সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯

চাঙমা সাহিত্য আগাজত এক্কো ধকধক্যে বোম্বা, লেঘিয়ে, কবি আ গবেষক দাঙগু আনন্দ মোহন চাঙমার জনম দিনত চা.সা.বাহ্ ফুল্লোই কোচপানা গজেল


আক কধা: এ পিত্তিমী নাঙে গ্রহবোত পত্তিক বস্তুও নিজর সেদাম অন্য মঙ্গলত্যাই বিলেই দ্যুন। মোম বাত্তি সান নিজে আঙি পহ্’র সিদি দ্যুন চেরো পালা। এক্কো মানুচ পিত্তিমীত জনম অনার সমারে তা জীংকানিত নানাঙ কাম’ সমারে মিজি থান। এ মানেই কুলত এলে মানুচ দোল দোল কাম গরি নিজর নাঙ সিদি দিবার চান। তারার কাম’ গুনে বাজি থান বিজগর পাদাত। এ সভ্যতাত চাঙমা জাদর অঝাপাত, ভাচ, সাহিত্য, রিদিসুদোম ভালেদি এযানা পোইদ্যানে আমা সমাজর লেঘিয়্যা, কবি, সাহিত্যিক আ সমাচ ভালেদি কাম্মোউন অবদান আঘে। সেধক্যে এক্কো দাঙর, অজল, কাবিল, চাঙমা সাহিত্য আগাজত এক্কো ধকধক্যে বোম্বা, লেঘিয়ে, কবি আ গবেষক দাঙগু আনন্দ মোহন চাঙমা (আনন্দ ময়) জনম অয় ৮ জুলাই ১৯৫৭ ইংরেজি মিঙিনি চাগালাত বাঘাইছড়ি দুঅর নাঙে এক্কান আদামত। তা বাবা নাঙান চিত্রজিৎ চাঙমা আ মা’বো নাঙান রঞ্জিতা চাঙমা।
শিক্কে আমত (ঘর): জ্ঞানাংকুর বৌদ্ধ বিহার পালি টোল, উদল বাগান প্রাইমারি ইক্কুল, বাবুছড়া হাই ইক্কুল।
কাম জীবন: ২৮ মে ১৯৭৩ ইংরেজি ধনপাতা চন্দ্রমনি কার্বারী পাড়া স: প্রাইমারি ইক্কুল এজাল সাত্থুয়া ইজেবে সরিত অয়। পরে উদাল বাগান স: প্রাইমারি ইক্কুল, ২ নং বাঘাইছড়ি স: প্রাইমারি ইক্কুল আ শেজে চিত্রজিৎ-রঞ্জিতা স: প্রাইমারি ইক্কুলত্তুন ২০১২ ইংরেজিত সাত্থু (শিক্ষক) জীবন থুম গরে।
সমাচ ভালেদি কাম: বানা সাত্থু চাগুরিলোই মিজি ন’ থেই নানাঙ সমাচ ভালেদি কাম গরি যেয়্যা, যার নিআলঝি গরি। এ সমাচ ভালেদি কামত্যাই এক্কান থেঙ আহ্’রেনেয়্য তে ধঙে ন’ যেই চাঙমা জাদর এক্কোই দাঙর কিত্তে (উদাহরণ) অই আঘে।
১৯৯৪ সাল: নিজ’ আদামত “চাঙমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী” নাঙে এক্কো চাঙমা সাহিত্য সংস্কৃতি জধা বানেয়্যা নিজ’ আওজে, জাদত্যাই, দেঝত্যাই কিঝু গরিবার। এ জধাবোত এয’ দাঙর কাবিল কাম্মো (পরিচালক) ইজেবে আঘে।

১৯৯৫ সাল: জুম্ম ফুল অনাথ আশ্রম থিদ’ গচ্ছে (হনচুকচুক্যা দিনমাধানত্যাই সিবে বন্ধ অই যিয়ে)।
২০০৫ সাল: উদল বাগান হাই ইক্কুলত ম্যানিজিং কমিতি জধানানু ইজেবে এয’ সং কাম গরি যার।
২০০৮ সাল: ২৬ জুলাই ইউএনডিপি সার্বিক ব্যবস্থাপনালোই বাংলাদেচ চাঙমা ভাষা পরিষদত গবেষক সাবাঙ্গী ইজেবে কাম গচ্ছে।
২০১২ সাল: ২০১২ সালত্তুন ধরি এব সং চিত্রজিৎ-রঞ্জিতা স: প্রাইমারি ইক্কুলত ম্যানিজিং কমিতি জধানানু ইজেবে কাম গরি যায় নিআলঝি গরি। আ সে বঝর ৪ জানুয়ারী নিজ’ আদামত “আনন্দ বাজার” নাঙে এক্কান বাজার থিদ’ গচ্ছে সমারে বজার’ জধানানু ইজেবে এয’ কাম গরি যার। আ দীঘিনালা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বি আর ডি বি) আহ্’ঞ্জামে কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিত চেয়ারম্যান পদতয়্য এয’ সং আঘে।
২০১৩ সাল: দীঘিলানা নাট্যদলত সার্বিক তত্ববধায়ক ইজেবে কাম গরের।
২০১৫ সাল: প্রাথমিক আ গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়র আহ্’ঞ্জামে নকবাচ গচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম আ পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেচ এ বহু ভাষিক মাতৃভাষার লেঘিয়্যা সাবাঙ্গী ইজেবে আঘে।
২০১৭ সাল: বাংলাদেঝর নিধুকতুক্যা জধা “চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত সল্লাদার ইজেবে নকবাচ অইয়ে।
শেজে কধা: পরাধীন জাদর সাহিত্য সংস্কৃতি জগত এক্কো বোম্বা ইজেবে বেগ’ আকমলিক অই মিঙিনি চাগালা নাঙ ফোতফোত্যা গরি রাঘেই সে অজল দাঙর বোম্বাবো জনম দিনত আমি তারে কিচ্ছু গরি ন’ পারির। জীংকানিত লাভ-
ক্ষতি তলবিচ ন’ গরি জাত্তোত্যাই দাঙগর রত্ন দি যেল’ সে এক্কো নাটক- “কার্পাচ্চোই সেপ খেলং- ১৭৮৫”(আগরতলা- ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৯৪), “চাঙমা জাদর বিজক”(বুদ্ধ পূর্ণিমা- ২০ মে ১৯৯৬), আ চাঙমা লেঘা বাল্য শিক্কে- “পগোন পাদা”(১৩ এপ্রিল ২০০৬)।
আমি তা এ জীংকানিত্তুন ইআনয়্য শিক্কে পেই- দেচ্ছানত্তুন কন’ কিজু আঝা ন’ গরি দেঝত্যাই, জাদত্যাই কিঝু এক্কান গরিযানা। জীবনানরে দোল গরিবাত্যাই নিজ’ ভালেদ’ কধা ত্যাগ গরা পরে। সক্যে দোল এক্কান সমাজর মু দেঘে। শেজে চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ তার ইয়োত লাম্বা আ কন’ অসুক - বিসুক ন’ ওক এ তবনা গরির।

শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৯

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বাংলাদেশ: মার্কিন প্রতিবেদন



     
      ০ Comments

    ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিতে চললেও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে পারেনি বাংলাদেশ। তাদের উচ্ছেদ ও জমি দখল হয়ে যাওয়া থেকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে।
    পাঠ্যপুস্তকে ঐতিহ্যগত ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়গুলোয় তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে অমুসলিম লেখকদের লেখা সরিয়ে ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক নেই—এমন সব বিষয়েও ধর্মীয় উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।
    ২০১৭ সালে বাংলাদেশসহ প্রায় ২০০টি দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
    বুধবার ঢাকাস্থ আমেরিকান সেন্টারের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, যেমন: হিন্দু, বৌদ্ধ, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষদের উচ্ছেদ ও তাদের জমি দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়ে কার্যকর সুরক্ষা দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
    গত বছর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন, বিশেষ করে বৌদ্ধ ও হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। জুন মাসে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চাকমাদের ৩০০ বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় ৭০ বছর বয়সী এক নারী হামলায় নিহত হন। একজন মুসলিম ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা থেকে আগুন-সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে। ফেসবুকে ইসলাম অবমাননাকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা রংপুরে হিন্দুদের ৩০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
    এতে বলা হয় হয়, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলা পাঠ্যপুস্তক থেকে দেশটির ঐতিহ্যগত ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়গুলোতে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। যেমন অমুসলিম লেখকদের লেখা সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক নেই—এমন সব বিষয়েও ধর্মীয় উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।
    প্রতিবেদনে জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, দেশটির সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে উল্লেখ করা হলেও দেশটি ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিতে চলে। ধর্মীয় বৈষম্য নিষিদ্ধ করে সব ধর্মের জন্য সমতার কথা বলা হয়েছে।
    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ওপর জোর দিয়ে মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিক, বেসরকারি সংস্থা ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।

    শনিবার, ২২ জুন, ২০১৯

    ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির তৃতীয় সভা

    16 জুন ২019 তারিখে চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রাম (সিএইচটি) অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা জাতীয় সংসদ ভবনে। সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে সভাপতিত্ব করেন কমিটির অন্যান্য দুই সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধপরিমা লર્મા, কজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড। রিটার্নিং শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের কার্য টাস্ক ফোর্স। এছাড়া, বিআর বাহাদুর শ্বে শিং, সিএইচটি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (এমওসিটিএ) এবং পিসিজেএসএসের কেন্দ্রীয় সদস্য গৌতম কুমার চাকমা এই বৈঠকে অংশ নেন। এ ছাড়া এমওসিটিএর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মো। মাহবুবুল ইসলাম, এমএইচটিএর অতিরিক্ত সচিব সুদতা চাকমা, সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির সহকারী সম্পাদক খায়রুল বসার ও মওচত্সার ঊর্ধ্বতন সহকারী রিভ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

    সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অংশগ্রহণকারীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে সকাল সাড়ে 11 টায় সভায় সভাপতিত্ব করেন। 19 ফেব্রুয়ারী ২019 এ অনুষ্ঠিত কমিটির দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রস্তাব গ্রহণের বিষয়ে পিসিজেএসএসের সভাপতি রেজোলিউশনের নিম্নলিখিত সংশোধনী সংশোধন করে:

    1. সিদ্ধান্ত নং 8 (বি) বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের কলামে "পার্বত্য চট্টগগ্রাম জন সমাধি সমিতি" সহ "সিএইচটি আঞ্চলিক কাউন্সিল" প্রতিস্থাপন।

    2. সিদ্ধান্ত নং 8 (চ) এর সিদ্ধান্তের কলামে "সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে" জেলা পরিষদকে "জেলা পরিষদে" প্রতিস্থাপন করতে।

    3. সিদ্ধান্ত নং 8 (জি) এর সিদ্ধান্ত কলামের শুরুতে "সকল অস্থায়ী ক্যাম্পগুলি পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা হবে এবং"।

    4. নতুন সিরিয়াল নং 8 (এম) সন্নিবেশ করে "পুলিশ (স্থানীয়) বিষয়ক কার্যালয়ের মাধ্যমে হিল জেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হবে এবং আইন অনুযায়ী হিল জেলা পুলিশ গঠন করা হবে"।
    শেষ পর্যন্ত, অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের সিদ্ধান্তটি সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য সংশোধনের প্রস্তাব গ্রহণ করে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় (শেষ সংখ্যা 4) ছাড়া। অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়কের অনুরোধে, এমওসিটিএর ভারপ্রাপ্ত সচিব, দ্বিতীয় বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন নিম্নরূপ:
     
    (1) সিদ্ধান্ত 8 (ক) তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদ (এইচডিসি), সিএইচটি আঞ্চলিক কাউন্সিল (সিএইচটিআরসি) এবং এমওসিটিএর সমন্বয়ে গঠিত: এমএচটিটিএর ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, তিনটি এইচডিসি সমন্বয়, সিএইচটিআরসি এবং এমওসিটিএ চলছে। প্রক্রিয়াটির অংশ হিসেবে, সিএইচটিআরসি প্রতিনিধি ও এমওএসিটিএর মধ্যে একটি বৈঠক 15 মে 2019 এ এমএচটিএ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সিএইচটিআরসি চেয়ারম্যান জে। বি। লર્મા, পিসিজেএসএসের সভাপতি ও পিসিজেএসএস সভাপতি বলেন, সিএইচটিআরসি সত্ত্বেও সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানের জন্য ক্ষমতা ও কার্যভার প্রদান করা হলেও সিএইচটিআরসি কে ছাড়িয়ে অনেকগুলি কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত মেনে চলার জন্য অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ সিএইচটিআরসি-র সাথে সমন্বয় করতে MoCHTA এবং তিনটি এইচডিসি নির্দেশ দেন।
     
    (২) সিদ্ধান্ত 8 (খ) সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়নে অগ্রগতি: পিসিজেএসএস সভাপতি বলেন, সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ককে জমা দেওয়া হয়েছে।
     
    (3) সিএইচটিসি আইন এবং এইচডিসি আইনের সাথে 1900 সালের সিএইচটি রেগুলেশনয়ের ধারাবাহিকতা নির্ধারণে (8) ডিসিশন 8 (সি): এমএইচসিটিএর ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, সিএইচটিআরসি দুটি সুপারিশ পেশ করেছে: (ক) বিশেষ কর্তৃক জারি করা স্মারক বাতিল ২9-10-1990 এর উপর বিষয়ক বিভাগ বলেছে যে সিএইচটি রেগুলেশন 1900 কার্যকর হবে; এবং সিএইচটি রেগুলেশন 1900 সিএইচটি অ্যাকর্ডের আলোকে তৈরি তিনটি এইচডিসি আইন এবং সিএইচটিআরসি আইনের আইন অনুসারে কার্যকর হতে পারে এমন একটি নতুন মর্মেডামম প্রদান করতে। "আইন সচিব আরও জানান, আইনী ও সংসদীয় বিভাগ দুটি ক্ষেত্রে প্রত্যয়িত কপি এবং CHTRC যে প্রত্যয়িত কপি সরবরাহ করার আশ্বস্ত চাওয়া হয়েছে।
    4) সিএইচটি ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বিধিগুলি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত 8 (ডি): গৌতম কুমার চাকমা জানায় যে 1 জানুয়ারী 2017 তারিখে সিএইচটিআরসি ভূমি কমিশনের বিধি মোচছাতে পাঠিয়েছে এবং সেই অনুযায়ী, মোচচা এটি পাঠিয়েছে 6 ফেব্র "য়ারি ২017 তারিখে চূড়ান্তকরণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে। দীর্ঘকাল ধরে মুলতুবি থাকা বিধিগুলি পালন করে, ভূমি মন্ত্রণালয় যথাক্রমে 28 মার্চ ২019 এবং 10 এপ্রিল ২019-এ নিয়মগুলি চূড়ান্ত করার জন্য দুটি বৈঠক আয়োজন করে। তিনি আরও জানান, ভূমি কমিশন সিএইচটি-তে আইন, কাস্টম এবং অনুশীলনের সাথে মিল রেখে বিরোধ নিষ্পত্তি করবে। ভূমি কমিশন আইনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের উপর সংজ্ঞা রয়েছে, তবে 'বিদ্যমান শুল্ক, অনুশীলন এবং অবৈধ / জোরপূর্বক পেশা' সম্পর্কে কোন সংজ্ঞা নেই। সুতরাং, সিএইচটিআরসি-র সুপারিশগুলির বিষয়ে বিধি 1 এর বিধি 6 এর সুপারিশগুলির বিষয়ে আলোচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তদুপরি, অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এ উদ্দেশ্যেই সিএইচটি মন্ত্রীর সচিব এবং আগামী সপ্তাহে সচিব নিয়োগের সচিব নিয়োগ করেন।
     
