রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

এক কালে চাঙমা কলে পিত্তিমি গিরগিরাই। যিন্দি যায় সিন্দি নাকশাফুল তুম্বাচ সান চাঙমা নাঙ সিদি পরেধনে-জনে-গিয়ানে, বুদ্ধিয়ে, কজাল-বলিয়্যা কনকিত্তে উনলাক দুক নএলতচ্যা, পেরাসানি নএলএল বানা সুক আ সুক। মাত্তর, সে পতপত্যা শাক্য জাদর মানুচ আমি চাঙমাউন বিজগর নানা ঘুলন্যাত পাক খেনেই ইক্যে নানাঙ দেঝত, নানাঙ জাগাত সিদি পরি আঘি। ভারত-বাংলাদেচ-বার্মা আ নানান দেত অইনেই জাত- বেজাতর চাবত পরিনেই আহ্রে ফেলের আমার বেক দোলদোল সুদোম আনি। বেক কিঝু আহ্রেনেই ইক্যে বানা ছলঙান্নোই আঘি।সিত্তেই লারমা আভিল্যাচ খেই কল’- “আমার বার গরিবা কিচ্ছু নেই।
ইক্যে আঘে বানা ধম্মআন। অঝাপাত্তোয়্য ধীমে ধীমে অই আঘে। ভাচ্চান লুঘি যার। এ দিয়েন আমার আরাঙ সম্পত্তি বুঘত ধরি রক্ষে গরি ন পারিলে চাঙমা জাত একদিন পিত্তিমীত্তুন আহ্যি যেবগোই, ইআন খামাক্কাই।


একমাত্র চাঙমা ওক্কোরুনেই পিত্থিমির বুঘোত ইক্কো জুদো জাত ভিলি আমারে চিন দি পারে দেঘা যার বাংলা দেঝত বাঙালাউনর পরে চাঙমা, এক নম্বর, মিজোরামত দি নম্বর আ তিবুরাত তিন নম্বর ভাঝর গুত্থি অহ্না সত্তেয়্য আ বাংলাদেঝর আন্তজার্তিক মাভাঝর দিন আবিষ্কার গরিনেইয়্য অন্য ভাঝর কিত্তে সেধক্যে সরকারে চোক নদেয়।  ভারদ সেন্সাস রিপোর্টত চাঙমানরে একখান আলাদা ভা ঈজেবে ধরা ন অহ্য়। ধরা অহ্য়দে বাংলার একখান উপভাষা ঈজেবে। ভারদ লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটিজ কমিশনেয়্য চাঙমান আলাদা ভা ঈজেবে স্বীগের ন গরে। উত্তর-পূ ভারদর ট্রাইবেল ভাষানির সরকারী লিষ্টোতয়্য চাঙমা ভাচআনর নাঙ নেই। বার্মা ৮০ আহ্জার চাঙমা আঘন তারা দ’ বাংলা কি ন’ চিনন। ভাচ্চানিয়্য কুরি পেল্লোন।

ইয়েনির বেক্কানির কারন অহ্লদে আমার লেঘা-লেঘিত চাঙমার বদলে বাংলা ওক্কোরুন লারচার গরানাহ্। আমি যুনি আগেত্তুন ধরিনেই আমা লেঘা-লেঘিত চাঙমা ওক্কোরুন বেচ গরি লারচার গরি এধঙ সালে পত্থমত্তুন ধরিনেই চাঙমান আলাদা ভা ঈজেবে স্বীকৃতি পেই এলুন আ আমা ভাষাআন ভালে গরিবাত্যেই নানা বাবদর বলাবলো বে পেলঙুন। আজলে বাঙালা ওক্কোরুন আমি যেধক দিন সঙ লকফক গরি থেবং সেধক দিন সঙ আমার টিলা বাঙালবন্নামানো ন যেবআ চাঙমা ভাষাআনয়্য আলাদা ভা ঈজেবে স্বীকৃতি ন পেভ



