শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭

ভাষা জাতীয় স্বকীয়তার প্রতীক। আর বর্ণমালা হলো তার অন্যতম ধারক ও বাহক। (চাঙমা লেখা শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট বিতরন অনুষ্ঠানে বক্তারা)




দিঘীনালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুসময় চাঙমা বক্তব্য রাখছেন।
ভাষা জাতীয় স্বকীয়তার প্রতীক। আর বর্ণমালা হলো তার অন্যতম ধারক ও বাহক। কেননা বর্ণমালার মধ্যে দিয়ে জাতীয় বুদ্ধি ও চিমত্মা-চেতনা বিকাশ ঘটে। চাকমাদের বর্ণমালা থাকার এবং বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা হওয়ার সত্বেও সে প্রাণ প্রিয় বর্ণমালা ও ভাষা চর্চা না থাকার বা না  শেখার ২০১৭ সালে মাননীয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পাঁচটির ভাষার প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব ভাষা বই দেওয়ার সত্বেও শিক্ষক/শিক্ষিকারা পড়াতে পারছেনা। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। বলাবাহুল্য, এক সময় নিজস্ব বর্ণমালার ব্যবহার গ্রামের বৈদ্যদের তালিকশাস্ত্র ছাড়া আর কোথাও লজ্জাজনক ভাবে অনুপস্থিত। তেমনি ইদানিং, চাঙমা বর্ণমালা শিক্ষা বই যেখানে সেখানে পাওয়ার সত্ত্বেও এখনো পর্যমত্ম চাঙমা সুধী মহলে কাছে তার প্রভাব পরিলক্ষিত দেখা না গেলেও  কলেজ  ও স্কুলে ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে নিজ ভাষা ও বর্ণমালা শিখার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বলে আশা ব্যক্ত করেন  চাঙমা লেখা শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট বিতরন অনুষ্ঠানে বক্তারা।

আজ সকাল ১০টায় বাবুছড়া ফেন্ডশিপ স্কুলে‘‘ত্রিশতিন জাতির ভাষার পারদর্শী হওয়া একটা মহৎ গুণ কিন্তু, তার আগে নিজ ভাষা ও বর্ণমালার সম্বন্ধে জ্ঞান থাকার অত্যমত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ।’’ এই শেস্নাগানে মুখরিত করে  আজ দিঘীনালায় উপজেলায় বাবুছড়া ফ্রেন্ডশিপ স্কুলে চাঙমা লেখা শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিঘীনালা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান দাঙগু সুসময় চাঙমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আবুল কামাল আজাদ, এস আই বাবুছড়া পুলিশ ফাঁড়ি; চাঙমা ভাষায় লেখক সদস্য(জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ) দাঙগু আনন্দময় চাঙমা; চাঙমা সাহিত্য বা এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং উপন্যাসিক দাঙগু দেবপ্রিয় চাঙমা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অরম্নণ বিকাশ চাঙমা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক দাঙগু জ্যোতি ময় চাঙমা প্রমুখ।
দাঙগুবী  শ্রেয়সী চাঙমা উপস্থপনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দাঙগু ইনজেব চাঙমা সাধারণ সম্পাদক, চাঙমা সাহিত্য বা ও সাঙু পাঠাগার
এর প্রতিষ্ঠাতা। অনুষ্ঠান শুরুতে ত্রিপিটক পাঠ করেন দাঙগুবী প্রত্যাশা চাঙমা(৯ম শ্রেণী ছাত্রী, উদাল বাগান হাই স্কুল)। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিতব করেন, দাঙগু তিমির বরণ চাঙমা, প্রধান শিক্ষক, বাবুছড়া ফ্রেন্ডশিপ স্কুল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দাঙগু ইনজেব চাঙমা বলেন, এবছর ৯১৮জনকে নিজ বর্ণমালা সম্বন্ধে ক্লাশ করানো হয় এরই মধ্যে কৃতকার্য্যা হয়েছেন মাত্র ৩১৮জন। ২০১৫ সালে ২৭১জন ও ২০১৬ সালে ৫৭জনকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি চাঙমা সাহিত্য বা, সাঙু পাঠাগার ও চাঙমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী উদ্যোগে আয়োজন  করা  হয়েছে।


সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭

ধনপুদি! ইনজেব চাঙমা চারু



ধনপুদি!
তুই এধক্যে কি বারিযে দেবাসান উরগুম্যা গরি থাচ,
দ্বি চোগ পাদা এক ন গরচ
রেত-দিন কি চেই আঘচ
দগিন মুখ্যা ম’গরি?
থেপ থেপ ঝরি পরের লো
চিমচিম্যা ডুলুবাজ ধুলুগত ঘা অয়্যা
জাদর কজমা বুগত;
সিআন্নোই কি চিদে গরি আঘচ?
ধনপুদি!
তুই ন কানিচ,
চিদে ন’ গরিচ,
দাদা রাধামনে ফিরি এব,
মা’ মেদেনী হিল চাদেগাঙরে
আঘ সান ফিরি পেবং।
সক্যে,
চেঙে মিঙিনি কাজালং পানি নালে বাজি যেব জাদর দুগ
এ্যাইল এ্যাইল তারুম বন এ্যালেব
গাজে গাজে ফুল ফুদিোক
ভমরা উরিবাক, পেইকে চিদ সুগে গীত শুনেবাক।
ধুদুক হেঙগরঙ চিঙে র’য়ে ভরি উদিব
সাজ লামিলে আজু নানু পজ্জন শুনেবাক,
চিদ-মন সুগ নুয়ো বো গাঙত যেবাক।
ন থেব দরদর থর থর
হিলর আভা পিরিব।





রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭

এসো হে বীর জুম্ম

এসো হে বীর জুম্ম, বীজলীর মতো
ঘরের কোণে বসে থাকোনা আর সুপ্ত মতো।
প্রভাত যখন এসে থাকে আধার যায় দূরে
সূর্য্য উঠিলে সকলকে আলোদান করে।
এসো জুম্ম বীর তোমরা জুম্ম জাতীয় প্রাণ
রক্ত দিয়ে মাতৃভমির রাখিবে জাতীয় মান।
সুপ্ত বীজের মতো শুয়ে থাকনা ঘরের কোণে
জ্ঞানের প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে তোমরা তাকাও মাতৃভূমির দিকে।
অত্যাচারে জর্জরিত নিপিড়নে কত?
নির্যাতনে অবহেলীত আছে জুম্ম জাতি যত।
এসো বীর জুম্ম বীরের পরিচয় দাও,
বীর বলে গর্ব করে বসে না থেকো।
বাঘের বাচ্চা বাঘ হয়, হয়না তো শৃগাল,
চিংড়ি বাচ্চা চিংড়ি হয় সেতো না মৃগাল।
জুম্ম জাতীয় মান জুম্ম জাতীয় প্রাণ
চাপা দিয়ে রাখিয়াছে বাংলার উগ্র মসুলমান।
ভয় নাই ভয় নাই এসো হে,
বীর জুম্ম জাতির জোয়ান,
রক্তের বদলে আনি আমরা স্বাধীনতামান।


হে তরুন!


হে তরুন! তোমরা নিশ্চয় জানো
শোষণ মুক্ত আলোকজ্জ্বল কল্যাণময়
ন্যায় নিষ্ঠা জীবনই জীবন;
তবু কেন খাঁচায় আবদ্ধ পাখির মতো
জীবনকে করেছো তিলে তিলে ক্ষয়।

হে তরুন! তোমরা তো প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর
অফুরন্ত প্রাণ শক্তি অধিকারী,
অসত্য অন্যাকে পদদলিত করে
পরাধীনতা শৃঙখল ভেঙ্গে;
সত্য সুন্দর সমাজ গড়বে পৃথিবী।
হে তরুন! নদীর বহমান ধারা মতো
সামনে হেঁটে চলো অবিরাম,
তোমরা তো পৃথিবীর অবিচল শক্তি
দমে যেওনা স্থির হয়ে থেকোনা,
নির্যাতীতা শোষিত জুম্ম জাতিকে
দিতে হবে ত্রাণ।
হে তরুন! হাজার প্রতিকলতাকে দু’পায়ে মারিয়ে
দুঃসাহসিকতা সাথে দুর্জয়কে কর জয়,
বিপদ সংকুল অন্ধকার পেরিয়ে
জ্ঞানে মশাল জ্বালিয়ে
আলোকজ্জ্বল কর চট্টলাকে।
হে তরুন! তোমরা জাতির আশা ভরসা
জুম্ম জাতির শক্তির মূল উৎস
সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ জাতি সন্ধান দিতে
তুমিও একমাত্র হাতিয়ার।
(১৯৯৯খ্রিঃ ছাত্র জীবনে লেখা)

শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৭

বানা চাঙমা ভাচ নয়, বাংলা দেশ অইন্যাই বাংলা ভাচআন ইরুক দিনত দাঙর উমগি মুহত আঘে- মো: আবুল হাসেম ভূইঁয়া, মাটিরাঙ্গা সার্টিফিকেট দেনাখলাবোত





“ত্রিশতিন জাদির ভাচ পারানা এক্কান দাঙর গুন মাত্তর, বেগ আগে নিজ’ ভাচ্, নিজ’ লেঘা শিঘানা সাতকাম” এই মুলুক কধাআন মুজুঙে রাঘেই এচ্যে ৩নভেম্বর ২০১৭ই শুক্কবার বেন্যা মাধান ১০ অক্ত খাগাড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলাত বরঝালা সরকারী প্রাথমিক ইচকুলত সাঙু পাঠাগার আ চাঙমা সাহিত্য বা উদ্যোগে চাঙমা লেঘা পর্বোয়াউনরে সার্টিফিকেট দিয়্যা অয়্যা।
খলাবুত নকবাচ্যা গরবা এল মোঃ আবুল হাসেম ভূইঁয়া, কমিশনার, ৭নং ওর্য়াড মাটিরাঙ্গা পৌরসভা, দাঙগু সুভাষ চাঙমা(সাঃ সম্পাদক, বাঃ আওয়ামীলীগ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখা)মুলুক গরবা ইজেবে খলাবুত থেবার কধা থেলেয়্য নানাঙ অনটনে এ্যাই ন’ পারে। খলাবোত দাঙগু বিমল চাঙমা এ্যাই ন পারানা খলানানু বানা অয়্যা দাঙগু মঙ্গল কুমার চাঙমা। দাঙগু বৃষমোহন চাঙমা কধা কাবিলে খলাবো আরগানি গরা অয়।
চাঙমা সাহিত্য বা আ সাঙু পাঠাগার এওজি ইজেবে খলাবোত মু দেঘা যিয়ে, দাঙগু ইনজেব চাঙমা, বিকেন চেগে আ দাঙগুবী শ্রেয়সী চাঙমা।
নকবাচ্যা গরবা ইজেবে আবল হোসেমে কোইয়ে, বানা চাঙমা ভাচ নয়, বাংলা দেশ অইন্যাই বাংলা ভাচআন ইরুক দিনত দাঙর উমগি মুহত আঘে।তেহ্, বেক্কুনরে নিজ নিজ মা-ভাচ চচযা গরিবাত্তে কুজোলী গচ্চে।
খলাবো শেজে যারা পরিক্কেত পাম গচ্ছোন তারারে সার্টিফিকেট আ দাঙগু  ‍সুভাষ চাঙমা কধামজিম তা পক্কত্তুন যিবে ১ম রয়ে তারে ১৫০০ তেঙা ২য়- তারে- ১০০০ তেঙা আ ৩য় – ৫০০ তেঙা দিয়্যা অয়ে।
১ম অইয়ে- দাঙগুবী সুচমিতা চাঙমা, ২য় দাঙগুবী কাকলী চাঙমা, ৩য়- দাঙগু সোহে চাঙমা।

বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

ধর্ম-বর্ণ, সকল শ্রেণী, সকল পেশা সুধীজনের কাছে একটি আকুল আবেদন

আমরা একঝাঁক শান্তিশ্বেত পায়রা। দীর্ঘদিন যাবৎ চাঙমা বর্ণমালা ও ভাষাকে বিকশিত করার জন্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে চাঙমা লেখা কোর্স পরিচালনা করে আসছি। এভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে অভিজ্ঞতার আলোকে দেখেছি আমাদের মা-বোন, বাপ-ভাইয়েরা অত্যন্ত গরীব ও প্রান্তিক। ২০ টাকা দামে বই কিনে সামর্থ্যটুকু অনেকের নেই।
আপনা নিশ্চয়ই জানেন, ভাষা জাতীয় স্বকীয়তার প্রতীক। আর বর্ণমালা হলো তার অন্যতম ধারক ও বাহক। কেননা বর্ণমালার মধ্যে দিয়ে জাতীয় বুদ্ধি ও চিন্তা- চেতনা বিকাশ ঘটে। চাকমাদের বর্ণমালা থাকার ও বাংলাদেশে দ্বিতীয় ভাষা হওয়ার সত্বেও সে প্রাণ প্রিয় চাঙমা বর্ণমালা ও ভাষা চর্চা না থাকার বা না শেখার ২০১৭ সালে মাননীয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পাঁচটি ভাষার প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব ভাষা বই হাতে পেয়েও আমরা পড়াতে পারছিনা। এটা অত্যান্ত লজ্জার বিষয়। বলাবাহুল্য, এক সময় নিজস্ব বর্ণমালার ব্যবহার গ্রামের বৈদ্যদের তালিকশাস্ত্র ছাড়া আর কোথাও লজ্জাজনক ভাবে অনুপস্থিত। তেমনি ইদানিং, চাঙমা বর্ণমালা শিক্ষা বই যেখানে সেখানে পাওয়ার সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত সুধী মহলে কাছে তার প্রভাব তেমন পরিলক্ষিত হচ্ছে না।


অন্যদিকে ইউনেস্কো সর্তক করে দিচ্ছে যে, প্রতি চৌদ্দ দিনে একটি বিপন্ন ভাষা মৃত্যু বা বিলুপ্ত ঘটছে। ভাষা ব্যবহারকারীর সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের নিচে নেমে গেলেই ভাষা বিপন্ন হয়ে পড়ে বলে ভাষা গবেষকের মত। আবার সংখ্যাটি পঞ্চাশ হাজারের উপরে হলেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে যদি শিশু - কিশোরের সংখ্যা আনুপাতিক ভাবে কম হয়, সে ভাষা বাচিঁয়ে রাখার দুরূহ হয়ে পড়ে।
মর্মাহত হলেও সত্য যে, মাত্র একশ বছরের আগে বাংলাদেশের ভাষার সংখ্যা ছিল বায়ান্ন। একশ বছরে বিলুপ্ত হয়েছে দশটি ভাষা। বর্তমানে বাংলা বাদে যে একচল্লিশটি ভাষা টিকে আছে তাও অত্যন্ত ধুঁকে ধঁকে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী একুশ’শ সালের মধ্যে চাঙমা ভাষা বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশী।


তাই এমন এক স্বন্ধিক্ষণে আমরা তিন পার্বত্য জেলাতে কমপক্ষে বিশ হাজার স্কুলের প্রাণ প্রিয় ভবিষ্যৎ জাতির কর্ণধারকে আগামী ১লা জানুয়ারী ২০১৮ইং ‘‘সাঙু’’ নামে চাঙমা লেখা শিক্ষা বইটি বিনামূল্যে হাতে তুলে দিতে সকল পেশা, সকল শ্রেণীর কাছে দু’হাত পেতে সহযোগিতা চাচ্ছি। আপনাদের ১০টাকা ভবিষ্যতে একটি জাতির ভাষা পৃথিবীর বুকে চির প্রতিষ্ঠিত হবেই – হবে।



[বিদ্র: যে ২০টি বই প্রকাশের খরচ দিবেন তাঁদের নাম(পরিচিতি) বইটিতে প্রকাশ করা হবে। আর ০৮টাকা হতে যত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য থাকে দেওয়া যাবে। এক কপি বইয়ের খরচ পড়বে ৮ টাকা। বইটি কভারসহ ৩০পৃষ্ঠা। যে ব্যক্তি বাংলা পড়তে জানে সে সহজে এই বইটির মাধ্যমে চাঙমা লেখা আয়ত্ত্ব করতে পারবে।বানান রীতিসহকারে দেওয়া হয়েছে।]

বিকাশ নং- ০১৯১-৬৯৯৩২২২, ইনজেব চাঙমা; ০১৮২-৮৮২৪৯৩৯ – শ্রেয়সী চাঙমা

নিবেদক
“সাঙ- ২০১৭” প্রকাশনা পরিষদ

সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭

আমরা আশাবাদী- বিশ্বাসী যে, আপনি-আপনারা সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে একটি ভাষাকে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠাতার জন্য অবদান রাখবেন।