    (5) অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত 8 (জি): এমওসিটিএর ভারপ্রাপ্ত সচিব জানায়, অক্টোবর ২009 তারিখে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের চিঠিতে 55২ টি অস্থায়ী ক্যাম্পের মধ্যে 200 টি ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সেই সময়ে, পিসিজেএসএস সভাপতির মতে, অ্যাকর্ডে স্বাক্ষর করার পর অনেক শিবির পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। বাঘাইছড়ি উপজেলার সিজক দোয়ার বৌদ্ধ মন্দিরের প্রাঙ্গণে নতুন ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার একটি উদাহরণ তিনি উল্লেখ করেন। অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো। এএইচচটিএকে সেনা সদর দফতরে একটি চিঠি পাঠানোর নির্দেশ দেন।
    (6) লেজ বাতিল করার সিদ্ধান্ত 8 (জ): MoCHTA এর ভারপ্রাপ্ত সচিব জানায়, রাঙ্গামাটি জেলার জেলা প্রশাসকের তথ্য অনুযায়ী, 13 টি ইজির মধ্যে 8 টি ইজারা, লিজ-এর শর্ত লঙ্ঘনের কারণে বাতিল করা হয়েছে। হোল্ডার। খাগড়াছড়ি জেলার পরিস্থিতি মেনে চলার ব্যর্থতার কারণে 31 টি ইজারা বাতিল করা হয়েছে। বান্দরবান জেলার অবস্থা লঙ্ঘনের কারণে 1871 টির মধ্যে 416 টি ইজারা বাতিল করা হয়েছে। যাইহোক, পিসিজেএসএস সভাপতি বলেন যে স্থানীয় প্রশাসনের ঘুষ এবং অনিয়ম দ্বারা বান্দরবন জেলার প্রায় সব বাতিল করা পিসিকে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
     
    (7) সিদ্ধান্ত 8 (i) রিটার্নিং শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বিতাড়িত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের উপর টাস্ক ফোর্সের নিয়মিত বৈঠক করার বিষয়ে: এমওসিটিএর ভারপ্রাপ্ত সচিব জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়মিত টাস্ক ফোর্সের বৈঠক করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায়, বিভাগ কমিশনার জানায় যে টাস্ক ফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সে সময়, পিসিজেএসএস সভাপতি কার্যনির্বাহী কমিশনারের বদলে টাস্ক ফোর্সকে সচিব সহায়তা প্রদানের জন্য টাস্ক ফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ক্ষমতা ও কার্যভার দেওয়ার প্রস্তাব দেন। অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক পিসিজেএসএস সভাপতির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মওচতাকে নির্দেশ দেন।
    (8) সিদ্ধান্ত 8 (জ) সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটি, সিএইচটিআরসি এবং টাস্ক ফোর্সের পদমর্যাদার পদ ও নিয়োগের পদে নিয়োগের জন্য: প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মওচতকে নির্দেশিত অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো।
     
    (9) সিইটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির জন্য সচিবালয়, জনশক্তি এবং ফান্ড বরাদ্দকরণের বিষয়ে সচিবালয়ের কার্য সম্পাদনের জন্য সিদ্ধান্ত 8 (ক): এমএচটিটিএর ভারপ্রাপ্ত সচিব জানায়, সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির জন্য আর্থিক বরাদ্দ করা হয়েছে।
     
    সামগ্রিক পরিস্থিতি: সিএইচটি এর সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে, সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক বলেন, পিসিজেএসএস সরকারের সাথে সিএইচটি অ্যাকর্ডে স্বাক্ষর করেছে। সুতরাং, পিসিজেএসএস সদস্যদের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব সরকারের হাতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা fabricated মামলা প্রত্যাহার করা উচিত। তিনি পিসিজেএসএস সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য MoCHTA মন্ত্রীকে পরামর্শ দেন।
     
    সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আরও যোগ করেছেন যে, পিসিজেএসএস সদস্যদের রেশন বিতরণে সমস্যা অনেক জায়গায় রিপোর্ট করা হয়েছে। পিসিজেএসএস সভাপতি এই বিষয়ে তার চিঠি সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও MoCHTA মন্ত্রীর কাছে জমা দেন। তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য MoCHTA এর ভারপ্রাপ্ত সচিবকে নির্দেশ দেন যাতে পিসিজেএসএস সদস্যরা তাদের সমস্যা ছাড়াই তাদের রাশন পেতে পারে।
     
    মন্তব্য: এটি দেখানো হয়েছে যে সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক, রিটার্নিং শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য টাস্ক ফোর্স এবং অভ্যন্তরীণভাবে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি এবং সিএইচটি ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উদাহরণস্বরূপ, ২018 সালের জানুয়ারিতে ২018 সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ও পিসিজেএসএস জ্যোতিরিন্দ্রা Bodhipriya Larma এর সভা, ফেব্রুয়ারী এবং জুন 2018 সালে সিএইচটি ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের দুটি বৈঠকে সিএইচটি অ্যাকর্ডের বাস্তবায়নের বিষয়ে পাঁচটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। , ২018 সালের এপ্রিল মাসে সিএইচটি অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভায় এবং ২018 সালের সেপ্টেম্বর মাসে রিটার্নিং শরণার্থীদের পুনর্বাসন ও অভ্যন্তরীণভাবে বিবস্ত্র ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কর্মকাণ্ডের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। একর্ড অ্যাকলিমেন্টেশন কমিটি এবং সিএইচটি ল্যান্ড কমিশনের এক সভায় যথাক্রমে ২019 সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এবং ২019 সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তবে অভিযোগ করা হয় যে এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।



