রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

সুনানু ইনজেব চাঙমাদাঘিত্তুন মুজুঙর পুজোর জোপ [1] লোইয়ে চাঙমা র’ চ্যানেলর সুনানু হেলেন দেবানদাঘি।

 সুনানু ইনজেব চাঙমাদাঘিত্তুন মুজুঙর পুজোর জোপ [1] লোইয়ে চাঙমা র’ চ্যানেলর সুনানু হেলেন দেবানদাঘি।


সুনানু হেলেন দেবান
:
     
Jhu Jhu da. Twr  Chi porichoy janibar chang?

ইনজেব চাঙমা: ঝু ঝু। ম’ নাঙান ইনজেব চাঙমা। মাত্তর! ইয়ান মর ছলং বদল্যা নাঙ। মর ঘর পাদা জাগা চাঙমা সার্কেল, ২৯ নং ছোট মেরুং মুইজ বাজেই ছড়া নাঙে আদামত। ইক্যে মুই ৩১ নং বেয়ালখালী মুউজ দিঘীনালা কাত্তোলি মুড়ত থাং আ মুই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নাঙে সাহিত্য জধাবোত জধানানু ইজেবে আঘং।  

 

সুনানু হেলেন দেবান:  Changma lega Sigebar belaai polim hingiri se chide aan monot baja dilo?

ইনজেব চাঙমা:পার্বত্য চুক্তিত লেঘা থেলেয়্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে মা-ভাঝে লেঘা শেঘেবার অন গরচ মনে ন’ গরে। পাবর্ত চুক্তি এক যুক পর মহান জাতীয় সংসদত ২০১০ সালত জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা গচ্ছে। সিয়োত দেঝর যা আদিবাসী আঘন যা যা মা ভাচ্ছোই লেঘা শেঘেবার  কধা এল। আ কো কোইয়ে- ২০১৪ সালত্তুন ধুরি পল্যাদি  বাংলাদেঝর ছ’য়ান আদিবাসী ভাচ্চোই লেঘা শিঘিবার। মাত্তর! ২০১৪ সাল এনেই দেঘা গেল বাজেট নেই। সেনে কামান চালে ন’ পাত্তন। এ অক্তত কয়েক্কো এনজিও মুজুঙে আক্কোই এলে সংশ্লিষ্ট লেঘিয়্যাউনরে ঢাকাত নিনেই বই বানা ধরল। সক্যেও কো অয়ে ১৫ সালত্তন ধুরি  ধরি বই আহ্’দত তুলি দিব’। সে ১৫ সালতও কন বই দেঘা নেই। আর কো কল ১৬ সাল কধা। সক্যেও দেঘা নেই বই। 


ইন্দি বাংলা ভাচ্চান মরা মচ্যে গরি ভগে দের। দিন দিন আমা ভাচ্ছান চাংলা আ চাংলিশ অই যার। আমি দ’ সরকার আঝায় বোই থেলে ন’ অভ। ইয়ান আমার কাম। আমাত্তুন গরা পরিব’। এধক্যে এক্কান ভাপ উদি ২০১৪ সালত্তুন ধুরি এগামার গরি এ চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান গরি যেল।

 

সুনানু হেলেন দেবান:     Ikkunu Hingiri Tw Changma lega Sigebar Haam chalei nezor?

ইনজেব চাঙমা:আজলে বানা মুই নয়। ইয়োত আমি ১৭৮ জন কাম গরি, সে বাদেয়্যা পিত্তিমিত ছিদি পরি আঘি ১০ লাক চাঙমা। তারা বেক্কুন চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গি মুই মনে গরং আ বিশ্চেস গরঙ। যা ওক, কন’ কাম উচ্চ নয়, আগাথ্যা। ইয়ান বেগে খবর পেই। আমা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গিদাঘিরে নিজরে কোচপান। এ নিজরে কোচপানাত্তুন বুঝি পারন মুই এ পিত্তিমি বুগত মাধা উজু, নাক অজল গরি বাজিবার চেলে মর কি কি গরচ আঘে। এ গরজত্তুন জাত্তোরে কোচপান, কোচপান দেচ্ছানরে। জাত্তোরে কোচপানা বলে লেঙে লেঙে, ফোবে ফোবে কাম গরি যাদন। সিত্তে তারাদাঘিরে এ মাধানত ইধোত তুলি ঝু ঝু আ পাত্তুরুতুরু গজাঙর।

অক কধা অহ্’লদে আমি আজলে এয’ বুঝি ন’ পারি এক্কো জাত কেনে পিত্তিমি বুগত বাজি থায়। আ পিত্তিমি বুগত বাজিবার চেলে এক্কো জাত ইজেবে পল্যা আমার কি দরগার। সেনে আমার মদ খাদে, জুয়া খেলাদে তেঙা থান মাত্তর! এক্কো চাঙমা সাহিত্য বই কিনদে তেঙা ন’ থান। বা মদ খাদে, জুয়া খেলাদে সময় পান মাত্তর, চাঙমা লেঘা শিঘদে সময় ন’ পান। সেনে কাম গত্তে ভারি আগাথ্যা। আ যারারে আমি অজল দাঙর দেঘি, ভাবি তারা দ’ একমুয়ে বিয়াল্লিচ ভাচ। এধক্যে গরি লারে গরি লেঙে লেঙ, ফোবে ফোবে অলেও কামান চালে নেযা পরে, পরিব।

আ ম’ কধা যুনি কং- এ কামানত্যাই মুই এচ্যে আত্থুব’। দাঙর এক্কান কলঙ্গ মাধাত গুরি আঘং। এ দুচ বা বজং/ভুল বেক মর। কিত্তে, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ যক্যে দ্বি দশক পূর্তি অদ’ যেব তার আগেত্তুন ধুরি ম’ সমারিবো, ম’ ঘরনিবো অসুক। ইরুক খাগাড়াছড়ি এমপি মাচাং কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরারে আমা ফাংশানত পেবার আঝায় অনসুর পুর লামা অর। তা সিধু যেলে এচ্যে নয় আর এক দিনে এচ্ছো। এধক্যে গরি বেচ ৩/৪বার যেনেইও ত্যুঅ কয় অমুক বারে এচ্চো। এধক্যে নানাঙ কামে ম’ মক্কো অসুগ’ সময়ত কায় থেই ন’ পারং, যেধক্যে সময় দিবার কধা সময় দি ন’ পারং। পরে মুরি যেল।  সেনে ইক্যে তে ন’ থানা ম’ দেন আহ্’ত্তান ভাঙি যেল। তে থাক্কে ঘর-সংসার চিদে মর গরা ন’ পত্ত। একবাজ্যা গরি এ কামন গরি পাত্তুং। পুঅ/ঝিউন লেঘা পড়া খরচ, বাজার খরচ অর্থাৎ ঘর-সংসারত তে এল মুকপাত্তি। ইক্যে মর বেক্কানি চিদে গরা পরের। 

 

 

সুনানু হেলেন দেবান: Bekk milinei hoi jonore Changma legai janiye banei parile ejabot?

ইনজেব চাঙমা: গোদা পিত্তিমি যক্যে করোনা দংগা বেদিয়্যা ভরি যেল সক্যে আমা কামানও ধিমে ধিমে অহ্’ল। ত্যুঅ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গিদাঘি বোই ন’ এলাক। তারা যিয়োত যেংরি পারন কাম গরি যিয়োন দংগা পিড়ে করোনা অক্ততও। ২০০৪ সালত্তুন ধুরি ২০২০ সাল সং আমি ১০,০০৩ জনরে আ ২১ সালত জুলাই –সেপ্টেম্বর তিনমাজ্যা প্রতিবেদন রিপোর্ট (অক্টোবর- ১৫) মজিম ৯০৭ জনরে চাঙমা লেঘা শেঘেলং।মুধেমাধে  ১০৯১০ জনরে চাঙমা লেঘা শেঘেই পাচ্যাই। ইক্যে তমার পুজোর অলদে, লেঘি পড়ি জানেয়্যা কয় কন বানে পারিলে? আজলে ইয়ান এধক্যে গরি কোই পাং, গেল্লে ২০১৬ সালত আদিবাসী লেখক সম্মেলনত নকবাচ্য গরবা এল আঞ্চলিক পরিষদর চেয়ারম্যান আ জেএসএসর জধানানু সুনানু সন্তু লারমা কোইয়ে- আগেদি তারা চাঙমা লেঘালোই চিদি দি দি গরিদাক মাত্তর ইক্যে এক্কো শব্দ পড়দে ভালক্কন সময় লাগে।

আর এক্কান উদাহরণ দি পারং- ২০০৪ সালত রাঙামাত্যা ইধু পিটিআই ট্রেনিঙত চাঙমা লেঘা শিঘি সার্টিফিকেট পিয়ে বাজেইছড়া প্রাইমারি ইক্কুলর মাচতর সুনানু শান্তি জীবন চাঙমা। গেল্লে ১৭ সালত তারলোই চাঙমা লেঘা পোইদ্যানে কধা কোই গরিনেই খবর পেলুং। মাত্তর তে কল- ইক্যে মর চাঙমা লেঘা বই পড়দে দাত ভাঙিবার অক্ত অয়।

আ মুই শিক্কোং ১৯৯৩ সালত। ইক্যে আমি ১৭৮ জন মানুচ কাম গরির। চাঙমা লেঘাসুমুত্ত নানান সাহিত্য সংস্কৃতি কাম গরি যের। ইয়ান নিজ উগুর ভর দ্যে। চচযা থেলে বেগে পারিবাক।

সালেন মুই কি বুঝে পারিলুং?   

 

সুনানু হেলেন দেবান:      Mujungo dinot arw he guribar Darooz aage?