            আমরা একঝাঁক শান্তি শ্বেত পায়রা। দীর্ঘদিন যাবৎ চাঙমা বর্ণমালা ও ভাষাকে বিকশিত করার জন্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে চাঙমা লেঘা কোর্স পরিচালনা করে আসছি। এভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে অভিজ্ঞতা আলোকে দেখেছি আমাদের মা-বোন, বাপ-ভাইরেরা অত্যমত্ম গরীব-প্রান্তিক। ২০ টাকা দামে বই কিনে সামর্থ্যটুকু অনেকের নেই।
          আপনা নিশ্চয়ই জানেন, ভাষা জাতীয় স্বকীয়তার প্রতীক। আর বর্ণমালা হলো তার অন্যতম ধারক ও বাহক। কেননা বর্ণমালার মধ্যে দিয়ে জাতীয় বুদ্ধি ও চিমত্মা-চেতনা বিকাশ ঘটে। চাকমাদের বর্ণমালা থাকার এবং বাংলাদেশে দ্বিতীয় ভাষা হওয়ার সত্বেও সে প্রাণ প্রিয় বর্ণমালা ও ভাষা চর্চা না থাকার বা না  শেখার ২০১৭ সালে মাননীয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পাঁচটির ভাষার প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব ভাষা বই দেওয়ার সত্বেও আমরা পড়াতে পারছিনা। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। বলাবাহুল্য, এক সময় নিজস্ব বর্ণমালার ব্যবহার গ্রামের বৈদ্যদের তালিকশাস্ত্র ছাড়া আর কোথাও লজ্জাজনক ভাবে অনুপস্থিত। তেমনি ইদানিং, চাঙমা বর্ণমালা শিক্ষা বই যেখানে সেখানে পাওয়ার সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত চাঙমা সুধী মহলে কাছে তার প্রভাব পরিলক্ষিত দেখা যাচ্ছে না।
          অন্যদিকে ইউনেস্কো সর্তক করে দিচ্ছে যে, প্রতি চৌদ্দ দিনে একটি বিপন্ন ভাষা মৃত্যু বা বিলুপ্ত ঘটছে। ভাষা ব্যবহারীর সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের নিচে নেমে গেলেই  ভাষা বিপন্ন হয়ে পড়ে বলে ভাষা গবেষকের মত। আবার সংখ্যাটি পঞ্চাশ হাজারের উপরে হলেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে যদি শিশু-কিশোরের সংখ্যা আনুপাতিক ভাবে কম হয়, সে ভাষা বাচিঁয়ে রাখার দুরূহ হয়ে পড়ে।
          মর্মাহত হলেও সত্য যে, মাত্র একশ বছরে আগে বাংলাদেশের ভাষার সংখ্যা ছিল বায়ান্ন। একশ বছরে বিলুপ্ত হয়েছে দশটি ভাষা। বর্তমানে বাংলা বাদে যে একচলিস্নশটি ভাষা টিকে আছে অত্যন্ত ধুঁকে ধঁকে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী একুশ’শ সালের মধ্যে চাঙমা ভাষা বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যান্ত বেশী।
             তাই এমন এক স্বন্ধিক্ষণে আমরা তিন পার্বত্য জেলাতে কমপক্ষে বিশ হাজার স্কুলের প্রাণ প্রিয় ভবিষ্যৎ জাতির কর্ণধারকে আগামী ১লা জানুয়ারী ২০১৮ইং ‘‘সাঙু- ২০১৭’’ নামে চাঙমা লেখা শিক্ষা বইটি বিনামূল্যে হাতে তুলে দিতে সকল পেশা, সকল শ্রেণীর কাছ হতে  দু’হাত পেতে সহযোগীতা চাচ্ছি এবং আমরা আশাবাদী-বিশ্বাসী যে, আপনি-আপনারা সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে একটি ভাষাকে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠাতার জন্য অবদান রাখবেন।
                                                                                  

বিকাশ নং- ০১৯১-৬৯৯৩২২২-ইনজেব চাঙমা; ০১৮২-৮৮২৪৯৩৯শ্রেয়সী চাঙমা।

                                                                          
                                                                                                                               নিবেদক
                                                                                                                  সাঙু- ২০১৭ ফগদাঙি পরিষদ

শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৭

একটি আকুল আবেদন

আমরা একঝাঁক শান্তিশ্বেত পায়রা। দীর্ঘদিন যাবৎ চাঙমা বর্ণমালা ও ভাষাকে বিকশিত করার জন্যের বিভিন্ন প্রত্যান্ত অঞ্চলে গিয়ে চাঙমা লেখা কোর্স পরিচালনা করে আসছি। এভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে অভিজ্ঞতা আলোকে দেখেছি আমাদের মা-বোন, বাপ-ভাইরা অত্যন্ত গরীব - প্রান্তিক। ২০ টাকা দামে বই কিনে সামর্থ্যটুকু অনেকের নেই।
আপনা নিশ্চয়ই জানেন, ভাষা জাতীয় স্বকীতার প্রতীক। আর বর্ণমালা হলো তার অন্যতম ধারক ও বাহক। কেননা বর্ণমালার মধ্যে দিয়ে জাতীয় বুদ্ধি ও চিন্তা- চেতনা বিকাশ ঘটে। চাকমাদের বর্ণমালা থাকার ও বাংলাদেশে দ্বিতীয় ভাষা হওয়ার সত্বেও সে প্রাণ প্রিয় চাঙমা বর্ণমালা ও ভাষা চর্চা না থাকার বা না শেখার ২০১৭ সালে মাননীয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পাঁচটির ভাষার প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব ভাষা বই হাতে পেয়েও আমরা পড়াতে পারছিনা। এটা অত্যান্ত লজ্জার বিষয়। বলাবাহুল্য, এক সময় নিজস্ব বর্ণমালার ব্যবহার গ্রামের বৈদ্যদের তালিকশাস্ত্র ছাড়া আর কোথাও লজ্জাজনক ভাবে অনুপস্থিত। তেমনি ইদানিং, চাঙমা বর্ণমালা শিক্ষা বই যেখানে সেখানে পাওয়ার সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত সুধী মহলে কাছে তার প্রভাব পরিলাক্ষিত দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে ইউনিরস্কো সর্তক করে দিচ্ছে যে, প্রতি চৌদ্দ দিনে একটি বিপন্ন ভাষা মৃত্যু বা বিলুপ্ত ঘটছে। ভাষা ব্যবহারীর সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের নিচে নেমে গেলেই ভাষা বিপন্ন হয়ে পড়ে বলে ভাষা গবেষকের মত। আবার সংখ্যাটি পঞ্চাশ হাজারের উপরে হলেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে যদি শিশু - কিশোরের সংখ্যা আনুপাতিক ভাবে কম হয়, সে ভাষা বাচিঁয়ে রাখার দুরূহ হয়ে পড়ে।
মর্মাহত হলেও সত্য যে, মাত্র একশ বছরে আগে বাংলাদেশের ভাষার সংখ্যা ছিল বায়ান্ন। একশ বছরে বিলুপ্ত হয়েছে দশটি ভাষা। বর্তমানে বাংলা বাদে যে একচল্লিশটি ভাষা টিকে আছে অত্যান্ত ধুঁকে ধঁকে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী একুশ’শ সালের মধ্যে চাঙমা ভাষা বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যান্ত বেশী।
তাই এমন এক স্বন্ধিক্ষণে আমরা তিন পার্বত্য জেলাতে কমপক্ষে বিশ হাজার স্কুলের প্রাণ প্রিয় ভবিষ্যৎ জাতির কর্ণধারকে আগামী ১লা জানুয়ারী ২০১৮ইং ‘‘সাঙু’’ নামে চাঙমা লেখা শিক্ষা বইটি বিনামূল্যে হাতে তুলে দিতে সকল পেশা, সকল শ্রেণীর কাছে দু’হাত পেতে Sponsor চাচ্ছি। আপনাদের ১০টাকা ভবিষ্যৎ একটি জাতির ভাষা পৃথিবীর বুকে চির প্রতিষ্ঠিত হবেই – হবে।