    3rd Meeting of the CHT Accord Implementation Committee held in Dhaka

    22 June, 2019

    On 16 June 2019 third meeting of the Chittagong Hill Tracts (CHT) Accord Implementation Monitoring Committee was held at Jatiya Sangsad Bhaban in Dhaka. Presided over by Convenor of the CHT Accord Implementation Committee Abul Hasnat Abdullah, the meeting was attended by other two members of the Committee, namely, Jyotirindra Bodhiprya Larma, President of Parbatya Chattagram Jana Samhati Samiti (PCJSS) and Kujendra Lal Tripura, MP and Chairman of the Task Force on Rehabilitation of Returnee Refugees and Internally Displaced Persons. Besides, Bir Bahadur Shwe Shing, Minister for the Ministry of CHT Affairs (MoCHTA) and Goutam Kumar Chakma, central member of the PCJSS participated in the meeting. In addition, Acting Secretary of MoCHTA Md. Mesbahul Islam, Additional Secretary of the MoCHTA Sudatta Chakma, Personal Secretary of the Comvenor of the CHT Accord Implementation Committee Mohammad Khairul Basar and Senior Assistant Secretary of the MoCHTA Riva Chakma were present in the meeting.
    The Meeting starts at 11:30 am by extending greetings to the participants by the Convenor of the CHT Accord Implementation Committee. During the discussion for adoption of the resolution of the 2nd meeting of the Commiittee held on 19 February 2019, President of the PCJSS put following amendments to the resolution:
    1. To replace “CHT Regional Council” with “Parbatya Chattagram Jana Samhati Samiti” in the column of implementation authority of Decision No. 8(b).
    2. To replace “to the District Council” with “to the Hill District Council through executive order of concerned ministry” in the decision column of Decision No. 8(f).
    3. To add “All the temporary camps will be withdrawn by phases and” in the start of decision column of Decision No. 8(g).
    4. To add “The subject of Police (Local) will be transferred to the Hill District Council through executive order and Hill District Police will be formed as per the laws” by insering a new Serial No. 8(m).
    At the last, the resolution of the 2nd meeting of the Accord Implementation Committee was adopted unanimously by accepting the amendment proposals above-mentioned, except last one (serial no. 4). In request of Convenor of the Accord Implementation Committee, Acting Secretary of the MoCHTA placed progress report of implementation of the decisions adopted in the 2nd meeting are as follows:
    (1) Decision 8(a) on coordination of three Hill District Councils (HDCs), CHT Regional Council (CHTRC) and MoCHTA: Acting Secretary of the MoCHTA informed that coordination among three HDCs, CHTRC and MoCHTA continues. As part of process, a meeting between the CHTRC representatives and MoCHTA was held on 15 May 2019 at the MoCHTA conference room. At that time, J B Larma, Chairman of the CHTRC and President of the PCJSS said that despite the CHTRC is bestowed power and function for coordination and supervision, however many functions are being implemented bypassing the CHTRC. In order to comply decisions, Abul Hasnat Abdullah, Convenor of the Accord Implementation Committee directed the MoCHTA and three HDCs to coordinate with the CHTRC.
    (2) Decision 8(b) on progress of implementation of the CHT Accord: President of the PCJSS said that the progress report on implementation of the CHT Accord was submitted to the Convenor of the Accord Implementation Committee.
    (3) Deceision 8(c) on making consistencies of CHT Regulation of 1900 with CHTRC Act and HDC Acts: In this regard, Acting Secretary of the MoCHTA informed that the CHTRC submitted two recommendations: (a) to cancel the memorandum issued by Special Affairs Division on 29-10-1990 stating that CHT Regulation 1900 shall be effective; and to issue a fresh memorandum stating that the “CHT Regulation 1900 shall be effective to the extent that is in consonance with the laws of three HDC Acts and CHTRC Act framed in light of the CHT Accord.” Acting Secretary also informed that Legislative and Parliamentary Division has sought to have certified copies of two cases and CHTRC assured to supply that certified copies.
    (4) Decision 8(d) on finalization of the Rules of the CHT Land Dispute Resolution Commission: Goutam Kumar Chakma informed that on 1 January 2017 the CHTRC sent a draft of Rules of the Land Commission to the MoCHTA and accordingly, MoCHTA sent it to Land Ministry for finalization on 6 February 2017. Keeping the Rules pending for long time, Land Ministry organised two meetings for finalization of the Rules on 28 March 2019 and 10 April 2019 respectively. He also informed that Land Commission shall resolve the disputes in consonance with the law, custom and practice in force in the CHT. There is definition on ‘existing law’ only in the Land Commission Act, but no definition about ‘existing customs, practices and illegal/forcible occupation’. Hence, a decision was taken to hold next meeting for discussion on recommendations of the CHTRC regarding Rules 1 to Rules 6. Accordingly, Convenor of the Accord Implementation Committee assigned responsibilty to CHT Minister and Secretary for holding meeting by next week for this purpose.
    (5) Decision 8(g) on withdrawal of temporary camps: Acting Secretary of the MoCHTA informed that according to the letter of Armed Forces Division dated on 1 October 2009, out of 552 temporary camps, 200 camps were withdrawn. At that time, PCJSS President opined that many camps were redeployed after signing the Accord. He cited an example of establishment of new camp at the premises of Sijak Doar Buddhist Temple in Baghaichari upazila. Convenor of the Accord Implementation Committee directed MoCHTA to send a letter to the army heaquarters in the regard.
    (6) Decision 8(h) on cancellation of leases: Acting Secretary of the MoCHTA informed that as per information of Deputy Commissioner of Rangamati district, 8 leases, out of 13 leases, were cancelled due to violation of the conditions by the lease-holders. All the 31 leases were cancelled for failure to comply conditions in Khagrachari district. 416 leases, out of 1871 leases, were cancelled due to violation of the condition in Bandarban district. However, PCJSS President opined that almost all the cancelled leases were reinstated in Bandarban district by bribing and irregularities of the local administration.
    (7) Decision 8(i) on holding of regular meeting of the Task Force on Rehabilitation of Returnee Refugees and Internally Displaced Persons: Acting Secretary of the MoCHTA informed that Divisional Commissioner of Chittagong Division was requested to hold meeting of the Task Force regularly and in response to that, Division Commissioner informed that holding of meetings of the Task Force is continuing. At that time, PCJSS President proposed to assign power and function to the Chief Executive Officer of the Task Force for providing secretarial assistance to the Task Force instead of Divisional Commissioner. Convenor of the Accord Implementation Committee directed to the MoCHTA to take action in accordance with the recommendation of the PCJSS President.
    (8) Decision 8(j) on creation of posts and appointment of vacant posts of the CHT Accord Implementation Committee, CHTRC and Task Force: Convenor of the Accord Implementation Committee directed to the MoCHTA for taking necessary measures for the same.
    (9) Decision 8(k) on seperate office, manpower and allocation of fund for CHT Accord Implementation Committee for running its secretarial functions: Acting Secretary of the MoCHTA informed that financial allocation has been made for CHT Accord Implementation Committee.
    Overall Situation: Regarding overall situation in the CHT, the Convenor of the CHT Accord Implementation Committee said that the PCJSS signed CHT Accord with the government. So, the government has the responsibility to provide security to the PCJSS members. The fabricated cases filed against them should be withdrawn. He advised the Minister of the MoCHTA to take necessary measures for withdrawal of false cases lodged against PCJSS members.
    Convenor of the CHT Accord Implementation Committee also added that problems in distributing rations to the PCJSS members has been reported in many places. PCJSS President submitted his letter regarding this issue to the Convenor of the CHT Accord Implementation Committee and Minister of the MoCHTA. He directed to the Acting Secretary of the MoCHTA to take necessary action so that PCJSS members can receive their rations without problem.
    Remarks: It is observed that the government did not take necessary action in implementing the decisions of the meetings of the CHT Accord Implementation Committee, Task Force on Rehabilitation of Returnee Refugees and Internally Displaced Persons and CHT Land Dispute Resolution Commission. For instance, in 2018, five high level meetings regarding implementation of CHT Accord, such as, a meeting between Prime Minister Sheikh Hasina and President of PCJSS Jyotirindra Bodhipriya Larma in January 2018, two meetings of CHT Land Dispute Resolution Commission in February and June 2018, a meeting of CHT Accord Implementation Monitoring Committee in April 2018 and a meeting of Task Force on Rehabilitation of Returnee Refugees and Internally Displaced Persons in September 2018 etc. were held. Even one meeting each of Accord Implementation Committee and CHT Land Commission respectively was held in February 2019 and in March 2019. But it is alleged that the government did not take necessary action for implementation of the decisions of these meetings.



    বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৯

    মাতৃভাষার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে রাখাইনদের নতুন প্রজন্ম প্রকাশঃ

    মাতৃভাষার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে রাখাইনদের নতুন প্রজন্ম

    এম.এ আজিজ রাসেল:
    পাকিস্তান আমলে শহরের বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখাইন ভাষা শেখানো হতো। স্বাধীনতার পর তিন বছরের মাথায় সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন ব্যক্তি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে বিচ্ছিন্নভাবে রাখাইন ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল।
    ধীরে ধীরে সেগুলোও গুটিয়ে যায়। এখন রাখাইন ভাষা শেখানো কার্যক্রম নেই বললেই চলে। এছাড়াও বাংলা-ইংরেজি শিক্ষার প্রতিযোগিতার দৌড়ে মাতৃভাষা চর্চায় আগ্রহ নেই প্রায় ৯৬ শতাংশ রাখাইনদের মধ্যে। ক্ষীণ সুযোগ-সুবিধা ও সচেতনতার অভাবে দিনদিন মাতৃভাষায় দক্ষতা হারাচ্ছে রাখাইন সম্প্রদায়। এনিয়ে উদ্বীগ্ন রাখাইন সম্প্রদায়ের সচেতন ব্যক্তিরা।
     
    রাখাইন ভাষার গবেষক রামু উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মংহ্লা প্রু পিন্টু বলেন, রাখাইন জনগোষ্ঠির ৯৬ শতাংশ শিশু-কিশোরেরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারলেও লিখতে পড়তে পারে না। অবশিষ্ট চার শতাংশ শিশু বাবা মায়ের কাছে অথবা বৌদ্ধবিহারের পাঠাগারে গিয়ে রাখাইন ভাষা শিখেছে। রাখাইন শিক্ষকের অভাব, পাঠ্যপুস্তক সংকট ও সরকারি উদ্যোগ না থাকায় রাখাইন ভাষা চর্চা থেমে গেছে। এরফলে রাখাইনদের সংস্কৃতি, ঐহিত্য, সংগীত, নৃত্য ও লোকগাথা হারিয়ে যাচ্ছে।
    রাখাইনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ষাড়ের দশকের দিকে শহরের বার্মিজ প্রাথমিক বিদ্যালেয় রাখাইন ভাষার সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। তৎকালিন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ইনজুমা রাখাইন মাতৃভাষার উপর সকাল সাতটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত পাঠদান করতেন। সেই সময় মিয়ানমার থেকে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে আসা হতো। পরে ১৯৭৪ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি করণ হওয়ার পর রাখাইন ভাষাশিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
    ওই বিদ্যালয়ের তৎকালিন প্রধান শিক্ষিকা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মাসিন রাখাইন (৬৭) বলেন, সরকারি করণ হওয়ার পর নানা কারণে রাখাইন ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম আর চালানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া অভিভাবকেরা মাতৃভাষা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না, যার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আগ্রহ ছিল না। তিনি আরও বলেন, সত্তর দশকের পর থেকে কিছু কিছু রাখাইন অভিভাবকেরা মনে করতেন, রাখাইন ভাষা শিখলে তাদের সন্তানেরা বাংলাতে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে না। প্রতিযোগিতায় হারিয়ে যাবে। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। যাদের মাতৃভাষার প্রতি দক্ষতা থাকবে না, তারা অন্য যেকোন ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারবে না। তবে অনেকে চাইলেও মাতৃভাষা শেখাতে পারে না, কারণ এখন শহরে রাখাইন ভাষা শেখানোর মত তেমন কোন প্রতিষ্ঠান বা সুযোগ নেই বললেই চলে।
    রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সূত্রমতে, দেশের ৪৫ টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার একটি রাখাইন সম্প্রদায়। দেশের বিভিন্নস্থানে এখন ৯০ হাজারের মত রাখাইন জাতির বসবাস রয়েছে। এরমধ্যে ৫০ হাজারের বেশি রাখাইন বসবাস করে কক্সবাজার জেলায়। অবশিষ্ট রাখাইনেরা থাকে পটুয়াখালী, বরগুনা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম মহানগরে। ষাটের দশক থেকে শহরের চাউল বাজার এলাকায় নিজের বাড়িতে পাঠশালা খুলে রাখাইন ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন আম্মিসে রাখাইন নামে এক ব্যক্তি। নিজে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশু সংগ্রহ করতেন। তাঁর কাছ থেকে রাখাইন ভাষার শিক্ষা নিয়েছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মায়েনু’র মত রাখাইন সমাজের আলোকিত মানুষেরা। তবে বয়সের কারণে ৯০’ সালের দিকে সেটিও বন্ধ করে দেন তিনি। পরে ২০০৬ সালে পরলোক গমন করেন আম্মিসে রাখাইন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে চাচার স্মৃতি রক্ষার্থে বাড়িতে পাঠশালাটি চালু করেছেন আম্মিসে রাখাইনের বড় ভাইয়ের মেয়ে চ খিন রাখাইন (৪০)। তিনিও রাখাইন ভাষার শিক্ষা নিয়েছেন চাচার কাছে। তাঁর কাছে এখন পর্যন্ত ১০ জন শিশু রাখাইন ভাষা শিক্ষা নিতে আসে। সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুতলা বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে শিশুদের রাখাইন ভাষা শেখাচ্ছেন চ খিন। সেখানে পড়ছে মাছেন হ্লা (১২), জিমা রাখাইন (১১), চুই লাইন, অ¤্রাসিন রাখাইন (৮)সহ ১০ জন শিশু। শিক্ষার্থী মাছেন হ্লা (১২) রাখাইনের বাড়ি শহরের চাউল বাজার এলাকায়। সে পড়ে শহরের কেজি অ্যান্ড মডেল হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণিতে। সে জানায়, এক সময় সে পার্শ্ববর্তী বৌদ্ধমন্দিরে ‘ধর্ম স্কুলে’ পড়ত। সেখানে প্রতি শুক্রবার সকালে পড়ানো হত। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। একারণে তাঁর বাবা তাকে চ খিনের কাছে দিয়েছেন। সেখানে সে শুক্রবার ও শনিবার বিকেলে পড়তে যায়। সে আরও জানায়, বাংলা ভাষার মত রাখাইন ভাষা শিখতেও তার কাছে মজা লাগে। তবে ভাষা শেখার জন্য বিশেষ কোন বিদ্যালয় থাকলে ভাষা শিখতে আরও সহজ হতো তার। শিক্ষার্থী জিমা রাখাইনের (১১) বাড়ি টেকপাড়া এলাকায়। সে পড়ে রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুলের ৩য় শ্রেণিতে। শুক্রবার বন্ধের দিন আর শনিবার স্কুল থেকে ফিরে বিকেলে ভাষা শিক্ষা নিতে আসে সে। শিক্ষার্থী মাছেন হ্লা রাখাইনের বাবা মংটিউমা রাখাইন (৪২) সোনালী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার কর্মকর্তা।
     
