শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির সব ধারা সমূহ



ছবি- পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মূহূর্ত্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ সরকার প্রতিনিধি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা।
বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি এর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তরফ হইতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষ হইতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নিম্নে বর্ণিত চারি খন্ড (ক, খ, গ, ঘ) সম্বলিত চুক্তিতে উপনীত হইলেন:
(ক) সাধারণ
১) উভয়পক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল হিসাবে বিবেচনা করিয়া এ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ এবং এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন অর্জন করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করিয়াছেন;
২) উভয়পক্ষ এ চুক্তির আওতায় যথাশিগগির ইহার বিভিন্ন ধারায় বিবৃত ঐক্যমত্য ও পালনীয় দায়িত্ব অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আইন, বিধানাবলী, রীতিসমূহ প্রণয়ন, পরিবর্তন, সংশোধন ও সংযোজন আইন মোতাবেক করা হইবে বলিয়া স্থিরীকৃত করিয়াছেন;
৩) এই চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণ করিবার লক্ষ্যে নিম্নে বর্ণীত সদস্য সমন্বয়ে একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হইবে;
ক) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য : আহ্বায়ক
খ) এই চুক্তির আওতায় গঠিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান : সদস্য
গ) পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি : সদস্য
৪) এই চুক্তি উভয়পক্ষের তরফ হইতে সম্পাদিত ও সহি করার তারিখ হইতে বলবৎ হইবে। বলবৎ হইবার তারিখ হইতে এই চুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষ হইতে সম্পাদনীয় সকল পদক্ষেপ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই চুক্তি বলবৎ থাকিবে।

