এক বুক আঝা বুগত বানি এযং ফিরি
দিঘিম তরে ঘরত
তুই দ’ নেই, নেই পিত্তিমীত
বানা আঘে, আঘে তর নিঝেনী।
চোগে রিনি ন’ পাচ্যে পদত আহ্’জি গেলে তুই
ফিরি ন’ এভে কন’ দিন, কন’ কাল
ত্যুঅ বুগত থায় আঝা
দ্বিচোগত থায় সবন
দিঘিম তরে মর ভাঙা ঘরত।
[১৭ জানুয়ারি ২০২১ খাগাড়াছড়ি কলছড়িত্তুন ফিরি]
রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১
আঝা থায় বুগত- সুনানু ইনজেব চাঙমা
শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১
এয বেগে মা-ভাঝর লাড়েইয়ত সরিত ওই - সুনানু ইনজেব চাঙমা, জধানানু, চাঙমা সাহিত্য বাহ্, গরা কিমিতি।
সুনানু বাসন্তী চাঙমা কধা কর (সংরক্ষিত মহিলা আসন ৯, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সদস্য) |
ইরুক পিড়িউন তারা তারার মা-ভাঝর র’উন ন’ বুঝন। তার এক্কান দাঙর কিত্যা অহ্’লদে চিগোনত্তুন ধরি আমি ভিন জাদর ভাচ্ছোই লেঘা শিঘি পেই। গেল্লে নভেম্বর মাঝত খাগাড়াছড়ি কুকিছড়া “দ্যা হিলম্যান যবু ক্লাব” এ চাঙমা লেঘা কোর্স আরগানি গরা অইয়ে। সিয়োত চাঙমা লেঘা শেঘা যেনেই এক্কো পর্বোয়ারে “খেংগরং” লেঘা বাজেই দিন্যাই তে মত্তুন পুজোর গরের “খেংগরং” সিয়ান কি? বর নিঝেত ইরি দিন্যাই খুজি মনে তারে কলুং “চাঙমাউননর এক্কান বাদ্যযন্ত্র”। বানা সিয়ান নয় কন কন পর্বোয়া মোন ঘর ন’ চিনন, ন’ চিনন মজা ঘর। সালেন আমি চাাঙমাউন কুধু পরি আঘি আঝা গরং দোলে গরি বুঝি পারির। ইক্যে আমা ভাচ ওক্কোর থেনেই আমি বাংলারে ভর দিন্যা নিজ’ ভাচ, নিজ’ লেঘা শিঘি পেইর। এ দুক কন্না বুঝির?
ইয়ানি ভাবদে ভাবদে ইগত গরি ইধোত উদিল’ ম জিধু কোইয়ে এক্কান কধা। তে দোলে গরি কয়- “ভাত খায় ভিলিন তে কি মানুচ?” ভাত দ’ বহুত পরান বলা খান। আজলে দোল এক্কান কধা। জাত দ’ কোলেই। এক্কো জাদর ভাচ, আল্যাক, রিদিসুধোম, দেচ, অধিগার থায়। আমার দ’ বেক এল’। এল রাজা আ সাধিন দেচ। মাত্তর ইক্কে কিচ্ছু নেই। ন’ থানার কিত্যা দ’ থেই পারে। সিয়ান ইয়োত কবার ন’ চেইম। কবার চাঙর- পার্বত্য চুক্তি নাঙে আমারে কি আজলে “মোহিনী” বান মারা অইয়ে? গম ভান্যা ন’ চিনির, শত্রু-মিত্র ন’ চিনির। দিক কাভুল ওই ভেইয়ে ভেই মারা-মারি গরি নানান দলর সমারে মিজি আঘি। যে যেই দল গরির সে দলরে দাঙর ভাবির। কধা আঘে- “যার নুন খায় তা গুন গা পরে।” ইক্কে গরি আমি আমা আরাং আরাং দাবিয়ানি চিদত্তুন আজি যার। সেনে নিজ’ জাত্তোরে বানা মুয়েদি কোচ পেই, কাম বেলায় কিচ্ছু নেই।
সুনানু শতরুপা চাঙমা (চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার আ খাগাড়াছড়ি জেলা পরিষদ এ সাবাঙ্গী) |
ইক্যে কধা উদোক ১৮৬০ সালর। সক্কে ব্রিটিশউনে পার্বত্য চট্টগ্রাম দঙল গরানা পর তারা লেঘা পড়া গরিবার পত্তম এক্কান ইক্কুল চালু গচ্ছোন চট্টগ্রাম বের্ডিং ইক্কুল নাঙে। সিয়োত বাংলা-ইংরেজি সমারে চাঙমা আ মারমা ভাচ পড়া অহ্য়। মাত্তর, আমা চেলাউন ন’ চানা ম-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘানা বন্ধ অই যায়। চাঙমাউন কবালত ন’ ফুদিল ঝিগে ফুল। সে পরে ১৯৩৭-৩৮ সালত হারবার্ট ফ্রেডারিক মিলাররে রাঙ্গামাটি হাই ইক্কুলর মুরখাম/প্রধান শিক্ষক আ পার্বত্য চট্টগ্রামর শিক্ষা বিভাগর ডাইরেক্টর বানা অলে চাঙমা ভাচ্ছোই লেঘা শিঘার জু গরি দে। সক্যেয়্য সুনানু কামিনী মোহন দেবানদাঘি মা-ভাচ্চোই লেঘা শিঘান ন’ চানা চাঙমাউনর কবালত আর দুক লামি এল।
