঘে। এ বাস্তবতা আন বুঝানা গরচ। আমার বাজি থানার যে অবস্থানান, সে বাজি থানার অবস্থানান আমার আহ্’দত নেই আর। ইয়েন দ’ লাজেলে-দরেই থেলে ন’ অবহ্ আর। ইয়ান দ’ মনর কধা খুলি কো-কি গরিনেই, আমার জীবনান দোলে থেই পারি পারা, সিয়ান ভাবানা গরচ আঘে। বিশেষ গরি ইয়োত যারার ঘরত পো চা আঘন, গাভুজ্যা মানুচ আঘন, তারারে উচ্চোমি দেনা গরচ। আমি দেগি লেগাপড়া পাজ্জে মানুচ, যারা চাগরিত আঘন, তেঙা-পয়জ্যা লোনেই যারা ব্যবসা বানিজ্যত আঘন, সিউনোর বেশি, যারা সমাজত নেতৃস্থানীয় বিলিনেই দাবি গরন, তারা ভিদিরে বেশি দেগা যায়, এ যে নিজ’ আলুবো নিজে কুরানা আন বেচ আঘে। এচ্যা ভাবানা গরচ আঘে, দেচ জাত যুদি ন’ বাজেদে অয়, ইধুগোর মানুচউনোর সমাজ-সংস্কৃতি ন’ বাজেদে অয়, তার আজার তেঙা-পয়জ্যা থেলেও, খেবার দেবার থেলেও, তে কি বাজি পারিবো? তা জীবনান কি আমি কোই পারি, তে গেচ্ছেক গরিনেই এক্কান মানজোর জীবন কাদার বিলিনেই? এচ্যা আমার জীবনান যে অবস্থাত লুমোদে বাধ্য ওয়েই, সে জীবনানত্তুন নিগিলি এযানা গরচ আঘে। আমার মানুচ ইজেবে আমার মান-মর্যাদা, উত্তিপুত্তি নিনেই আমাত্তুন বাজিবার উত্তিপুত্তি আঘে। আমি স্বাধীন দেঝর নাগরিক। নাগরিক ইজেবে আমা উত্তিপুত্তি আমাত্তুন আদায় গরি লো পুরিবো। তে এচ্যা সংগ্রামী সুধী সমাচ, যারা ইধু এচ্ছু, আমি বেক্কুনি ভুক্তভোগী, আমি বেক্কুনি যে বাস্তবতা আনত আঘি, এ বাস্তবতাত্তুন নিগিলি এজা পরিবো। আমি পিকনিক গরিবোঙ, আমি এগত্তর অবঙ, প্রীতি সম্মেলন গরিবোঙ, আমি গীত গেবঙ, আমি নাজিবোং, আমি আজিবোঙ, কিন্তু আমার যিয়ান গরচ, আমার উত্তিপুত্তি পেবাত্তেই, আমার জীবনান, আমার সংস্কৃতি আন, নুঅ গরি সাজেবাত্তেই, মুজুঙেদি এগে নিবেত্তেই, যিয়েন বেগত্তুন বেচ গরচ, সিয়ান অলদে পার্বত্য চুক্তি গরিনেই জুম্ম জনগনরে যে উত্তিপুত্তি দিয়্যা অয়ে, সে েউত্তিপুত্তি আমার প্রতিষ্ঠা গরা পুরিবো। আমি চেরো কিথ্যাত্তুন ঘিরে অবস্থায় আগি, কন্না ঘিরি আগে সিয়ান আমি ভালো বুঝি। সে ঘিরাত্তুন নিগিলি এজা পুরিবো।"
সুনানু জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা
১৪ জানুয়ারি ২০২৩
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উদ্যোগে প্রীতি সম্মেলন ও বার্ষিক বনভোজন

বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

ইনজেব চাঙমা লেঘা পাচ্ছো কবিদে

 


কবিতা নাঙ: তুমি ভাবনি?
লেঘিয়্যা: ইনজেব চাঙমা

তুমি ভাবনি?
কুধু যেল’ বেংগমা বেংগমি
কুধু যেল’ রাধামন বিজয় গিরি
কুধু যেল’ জানবক্স খা রুনু দেবান
কুধু যেল’ শিবচরণ নোয়ারাম
কুধু যেল’ জুম্ম জাদর পাত্থলি এম.এন.লারমা।
তুমি ভাবনি?
কুধু যেল’ দাগ কধা
কুধু যেল’ উভগীত গেংখুলি
কুধু যেল’ বারমাস পালা
কুধু যেল’ বানা
কুধু যেল’ ধুধুক শিঙে
কুধু যেল’ বাজি খেংগরং
কুধু যেল’ ঘিলে খারা,
গুদু খারা পত্তি খারা আ রং ধং।
তুমি ভাবনি?
কুধু যেল’ জধা?
কুধু যেল’ দিওন সিওন
কুধু যেল’ ঘর সুক।
এয’ লামি বাগত নিজে আহ্’ঙি যা আঘে বুগত
ছিদি দি ঘরে ঘর।
পুর: ২৩ আগস্ট ২০২২ খ্রি.
 

কবিদে নাঙ: কি আর লিঘিম?
লেঘিয়্যা: ইনজেব চাঙমা

কি আর লিঘিম?
মুহত ভাচ নেই।
কি আর লিঘিম?
কলম ধরি ন’ পারঙর আহ্’ত ঘিরঘিরার।
কি আর লিঘিম?
চোঘ’ পানিয়ে কিচ্ছু ন’ দেঘঙ।
বানা রণ কাবে,
রিবেং গুজুরে।
চোক থেনেই কান,
কান থেনেই কাল,
মু থেনেই বুব।
আমি কি মানুচ?
মানচ কলে ঈশ্বর বেজার।
অ মানুচ কলে তুই বেজার।
ভচ যেবং ভচ যেবং,
কন দিন ভালা ন অবং।
যুনি ন’ বদলেই আমা কাচ্যেক্কানি।
১৯ এপ্রিল, ২০১৭


