সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০

শিলুন্যা আদামত চাঙমা লেঘা কোর্স ফাংফগদাঙ


গেল্লে ১১ জুলাই ২০২০ইংরেজি নান্নেচর সাবেক্কং ইউনিয়নর শিলুন্যা আদামত চাঙমা লেঘা শেঘানা কোর্স ফগদাঙ্ গরা অইয়ে। 
সুনানু সুকেশ চাঙমা, সাবেক্কং এওজি:

ফগদাঙি খলাবোত খলা পুচ্ছোনিত এল‌‌‌ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পত্রিকা-র সাবেক্কং এওজি সুনানু সুকেশ চাঙমাদাঘি। মুলুক গর্বা ইজেবে আজিল এল‌‌‌ চাসাবা (চাঙমা সাহিত্য বাহ্) নান্নেচর ধেলার সাবাঙ্গী সুনানু দীপ্তিমান চাঙমাদাঘি। বেগ’  দাঙর গর্বা ইজেবে আজিল এল‌‌‌ চাসাবা নান্নেচর ধেলার বেগ দাঙর মুখপাত্তি জধানানু সুনানু সুপায়ন চাঙমাদাঘি।

আহ্ আজিল এল চাসাবা নান্নেচর ঢেলার ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ্ সুনানু কাহিনী চাঙমাদাঘি।আজিল এলাক্ চাঙমা লেঘা শেঘেয়্যে মাস্টরলক্কুন,আহ্ শিঘিয়েলক্কুন।

খলাবুত গর্বা, মাস্টর আহ্ শিঘিয়েলগে বেক্কুনে চিনপুচ্ছো অলাক্ আহ্ চাঙমা লেঘা শেঘানা পোইদেনে মনত্তুন ছাঅগি তুল্লে কধা কো'বুলো গল্লাক্।
সে লগে শিঘিয়েলক্কুনরে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন চাঙমা লেঘা বোই ছিদি দে অয়।
জেরে খলাবোর বেগঅ্ দাঙর্ গর্বা সুনানু সুপায়ন চাঙমাদাঘি মঙ্গলবাত্তি জালেনেই চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান ফগদাঙ্ গুচ্ছে।তে' এ শিঘিয়েলক্কুনরে শেঘেনেই শেঘানা কামান আরগানি গুচ্ছে।
জেরেন্দি বেক্কুনে মিলি মন খুজিয়ে দিন্নোরে মন লগে বারেন্দিও বানি রাগেবাত্তেই দিবে-এক্কো ফটু উদিলাক্।
শেঘেয়্যে মাস্টরলক্কুন অলাক্কে-
১.সুনানু কাহিনী চাঙমা
২.সুনানু ললিতা চাকমা
৩.সুনানু বিকল্প চাঙমা
৪.সুনানু সুকেশ চাঙমা
৫.সুনানু তুষি চাঙমা

শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০

মা নিহত, ছেলে আহত

 
গতকাল এই ঘটনার পরে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা!সময় সন্ধ্যা ৭:৪৫-৮টা হবে।
আমার গ্রাম থেকে বটতলী তে যাচ্ছিলাম! যেতে যেতে হঠাৎ রাস্তায় দেখি সেনাবাহিনীর গাড়ি আর আমাকে দেখে সাথে সাথে রাস্তা ব্লক আর এমন সিশুয়েশন তৈরি হলো যেন আমি বিরাত এক পলাতক আসামি ।