এ পর এল পাকিস্তান আমল। ১৯৫৯ সালর কধা। সক্যে চাঙমা-মারমা ভাচ্ছোই লেঘা শিঘানা জু এল’। সুনানু নুয়োরাম চাঙমার “পত্তম শিক্ষা বই” নাঙে এক্কো চাঙমা লেঘা বই ইক্কুলর কারিকুলামত রাঘা অইয়ে। সিয়োতয়্য দেবান দাঘি খদার পাদারি থানা চাঙমাউন আর মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘানা ন’ অহ্’য়। বারবাঙানে চাঙমাউন নিজ’ মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘানা জু পানার পরয়্য নমিজিল্যা দেবানদাঘি ন’ চানার এচ্যে চাঙমাউন দাঙর এক্কান জাদর চিত কলজ্যা আমাত্তুন আহ্’জি যার।
বাংলাদেচ জনম অহ্’ল ভাঝর লাড়েইত্তুন। যুনিও ভাঝর লাড়েইত্তুন জনম অহ্’য় বাংলাদেঝে ন’ চাই এ দেঝর আদিবাসীউন যা যা মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘদোক। তে বুগে দিল মরামচ্যা গরি তারা বাংলা ভাচ্ছান। কারি নিল জুম্ম জাদর অধিগার। আরগানি অহ্’ল জাদর মুক্তি লাড়েই। আহ্’রেলং শত শত বাপ-ভেই, মা-বোন। ওই পেলং ভারদত শরনার্থী। দ্বি যুগত্তুন বেচ লো খরচ গরি, ঘাম ঝরে পেলং জুম্মউন এক্কান সনদ যা পার্বত্য চুক্তি নাঙে চিনপচ্য্যে। এ পার্বত্য চুক্তি ৩৩ নং ধারাত লেঘা আঘে জুম্মউনরে মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘানা কধা। মাত্তর পার্বত্য চুক্তি ১৮ বঝর পর দেঝর পাচ্ছান ভাঝর বই পেলেয়্য এয কন ইক্কুলত মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘানা জু ন’ অহ্য়। গেল্লে বঝর তিতিয় শ্রেণি সং মা-ভাঝর বই বাংলা সরকারে কোটি কোটি তেঙা খরচ গরি ছাবার। মাত্তর! সে সুফল কুধু, কমলে পেবং কন’ খবর নেই।
ও বাপ-ভেই, মা-বোন লক! আমি বানা সরকাররে দুচ দিলে ন’ ন’ অভ’। তে দ’ দায়ত্ব পরিনেই কোটি কোটি তেঙা খরচ গরি পার, আমারে কোচ পেনেই নয়। ইয়ান আমাত্তুন বুঝা পরিব।
তুমি চ’ জাতীয় শিক্ষা নীতি মালা- ২০১০ পোতপোত্যা গরি লেঘা আঘে দেঝর আদিবাসীউনরে মা-ভাচ্ছোই লেঘা শেঘান। সে নীতিমালা ৭ বঝর পর বানা বই ছাবেল’। মাত্তর! সরকাচ্যা কন’ সাত্থুয়া ন’ দের। আ যে সাত্থুয়া আঘন তারায়্য ন’ পাত্তন পড়েই। রাঙামাত্যাত লাক লাক তেঙা খরচ গরি ট্রেনিং দিয়্যা অর সাত্থুয়াদাঘি। ত্যুঅ চিঝিদাঘি মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘি ন’ পাদন। উভত কি ভেজাল আঘে আমি বেগে আন্দাচ গরি পারির। সেনে যারা নিজরে কোচপেই তারা খামাক্কাই জাত্তোরে কোচ পেবং। সালেন জাত্তোরে কোচ পেলে নিজে চাঙমা লেঘা শিঘিবং আ অন্য জনরে শেঘেবং আ শিঘিবার উচ্চোমি তুলি দিবং।
চাঙমা সাহিত্য বাহ্ উদ্যোগে চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স ফাংফগদাং
চাঙমা সাহিত্য বাহ্ উদ্যোগে চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স ফাংফগদাং
বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১
এচ্যে দিন্নো খুব সাতকাম। এ দিন্নো ইধোত থেব’। তুমি যে কামান গরি যর, জাত বাজেবাত্যাই। এ কামান এমপি মন্ত্রী অলেয়্য গরানা সম্ভব নয়, যা তুমি নিআলচি গরি কাম গরি যর কধায়ান কোই বাংলাদেঝর সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত মহিলা আসন নং- ৯) পৈনাঙি মানবলা সুনানু বাসন্তী চাঙমা।
সুনানু বাসন্তী চাঙমাদাঘি কধা কনা অক্তত ছবি তুল্যা - সুনানু সুপায়ন চাঙমা |