কবিদে নাঙ: মুই চাঙমা
লেঘিয়্যা: সুনানু ইনজেব চাঙমা
বাংলাদেঝত আঘং বিলি নয় মুই বাঙালি
মুই চাঙমা।
মুই মগ/মারমা।
মুই ত্রিপুরা।
মুই লুসাই।
মুই বোম।
মুই পাংখো।
মুই খুমি।
মুই মুরুং।
মুই তঞ্চঙ্গ্যা।
মুই চাক।
ইত্তুন বেচ দাঙর চিনপচ্যে মুই জুম্ম জাদি
হিল চাদিগাঙর আদিবাসী।
মুই বাংলাদেঝি।  
মর আঘে ভাচ।
মর আঘে অঝাপাত।
মর আঘে রিদিসুধোম/সংস্কৃতি।
মর আঘে আল্যাক/সাহিত্য।
বেক মুই তমাত্তুন আলাদা।
ত্যুঅ কিত্তে বারবাঙানে, পিড়িত্তুন পিড়ি কোই যর
বাংলাদেঝত যারা আঘি আমি বেক্কুন বাঙালি,
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, উপজাতি?
মুই এলুং তমা সান শাসক জাত,
দেচ এল’ তমা সান।
সময়র গঙারে ইক্যে মুই রনহীন
সেনে কি তুমি অনসুর ভেঙা চোগে চেবা?
রনহীন নয়। রন কাবের মর,
মরও দ’ লো আঘে, আঘে তমা সান
চোক, কান, আহ্ত’ থেং যা তমার আঘে।
বানা নয় মুই বেজবান, কধা দিনেই কাররে ন’ থগাঙ।
মুই চাঙমা।
যেদক দিন থেব’, কেওক্রডং, পুরোমোন, আলুটিলা
যেদক দিন গঙেব চেঙে, মিঙিনি, শংখ, ফেনী, মাতামহুরী আ বরগাং,
সেদক দিন থেইম
মুই চাঙমা।
 

কবিদে নাঙ: কি অভ’
লেঘিয়্যা: ইনজেব চাঙমা

কি অভ’ নলাক মণি বিদ্যা শিঘিনেই?
যুনি ন’ লাগে জাদ’ কামত।
কি অভ’ দাঙর দাঙর বই পরিহ্ নেই?
যুনি ন’ বুঝিলে জাদর দুক।
কি অভ’ অজন অজল লেঘা লিঘিনেই?
যুনি আমনর মনান কাজর থায়।
কি অভ’ নিবার্ণ সবন দেঘেনেই?
যুনি থেঙত তলে মাদি ন’ থায়।
কি অভ’ বাজি থেনেই?
যুনি কন’ অধিগার ন’ থেলে।

কবিদে নাঙ: সবন
লেঘিয়্যা: ইনজেব চাঙমা

আমিলিয়্যা সিগোন সাক নয়
নয়, নমিজিল্যা এগা চায্যা,
আমি অবঙ কাত্তোল’ কজা
বোজেক্কে সিমেত্তুল’ ধক
বোইয়ের সমারে ছিদি পরিবং
গোদা পিত্থিমীআনত।
চোগত-মুয়োত ওক এক্কান সবন-
ভাচ, অঝাপাত, জাদ’ সুদোম বানি বুগত।
যে যেই কামত থেইনা মিজি
যে যেই সাগিন থেই ভিলে
নিজ’ ভাচ, নিজ’ লেঘা, নিজ’ গীত -
কোই যেবং, সিঘি যেবং, গেই যেবং,
সংসমারে গলা র’ (সুর) তুলি।
সক্যে-
নুয়ো গরি এ্যাইলে সাজিব’ মা-মেদেনি
মরা ধিঙিবো কুজি দিক উদিব’
কুজুনো কুরোব’ দাক দিব’
নাজি উদিব চেঙে, কাজালং আ মিঙিনি।
                           ১১ মে, ২০১৯ খ্রি.


কবিদে নাঙ: তুই কি?
লেঘিয়্যা: ইনজেব চাঙমা

তুই কি লেঘিয়্যা-
মান পেবাত্তে পর ভাচ্চোই সাহিত্য চচযা গরচ।
মা-ভাচ্ছোই কধা ন’ কচ।
তুই লেঘিয়্যা নয়।
তুই তুগন’ বাচ
তরে দেলে মর ঈচ অহ্’য়।

তুই কি কবি-
দাঙর মান পেবাত্তে পর ভাঝে কবিদে লেঘচ।
কধায় কধায় চাঙলা, চাঙলিচ ভাঝে মাদচ।
তুই কবি নয় তুই এক্কো দুলো ধচ্যে।
তরে দেঘে মর সেপ এযে মুহ্’ত।

তুই এধক্যে এক্কো লেঘিয়্যা-
মা-ভাঝর কন’ দয়ে নেই
পর ভাচ্ছোই কানচ।
তুই কি খবর ন’ পাচ তর বেক আঘে?
তে কিত্তে এধক
ভিন ভাঝত্যাই পরান কানের?

তুই এধক্যে এক্কো কবি-
নিজ’ ঘর-দুয়োর ন’ সুরি
পর ঘর-দুয়ো আঝর।
মরা তেরতের মা-ভাচ্ছানত্যাই তবনা ন’ গরি
ভিন ভাচ্ছান ভালেদি তবনা গরর।

তরে দেঘিলে মর বুক আহ্’ঙে-
এধক্যে বজঙত্যাই জাত্তো অধেপদে!
নিজ’ পিরিহ্’ল্যা ভাচ্ছানরে কিথ্যা চোক নেই
নাঙ ফুদেবাত্তে পর’ ওক্কোর, পর’ ভাচ্চোই লুদুপুদু অই আঘচ।
তুই কি খবর ন’ পাচ?
এ অক্তআন বেকুজ্যা অহ্’লে
মা-ভাচ, অঝাপাত, রিদিসুদোম, সাহিত্য
বেক আহ্’জে ফেলেবে।


রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২

মাতৃভাষায় শিক্ষাগ্রহনের অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা উচিৎ না: সেমিনারে সেলিনা হোসেন

 


৪ ডিসেম্বর ২০২২, ঢাকা: মাতৃভাষায় শিক্ষাগ্রহনের অধিকার প্রতিটি শিশুর রয়েছে। সেই অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা উচিৎ না বলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা সাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমীর সভাপতি সেলিনা হোসেন অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, এ অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সাথে বাংলা একাডেমীতে পরিচালকের সাথে আলোচনা করে আদিবাসীদের সাহিত্য চর্চার জন্য আলাদা সেল খোলার ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।

