শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১

অঝাপাত আ মাঝ্যাপাত লারচার - সুনানু ইনজেব চাঙমা

অঝাপাত: চাঙমা “অঝা” র’বো বাংলা অলদে প্রথম, প্রধান, ধাত্রী এধক্যে নানাঙান বুঝয়। পল্যা এ ওক্কোরউন শিঘা পরে কেনেই মনে অয় এ নাঙান অঝাপাত দিয়্যা অয়্যা। এক সময় আদামত অঝা-বৈদ্যদাঘি এলাক আদামর সাতকাম্য/গুরুত্বপূর্ণ বন্দা। হয়দ’ সিত্তুনও এ অঝাপাদও নাঙান এই পারে।
পিত্তিমীত আহ্’জি যেই যায় ছ’ আজার ন’ ১২য়ান ভাচ আঘে। ইয়ানি কয়েক্কান ভাঝর গুত্তি বা গিরি/পরিবার আঘে। ইন্দো-এরিয়ান (ভারতীয় আর্য্য ভাষা), টিবেটো-চিন আ নানাঙান। চাঙমা ভাচ অহ্লদে ইন্দো-এরিয়ান ভাঝর গুত্তি বা গিরি’র এক্কান ভাচ। তনচঙ্গ্যা, বাংলা, অহমিও ইন্দো-এরিয়ান ভাঝর গুত্তি বা গিরিত পরে আ চাঙমা ভাচ্চান জনম বা উৎপত্তি উয়ে থাইল্যান্ড খেমার ওক্কোরত্তুন (গ্রীয়ারসন, ১৯০৩)।
দেঘা যিয়্যা ১৯০০ সালত্তুন ২০০৭ সাল সং অঝাপাত্তো নানান জনে নানান ধক্যে গরি ছাবেলাক। কেও ৩৩, আ কেও ৪০ চ্চু। যেমেন-
1. Ajhapat - 33, by G.A Grierson, Linguistic Sruvey of India in India on 1903
2. Ajhapat -39, by Noaram Chakma at Rangmati in 1959
3. Ajhapat – 37, by Haro Kishore Chakma in 1960
4. Ajhapat – 39, by Biraj Mohan Dewan at Rangmati in 1969
5. Ajhapat - 40, by Ven. Shoddhalankar Bhikkhu at Rangamati in 1987
6. Ajhapat - 39 by Chirojyuti Chakma and Mangal Chakma at Rangmati in 1989
7. Ajhapat- 39, by Calcutta Chakma Youth and Cultural Association in India on 1993
8. Ajhapat – 33, by Lakshmi Bhusan Chakma, Arts and Culture Officer, Chakma Autonomus District Council at Mizoram in India on 1994
9. Ajhapat – 39, by Sugata Chakma at Rangmati in 18th Centuary
10. Ajhapat – 36, by Chitto Kishore Larma at Rangmati in 18th Centuary
11. Ajhapat – 39, by Surio Talukder at Rangmati in 1999
12. Ajhapat – 34, by Changma Sahity Patrika in Dhaka on 2001
13. Ajhapat- 30, by World Chakma Organization Section francaise in France on 2002
14. Ajhapat-40, by Sipcharan Sahity Kendra in Dhaka on 2004
15. Ajhapat – 33, by Deba Priya Chakma in Dhaka on 2004
16. Ajhapat 40, by Anadnamohan Chakma at Dighinala, Khagrachari in 2006
17. Ajhapat – 39, by Manik Chandra Chakma at Dighibala, Khagrachari in 2006
18. Ajhapat – 40, by Ittukgulo Chakma in Dhaka on 2006
19. Ajhapat – 33, by Khudra-Nrigosti Sangsakritik Institute at Rangmatai in 2007
20. Ajhapat – 33, by Chakma Academy at Khagrachari in 2007
21. Ajhapat – 40, by Bigyantar Talukder at Rangamati in 2007
22. Ajhapat – 39, by Priyadarshi Khisa at Rangamati in 2007
সিত্তেই, নানান বির্তক লাগি এল’। সে বির্তকআনি থুম গরিবাত্তে গেলদে ২৫ আ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালত রাঙামাত্যা জেলা পরিষদত দেঝর বেক চাঙমা লেঘা কাবিলউনরে নিনেই চাঙমা পর্বোয়াউনত্তে এক্কো দ্বি-ভাষিক বই বানেবাত্তে ব্রাকে এক্কো মিলনিখলা বানেয়্য। সিয়োত এস্যে কাবিলউনে বেগে তেম্মাংসল্লা গরিনেই কয়েকআন সুদোম বানা অয়্যা। সিয়ানি অহলদে-