গাড়ী থেকে সবাই আমার দিকে বন্দুক রেডি,, একজন বলতেছে একদম নড়বেন না। আমিও আমার মত নিজ জায়গায় সাথে বাইক এ ব্রেক করেছি এবং থামিয়েছি। জায়গা বরাবর বাইক থামাকে না পারলে হয়তো অনেক কিছু হয়ে যেতো নিমিষেই,, সেখানেই শেষ নয়! সাথে সাথে আমাকে বাইক থেকে নামানো হলো, এরপর তাদের থেকে একজন সেনাবাহিনী সে যদিও আমাকে চিনে, এবং আরো একজন তাদের সাথে থাকা এক লোক যদিও তার কাছে ইউনিফর্ম তা খেয়াল করতে পারিনি,দূরে থাকায়, আর অন্ধকারে মুখ ও ডাকা মনে হয়েছিলো,, এরপর তাকে জিজ্ঞেস করা হলো সে আমাকে চিনে কিনা,, সেও বললো সে আমাকে চিনে,,, আর আমাকে কারোর না চেনার কোনো উপায় নাই,,কারণ প্রতিদিন রোয়াংছড়ি বাজার ৪-৫বার চক্কর দি,, তারপরেও আমার সাথে শুরু হলো অনেক কাহিনী,, আমার পুরো শরীর অনেকবার চেক করলো,, এরপর বাইকের পাতগুলা খুলতে বলা হলো,, আমি যেটা খুলা যায় সেটা খুলে দেখালাম,,, এরপরে যেগুলো খুলা যায়না সেগুলো ও খুলতে বলা হলো অকথ্য ভাষায়,যাতে আমি রেগে যায়,, তারপর ও আমি সুন্দরভাবে বললাম যে ওগুলো খুলা যায়না,, সেগুলো খুলতে হলে গেরেজে যেতে হবে। এরপর চেকিং, সবকিছু বাদদিয়ে, আমাকে ইন্টার্ভিউ নেওয়া শুরু হলো,, কোথায় আমার বাড়ি, কোথায় থেকে আসতেছি কোথায় যাচ্ছি ইত্যাদি,,। আমি সব উত্তর দিলাম,, এরপর আবার আমার পাড়ার অনেকজনের নাম জিজ্ঞেস করা হলো, তারা সবাই আমার রিলেটিভ এবং আমার কাছে তাদের নাম্বার ছিলো সেগুলো বললাম,, তারপরেও আমার রেখায় নাই,, ছেড়ে দেওয়া হচ্ছিলো না আমায়,, এরপর তাদের কাছে কল আছে এবং অন্যদিক তাদের ডাকা হয়,, তাই চলে গেলো,আর আমাকে যেতে দেওয়া হলো।
আজকাল আমি নিজ বাড়ির আঙিনার সামনে ও নিরাপদ নয়, ছবিতে থাকা এই (৩০) মহিলা টি আমার মত করে সেও জুমে কাজ করতে গেছিলো,, কাজ শেষে সন্ধায় বাড়িতে ফেরার পথে রাস্তায় জলপাই রঙের সেই দানবদের হাতে তার (০৫)বছরের ছেলে সহ গুলিবিদ্ধ হয়। এবং হসপিটালে নেওয়ার পথে মারা যায় সে।
আজকে স্বাধীন এই বাংলাদেশে আমরা কতটুকু স্বাধীন? আজকে একজন কাল একজন আর পরশু একজন করে আর কত নিরীহ মানুষদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালাবেন? আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সুস্থ তদন্তের জোর দাবী জানাচ্ছি।

মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০

জানুয়ারি-জুন ২০২০ পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর প্রতিবেদন