(খ) পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ/পার্বত্য জেলা পরিষদ
উভয়পক্ষ এই চুক্তি বলবৎ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যমান পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯ (রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯, বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯) এবং-এর বিভিন্ন ধারাসমূহের নিম্নে বর্ণীত পরিবর্তন, সংশোধন, সংযোজন ও অবলোপন করার বিষয়ে ও লক্ষ্যে একমত হইয়াছেন:
১) পরিষদের আইনে বিভিন্ন ধারায় ব্যবহৃত ‘উপজাতি’ শব্দটি বলবৎ থাকিবে।
২) ‘পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ’ এর নাম সংশোধন করিয়া তদপরিবর্তে এই পরিষদ ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ’ নামে অভিহিত হইবে।
৩) ‘অ-উপজাতীয় স্থায়ী বাসিন্দা’ বলিতে যিনি উপজাতীয় নহেন এবং যাহার পার্বত্য জেলায় বৈধ জায়গা-জমি আছে এবং যিনি পার্বত্য জেলায় সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় সাধারণতঃ বসবাস করেন তাহাকে বুঝাইবে।
৪) (ক) প্রতিটি পার্বত্য জেলা পরিষদে মহিলাদের জন্যে ৩ (তিন) টি আসন থাকিবে। এসব আসনের এক-তৃতীয়াংশ (১/৩) অ-উপজাতীয়দের জন্যে হইবে।
(খ) ৪ নম্বর ধারার উপ-ধারা ১, ২, ৩ ও ৪ মূল আইন মোতাবেক বলবৎ থাকিবে।
(গ) ৪ নম্বর ধারার উপ-ধারা (৫)-এর দ্বিতীয় পংক্তিতে অবস্থিত ‘ডেপুটি কমিশনার’ এবং ‘ডেপুটি কমিশনারের’ শব্দগুলি পরিবর্তে যথাক্রমে ‘সার্কেল চীফ’ এবং ‘সার্কেল চীফের’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
(ঘ) ৪ নম্বর ধারার নিম্নোক্ত উপ-ধারা সংযোজন করা হইবে ‘কোন ব্যক্তি অ-উপজাতীয় কিনা এবং হইলে তিনি কোন সম্প্রদায়ের সদস্য তাহা সংশ্লিষ্ট মৌজার হেডম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌর সভার চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট দাখিল সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট সার্কেলের চীফ স্থির করিবেন এবং এতদসম্পর্কে সার্কেল চীফের নিকট হইতে প্রাপ্ত সার্টিফিকট ব্যতীত কোন ব্যক্তি অ-উপজাতীয় হিসাবে কোন অ-উপজাতীয় সদস্য পদের জন্যে প্রার্থী হইতে পারিবেন না।
৫) ৭ নম্বর ধারায় বর্ণীত আছে যে, চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য পদে নির্বাচিত ব্যক্তি তাহার কার্যক্রম গ্রহণের পূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারের সম্মুখে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিবেন। ইহা সংশোধন করিয়া ‘চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার’-এর পরিবর্তে ‘হাই কোর্ট ডিভিশনের কোন বিচারপতি’ কর্তৃক সদস্যরা শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিবেন-অংশটুকু সন্নিবেশ করা হইবে।
৬) ৮ নম্বর ধারার চতুর্থ পংক্তিতে অবস্থিত ‘চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারের নিকট’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘নির্বাচন বিধি অনুসারে’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপন করা হইবে।
৭) ১০ নম্বর ধারার দ্বিতীয় পংক্তিতে অবস্থিত ‘তিন বৎসর’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘পাঁচ বৎসর’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপন করা হইবে।
৮) ১৪ নম্বর ধারায় চেয়ারম্যানের পদ কোন কারণে শূন্য হইলে বা তাহার অনুপস্থিতিতে পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত একজন উপজাতীয় সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন এবং অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন বলিয়া বিধান থাকিবে।
৯) বিদ্যমান ১৭নং ধারা নিম্নে উল্লেখিত বাক্যগুলি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হইবে: আইনের আওতায় কোন ব্যক্তি ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইতে পারিবেন, যদি তিনি- (১) বাংলাদেশের নাগরিক হন; (২) তাহার বয়স ১৮ বৎসরের কম না হয়; (৩) কোন উপযুক্ত আদালত তাহাকে মানসিকভাবে অসুস্থ ঘোষণা না করিয়া থাকেন; (৪) তিনি পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হন।
১০) ২০ নম্বর ধারার (২) উপ-ধারায় ‘নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ’ শব্দগুলি স্বতন্ত্রভাবে সংযোজন করা হইবে।
১১) ২৫ নম্বর ধারার উপ-ধারা (২) এ পরিষদের সকল সভায় চেয়ারম্যান এবং তাহার অনুপস্থিতিতে অন্যান্য সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত একজন উপজাতীয় সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন বলিয়া বিধান থাকিবে।
১২) যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলার সমস্ত অঞ্চল মং সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত নহে, সেহেতু খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার আইনে ২৬ নম্বর ধারায় বর্ণিত ‘খাগড়াছড়ি মং চীফ’-এর পরিবর্তে ‘মং সার্কেলের চীফ এবং চাকমা সার্কেলের চীফ’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপন করা হইবে। অনুরূপভাবে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভায় বোমাং সার্কেলের চীফেরও উপস্থিত থাকার সুযোগ রাখা হইবে। একইভাবে বান্দরবন জেলা পরিষদের সভায় বোমাং সার্কেলের চীফ ইচ্ছা করিলে বা আমন্ত্রিত হইলে পরিষদের সভায় যোগদান করিতে পারিবেন বলিয়া বিধান রাখা হইবে।
১৩) ৩১ নম্বর উপ-ধারা (১) ও উপ-ধারা (২) এ পরিষদে সরকারের উপ-সচিব সমতুল্য একজন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সচিব হিসাবে থাকিবেন এবং এই পদে উপজাতীয় কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হইবে বলিয়া বিধান থাকিবে।
১৪) (ক) ৩২ নম্বর ধারার উপ-ধারা (১) এ পরিষদের কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত পরিষদ সরকারের অনুমোদনক্রমে, বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারির পদ সৃষ্টি করিতে পারিবে বলিয়া বিধান থাকিবে।
(খ) ৩২ নম্বর ধারার উপ-ধারা (২) সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে প্রণয়ন করা হইবে ঃ ‘পরিষদ প্রবিধান অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং তাহাদেরকে বদলি ও সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত, অপসারণ বা অন্য কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে। তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলার উপজাতীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার বজায় রাখিতে হইবে’।
(গ) ৩২ নম্বর ধারার উপ-ধারা (৩) এ পরিষদের অন্যান্য পদে সরকার পরিষদের পরামর্শক্রমে বিধি অনুযায়ী কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এই সকল কর্মকর্তাকে সরকার অন্যত্র বদলি, সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত, অপসারণ অথবা অন্য কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে বলিয়া বিধান থাকিবে।
১৫) ৩৩ নম্বর ধারার উপ-ধারা (৩) এ বিধি অনুযায়ী হইবে বলিয়া উল্লেখ থাকিবে।
১৬) ৩৬ নম্বর ধারার উপ-ধারা (১) এর তৃতীয় পংক্তিতে অবস্থিত ‘অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন প্রকার’ শব্দগুলি বিলুপ্ত করা হইবে।
১৭) (ক) ৩৭ নম্বর ধারার (১) উপ-ধারার চতুর্থতঃ এর মূল আইন বলবৎ থাকিবে।
(খ) ৩৭ নম্বর ধারার (২) উপ-ধারা (ঘ)-তে বিধি অনুযায়ী হইবে বলিয়া উল্লেখিত হইবে।
১৮) ৩৮ নম্বর ধারার উপ-ধারা (৩) বাতিল করা হইবে এবং উপ-ধারা (৪) সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই উপ-ধারা প্রণয়ন করা হইবে ঃ কোন অর্থ-বৎসর শেষ হইবার পূর্বে যে কোন সময় সেই অর্থ-বৎসরের জন্যে, প্রয়োজন হইলে, একটি বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন করা যাইবে।
১৯) ৪২ নম্বর ধারার নিম্নোক্ত উপ-ধারা সংযোজন করা হইবে: পরিষদ সরকার হইতে প্রাপ্য অর্থে হস্তান্তরিত বিষয়সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে, এবং জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পরিষদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করিবে।
২০) ৪৫ নম্বর ধারার উপ-ধারা (২) এর দ্বিতীয় পংক্তিতে অবস্থিত ‘সরকার’ শব্দটির পরিবর্তে ‘পরিষদ’ শব্দটি প্রতিস্থাপন করা হইবে।
২১) ৫০, ৫১ ও ৫২ নম্বর ধারাগুলি বাতিল করিয়া তদপরিবর্তে নিম্নোক্ত ধারা প্রণয়ন করা হইবে : এই আইনের উদ্দেশ্যের সহিত পরিষদের কার্যকলাপের সামঞ্জস্য সাধনের নিশ্চয়তা বিধানকল্পে সরকার প্রয়োজনে পরিষদকে পরামর্শ প্রদান বা অনুশাসন করিতে পারিবে। সরকার যদি নিশ্চিতভাবে এইরূপ প্রমাণ লাভ করিয়া থাকে যে, পরিষদ বা পরিষদের পক্ষে কৃত বা প্রস্তাবিত কোন কাজ-কর্ম আইনের সহিত সংগতিপূর্ণ নহে অথবা জনস্বার্থের পরিপন্থী তাহা হইলে সরকার লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিষদের নিকট হইতে তথ্য ও ব্যাখ্যা চাহিতে পারিবে এবং পরামর্শ বা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
২২) ৫৩ ধারার (৩) উপ-ধারার ‘বাতিল থাকার মেয়াদ শেষ হইলে’ শব্দগুলি বাতিল করিয়া তদপরিবর্তে ‘এই আইন’ শব্দটির পূর্বে ‘পরিষদ বাতিল হইলে নব্বই দিনের মধ্যে’ শব্দগুলি সন্নিবেশ করা হইবে।
২৩) ৬১ নম্বর ধারার তৃতীয় ও চতুর্থ পংক্তিতে অবস্থিত ‘সরকারের’ শব্দটির পরিবর্তে ‘মন্ত্রণালয়ের’ শব্দটি প্রতিস্থাপন করা হইবে।
২৪) (ক) ৬২ নম্বর ধারার উপ-ধারা (১) সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই উপ-ধারাটি প্রণয়ন করা হইবে : আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পার্বত্য জেলা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও তদনিম্ন স্তরের সকল সদস্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং পরিষদ তাহাদের বদলি ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলার উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার বজায় রাখিতে হইবে।
(খ) ৬২ নম্বর ধারার উপ-ধারা (৩) এর দ্বিতীয় পংক্তিতে অবস্থিত আপাততঃ বলবৎ অন্য সকল আইনের বিধান সাপেক্ষে শব্দগুলি বাতিল করিয়া তদপরিবর্তে ‘যথা আইন ও বিধি অনুযায়ী’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হইবে।
২৫) ৬৩ নম্বর ধারার তৃতীয় পংক্তিতে অবস্থিত ‘সহায়তা দান করা’ শব্দগুলি বলবৎ থাকিবে।
২৬) ৬৪ নম্বর ধারা সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই ধারাটি প্রণয়ন করা হইবে :
(ক) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পার্বত্য জেলার এলাকাধীন বন্দোবস্তযোগ্য খাসজমিসহ কোন জায়গা-জমি পরিষদের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে ইজারা প্রদানসহ বন্দোবস্ত, ক্রয়, বিক্রয় ও হস্তান্তর করা যাইবে না।
তবে শর্ত থাকে যে, রক্ষিত (Reserved বনাঞ্চল, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ এলাকা, রাষ্ট্রীয় শিল্প কারখানা ও সরকারের নামে রেকর্ডকৃত ভূমির ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
(খ) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ও আওতাধীন কোন প্রকারের জমি, পাহাড় ও বনাঞ্চল পরিষদের সাথে আলোচনা ও ইহার সম্মতি ব্যতিরেকে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর করা যাইবে না।
(গ) পরিষদ হেডম্যান, চেইনম্যান, আমিন, সার্ভেয়ার, কানুনগো ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)দের কার্যাদি তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।
(ঘ) কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাষা (Fringe Land) জমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমির মূল মালিকদেরকে বন্দোবস্ত দেয়া হইবে।
২৭) ৬৫ নম্বর ধারা সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই ধারা প্রণয়ন করা হইবে। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জেলার ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের দায়িত্ব পরিষদের হস্তে ন্যস্ত থাকিবে এবং জেলায় আদায়কৃত উক্ত কর পরিষদের তহবিলে থাকিবে।
২৮) ৬৭ নম্বর ধারা সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই ধারা প্রণয়ন করা হইবে : পরিষদে এবং সরকারী কর্তৃপক্ষের কার্যাবলীর মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন দেখা দিলে সরকার বা পরিষদ নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করিবে এবং পরিষদ ও সরকারের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে কাজের সমন্বয় বিধান করা যাইবে।
২৯) ৬৮ নম্বর ধারার উপ-ধারা (১) সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই উপ-ধারা প্রণয়ন করা হইবে : এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা পরিষদের সাথে আলোচনাক্রমে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং কোন বিধি প্রণীত হওয়ার পরেও উক্ত বিধি পুনর্বিবেচনার্থে পরিষদ কর্তৃক সরকারের নিকট আবেদন করিবার বিশেষ অধিকার থাকিবে।
৩০) (ক) ৬৯ ধারার উপ-ধারা (১) এর প্রথম ও দ্বিতীয় পংক্তিতে অবস্থিত ‘সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে’ শব্দগুলি বিলুপ্ত এবং তৃতীয় পংক্তিতে অবস্থিত ‘করিতে পারিবে’ এই শব্দগুলির পরে নিম্নোক্ত অংশটুকু সন্নিবেশ করা হইবে ঃ তবে শর্ত থাকে যে, প্রণীত প্রবিধানের কোন অংশ সম্পর্কে সরকার যদি মতভিন্নতা পোষণ করে তাহা হইলে সরকার উক্ত প্রবিধান সংশোধনের জন্য পরামর্শ দিতে বা অনুশাসন করিতে পারিবে।
(খ) ৬৯ নম্বর ধারার উপ-ধারা (২) এর (হ) এ উল্লেখিত ‘পরিষদের কোন কর্মকর্তাকে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা অর্পণ’ এই শব্দগুলি বিলুপ্ত করা হইবে।
৩১) ৭০ নম্বর ধারা বিলুপ্ত করা হইবে।
৩২) ৭৯ নম্বর ধারা সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই ধারা প্রণয়ন করা হইবে : পার্বত্য জেলায় প্রযোজ্য জাতীয় সংসদ বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ গৃহীত কোন আইন পরিষদের বিবেচনায় উক্ত জেলার জন্য কষ্টকর হইলে বা উপজাতীয়দের জন্যে আপত্তিকর হইলে পরিষদ উহা কষ্টকর বা আপত্তিকর হওয়ার কারণ ব্যক্ত করিয়া আইনটির সংশোধন বা প্রয়োগ শিথিল করিবার জন্যে সরকারের নিকট লিখিত আবেদন পেশ করিতে পারিবে এবং সরকার এই আবেদন অনুযায়ী প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবে।
৩৩) (ক) প্রথম তফসিল বর্ণীত পরিষদের কার্যাবলীর ১ নম্বরে ‘শৃঙ্খলা’ শব্দটির পরে ‘তত্ত্বাবধান’ শব্দটি সন্নিবেশ করা হইবে।
(খ) পরিষদের কার্যাবলীর ৩ নম্বরে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ সংযোজন করা হইবে: (১) বৃত্তিমূলক শিক্ষা, (২) মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা, (৩) মাধ্যমিক শিক্ষা।
(গ) প্রথম তফসিলে পরিষদের কার্যাবলীর ৬(খ) উপ-ধারায় ‘সংরক্ষিত বা’ শব্দগুলি বিলুপ্ত করা হইবে।
৩৪) পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্য ও দায়িত্বাদির মধ্যে নিম্নে উল্লেখিত বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত হইবে ঃ
ক) ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা;
খ) পুলিশ (স্থানীয়);
গ) উপজাতীয় আইন ও সামাজিক বিচার;
ঘ) যুব কল্যাণ;
ঙ) পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন;
চ) স্থানীয় পর্যটন;
ছ) পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাষ্ট ও অন্যান্য স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান;
জ) স্থানীয় শিল্প-বাণিজ্যের লাইসেন্স প্রদান;
ঝ) কাপ্তাই হ্রদের জলসম্পদ ব্যতীত অন্যান্য নদী-নালা, খাল-বিলের সুষ্ঠু ব্যবহার ও সেচ ব্যবস্থা;
ঞ) জন্ম-মৃত্যু ও অন্যান্য পরিসংখ্যান সংরক্ষণ;
ট) মহাজনী কারবার;
ঠ) জুম চাষ।
৩৫) দ্বিতীয় তফসীলে বিবৃত পরিষদ আরোপনীয় কর, রেইট, টোল এবং ফিস-এর মধ্যে নিম্নে বর্ণীত ক্ষেত্র ও উৎসাদি অন্তর্ভুক্ত হইবে:
ক) অযান্ত্রিক যানবাহনের রেজিষ্ট্রেশন ফি;
খ) পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের উপর কর;
গ) ভূমি ও দালান-কোঠার উপর হোল্ডিং কর;
ঘ) গৃহপালিত পশু বিক্রয়ের উপর কর;
ঙ) সামাজিক বিচারের ফিস;
চ) সরকারী ও বেসরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপর হোল্ডিং কর;
ছ) বনজ সম্পদের উপর রয়্যালিটির অংশ বিশেষ;
জ) সিনো, যাত্রা, সার্কাস ইত্যাদির উপর সম্পূরক কর;
ঝ) খনিজ সম্পদ অন্বেষণ বা নিষ্কর্ষণের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুজ্ঞা পত্র বা পাট্টাসমূহ সূত্রে প্রাপ্ত রয়্যালটির অংশ বিশেষ;
ঞ) ব্যবসার উপর কর;
ট) লটারীর উপর কর;
ঠ) মৎস্য ধরার উপর কর।