    তাঁর দুই সন্তান। তিনি বলেন, পড়াশোনা করবে ঠিক আছে, কিন্তু নিজের মাতৃভাষা জানাওতো দরকার। তাই পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে শুক্রবার ও শনিবার সন্তানদের রাখাইন ভাষার পাঠদান করছেন তিনি। জিমা রাখাইনের বাবা ব্যবসায়ী মংহ্লা সেন (৩৮) জানান, বিদ্যালয়ে বাংলা, ইংরেজিসহ সবকিছু শিখছে। কিন্তু নিজের মাতৃভাষা সম্পর্কে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই সেখানে। মাতৃভাষা না শিখলে শেকড় ভুলে যাবে। তাই তিনি সন্তানদের মাতৃভাষা শেখানোর উপর জোর দিয়েছেন।
    রাখাইন ভাষা শিক্ষার শিক্ষক চ খিন রাখাইন (৪০) জানান, কয়েক জন অভিভাবকের অনুরোধে তিনি রাখাইন ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছেন। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার বিকাল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত পড়ান। তবে চাচার সময়ের মত রাখাইন ভাষা শেখার আগ্রহ এখনকার অভিভাবকদের মধ্যে নেই।
    তিনি আরও বলেন, রাখাইন ভাষায় ব্যঞ্জন বর্ণ ৩৩ টি আর স্বরবর্ণ ১২টি। এছাড়া গাণিতিক সংখ্যা বাংলা ও ইংরেজির মতই। শুরুতে শিশুদের ‘রাখাইন পেসা’ অর্থ্যাৎ রাখাইন বর্ণমালা বই পড়ান। এটি শেষ হতে প্রায় বছরেরও বেশি সময় লাগে। এই বইটি শেষ হলে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়ানো হয়।
    জানা গেছে, ২০১৩ সালের দিকে শহরের মহাসেনদোগ্রি বৌদ্ধবিহার প্রাঙনে ‘ধর্মস্কুল’ নামে রাখাইন ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্ট কাউন্সিল (বিআরএসসি) কক্সবাজার শাখা। প্রতি শুক্রবার সকালে তিনজন শিক্ষক সেখানে রাখাইন ভাষার পাঠদান করতেন। প্রতি ক্লাসে ১৫০ থেকে ২০০ জন শিশু অংশগ্রহণ করতো। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়ানো হতো শিশুদের। সংগঠনের সদস্যরা টাকা দিয়ে শিক্ষকদের বেতন চালাতেন। কিন্তু পরে অভিভাবকদের অসহযোগিতা, জায়গা সংকট ও অর্থ সংকটের কারণে আর চালানো সম্ভব হয়নি ধর্মস্কুল। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বাধ্য হয়ে স্কুলটি বন্ধ করে দেয় তারা। ওই স্কুলের পাশে উকোসল্লা বৌদ্ধবিহারের রাখাইন শিশু শিক্ষাকেন্দ্রেও একজন শিক্ষিকা রাখাইন মাতৃভাষা পড়াতেন। টানা ১০ বছর পড়ান তিনি। কিন্তু ২০১৩ সালের দিকে তিনি মিয়ানমারে চলে যাওয়ায় সেটিও বন্ধ হয়ে যায়।
    বিআরএসসি কক্সবাজার শাখার সাবেক সভাপতি ক্যনাইং রাখাইন বলেন, ধর্মস্কুলে বেশ আগ্রহ নিয়ে শিশুরা রাখাইন মাতৃভাষা শিখতো। কিন্তু অর্থ এবং জায়গা সংকটের কারণে ধর্মস্কুল চালানো সম্ভব হয়নি তাদের। জায়গা এবং অর্থ সহযোগিতা দিয়ে সরকার অথবা কোন বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসলে স্কুলটি পূণরায় চালু করতে চায় তারা।
    তিনি আরও বলেন, রাখাইন মাতৃভাষাকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। তা না হলে এক সময় নিজস্ব সংস্কৃতি, সভ্যতা সবকিছু হারিয়ে যাবে। এজন্য সবচেয়ে বেশি দরকার অভিভাবকদের সচেতন হওয়া।
    কক্সবাজার কেজি অ্যান্ড মডেল হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষিকা মাউন টিন বলেন, রাখাইনদের মধ্যে দিনদিন নিজের মাতৃভাষার প্রতি বিমুখতা তৈরী হচ্ছে। প্রতিযোগিতার দৌড়ে বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে রাখাইন ভাষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না অভিভাবকেরা। কিন্তু এটা উচিত নয়। এর ফলে মাতৃভাষার প্রতি আজীবন অজ্ঞ থেকে যাবে। যে মাতৃভাষার প্রতি অজ্ঞ থেকে যাবে, সে কখনোই অন্যকোন ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারবে না।
    তিনি আরও বলেন, রাখাইন ভাষা শেখার জন্য শহরে তেমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই। অনেক রাখাইন শিক্ষিত ব্যক্তি কিন্তু নিজের মাতৃভাষা (রাখাইন ভাষা) জানে না। উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা না থাকাকেও কিন্তু মাতৃভাষার প্রতির বিমুখতার অন্তরায় হিসেবে দেখেন তিনি। এই অবস্থা চলতে থাকলে শিগগিরই রাখাইনদের মাতৃভাষা চর্চা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

    রবিবার, ৯ জুন, ২০১৯

    জাগি উদ’ ইরুক পিরিহ্

    জাদর ভাগ্যগাঝত উত্তে কালা মেক
    কালাত্তুন কালা অই, ধুপ অই উদি দুমুলুক খেলার
    জাত্তো পচ্যে ঘুল্যাত,
    চিদেই চিদে ঘুম নেই চোগত, নেই পেদত ভাত
    সুক নেই, সান্দি নেই বানা আহ্’ঙের বুক।
    ও ইরুক পিরিহ্, তুমি কুধু? জাগি উদ’
    এম.এন লারমা সবনলোই ফিরি এয’ ফিরি এয’।

    স্বর্গসান হিল চাদিগাঙ,
    নিপরভা (নিরাপত্তা) নেই আর জুম্ম জাত
    সিয়ের (শিকার) অহ্’লাক, ভরিল শুকুন পাল
    কত্তাত্তুন কত্তা অই ভাঙি যেল’ সুগর দোল সংসার।
    সং জধায় উজে এলে অভ’ দাঙর আহ্’র (দেওয়াল)
    না অয় ভাঙিব’ কবাল, মাজারা ন’ থেব’ হিল চাদিগাঙ।
    ও ইরুক পিরিহ্, তুমি কুধু? উজেই এয’
    এম.এন লারমা সবনলোই ফিরি এয’ ফিরি এয’।
    কারর কধা ন’ শুন্নো, খেদাফল্লো চোক ন’ দুয়ো,
    সত্য কধা ইধোত তুল’, বুগত রাঘ’ পত্য(বিশ্বাস)
    হিল চাদিগাঙ অহ্’ল তমা পিত্তিমী, তমা গিরি (পরিবার)
    এম.এন লারমা বানেয়্যা নআন(নৌকাচি) জরা দুয়ো।
    ও ইকুরক পিরিহ্, তুমি কুধু? জুম্ম জাদর সিরিসুদোম জাগে তুলি উজে এয’।

     *খেদাফল্লো- সরকার সুবিদ্যা।

    ১০জুন ২০১৯ খ্রিঃ রেত: ১২: ৪৫টা।
    ছবি: চাঙমা নুঅ জুম।

    শুক্রবার, ৭ জুন, ২০১৯

    তুই কি?