এচ্চে আমি চাঙমাউন তিন দেঝর নানা বামত ছিদেছিত্যে ওহ্ই আঘিই। দে ফারক, দেঝর রিদিসুদোম ফারক, পরিবেশ, শিক্কে ফারক ইয়েনিয়ে আমারে ফারক গরার আরবে গরিআমা বাংলা ওক্কোরোর মিজোরাম-অরুনাচলত পড়ি ন পারন আ তারা লেখ্যা রোমান অহ্রক চাঙমাআনি পড়িলে আমি ভাচ জরেই ন পারিই। আলে হন ইক্কো জাদে দি বাবদর অহ্রক ন দিন গজিলোই ন পারন। আর যদি লন্নে অহ্য় সিয়েন অহ্বতারার নাত দি মরানার সান।
ভাঝর কধা আ জদার কধা কলে গৌতম বুদ্ধরে ইধোত উদে। বিরূঢ়ক রাজা যক্যে শাক্য বংশউনরে কাবিবাত্তে যার যক্যে গাঙ কুলত বোই এল’। সিআন দেঘি রাজা ভাবিল বুদ্ধ জ্ঞাতি কুলদি বাজের। সে পরে আর’ একবার কাবিবাত্তে যেল’। সক্যে এক্কো মরা গাঝত তরে বোই এল’ দেঘি পুঝর গরল্ল, ও গোজেনঝুবুর গাঝ তলে বোই ন’ থেই কিত্তে মরা গাঝত তলে আঘচ। বুদ্ধ কল, ‘জ্ঞাতি ছাবা সান দাঙর ছাবা নেই’। এ কধা মুনি রাজা আর’ ফিরি এল। আ বুদ্ধ যক্যে ধর্ম প্রচার গচ্ছে  সে অক্তত বুদ্ধ পুরন’ বৈদিক-সংস্কৃত ভাচ এল বলবলা আ দপদবা। সে ভাচ্চোই ধর্ম প্রচার ন’ গরি পালি আ মগদি ভাচ্ছোই ধর্ম প্রচার গচ্ছে। মাত্তর, দগ কধা ইরুক যারা বুদ্ধ পুয়ো দাবি গরন তারারে সেধক্যে দেঘা ন’ যায়। অথচ, মগ ভান্তেউন তারা তারার ভাচ্ছান পত্তিক কিয়োঙে কিয়েঙে শেঘেই বাজে রাঘেয়্যন।


বিজগত নাঙ গিন্যে আঘে যে আমা জাত্তো প্রায় ৬০০ বঝর আগে দৈংনাক্যা, আনক্যা, তোঙতোঙ্যাএ তিন ভাগে ভাক ওহ্ই যেয়ে। য়েক দিন পরে আমার ভিদিরে হয়ত জনম লভবাংলাদেচ্যে চাঙমা, ভারত্যা চাঙমা, মিজোরাম্যা, অরুনাচল্যা চাঙমা এবাবদর আর নুও নুও ধেলা। একমাত্র অঝাপাত্তোই পারিবো আমারে এ মরনর পধত্তুন ফিরেই আনি। একমাত্র চাঙমা লেঘার রেগাদি পারিলেই মিলি পারিবোঙ আমি দৈং নাক্যা-আনক্যা-তোঙতোঙ্যায়। মিলি পারিবোঙ দেজ কুল্যা- অরুনাচল্যা- মিজোরাম্যা-তিবুরাকুল্যায়, বার্মাকুল্যয়। সালেই আমি বল বলাগরি নাঙ কোলেই পারিবোঙ অহ্য় আমি শাক্য জাদর মানু আমি হন জনত্তুন হিত্যেদি উন নয়।
তাবিত (সূত্র): ফেসবুক।


সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৯

রাঙামাত্য জেলাত বাঘাই ছড়ি উপজেলা ১৯৬ জন চাঙমা লেঘা পর্বোয়াউনরে সার্টিফিকেট দিয়্যা অইয়ে’



চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা ডেস্ক: নিজর, জাদর, দেঝর দোল দোল পাজানি ধরি রাঘেবাত্তে যার যার ভাচ, ওক্কোর, সাহিত্য আ রিদিসুদোমানি বেচ বেচ গরি লারচার গরানা গরচ আঘে কধা আন কোইয়োন কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজত চাঙমা লেঘা পর্বোয়াউনরে সার্টিফিকেট দেনা পোইদ্যানে আহ্’জিল অইয়ে কধগীউনে।
গেলে ২৬ জুলাই ২০১৯ খ্রি: রাঙামাত্যা জেলাত বাঘাইছড়ি উপজেলাত নিধুকতুক্যা বিদ্যা ঘর কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজত চাঙমা সাহিত্য বাহ্- বাঘাইছড়ি উপজেলা আ কাজালং সরকারি ডিগ্রি কলেচ ধেলা উদ্দোগে চাঙমা লেঘা পর্বোয়াউনরে সার্টিফিকেট দেনা পোইদ্যানে এক্কান দাঙর কেজ্জো অই যেল’।
কেেেজ্জা আনত নকবাচ্যা গরবা- দাঙগু দেব প্রসাদ দেবান (অধ্যক্ষ, কাচালং সরকারি কলেজ), আ মুলুক গরবা- চাঙমা সাহিত্য বাহ্’র সল্লাদার, লেঘিয়্যা, কবি, কাচালং কলেজ’ সাত্থু দাঙগু লালন কান্তি চাঙমা, কাচালং মডেল গার্লস হাই ইক্কুল দাঙর সাত্থু (প্রধান শিক্ষক), কবি দাঙগু ভদ্র সেন চাঙমা, বিটি হাই ইক্কুল দাঙর সাত্থু দাঙগু ধর্ম রাজ চাঙমা, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি দাঙর কাবিদ্যাঙ দাঙগু ইনজেব চাঙমা আ ইন্টান্যাশনাল ইন্ডিজিনিয়াস হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন অফ কানাডা সংস্থার কাবিল কাবিদ্যাঙ (সদস্য সচিব) দাঙগুবি রুপসী চাঙমা রুপাদাঘী।

বেন্যা মাধান ১০ টা কেজ্জোআন আরকানি গরা অয়। এ কেজ্জোআনত খলানানু চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বাঘাইছড়ি উপজেলা ধেলা জধানানু দাঙগুবি স্বর্ণা চাঙামা। এক্কো চাঙমা গান গেইনে কেজ্জোআন আরকানি গরা অইয়ে। এ পরেদি পাত্তুরুতুরু কধগী দাঙগু অন্তর চাাঙমা কধা কনা আ পর্বোয়াউন মন’ কধা ভাঙি কনা আ নকবাচ্যা গরবা কধগীর কধা থুম অনার সমারে ১৯৬ জন পর্রোয়ারে সার্টিফিকেট আ ১২ জনরে (যারা পজিশন ১-৩) সার্টিফিকেট দেনা সমারে বুকশিচ দিয়্যা অইয়ে।
শেজেদি খলানানু দাঙগুবি স্বর্ণা চাঙমা বেক্কুনরে, যারা ঘর’ সাত কাম ফেলে এ কেজ্জোআন সরিত অই ভালেদি গজ্জোন তারারে আ যারা এ কামানিত এজাল দেদন তারারেয়্য ইধোত তুলি বারবাঙানে নাঙ গিনি পাত্তুরুতুরু আ ঝু ঝু জানেই খলা থুম গরি দিল’।

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘আদিবাসী ভাষা’