(গ) পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ
১) পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহ অধিকতর শক্তিশালী ও কার্যকর করিবার লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯ ইং (১৯৮৯ সনের ১৯, ২০ ও ২১নং আইন)-এর বিভিন্ন ধারা সংশোধন ও সংযোজন সাপেক্ষে তিন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হইবে।
২) পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণের দ্বারা পরোক্ষভাবে এই পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হইবেন যাহার পদমর্যাদা হইবে একজন প্রতিমন্ত্রীর সমকক্ষ এবং তিনি অবশ্যই উপজাতীয় হইবেন।
৩) চেয়ারম্যানসহ পরিষদ ২২ (বাইশ) জন সদস্য লইয়া গঠন করা হইবে। পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য উপজাতীয়দের মধ্য হইতে নির্বাচিত হইবে। পরিষদ ইহার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবেন। পরিষদের গঠন নিম্নরূপ হইবে :
চেয়ারম্যান – ১ জন
সদস্য উপজাতীয় (পুরুষ)- ১২ জন
সদস্য উপজাতীয় মহিলা)- ২ জন
সদস্য অ-উপজাতীয় (পুরুষ)- ৬ জন
সদস্য অ-উপজাতীয় (মহিলা)- ১ জন
উপজাতীয় পুরুষ সদস্যদের মধ্যে ৫ জন নির্বাচিত হইবেন চাকমা উপজাতি হইতে, ৩ জন মার্মা উপজাতি হইতে, ২ জন ত্রিপুরা উপজাতি হইতে, ১ জন মুরং ও তনচৈঙ্গ্যা উপজাতি হইতে এবং ১ জন লুসাই, বোম, পাংখো, খুমী, চাক ও খিয়াং উপজাতি হইতে।
অ-উপজাতি পুরুষ সদস্যদের মধ্যে হইতে প্রত্যেক জেলা হইতে ২ জন করিয়া নির্বাচিত হইবেন।
উপজাতীয় মহিলা সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকমা উপজাতি হইতে ১ জন এবং অন্যান্য উপজাতি থেকে ১জন নির্বাচিত হইবেন।
৪) পরিষদের মহিলাদের জন্য ৩ (তিন) টি আসন সংরক্ষিত রাখা হইবে। এক-তৃতীয়াংশ (১/৩) অ-উপজাতীয় হইবে।
৫) পরিষদের সদস্যগণ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণের দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হইবেন। তিন পার্বত্য জেলার চেয়ারম্যানগণ পদাধিকারবলে পরিষদের সদস্য হইবেন এবং তাহাদের ভোটাধিকার থাকিবে। পরিষদের সদস্য প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার অনুরূপ হইবে।
৬) পরিষদের মেয়াদ ৫ (পাঁচ) বৎসর হইবে। পরিষদের বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন, পরিষদ বাতিলকরণ, পরিষদের বিধি প্রণয়ন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিষয় ও পদ্ধতি পার্বত্য জেলা পরিষদের অনুকূলে প্রদত্ত ও প্রযোজ্য বিষয় ও পদ্ধতির অনুরূপ হইবে।
৭) পরিষদে সরকারের যুগ্মসচিব সমতুল্য একজন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা থাকিবেন এবং এই পদে নিযুক্তির জন্য উপজাতীয় প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে।
৮) (ক) যদি পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হয় তাহা হইলে অন্তরবর্তীকালীন সময়ের জন্য পরিষদের অন্যান্য উপজাতীয় সদস্যগণের মধ্য হইতে একজন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যগণের দ্বারা পরোক্ষভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হইবেন।
(খ) পরিষদের কোন সদস্যপদ যদি কোন কারণে শূন্য হয় তবে উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে তাহা পূরণ করা হইবে।
৯) (ক) পরিষদ তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে পরিচালিত সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড সমন্বয় সাধন করাসহ তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতাধীন ও উহাদের উপর অর্পিত বিষয়াদি সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় করিবে। ইহা ছাড়া অর্পিত বিষয়াদির দায়িত্ব পালনে তিন জেলা পরিষদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব কিংবা কোনরূপ অসংগতি পরিলক্ষিত হইলে আঞ্চলিক পরিষদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলিয়া পরিগণিত হইবে।
(খ) এই পরিষদ পৌরসভাসহ স্থানীয় পরিষদসমূহ তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় করিবে।
(গ) তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের ব্যাপারে আঞ্চলিক পরিষদ সমন্বয় সাধন ও তত্ত্বাবধান করিতে পারিবে।
(ঘ) পরিষদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ এনজিও’দের কার্যাবলী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবে।
(ঙ) উপজাতীয় আইন ও সামাজিক বিচার আঞ্চলিক পরিষদের আওতাভুক্ত থাকিবে।
(চ) পরিষদ ভারী শিল্পের লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে।
১০) পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পরিষদের সাধারণ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবে। উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার যোগ্য উপজাতীয় প্রার্থীকে অগ্রাধিকার প্রদান করিবেন।
১১) ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি ও অধ্যাদেশের সাথে ১৯৮৯ সনের স্থানীয় সরকার পরিষদ আইনের যদি কোন অসংগতি পরিলক্ষিত হয় তবে আঞ্চলিক পরিষদের পরামর্শ ও সুপারিশক্রমে সেই অসংগতি আইনের মাধ্যমে দূর করা হইবে।
১২) পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ নির্বাচনের ভিত্তিতে আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার অন্তরবর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করিয়া তাহার উপর পরিষদের প্রদেয় দায়িত্ব দিতে পারিবেন।
১৩) সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে আইন প্রণয়ন করিতে গেলে আঞ্চলিক পরিষদের সাথে আলোচনাক্রমে ও ইহার পরামর্শক্রমে আইন প্রণয়ন করিবেন। তিনটি পার্বত্য জেলার উন্নয়ন ও উপজাতীয় জনগণের কল্যাণের পথে বিরূপ ফল হইতে পারে এইরূপ আইনের পরিবর্তন বা নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পরিষদ সরকারের নিকট আবেদন অথবা সুপারিশমালা পেশ করিতে পারিবেন।
১৪) নিম্নোক্ত উৎস হইতে পরিষদের তহবিল গঠন হইবে:
(ক) জেলা পরিষদের তহবিল হইতে প্রাপ্ত অর্থ;
(খ) পরিষদের উপর ন্যস্ত এবং তৎকর্তৃক পরিচালিত সকল সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত অর্থ বা মুনাফা;
(গ) সরকার বা অন্যান্য কর্তৃৃপক্ষের ঋণ ও অনুদান;
(ঘ) কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(ঙ) পরিষদের অর্থ বিনিয়োগ হইতে মুনাফা;
(চ) পরিষদ কর্তৃক প্রাপ্ত যে কোন অর্থ;
(ছ) সরকারের নির্দেশে পরিষদের উপর ন্যস্ত অন্যান্য আয়ের উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।