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা ডেস্ক: এচ্যে দিন্নো খুব সাতকাম। এ দিন্নো ইধোত থেব’। তুমি যে কামান গরি যর, জাত বাজেবাত্যাই। এ কামান এমপি মন্ত্রী অলেয়্য গরানা সম্ভব নয়, যা তুমি নিআলচি গরি কাম গরি যর কধায়ান কোই বাংলাদেঝর সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত মহিলা আসন নং- ৯) পৈনাঙি মানবলা সুনানু বাসন্তী চাঙমা।
২০৫০ ভিশন ভালেদি ওক- “ত্রিশতিন জাদির ভাচ পারানা এক্কান দাঙর গুন মাত্তর, তার আগে নিজ’ ভাচ, নিজ’ লেঘা শিঘানা সাতকাম” এচ্যে এ মুলুক কধায়ান মুজুঙে রাঘেই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি ধেলা তপ্পেত্তুন চেঙ্গী সারিবালা স্মৃতি মহাবিদ্যালয় (পুজগাং, পানছড়ি) হল রুমত ৯০ জন চাঙমা পর্বোয়াদাঘিরে সার্টিফিকেট দেনা খলাবোত নকবাচ্যা গরবা ইজেবে সরিত অইয়ে বাংলাদেশ একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য (মহিলা আসন নং- ৯) সুনানু বাসন্তী চাঙমাদাঘি, মুলুক গরবা ইজেবে আহ্’জিল এলাক- পানছড়ি উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান, চেঙে কুলর পৈনাঙি পুঅ মানবলা, সুনানু চন্দ্র দেব চাঙমাদাঘি, পানছড়ি উপজেলা অবিভাবক নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব তুহিদুল ইসলামদাঘি, জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্য পুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ এ চাঙমা
লেঘিয়্যা/লেখক সাবাঙ্গী/সদস্য, আল্যাকদারি, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার মানবলা সুনানু আনন্দ মোহন চাঙমাদাঘি, যার দোল কামত্যাই বাংলাদেঝর পৈনাঙি টিভি অনুষ্ঠান “ইত্যাদি” সুমুত্ত মানবাধিকার সংস্থাত্তুনয়্য সম্মাননা দিয়্যা অইয়ে সে মানবলা সুনানু চঞ্চল কান্তি চাঙমাদাঘি, লতিবান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কিরণ ত্রিপরাদাঘি, উল্টাছড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সুনানু বিজয় চাঙমাদাঘি, কাচালং কলেজ প্রভাষক, কবি, লেঘ্যিা মানবলা সুনানু লালন কান্তি চাঙমাদাঘি, বাংলাদেঝর পৈনাঙি উদ্যোগত্তা, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার মানবলা সুনান সুজন চাঙমাদাঘি, চাঙমা সাহিত্য বাহ্’রে কোচপিয়ে, কবি, নাট্যকার আ পানছড়ি বাজার হাই ইক্কুলর সাত্থ/শিক্ষক মানবলা সুনানু সবিতা চাঙমাদাঘি, চেঙ্গী সারিবালা স্মৃতি মহাবিদ্যালয়র মুরখাম/অধ্যক্ষ মানবলা সুনানু কিরণ চাঙমাদাঘি, চেঙ্গী সারিবালা স্মৃতি মহাবিদ্যালয়র এজাল সাত্থু/প্রভাষক মানবলা সুনানু স্মরণিকা চাঙমাদাঘি, সুনানু ইনজেব চাঙমা, জধানানু, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি। খলাবোত খলা গিরি গচ্যে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি ধেলা জধানানু সুনানু বিভাস চাঙমাদাঘি। আ খলা পজ্জোনিগিরি গরিলাক চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি দাঙর কাবিদ্যাঙ, সুনানু প্রজ্ঞা আলো তালুকদারদাঘি আ সাবাঙ্গী সুনানু চিত্তি চাঙমা দাঘি। মানগজনি কাগোচ্ছান পচ্যে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি ধেলা দপ্তর, তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ সুনানু রুপিয়া চাঙমাদাঘি। পাত্তুরুতুরু কধগী এল’ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি ধেলা দাঙর কাবিদ্যাং, সুনানু দেবতায়ন চাঙমাদাঘি।
মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২১