    তুই কি লেঘিয়্যা-
    মান পেবাত্তে পর ভাচ্চোই সাহিত্য চচযা গরচ।
    মা-ভাচ্ছোই কধা ন’ কচ।
    তুই লেঘিয়্যা নয়।
    তুই তুগন’ বাচ
    তরে দেলে মর ঈচ অহ্’য়।

    তুই কি কবি-
    দাঙর মান পেবাত্তে পর ভাঝে কবিদ্যা লেঘচ।
    কধায় কধায় চাঙলা, চাঙলিচ ভাঝে মাদচ।
    তুই কবি নয়
    তুই এক্কো দুলো ধচ্যে।
    তরে দেঘে মর সেপ এযে মুহ্’ত।
    তুই এধক্যে এক্কো লেঘিয়্যা-
    মা-ভাঝর কন’ দয়ে নেই
    পর ভাচ্ছোই কানচ।
    তুই কি খবর ন’ পাচ তর বেক আঘে?
    তে কিত্তে এধক
    ভিন ভাঝত্যাই পরান দুয়োর?
    তুই এধক্যে এক্কো কবি-
    নিজ’ ঘর-দুয়োর ন’ সুরি
    পর ঘর-দুয়ো আঝর।
    মরা তেরতের মা-ভাচ্ছানত্যাই তবনা ন’ গরি
    ভিন ভাচ্ছান ভালেদি তবনা গরর।
    তরে দেঘিলে মর বুক আহ্’ঙে-
    এধক্যে বজঙত্যাই জাত্তো অধেপদে।
    নিজ’ পিরিহ্’ল্যা ভাচ্ছানরে কিত্তে চোক নেই
    নাঙ ফুদেবাত্তে পর’ ওক্কোর-ভাচ্চোই লুদুপুদু অই আঘচ।
    তুই কি খবর ন’ পাচ?
    এ অক্তআন বেকুজ্যা অহ্’লে
    মা-ভাচ, অঝাপাত, রিদিসুদোম, সাহিত্য
    বেক আহ্’জে পেলেবে।

    ইরুক পিরিহ্

    ও ইরুক পিরিহ্!
    শুন’ কঙর তমারে
    আমল গরি একবার ভাব’
    জাত্তো অল’ যাং যাং, থাঙ থাঙ
    পুকদাক ছাবা পরি যার,
    ছাবা পরি যার মুরল্যা চাদিগাঙ।
    ত্যুঅ তোমার উচ (চেতন) নেই?
    তমা রংধং দেলে মনে হয়
    জুম্ম জাত্তো সান এ পিত্তিমীত আর কেও সুগি নেই।

    দেঘর, মা মেদেনি বুক
    চিমচিম্যা ধুলু বাজ’ ধুলুগত ঘা অইয়ে
    থেপ থেপ লো ঝরে, নালে বেই যার-
    চেঙে, মিঙিনি, কাজালঙ, শঙ্খ আর বরগাঙ।
    ত্যুঅ উচ নেই তমার?
    পিরিহ্’ল্যা মা মেদেনিরে উদুম পাজারি দারু বুধিবো চুমে দিবার।
    তুমি আঘ’ এক জগদত, রঙ্গতামাজাত।
    ও ইরুক পিরিহ্,
    জাদর বিজগর বই পরহ্,
    এম.এন. লারমা চেদন বুগত বান’
    রঙ্গ তামাজা সারি নেই
    এম. এন. লারমা সবন বুগত তুবোল তুল’।
    সক্যে,
    ন’ থেবং পরসাল্লো সান
    দেচ পেবং, পেবং অধিগার।
    মন’ সুগে, চিদ’ সুগে গরিপারিবং রঙ্গতামাজা।
    ঘুরি পারিবং- পেইক সান-
    মোন-মুরহ্ আ রিঝেং তানজাং।

    শনিবার, ২৫ মে, ২০১৯

    চাঙমাউনর সুক কুধু আজি যেল’

    ছবি: তিতাস চাঙমা
    পুরনি আমলত আদামে আদামে গেংখুলি শুনিদাক রেত থিয়্যা, জুম ধান যক্যে গোলাত তুলনা সেচ অয়। সে গীদ’ সুরত রাজা, চাঙমাউনর জীংকানি কধা ফুদ উদিদ’। ফুদি উদে চাঙমা রেয্য সে জয় গচ্চে দিনুন। কন’ গাবুজ্যা - গাবুরি লাঙগ্যা - লাঙুনি কোচপানা কধা সে গীদ’ সুরত পোতপোত্যা গরি ফুদি উদে। ইক্যে সে গীত, সে গীদ’ সুর বাপ-ভেইয়্য তাজা লোত, মা-বোনর চোগর পানি গঙারে কুধু ভাজি যেল’?