[বিদ্র: যে ৫০টি বই প্রকাশে খরচ দিবে তাঁদের নাম(পরিচিতি) বইটিতে প্রকাশ করা হবে। আর ০৮টাকা হতে যত টাকা দেওয়ার আগ্রহ থাকে দিতে পারবেন। এককপি বইয়ের খরচ পড়বে ৮ টাকা।বইটি কভারসহ ৩০পৃষ্ঠা। যে ব্যক্তি বাংলা পড়তে জানে সে সহজে এই বইটির মাধ্যমে চাঙমা লেখা আয়ত্ত্ব করতে পারবে।বানান রীতিসহকারে দেওয়া হয়েছে।]
বিকাশ নং- ০১৯১-৬৯৯৩২২, ইনজেব চাঙমা; ০১৮২-৮৮২৪৯৩৯ – শ্রেয়সী চাঙমা।
“সাঙু” প্রকাশন কমিটি – ২০১৭ইং
সাঙু - ২০১৭
প্রকাশনা পরিষদ
১। কেভি দেবাশীষ চাঙমা - জধানানু (বোয়াল খালী, মিঙিনিকুল)
২। ইনজেব চাঙমা - এজাল জধানানু(বোয়াল খালী, মিঙিনিকুল)
৩। রিকন চাঙমা- এজাল জধানানু(দিঘীনালা, মিঙিনিকুল)
৪। বিকেন চাঙমা - দাঙর কাবিদ্যাঙ(মেরুং, মিঙিনিকুল)
৫। রিটন চাঙমা - এজাল কাবিদ্যাঙ(মালছড়ি, চেঙেকুল)
৬। শ্রেয়সী চাঙমা - এজাল কাবিদ্যাঙ(বাবুছড়া, মিঙিনিকল)
৭। এলিয়েন্স চাঙমা- ফগদাঙি কাবিদ্যাঙ(বোয়ালখালী, মিঙিনিকুল)
৮। সুমঙ্গল চাঙমা - এজাল ফগদাঙি কাবিদ্যাঙ(পানছড়ি, চেঙেকুল)
৭। এনিকা চাঙমা - সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
৮। ধর্ম বিকাশ চাঙমা - সাবাঙ্গী(সাজেক, কাজালংকুল)
৯। ম্যাকলিন চাঙমা - সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
১০। রিয়া চাঙমা- সাবাঙ্গী,(কবাখালী, মিঙিনিকুল)
১১। জুঁই চাঙমা - সাবাঙ্গী(দিঘীনালা, মিঙিনিকুল)
১২। সুমন চাঙমা - সাবাঙ্গী (লক্ষীছড়ি, ধুরুংকুল)
১৩। শ্যামল চাঙমা - সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
১৪। সোনা মণি চাঙমা - সাবাঙ্গী(বাবুছড়া, মিঙিনিকুল)
১৫। সুফল চাঙমা - সাবাঙ্গী(করল্যাছড়ি, মিঙিনিকুল)
১৬। জেকি চাঙমা - সাবাঙ্গী(দিঘীনালা, মিঙিনিকুল)
১৭। প্রত্যাশা চাঙমা - সাবাঙ্গী(দিঘীনালা, মিঙিনিকুল)
১৮। বিশ্বজিৎ চাঙমা - সাবাঙ্গী(কবাখালী, মিঙিনিকুল)
১৯। মানব চাঙমা - সাবাঙ্গী(মারিশ্যা, কাজালংকুল)
২০। প্রিয়সী চাঙমা - সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
২১। লাকি চাঙমা - সাবাঙ্গী(বোয়াল খালী, মিঙিনিকুল)
২২। পরেশ চাঙমা- সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
২৩। সুস্মিতা চাঙমা - সাবাঙ্গী(মেরুং, মিঙিনিকুল)
২৪। নভেল চাঙমা - (কবাখলী, মিঙিনিকুল)
২৫। অপ্রমিয় চাঙমা- সাবাঙ্গী (বোয়ালখালী , মিঙিনিকুল)
২৬। সুবল চাঙমা- সাবাঙ্গী (দিঘীনালা , মিঙিনিকুল)
২৭। বিনা চাঙমা- সাবাঙ্গী (দিঘীনালা , মিঙিনিকুল)
২৮। পরমিকা- সাবাঙ্গী (দিঘীনালা , মিঙিনিকুল)
২৯। জোসিনা চাঙমা- সাবাঙ্গী (দিঘীনালা , মিঙিনিকুল)
৩০। সুমত্রি চাঙমা –সাবাঙ্গী (মেরুং, মিঙিনিকুল)
৩১। সুনীল বিকাশ চাঙমা -(মেরুং, মিঙিনিকুল)
সাঙু পাঠাগার আ চাঙমা সাহিত্য বা
উপদেষ্টা পরিষদ আগামী ২/১ দিন পর প্রকাশ প্রকাশ করা হবে।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...