  • জুলাই ৯, ২০১৯
Description: আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘আদিবাসী ভাষা’
সোহেল হাজং, ঢাকা: আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ৯ আগস্ট, ২০১৯ এর জাতিসংঘ ঘোষিত এবারের থিম করা হয়েছে ইন্ডিজেনাস ল্যাঙ্গুয়েজেস’ ‘Indigenous Languages’ যার বাংলা হলো আদিবাসী ভাষা জাতিসংঘ ঘোষিত আদিবাসী ভাষা বর্ষ ২০১৯এর সাথে সঙ্গতি রেখেই এবারের এ থিমটি নির্ধারিত হয়েছে। এর ফলে ২০১৯ আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষাবর্ষ পালনের এ আঙ্গিকে বিশ্বজুড়ে আদিবাসীদের মাতৃভাষার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। এবারের আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হবে আদিবাসীদের মাতৃভাষা সংরক্ষণ, প্রতিপালন ও পুনরুজ্জীবিত করার প্রতি বিশেষ নজর দেয়া এবং বিশেষজ্ঞ / ইন্টারেক্টিভ প্যানেলের আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ অবলম্বন করে আদিবাসী ভাষার সুষ্ঠু প্রচার ও অনুশীলনের ভালো উপায় বের করা। দিবসের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী, আদিবাসী ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে জাতিসংঘ এবার বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মসূচি এবং ভিডিও প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশে ঢাকায় এবারো জাতীয়ভাবে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এ দিবসটি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আদিবাসী ফোরামের সূত্র ধরে জানা যায়, এবার ৯ আগস্ট এর কাছাকাছি সময় দেশের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা পড়ায় ৯ আগস্ট-এর কয়েকদিন আগে এ দিবসটি ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে পালনের পরিকল্পনা রয়েছে।
পৃথিবীতে প্রায় ৩৭ কোটি আদিবাসী জনসংখ্যা রয়েছে । পৃথিবীর জীবিত প্রায় ৭০০০ ভাষার অধিকাংশই এই আদিবাসী মানুষের। অনেক আদিবাসী মানুষ প্রতিনিয়ত প্রান্তিককরণ, বৈষম্য ও চরম দারিদ্র্যে ভুগছে এবং মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায় ৫৪টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ৩৫টির অধিক আদিবাসী ভাষাও আজ হুমকীর সম্মুখীন ও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আদিবাসী মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও পুনরুজ্জীবিত করণে সকল আদিবাসী মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি ও সরকারি ও বেসরকারি মহল এ ব্যাপারে এগিয়ে আসলে এবারের আদিবাসী দিবসের থিম ও আদিবাসী ভাষা বর্ষ পালন সার্থক হবে।

বুধবার, ১০ জুলাই, ২০১৯

দুখ্যে অহ্’রক

দাঙগু ইনজেব চাঙমা
এক দিন-
আগাজর লক্খ কোটি তারা সান অনসুর ঝিমিত ঝিমিত জ¦লচ ম’ বুগত।
জুম’ সুদ’গোলা ফুদে সান ফুদি থেদে মত্তিক (মৃত্তিকা) মানেইউনর বুগত।
অহ্’র অহ্’রে মাদে যেদে সুভুল চাঙমা ভাঝে।
সক্যে-
গাঝ’ তারুম এল’, এল’ ছড়া-ছড়ি, মোন-মুড় হ্’েইল তারুমত
পিবির পিবির বোইয়েরত নালত গাঝ’ ছাবাত ধনপুদিদাঘী
কধক মাদে দাক তরে, রিবেঙত্তুন ছাগী তুলি,
রাধামনে লেঘিদ’ ধনপুদিরে চিদি।
তুই এলে কধক সুগি।

ইক্যে-
এ্যাইল তারুম ঝার নেই, ধাঙদাঙ্যে অই আরসাল্লো অল’
তরে ন’ চিনন ইরুক পিড়ি, উদি যেল বেক দয়ে ম্যায়ে;
জাত্তো জাঙারে ধরি ভেদন (ভাঙন) অই, রহো (নির্জন) পরম (শ্রেষ্ঠ)
অঝাপাত তুই আগচ মঙ্কু (বিষণœ) গরি।