আজ ৪ ডিসেম¦র ২০২২, সকাল ১১টায় , কাপেং ফাউন্ডেশন ও মাল্টি-লিংগুয়েল এডুকেশন ফোরাম-এর উদ্যোগে ‘ বাংলাদেশে মাতৃভাষা-ভিত্তিক বহুভাষিক প্রাথমিক শিক্ষা: সংকট ও সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা’ আয়োজন করা হয়েছে ঢাকার কাওরান বাজারের ডি ডেইলী স্টার ভবনের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন কথা সাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমীর সভাপতি সেলিনা হোসেন।
ফাল্গুনী ত্রিপুরার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌরভ সিকদার, সুইজারল্যান্ড এ্যাম্বেসীর ইরস রব্বাইনী, এমএলই ফোরামের সমন্বয়কারী তপন কুমার দাশ, জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী লেলুং খুমী প্রমুখ। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা।
ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন তিনি এমএলই ফোরামের সাথে ২০১৮ সাল থেকে যুক্ত কিন্তু করোনার কারনে কিছুটা স্থবির হয়েছে। সাঁওতালী ভাষার সংকট হলো ভাষার বাহন বর্ণমালা নির্ধারণ তাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মাতৃভাষায় শিক্ষা বাস্তবায়ন সংকটের ক্ষেত্রে শিক্ষা উপকরন ও সহায়িকা সরবরাহের সংকট আছে বলে জানান। সেজন্য এনসিটিবিকে কমিউনিটি থেকেই তাগিদ দিলে এই সংকট রোধ করা যাবে। তিনি নীতি নির্ধারকের সাথে লবি এ্যাভোকেসী বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান। আদিবাসী ভাষায় প্রকাশিত বই এনসিটিবিতে রাখার উদ্যোগ গ্রহন করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
সুইজারল্যান্ড এ্যাম্বেসীর ইরস রব্বাইনী বলেন ভাষার বৈচিত্র্যতা মানুষের জন্য গর্ব ও আনন্দের সর্বজনীন উৎস। ভাষা মানুষের পরিচয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক এবং মানুষের সমতা ও অধিকারের সূচক।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন ২০১৪ সালের পর আদিবাসীদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনও হয়নি। বিপন্নতার দিক দিয়ে বিবেচনা করে খুমি, লুসাই, সাঁওতালী ভাষাসহ এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানান। সাংস্কৃতিক একাডেমী গড়ে উঠেছে কিন্তু সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কাযকর ভুমিকা রাখার ক্ষেত্রে কাযকরি উপদেষ্টা কমিটি করা দরকার মনিটরিং করার ক্ষেত্রে। কমিউনিটি বেতারকেন্দ্র এর সুযোগদানসহ জাতীয়ভাবে অমর একুশে আদিবাসী কবিতা পাঠের আয়োজন করার জোর দাবী জানান।
সৌরভ সিকদার বলেন গুণগত মানের শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষন ব্যবস্থা করতে পারলে মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ৮০% সমস্যা সমাধান হবে। সেই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামে জেলা পরিষদের শুধু আন্তরিকতা ও সহযোগিতা দরকার। মিডিয়া, বেতার কেন্দ্র, টিভি নিয়মিত আদিবাসী ভাষায় প্রোগ্রাম করার আরো উদ্যোগ নিতে হবে।
কমিউনিটির ভিত্তিক পাড়ায় পাড়ায়, মন্দিরকেন্দ্রীক মাতৃভাষায় সেন্টার ব্যবস্থা জোরদারকরন, দৈনন্দিন চর্চায় আর যে সময়ে মত প্রচার করা সেসময়ে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন এই প্রতিষ্ঠান নানা আমলাতান্ত্রিকতায় জর্জরিত। যার কারণে ভাষা নিয়ে গবেষনার কাজ এক্ষেত্রে বিঘ্নিত হচ্ছে। সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন বাংলা ভাষার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রিকে।
জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন যে, আজকে পলিসি মেকার থাকলে খুব ভালো হত বিশেষ করে যারা মাতৃভাষায় প্রাথমিক ভাষার শিক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করেন। তিনি আরো বলেন আদিবাসী শিশুদের শিক্ষা অনুবাদকরণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেমন “আমার সোনার বাংলা.. আমি তোমায় ভালোবাসি” জাতীয় সঙ্গীতের অর্থ যখন মাতৃভাষায় অনুবাদ করে গায়, তখন সেটা শুধু সুর নয়, বরং অনুভব করতে পারবে। নিজেদের মধ্যে ব্যবহারের মাত্রা ক্রমশ কমে যাচ্ছে যা আমাদের ভাষাকে হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কমিটির দৃষ্টিভঙ্গি আমাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জাতীয় শিক্ষা নীতিতে আদিবাসী বিষয়ক সুন্দর সুন্দর ধারা থাকলেও শিক্ষক পদায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে যেমন চাকমা স্কুলে মারমা শিক্ষক নিয়োগ, ত্রিপুরা অধ্যুষিত এলাকায় চাকমা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আরো মনোযোগী দেয়ার আহ্বান জানান। আদিবাসী সাহিত্য নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলা একাডেমীতে সুযোগ সৃষ্টির জন্য দাবী জানান।
আদিবাসীদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা ৫টি ভাষা ছাড়াও আরো অনেক ভাষায় চালু করার উদ্যোগ গ্রহন করার আশ্বাস দিয়েছেন এমএলই ফোরামের তপন কুমার দাশ। সেই সাথে বাংলা একাডেমীতে আদিবাসী বিষয়ক ডেক্স রাখার আহ্বান জানান।
লেখক ও মানবাধিকার কর্মী লেলুং খুমী বলেন খুমি ভাষার যে সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে (পার্বত্য চট্টগ্রামে মাতৃভাষায় বিপন্নতার দিক দিয়ে প্রথমে লুসাই ভাষা, দ্বিতীয় হলো খুমী ভাষা) তা বাস্তব। তাদের জীবনধারা প্রান্তিক পর্যায়ে তো আছেই। সেই সাথে যেসব ভাষাগুলো (লুসাই, খুমী) বিপন্নতার মুখে রয়েছ সেগুলোর সংরক্ষন করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষাা ইনস্টিটিউটের সম্পৃক্তকরণ সময়ের দাবীদার। শুধু তাই না সরকারী বেসরকারী পৃষ্ঠপোষকতা জোরদার করা জরুরী মনে করেন।
পল্লব চাকমা মূল বক্তব্য উপস্থাপনের সময় বলেন ২০১৭ সালে প্রথম ৫টি ভাষার (চাকমা, মারমা, ককবরকক, গারো, এবং সাদ্রী) মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালুর পর আমাদের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশী। কিন্তু এই শুভ উদ্যোগ আজ কিছুটা স্থিমিত দেখেছি। তাই কোথায় কোথায় সংকট আছে তার চিত্র ও যথাযথ বাস্তবায়নের সুপারিশের জন্য আজকের এই আয়োজন। শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে স্থানীয় অভিভাবকেরা জানান। মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার কারিকুলাম আরো উন্নীত করা দরকার। সেই সাথে বই পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ে পড়ানোর সময়সুচি না থাকায় এই শুভ উদ্যোগ বিফলে যাবে বলে সন্দিহান প্রকাশ করেন অনেকে। এক্ষেত্রে মনিটরিং এর কোন বিকল্প নেই। স্থানীয়ভাবে নিজ উদ্যোগে মাতৃভাষা শিক্ষা চালু আছে কিন্তু এক্ষেত্রে বাজেট কম থাকায় মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষায় হুমকির মুখে পড়েছে। খুমী ভাষার চর্চা খুব কম, তাই এই ভাষাকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ সরকারীভাবে এখনই গ্রহন করা জরুরী।
মুক্ত আলোচনায় সন্তোষিত চাকমা বকুল, জান্নাতুল-ই ফেরদৌসী, বিনোদন ত্রিপুরা, সান্তনা খীসা, প্রসন্ন কুমার চাকমাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি প্রমুখ অংশগ্রহন করেন।
আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন মাতৃভাষায় শিক্ষক সংকট সব জায়গায়। সরকারী পরিকল্পনায় আদিবাসী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কোন বিকল্প নেই। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। নতুবা আরেকটি ভাষা হারিয়ে যাওয়া মানে ঐ জাতিগোষ্ঠির সংস্কৃতি হারিয়ে যাওয়া।
By Hill Voice -December 4, 2022
 

শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২

পার্বত্য চুক্তি করে পিসিজেএসএস কি ভুল করেছে? - Anurug Chakma

 

১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি করে পিসিজেএসএস জুম্ম জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। সরকারের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে সন্ত লারমা জুম্ম জনতার সাথে বেইমানি করেছে। জুম্ম জনগণের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করেছে। এটা কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ? চুক্তির ২৫ বছর পরেও এই প্রশ্নটি জুম্ম সমাজে প্রাসঙ্গিক থেকে গেছে।

পিসিজেএসএস কেন শান্তি চুক্তি করল? আপনি এই প্রশ্নটি নিয়ে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ভাবতে পারেন। বিশ্বে কি শুধুমাত্র পিসিজেএসএস সরকারের সাথে শান্তি চুক্তি করেছে? চুক্তি করার মাধ্যমে জনগণকে প্রতারিত করেছে? আপনার-আমার পারসেপশন অনুসারে প্রতিটি শান্তি চুক্তি যদি প্রতারণার বিষয় হয়, তাহলে UCDP Peace Agreement Dataset Version 22.1 তথ্য মতে ১৯৭৫-২০২১ সালের মধ্যে দেশে-দেশে ৩৭৪টি শান্তি চুক্তি কিভাবে হল? পিসিজেএসএস না হয় প্রতারণা করল, দালালি করল, ভুল করল, তাহলে দেশে-দেশে শত-শত অধিকারকামী সংগঠন কেন একই ভুল করবে? আমার প্রশ্নটা সেখানে।
গবেষণা দাবি করে, স্নায়ু যুদ্ধের পরে বিশ্বে শান্তি চুক্তি কয়েকগুন বেড়েছে। এজন্য আপনাকে বুঝতে হবে, কেন শান্তি চুক্তি হয়? কখন সরকার এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো চুক্তি করে? এই প্রশ্ন নিয়ে আমাদের ডিসিপ্লিনে অনেক গবেষণা হয়েছে। এসব অনেক গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Johns Hopkins University-এর অধ্যাপক I. William Zartman-এর দেওয়া Ripeness Theory ব্যবহৃত হয়েছে। এই তত্ত্বের মূল বক্তব্য হল, দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত গোষ্ঠীগুলো (Conflicting Parties) এমন সময়ে চুক্তিতে উপনীত হয় যখন উভয় পক্ষ উপলব্ধি করতে পারে এক পাক্ষিক (Unilateral means) পদক্ষেপ/কৌশলের মাধ্যমে যুদ্ধের সন্তোষজনক কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে না। বরং, যুদ্ধ চলমান থাকলে উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেটাকে আমরা Negative-Sum Outcome বলে থাকি। উভয় পক্ষ যখন এটা বুঝতে পারে সেই সময় এবং বাস্তবতাকে আমরা “Ripe Moment” এবং “Mutually Hurting Stalemate” হিসিবে অধ্যয়ন করে থাকি। অর্থাৎ, Ripe Moment-এ উভয় পক্ষ যুদ্ধ থেকে বের হয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চলমান সমস্যার একটা সমাধান (Way Out/Positive-Sum Outcome) করার চেষ্টা করে। অনেকটা Prisoner Dilemma Game থেকে বের হয়ে Cooperative Game শুরু করে।
তত্ত্ব নিয়ে লেখাটা জটিল করতে চায় না। বরং, Simulation-এ গেলে বুঝতে সুবিধা হবে। আমরা সবায় জানি, সরকার শান্তি চুক্তি করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পেরেছে। সরকার নানা দিকে থেকে লাভবান হয়েছে। আপাতত সরকারের লাভ-ক্ষতির হিসাবটা (Cost-benefit analysis) বাদই দিন। বরং পিসিজেএসএসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেটা নিয়ে ফোকাস করা যাক। ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি না হলে জুম্মরা কি লাভবান হত? লাভবান হলে কিভাবে হত? স্বায়ত্তশাসনের বেশি পেতেন? নাকি বর্তমান শান্তি চুক্তির চেয়ে বেশি রাজনৈতিক অধিকার পেতেন? মাইগ্রেশন থেমে থাকত? পাহাড়িদেরকে উচ্ছেদ করার কর্মযজ্ঞ বন্ধ থাকত?
এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আপনার আফ্রিকায় যাওয়ার দরকার নেই। ল্যাটিন আমেরিকায় যাওয়ার দরকার নেই। দক্ষিণ এশিয়া থেকে সিমিলার কেস স্টাডি নিতে পারেন। প্রতিবেশী ভারতে মিজোরা কি পেয়েছে? শ্রীলঙ্কায় তামিলরা কি পেয়েছে? ভারতের কাশ্মীরে জনগণ কি পেয়েছে? পাকিস্তানের বেলুচেস্তানে জনগণ কি পেয়েছে? আপনার সমস্যা তো আপনার একার না। দেশে-দেশে লড়ায়-সংগ্রাম চলছে। এসব কেস স্টাডি বিবেচনায় নিলে আপনার কি মনে হয়, বর্তমান শান্তি চুক্তি আপনার জন্য কম হুয়েছে?
বর্তমান চুক্তিতে ভাল কিছু কি একেবারে নেই? তবে হ্যাঁ, চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা এবং রোডম্যাপ নেই। কথা সত্য। বিশ্বে কি একমাত্র পিসিজেএসএস এই কাজটি করেছে? আমাদের এটা জানা দরকার। অনেক দেশের শান্তি চুক্তিতে বাস্তবায়নের সময়সীমা নেই। ক্রোয়েশিয়ার ১৯৯৫ সালের Erdut Agreement এবং ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী সরকারের সাথে নেলসন ম্যাণ্ডেলার স্বাক্ষরিত Interim Constitution Accord-এ চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ নেই। Kroc Institute-এর মতে, চুক্তি সম্পাদনের দশ বছরের মধ্যে ক্রোয়েশিয়ার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের হার ৭৩.৩৩ শতাংশ। অপরদিকে, চুক্তি সম্পাদনের দশ বছরের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের হার ৯২.০০ শতাংশ। চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ না থাকার পরেও এই দুটো চুক্তির অগ্রগতি কি প্রমাণ করে না, চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বরং সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ?
তাই, চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা এবং রোডম্যাপ (যেটা দিয়ে পিসিজেএসএসকে খোঁচা মারা হয়) থাকলে যে চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেটা সন্দেহাতীতভাবে ভাবা অনেকটা বোকার স্বর্গে বসবাস করা। কেন বলছি জানেন? দুটো উদাহরণ দিয়ে বিষয়টার ব্যাখ্যা করি। Djibouti-তে ২০০১ সালে শান্তি চুক্তি হয়েছিল। বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ থাকার পরেও চুক্তি সম্পাদনের দশ বছরের মধ্যে মাত্র ৫১.৮৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। Philippines-এ ১৯৯৬ সালে Mindanao Final Agreement হয়েছে। এই চুক্তিটিতেও বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ থাকার পরেও এই চুক্তির মাত্র ৫৯.৭২ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এই দুটো চুক্তির বাস্তবায়নের অগ্রগতি অনেকটা আমাদের পার্বত্য চুক্তির মত বলা যেতে পারে। তাই, আমাদের পার্বত্য চুক্তিতে না হয় বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ নেই। কিন্ত এই দুই দেশের চুক্তিতে তা উল্লেখ আছে। তাহলে কেন এই দুটো চুক্তির বাস্তবায়ন থমকে গেছে? বাস্তবায়নের সময়সীমার সাথে চুক্তির অগ্রগতির হওয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে, এই দুটো উদাহরণ তা ভুল প্রমাণিত করে। তবে হ্যাঁ, চুক্তিতে বাস্তবায়নের সময়সীমা এবং রোডম্যাপ থাকলে ক্ষতি হয় না। তবে, এটা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য একমাত্র Explanatory Variable না।
চুক্তি বাস্তবায়ন প্রত্যাশিতভাবে না হলেও সরকারের পাশাপাশি পাহাড়িদেরও একটা বিশাল অর্জন হয়েছে। সেটা হল, শান্তি চুক্তি করার মাধ্যমে সরকার পাহাড়িদের অধিকার মেনে নিয়েছে। পাহাড়িরা দীর্ঘ দুই যুগের বেশি যে লড়ায়-সংগ্রাম করেছে তা যে যৌক্তিক ছিল অন্তত তার বৈধতা মিলেছে। একথা কমবেশি আমাদের সবায়কে মানতে হবে।
শেষ করব এই বলে, নিজের ইতিহাসকে অস্বীকার করে কেউ নিজের ভবিষ্যতকে গড়তে পারে না। ভুলে গেলে চলবে না, ১৯৭২ সাল থেকে জুম্ম জনগণের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে লড়ায়–সংগ্রামের গোরবোজ্জল ইতিহাস, সেটার জন্ম দিয়েছে আজকের দিনের এই পিসিজেএসএস। তখন তো আজকের দিনের মত অনেক সংগঠন ছিল না। মনে রাখবেন, আপনি যদি আপনার সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের সন্মান করেন, আপনার জুনিয়ররাও আপনাকে সন্মান করবে। কারণ, আপনি সেই শিক্ষা আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে দিয়েছেন। জুম্ম জনগণের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসুক। ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সঠিক ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে সমাজে মঙ্গল আসুক – এই প্রত্যাশা রইল।

মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

জাদর সেবক নোয়ারামা চাঙমা ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষীকি: নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ

 

নোয়ারাম চাঙমার অপ্রকাশিত বই “আঞ্জি” দেখাছেন সুনানু আর্য্যমিত্র চাঙমা, চাঙমা লেখক সদস্য, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ।


চানে সূর্য্যে সদর ভেই

ঝু জানাঙর ভূমিত থেই।

 

আজ ৮ নভেম্বর ২০২২ খ্রি. ২৩ কাদি ১৪২৯ বাংলা, ২৫৬৬ বুদ্ধ বঝর, মঙ্গলবার । সুনানু নোয়ারামা চাঙমা ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষীকি উপলক্ষ্যে নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ এর পক্ষ থেকে মহান ব্যক্তিকে স্মরণ করা হয়েছে অনলাইনে মাধ্যমে।

৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী অনলাইন অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থেকে মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন চাকমা লেখক সদস্য, সাবাঙ্গি, জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ ও চাকমা ভাষা গবেষক, ঔপন্যাসিক  সুনানু আর্য্যমিত্র চাকমা ও নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুনানু ইনজেব চাঙমা।

নোয়ারাম চাকমা জীবনি পাঠ করেন সুনানু রিয়াজ জ্যোতি চাঙমা, নোয়ারাম চাকমাকে নিয়ে কবিতা পাঠ করেন সুনানু সুচিন্তা চাকমা প্রমুখ।

নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পাঠ করেন সুনানু অপনিকা চাঙমা।

বক্তারা বলেন, নোয়ারাম চাকমা এমন একটি ব্যক্তি যিনি নিবেদিত প্রাণ হয়ে চাকমা ভাষা, বর্ণমালা ও সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নিজের অপূর্ণ্যতা রেখে সমাজ ও দেশের তরে কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে ও নোয়ারাম চাঙমাকে নিয়ে গবেষণা কাজ করে যাওয়া অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সুনানু ইনজেব চাঙমা এবং নোয়ারাম চাঙমা নামে পদক আবিষ্কার করাও ঘোষণা করেন।