(ঘ) পুনর্বাসন, সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন ও অন্যান্য বিষয়াবলী
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃস্থাপন এবং এই লক্ষ্যে পুনর্বাসন, সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কার্য এবং বিষয়াবলীর ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ নিম্নে বর্ণীত অবস্থানে পৌঁছিয়াছেন এবং কার্যক্রম গ্রহণে একমত হইয়াছেন:
১) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থানরত উপজাতীয় শরণার্থীদের দেশে ফিরাইয়া আনার লক্ষ্যে সরকার ও উপজাতীয় শরণার্থী নেতৃবৃন্দের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ৯ মার্চ ’৯৭ ইং তারিখে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২৮ মার্চ ’৯৭ ইং হইতে উপজাতীয় শরণার্থীগণ দেশে প্রত্যাবর্তন শুরু করেন। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকিবে এবং এই লক্ষ্যে জনসংহতি সমিতির পক্ষ হইতে সম্ভাব্য সব রকম সহযোগিতা প্রদান করা হইবে। তিন পার্বত্য জেলার আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের নির্দিষ্টকরণ করিয়া একটি টাস্কফোর্সের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
২) সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন এবং উপজাতীয় শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উপজাতীয় উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের পর সরকার এই চুক্তি অনুযায়ী গঠিতব্য আঞ্চলিক পরিষদের সাথে আলোচনাক্রমে যথাশীঘ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি জরিপ কাজ শুরু এবং যথাযথ যাচাইয়ের মাধ্যমে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতঃ উপজাতীয় জনগণের ভূমি মালিকানা চুড়ান্ত করিয়া তাহাদের ভূমি রেকর্ডভূক্ত ও ভূমির অধিকার নিশ্চিত করিবেন।
৩) সরকার ভূমিহীন বা দুই একরের কম জমির মালিক উপজাতীয় পরিবারের ভূমির মালিকানা নিশ্চিত করিতে পরিবার প্রতি দুই একর জমি স্থানীয় এলাকায় জমির লভ্যতা সাপেক্ষে বন্দোবস্ত দেওয়া নিশ্চিত করিবেন। যদি প্রয়োজন মত জমি পাওয়া না যায় তাহা হইলে সেই ক্ষেত্রে টিলা জমির (গ্রোভল্যান্ড) ব্যবস্থা করা হইবে।
৪) জায়গা-জমি বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিশন (ল্যান্ড কমিশন) গঠিত হইবে। পুনর্বাসিত শরণার্থীদের জমি-জমা বিষয়ক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করা ছাড়াও এ যাবৎ যেইসব জায়গা-জমি ও পাহাড় অবৈধভাবে বন্দোবস্ত ও বেদখল হইয়াছে সেই সমস্ত জমি ও পাহাড়ের মালিকানা স্বত্ব বাতিলকরণের পূর্ণ ক্ষমতা এই কমিশনের থাকিবে। এই কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে কোন আপিল চলিবে না এবং এই কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে। ফ্রীঞ্জল্যান্ড (জলে ভাসা জমি)-এর ক্ষেত্রে ইহা প্রযোজ্য হইবে।
৫) এই কমিশন নিম্নোক্ত সদস্যদের লইয়া গঠন করা হইবে :
(ক) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি;
খ) সার্কেল চীফ (সংশ্লিষ্ট);
গ) আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান/প্রতিনিধি;
ঘ) বিভাগীয় কমিশনার/অতিরিক্ত কমিশনার;
ঙ) জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (সংশ্লিষ্ট)।
৬) (ক) কমিশনের মেয়াদ তিন বছর হইবে। তবে আঞ্চলিক পরিষদের সাথে পরামর্শক্রমে উহার মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাইবে।
(খ) কমিশন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী বিরোধ নিষ্পত্তি করিবেন।
৭) যে উপজাতীয় শরণার্থীরা সরকারের সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়াছেন অথচ বিবদমান পরিস্থিতির কারণে ঋণকৃত অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করিতে পারেন নাই সেই ঋণ সুদসহ মওকুফ করা হইবে।
৮) রাবার চাষের ও অন্যান্য জমি বরাদ্ধ ঃ যে সকল অ-উপজাতীয় ও অ-স্থানীয় ব্যক্তিদের রাবার বা অন্যান্য প্লান্টেশনের জন্য জমি বরাদ্দ করা হইয়াছিল তাহাদের মধ্যে যাহারা গত দশ বছরের মধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেন নাই বা জমি সঠিক ব্যবহার করেন নাই সে সকল জমি বন্দোবস্ত বাতিল করা হইবে।
৯) সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করিবেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করার লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করিবেন। এবং সরকার এই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করিবেন। সরকার এই অঞ্চলের পরিবেশ বিবেচনায় রাখিয়া দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের জন্য পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়নে উৎসাহ যোগাইবেন।
১০) কোটা সংরক্ষণ ও বৃত্তি প্রদান: চাকরি ও উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সমপর্যায়ে না পৌঁছা পর্যন্ত সরকার উপজাতীয়দের জন্যে সরকারী চাকরি ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখিবেন। উপরোক্ত লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপজাতীয় ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য সরকার অধিক সংখ্যক বৃত্তি প্রদান করিবেন। বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় বৃত্তি প্রদান করিবেন।
১১) উপজাতীয় কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার জন্য সরকার ও নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সচেষ্ট থাকিবেন। সরকার উপজাতীয় সংস্কৃতির কর্মকান্ডকে জাতীয় পর্যায়ে বিকশিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা করিবেন।
১২) জনসংহতি সমিতি ইহার সশস্ত্র সদস্যসহ সকল সদস্যের তালিকা এবং ইহার আওতাধীন ও নিয়ন্ত্রণাধীন অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিবরণী এই চুক্তি স্বাক্ষরের ৪৫ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট দাখিল করিবেন।
১৩) সরকার ও জনসংহতি সমিতি যৌথভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরের ৪৫ দিনের মধ্যে অস্ত্র জমাদানের জন্য দিন, তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করিবেন। জনসংহতি সমিতির তালিকাভুক্ত সদস্যদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমাদানের জন্য দিন তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করার জন্য তালিকা অনুযায়ী জনসংহতি সমিতির সদস্য ও তাহাদের পরিবারবর্গের স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তনের জন্যে সব রকমের নিরাপত্তা প্রদান করা হইবে।
১৪) নির্ধারিত তারিখে যে সকল সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিবেন সরকার তাহাদের প্রতি ক্ষমা ঘোষণা করিবেন। যাহাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা আছে সরকার ঐ সকল মামলা প্রত্যাহার করিয়া নিবেন।
১৫) নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে কেহ অস্ত্র জমা দিতে ব্যর্থ হইলে সরকার তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
১৬) জনসংহতি সমিতির সকল সদস্য স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তনের পর তাহাদেরকে এবং জনসংহতি সমিতির কার্যকলাপের সাথে জড়িত স্থায়ী বাসিন্দাদেরকেও সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন করা হইবে।
(ক) জনসংহতি সমিতির প্রত্যাবর্তনকারী সকল সদস্যকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে পরিবার প্রতি এককালীন ৫০,০০০/- টাকা প্রদান করা হইবে।
(খ) জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে যাহাদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতারী পরোয়ানা, হুলিয়া জারি অথবা অনুপস্থিতিকালীন সময়ে বিচারে শাস্তি প্রদান করা হইয়াছে, অস্ত্রসমর্পন ও স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তনের পর যথাশীঘ্র সম্ভব তাহাদের বিরুদ্ধে সকল মামলা, গ্রেফতারী পরোয়ানা, হুলিয়া প্রত্যাহার করা হইবে এবং অনুপস্থিতকালীন সময়ে প্রদত্ত সাজা মওকুফ করা হইবে। জনসংহতি সমিতির কোন সদস্য জেলে আটক থাকিলে তাহাকেও মুক্তি দেওয়া হইবে।
(গ) অনুরূপভাবে অস্ত্র সমর্পণ ও স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তনের পর কেবলমাত্র জনসংহতি সমিতির সদস্য ছিলেন কারণে কাহারো বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বা শাস্তি প্রদান বা গ্রেফতার করা যাইবে না।
(ঘ) জনসংহতি সমিতির যে সকল সদস্য সরকারের বিভিন্ন ব্যাংক ও সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়াছেন কিন্তু বিবদমান পরিস্থিতির জন্য গৃহীত ঋণ সঠিকভাবে ব্যবহার করিতে পারেন নাই তাহাদের উক্ত ঋণ সুদসহ মওকুফ করা হইবে।
(ঙ) প্রত্যাগত জনসংহতি সমিতির সদস্যদের মধ্যে যাহারা পূর্বে সরকার বা সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ছিলেন তাহাদেরকে স্ব-স্ব পদে পুনর্বহাল করা হইবে এবং জনসংহতি সমিতির সদস্য ও তাহাদের পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা অনুসারে চাকরিতে নিয়োগ করা হইবে। এইক্ষেত্রে তাহাদের বয়স শিথিল সংক্রান্ত সরকারী নীতিমালা অনুসরণ করা হইবে।
(চ) জনসংহতি সমিতির সদস্যদের কুটির শিল্প ও ফলের বাগান প্রভৃতি আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজের সহায়তার জন্যে সহজশর্তে ব্যাংক ঋণ গ্রহণের অগ্রাধিকার প্রদান করা হইবে।
(ছ) জনসংহতি সমিতির সদস্যগণের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হইবে এবং তাহাদের বৈদেশিক বোর্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট বৈধ বলিয়া গণ্য করা হইবে।
১৭) (ক) সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি সই ও সম্পাদনের পর এবং জনসংহতি সমিতির সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার সাথে সাথে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিডিআর) ও স্থায়ী সেনানিবাস (তিন জেলা সদরে তিনটি এবং আলী কদম, রুমা ও দীঘিনালা) ব্যতীত সামরিক বাহিনী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল অস্থায়ী ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রাম হইতে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী নিবাসে ফেরত নেওয়া হইবে এবং এই লক্ষ্যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হইবে। আইন-শৃঙ্খলা অবনতির ক্ষেত্রে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে এবং এই জাতীয় অন্যান্য কাজে দেশের সকল এলাকার ন্যায় প্রয়োজনীয় যথাযথ আইন ও বিধি অনুসরণে বেসামরিক প্রশাসনের কর্তৃত্বাধীনে সেনাবাহিনীকে নিয়োগ করা যাইবে। এই ক্ষেত্রে প্রয়োজন বা সময় অনুযায়ী সহায়তা লাভের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক পরিষদ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করিতে পারিবেন।
(খ) সামরিক ও আধা-সামারিক বাহিনীর ক্যাম্প ও সেনানিবাস কর্তৃক পরিত্যক্ত জায়গা-জমি প্রকৃত মালিকের নিকট অথবা পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হইবে।
১৮) পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সরকারী, আধা-সরকারী, পরিষদীয় ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মচারী পদে উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী অধিবাসীদের নিয়োগ করা হইবে। তবে কোন পদে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী অধিবাসীদের মধ্যে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি না থাকিলে সরকার হইতে প্রেষণে অথবা নির্দিষ্ট সময় মেয়াদে উক্ত পদে নিয়োগ করা যাইবে।
১৯) উপজাতীয়দের মধ্য হইতে একজন মন্ত্রী নিয়োগ করিয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হইবে। এই মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করিবার জন্য নিম্নে বর্ণিত উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হইবে।
(ক) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
(খ) চেয়ারম্যান/প্রতিনিধি, আঞ্চলিক পরিষদ
(গ) চেয়ারম্যান/প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ
(ঘ) চেয়ারম্যান/প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ
(ঙ) চেয়ারম্যান/প্রতিনিধি, বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ
(চ) সাংসদ, রাঙ্গামাটি
(ছ) সাংসদ, খাগড়াছড়ি
(জ) সাংসদ, বান্দরবন
(ঝ) চাকমা রাজা
(ঞ) বোমাং রাজা
(ট) মং রাজা
(ঠ) তিন পার্বত্য জেলা হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত পার্বত্য এলাকার স্থায়ী অধিবাসী তিনজন অ-উপজাতীয় সদস্য।
এই চুক্তি উপরোক্তভাবে বাংলা ভাষায় প্রণীত এবং ঢাকায় ১৮ই অগ্রহায়ণ ১৪০৪ সাল মোতাবেক ২রা ডিসেম্বর ১৯৯৭ইং তারিখে সম্পাদিত ও সইকৃত।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে               পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসিদের পক্ষে
(আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্)                               (জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা)
আহ্বায়ক                                                            সভাপতি
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি                 পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।
বাংলাদেশ সরকার।

চাঙমা লোক সাহিত্য “ নরপুদি পালা”


(১)
পত্থমে সালাম দ্যুং গোজেন উজু,
গিয়ানী-ধ্যানী ঠেঙত্ ঝু! ঝ!! ঝু!!!
ফুল তুলি দ্যুং আলাম;
পঞ্চ সভারে দ্যুং  সালাম।
সালাম জানেই রাচ্পুরী,
ভক্তিয়ে দ্বি’ আহ্ত্ র্জু গুরি।
গীদে রেঙে চিদে মূল্;
ফুল রাজা নাকশা ফুল্।
নাক্শা গাজ রিবাংসু,
দুলোন্ বুনি কেরেঙ্ জু।
কেরেঙজু দুলোনত্ পুঅ কানে,
দুচ্-গুণহ্ হেমা চায় নুয়রামে।

তাগল্ ধারেই খোর শিলত্,
বচ্জি স্বরসত্তি ম’ জিলত্।
ডাগঙ বোজেই ফুল ঘত্,
সুরে জোগেই দে গীদত্ পদ্।
ন’এযোক্ গীদ র্সু জোল্ গুরি।
এজোক্ সুরে সুরে দোল্ গুরি।
ধনু শিগারী ধল্য শেল্,
যাবেয়্যা  রুভ উল্যা গেল্।
গদা বানি চেঙ তুলি,
পলোত্ ধোল্য গেংগুলি।

গাভুর নরপুদি নরধনে,
ভরাপুরা ওহ্ইয়োন্দোই দ্বি’জনে।
তারাহ্ আমলত্ কি অহ্ল,
কি কি ঘদনা বিদি গেল।
শুনি থাগ’ বাপ্-ভেই লক্,
পালাত ধোজ্যং মা-ভোন লক।

ঘিলা মারি পাদেলাক্,
লাংঙ্যা মেয়্যা বাজেলাক্।
অজল্ নিজ এক্খুই সং,
রুবে রঙে এক্খুই রং।
গানে শিক্ষায় গরনে,
ক্যয়েত্তুন্ উন নয় ক্য’জনে।
লুয়ালি অহ্দাক্ চান্ তারাহ্-
আমাক্খাই।
বেল্যা ডোগোল্যে র্জু পবাং,
ভাবি ভাবি কুল’্ন পান্ ।
চিন্দা ভাবনাত্ পলাক্কোই,
সত্য দ্বি’জনে গল্লাক্কোই।
দিরাক্ ভাত্জরা গঙারে,
মরল্যা মরিবাক্ সমারে।