দুখ্যে অহ্’রক অঝাপাত তুই ভারি মেধাওয়িনী (প্রজ্ঞাবতী)
এধক হে্’লাফেলা গরানা পরয়্য আমারে ন’ যেলে ইরি।
সমক খেই কঙর মুই-
ন’ সারিম, কিয়েত এক ফুদ’ লো থাক্কে
কটুক (তীব্র) ত’ পিরেহ্ সারি দি সিদি দিম
অনিকেত (দেশহীন) বন্দা (ব্যক্তি) মুয়ে মুয়ে,
সক্যে সু-দিন, সু-মাধান এব’ ফিরি।






চাকমাদের দুঃখিনী বর্ণমালা

প্রথম প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দৈনিক সমকাল  

রাজীব নূর
চাকমা ভাষা বলতে পারলেও লিখতে পারে না এন্তি চাকমা। রাঙামাটি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এন্তির সঙ্গে আলাপ হলো বরকল থেকে রাঙামাটি ফেরার পথে লঞ্চে। পড়াশোনায় ভালো বলে এন্তিকে বরকল থেকে রাঙামাটি পাঠিয়েছেন তার মা-বাবা। বরকলে সম্প্রতি একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলেও সেখানে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। নিজের ভাষার বর্ণমালা জানা নেই বলে একটু লজ্জিত
হলো এন্তি। কিন্তু খানিক পর পাল্টা প্রশ্নে জানতে চাইল_ চাকমা ভাষা তার জীবনে কোন প্রয়োজনে লাগবে?
ভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে সংখ্যাগতভাবে বাংলাদেশে বাংলার পরেই চাকমা ভাষার অবস্থান। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের মধ্যেও চাকমারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, চাকমা জনগোষ্ঠী ৪ লাখ ৪৪ হাজার। বাংলা ছাড়া বাংলাদেশের অন্য ভাষাভাষীদের মধ্যে যাদের নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে, তাদের একটি হলো চাকমা ভাষা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ সিকদার বলেন, চাকমা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের একটি ভাষা। চাকমা ভাষার লেখনরীতি 'মন খমে'র অনুরূপ। ড. জিএ গ্রিয়ারসন চাকমা ভাষাকে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর প্রাচ্য শাখার দক্ষিণ-পূর্বী উপশাখার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ভাষাটিকে গ্রিয়ারসন 'ব্রোকেন ডাইলেক্ট অব বেঙ্গলি' বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে সৌরভ সিকদার নিজে গ্রিয়ারসনের এ বক্তব্য মানতে রাজি নন বলে জানান। তিনি বলেন, আমি গবেষণা করে দেখেছি, চাকমা ভাষা বাংলা থেকে একেবারে স্বতন্ত্র একটি ভাষা।
চাকমাদের নিজস্ব বর্ণমালার সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে বলে জানালেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক পুলক বরণ চাকমা। তিনি বলেন, ১৯০০ সালের শুরুতে ড. জিএ গ্রিয়ারসন তার 'লিঙ্গুয়েস্টিক সার্ভে অব ইন্ডিয়া' গবেষণায় চাকমা ভাষায় ৩৩টি বর্ণমালার কথা উল্লেখ করেছিলেন। সতীশ চন্দ্র ঘোষ আবার ১৯০৯ সালে প্রকাশিত তার 'চাকমা জাতি' বইয়ে ৩৭টি বর্ণমালার কথা বলেছেন। অন্যদিকে, নোয়ারাম চাকমা ১৯৫৯ সালে তার 'চাকমা বর্ণমালার পত্তম শিক্ষা' নামক শিশুপাঠ্য বইয়ে ৩৯টি বর্ণমালার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে বর্তমানে চাকমা ভাষায় ৩৩টি বর্ণমালা ব্যবহৃত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সরেজমিন ১৪ থেকে ২৩ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত জনপদ ঘুরে এন্তি চাকমার মতো অনেক চাকমাভাষীর দেখা মিলল, যারা নিজের ভাষার বর্ণমালাটাও জানেন না। এমনকি চাকমা সমাজের সর্বজনমান্য অনন্তবিহারী খীসা, জনসংহতি সমিতির এমএন লারমা গ্রুপের প্রধান সুধাসিন্ধু খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম দেওয়ান, জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গলকুমার চাকমা, জুম ঈস্থেটিকস কাউন্সিলের সভাপতি মিহির বরণ চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক গঙ্গামানিক চাকমা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তুষারশুভ্র তালুকদার, মোনঘর শিশুসদনের শিক্ষক ও লেখক মৃত্তিকা চাকমা, সাংবাদিক-লেখক হরিকিশোর চাকমা, সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, আদিবাসী বিষয়ক গবেষক তন্দ্রা চাকমা, আদিবাসী নেতা দীপায়ন খীসা, শিল্পী কালায়ন চাকমা ও ইউপিডিএফের সংগঠক রিকু চাকমাসহ শতাধিক শিক্ষিত চাকমা নর-নারীর কাছে নিজের নামটি নিজের ভাষায় লিখে দিতে বললে মাত্র দু'জন সক্ষম হলেন। এই দু'জনের একজন শিক্ষক ও লেখক মৃত্তিকা চাকমা, অন্যজন ইউপিডিএফ নেতা রিকু চাকমা।
অনন্তবিহারী, সুধাসিন্ধু ও গৌতম দেওয়ান ছোটবেলায় বর্ণমালা শিখেছিলেন বলে জানালেন। দীর্ঘ দিনের অনভ্যাসে বিদ্যানাশ হয়েছে বলে তাদের দাবি। রিকু অবশ্য সরল স্বীকারোক্তি করে বলেন, নিতান্তই কৌতূহল থেকে বর্ণমালা শিখেছিলেন। এ ভাষায় লেখালেখি করার কোনো অভিজ্ঞতা তার নেই। তবে মৃত্তিকা নিজেদের ভাষায় যথেষ্ট জ্ঞানী বলে চাকমা সমাজে পরিচিত। ইতিমধ্যে তার ১৫টি বই প্রকাশ হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে বাংলায় প্রকাশিত একটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়া সবই চাকমা ভাষায় লেখা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে উচ্চতর শিক্ষা শেষ করে তিনি রাঙামাটিতে থিতু হয়েছেন। বর্তমানে আদিবাসী শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত আবাসিক বিদ্যালয় মোনঘরে শিক্ষকতা করেন।
মৃত্তিকা চাকমা বলেন, নিজের ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকে ভাষাচর্চা অব্যাহত রেখেছেন। সাহিত্য করার জন্যও নিজের ভাষা অবিকল্প। তবে নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষার উপযোগিতা তৈরি করা না গেলে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কঠিন। একই সঙ্গে ভাষার লিখিত চর্চা না থাকলে ভাষার বিকাশ ও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে না। আদিবাসীদের সাহিত্যচর্চা বাংলা হরফে হলেও অনেক ক্ষেত্রে উচ্চারণগত সমস্যার সমাধান বাংলা হরফে সম্ভব নয়। তাই বাংলা হরফে চাকমা সাহিত্যচর্চা করতে গেলে ভাষার মূল উচ্চারণ পরিবর্তিত হয়ে অর্থও বদলে যাওয়ার যথেষ্ট ঝুঁকি রয়ে যায়।
মোনঘরের প্রধান শিক্ষক ঝিমিত ঝিমিত চাকমা বলেন, মোনঘরে এক সময় বেশ কয়েকটি আদিবাসী ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হলেও বর্তমানে কেবল চাকমা ভাষাটাই শেখানো হয়। তার মতে, আগের প্রজন্ম নিজের বর্ণমালা না জানলেও ভাষাটা জানেন। নতুন প্রজন্ম ভাষা ও বর্ণমালা দুটিই রপ্ত করছে। কারণ এরই মধ্যে অনেক উন্নয়ন সংস্থা রাঙামাটির প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিকল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে।
আদিবাসী গবেষক তন্দ্রা চাকমা বলেন, আশার আরও অনেক দিক আছে। এরই মধ্যে কম্পিউটারে চাকমা বর্ণমালার সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে। সুগত চাকমা সত্তরের দশকের শুরুর দিকেই চাকমা বাঙলা কধাতারা নামে একটি চাকমা-বাংলা অভিধান রচনা করেছেন। ওটিই চাকমা ভাষার প্রথম অভিধান। ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে আদিবাসী শিশুরা মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভের অধিকার লাভ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় চাকমাসহ আদিবাসীদের পাঁচটি ভাষায় প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষাদানের প্রস্তুতি চলছে। তার আশা, নতুন প্রজন্ম শিখবে নিজেদের বর্ণমালা, লিখবে নিজেদের ভাষায়।

সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯

চাঙমা সাহিত্য আগাজত এক্কো ধকধক্যে বোম্বা, লেঘিয়ে, কবি আ গবেষক দাঙগু আনন্দ মোহন চাঙমার জনম দিনত চা.সা.বাহ্ ফুল্লোই কোচপানা গজেল


আক কধা: এ পিত্তিমী নাঙে গ্রহবোত পত্তিক বস্তুও নিজর সেদাম অন্য মঙ্গলত্যাই বিলেই দ্যুন। মোম বাত্তি সান নিজে আঙি পহ্’র সিদি দ্যুন চেরো পালা। এক্কো মানুচ পিত্তিমীত জনম অনার সমারে তা জীংকানিত নানাঙ কাম’ সমারে মিজি থান। এ মানেই কুলত এলে মানুচ দোল দোল কাম গরি নিজর নাঙ সিদি দিবার চান। তারার কাম’ গুনে বাজি থান বিজগর পাদাত। এ সভ্যতাত চাঙমা জাদর অঝাপাত, ভাচ, সাহিত্য, রিদিসুদোম ভালেদি এযানা পোইদ্যানে আমা সমাজর লেঘিয়্যা, কবি, সাহিত্যিক আ সমাচ ভালেদি কাম্মোউন অবদান আঘে। সেধক্যে এক্কো দাঙর, অজল, কাবিল, চাঙমা সাহিত্য আগাজত এক্কো ধকধক্যে বোম্বা, লেঘিয়ে, কবি আ গবেষক দাঙগু আনন্দ মোহন চাঙমা (আনন্দ ময়) জনম অয় ৮ জুলাই ১৯৫৭ ইংরেজি মিঙিনি চাগালাত বাঘাইছড়ি দুঅর নাঙে এক্কান আদামত। তা বাবা নাঙান চিত্রজিৎ চাঙমা আ মা’বো নাঙান রঞ্জিতা চাঙমা।
শিক্কে আমত (ঘর): জ্ঞানাংকুর বৌদ্ধ বিহার পালি টোল, উদল বাগান প্রাইমারি ইক্কুল, বাবুছড়া হাই ইক্কুল।
কাম জীবন: ২৮ মে ১৯৭৩ ইংরেজি ধনপাতা চন্দ্রমনি কার্বারী পাড়া স: প্রাইমারি ইক্কুল এজাল সাত্থুয়া ইজেবে সরিত অয়। পরে উদাল বাগান স: প্রাইমারি ইক্কুল, ২ নং বাঘাইছড়ি স: প্রাইমারি ইক্কুল আ শেজে চিত্রজিৎ-রঞ্জিতা স: প্রাইমারি ইক্কুলত্তুন ২০১২ ইংরেজিত সাত্থু (শিক্ষক) জীবন থুম গরে।
সমাচ ভালেদি কাম: বানা সাত্থু চাগুরিলোই মিজি ন’ থেই নানাঙ সমাচ ভালেদি কাম গরি যেয়্যা, যার নিআলঝি গরি। এ সমাচ ভালেদি কামত্যাই এক্কান থেঙ আহ্’রেনেয়্য তে ধঙে ন’ যেই চাঙমা জাদর এক্কোই দাঙর কিত্তে (উদাহরণ) অই আঘে।
১৯৯৪ সাল: নিজ’ আদামত “চাঙমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী” নাঙে এক্কো চাঙমা সাহিত্য সংস্কৃতি জধা বানেয়্যা নিজ’ আওজে, জাদত্যাই, দেঝত্যাই কিঝু গরিবার। এ জধাবোত এয’ দাঙর কাবিল কাম্মো (পরিচালক) ইজেবে আঘে।