 

সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

৩৩ বছর পর এম এন লারমার জন্য সংসদে শোক

 


৩৩ বছর পর এম এন লারমার জন্য সংসদে শোক
মৃত্যুর ৩৩ পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা ও সাবেক সাংসদ মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ওপর শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতীয় সংসদ।

আজ রোববার দশম জাতীয় সংসদে দ্বাদশ অধিবেশনের প্রথম দিনের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করলে তা গৃহীত হয়।

শোকপ্রস্তাবে বলা হয়েছে, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এম এন লারমা) ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার খেদারছড়ার থুম এলাকায় ‘বিভেদপন্থী গিরি-প্রকাশ-দেবেন-পলাশ চক্র’ নামের একটি সশস্ত্র গ্রুপের আক্রমণে নিহত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। স্বতন্ত্র হিসেবে তিনি ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের এবং ১৯৭৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র সাংসদ নির্বাচিত হন। এম এন লারমা জনসংহতির বর্তমান নেতা সন্তু লারমার বড় ভাই।

৩৩ বছরে পরে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করার কারণ সম্পর্কে সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক মোতাহের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রেওয়াজ অনুযায়ী কোনো সাংসদ মারা গেলে তা সংসদের পরের অধিবেশনের প্রথম দিনে শোকপ্রস্তাব আকারে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এম এন লারমা মারা যাওয়ার পর কোনো শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। যে কারণে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি সংসদের নথিতে নেই। বিষয়টি সংসদের নজরে আনেন রাঙামাটির স্বতন্ত্র সাংসদ উষাতন তালুকদার। পরে এই অধিবেশনে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি শোকপ্রস্তাব আকারে গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

শোকপ্রস্তাবে বলা হয়েছে, এম এন লারমা ১৯৩৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার মাহাপুরমে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৬৫ সালে একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি বিএড এবং ১৯৬৯ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে ১৯৬৬ সালে তিনি দীঘিনালা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি চট্টগ্রাম রেলওয়ে কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৬৯ সালে আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেন।

এম এন লারমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৬৫ সালে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৫৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে তাঁর উদ্যোগে পাহাড়ি ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন করে এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি এই সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৯৭৩ সালে। এরপর এম এন লারমা ১৯৭৫ সালে বাকশালে যোগদান করেন। তবে ১৯৭৭ ও ১৯৮২ সালে তিনি জনসংহতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

রেওয়াজ অনুযায়ী শোকপ্রস্তাবের একটি অনুলিপি এম এন লারমার পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠানো হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৮: ৩৭ দৈনিক প্রথম আলো
 

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২

আমি চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন পদত্যাগ ন’ গরি, গচ্ছেই দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ত্তুন সুনানু ইনজেব চাঙমা

যে লাম্বা ১৮ বঝর ধুরি চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান এগাচিত্তে এগামনে নিআলচি গরি যার তে অহ্’ল সুনানু ইনজেব চাঙমা। তার জনম ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮১ খ্রি. বাজেইছড়া ২৯ নং ছোট মেরুং মুউজ চাঙমা সার্কেলত। চাঙমা লেঘা শেঘানা সমারে চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা, হিল চাদিগাং, জুম চাব, মেদিনি আ জুম নাঙে ম্যাগাজিন কাবিদ্যাঙ গচ্ছে। তাত্তুন চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা “চাদি” এ এজাল কাবিদ্যাঙ সুনানু বর্ষা চাঙমা আ সুনানু ধর্ম বিকাশ চাঙমাদাঘি মুঝুঙ’ পুজোর জোপ লুয়ন।
 
চাদি: সিঝি বেন্যা মাধান আ ঝু ঝু।
ইনজেব: তমারেও সিঝি বেন্যা মাধান আ অতালিয়ে কোচপানা।

 
চাদি: কেঝান আঘচ দা?
ইনজেব: গাউলি গম আঘং। 


চাদি: চাঙমা সাহিত্য, ভাচ আ ওক্কোর নিনেই যে কাম গরর কেঝানচলের?
ইনজেব: খুপ গম চলের। কিত্তে? ইরুক পিড়িউন ঘুমত্তুন জাগিলাক। তারা আজার দুগর সেরে সেরে নিজ’ গধেল কিঝু অপুরন থানার পরও জাদত্যাই লেঙে লেঙে, ফোবে ফোবে কাম গরি যাদন। 


চাদি: চাঙমা লেঘা শিঘানা চিদেয়ান কেনে সমেল?
ইনজেব: আচ্ছা, দোল এক্কান পুজোর। এ কধা কদ’ যেলে পল্যা পিচ্ছে ফিরি চেই পেবং। সে ১৮৬০ সালত ব্রিটিঝে পার্বত্য চট্টগ্রামান দঙল গরানা পর চন্দ্রঘোনা বোর্ডিং ইক্কুল নাঙে এক্কান ইক্কুল চালু গরা অয়। সিয়োত বাংলা, ইংরেজি সমারে চাঙমা আ মারমা ভাচ শেঘেবার এক্কান জু দিয়্যা অয়। মাত্তর! আমা চেলাউন সিয়ান গজি ন’ লন। সে পরে ১৯৩৭/৩৮ সালত মিলান সাপ্যা রাঙামাত্যা মা ভাচ্ছোই লেঘা শিঘেবার চেল’। সিয়োত সক্কে চেলা সুনানু কামিনী মোহন দেবানে ন’ চানার আ ১৯৫৯ সালত পাকিস্তান আমলত সুনানু নোয়ারাম চাঙমা “চাঙমার পত্থম শিক্ষা” বইবো প্রাইমারি ইক্কুলত দিঙিরি পেলেও দেবানদাঘি ন’ চানার, মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘিবার ন’ চানার আর শেঘা ন’ অয়।
এ গেল’ ব্রিটিশ আমল আ পাকিস্তান আমল। এ পর এল’ বাংলাদেশ আমল। দাঙর আহ্ভিল্যাঝর কধা, যে দেচ মা-ভাঝর পোইদ্যানে লাড়েই গরি এক্কান দেচ, বাবদা পেল সেই দেঝর অন্য ভাঝর বাজার কন’ খবর নেই। লাম্বা এক্কো অক্ত লাড়েই গরি পেলং পার্বত্য চুক্তি। সে পার্বত্য চুক্তিত লেঘা থেলেয়্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে মা-ভাঝে লেঘা শেঘেবার কন’ গরচ মনে ন’ গরে। পাবর্ত্য চুক্তি এক যুক পর মহান জাতীয় সংসদত ২০১০ সালত জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা গচ্ছে। সিয়োত দেঝর যা আদিবাসী আঘন যা যা মা ভাচ্ছোই লেঘা শেঘেবার  কধা এল’ আ কো কোইয়ে- ২০১৪ সালত্তুন ধুরি পল্যাদি বাংলাদেঝর ছ’য়ান আদিবাসী ভাচ্ছোই লেঘা শিঘিবার। মাত্তর! ২০১৪ সাল এনেই দেঘা গেল বাজেট নেই। ইয়ানি ম’ কধা নয়। নানান কিথ্যাত্তুন তথ্য ম’ আহ্’দত আঘে। সেনে কামান চালে ন’ পাত্তন। এ অক্তত কয়েক্কো এনজিও মুজুঙে আক্কোই এলে সংশ্লিষ্ট লেঘিয়্যাউনরে ঢাকাত নিনেই বই বানা ধরল। সক্যেও কো অয়ে ১৫ সালত্তন ধরি বই আহ্’দত তুলি দিব’। সে ১৫ সালতও কন’ বই দেঘা নেই। আর কো কয় ১৬ সাল কধা। সক্কেও দেঘা নেই বই।  
ইন্দি বাংলা ভাচ্ছান মরা মচ্যে গরি ভুগে দের। দিন দিন আমাহ্ ভাচ্ছান চাংলা আ চাংলিশ অই যার। আমি দ’ সরকার আঝায় বোই থেলে ন’ অভ’। ইয়ান আমার কাম। আমাত্তুন গরা পরিব’। এধক্যে এক্কান ভাপ উদি ২০১৪ সালত্তুন ধুরি এঘামার গরি এ চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান গরি যের। যুনি মুই ২০০৪ সালত্তুন ধুরি চাঙমা লেঘা শেঘে থাং। 