ইনজেব চাঙমা:চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এক্কো চাকমা ভাষা, সাহিত্য  সংস্কৃতির প্রচারে নিবেদিত একটি সাহিত্য  ভাষাগত সংগঠন, যুনি বাংলাদি কোই। 
আমার কাম অহ্’লে চাঙমা সাহিত্যরে বিশ্ব সাহিত্য ইজেবে থিদ’ গরানা। চাঙমা  একাডেমি থিদ গরানা। 
চাঙমা পিডিয়া বানানা। চাঙমা আরকাইভ সেন্টার থিদ’ গরানা। ঘরে ঘরে এযেত্তে ২০৫০ ভিদিরে চাঙমা
 লেঘা বই পরিরে কাবিল গরানা। চাঙমা লেঘা বই ফগদাঙিত্যা এক্কান ছাপানা খানা থিদ গরানা। এ 
পোইদ্যানে কাবিল মানুচ বানেবাত্তে জাগায় জাগায় কবিদ্যা কনা খলা জুগল গরানা, পাঠচক্র আ 
চাঙমা সাহিত্য বই পড়ানা খলা জুগল গরানা। এ কামানি  ডিসেম্বর মাঝত্তুন ধুরি ফাং গরিবার এক্কা 
আঝা আঘে। চাঙমা লেঘা শিঘিনা কামান আ কবিদ্যা কনা খলা দ’ আগেত্তুন ধুরি গরি যের। 
আ পত্তিক হাই ইক্কুলত এক্কো মাচতর দিবার চেরেষ্টা গরির । আঝা গরি পারি খামাক্কাই পারিবং বেগর
 এজালে। যিদিক্যে গরি আমা কায় থেনেই, এজাল দিনেই এচ্যে আমি ২১ বঝর পার অই যের। সে 
এজাল বেগত্তুন তবনা গরির। বেক্কুনরে ঝু ঝু। 

মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১

১০ নভেম্বর - সুনানু ইনজেব চাঙমা

 

১০ নভেম্বর

বঝর ঘুরি ১০ নভেম্বর এল’ ফিরি
কানে ছড়া-ছড়ি এ্যাইল তারুম-বন, কানের মেদেনি।
বিং শদকত তিরেঝি এ দিনত
জুম্ম জাদর রাঙা বেল এম.এন. লারমারে
জাদর কুচক্রি মীরজাফর গিরি-প্রকাশ-দেবেন-পলাশ
জুম্ম জাদর কাল, ছলং বদলি এ্যামং-এলিন
জনমত্যাই খেলাক ঘিলি।
ও দেব’ মানব আওজোর মানবেন্দ্র।
ম’ দিঘোল তুদি তুই শুন-
জনম জনমে কর্ম আ কর্মফল
যুনি সত্যি অহ্’য় বুদ্ধ বাণী
আয় তুই আয় নুয়ো গরি-
হিলর দুখ্যে মানেই লগরে কুলত লগি।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১

চাঙমা গান - লেঘিয়্যা সুনানু ইনজেব চাঙমা

 


এচ্যে দ’ গম নেই মানান
নানাং কধা চিদত আভর খার
ভারদ’ হনুমান্যা যুনি ওই পাত্তুন
বুক্কো ছিরি কি আঘে দেঘে দুং।
কত্তমান কোচপাং তরে মুই।।
অক্তে অক্তে মন’ আগাঝত মেঘ ভাঝে
ঝর লামে ধারাধারা দ্বি চোগত
ঝুবুর গাঝত অনসুর কুরি যায় ক’বো
ইধোত তুলি দে সে পুরোন’ দিনুন।
এচ্যে দ’ গম নেই মানান ।।
বেন্যা পোত্যা রাদা দাগত ঘুম ভাঙি গেলে
কায় দ’ তরে তগে ন’ পাং,
আগাঝ তারা ওই রেত্তো কাদেনেই
দিন্নো কুধু লুগি যাচ।
এচ্যে দ’ গম নেই মানান ।।

মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১

বালা সুজনা (প্রতিদান)- সুনানু ইনজেব চাঙমা


এত্থে এক নাধা বন্দার পুঅ দীঘল পত বেই আহ্’দি যার, তে তার লেঘা পড়া খরজত্যা ঘরে ঘরে যেই পিনোন-খাদি আ নানাঙ জিনিচ বেজে। পুঅবো উরি আঘে এক্কো গাবে ধচ্যে সুলুম।

তার অমহদ’ পেত পুরের। তে মঞ্জুক গরল’ মুজুঙে যে ঘরান লাগত পেব’ সে ঘরাত্তুন কিঝু খেব’। মাত্তর, তে যে ঘরানাত যেল খেবার আঝায় সে ঘরানত্তুন এক্কো দোল মিলে নিগিলে এযানা তার পেত পুরানা কধা কবার দ’ দর আ লাজে ধচ্যে। তে বানা পানি খেবার মাগিল’। মিলেবো তা ধক বুঝি এক্কো দাঙর গলচ্চোই দুধ আনি দিল’। পুঅবো লারে লারে দুত্তান খেই কল- মর ক’ তেঙা দি পরিব এ দুত্তানত?
মিলেবো কল’- “তর কিচ্ছু দিয়্যা ন’ পরিব।”
পুঅবো কল- “মামা মরে কোইয়ে লোবিয়দ দান ফেরত দিয়্যা ন’ পরে। সালেন, মুই তরে বুগত্তুন ছাগি তুল্যা অতালিয়ে এ্যাংকুর (ধন্যবাদ) দিলুং।”
পুঅবো নাঙান তারুম।
তারুসে যক্যে দুত্তান খেই ঐ ঘরত্তুন নিগিলি যার, সক্যে তে কিয়েয়ান এক্কান বলপিয়ে পার। তারুমে ভগবান উগুরে অমহদ বিশ্চেস আঘে।
সময়র গঙারে কাদে গেল ভালক বঝর। এক দিন অই মিলেবো অসুক অহ্’ল। সিধু ডাক্তরউনে তারে মন বাজিয়ে চিকিৎস্যা গরানা পরও তারে গম গরি ন’ পারন। তারে পাদেলাক এক্কান দাঙর শহরত নাঙ ফুত্তে এক্কান হাসপাতালত। যিয়োত নানাঙ বেধি দোল চিকিৎস্যা গরা অহ্’য়। সিয়োত থেদ’ ডা. তারুম। সে মিলেবোরে চেবাত্তে বেক্কুনে তেম্মাং গরি ডা. তারুম’ আঞ্জামে ফেলে দিলাক।
যক্যে ডা. তারুমে শুনিল’ কন শহরত্তুন এস্যে মিলে সিবে তে চিকিৎস্যা গরানা, সক্যে তার মনত দাঙর এক্কা মনবল এল’। তে আ দিরি ন’ গরি কিজেখিচ্যা গরি সে মিলেবোরে চা গেল’। মিলেবোরে দিঘিনেই চিনি পাচ্যে ডা. তারুমে।
তে মনে মনে ইমে গচ্ছে যিক্যে গরি ওক এ মিলেবোওে বাজা পরিব। সে দিনত্তুন ধরি সে মিলেবোরে আলাদা গরি চিকিৎস্যা গরানা ফাং গরল।
তার অতালিয়ে চেরেস্টা আ মনবলে মিলেবো গম অহ্’ল।
ডা. তারুম হাসপাতালত ঐ মিলেবো যে বিল এলাক সিউন বেক সুজি (পরিশোধ) দিল’। আ তা কপিবোত এক কোণাত কি লিঘি দিনেই সে বিল কাগোচ্চান ঐ মিলেবোরে পাদে দিল।
মিলেবো মনে মনে বুগত দর সম্মে আ বিল কাগোচ্চান খুলিবারও দরার। কিত্তে, তে খবর পায় এধক দিন সং হাসপাতালত আঘে তা গোদা জীংকানিতও সে বিল সুজি ন’ পারিব।
শেজে লারে গরি কাগোচ্চান খুলি চেল’ আ দিঘিল বিলর কাগোচ্চানত এক কোণাত লেঘা আঘে- “তর চিকিৎস্যা খরচ অহ্’ল পুরো এক গলচ দুধ।” আ সে কাগোচ্চান’ তলেদি সাইন এক্কো আঘে ডা. তারুম।

শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২১

জুম্ম জাদি - সুনানু ইনজেব চাঙমা

 যক্যে, হিলত এ্যাইল তারুম ঝার এল’,
এল’ ঝল্লপল্ল পানি গাঙত সক্যে, কিজেক কারি সুয়োল গরি।

যক্যে, হিল চাদিগাঙ অহ্’ল’ দাঙদাঙ্যা, তাককুল,
গাঙ পানি গেল’ শুগেই সক্যে, আমি অহ্’লর!
ইয়ান কি আমার ফাজা?
নেই সুয়োল, উগুদো আমনে আমনে রেনা-রেনি।
ধর্ম, রিদিসুধোম, আল্যাক, রাজনীদি নিনেই থানা থানি।
ইয়ান কি আমার মুজুঙে আক্কোই যানা?
ত্যুঅ, ইয়ানি দিঘিও মুই এয’ বুক বানং -
কাপ্তে গদা আমার বানা অভিশাপ নয়, আর্শীবাদ।
কাপ্তে গদা পানি তুবোলে গোদা পিত্তিমিত ছিদি পরিলং
বোজেক্যা শিমে তুল’ বোইয়েরে উরানা সান।
আজার সহস্র সবন বুগত বানি পোত্যা ঘুমত্তুন উদং আজি আজি
পুগ’ মোন’ মাধাত রাঙা বেলান দিঘিম রাঙা দোকদোক্যা গরি।
দিন্নো যে যেই কাম গরি বেল্যা, সাচ লামি
সাজন্যা অলে ঘরত ফিরি, বেক্কুন আমি জুম্ম জাদি।

সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১

জুয়া মানে জীংকানি নাজ - সুনানু ইনজেব চাঙমা

 


দেম কুল ঘরত লুমিল’ ফোবে ফোবে। তা মক্কো পুজোর গরের আ কি অহ্’য়ে পরান্নো বাপ্পে?