১৯৯৫ সাল: জুম্ম ফুল অনাথ আশ্রম থিদ’ গচ্ছে (হনচুকচুক্যা দিনমাধানত্যাই সিবে বন্ধ অই যিয়ে)।
২০০৫ সাল: উদল বাগান হাই ইক্কুলত ম্যানিজিং কমিতি জধানানু ইজেবে এয’ সং কাম গরি যার।
২০০৮ সাল: ২৬ জুলাই ইউএনডিপি সার্বিক ব্যবস্থাপনালোই বাংলাদেচ চাঙমা ভাষা পরিষদত গবেষক সাবাঙ্গী ইজেবে কাম গচ্ছে।
২০১২ সাল: ২০১২ সালত্তুন ধরি এব সং চিত্রজিৎ-রঞ্জিতা স: প্রাইমারি ইক্কুলত ম্যানিজিং কমিতি জধানানু ইজেবে কাম গরি যায় নিআলঝি গরি। আ সে বঝর ৪ জানুয়ারী নিজ’ আদামত “আনন্দ বাজার” নাঙে এক্কান বাজার থিদ’ গচ্ছে সমারে বজার’ জধানানু ইজেবে এয’ কাম গরি যার। আ দীঘিনালা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বি আর ডি বি) আহ্’ঞ্জামে কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিত চেয়ারম্যান পদতয়্য এয’ সং আঘে।
২০১৩ সাল: দীঘিলানা নাট্যদলত সার্বিক তত্ববধায়ক ইজেবে কাম গরের।
২০১৫ সাল: প্রাথমিক আ গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়র আহ্’ঞ্জামে নকবাচ গচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম আ পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেচ এ বহু ভাষিক মাতৃভাষার লেঘিয়্যা সাবাঙ্গী ইজেবে আঘে।
২০১৭ সাল: বাংলাদেঝর নিধুকতুক্যা জধা “চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত সল্লাদার ইজেবে নকবাচ অইয়ে।
শেজে কধা: পরাধীন জাদর সাহিত্য সংস্কৃতি জগত এক্কো বোম্বা ইজেবে বেগ’ আকমলিক অই মিঙিনি চাগালা নাঙ ফোতফোত্যা গরি রাঘেই সে অজল দাঙর বোম্বাবো জনম দিনত আমি তারে কিচ্ছু গরি ন’ পারির। জীংকানিত লাভ-
ক্ষতি তলবিচ ন’ গরি জাত্তোত্যাই দাঙগর রত্ন দি যেল’ সে এক্কো নাটক- “কার্পাচ্চোই সেপ খেলং- ১৭৮৫”(আগরতলা- ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৯৪), “চাঙমা জাদর বিজক”(বুদ্ধ পূর্ণিমা- ২০ মে ১৯৯৬), আ চাঙমা লেঘা বাল্য শিক্কে- “পগোন পাদা”(১৩ এপ্রিল ২০০৬)।
আমি তা এ জীংকানিত্তুন ইআনয়্য শিক্কে পেই- দেচ্ছানত্তুন কন’ কিজু আঝা ন’ গরি দেঝত্যাই, জাদত্যাই কিঝু এক্কান গরিযানা। জীবনানরে দোল গরিবাত্যাই নিজ’ ভালেদ’ কধা ত্যাগ গরা পরে। সক্যে দোল এক্কান সমাজর মু দেঘে। শেজে চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ তার ইয়োত লাম্বা আ কন’ অসুক - বিসুক ন’ ওক এ তবনা গরির।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...