জারকল্যা বেল্ শেচ্ অহ্ইয়ে,
জুম্কাবা অক্ত কা’ঝেইয়ে।
যাত্রা বচন থিক্ গরেহ্,
জুম্ কাবা যেবাক্ সমারে।
ভাবি চিদি চেইয়েগোই,
নরপুদি নরধনে কইয়ে গোই।
দেবধর্ম্ম বাজেচ্চোই,
সুগে শান্দিয়ে জুম্ কাবাত্তুন-
ফিরিচ্ছোই।
পঝিমে গেল পুগ বেল্,
নানান্ কধায় দিন্ন গেল্।
কধায় খধায় রেত্তো গেল্,
বেন্যা কবাল্ জঘা উদিল বেল।
পঝাবিরা জুগালদন্,
সমাজ্যায় দাধারে ডাগদন্।
সংগী সমারে অহŸাত্যায়,
বুরাহ্ বরীত্তুন র্ব ললাক্,
ডাগাডাগি গুরি র্ল দিলাক্।

পধ দ্বি ধাগে মোন্ ভুরা,
উধা ধোষ্যন্দৈ মোন্ মরাহ্।
নাঢেং কাবি ফিরাদন্,
মোনত্ সাত্ কাবত্ জিরাদন্।
চুম পানি ধারে খায়,
পুগো মোনো কুয়া দেঘা যায়।
পাগানাত্ ঘিরাত্ ধোল্য তাক্,
রিপ্ রিপ্ দেঘা যায়; -
জুমো চাপ্।
যখ্যই জুম্ চাবত্ লুম্যন্দোই,
বাঝা বানি মাজ্যন্দোই।
ধারনীশাল্ থিক্ গরিলাক্,
বেক্খুনে জুম কাবা ধরিলাক্ ।
গীদ ভংজমা ভ গুরি,
ইয়্যৎ ফেলেই যাং ত গুরি।


(২)

কলজ্যা ফুরি শেল্ যেইয়ে,
ইন্দি, নরপুদি চুধামু অহ্ইয়ে।
পুগো মোর্ন কাপ পানি,
দেইন্যায় ন’রুজে ভাত্ পানি।
তারেহ্ ইন্দি কি কধন।
ভিন পারাল্যায় বৌ চাধন।
চিদে পরানে র্ধ ফরায়,
ঘুম্ ন; এযে লাঙ্ পরায়।
ধারা বেয়্যা কানিনায়,
মনে মনে ভাবিনায়,
অহ্জম্ বুদ্ধি নাজ্ অহ্য়ে,
জুমত্ খর্ব দ্যে পাধেইয়ে।

খবরবো জুমত্ লুম্যেগোই,
সাম্বাত্যা কধানি কোইয়েগোই।
আহ্ল গরুয়ে নারাহ্ খায়,
নরধনর, চোগো পানিয়ে ধারা বায়।
যেব পারাহ্ বুক্ ফাদি,
সাম্বাত্যা খবরে লাংঙ্যাবির।
মুরত্ পোরি ভাবিলহ্
সংগী সমাজ্যা দাগিল।
লঘে যেবার কোই চেলহ্,
কনহ্ জনরে নহ্ পেল,
আদাম উজু মন্ গুরি,
সাজন্যা য ধরল্ল গায় গুরি।

রেদে রেদে লুম্যেগোই,
পিজোরো সাঙুদি উথ্যেগোই।
কান্দে নরপুদির রেত্ যিয়ে,
পোথ্যা রাঝিত্ ঘুম্ যিয়ে।
বেই বেই গুরি দাগেল্লোই,
আহ্দত্ ধুরি জাগাল্লোই।
পানি ছিদি কুমোথ্থুন;
নরপুদি জাগিল ঘুমত্থুন।

যক্যে জাগিল নরপুদি,
খবর কোই ধল্ল অর্হবাদি।
মরেহ্ দাদাহ্ কি গত্থন?
ভিন্ পারাল্যায় বৌ চাধন।
কলহ্ মাধা নিগিরি,
ফারক্ অহŸং কিঙিরি?
দয্যা ফারিত্ নয়ো ভাজায়,
রইয়্যং পরান্ দা ত আঝায়।
জুরে পারে চরে অহ্ং
বুদ্ধি এক্খান তরে দ্যং।

কেল্যা অহএগাই দা রমনা,
রবাবাদি কামনা।
কানের ভিরাজি বাজ্ বনত্,
যাগোই পরান দা কাত্তনত।
তেঙা পোইজা গরিবে,
রুবাবাদি কিনিবে।
সিত্থুন যক্যে ফিরিবে,
আজু-নানুরে বৌ উগিল্ ধরিবে।
ফুল ভঙরা ফ‚লত পোল্,
কাত্তনত যেবার দাদা -
রাজি ওহ্ল।
সুধি তেঙা ভাংঙ্যেগোই,
আদর সিজিরি আন্যেগোই।
কুঝি আ›িদ্ধক্ আনিদ্যে
আহ্দত ধুরি পিনেইদ্যে।
নাগত পিনিহ্ ফোরফোরি,
নরপুদি গুরাবোন নাগরী।
নন্যাপানি ভযন্দোই।
কুয়া গাঙত্থুন এস্যন্দোই।
সুবারি কাবি পানে খাং,
কধা নিগাল্যন্ নানাআন।
নানান চিদা উদিল,
কধায় কধায় দিন্ গেল।
পজ্যেগোই বেলান্ পাদালত্,
ঘুমত পজ্যন্দোই খাদালত।

পোথ্যা কুরাহ্ দাক্ শুনি,
রানিহ্ খেলাক্ ভাত পানি।
গাধি বুরপারি গঙগীত্তুন,
বিদেয়্ মাঘি সংগীত্তুন।
সমারে কাওন্যা লর দিলাক,
মোরোঙো মাধাত চরদিলাক।
বিচ্ছানগুরি গাঙচরত,
রলাক্কোই ছরা দজরত।
তুবি নলি চুগোনী,
ভোরোন্দি বাজারত মালকিনে,
জাগাত লম্যন্দোই তিন দিনে।
যক্যে জাগাত লুমিলাক্,
বাঝা বানি মারিলাক।
কাওন্যা বাঝা বন্ গরেহ্,
ঝার শুত্তুর দরগরেহ।
তাবিত ভাঙি ফী পাদা,
চের্কেত্যা বন গল্য মর দাদা।
গীদ ভংজমা ভ’গুরি,
ইয়্যৎ ফেলেই যাং ত’ গুরি।


(৩)
দাভা তেঙা দ্যন গনি,
যেয়্যন মেলা পুরবানি।
কিজিং কাবি মুপুক্ গেল্,
একদিন যাদে নরপুদির -
এক যুগ গেল।
ঘোনেই এযের দিনে দিন,
বাগি াাগে কয়বো দিন।
মেলা বলান্যা ঘরপত্তি,
নাগরীরে কহ্র নরপুদি,-
বাগি পরান্দ্যেই দিন্ গুনি,
নাদ্দি ফেলেম্বোই জিংগানি।
দয্যা ফারিত্ নঅ ভাজায়,
রৈয়ে পরান দা ম আঝায়।
ফিরি এলে দেধ নয়,
জীবনে মরে আর চেধ নয়।

ঘরা দুমদুমায় ময়দানত।
বৌ খজা লুম্যন্দি উদানত।
চোলোন্দি ঘরাত্ চোর্য্যন্দি,
যক্যে ঘর উবুরে উথ্যন্দি;-
বুগৎ যেমন ফুথ্যে শেল্;
শাবালা রুবা দেঘেই গেল।
লাক্খ্যে পুরান্ শাল্ঘরা;
লুঙি মাজ্যে নরপুদি আহ্লছরা।
গোল্যাক তারে কোইজানি;
খুঝিয়ে পিনেলাক্ আহ্জোলি।

সেন্যা রেত্তো বিদি গেল্,
বেন্যা কবাল্ জঘা উথ্যে বেল।
ভাত্ পানি খেই লয় যদি,
সেপবত্তা লৈয়ে নরপুদি।
দয্যা মুরত্ শংখ পোল্,
মন আঝা র্তা ভংগ ওহ্ল।
খানা দানা র্সি গেল্,
বৌ লামের্বা অক্ত এল।
বুরী বারাত্ ধজ্যোগোই।
থের্লা চত্তে পোজ্যেগোই।
ফিরি দোলে বুঝেলাক্,
ধরন দস্তরে বৌ নিলাক।
গীদ ভংজমা ভ’ গুরি,
ইয়্যৎ ফেলেই যাং ত গুরি।



(৪)
তিরিচ্ বেদে বাচবান্যা,
ঐয়্যন্ লামন্যা কাত্তন্যা।
দুঘে পর্রে ঘামানি,
এঝা ধোজ্যন্  লামনি।
রলাক্ কাত্তন্যা গাঙচরত্,
বাজ্ বেজিলাক্ বাজারত।
মংগা দরে বেজিল,
রুবা নরধনে কিনিল।
চালিচ তল্যা আহ্জোলি,
মুরিচ বিজি ঝোমোলি,
আত্ত্যগুনি আহ্লছরা,
সুলো তেক্যা গাবারাহ্ ।
আদামত্ যক্যে লুম্যেগি,
খর্ব নরধনে শুন্যেদি।
খেল লক্ষণে শক্তিশেল্,
ধুলি পোরি মুচ্ছা গেল।

মুচ্ছা ভাঙি কান্যেগোই,
রুবা ভুদিবো ফেল্যেগোই।
উদিল জলতুঙিত্ নরধন,
নরপুদিদ্যায় র্তা কানের মন্।
ভাত্ পানি র্তা নেই অহ্ল,
ওহ্ র্জো বাঝিতায় আহ্দত ললহ্।
আহ্ল গরুয়ে নারাহ্ খায়,
চোঘো পানিয়ে ধারা বায়।
বালোচ ভিজিগেল পানিয়ে,
রৈয়ে পোবোন্ র্ঘ ছানিয়ে।
গল্য মনান্ ভাঙোন্দি,
ইন্দি নরপুদি দাঘি-
বেসুত্ ভাঙা লুম্যন্দি।
বাঝি রলোই মন্ খানে,
লৈয়ে ধোরফোরি পরানে।
নিদ্রাদেবী এই গেল,
বাঝি আহ্দত দাদা ঘুম্ গেল।

বুগে পিধে মাল্য শেল্,
নরপুর্দি ঝাবেইয়া রুবা-
উল্যা গেল।
ঘেল জল্তুঙিত্ থলত্থুন্,
জাগেলেগোই ঘুমত্থুন।
ঘুমত্থুন যক্যে জাগেল,
থেঙত ধুরি মাপ্ চেল।
কধ লাগিল নরধন্,
শুনি থাক্ নরপুদি তরেহ্ কং।
যখ্যে ফেলে দ্যচ সাগরত্,
কনদিন ন-এচ অর ম ঘরত।
বুগত্ ফুথ্যে শক্তি শেল,
সাত্ নাল্ সুদা ইচ্যা তল্লো-
ছিনি গেল।
অজল পাগজ্যা নিজো ঝুপ্,
দিন্ দিন্ পরেল্লি কলিযুক।
কলিযুগত্ পোত্য নেই,
তমাহ্ তিরিজাদিত্থুন্-
সত্য নেই।
অকুল্ সাগরত্ নঅ ভাজায়্,
যিয়্যং কাত্তনত্ ত আঝায়।
গঙা সাক্ষী যক্নে,
সত্য গঝ্যেই দ্বি’জনে,
জ্যানো লুদি সাপ্ অবহ্,
সত্য ভাঙিনেই র্ত পাপ্ অবহ্ ।
যখ্যে মরিবে এজনম্,
এচ্ছোই শুর্গো মাচ্ উ জনম।

একধা নরধনে কয় যুনি,
তারে কোই ধজ্যে নর পদি।
কধা কোই ধঝ্যে যুচ্ যুচ্ যুচ্,
মা-বাপে বৌ দ্যন্ র্ম কি দুচ্
পছ্যা পে-পেগোরে দিলে,
বিনা দুজে মে শাপ্ দিলে।
তমাহ্ পুরুর্জ কি ধর্ম,
তুইয়্য মরিলে এই জন্ম ,
সারাল্যা চিল্লো এবেগোই,
ভঙি বেরেবে  ও-দা তুই-উ।

মোন কাবে কাবে উড়িবে,
খুয়াঙে খুয়াঙে ভঙিবে।
ছরা উজনি গুধুং মাচ্,
গুজুরি পোরিবোগি বৈসেক মাজ।
বৈসেক্ মাস্যা ধান কজা,
উর্ত্ত ধাক্যা পান্ কঢা,
কুঝি কুঝি পান দিক্,
সারাল্যা দগরিবে চিক্ চিক্ চিক।
দগোরি উধিবে যখ্যে তুই,
ভাজা দি উদিম্বোই সখ্যে মুই।

মিঝে তুই মরেহ্ দিলে শাপ্,
কিঙিরি গনিবে ওদা তুই শুনি থাক।
কুলত্ মারি পান্যা সাপ্,
মিলেয় যেবাক্ রাণ্যাচাপ।
মেইয়ে পরা যে পেবাক্,
রাণ্যাত্ তোন্ তগা যেবাক্,
সারাল্যা দাক্ যখ্যে শুনিবাক্,
মাধা কাল্লোং বোজেবাক।
পুরনী ধক্কু তুলিবাক্,
গুঝি গুঝি কানিবাক।
পুরি কলজ্যা আঙারা,
যুগে যুগে থোক্ লাঙপরা।
রর্ঝে পিরিতি ভংগ ওহ্ল,
খেলংগে জুমান্ রাণ্যা ওহ্ল।
যখ্যে উদিল পহ্রফাদি,
কানি কানি ঘরত্ গেল নরপুদি।
সাগর তপংগত্ কার্নে মন্,
উদিল ভাঙানত নরধন।

 থুম্ 

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

নাইক্ষ্যংছড়িতে ভোট কেন্দ্রে বিজিবি’র গুলি, নিহত

নাইক্ষ্যংছড়িতে ভোট কেন্দ্রে বিজিবি’র গুলি, নিহত ১
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেয়া কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ফাতরার ঝিরির একটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মং‌কিসা চাকমা। আহত হয়েছেন অংচাই মং মারমা।
দায়িত্বরত প্রিজাই‌ডিং অ‌ফিসার এমদাদ উল্লাহ মো. উসমান সাংবাদিকদের বলেন, কিছু লোক কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে অনেক লোকজন সমবেত হন সেখানে। কেন্দ্রের বাইরে অনেক মানুষের হইচই দেখে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা গুলি চালান। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন।

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বান্দরবান জেলা কমিতি আরা অইয়ে


মুরো-মুরি পারিনেই ছড়া-গাঙ ছিরিনেই ধুয়ো ভূইয়োত পরিম্মোই , এ জীংকানি আহ্রিয়ে দিনুন ফাগোনমাচ্জুন তোগেম্মোইএ আঝা বুগত বানি গেল্লে ১০ অক্টোবর ২০১৯ খ্রি: বিসুপবার বান্দরবান বৌদ্ধ অনাথালয় স: প্রাইমারি ইক্কুলত চাঙমা সাহিত্য বাহ্ উদ্দোগে এক্কো তেম্মাঙ সভা জুগল গরা অইয়ে।


এ সভাবোত বেগর ধারাজে সভানানু ইজেবে নকবাচ গরা অইয়ে বালাঘাটা সরকারি প্রাইমারি ইক্কুলর প্রধান শিক্ষক সুনানু বসন্ত কুমার চাঙমা। চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু ইনজেব চাঙমা, পানছড়ি ধেলা জধানানু বিভাস চাঙমাদাগি আহ্জিল এলাক।

বেগর অতালিয়ে ধারাজে বান্দরবান জেলা ধেলা বানা অইয়ে।
জধানানু- সুনানু শ্যামল চাঙমা
এজাল জধানানু-সুনানু আনন্দ সেন চাঙমা
দাঙর কাবিদ্যাঙ- সুনানু মানসী চাঙমা
এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- সুনানু দীপা চাঙমা
সাবাঙ্গী- সুনানু জ্ঞান সুন্দর চাঙমা
সাবাঙ্গী- সুনানু সুকিরণ চাঙমা
সাবাঙ্গী- সুনানু নীশিতা চাঙমা
সাতজন সাবাঙ্গী নিনেই এক্কো অতজিমপুর কমিতি বানা অইয়ে। কোই কোইয়ে যদক্কন তুজিমপুর কমিতি বানা ন অয় এ কমিতিবো কাম গরি যেব।


রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কালা মেক


ইনজেব চাঙমা চারু

চাঙ যেবার জাগান্ ছারি ইধু আঘং জনমান গরি........।চাঙমা জাদর চাঙমা গানর বাজি থিয়ে বিজক, সুনানু রনজিৎ দেবানর এ গান্নু কিত্যাই গিয়্যা মুই মনে মনে আমল গরি ভাবং ইরুক দিনর দিন মাধান ভাবিনেই। ভাবং, সে অক্তত কধক সুগে এলাক, এলাক জধাবল। নএল কন রাদ। নএল চিদেচর্চা। রেত-বেল্যা নিপরভা গরি ঘুরিহ্ পারিদাক আদাম দিঘোলী। নিচিন্দে দুওর খুউলি ঘুম যেদাক নাক দোগরে দোগরে। মোন-মুরউন এলাক বলা - এ্যাইল। ছরাছরি এল ঝলপল্যা - মাচ, কাঙরা ঝালাব্বর। বেল ডুবিলে, সাচ লামিলে পোতপোত্যা জুন পহ্র ফুদিলে মোন আদামত চিঙে, কেঙগরঙ আ ধুদুক্ রয়ে ভরি উদি দগাবুয্যা-গাবুরীর আজিয়ে গুজুরী উদিদ হুয়োঙ। সে আলুল্লো-দুলুল্লো, দিয়োন-সিয়োন, সাত্ নাল্ সুদলোই বেরেয়্যা সুগর কধা রিঝেঙর ছরা পানি নালে চর চর গরি বেই যেই বর গাঙর মিজি পেইখ কিজিক-কাজাকর ঘুম ভাঙি যেদ’ মুরুল্যা দেঝর (হিল্চাদেগাঙ) মানেইউনর। মনর সুগে, চিদর সুগে, আজি-রঙে, উচ্যপুচ্য কামত যেদাক।
অভাব অনটন নথানার সমাচ এল পহ্ন-ঝাঙঝাঙ্যা। কন জনে বেনালত থেলে বেগে উজে এ উদ্দোর গরন। হিংসে-পিজুম্ নথানার বিচের আচার নেই কলে চুয়াই। আদামর কার্ব্বায্যা কধায় চলিদাক্। এক আরি জুম্ খবিলে গোদা বজর ঝালাব্বর গরি দিন্ তোরে দিদাক্। কার্র তচ্যা-পেরাচার নেই। এ্যাইল এ্যাইল তারুবন। যিন্দি চোক যায় এক রিনি চেবার মনে অয়। পিবির পিবির বোইরে ধান পাগানা তুম্বাসে চিত জুরেই যায়, যায় মন গুলি। এ্যাইল এ্যাইল আগজত ধুপ ধুপ মেঘচাগা দূর আগাজত কত্তা কত্তা গরি ভাজি যায়; অত্তে অত্তে বুদ্দছবি আ অত্ত এ্যাদো সান দেঘা যায়। এদক্যা দিনত্থুন সুনানু রনজিৎ দেবানে সুর তুলে চাঙ যেবার জাগান্ ছারি ইধু আগং জনমান্ গরি........।
মাত্তর ইক্যে! নেই সেই গানর সুর, এ্যাইল তারুম্বন অই উদিলাক ডাঙডাঙ্যা-তাককুল। নেই সেই পেইখ কিজিক কাজাক। মাদি অহ্’ল নাধা। পাধার থিয়্যা জুম কাবিলে ২/৩ মাচ গঙাদে এ্যাত্খাত্ যায়। ছরাছরিত্ পানি নগঙায়; অল সাঝা। আয় তুংগোবী মলগে কাঙরা ধরা যেই......সিত্যাই এ গান্নু নগান। ইরবান দিনেই দুয়োর বানা পরে। সমাচ ওই এল কুলুক। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন নঅনার দিন্ দিন মুরুল্যা চাগালা মানেইউনর দুগে দুগে দিন গঙাদন। যেই ভূই এল সিয়ানি তারা ভাগত নেই। কারি নিলাক সেটেলার বাঙালুনে। সে থানেথমকে মুরুল্যা মানেউন ইক্কে নাদংছারা। ঝার থোন-পাত্ বিজি বিজি জীংকানি তোরাদন। নানাঙ আইন তারারে পাগচ্যা-পরসাল্লো ঘিচ্ছে। জন সংহতি সমিতি আইন, জন সংহতি সমিতি (এম.এন.লারমা) আইন, ইউপিডিএফর আইন, কাব্বার্রী/হেডম্যান/রাজা আইন, জনপ্রতিনিধি আইন, আর্মি আইন আ সরকারী আইনর শিঙোলর বান্যা আঘন। নপাত্তন মুজুঙে আক্কোই যেই, পাত্তন মুরি। সিত্যাই, দিককাভুল অই মনর দুগে মদ-জুয়ো খারাত মিজি আগে পুরন-নুঅ পিরিহ্। 