: ও ও পরান্নো মাবো ন’ কোচ ন’ কোচ। এক্করে কাররে ন’ কোচ। ত’ চেইনান দে। বন্ধক দিনেই এক্কান ফোন কিনি আনংগোই। এচ্যে বুঝ ম’ মুজুঙে ধেঙা বাবে এক লাক তেঙা পিয়ে। মোবাইলত জুয়া খারা খেলেনেই। মারলে পায় মারলে পায়।
তারা-তাঙুরি পরান্নো মাবো কল-
:ম’ মুজুঙে এক্করে জুয়’ কধা ন’ কবে। তুজিমরে দেঘচ জুয় খারা খেলাদে খেলাদে তা বাবর দুম থিয়্যা ভূই খেই পুরেল। আর’ এক্কা গরি চেইন ইয়ান মাগত্তে? তরে ছারিম ত্যুঅ চেইনান ন’ দিম বুঝচ (আঙুল্লো নাক্কোত বাজেই আনি কল)।
: বাঃ বাঃ বাঃ! তুই কম ঘিলে জবর নয়। বাঘ মাধাত উগুন চাচ। আনধাজে কিচ্ছু ন’ বুজ্জে গরি ভেনভেনত্যা। মুই কি মত্তেই কঙর। তরে সিত্তুন বেচ আর’ দাঙর এক্কান চেইন বানে দি পারিম। ধেঙা বাবরে চাগোই তা মক্কোরে কম্ভা এক্কা চেইন বানে দিবার কর।
: মর ন’ লাগিব’ আর। ইয়ান আঘে যদবদে মর। ইত্তুন বেচ ন’ চাং আর। জুর গরি দুক - কাম দোলে গর। সে পর’ তেঙা চোক ন’ পাদেচ। ইক্কে মানুচ্চোন বিশ্চেস নেই আর সে উরবোতাতে খেলা!
দেম কুল আর কিচ্ছু ন’ কোই মনে মনে ভাবে কেনে ফোন এক্কান লো যায়। ছাগল আঘন এক জোরা। সিউন রাঘেয়্যা পরান্যার ফরম ফিলাপ অলে বিজি দিবার। সিউন বিজিব’ নিনা ভাবের। না, ভূই এক কানি বিজিব। নানান কধা তা মনত আভর খার। তাত্তুন খামাক্কায় ফোন লোই পরিব। ১০-১৫ মিনিদে যুনি লাক তেঙা পেলে কি আর দুক কাম। ঘাম ন’ পেলেই জিংকানি তোরে পারিব।
এধক্যে ভাবনাত্তুন রেত ঘুমত পরিলে অনসুর তা মক্কোরে ভোলায়। মাত্তর, তা মক্কো লেঘা-পরা পারে, সু-শিক্ষিত। কোচপেনেই লোই-লি অলাক। তা মা-বাবে বৌ দিবার ন’ চান দেম খুল ইন্দি। ত্যুঅ তা মা-বাবর কধা ন’ শুনি তারে লোয়ে। ইক্যে খেই - ধেই ন’ পারিলে তা মা-বাপ্পোনে বগল ছিনি যায় সং নাজেবাক। সে চিদে অনসুর পরান্যার মার। তার সবন পরান্যারে ঢাকা ইউনির্ভাসিটিত পরেব। দাঙর মানুচ বানেব। সেনে বানা পরান্যারে ভাবি আর এক্কো পুঅ ন’ নেযার। তা শোওর-শুরিউনে তচ্যা লাগান আর এক্কো পুঅ/ঝি নিবার। মাত্তর, পরান্যা মা লক্ষী গুর সান বানা শুনি থায়।
দেম কুল পরান্যা বাবে এক রেদোত তা মোক্কো চেইনান চুর গরি বাজারত বান্নে ইধু বন্ধক দিল’। পেল ১৫ আজার তেঙা। সিত্তুন এক্কান ফোন কিনি আনিল। তা মোক্কো পিজোর গরে
: আ ফোনান কেনে কিনিলে?
: ধেঙা বাবত্তুন কয়েক মাজ্যা উদোর লয়োং। পরান্যার মা ফোনান দিঘিনেই মনত কামেরেয়্যা খামাক্কায় তা করম ম চেইনান ............। কিচ্ছুন ন’ কোই জুর গরি রয়ে।
সে ফোনান কিনিনেই আর কাররে সময় ন’ দে। ন’ মিলে কন’ সমাজত। নেই কন দুক কাম। বানা গেইম খেলে খেলে থায়। বেক্কুনে বুঝান, তা পুঅবো বুঝায়, তা মা-বাব বুঝান। কারর কধা ন’ শুনে। রেত দিন বানা সে ফোনানদোই গেইম খেলে খেলে থায়।
ইন্দি ঘরত্তুন কিচ্ছু ন’ পায়। তারা ঘরবোউনে সিরকাবা গচ্ছোন তারে কিচ্ছু ন’ দিবার। আদাম মায়মুরুব্বীউনরে জানেলাক সে কধা। পরে ঘরত যক্যে তেঙা ন’ পায় চুর গরা ধরিল। যাত্তুন জু পায় তাত্তুন চুর ঘরে। ন’ চাই ঘর-বার।
এক দিনে কারবাজ্যা গরুবো চুর গরিনেই ধরা পচ্যে। সিত্তুন সরান পেই বিষ খেনেই মানেই জীংকানি থুম গরিল।

বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

পুরান কধা- সুনানু মুকুন্দ চাঙমা

সুনানু মুকুন্দ চাঙমা। ছবি: ইনজেব চাঙমা

 পুরান’ কধা ইধোত তুল্লে মনান কেঝান গরে,

পরানে কয়দে সেধক্যা গরি থেদুং জনম ভরে। 

চিগন কালর সে সব খেলা, সে সব সঙ্গি ভেই;

জীবন সাগরত ধুবি যিয়ন- ইক্যেনে কিচ্ছু নেই!

বেইল্যা অহ্’লে “গুদু খেলা” আরও কদক কি,

দ্বিবর কাল্যা “নাদেং খেলা” মনত পরে নি?

সে কধানি মনত তুল্লে মস্ত সুখ লাগে,

স্যানি ভাবি ইক্যেনি খেলদুং পরানে মাগে। 

মুরা  উবরে মোন’ - ঘরত বাঝি এক্কোয়া লই,

দগিন’ বয়্যার এজেরস্যা - গায় গায় রয়চ বই। 

ধানুন উন্দি লুঙি এত্তন, তদেগ ধাবা পরে,

সিদ্যায় বিলি ম’ মা-বাপে ফেলি যিয়ন মরে। 

পে’গে এলেস্যা বাদোল মারর, বাঝি বাজর উন্দি,

সময় সময় সিয়েইন্যায় চর পেক খাদন খুন্দি। 

এক ঝলগা স্যা বয়্যার গেল ধানুন লারি ন্যায়

নুয়া গরিন্যায় বাজর বাঁঝি পরান ধরিন্যায়। 

পুনং চানর জুন পহ্’রত সঙ্গী - সমার লই,

ত’ মন’ কধা করস্যা তুই এক্কান জাগাত বই।

সে কধানি ইধোত তুল্লে পরান কানি উদে,

পুরান কালর সুখ দিনত মনান ধাবা ছদে। 

সেক্কে দিনর সে আহ্’জি - গীত, সে সব সঙ্গী ভেই

কুদু গেলাক - ইক্যেনে দ’ মত্তুন কেঅ নেই। 



বিঝু

Krishna M Chakma

“কবাল পরা যিন্দি যায়, মরা শামুক্ক উদি যায়।”
               দিন গঙে যার রেত্ এযে আর পহ্র অহ্য় এদক্যে গরি কুগিল’ মিধে সুরে, ফাগোন আভায় নানাঙ ফুল তুম্বাসে আর লুমি গেল আমা ইদু বিঝু বিঝু। এস্যে ফেসবুক সমুত্তু নানাঙ মিডিয়া বিরিক-বারক (বৈচিত্র) গরি, নানাঙ রঙে নানাঙ ঢঙে ফগদাঙি গত্তে দেঘা যার। ইয়ানি দিঘি বুঝি পারি আমা ঘরপাদাত সুগ বাদে দুগ নেই। গীদে রেঙে দিন রেত  চলের নানাঙ ফাংশান। মনে অয় ইয়ান এক্কান স্বর্গ দেশ। আমা চাঙমাউনে এ কধায়ান আক্কে কন, “পিত্তিমীয়ান এক্কান আলাম।” এক কিত্তেদি রঙতামাশা আ-র এক কিত্তেদি চোগ পানি ধারা ধারা।
                 দিঘীনালা বটতলা বাজারত্তুন জার আলু পাচ কিজি, কলা গাচ দচ বনা, শাক-পাত কুরি বনা আহ্ কলাত্তুর দচ-কুরি বনা বিজি সাজন্যা মাধান ঘরত ফিরি গেল তনক্যা’ মা। এদক্যে গরি জার তোনপাত বিজি বিজি বেন্যা-বেল্যা ইদে পাদা ফেলে পারল্লেয়ু ইদেপাদা সিদে অদে ন’ অদে ঘরত বেক থুম অহ্য়। জুমবলা গিরিত্তি থায় ভিলি কদক বা কি থায়। জুরি পান সান। তনক্যা বাবে জুমপুরাত্তুন ফিরিল। তনক্যা মা নোন্যাশিল জুর পানি কুত্তিবো আহ্ দাবাবু আনি দিল’। কায়-কুয় গরি বজি তনক্যা বাপত্তুন পুজোর লর- জুমান কেঞ্জান পুরি গেল?
তনক্যা’বাপে লারে লারে দাবাতানি কল- “নাত নেই গরি কেঞ্জান পুরি যেদ’। সিত্তুন ইঙিল্যা ঝর দিল’। তেহ্, বিঝু বাজার কি আনিলে?”
তনক্যা’মা ভ’ নিঝেত ইরিদি কল- “তেঙা পিয়োঙ বানা পাচশ কুরি তেঙা। তনক্যারে আহ্ পরানীরে দ্বি’ ধেরেচ কিনি দেদ্যা ৩০০ তেঙা লাক্কে। আহ্ সেমাই এক কিজি, চিদোল বাদে কিজ্জু ন’ আনং।”
তনক্যা বাপে কপালত আহ্’ত দিন্যাই কল- “জার’ লাদাপাদা বিজি কদক দিন তোরেদঙ। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন অদ’ ঘরপাদা জাগানি ফিরি পেদং। তেঙা পয়স্যা কি চিদে গরা পত্ত।”  
তনক্যা মা তারাতাঙুরি কল- “তারাবু ন সান্যে। চুক্তি বাস্তবায়ন। জারবোউনে চেদাক দ এক্খন সরকারে দি পেলুং। চুক্তি বাস্তবায়ন অহ্লে দ’ কাম গরি পেবাক। ইক্যে তারা বোদে বোদে তেঙা তুলি তুলি খেই পাত্তন। আমনে আহ্দে থেঙে কাম গরিনেই খেই ন’ পারির, বিঝু পেলে ন’ পারির তারা চাগোই, যা... . .. . . . . . . .”
-    “আহ্ তনক্যা মা সিক্যে গরি ন’ কোচ না। শুনিলে দঝা পাগে দিবাক্যা। আমি সিয়ানি বর ন’ মাগি . . . . . . . .।”
 লেঘিয়্যা: সুনানু ইনজেব চাঙমা, জধানানু, চাঙমা সাহিত্য বাহ্, গরা কমিতি।

বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১

সাধারণ জ্ঞান

 ১.    বাংলা মোগল সুবেদার শায়েস্তা খান কখন পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল করে?
উঃ ১৬৬৫ খ্রি. আরাকানীদের পরাজিত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল করে।
২.    মোগল ও চাঙমা রাজার সুসম্পর্ক কত সাল পর্যন্ত বজায় ছিল?
উঃ  ১৭১৩খ্রি. থেকে ১৭৫৭ খ্রি. পলাশীর যুদ্ধ পর্যন্ত।
৩.    পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম “চীফ” কে?
উ: হ্যারি ভেরেলস্ট।
৪.    রাজা শের মুস্ত খা কখন মোগলদের নামেমাত্র কর দিতে রাজি হয়?
উঃ ১৭১৩ খ্রি.
৫.    কখন মোগলদের দ্বারা চাঙমা রাজ্য আক্রান্ত হয়?
উ:১৭২৪ খ্রি.
৬.    কখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সংগে বাংলার নবাব সিরাজ উদ্দৌল্লার যুদ্ধ হয়?
উ: ১৭৫৭ খ্রি.।
৭.    চট্টগ্রামে কখন ইংরেজ শাসান প্রতিষ্ঠিত হয়?
উ: ১৭৬০ খ্রি.
৮.    কখন ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে চাঙমাদের অসন্তোষ গুরুতর আকার ধারণ করে?
উঃ ১৭৭২ খ্রি.
৯.    পার্বত্য চট্টগ্রামে কখন চাকলাদারী ব্যবস্থা প্রচলন করা হয়?
উ: ১৭৭২ খ্রি.
১০.    কখন চাঙমা ভূখণ্ডকে দ্বি খণ্ডিত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়?
উ: ১৮৭৩ খ্রি.।
১১.    কখন ব্রিটিশ সৈন্য রাঙ্গামাটি দখল করে?
উ: ১৭৮৫ খ্রি.।
১২.    কখন কর্নওয়ালিশ কোড অনুসারে সমগ্র চট্টগ্রামে থানা পদ্ধতির প্রচলন করা হয়?
উ: ১৭৯৩ সালে।
১৩.    ব্রিটিশ শাসনে বিরুদ্ধে কে কে লড়ে ছিল?
উ: শের দোলত খান, জান বক্স খান ও তব্বৌক খান।
১৪.    কোন আমলে বিঝু উৎসবে ১ মাস  ছুটি ছিল?
উ: ব্রিটিশ আমলে।  
১৫.    চাঙমা দ্বিতীয় রাজ বাড়ি কোথায় অবস্থিত?
উ: রাঙ্গুনিয়া রাজানগর।
১৬.    কখন সমগ্র চট্টগ্রাম খাস মহল পদ্ধতি প্রচলন করা হয়?
উ: ইঙ্গ-চাঙমা সংঘর্ষকালীন সমগ্র চট্টগ্রাম খাস মহল পদ্ধতি প্রচলন করা হয়।
১৭.    ব্রিটিশ আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আয়তন কত?
উ: ৫০৯৩ বর্গমাইল।
১৮.    মহামণি মন্দিরটি কখন প্রতিষ্ঠিত হয়?
উ: ১৮৪২ সালে।
১৯.    কখন রাজা সদও দপ্তর রাঙ্গামাটিতে নিয়ে আসেন?
উ: ১৮৭৪ সালে।
২০.    ইংরেজ সরকার কখন পার্বত্য চট্টগ্রামকে ৩টি সার্কেল সৃষ্টি করে?
উ: ১৮৮১ খ্রি.
২১.    কখন পার্বত্য পুলিশ বাহিনী গঠিত হয়?
উ: ১৮৮১ সালে।
২২.    ব্রিটিশরা চট্টগ্রামে প্রধান জমিদারদেও কী নির্দেশ দিতেন?
উ: রাঙ্গুনিয়াতে চাঙমা জমি ক্রয় করার।
২৩.    ব্রিটিশদের নির্দেশে প্রথম কত জন প্রধান জমিদার রাঙ্গুনিয়া চাঙমা জমি ক্রয় করেন?
উ: ৪৩ জন জমিদার।
২৪.    কখন মং সার্কেল গঠিত হয়?
উ: ১৮৮৪ খ্রি. চাঙমা রাজ্যের উত্তরাংশকে নিয়ে নতুন মং সার্কেল গঠিত হয়।
২৫.    প্রথম পর্যায়ে চাঙমা ভূখণ্ডে কয়টি থানা প্রতিষ্ঠিত হয়?
উ: পাচটি। দিঘীনালা, লংগদু, চন্দ্র ঘোনা, বরকল, ও রাঙ্গামাটি।
২৬.    চাঙমা কোন দুটি সাম্রজ্যাবাদী শক্তি বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়েছিল?
উ: মোঘল ও ব্রিটিশ।
২৭.    ব্রিটিশরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে শাসন করার জন্য ১৯০০ সালের যে ম্যানুয়েন তৈরি করেছিল এর নাম কি ছিল?
উঃ “চিটাগাং হিল ট্রাক্টস ম্যানুয়েল”
২৮.     দেওয়ান রনু খান কোথায় মৃত্যু বরণ করেন?
উ: দোহাজারী নামক জায়গা।
২৯.    কেন “আমিল” নিযুক্ত করা হয়?
উ: চাকলাদারী ব্যবস্থার বিরুদ্বে সমগ্র চট্টগ্রামের জমিদারদেও তীব্র অসন্তোষ দেখা দিলে সরকার বাধ্য হয়ে চাকলাদারী ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে আমিলদারী ব্যবস্থা চালু জারি করে। ব্রিটিশ কালেক্টরের স্থলে “আমিল” নিযুক্ত করা হয়।
৩০.    কখন পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়েন অনুমোদন হয়?
উ: ১৯০০ খ্রি., ৬ জানুয়ারি।
৩১.    কখন সুপারিন্টেন এর পদবী পরির্বতন করে ডেপুটি কমিশনার করা হয়?
৩২.    ১৯২০ খ্রি.।
৩৩.    কখন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাটি পাকিস্তান ভাগে পড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়?
উ: ১৯৪৭ সালে ১৭ আগষ্ট।
৩৪.    কখন ভারতীয় পতাকা উড়ানো হয়?
উ: ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে।
৩৫.    ১৯৪৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রামের লোকসংখ্যা কত?
উ: ২,৭৫০০০ জন (মুসলিম- ১.৫%, বড়ুয়া- ১.০০%)।
৩৬.    পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম দুটি মহকুমার নাম কি?
উ: রামগড় ও রাঙ্গামাটি।
৩৭.    বন্দরবান মহকুমার কখন গঠিত হয়?
উ: ১৯৫২ সালে।
৩৮.    কার শাসনামলে সমগ্র পার্বত্য জেলাটিতে মৌজায় বিভক্ত করা হয়?
উ: ব্রিটিশ আমলে প্রশাসন এবং রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে সমগ্র জেলাটিতে ৩৬৯ টি মৌজায় বিভক্ত করা হয়।
৩৯.     কে হেডম্যান নিয়োগ করতেন?
উ: রাজা সুপারিশে ডেপুটি কমিশনার হেডম্যান নিয়োগ করতেন।

৪০.    কখন রাঙ্গুনিয় প্রশাসক রনু খানের সাথে কালেক্টও মি: বেন্টলি চুক্তি সম্পাদন হয়?
উ: ১৯৭২ সালে।
৪১.     কোন রাজা চাঙমা রাজাকে “রাজা” উপাধি দেন?
উ: আরাকানি রাজা।
৪২.     দেওয়ান অর্থ কী:
উ: রাজস্ব কর্মচারী (ফার্সি শব্দ)।
৪৩.    শিকদার অর্থ কি?
উ: নিদিষ্ট ভূখণ্ডের অধিকারী ।
৪৪.    তিনটি সার্কেল কী কী?
উ: চাঙমা, বমাং ও মং সার্কেল।
৪৫.    প্রথম দেওয়ান কে?
উ: কোন্নো খান  
৪৬.     দ্বিতীয় দেওয়ান কে?
উ: রনু খান  
৪৭.    প্রথম বাঙ্গালি হেডম্যান হয়েছিল কোন মৌজায়?
উ: ঘন্দুং মৌজা, নাক্ষ্যাংছড়ি থানা।
৪৮.    পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট কয়টি মৌজা?
উ: ৩৬৯ টি।
৪৯.    মহামণি মন্দিরটি কোথায় অবস্থিত?
উ: চট্টগ্রাম জেলা রাঙ্গুনিয়া থানায়।
৫০.     কে মহামণি মন্দিরটি নির্মাণ করেন?
উ: তৎকালীন মং রাজা।
৫১.    পার্বত্য পুলিশ বাহিনীর প্রধান কে?
উ: ডেপুটি কমিশনার।
৫২.    কার নেতৃত্বে ভারতীয় পতাকা উড়ানো হয়?
উ: স্নেহ কুমার চাঙমা নেতৃত্বে।
৫৩.     পাকিস্তান সরকার কখন পার্বত্য পুলিশ বাহিনীকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন?
উ: ১৯৪৮ সালে।
৫৪.    হিল চাদিগাঙ কে কত সালে একটি আলাদা জেলা করা হয়?
উ: ১৮৬০ সালে।
৫৫.    হিলট্রেকস এর প্রথম সদর দপ্তর কোথায় ছিল?
উ: চন্দ্রঘোনায়।
৫৬.    কতসালে হিলট্রেকস এর সদর দপ্তর রাংগামাটিতে করা হয়?
 উ: ১৮৬৯ সালে।
৫৭.     চাদিগাঙ এর তিন সার্কেলকে কতসালে গেজেট এ তোলা হয়?
 উ: ১৮৮১ সালে।
৫৮.     মৌজা সিস্টেম কত সালে চালু হয়?
উ: ১৮৯০ সালে।
৫৯.     হিলট্রেকস এ ফ্রন্টিয়ার পুলিশ রেগুলেশন হয় কবে?
 উ: ১৮৮১ সালে।
৬০.     হিলট্রেকস এ আলাদা শাসন এর কারণ কী?
উ:হিলট্রেকস রেগুলেশন।
৬১.     কখন হিলট্রেকস রেগুলেশন করা হয়?
উ: ১৯০০ সালে।
৬২.     হিলট্রেকস এ শিক্ষার মান রক্ষায় কার অবদান ছিল?
 উ: কৃষ্ণ কিশোর চাঙমা।
৬৩.     কৃষ্ণ কিশোর কোন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন?
উ: পুলিশ ইনসপেক্টর।
৬৪.     কর্ণফুলি পেপার মিল কত সালে স্থাপিত হয়?
উ: ১৯৫০ সালে।
৬৫.    প্রথমে কাপ্তায় বাঁধটি কত সালে আরাম্ভ হয়?
উ: ১৯৫২ সালে। শেষ হয় ১৯৫৮ সালে।
৬৬.    দ্বিতীয় বারে কাপ্তায়  বাঁধটি কখন শুরু হয়?
উ: ১৯৬১ সালে, আমেরিকা আর্থিক সহযোগিতায়।
৬৭.    কাপ্তায় বাঁধ নির্মাণে ফলে কতটি মৌজা ডুবে যায়?
উ: ১২৫টি মৌজা।
৬৮.    কত একর ধান্য জমি কাপ্তাই বাঁধ এর পানিতে ডুবে যায়?
উ: প্রায় ৫৪ হাজার একর। ৩৫০ বর্গমাইল এলাকা ডুবে যায়।
৬৯.     রাজা ত্রিদিব রায় কোন নির্বাচনে গখঅ নির্বাচিত হন?
উ: প্রাদেশিক র্নিবাচনে।
৭০.     কত সালে রাজা ত্রিদিব রায় গখঅ নির্বাচিত হন?
উ:১৯৬২ সালে।
৭১.    চাঙমার পত্তম শিক্ষা" বইটির লেখক কে?
 উ: সুনানু নোয়ারাম।
৭২.     চাকমাদের পিনন কাদির ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় কার অবদানে?
উ: রাণী আরতীদেবী।
৭৩.    কার প্রচেষ্টায় রাংগামাটির "মোনঘর"স্থাপিত হয়?
উ: জ্ঞানশ্রী থেরোর অবদানে।
৭৪.    চাঙমারা কত সালে ত্রিপুরা রাজ্যে শরনার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল?
উ: ১৯৮৬ সালে।
৭৫.    বাংলাদেশে খসড়া সংবিধান প্রনয়ণের সময় মানবেন্দ্র নারায়ণ র্লামা কোন পরিষদের সদস্য ছিলেন?
 উ: গণপরিষদের।
৭৬.    মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা কোন চারটি বিষয়কে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করেন?
উঃ ক. আইন পরিষদ সম্বলিত স্বায়ত্ব শাসন প্রদান। খ. ১৯০০ সালের হিলট্রেকস এর বিধি সংরক্ষণ করা। গ. উপজাতীয় রাজাদের জন্য সংবিধানে দপ্তর রাখা। ঘ. হিলট্রেকস এর শাসন প্রান্তিক কোন পরিবর্তন না করা।
সাহিত্য:
৭৭.    পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম পত্রিকা নম কী?
উ: গৈরিকা
৭৮.    গৈরিকা কখন প্রকাশ হয়?
উ: ১৩৪৩ বঙ্গাব্দ, বৈশাখ মাস (এপ্রিল - মে ১৯৩৬)
৭৯.    প্রথম বছর কত সংখ্যা প্রকাশিত হয়?
উ: দুই সংখ্যা।
৮০.    গৈরিকা নামটি কে দিয়েছেন?
উ: কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৮১.    গৈরিকা শেষ সংখ্যা কত সালে প্রকাশিত হয়?
উ: ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ। ১৪ সংখ্যা। 