চাদি: চাঙমা লেঘা ছিদি দেনা কামান গত্তে কেঝান এজাল পা যিয়্যা?
ইনজেব: এজাল ন’ পেলে এত্তমান কাম আমাহ্ পক্কে গরানা সম্ভব নয়। চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান ২০০৪ সালত্তুন ধুরি আরগানি অলেও মূলত ২০১৫ সালত্তুন ধুরি এঘামার গরি গরা অয়ে। সক্কে দিঘীনালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুনানু সুসময় চাঙমা ১৫০০ তেঙা এজালে ফ্রি চাঙমা লেঘা কোর্স ফাংফগদাঙ গরা অয়। চাঙমা লেঘা শিঘিবার উচ্চোপুক তুলি দিবাত্তে ফ্রি চাঙমা লেঘা ২০১৫-২০১৬ সাল সং দ্বি’বঝর গরা অয়ে। ২০১৭ সালত সুনানু শ্রেয়সী চাঙমা এজালে বাবুছড়া ফ্রেন্ডশীপ ইক্কুলত কোর্স গরানা পর আর’ বেচ চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান ভারি যিয়ে। ২০১৮ সালত খাগাড়াছড়ি জেলা পরিষদর সাবাঙ্গি সুনানু শতরুপা চাঙমাদাঘি ১০ হাজার তেঙা এজাল দিলে ৩৩জন চাঙমা লেঘা পর্বোয়াদাঘিরে টিওটি ট্রেনিং দেনার পর ঢাকা, রাঙামাত্যা, বান্দরবানসুমুত্ত নানান জাগাত চাঙমা লেঘা এয সং শেঘে যের।  সে পরে জেএসএস (লারমা) একলাক তেঙা এজাল দিলে আমি দিঘীনালাত অফিস গরি পারির। ২০১৮ সালত ২০ হাজার চাঙমা লেঘা বই ছাবে মাগানা ভাক গরিদিবার উদ্যোগ ললে ইয়োত বহুত মানুঝর এজাল পা যিয়ে। এধক্যে গরি নানান জনর এজালে আমি এয’ মুজুঙে আহ্’দি যের।


চাদি: আমি দেঘিলং বিশেষ গরি তর অবদানে, তর নিআলচি কামর বলে এচ্যে এক ঝাঁক কাম্মো চাঙমা সাহিত্য বাহ্’বো পিত্তিমি বুগত ছিদি পচ্যে। মাত্তর! এধক খাদুনির পর যে বাহ্ শূন্যত্তুন জাগা জুরি দিলা কধ’ গেলে সহ¯্রকোটি গরিনেই কিত্তে পদত্যাগ গরিলা?
ইনজেব: আমি চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন পদত্যাগ ন’ গরি, গচ্ছেই দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ত্তুন। ইয়োত বানা আমি নয়, যারা দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ ভিলিনেই বুঝি পাচ্ছোন তারা পদত্যাগ গচ্ছোন প্রায় ১০০ উগুরে সাবাঙ্গি কাম্মো। ২০২০ সালতও শ্রেয়সী, প্রিয়সী, সম্ভুমিত্র, এলিয়েন্স, বিকেন সুমুত্ত ২০/২৫ জনর এক্কো তম্ভা চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন আহ্’ত ইরি যেলাক।  
বেগে ভাবন চাঙমা সাহিত্য বাহ্ আমাহ্ চাঙমা জাদর এক্কো জধা। মুই ভাবিদুঙ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ মানে বেক চাঙমাউনর এক্কো সাহিত্য বাহ্’। সেনে মুই এধক্যে গরি কোচপিয়োং রাধামনে সাপ’ কুদুন খেব’ খবর পেনেও ধনপুদিরে নাকশা ফুল্লো পারি দিয়্যা। এ যে লাঙ, কোচপানা থিক সেধক্যে গরি মুই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ লাঙত পচ্ছোং। সেনে মর নিজ’ ঘর সংসার কক্কে উবোত ভচ যিয়ে থাহ্’র গরি ন’ পারং। মর’ সবন আ আঝা এল’ এ চাঙমা সাহিত্য বাহ্’বোত্তুন ঝাক ঝাক কবি, লেঘিয়্যা, শিল্পী নিঘিলি এবাক। সেনে মর দিন রেত সময় দি যেলুং। ঘরত অসুক, ইন্দি চাঙমা সাহিত্য বাহ্ দ্বিদশক পূর্তি ত্যুঅ নিজ’ মোক্কো অসুগত সময় ন’ দিনেই বাহ্’বোত সময় দি যাঙর। ভাবিদুং মর’ বানা দ্বিবে পুঅ, এ বাহ্’বোত শত শত পুঅ। তারা চেদন জাগি তুলি পারিলে আমার অনতন ন’ থেব’। রাহ্’ত ন’ থেব কন’। মাত্তর, যেদক দিন, মাচ, বঝর পর বঝর যার বুঝি পারিলুং ইবে দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নয়। কিত্তে? তার কধালোই বেক্কানি চলে, তারে কন’ জনে কিঝু পুজোর গরিলে তারে খারাপ ভাবে। তা পিচ্ছেদি মানুচ লাগেই দ্যা।  এধক্যে গরি কন’ জধা মুজুঙে আক্কোই ন’ যায়, যেই ন’ পারে আ কন’ জাতয়্য মুঝুঙে আক্কোই যেই ন’ পারে। কমিতি মেয়াদ শেচ ন’ অদে তা মনে মতন ন’ অলে আর কমিতি বানায় আ কন’ কমিতিলোই তেম্মাং নেই, সল্লা নেই গরি।  গঠনতন্ত্র ন’ মানি  তে কাররে কোচপেলে, গম লাগি নীতি নিধারর্ণী কমিতি আনে। তেহ্, তা ধক্যে তে কাম গরেনাত্যাই আমি দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ত্তুন পদত্যাগ গরিলুং, চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন নয়। আমি এজ’ কাম গরি যের। সিয়ান বাদেয়্য তুমি যিবে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ মনে গরর ইবে এক্কো বিশেষ আঞ্চলিক দল’ আঞ্জামে যিয়ে। আমি মনে গরি ইরুক হিলর দিন মাধানে কয় কন’ আঞ্চলিক দলরে কোচ পেলেও কোচপানা দেঘে পারা ন’ যায়। দেঘেলে সক্যে আমাহ্ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সফল ন’ অভ। 