বিগত ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন ২০২০) পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার পূর্ববর্তী স্বৈরশাসকদের মতো দমন-পীড়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের তৎপরতা জোরদার করেছে। ফলে ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল পথ একপ্রকার রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। পূর্বের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকারও জুম্ম জনগণের জাতীয় পরিচিতি একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম সামরিকায়ন জোরদার করেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা, সর্বোপরি পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম নির্বিঘেœ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আন্দোলনরত জুম্মদেরকে ক্রিমিলাইজেশনের অংশ হিসেবে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিগত ছয় মাসে সেনাবাহিনী, বিজিবি, গোয়েন্দা বাহিনী ও পুলিশ কর্তৃক ৭২টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এই ৭২টি ঘটনায় ২ জনকে বিচার বহির্ভূত হত্যা, ২৭ জনকে অবৈধ গ্রেফতার, ৮ জনকে সাময়িক আটক, ২২ জনকে শারীরিক নির্যাতন ও হয়রানি, ৫৩টি বাড়ি তল্লাসী, ৩টি নতুন ক্যাম্প স্থাপন, সেনাবাহিনীর উন্নয়নে ১৬৭ পরিবার ক্ষতির মুখে ও ২টি জায়গায় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে জানুয়ারি-জুন ২০২০-এর মধ্যে সেনাবাহিনী রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে সংস্কারপন্থী ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির কর্মকান্ড বিস্তারে প্রত্যক্ষ ও উলঙ্গভাবে সহায়তা প্রদান করেছে। বিগত ছয় মাসে সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় সংস্কারপন্থী, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), এএলপি ও তথাকথিত মগ পার্টি কর্তৃক ৫৯টি ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এই ৫৯টি ঘটনায় ১৩ জনকে হত্যা, ২৭ জনকে অপহরণ ও তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায়, ১০ জনকে মারধর ও হয়রানি, ৬ জনকে হুমকি প্রদান, এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির জন্য ৩টি জায়গায় ফাঁকা গুলি বর্ষণ, ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দায়ের, এএলপি/মগ পার্টি কর্তৃক ১২টি বাড়ি অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ও বহিরাগত ভূমিদস্যু কর্তৃক ভূমি জবরদখল, জুম্ম গ্রামবাসীদের নানাভাবে হয়রানি ও উচ্ছেদ করে অবাধে চলছে। বিগত ছয় মাসে মুসলিম সেটেলার কর্তৃক ২৩ ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে। এই ২৩টি ঘটনায় ৪ জন জুম্ম নারী ও শিশুর উপর সহিংসতা, জুম্মদের উপর ২টি সাম্প্রদায়িক হামলা, ভূমি জবরদখল কিংবা বেদখলের চেষ্টায় ৮১৮ পরিবার ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখী, জুম্ম গ্রামবাসীদের ৩,০২১ একর জায়গা জবরদখল, ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে জুম্মদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের ও ২ জনকে গ্রেফতার এবং প্রায় ৫,০০০ একর রাবার বাগান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার শরণার্থী ক্যাম্প পালিয়ে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা বান্দবানে অনপ্রবেশ করেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা জঙ্গীগোষ্ঠী অবৈধভাবে ইয়াবাসহ মাদক দ্রব্য ও স্বর্ণ ব্যবসা চালাচ্ছে।
সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর উদ্যোগে গত ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ মুসলিম সেটেলার, উগ্র জাতীয়তাবাদী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সকল সংগঠনগুলোর বিলুপ্ত করে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ নামে একক সংগঠন গঠন করে দেয়া হয় এবং তাদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী তৎপরতা, ভূমি বেদখল, সাম্প্রদায়িক হামলা, নারীর উপর সহিংসতা, বহিরাগত মুসলমানদের অনুপ্রবেশ ও বসতিস্থাপন, গুচ্ছগ্রাম সম্প্রসারণ ইত্যাদি তৎপরতায় উস্কে দেয়া হচ্ছে। গঠিত হওয়ার পর পরই পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ রাঙ্গামাটিতে এবং গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বান্দরবানে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের সভা ঘেরাও করে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে মৌলবাদী ও জুম্ম বিদ্বেষী কিছু ইসলামী গোষ্ঠী কর্তৃক সুপরিকল্পিতভাবে আদিবাসীদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হচ্ছে। এধরনের পরিকল্পনা বা কার্যক্রম অনেক আগে থেকে শুরু হলেও সাম্প্রতিককালে এর তৎপরতা অনেক জোরদার হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বিশেষত কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলিকদম উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসীদের এ ধরনের ধর্মান্তরিতকরণের ব্যাপক কার্যক্রমের খবর পাওয়া গেছে। যেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মতি ও সহযোগিতা রয়েছে বলে স্বীকার করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ছাঃলাওয়া পাড়ায় (শীলবান্ধা পাড়া) ৫ মারমা পরিবারের ২৭ জনকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া বান্দরবান পৌরসভা, আলিকদম, রোয়াংছড়ি, লামাসহ বিভিন্ন এলাকায় ১০টির অধিক মুসলিম পাড়া বা বসতিতে প্রায় শতাধিক ধর্মান্তরিত উপজাতি পরিবারের বসবাস রয়েছে।
বিগত ছয় মাসে তিন পার্বত্য জেলায় হামের শিকার হয়ে ১০ শিশুর মৃত্যু এবং আরো কমপক্ষে ৩৫০ জন হামে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। ব্যাপকভাবে হামে আক্রান্তের ঘটনার মধ্য দিয়ে পাহাড়ের দুর্গম এলাকার আদিবাসী জুম্মদের নাগরিক সুবিধা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মজীবী হাজার হাজার জুম্ম চরম আর্থিক সংকটে পড়ে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব কর্মজীবী জুম্ম যুবক-যুবতীরা এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে স্ব স্ব ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যানবাহনের চরম ভোগান্তি ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার সাথে তিন পার্বত্য জেলা সীমানায় সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবর্ণনীয় হয়রানি ও নির্যাতনে তাদের পড়তে হয়েছে।
বলাবাহুল্য, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতি অনেকটা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-পূর্ব অবস্থার মতো অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে। বিগত ২২ বছরের অধিক সময়ে পার্বত্য সমস্যার কাক্সিক্ষত রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া তো দূরের কথা, সমস্যা আরও জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে সরকার পূর্ববর্তী শাসকদের মতো দমন-পীড়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সরকার তথা রাষ্ট্রযন্ত্র জুম্মদের অধিকার আদায়ের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে গলাটিপে স্তব্ধ করা, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার জুম্ম কণ্ঠস্বরকে চিরতরে রুদ্ধ করা, জুম্মদের চিরায়ত ভূমি জবরদখল ও উচ্ছেদসহ জুম্মদেরকে জাতিগতভাবে নির্মূল করা এবং অমুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করা ইত্যাদি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে বাস্তবায়ন করে চলেছে।
………………………………………………………………
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগ কর্তৃক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কল্যাণপুর, রাঙ্গামাটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ থেকে ৬ জুলাই ২০২০ প্রকাশিত ও প্রচারিত।
Darbacha Changma, সংবাদ সফর এবং আরও 12 জন
4টি কমেন্ট
2 বার শেয়ার করা হয়েছে
লাইক করুন
কমেন্ট করুন
শেয়ার করুন

সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০

ইনজেব চাঙমা আ চিত্তি চাঙমা সিঝি জধন


গেল্লে কেল্যা জুলাই ০৬, ২০২০ ইং সমবার বেন্যা মাধান ১১ টায়  চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ গরা কমিতির ইরুক জধানানু সুনানু ইনজেব চাঙমা আ সুনানু চিত্তি চাঙমা’ জদন অই জেল’।
জামেই চিনপচ্যে:
নাঙ: ইনজেব চাঙমা
বা নাং: তরুনী কুমার চাঙমা
মা নাং: বিজয় শোভা চাঙমা
ইরুক আদাম: কাত্তোলি মুরোহ্, বোয়াল খালি, দিঘীনালা খাগাড়াছড়ি।
থিদ’ আদাম : বাজেই ছড়া, মেরুং,  দিঘীনালা, খাগাছড়ি।
বো চিনপচ্যে:
নাঙ: চিত্তি চাঙমা
বা নাং: প্রতিপদ চ চাঙমা
মা নাং: মিনতি বালা চাঙমা
আদাম: ধুদুকছড়, লোগাং, পানছড়ি, খাগাড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।

শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০

শিলুন্যা আদামত চাঙমা লেঘা শেঘানা পোইদ্যানে এক্কো তেম্মাঙ খলা অই যিয়ে:



 সুনানু সুকেশ চাঙমা , সাবেক্কং এওজি, চাঙমা সাহিত্য: সাবেক্কং নান্যাচরর সাবেক্কং ইউনিয়ন শিলুন্যে নাঙে আদামত এচ্যে চাঙমা লেঘা শেঘানা পোইদ্যানে আদামর মাস্টর আহ্ মুরব্বীদাঘিলোই এক্কো তেম্মাঙ খলা অই যিয়্যা।

তেম্মাঙ খলাবো কধা পুচ্চোনিত এল’ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পত্রিকা সাবেক্কঙ ইউনিয়নর এওজি সুনানু সুকেশ চাঙমাদাঘি।মুলুক গর্বা ইজেবে এলাক্ আদামর্ প্রাইমারি স্কুলর হেড মাস্টর সুনানু সজীব চাঙমাদাঘি আহ্ ইউনিসেফ স্কুলর মাস্টর-সুনানু জমায়া চাঙমা আহ্ সুনানু রেমি চাঙমাদাঘি। দাঙর গর্বা ইজেবে আদামর কার্বারি সুনানু অনুনয় চাঙমাদাঘি থেবার আওচ গরলেয়্য থেই নপারে। তেম্মাঙ্ খলাবোর খলানানু ইজেবে আজিল এলঅ’ চাঙমা সাহিত্য বাহ্-নান্যাচর ধেলা ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ সুনানু কাহিনী চাঙমাদাঘি। তেয়্য এ খলাবোত খলানানু।

আর’ আজিল এলাক্ আদামর মুরোব্বীলক্ আহ্ আদামর গাবুজ্যালক্। তেম্মাঙ খলাবোত বেগে মনত্তুন ছাগি তুলি কলাক “চাঙমা লেঘা, জাদর লেঘা শিঘানা সাতকাম।


খলানানু কাহিনী চাঙমাদাঘি কলাক,"করোনা দঙ্গাপিরে চলানায় স্কুল-কলেচ্ছানি বন্ধ আগে, সে ভিদিরে বেক্কুনে আমি আদামত আগি, আমা আদামত ইক্কে করোনা পিরে বলা মানুচ নেই । সেনে ইধু আঘিদে সময়ানত যুনি আদামর আওজিলক্কুনোরে চাঙমা লেঘা শেঘে পারিই সিয়ান আমার জাদর, সমাজর দাঙর মঙ্গল অভ।
এ কধা শুনি মাস্টর আহ্ মুরোব্বীলক্কুন বোঝান খুজি উয়োন আহ্ তারা জা জাগাত্তুন যা পারন এজাল্ দিবাক আহ্ চাঙমা লেঘা শিঘদে মান্যেরে উচ্চোমি তুলি দিবার বিলি জানেয়্যন। কধা অইয়ে,  এজেত্তে শুক্করবারেত্তুন ধরি শেঘানা কাম ফগদাঙ্ গরা অভ’। শিঘানাত্ পোরবো ইজেবে স্কুলঅ্ গুরোত্তুন ধরি গাবুজ্জে-বুড়ো বেক্কুনে সরিত অই পারিবাক্। শিঘানা কাম থুম অলে পুরিক্খে লোনেই পাশ গরিলে চাঙমা সাহিত্য বাহ্-তপ্পেত্তুন সার্টিফিকেট দিয়া অভ’।

শিঘেয়্যা মাস্টর ইজেবে থেবাক্ :
.সুনানু কাহিনী চাঙমা
.সুনানু বিকল্প চাঙমা
.সুনানু ললিতা চাঙমা
.সুনানু সুকেশ চাঙমা
.সুনানু তুষি চাঙমা





কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...