৯২.    চাঙমা ইতিহাস গ্রন্থ কী কী?
উ: ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ঈযধশসধ জধল ঋধসরষু-  লেখক: রাজা ভ’বন মোহন রায়, “পার্বত্য চট্টগ্রাম রাজ লহরী” লেখক: নোয়ারাম চাঙমা, “চাকমা জাতি ইতিবৃত্ত” লেখক বিরাজ মোহন দেওয়ান, “শ্রী শ্রী রাজানামা” লেখক: অশোক কুমার দেওয়ান, “চাকমা জাতি” লেখক: সতীশ চন্দ্র ঘোষ।
৯৩.    বুদ্ধ রঞ্জিকা কী?
উ: রঞ্জিকা বাঙালি বৌদ্ধদেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থ।
৯৪.    রঞ্জিকা কখন প্রকাশ হয়?
উ: ২৫ চৈত্র ১২৯৬ বাংলা (১৮৯০খ্রি.)।
৯৫.     রঞ্জিকা রচনা কে?
উ: শ্রী নীল কমল দাস চাঙমা রাণী কালিন্দিও আদেশে গ্রন্থটি রচনা করেন।
আদিবাসী:
৯৬.    আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস কবে?
উ: ৯ আগষ্ট।
৯৭.    বিশে^র কয়টি দেশে আদিবাসী আছে?
উ: ৭০ টি।
৯৮.    বিশে^র কত কোটি আদিবাসী আছে?
উ: ৭০ কোটি।
৯৯.    আন্তর্জাতিক আদিবাসী দশক কখন?
উ: ১৯৯৫- ২০০৪ সাল।
১০০.    আন্তর্জাতিক আদিবাসী দশকের মূলসুর কী?
উ: আদিবাসী জনগণ: কর্মে অংশীদারিত্ব”। (ইনডিজিনাস পিপল: পার্টনারশীপ ইন এক্সশন)
১০১.    আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস দশক কবে?
উ: ২০১৪ সাল।
১০২.    জাতি সংঘ কর্তৃক কখন ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব দি ওয়ার্ল্ডস ইনডিজিনাস পিপলস ঘোষণা করা হয়?
উ: ১৯৯৩ সালে।
১০৩.    জাতি সংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইনডিজিনাস পিপলস কবে গঠিত হয়?
উ: ১৯৮২ সালে।
১০৪.    জাতি সংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইনডিজিনাস পিপলস এর কাজ কী?
উ: আদিবাসীদের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধিনতা রক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় নীতি পর্যালোচনা করা অন্যটি হলো আদিবাসীদের অধিকার সম্পকিত বিষয়ে আন্তর্জাতিক মাপকাঠি নির্ণয় করা।
১০৫.    আদিবাসীদের জন্য জাতি সংঘে স্থায়ী ফোরাম কখন গঠিত হয়?
উ: ২০০০ সালে।
১০৬.    আদিবাসী জাতি সংঘে স্থায়ী ফোরাম কমিটি সংখ্যা কত?
উ: ১৬ জন। তম্মধ্যে আদিবাসী ৮ জন।
১০৭.    আদিবাসীদের জাতি সংঘে স্থায়ী ফোরাম প্রথম সভা কখন ও কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উ: ১৩ মে ২০০২, নিউ ইর্য়ক।
১০৮.    জে এস এস কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উ: ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ সালে
১০৯.    শান্তি বাহিনী আত্নপ্রকাশ কবে?
১১০.    ১৯৭৩ সালের ৭ই জানুয়ারী পার্টির স্বশস্ত্র সংগঠনের শান্তিবাহিনী আত্মপ্রকাশ।
১১১.    গৃহ যুদ্ধ কবে শুরু হয়?
উ: ১৪ই জুন ১৯৮৩ থেকে শুরু হয়।
১১২.     গৃহ যুদ্ধ কবে শেষ হয়?
উ: গৃহযুদ্ধ ৩০ এপ্রিল ১৯৮৫ তে শেষ হয়।
১১৩.    পার্বত্য চুক্তি কখন হয়?
উ: ১৯৯৭ সালে ২ রা ডিসেম্বর  
১১৪.    আমরা পার্বত্য জমি চাই, মানুষ চাই উক্তিটি কার?
উ: ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ।
১১৫.    “পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা ইচ্ছা করলে পৃথিবীর যে কোনও স্থানে যেতে পারে, এতে সরকার খুশি” ভাষণটি কার?
উ: আব্দুল আউয়াল, তৎকালীন চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার।
১১৬.    আমি অসহায়, পাহাড়ীরা নিরুপায় উক্তিটি কার?
উ: মোঃ হুমায়ুন কবির (জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি)।  
১১৭.    শান্তিবাহিনী কখন গঠিত হয়?
উ: ১৯৭৩ সালে ৭ জানুয়ারি।
১১৮.     এরশাদ শাসনামলে জনসংহতি সমিটি সাথে কয় দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়?
উ:  ৬ দফা।
১১৯.    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার) এর সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিটি মোট কয় দফা বৈঠক হয়?
উ: ১৩ দফা।
১২০.    কাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার) ও জনসংহতি সমিটির মোট কয় দফা বৈঠক হয়?
উ: ৭ দফা।
১২১.    বাংলাদেশ সরকারের সাথে জনসংহতি সমিটি প্রথম বৈঠক কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উ: ২১ অক্টোবর ১৯৮৫ সালে, পানছড়ি পুজগাং।
১২২.    বাংলাদেশ সংসদে কখন স্থানীয় সরকার এর বিল পাশ হয়?
উ: ১৯৮৯ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি।
১২৩.    স্থানী সরাকার বিল কে উত্থাপন করেন?
উ: তৎকালীন পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী নাজিউর রহমান।
১২৪.    সুনানু উপেন্দ্রলাল চাঙমা কখন ভারতে শরনার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেন?
উ: ১৯৮৯ সালে ৩১ মে।
১২৫.    কখন স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন হয়?
উ: ১৯৮৯ সসালে ২৫ জুন।
১২৬.    কখন শান্তিবাহিনীরা রাঙ্গামাটি রেডি স্টেশন দখন করেন?
উ: ১৯৯০ সালে ২৫ জুলাই।
১২৭.    কে কাপ্তায় বাঁধ বিরুদ্ধে প্রথম প্রচার করেন?
উ: মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা।
১২৮.    কাপ্তায় বাঁধ নিমার্ণ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কে গ্রেফতার হন?
উ: মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা।
১২৯.    মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা কখন গ্রেফতার হন?
উ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩ সালে।
১৩০.    মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে কোন মামলা অভিযুক্ত করা হয়?
উ: রাষ্ট্রদ্রোহি।
১৩১.    কখন বাঙালিদেও পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণবাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়?
উ: ১৯৭৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে।

শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১

আমি কিত্তে চাঙমা লেঘা শিঘিবং: সুনানু ইনজেব চাঙমা


আমি কিত্তে চাঙমা লেঘা শিঘিবং: সুনানু ইনজেব চাঙমা


আমি চাঙমা। তজিমপুর জাত। ধর্ম আর্মা বুদ্ধ ধর্ম। জার নীতি “অহিংসা পরম ধর্ম।” আমার আঘে আহ্জার আহ্জার বঝরর বিজক, ভাচ-অঝাপাত, সাহিত্য-সংস্কৃতি আ চিনপচ্যা। ইয়ানিলোই আমারে কোই জায় তেজী, বলি এক্কো জাত। বিজগত  পোতপোত্যা গরি লেঘা আঘে, এক কালে আমি রাজা এলং, এলং শাসক জাত। চাঙমা জাদর কধা কলে একদিন হুয়োঙ গুজুরিদ আ মাদিত ভুজোল বেদ’।
মাত্তর, এচ্যে!  সময়র গঙারে নানাঙ জাগাত ছিদি পরলং। নানাঙ ঝর-বোইয়ের গমি যেই অলং ছিত্রিংপাত্রাং আ নানু মরা। সে তেজ, সে বল, সে ধক আ সে জধা ভাঙি গেল’। এধক্যা দুগত্তুন আহ্রে ফেলের জাদর সেই বারবো দরপআনি, ভাচ আ অঝাপাত। সিত্তেই এম.এন.লারমার ধুন্ধুক “আমার বার গরিবার কিচ্ছু নেই।” ভচ যার জাদর নিঝেনী, চিনপচ্যা। পঝিম বিশ্ব খাজ্যেক্কোই লুদুপুদু অই আঘি। আমনর ভাচ, ওক্কোর থাগত্যা বাংলা-ইংরেজী ভাচ্ছোই আমনর সাহিত্য সংস্কৃতি চচযা গরির।
কধা আগে, “নিজ’ ভাচ, নিজ’ লেঘা, নিজ’ গীত- ন’ জানিলে ন’ থায় চিত।” চিত ন’ থেলে জাত্তোরে কোচপেদাক নয়; সেনত্তে জাদর মঙ্গলত্তে, জাদর এরানত্তে আমাত্তুন জাদর লেঘা, চাঙমা লেঘা শিঘা পরিহ্বো, চাগরি পেবাত্তে নয়।
চেদন এক্কান এক্কো দাঙর আহ্’ত্যার। আমাত্তুন চেদন নেই। এ ন’ থানা আমি বহুত লেহ্ম পরি আঘি। ১৮৬০ সালত হিল চাদিগাঙানরে ব্রিটিচ সরকারে দঙল গরানার পর চাঙমা আ মারমা ভাচ্ছোই লেঘা শিঘিবার জু গরি দিল’। সক্যে আমা চেলাউন ন’ চানার শেঘানা ন’ অয়। সে পরে ১৯৩৭/৩৮ সালত একবার মি. মিলান সাহেবে চেরেস্টা গরি চেল মাত্তর! সুনানু কামিনী মোহন দেবানদাঘি ন’ চানার মা ভাচ্ছোই লেঘা শিঘি ন’ পেলং। এল’ পাকিস্তান আমল। এ পাকিস্তান আমলতয়্য (১৯৫৯ সাল) সুনানু নোয়ারাম চাঙমা পত্থম শিক্ষা বইবো প্রাইমারি ইক্কুলত পরিহ্ বার ধিঙিরি পেল। মাত্তর! সক্যেয়্য আমা দেবানুনে ন’ চানা আমি এচ্যা চাংলা আ চাংলিশ ভাঝে মাদি। সেনে এচ্যে বদাবোরে কোই ডিম, হ্’েরানরে কোই মাংস। অথচ এচ্যা বাংলাদেচ কেনে জনম অল’, রাঙা হ্ইেল বাবদা কেনে পেল’ বেক বুঝি পারির। ত্যুঅ এয’ আমার চেদন ন’ এযে। ইক্যে বাংলাদেচ তিন পিড়ি/প্রজন্ম চলের। দ্বি’ প্রজন্ম শেজেদি আমি মা-ভাঝর বই পেনেইও আমাত্তুন এধক গরচ মনে ন’ গরির।  
এচ্যে আমা চাঙমাউন নানাঙ জাগাত ছিদি আঘি। ভারদত তিবিরে রেজ্যত, অরুনাচল, মিজোরাম, কক্সবাজারসমুত্তু নানাঙ জাগাত। তারা দ’ বাংলা ন পারন। আন্তর্জাতিক ভাচ ইজেবে ইংরেজী পারন। তেহ্, আমা (হিলর চাঙমাউন) অঝাপাত, চাঙমা লেঘা ন পাল্লে, ন শিঘিলে কেনে তারালোই অত রাঘেবং! এ ধক্যে গরি লারে লারে ফারক অই জেবংগোই। সং সং চাঙমা অইন্যাই কারর কধা আমি বুঝ-বুঝি ন’ অবং। আমি কিত্তেই ফারক অই যেবঙ? অঝাপাত-ভাচ আমারে আমা জাদর ভেই-বোনুন কায় নেজেব। সিত্তেই বেক্কুনরে যাদি যাদি নিজ’ ভাচ, নিজ’ লেঘা শিঘানা গরচ অই পচ্যে। সক্যে জাদর নিঝেনী, মাজারা থিদব্বরী অহ্Ÿ। জাত্তো মুজুঙে আক্কোই জেব’।যারা চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই আওচ গরর তারা তলেদি লিংকুত পড়ি আ ডাউনলোড গরি পারিবা।

 https://drive.google.com/file/d/1c0eZls_SDEFiet6dIWU4LRBOhUyu3U-U/view?usp=sharing

শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

আদিবাসী অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ ঘোষণাপত্রঃ ipcalnews

 

অনুচ্ছেদ– ১: জাতিসংঘ সনদ, সার্বজনীন মানবাধিকারঘোষণাপত্র এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনসমূহে স্বীকৃত সকল প্রকার মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা ব্যক্তিগতভাবেই হোক অথবা সমষ্টিগতভাবে হোক, আদিবাসীদের পূর্ণাঙ্গভাবে উপভোগ করার অধিকার রয়েছে।


অনুচ্ছেদ- ২: আদিবাসী জনগোষ্ঠীসমূহ অন্য সকল জনগোষ্ঠী ও ব্যক্তির মতোই স্বাধীন ও সমান এবং তাদের অধিকার উপভোগ করার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে তাদের আদি উৎপত্তি অথবা পরিচয়ের ভিত্তিতে যেকোন বৈষম্য থেকে মুক্তি লাভের
অধিকার রয়েছে।

অনুচ্ছেদ- ৩: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর
আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার রয়েছে। এই অধিকারবলে তারা অবাধে তাদের  রাজনৈতিক মর্যাদা নির্ধারণ এবং  অবাধে তাদের
অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মপ্রয়াস অব্যাহত রাখতে পারবে। 

অনুচ্ছেদ- ৪: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার উপভোগের বেলায়, তাদের আভ্যন্তরীণ ও স্থানীয় বিষয়ে তথা স্বশাসিত কার্যাবলীর অর্থায়নের পন্থা ও উৎস নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাদের স্বায়ত্ত্বশাসন বা স্বশাসিত সরকারের অধিকার রয়েছে। 

অনুচ্ছেদ- ৫: আদিবাসী জনগন যদি পছন্দ করে তাহলে রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক
এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার রেখে
আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক, আইনগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অক্ষুন্ন রাখা ও শক্তিশালীকরণের অধিকার রয়েছে।


অনুচ্ছেদ- ৬: আদিবাসী ব্যক্তির জাতীয়তা লাভের অধিকার রয়েছে। 
 
অনুচ্ছেদ- ৭: ১. আদিবাসী ব্যক্তির তার জীবন, শারীরিক এবং মানসিক মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত
নিরপত্তা লাভের অধিকার রয়েছে।
 
২. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের স্বতন্ত্র জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বাধীনভাবে, শান্তিতে ও নিরাপদ ভাবে জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে এবং জোরপূর্বক একগোষ্ঠীর শিশুদের অন্য কোন গোষ্ঠীতে সরিয়ে নেওয়াসহ গণহত্যা অথবা অন্য কোন প্রকার সহিংস কর্মকান্ডের শিকার করা যাবেনা।
 
অনুচ্ছেদ- ৮: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে জবরদস্তিমূলকভাবে অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে একীভুত করা বা তাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করা যাবে না।
 
২. রাষ্ট্র আদিবাসীদের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত কার্যক্রম নিবৃত্ত ও প্রতিকারের জন্য কার্যকরী কর্মকৌশল গ্রহণ করবে- (ক) তাদের স্বতন্ত্র জনগোষ্ঠীর মর্যাদা বা সাংস্কৃতিক মূলবোধ কিংবা আত্মপরিচয়কে বিপন্ন করার লক্ষ্যে অথবা প্রভাবিত করে এমন যে কোন কার্যক্রম; (খ) তাদের ভূমি, ভূখন্ড অথবা সম্পদ থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে অথবা প্রভাবিত করে এমন যে কোন কার্যক্রম; (গ) তাদের অধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে অথবা প্রভাবিত করে এমন যে কোন জবরদস্তিমূলক জনগোষ্ঠী স্থানান্তর কার্যক্রম; (ঘ) যে কোন প্রকার একীভূতকরণ বা অঙ্গীভূতকরণ কার্যক্রম; (ঙ) তাদের বিরুদ্ধে জাতিগত কিংবা নৃতাত্ত্বিক বৈষম্য ত্বরান্বিত করা বা উস্কে দেয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিত যে কোন অপপ্রচারণা।
 
অনুচ্ছেদ- ৯: আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও ব্যক্তির তাদের ঐতিহ্য ও প্রথা অনুসারে আদিবাসী সম্প্রদায় বা জাতির সদস্য হওয়ার অধিকার রয়েছে। এই অধিকার উপভোগ করার ক্ষেত্রে কোন প্রকার বৈষম্য করা
যাবে না।
 
অনুচ্ছেদ- ১০: আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে তাদের ভূমি কিংবা ভূখন্ড থেকে জবরদস্তিমূলকভাবে উৎখাত করা যাবে না। আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে তাদের স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি ছাড়া কোনভাবে অন্য  এলাকায় স্থানান্তর করা যাবে না এবং ন্যায্য ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে সমঝোতা সাপেক্ষে স্থানান্তর করা হলেও, যদি কোন সুযোগ থাকে, পুনরায় তাদেরকে স্ব-এলাকায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১১: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রথা চর্চা করা ও পুনরুজ্জীবিত করার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে তাদের সংস্কৃতির অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ অভিব্যক্তি, যেমন প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক স্থান, শিল্পকলা, নকশা, অনুষ্ঠানাদি, প্রযুক্তি এবং সচিত্র ও অভিনয়
শিল্প ও সাহিত্য অক্ষুন্ন রাখা, রক্ষা এবং উন্নয়ন করার অধিকার অন্তর্ভূক্ত থাকবে।