    কি এল’ সে গেংখুলি গীদত? কি এল’ সে বিজক(ইতিহাস) আ উপখ্যান? চাঙমা রাজার কধা, চাঙমা কন’ মিলে কধা, চাঙমা কন’ ভালেদি জীংকানি কধা। সক্যে চাঙমাউনর রাজা এল’, রেয্য এল’, সুক এল’ চাঙমাউনর জীংকানিত। মিলেউনর মুয়োত অনসুর আজি এল’, বুগত এল’ আঝা আ কোচপানা, চোগত এল’ পোতপোত্যা সবন। সক্যে কাজালং, চেঙে, মিঙিনি, শঙখ, বরগাঙ আ ফেনী এল’। সে গেংখুলি গীদ’ সুরত ফুদি উদি সে কধা, গাঙর কদা, মোন মুরহ্ কধা, মোন-মুরহ্ হ্’েইল তারুম ঝারর ফুল, পেইগ’ কধা আওজি মনে রিবেঙত্তুন কারি শুনেদাক। সক্যে বিঝু এল’, ফুল বিঝু, মুর বিঝু আ গয্যাপয্যা দিন। ফুল বিঝু দিনত বেগে চিদ’ সুগে, মন’ সুগে রেত সংভাগত ঘুমত্তুন উদি ফুল তুলি গঙামারে ভূজিদাক, বর মাগিদাক। মুর বিঝু দিনত রাঙা বেলাল মু ভেদা দেদে কুর’ আদার দিদাক, ঝাক ভুদি ভুদি বিঝু খেদাক, গীদে রেঙে। গয্যাপয্যা দিন বুরো-বুরিহ্’রে ঘাদেদাক। গাবুয্যা গাভুরি, গুর’-বুরহ্’ বেগে ঝাগে ঝাগে কিয়োঙত যেদাক। ফুল বাত্তিলোই বুদ্ধরে পূজিদাক। সাত বেইল সং ঘরত, ধিঙিসালত, গাঙত, কুর’- গরু ঘরত বাত্তি আঙে সয়সম্পত্তি বারিবাত্তে বর মাগিদাক। বেগ’ মঙ্গলত্যাই, গিরিত্তি ভালেদিত্যাই, আদাম ভালেদিত্যাই, সমাজ উজন্দিত্যাই বর মাগিদাক। নিজ’ মনর মানুচ্ছোরে তোগেদাক জুম’ থুপ থুপ সুধোগলাত, ঘোচ্ছে তাগাত, রিঝেং, ঝোরঝরিত সে ভাদ’ মাজ্যা পাগানা ধান সিজেত।
    জুম’ ধান গোলাত তুলানা থুম অলে মিলেউনে বেইন বাজান, বেইন বুনন, খাদি, বেজোন বুনন। বেজোনত দোল দোল বট গাচ, কিয়োঙ আ চাঙমা ওক্কোরুন আঁগান। সে বেজোনানি তারা কোচপানা মানুচ্ছোরে বুকশিচ দ্যুন। যারে নিনেই তার সবন দেঘন- দোল এক্কা সংসার গরিবার তারে।
    মোন-মুরহ্’ত চাগালা থিয়্যা জুম কাবন। কাদিমাচ জুম ফাঙ গরন। আওন-পুচ মাচ জুম কাবা ধরন। চোত মাচ জুম পুরন। আরা কারি, আনুনি সুলি বোজেক-জেতমাচ ঝর পরল্লে ধান কুজোন। গাবুজ্যা - গাবুরি জুম’ কাম গরন, সাজন্যা লামি এত্তে ঘরত ফিরন, গীত গেই গেই। যে গীদত কন’ দুক নেই, নেই কেলচ-আভিল্যাচ। ইআনি তারার সবন। ইত্তুন বেচ তারার দাঙর সবন ন’ এল’।  কাম গত্তে গত্তে এধক দুক পান ত্যুঅ তারার মুয়োত গান এল’, নাচ এল’, সুক এল’ জুম্মউনর জিংকানিত।  কিত্তেই, সক্যে হ্’েইল ঝার এল’, এল’ চিগোন - দাঙর ছরাহ্-ছুরিহ্ আ বানা জুম্মউন এলাক। তারা বাদে অন্য কন’ জাত ন’ এলাক এ রেজ্যত। সে পরে উত্তুন যেন এলাক অন্য মানুচ চাঙমাউনর জিংকানিত, মুরুল্যা জিংকানিত। এ সের ন’ পিয়ে দুগতয়্য তারার “মজুর” ন’ এল’ কন’ দিন। নিজ কাম নিজে গরিদাক। পোত্যা রাদা দাগত ঘুমত্তুন উদি ভাত রানি দিদাক মিলেউনে। পহ্’র ফাদি এত্তে ন’ এত্তে ভাত মোজা পুনত বানি বাগত লামিদাক মরত্তুন।  কন’ বান্দা (ব্যক্তি) কাম বোরে ন’ এলে তারা তারে বল দিদাক, এক লগে গীদে - রেঙে। কন’ গিরি বঝর ভাদে খেই ন’ পারল্লে তারে মন’ এজাল, ধন’ এজাল দিদাক। মাত্তর এচ্যে তারা “মজুর” অই যিয়োন। ঝার তারুম বেক ভচ যিয়ে, ছরাহ্-ছুরিহ্ শুগেই যিয়ে। ঝুরি মাধাত্তুন পানি ন’ থেপাই, থেপাই বানা মা-বোনর চোগ’ পানি, বাপ- ভেইয়োর লো। কাপ্তে গধা দিনেই চাঙমাউনর ঘর, বাগান, ভূইবেক ধুবি যিয়ে। ছিত্রিং-পাত্রাং অলাক চাঙমাউন। মা-বাপ, ভেই-বোন আ নেগে মোগে, পুয়ে-ঝি ফারক অই কন’ জনে ছিদি পরলাক অরুনাচল, মিজোরাম তিবিরে রেজ্যত আ বার্মাত। কাপ্তে গধা সুফল তারার কবালত ন’ মিলের। তারা এয’ পার্বত্য চুক্তি পরয়্য আন্দারত আঘন। জাগা জমি এয’ ফেরত ন’ পান। আলু কুরি খেবার ঝার নেই। চাদা দেদে তারার জিংকানি ভচ যার। কুধু লেঘা পরাহ্! ভান্তেউন নির্বান সবন দেঘেই দেঘেই দান নাঙে চাঁদা লদন। বৌদ্ধ নাঙ ভচ নেঘাদন। বৌদ্ধ জাগাত বন বিহার লেঘদন। রাজনীতি চেলাউনয়্য অধিগার পেবার নাঙে চাঁদা লদন। পত্থমে (বাস্তবে) কিচ্ছু নেই। মোন-মুরহ্ বেক সেটেলার বাঙাল, বিজিপি আ আর্মিউন আহ্’ঞ্জামে। মা-বোন জিংকানি ইক্যে বানা দুক আ দুক। জুমত যেবার, কাম গরিবার তারা আওচ নেই, খুজি নেই। অনসুর দরদর থরথর- কায় কুরে কন’ দি থেঙ্যা সেটেলার বাঘে ঝাবান নিনা।

    ইক্যে মুরল্যা জিংকানিত কন’ সুক নেই। সিঙে, খেংগরঙর র’ নেই। নেই ধুদুগ’ র’। যে জাগানি, যে মোন মুরত জুম কাবি দোলে দোলে জিংকানি তোরেদাক ইক্যে সে মোন মুরহ্’ত পর্যটন অয়ে, আর্মি - বিজিপি ক্যাম্প অয়ে। যে আদাম নাঙান এল’ ফুলচান কাব্বারি পাড়া সিয়েন ইক্যে রসুলপুর নাঙ অই যেল’। নুয়ো নুয়ো পাকা পথ সে রসুলপুর আ ইসলামপুরত অই যেল’। কাপ্তাত জলবিদ্যুৎ অইনেই চাঙমাউনর কি লাভ অয়ে? কিচ্ছু নেই। যিয়োত আর্মি, বিজিপি ক্যাম্প, যিয়োত বাঙাল পাড়া, ইসলামপুর, রসুলপুর সিয়োত কারেন, সিয়োত পাক্কা পথ।

    এচ্যে চাঙমাউনর জিংকানিত্তুন বেক আহ্’জি যেল’। দেচ আহ্’জি যেল’।  এধক্যে দুগত্তুন তারা মুয়োত আজি নেই, দাগ’ কধা, বানা, ভাচ,ওক্কোর, রিদিসুদোম বেক ভচ যার। সাচ লামি এলে আজু - বেবেহ্ পজ্জন শুনেদাক, ইক্যে তারার মুয়োত চিদে কধা বাদে কিচ্ছু নেই।

    এচ্যে হিল চাদি গাঙত জুম্মউন থেবার কন’ ভ’ (পরিবেশ) নেই। হিলর ধক বেক বদলি যেয়ে। ঝার-তারুম ন’ থানার ছরাহ্-ছুরিহ্ শোগেই যেল’। সেটেলার বাঙাল, আর্মি, রবার বাগান, সাকগোন বাগান, ইটভাটাউনে হিল বুক জেলাঙ জেলাঙ গরি দিলাক। জুম্ম মিলেউন ইক্যে মোন-মুরহ্ ভাঙি ভাঙি পানি তুলদন,  চিগোন ছরাহ্- ছুরিহ্ শুগেই যানার। হিল আদি মানেউন অলাক পিত্তোমরা, দিককাভুল। রেত তোরেলে দিন্নোলই চিদে, দিন তোরেলে রেত্তোলোই চিদে। ওলোনসাল’ আহ্লালা দারবোসান আঙে বানা আঙে তারা বুক। এ হিল চাদিগাঙরে আধুনিক সভ্যতা কোচপানা দুর’ কধা। বেক ভচ গরি দের। ঝার-তারুম আ জুম্মউন এক্কান্নোই এক্কান ধরাধচ্যা সিআন আদুনিক বাংলাদেচ ইধোত ন’ রাঘায়। ইক্যে আর’ দেরি অই যার। ইক্যে জুম্মউনর জিংকানিত্তুন শিক্কে নেযা পরিব। ঝার-তারুম, ছরাহ্-ছুরিহ্, মোন-মরহ্, গাচ-বাচ, মেদেনিরে অতালিয়ে কোচপানা দিনেই যত্তন’ গরন বেগ’ মঙ্গলত্তেই, বেগর ভালেদিত্তেই। 



    কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

    বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...