১. অঝাপাতর ৩৩উ ওক্কোর লারচার গরানা।
২. একফুদ, দ্বি’ফুদ আ চানফুদ গায়মাত্তে (স্বরচিহ্ন) মাজারা ইজেবে লারচার গরানা।
৩. মাঝ্যাপাত ১২বো ওক্কোরত লারচার গরানা।
৪. বানানর সুদোম অহলদে এক্কো ওক্কোরত এক্কান মাজারা লারচার গরানা। আ যুনি গরঝত পল্লে এক্কো ওক্কোরত দ্বি’আন মাজারা লারচার গরা যেব-তিনান নয়।
মাঝ্যা পাদর বানান রীতি-
ইয়ান বাংলা, ইংরেজি, আরাকানী, আ অন্য অহ্’ন’ ভাঝর সুধোমত্তুন আলাদা সেনত্তে চাঙমা মাঝ্যাপাত এক্কান সাতকাম্যা অধ্যায়।
১৯০৩ সালত ড. গ্রিয়ার্সনে ১২ বো ওক্কোরত মাঝ্যা দেঘেয়্যা, ১৯৫৯ সালত সুনানু নোয়াম চাঙমা তা’ “পত্থম শিক্ষা” বইবোত বেক ওক্কোরউনত মাঝ্যা দিয়্যা আ সে ধকে “চাঙমা আগ্ পুদি”(১৯৮২) বইবোত সুনানু চিরজ্যোতি আ সুনানু মঙ্গল চাঙমাদাঘিয়্য বেক ওক্কোরুনত মাঝ্যা দেঘেলাক। আ সতীশচন্দ্র ঘোষ লেঘা “চাকমা জাতি বইবোত ১১ বোত ওক্কোরত মাঝ্যা দিয়্যা আঘে। সুনানু দেবপ্রিয় দা ১২বো ওক্কোরত মাঝ্যা দিয়্যা (২০০৪ সাল) আ সুনানু আর্য্য মিত্র দা ১১ ওক্কোরত মাঝ্যা দিয়্যা অহ্’য় কর। ইক্যে গরি গধেল গধেল সুধোম আঘে।  বেক্কানি তলবিচ গরি এক্কান সুদোম বানা অয়্যা (আহ্’ভিল্যাচ খাঙর বাংলা ভাঝে লেঘঙর) ।
১। খাঁটি চাকমা শব্দের জন্য:
চাকমা ভাষায় প্রচলিত নিয়ম অনুসারে কেবল (কা, ঙা, চা, ঞা, তা, না, পা, মা, রা, লা, ওয়া আ য়া)এই ১২টি বর্ণের উপরে মাজ্যা বসে। তাই প্রচলিত চাকমা শব্দগুলোর বানান লিখতে গিয়ে আমরা কেবল উপরোক্ত বর্ণগুলোর উপরে মাজ্যা দিয়ে লিখব। যেমন- 𑄇𑄇𑄴𑄇, 𑄛𑄚𑄴𑄏, 𑄘𑄘𑄣𑄴 ইত্যাদি।
২। বিকৃত বিদেশি শব্দের জন্য:
যেসব বিদেশি শব্দের বিকৃত রূপগুলোই আমাদের চাকমা ভাষায় প্রচলিত, সেগুলোতে মাজ্যা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা উপরোক্ত নিয়মই অনুসরণ করব, কেননা বিদেশি শব্দ হলেও তারা তাদের আদি রূপ হারিয়ে ফেলেছে অথবা কিঞ্চিত বিকৃত হয়ে গেছে।
একটা কথা- পরিবর্তিত বিদেশি শব্দগুলোতে প্রায়ই শ, ষ, স এবং ট বর্গের বর্ণগুলো ব্যবহৃত হয়। কিন্তু চাকমা ভাষায় ট বর্গের ব্যবহার হয়ই না। আর শ, ষ এবং স এর জায়গায় কেবল একটা স ব্যবহৃত হয়। তাই চাকমা ভাষায় লেখার ক্ষেত্রে আমরা সেই পরিবর্তিত বিদেশি শব্দগুলোকে চাকমা বানানরীতি অনুযায়ী বদলে নেব। এক্ষেত্রে চাকমা বানানরীতি অনুযায়ী,
𑄥 (স,শ,ষ) হবে (𑄌)
𑄑 (ট) হবে (𑄖)
𑄒(ঠ) হবে (𑄗)
𑄓 (ড) হবে (𑄘)
𑄔 (ঢ) হবে (𑄙)
𑄕(ণ) হবে (𑄚)
উদাহরণস্বরূপ:
𑄟𑄥𑄴𑄑𑄢𑄴(মাস্টার) আমরা লিখব’ 𑄟𑄌𑄴𑄑𑄧𑄢𑄴 (মাচ্তর ) 𑄚𑄧𑄥𑄴𑄑𑄧 (নষ্ট) আমরা লিখব 𑄥𑄧𑄌𑄴𑄖𑄧 (নচ্ত) ইত্যাদি।
৩। অবিকৃত বিদেশি শব্দের জন্য:
কিন্তু যেসব বিদেশি শব্দগুলো আমাদের চাকমা ভাষায় অবিকৃত রূপেই প্রচলিত, সেইসব শব্দের ক্ষেত্রে মাজ্যা দেওয়ার সময়
আমরা চাকমা মাজ্যারীতির ধরাবাঁধা নিয়মের বাইরে চলে যাব, শব্দটার অবিকৃত রূপ তুলে ধরার স্বার্থে।
উদাহরণস্বরূপ,
𑄝𑄪𑄘𑄴𑄙𑄧 (বুদ্ধ) 𑄘𑄪𑄙𑄴(দুধ)𑄡𑄪𑄘𑄴𑄙𑄧 (যুদ্ধ) ইত্যাদি।
৪। চাঙমাতে যুক্তবর্ণ না থাকা বা কোন শব্দ দ্বিত্ব করতে আমরা মাজ্যা প্রয়োগ করতে পারি- যেমন, পজ্জন (𑄛𑄧𑄎𑄴𑄧𑄚𑄴), 𑄬𑄥𑄬𑄇𑄴 ইত্যাদি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...