২. রাষ্ট্র আদিবাসীদের সাথে যৌথভাবে প্রণীত কার্যকর কর্মকৌশল গ্রহণের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সম্পদ, যা আদিবাসীদের স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি ব্যতীত কিংবা তাদের আইন, ঐতিহ্য ও প্রথা লঙ্ঘন করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে সম্মানজনকভাবে পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে কার্যকর প্রতিবিধানের উদ্যোগ নেবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১২: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য, প্রথা ও উৎসব বিশ্বাস করা, পালন করা, উন্নয়ন করা এবং শিক্ষা প্রদানের অধিকার; তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানসমূহ অক্ষুন্ন রাখা, রক্ষা করা এবং একান্তভাবে চর্চার প্রবেশাধিকার; উৎসব আচারাদির বস্তসামগ্রী ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং তাদের পূর্বপুরুষের দেহাবশেষ ফিরিয়ে পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
 
২. রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে প্রণীত ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও কার্যকর কর্মকৌশলের মাধ্যমে উৎসব আচারাদির বস্তসামগ্রী লাভ করা এবং/কিংবা দেহাবশেষ ফিরিয়ে
পাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৩: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ইতিহাস, ভাষা, অলিখিত প্রথা, দর্শন, লিখিত পদ্ধতি ও সাহিত্য পুনরুজ্জীবিত করা, ব্যবহার করা, উন্নয়ন করা ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে হস্থান্তর করা এবং
জনগোষ্ঠী, স্থান ও ব্যক্তির নিজস্ব নামকরণ করা ও তা বহাল রাখার অধিকার রয়েছে। ২. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার যাতে রক্ষিত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য এবং আদিবাসীরা বুঝতে পারে ও বুঝতে সক্ষম হবে এমন রাজনৈতিক, আইনগত ও প্রশাসনিক কার্যপ্রণালী প্রয়োজনে অনুবাদের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৪: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা প্রদানের জন্য তাদের সাংস্কৃতিক রীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ পাঠদান ও শিক্ষাপদ্ধতি অনুসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং সেসবের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে। ২. আদিবাসী ব্যক্তির, বিশেষ করে আদিবাসী শিশুদের,  বৈষম্যহীনভাবে রাষ্ট্র প্রদত্ত সকল স্তরের ও সকল প্রকারের শিক্ষা লাভের অধিকার রয়েছে।


৩. রাষ্ট্র, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে, যারা তাদের সম্প্রদায়ের বাহিরে বসবাস করছে তাদেরসহ আদিবাসী মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের জন্য সম্ভবক্ষেত্রে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাষায় শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টির কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৫: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের মর্যাদাপূর্ণ ও বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও  আশা-আকাঙ্খা ধারণের অধিকার রয়েছে যা শিক্ষাব্যবস্থায় ও রাষ্ট্রীয় তথ্যভান্ডারে যথাযথভাবে  প্রতিফলিত হয়। ২. রাষ্ট্র আদিবাসী জনগোষ্ঠী এবং সমাজের অন্য সকল অংশের মধ্যে বিদ্বেষ প্রশমন করা ও বৈষম্য দূর করা এবং সহনশীলতা, সমঝোতা ও সুসম্পর্ক ত্বরান্বিত করার জন্য সংশিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনাক্রমে ও যৌথভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৬: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের নিজস্ব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার অধিকার এবং কোনরূপ বৈষম্য ব্যতীত অ-আদিবাসী জনগোষ্ঠী কর্তৃক পরিচালিত সকল প্রকার গণমাধ্যমে  প্রবেশাধিকার রয়েছে। ২. রাষ্ট্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যমে আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র যাতে যথাযথ প্রতিফলিত হয় তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কোনরূপ বাধা ব্যতীত মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে, আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র পর্যাপ্তভাবে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য রাষ্ট্র বেসরকারী মালিকানাধীন গণমাধ্যমগুলোকে উৎসাহিত করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৭: ১. আদিবাসী ব্যক্তি ও জনগোষ্ঠীর বিদ্যমান আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শ্রম আইনে স্বীকৃত সকল প্রকার অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে উপভোগ করার অধিকার রয়েছে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসী শিশুদের
ক্ষমতায়নের নিমিত্তে তাদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও গুরূত্বকে বিবেচনা করে তাদেরকে অর্থনৈতিক শোষণ থেকে এবং তাদের শিক্ষায় অনিশ্চিত কিংবা বাধাগ্রস্ত করে অথবা শিশুদের স্বাস্থ্য বা দৈহিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক বা সামাজিক অগ্রগতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন যে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে রক্ষার জন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনাক্রমে ও যৌথভাবে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৩. আদিবাসী ব্যক্তিকে কাজ, চাকরী বা বেতন-ভাতার ক্ষেত্রে কোন বৈষম্যমূলক শর্তারোপ করা
যাবে না।
 
অনুচ্ছেদ- ১৮: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে, তাদের অধিকারকে প্রভাবিত করবে এমন বিষয়ে, তথা তাদের নিজস্ব আদিবাসী সিদ্ধান্ত-নির্ধারণী
প্রতিষ্ঠান অক্ষুন্ন রাখা ও উন্নয়নের জন্য, সিদ্ধান্ত নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৯: রাষ্ট্র আদিবাসীদের প্রভাবিত করতে পারে এমন আইন প্রণয়ন কিংবা প্রশাসন সংক্রান্ত
পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পূর্বে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি নেয়ার জন্য তাদের প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আন্তরিক সদিচ্ছার সাথে আলোচনা ও সহযোগিতা করবে।
 
 অনুচ্ছেদ- ২০: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের জীবন-জীবিকা ও উন্নয়নের নিজস্ব ধারা নিশ্চিত করার জন্য এবং তাদের ঐতিহ্যগত ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্বাধীনভাবে নিযুক্ত থাকার জন্য তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা বা প্রতিস্থান বজায় রাখা ও উন্নয়নের অধিকার রয়েছে।
২. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের জীবন জীবিকা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে বঞ্চনার শিকার হয়েছে তার
ন্যায্য ও নিরপেক্ষ প্রতিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। 
 
অনুচ্ছেদ- ২১: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন তথা শিক্ষা, কর্মসংস্থান, কারিগরি প্রশিক্ষণ, আবাসন, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা লাভের অধিকার রয়েছে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার অব্যাহত উন্নতির নিশ্চয়তা বিধানের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ এবং প্রয়োজন ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আদিবাসী প্রবীণ, যুব, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও প্রয়োজনীয়তার প্রতি সবিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
 
 
অনুচ্ছেদ- ২২: ১. এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের সময় আদিবাসী প্রবীণ, যুব, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের
অধিকার ও প্রয়োজনীয়তার প্রতি সবিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসী নারী ও শিশুরা যাতে সকল প্রকার সহিংসতা ও বৈষম্য থেকে রক্ষা পায় ও তা নিশ্চয়তার সাথে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করে তার নিশ্চিত করার জন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। 
 
অনুচ্ছেদ- ২৩: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের উন্নয়নের অধিকার প্রয়োগের জন্য অগ্রাধিকার বিষয় ও কর্মকৌশলের নির্ধারণ ও প্রণয়নের অধিকার রয়েছে। আদিবাসীজনগোষ্ঠীর বিশেষ করে স্বাস্থ্য, আবাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড যা তাদেরকে প্রভাবিত করে, সেগুলোর উন্নয়ন ও নির্ধারণের জন্য এবং যথাসম্ভব তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমে এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য সক্রিয়ভাবে জড়িত হওয়ার অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ২৪: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ঐতিহ্যবাহী ঔষধ ব্যবস্থাপনা এবং অত্যাবশক ঔষধি গাছ, জীবজন্তু ও খনিজ সম্পদ সংরক্ষণসহ তাদের স্বাস্থ্য পরিচর্যার অধিকার রয়েছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কোন বৈষম্য ছাড়া সকল প্রকার সামাজিক ও স্বাস্থ্য সেবা লাভের অধিকার রয়েছে। ২. আদিবাসী ব্যক্তির তাদের প্রাপ্য সর্বোচ্চ মানের দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবা উপভোগের অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্র এই অধিকার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ক্রমাগত অগ্রগতির লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ২৫: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ঐতিহ্যগতভাবে মালিকানাধীন কিংবা দখলীয় ও ব্যবহার্য জমি, ভূখন্ড, জল, সমুদ্র উপকূল ও অন্যান্য সম্পদের সাথে তাদের স্বাতন্ত্র্য আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রাখা ও সুদৃঢ়করণের অধিকার এবং এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট তাদের এসবের দায়িত্বসমূহ সমুন্নত রাখার অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ২৬: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ঐতিহ্যগতভাবে মালিকানাধীন, দখলীয় কিংবা অন্যথায় ব্যবহার্য কিংবা অধিগ্রহণকৃত জমি, ভূখন্ড ও সম্পদের অধিকার রয়েছে। ২. জমি, ভূখন্ড ও সম্পদের উপর, যা আদিবাসীরা ঐতিহ্যগত মালিকানা কিংবা ঐতিহ্যগত ভোগদখল, ব্যবহার, বা অন্যথায় অধিগ্রহণের মাধ্যমে অর্জন করে এসবের উপর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মালিকানা, ব্যবহার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে। ৩. রাষ্ট্র এসব জমি, ভূখন্ড ও সম্পদের আইনগত স্বীকৃতি ও রক্ষার বিধান প্রদান করবে। সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রথা, ঐতিহ্য এবং ভূমি মালিকানা ব্যবস্থাপনা মেনে সেই স্বীকৃতি প্রদান করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ২৭: রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আইন, ঐতিহ্য, প্রথা ও ভূমি মালিকানা ব্যবস্থাপনার যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করে, ঐতিহ্যগত ভাবে মালিকানাধীন কিংবা দখলীয় বা ব্যবহার্য তাদের ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদের উপর গুরুত্ব প্রদান করে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার স্বীকৃতি দেয়া ও নির্ণয় করার লক্ষ্যে একটি অবাধ, স্বাধীন, নিরপেক্ষ, উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া
প্রবর্তন ও বাস্তবায়ন করবে। এই প্রক্রিয়ায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। 
 