আমাত্তুন মুজুঙে আক্কোই যা পরিব



           “নিজ’ ভাচ, নিজ’ লেঘা, নিজ’ গীত- ন’ জানিলে ন’ থায় চিত্” -এই নকবাচ্যা কধাআনর মেইত আমি এয ন’বুঝি, বুঝিবার ন’ চেই। সিত্তেই জাদর দুক্ক-দযা তিগুচ্যা বিনি আধা গুরি বাজি আঘে। এচ্যা আমার বেক্কান রাহ্’ত। পানি রাহ্’ত, ভাদ রাহ্’ত, শিক্ষে রাহ্’ত আ চিকিচ্ছে রাহ্’ত আহ্ জাগা রাহ্’ত। কধ গেলে রাহ্’দর কন থুম নেই।


                   মুই এ’বজর (এপ্রিল ৪, ২০১৬ইং) ২৮নং রেংকার্য্যা মুউজ পাগলা মাজন আদামত চাঙমা লেঘা শেঘানা পোইদেনে সে আদামত্ যিয়োঙ। পাকালা মাজন কার্বায্যা দাঙগু লক্ষী বিকাশ চাঙমালোই মুজুঙো-মুজুঙি অলুঙ। তাত্তুন পুজোর গরল্লে তেহ কল, “আর্মা ভাত-পানি রাহ্’ত” আজলে মুই আঝা গচ্ছোঙ তেহ্ জাদর লেঘা, চাঙমা লেঘা শিঘানা রাহ্দ’ কধা কব। আ মুইয়্য সিয়ান আঝা গরানা বজং বাদে কিচ্ছু নয়। আমা সমাজত এই কধায়ান পাগত গুরি কন “পেত থিক দনিয়ে থিক।” যে জাগাত্ ভাত-পানি রাহ্’ত সে জাগাত অন্য কিজু আঝা গরানা নিজরে হ্’েমান সান ভাবঙর। নানাঙ কধাবাত্তায় খবর পেলুং তারা সিয়োত (মেরুং ইউনিয়নর ভিদিরে) কায়-কুয় গুরি তিনান আদাম আঘে (পাকাল মাজন পাড়া, জান্দিমুড় আ মধ্যেছড়া/শিবঙ্গ পাড়া আ ১০০-১১২গিরি থান)। এই আদামানি খাগাড়াছড়ি উপজেলা সিমিনেত। ১৯৮৫খ্রিঃ ১৯শে ডিসেম্বরত রঞ্জনমণি কার্বারী আদম্যা মানেইউনরে আর্মি-বাঙালে কাবিলে পরান বাজেবাত্যাই তারা ২৯নং ছোট মেরুং ভূইয়োছড়া আদামত্তুন পাকালা মহাজনপাড়া, জান্দিমুড় আ মধ্যেছড়াত ধেই যেই কন বাবত্যাই বাহ্ বানি আঘন। ইরুক দিনত পাকালা মাজন পাড়াত এক্কান প্রাইমারি ইশকুল (সরকারর ঘোষিত ৩য় ধাপ) থিদব্বর গরল্লেয়্যু কন টিবিল-বেঞ্চ নেই। বানা কাগজত কলম্মোই লেঘা আঘে পাগলা “মহাজন পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়”। ইক্কুলত চের জন মাষ্টর থেলেয়্যু তারা ক্লাস ন গরন। ক্লাস ন’ গরানা কারন অলদে বেতন ন’ পান আ মাষ্টরুন ঘরানি চৌধুরী পাড়া (ইক্কুলত্তুন ৮/১০কি.মি. দুরত)। সিত্যাই, আদাম্যেউনে বজর কিরিজ গরি এক্কো পারন দ্বি’বে পারন প্রাইভেত ইজেবে মাষ্টর রাঘান। এক্কো বটগাজ তলে একছালাগুরি ৮- ১২ আহ্দ লাম্বা-বাধি ইশকুল ঘরান। মাধা উগুরি রাঙা-এ্যাইল এক্কান বাবদা পতপত গুরি উড়ে।

           কধাবাত্তা কধে কধে কার্বায্যা মরে গাদিম্ নিনা পুজর গরল্ল। ইক্কে গাদদে গেলে ৩/৪ ঘন্টা লাগিব’। কিত্যাই, ঝুরিত পানি নেই। ঝুরি ভিদিরে ইক্কুগুরি মরোঙত পানি থায় সিয়োত ১০/১২ গিরিয়ে লারছার গরন। সে মরোঙয়্য নালমরা। বেল্যামাধান অলে বেগে কামত্তুন এযন, পানি কজা যান, গাদন। তেহ্ কল, তারা পোত্যা রাধা দাগত ঘুমত্তুন উদি পানি কযা যা পরে। দিরি অলে বাদা ন’ পায়।

           আ জুম্! জুম গুরি গুরি কয়বি ধান গলাত তুলি পারন। ইন্দি কাবদে খেই পুরান। এক্কান কধা আগে, “ভাদ মাজ্যা ক’বুয়ো গিরি”। ইক্কে সিয়ান নেই। ইয়ানি দ্বি’চোগে ন’ দিঘিলে বিশ্চেস ন’ এযে। পার্দা থিয়্যা জুম্ নেই। বেক জগলা অই যিয়্যা। ছড়া-ছড়িত পানি নেই। নেই চিঙে-ঢুধুক বানেবার বাচ। বেজ দেরি ন’ অল’, ২০০০সালত এই আদামানিত মজা ঘর এল। অজল অজল পিবেক কাবিয়্যা গলা ঘর। ইক্কে! চিওন চিওন ভাঙা মাত্যা ঘর। সিত্যাই, দাঙগু কার্বায়্যার চাঙমা লেঘা রাহ্’দ কধা কধ ন চায়। সিয়ান তা চোগত দাঙর নয়, দাঙর অলদে বেন্যা বেল্যা ইধে পাদা ফেলে পারিলে দ্বি’ চোক কাদি পারল্লে অয়।

             বানা তারা এ’দজাত নয়। তারা সান্যা বেগোদো মানেই এধক্যা দুগত দিন কাল তোড়াদন। নেই থিদ’। বান্দর সান এ’মুড়ত্তুন ও মুড়ত জুম কাবি কাবি জীংকানি তোড়াদন। ঝার থোনপাত বিজিবিজি কন বাবদে পরানানি তোড়াদন। যা ওক্! ইয়ান গেল জনম দুগী মানেয়োর কধা। 

            এচ্যে যারা লেঘা-পড়া শিঘি চাগরী-বাগরী গত্তন তারা দ জাদর বারবো দরপ্পানিত্ চোক নেই। পিনোন্ -খাদি লারছার ন’গরিনেই সেলোয়ার-কামিজ-শাড়ী,  জাদর লেঘা ন’ শেঘেনেই বাংলা-ইংরেজী, আমন ভাচ ন’ শেঘেনেই পর ভাচ লারছার গরি। সে জাত দুগত ন’ থেব’ কন জাত দুঘত থেব’??? কধা আগে “আমন ভাচ আমনর লেঘা আমনর গীত- ন’জানিলে ন’থায় চিত্”। এচ্যা সেনে আমাত্তুন চিত নেই, নেই পরান্! বেইয়ে বেইয়ে রুগরুক্যা। সিত্যাই দাঙগু নুয়োরামে হোই যিয়ে,“ অজল পাগজ্যা নিজ ঝুপ্, দিন দিন পরেল্লি হুলি যুগ। হুলি যুগত্ সত্য নেই বুক ছিরি দেঘেলেয়ু বিশ্চেস নেই”।

                    ত্যুয় মর ইরুক দিনর পড়োয়া ভেই-বোনুনরে দিঘি বুক ভরি যার। অন্তত তারা কিয়োঙত গেলে পিনোন-খাদি পিনোন। পিনোন খাদি পিনিনেই ছবি ইুদ ফেসবুকত পেইজ খুলদন, আমনর লেঘা, আমনর ভাচ লারছার গত্তন। আর এক্কান সুগর খবর অলদে, গেল্লে ০৭/১২/২০১৬ খ্রি:দিঘীনালা ডিগ্রী কলেজর এক্কো ভেই রেত মরে ফোন দিন্যাই চাঙমা লেঘা বই আঘন নিনা তালাচ লর। তারা নিনা চিৎমরঙ ইদু শিক্ষা সফরত যাদন। সিদু যারা যারা যেবাক তারারে চাঙমা লেঘা বই বুক্সিচ (উপহার) দিবাক। ইয়ান খামাক্কাই জাত্তোরে মুজুঙে আক্কোই নিবার দাঙর ধক। আ নানাঙ জাগাত চাঙমা লেঘা কোর্স চালু অয়্যা। এই ধারবু মুজুঙে উজে যোক - থিদ’ ওক। লেঙে লেঙে, ফোপে ফোপে অলেয়্যু যে যেঙরি পারে তে সেঙরি জারত্তাত্যাই কাম গরা পরিব’। দাগে হোই যিয়ন, “ কালা বেঙেনা হ্’েদ দাত খায়”।  ইক্কে গুরি একদিন আমি আমা জাত্তোরে তজিমপুর গরি পারিবং। 
***
এক কালে চাঙমা কলে পিত্তিমি গিরগিরাই। যিন্দি যায় সিন্দি নাকশাফুল তুম্বাচ সান চাঙমা নাঙ সিদি পরেধনে-জনে-গিয়ানে, বুদ্ধিয়ে, কজাল-বলিয়্যা কনকিত্তে উনলাক দুক নএলতচ্যা, পেরাসানি নএলএল বানা সুক আ সুক। মাত্তর, সে পতপত্যা শাক্য জাদর মানুচ আমি চাঙমাউন বিজগর নানা ঘুলন্যাত পাক খেনেই ইক্যে নানাঙ দেঝত, নানাঙ জাগাত সিদি পরি আঘি। ভারত-বাংলাদেচ-বার্মা আ নানান দেত অইনেই জাত- বেজাতর চাবত পরিনেই আহ্রে ফেলের আমার বেক দোলদোল সুদোম আনি। বেক কিঝু আহ্রেনেই ইক্যে বানা ছলঙান্নোই আঘি।সিত্তেই লারমা আভিল্যাচ খেই কল’- “আমার বার গরিবা কিচ্ছু নেই।
ইক্যে আঘে বানা ধম্মআন। অঝাপাত্তোয়্য ধীমে ধীমে অই আঘে। ভাচ্চান লুঘি যার। এ দিয়েন আমার আরাঙ সম্পত্তি বুঘত ধরি রক্ষে গরি ন পারিলে চাঙমা জাত একদিন পিত্তিমীত্তুন আহ্যি যেবগোই, ইআন খামাক্কাই।