  
চাদি: চাঙমা সাহিত্য বাহ্ আ দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্ কধান ভাঙি কবে?
ইনজেব: চাঙমা নাঙান গোদা চাঙমা জাত্তোরে প্রতিনিধিত্ব গরে আ দেবপ্রিয় বানা এক্কো বন্দা। মুই ভাগ্যবান যে, যে জাদে এক অক্তত সাগুচ্যা দেচ জয় গচ্ছে, যে জাদে এক অক্তত রাজা এল’ যে জাদত্তুন গৌতম বুদ্ধ আ এম.এন লারমা সান দাঙর দাঙর মানুচ জনম অন সে জাদর মুইও এক্কো সাবাঙ্গি। মাত্তর! আহ্’ভিল্যাচ থায়, আমি যেম্বা শিক্ষিত অই না কেন আমাহ্ মনানি ভারি চিগোন। এ চিগোন মন্নোই মুঝুঙে আক্কোই যে ন’ পারে। বিশ্চেচ রাঘা পরে, কোচপানা রাঘা পরে। সে জিনিচ্ছান দেবপ্রিয় চাঙমদাঘির নেই। যুনিও তে এক্কো লেখক। লেখকর ধর্ম সিয়ান নয়।       কিত্তে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এক্কান চিদে এল’ লাম্বা এক্কান অক্তত নমিজিল্যা(সামন্ত) সমাচ্ছোই লুদু পুদু গরি এলং। কবি সুনানু আলোময় চাঙমা লেঘা, সুনানু কে.ভি দেবাশীষ চাঙমা লেঘা ছাবা ন’ যেব’। আ লেঘিয়্যা সুনানু আর্য্যমিত্র চাঙমাদাঘিরে কন ফাংশানত ফাং গরা ন’ যেব’। ইয়ানি চাঙমা সাহিত্য বাহ্’বোরে ন’ মানায়। এ ন’ মিজিল্যা খাজ্যাক্কোত্তুন নিঘিলি আনানা আমার ধর্ম। মাত্তর, সুনানু দেবপ্রিয় চাঙমাদাঘি সিয়ান গরন। সিয়ান বাদেও চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বানা আমি কাম গরি ভিলে আমার নয়, ইবে বেক চাঙমাউনর এক্কো বাহ্’। আ সে বিপরিত দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’। মুই বিশ্চেচ আ অমহদ’ গরি কোচপেদুং সুনানু দেবপ্রিয় চাঙমাদাঘিরে। ম’ সাঙু বইবো তারে উৎসর্গ গরিলুং। মনে গত্তুং তেও পারিব’ জাদত্যাই কিঝু গরি। মাত্তর! যদ’ দিন, মাস, বঝর পর বঝর ভিদি যার সেধক ম’ মনত তার এধক্যে কারবারলোই মর চিদমুরুত্তুন বিশ্চেচ উদি যেল’। ইয়ান সত্য দেবপ্রিয় চাঙমা এ বাহ্’বোত যক্কে আহ্’ত ন’ দ্যা সক্কে আমি দোলে কাম গরি যিয়েই। সে কামত তেজে তার চোগত যক্কে উদিল’ সক্যে নানান সল্লা-পরামর্শ দি যার আর আমাহ্ জধা ভাঙি যা ধরল’।  


চাদি: কে.ভি. দেবাশীষ চাঙমা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু এল?
ইনজেব: এল’। মুই যক্যে ফ্রি চাঙমা লেঘা কোর্স দিঘীনালা বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদত ফাং গরঙর সক্যে তে সে ফাংশানত যিয়ে। মুই তারে সক্যে ন’ চিনং যুনিও তার বই পড়ি থাং। সিয়োত চিনপচ্যা অহ্ল’। সিত্তুন ধুরি এক্কো রেগা অল’। সে রেগা নালে ২০১৮ সাল তারে জধানানু বানে আ মুই দাঙর কাবিদ্যাঙ ইজেবে কাম চালে নেযা অয়ে। মাত্তর, দেবপ্রিয় চাঙমা একবুচ্ছে সিদ্ধান্তত্যাই মেয়াদ থুম ন’ অদে আর’ কমিতি বানা অয়ে। আহ্’ভিল্যাঝর কধা সুনানু দেবাশীষ দাও খবর ন’ পায় কমলে কমিতি অহ্ল। ফেসবুকত দেঘিনেই এক্কান কমেন্ট গচ্ছে কে.ভি দা- কমলে কমলে মেয়াত থুম অল খবর ন’ পাং, বঝরউন এক্কি বাদি? সিয়োত দেবপ্রিয় দা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পেজত্তুন কমেন্ট গচ্ছে
।           

 ত্রৈমাসিক চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা “চাদি”  পল্যা পয়ধে পল্যা বঝর                          [ধারাদিঘীলি চলিব]

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...