অনুচ্ছেদ- ২৮: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদ, যা তাদের ঐতিহ্যগতভাবে মালিকানাধীন কিংবা অন্যথায় দখলকৃত বা ব্যবহারকৃত এবং তাদের স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি ছাড়া বেদখল, ছিনতাই, দখল বা ক্ষতিসাধন করা হয়েছে এসব যাতে ফিরে পায় কিংবা, তা সম্ভব না হলে, একটা ন্যায্য, যথাযথ ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পায় তার প্রতিকার পাওয়ার অধিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর রয়েছে। ২. সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছায়অন্য কোন কিছুতে রাজী না হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে গুণগত, পরিমানগত ও আইনি মর্যাদার দিক দিয়ে সমান ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদ অথবা সমান আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বা অন্য কোন যথাযথ প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
 
অনুচ্ছেদ- ২৯: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পরিবেশ এবং তাদের ভূমি বা ভূখন্ড ও সম্পদের উৎপাদন সক্ষমতা সংরক্ষণ ও রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্র কোন বৈষম্য ছাড়া এ ধরনের সংরক্ষণ ও রক্ষা করার ক্ষেত্রে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তামূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসিদের ভূমি বা ভূখন্ডে কোন প্রকার ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্যসামগ্রী গুদামজাতকরণ বা এর আবর্জনা স্তুপীকরণ যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ৩. রাষ্ট্র আদিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা পরিবীক্ষণ, দেখাশুনা এবং পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত কার্যক্রম, যা উল্লেখিত দ্রব্যসামগ্রী দ্বারা প্রণীত ও কার্যকর হবে তা যাতে যথাযথ ভাবে বাস্তবায়িত হয়, প্রয়োজনানুসারে সেটা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩০: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি কিংবা ভূখন্ডে সামরিক কার্যক্রম হাতে নেয়া যাবেনা, যতক্ষণ না পর্যন্ত উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বার্থের/ জনস্বার্থের প্রয়োজন যুক্তিগ্রাহ্য হবে অথবা যদি সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছায় সম্মতি জ্ঞাপন বা অনুরোধ করে। ২. রাষ্ট্র সামরিক কার্যক্রমের জন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি বা ভূখন্ড ব্যবহারের পূর্বে যথাযথ পদ্ধতি ও বিশেষ করে তাদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে কার্যকর আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩১: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের সাংস্কৃতিক কৃষ্টি, ঐতিহ্যগত জ্ঞান এবং ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি তথা মানব ও বংশবিস্তার বিষয়ক সম্পদ, বীজ, ঔষধ, প্রাণী ও উদ্ভিদ বিষয়ক সম্পদ, মৌখিক ঐতিহ্য, সাহিত্য, নকশা, ক্রীড়া ও ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা এবং সচিত্র ও অভিনয় কলাসহ তাদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতির প্রদর্শনের চর্চা, নিয়ন্ত্রণ, সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের অধিকার রয়েছে। সাংস্কৃতিক কৃষ্টি, ঐতিহ্যগত জ্ঞান এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিসহ তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বজায় রাখা, নিয়ন্ত্রণ, রক্ষা এবং উন্নয়নের অধিকারও তাদের রয়েছে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে এ সকল অধিকারগুলোর স্বীকৃতি ও সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩২: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ভূমি কিংবা ভূখন্ড ও অন্যান্য সম্পদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার বিষয় ও কর্মকৌশল নির্ধারণ ও প্রণয়ণের অধিকার রয়েছে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদের উপর প্রভাব বিস্তার করে এমন কোন প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে, বিশেষ করে তাদের খনিজ, জল কিংবা অন্য কোন সম্পদের উন্নয়ন, ব্যবহার বা আহরণের পূর্বে স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি গ্রহণের জন্য তাদের নিজস্ব প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদিবাসীজনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনা ও সহযোগিতা করবে। ৩. রাষ্ট্র উক্তরূপ কোন কার্যক্রমেরন্যায্য ও যথাযথ প্রতিকারের জন্য কার্যকর কর্মকৌশল গ্রহণ করবে এবং মারাত্মক পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক অথবা আধ্যাত্মিক প্রভাব কমানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৩: ১. আদিবাসীজনগোষ্ঠীর তাদের নিজস্ব প্রথা এবং ঐতিহ্য মোতাবেক তাদের আত্মপরিচয় অথবা সদস্যপদ নির্ধারণের অধিকার রয়েছে। এইঅধিকার যে রাষ্ট্রে বাস করে সেইরাষ্ট্রর নাগরিকত্ব লাভ থেকে আদিবাসী ব্যক্তিদেরকে নিবৃত্ত করবে না। ২. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের নিজস্ব পদ্ধতি অনুযায়ী তাদের প্রতিষ্ঠানের কাঠামো নির্ধারণ ও সদস্যপদ মনোনয়নের অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৪: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মান অনুসারে তাদের নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও তাদের স্বতন্ত্র প্রথা, আধ্যাত্মিকতা, ঐতিহ্য, কার্যপদ্ধতি, অভ্যাস এবং যে রাষ্ট্রে তাদের বসবাস রয়েছে উক্ত রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা কিংবা ঐতিহ্যের প্রসার ঘটানো, উন্নয়ন করা ও বজায় রাখার অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৫: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের সমাজে ব্যক্তির দায়িত্বাবলী নির্ধারণের অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৬: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর, বিশেষতঃ যারা আন্তর্জাতিক সীমানা দ্বারা বিভক্ত হয়েছে তারা অন্য প্রান্তের নিজস্ব জনগোষ্ঠী তথা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কার্যক্রমসহ যোগাযোগ, সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় রাখার ও উন্নয়নের অধিকার রয়েছে। ২. রাষ্ট্র এই অধিকার কার্যকরকরণে সহযোগিতা প্রদান ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের জন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কার্যকরপদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৭: ১. আদিবাসীজনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র কিংবা তাদের উত্তরসূরীর সাথে চুক্তি, সমঝোতা স্মারক এবং অন্যান্য গঠনমূলক ব্যবস্থাবলীর স্বীকৃতি, প্রতিপালন এবং বাস্তবায়ন করার অধিকার রয়েছে এবং এসব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও গঠনমূলক ব্যবস্থাবলীরঅবশ্যই রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভের অধিকার রয়েছে। ২. চুক্তি সমঝোতা স্মারক ও অন্যান্য গঠনমূলক ব্যবস্থায় সন্নিবেশিত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকারগুলোকে খর্ব ও বিলুপ্ত করার জন্য এই ঘোষণাপত্রের কোন কিছুরই ব্যাখ্যা করা যাবে না।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৮: রাষ্ট্র এই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনাক্রমে ও সহযোগে আইন প্রণয়নসহ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৯: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর এই ঘোষণাপত্রে সন্নিবেশিত অধিকারগুলো উপভোগের জন্য রাষ্ট্র থেকে ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সাহায্য লাভের অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ৪০: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র অন্যান্য পক্ষের সাথে বিদ্যমান সংঘাত ও বিরোধ নিষ্পত্তি, তথা তাদের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিতগত অধিকারের উপর হস্তক্ষেপের কার্যকর প্রতিকারের জন্য ন্যায্য ও নিরপেক্ষ পদ্ধতি গ্রহণ করা এবং তার মাধ্যমে দ্রুত মীমাংসা লাভের অধিকার রয়েছে। এরূপ মীমাংসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রথা, ঐতিহ্য, নিয়মনীতি ও আইনি ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকে যথাযথ বিবেচনায় রাখতে হবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৪১: জাতিসংঘের বিভিন্ন বিভাগ ও বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহ অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতাসহ কর্মোদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এই ঘোষণাপত্রের বিধানাবলী পূর্ণ কার্যরূপদানে ভূমিকা রাখবে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে এমন সব বিষয়ে তাদের নিশ্চিত অংশগ্রহনের জন্য পথ ও পন্থা গড়ে তুলতে হবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৪২: জাতিসংঘ, আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন পরিষদ, জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ, তাদের দেশীয় পর্যায়ের অফিসসমূহ ও রাষ্ট্র এই ঘোষণাপত্রের বিধানাবলীর পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ ও স্বীকৃতি প্রদান করবে এবং এই ঘোষণাপত্রের কার্যকরণের অনুগামী কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৪৩: এই ঘোষণাপত্রে স্বীকৃত অধিকারগুলো বিশ্বের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব রক্ষা, মর্যাদা ও সমৃদ্ধির জন্য ন্যূনতম মান গঠন/ প্রদর্শন করে। 
 
অনুচ্ছেদ- ৪৪: এই ঘোষণাপত্রে স্বীকৃত সকল অধিকার ও স্বাধীনতা আদিবাসী নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ৪৫: এই ঘোষণাপত্রের কোন কিছুরই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিদ্যমান ও ভবিষ্যতে অর্জিত কোন অধিকার হ্রাসকরণ ও বিলুপ্তকরণ হিসেবে ব্যাখ্যা প্রদান করা যাবে না।
 
অনুচ্ছেদ- ৪৬: ১. এই ঘোষণাপত্রেরকোন কিছুরই এমন ব্যাখ্যা প্রদান করা যাবে না যার অর্থ দাঁড়ায় যে, জাতিসংঘ সনদের বিরোধাত্মক কোন তৎপরতায় প্রবৃত্ত হওয়া বা কোন কার্য সম্পাদন করার অধিকার কোন রাষ্ট্র, জনগোষ্ঠী, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির রয়েছে অথবা সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখন্ডতা বা রাজনৈতিক ঐক্যের, সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ, অঙ্গচ্ছেদ বা ক্ষতি করবে এমন কোন কার্যের অধিকার রয়েছে। ২. এই ঘোষণাপত্রে ঘোষিত অধিকারগুলো উপভোগের ক্ষেত্রে, সকলের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে। এই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত অধিকারগুলো উপভোগের ক্ষেত্রে কেবল আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের দায়বদ্ধতা অনুসারে আইন দ্বারা নির্ধারিত সেসব সীমাবদ্ধতাগুলো কার্যকর হবে। এসব সীমাবদ্ধতাগুলো অন্যদের অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার যথাযথ স্বীকৃতি প্রদানে ও সম্মান প্রদর্শনে নিশ্চয়তা বিধানের উদ্দেশ্যে এবং গণতান্ত্রিক সমাজের ন্যায্য ও অতীব বাধ্যবাধকতা প্রয়োজনীয়তা পরিপূরণের জন্য একমাত্র অবৈষম্যমূলক ও কঠোর আবশ্যকতার ক্ষেত্রে বলবৎ হবে। ৩. এই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত বিধানাবলী ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সমতা, বৈষম্যহীনতা, সুশাসন এবং আন্তরিক সদিচ্ছা অনুসারেব্যাখ্যা করা যাবে।

-এডমিন
Indigenous culture and lifestyle    

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...