একমাত্র চাঙমা ওক্কোরুনেই পিত্থিমির বুঘোত ইক্কো জুদো জাত ভিলি আমারে চিন দি পারে দেঘা যার বাংলা দেঝত বাঙালাউনর পরে চাঙমা, এক নম্বর, মিজোরামত দি নম্বর আ তিবুরাত তিন নম্বর ভাঝর গুত্থি অহ্না সত্তেয়্য আ বাংলাদেঝর আন্তজার্তিক মাভাঝর দিন আবিষ্কার গরিনেইয়্য অন্য ভাঝর কিত্তে সেধক্যে সরকারে চোক নদেয়।  ভারদ সেন্সাস রিপোর্টত চাঙমানরে একখান আলাদা ভা ঈজেবে ধরা ন অহ্য়। ধরা অহ্য়দে বাংলার একখান উপভাষা ঈজেবে। ভারদ লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটিজ কমিশনেয়্য চাঙমান আলাদা ভা ঈজেবে স্বীগের ন গরে। উত্তর-পূ ভারদর ট্রাইবেল ভাষানির সরকারী লিষ্টোতয়্য চাঙমা ভাচআনর নাঙ নেই। বার্মা ৮০ আহ্জার চাঙমা আঘন তারা দ’ বাংলা কি ন’ চিনন। ভাচ্চানিয়্য কুরি পেল্লোন।

ইয়েনির বেক্কানির কারন অহ্লদে আমার লেঘা-লেঘিত চাঙমার বদলে বাংলা ওক্কোরুন লারচার গরানাহ্। আমি যুনি আগেত্তুন ধরিনেই আমা লেঘা-লেঘিত চাঙমা ওক্কোরুন বেচ গরি লারচার গরি এধঙ সালে পত্থমত্তুন ধরিনেই চাঙমান আলাদা ভা ঈজেবে স্বীকৃতি পেই এলুন আ আমা ভাষাআন ভালে গরিবাত্যেই নানা বাবদর বলাবলো বে পেলঙুন। আজলে বাঙালা ওক্কোরুন আমি যেধক দিন সঙ লকফক গরি থেবং সেধক দিন সঙ আমার টিলা বাঙালবন্নামানো ন যেবআ চাঙমা ভাষাআনয়্য আলাদা ভা ঈজেবে স্বীকৃতি ন পেভ



এচ্চে আমি চাঙমাউন তিন দেঝর নানা বামত ছিদেছিত্যে ওহ্ই আঘিই। দে ফারক, দেঝর রিদিসুদোম ফারক, পরিবেশ, শিক্কে ফারক ইয়েনিয়ে আমারে ফারক গরার আরবে গরিআমা বাংলা ওক্কোরোর মিজোরাম-অরুনাচলত পড়ি ন পারন আ তারা লেখ্যা রোমান অহ্রক চাঙমাআনি পড়িলে আমি ভাচ জরেই ন পারিই। আলে হন ইক্কো জাদে দি বাবদর অহ্রক ন দিন গজিলোই ন পারন। আর যদি লন্নে অহ্য় সিয়েন অহ্বতারার নাত দি মরানার সান।
ভাঝর কধা আ জদার কধা কলে গৌতম বুদ্ধরে ইধোত উদে। বিরূঢ়ক রাজা যক্যে শাক্য বংশউনরে কাবিবাত্তে যার যক্যে গাঙ কুলত বোই এল’। সিআন দেঘি রাজা ভাবিল বুদ্ধ জ্ঞাতি কুলদি বাজের। সে পরে আর’ একবার কাবিবাত্তে যেল’। সক্যে এক্কো মরা গাঝত তরে বোই এল’ দেঘি পুঝর গরল্ল, ও গোজেনঝুবুর গাঝ তলে বোই ন’ থেই কিত্তে মরা গাঝত তলে আঘচ। বুদ্ধ কল, ‘জ্ঞাতি ছাবা সান দাঙর ছাবা নেই’। এ কধা মুনি রাজা আর’ ফিরি এল। আ বুদ্ধ যক্যে ধর্ম প্রচার গচ্ছে  সে অক্তত বুদ্ধ পুরন’ বৈদিক-সংস্কৃত ভাচ এল বলবলা আ দপদবা। সে ভাচ্চোই ধর্ম প্রচার ন’ গরি পালি আ মগদি ভাচ্ছোই ধর্ম প্রচার গচ্ছে। মাত্তর, দগ কধা ইরুক যারা বুদ্ধ পুয়ো দাবি গরন তারারে সেধক্যে দেঘা ন’ যায়। অথচ, মগ ভান্তেউন তারা তারার ভাচ্ছান পত্তিক কিয়োঙে কিয়েঙে শেঘেই বাজে রাঘেয়্যন।


বিজগত নাঙ গিন্যে আঘে যে আমা জাত্তো প্রায় ৬০০ বঝর আগে দৈংনাক্যা, আনক্যা, তোঙতোঙ্যাএ তিন ভাগে ভাক ওহ্ই যেয়ে। য়েক দিন পরে আমার ভিদিরে হয়ত জনম লভবাংলাদেচ্যে চাঙমা, ভারত্যা চাঙমা, মিজোরাম্যা, অরুনাচল্যা চাঙমা এবাবদর আর নুও নুও ধেলা। একমাত্র অঝাপাত্তোই পারিবো আমারে এ মরনর পধত্তুন ফিরেই আনি। একমাত্র চাঙমা লেঘার রেগাদি পারিলেই মিলি পারিবোঙ আমি দৈং নাক্যা-আনক্যা-তোঙতোঙ্যায়। মিলি পারিবোঙ দেজ কুল্যা- অরুনাচল্যা- মিজোরাম্যা-তিবুরাকুল্যায়, বার্মাকুল্যয়। সালেই আমি বল বলাগরি নাঙ কোলেই পারিবোঙ অহ্য় আমি শাক্য জাদর মানু আমি হন জনত্তুন হিত্যেদি উন নয়।
তাবিত (সূত্র): ফেসবুক।


সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৯

রাঙামাত্য জেলাত বাঘাই ছড়ি উপজেলা ১৯৬ জন চাঙমা লেঘা পর্বোয়াউনরে সার্টিফিকেট দিয়্যা অইয়ে’



চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা ডেস্ক: নিজর, জাদর, দেঝর দোল দোল পাজানি ধরি রাঘেবাত্তে যার যার ভাচ, ওক্কোর, সাহিত্য আ রিদিসুদোমানি বেচ বেচ গরি লারচার গরানা গরচ আঘে কধা আন কোইয়োন কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজত চাঙমা লেঘা পর্বোয়াউনরে সার্টিফিকেট দেনা পোইদ্যানে আহ্’জিল অইয়ে কধগীউনে।
গেলে ২৬ জুলাই ২০১৯ খ্রি: রাঙামাত্যা জেলাত বাঘাইছড়ি উপজেলাত নিধুকতুক্যা বিদ্যা ঘর কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজত চাঙমা সাহিত্য বাহ্- বাঘাইছড়ি উপজেলা আ কাজালং সরকারি ডিগ্রি কলেচ ধেলা উদ্দোগে চাঙমা লেঘা পর্বোয়াউনরে সার্টিফিকেট দেনা পোইদ্যানে এক্কান দাঙর কেজ্জো অই যেল’।
কেেেজ্জা আনত নকবাচ্যা গরবা- দাঙগু দেব প্রসাদ দেবান (অধ্যক্ষ, কাচালং সরকারি কলেজ), আ মুলুক গরবা- চাঙমা সাহিত্য বাহ্’র সল্লাদার, লেঘিয়্যা, কবি, কাচালং কলেজ’ সাত্থু দাঙগু লালন কান্তি চাঙমা, কাচালং মডেল গার্লস হাই ইক্কুল দাঙর সাত্থু (প্রধান শিক্ষক), কবি দাঙগু ভদ্র সেন চাঙমা, বিটি হাই ইক্কুল দাঙর সাত্থু দাঙগু ধর্ম রাজ চাঙমা, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি দাঙর কাবিদ্যাঙ দাঙগু ইনজেব চাঙমা আ ইন্টান্যাশনাল ইন্ডিজিনিয়াস হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন অফ কানাডা সংস্থার কাবিল কাবিদ্যাঙ (সদস্য সচিব) দাঙগুবি রুপসী চাঙমা রুপাদাঘী।

বেন্যা মাধান ১০ টা কেজ্জোআন আরকানি গরা অয়। এ কেজ্জোআনত খলানানু চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বাঘাইছড়ি উপজেলা ধেলা জধানানু দাঙগুবি স্বর্ণা চাঙামা। এক্কো চাঙমা গান গেইনে কেজ্জোআন আরকানি গরা অইয়ে। এ পরেদি পাত্তুরুতুরু কধগী দাঙগু অন্তর চাাঙমা কধা কনা আ পর্বোয়াউন মন’ কধা ভাঙি কনা আ নকবাচ্যা গরবা কধগীর কধা থুম অনার সমারে ১৯৬ জন পর্রোয়ারে সার্টিফিকেট আ ১২ জনরে (যারা পজিশন ১-৩) সার্টিফিকেট দেনা সমারে বুকশিচ দিয়্যা অইয়ে।
শেজেদি খলানানু দাঙগুবি স্বর্ণা চাঙমা বেক্কুনরে, যারা ঘর’ সাত কাম ফেলে এ কেজ্জোআন সরিত অই ভালেদি গজ্জোন তারারে আ যারা এ কামানিত এজাল দেদন তারারেয়্য ইধোত তুলি বারবাঙানে নাঙ গিনি পাত্তুরুতুরু আ ঝু ঝু জানেই খলা থুম গরি দিল’।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...