Chakma Alphabet ( Ajhapat ) by Sipcharan Sahity Kendra in Dhaka on 2004
Chakma Alphabet ( Ajhapat ) by Sipcharan Sahity Kendra in Dhaka on 2004
Chakma Alphabet ( Ajhapat ) by Sipcharan Sahity Kendra in Dhaka on 2004
Chakma Alphabet ( Ajhapat) by Lakshmi Bhusan Chakma, Arts and Culture Officer, Chakma Autonomus District Council at Mizoram in India on 1994
Chakma Alphabet ( Ajhapat) by Lakshmi Bhusan Chakma, Arts and Culture Officer, Chakma Autonomus District Council at Mizoram in India on 1994
সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২১
“আমি সে দিনর আঝায়- সুনানু ইনজেব চাঙমা
বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও কিংবদন্তি হেলেন কেলার - তানিয়া তুষ্টি সাইফ ইমন
বিভিন্ন মঞ্চে বক্তৃতার আয়োজন করতেন। দলে দলে লোক ভিড় করত সেসব অনুষ্ঠানে। তার বক্তৃতায় সূক্ষ্মতা ও চিন্তার গভীরতা দেখে মুগ্ধ হন শ্রোতারা।
কিছুদিনের মধ্যেই হেলেনের অসংখ্য অনুরাগী-ভক্ত তৈরি হলো। প্রচ- রাজনীতি সচেতন ছিলেন তিনি। নারীদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তিনি ছিলেন সোচ্চার। লিঙ্গগত বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানাতেন সবাইকে। মাত্র দুই বছর বয়সে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিত্ব বরণ করতে বাধ্য হলেও সংগীত উপভোগ করার এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল তার। আত্মজীবনীমূলক বই ‘The story of my life’ এ নিজের জীবনের বিপর্যয়, লড়াই ও ভালোবাসার জীবনচিত্র তুলে ধরেন তার অপূর্ব লেখনীতে। লোকের মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে তার নাম। তিনি কিংবদন্তি হেলেন কেলার।
নিরাশা থেকেও জন্ম নিতে পারেন হেলেন কেলাররা
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সম্পর্কে আমাদের একটি সাধারণ ধারণা হলো, তারা আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতো চলাফেরা করতে পারে না। জীবনের অর্জন বলতে কিছুই থাকে না। শুধু পরিবারের সবার ওপর তারা কেবলই বোঝা। কিন্তু এ ধরনের কিছু প্রচলিত ধারণাকে পাল্টে দিয়েছেন হেলেন কেলার। এক গভীর নিরাশা থেকেও জন্ম নিতে পারে তাদের মতো কিংবদন্তি। অন্ধ-বধির হয়েও কীভাবে মানুষ তার দেখা ও বোঝার ক্ষমতা দিয়ে আকাশ স্পর্শ করতে পারে, তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন হেলেন কেলার। তার পুরো নাম হেলেন অ্যাডামস কেলার। হেলেন কেলার ১৮৮০ সালের ২৭ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুবরণ করেন ১ জুন, ১৯৬৮ সালে। বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিত্ব নিয়েও মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি পর্যন্ত অর্জন করেন। তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করে গেছেন। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী। তার বাবার নাম আর্থার কেলার এবং মায়ের নাম কেইট অ্যাডামস। মাত্র ১৯ মাস বয়সে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবা-মা আদরের মেয়ের জীবনের আশা ছাড়তে পারেননি। চিকিৎসা করা শুরু করেন। বহু চিকিৎসার পর হেলেনের জীবন হয়তো রক্ষা পায়, কিন্তু তার কথা বলা, শোনা এবং দেখার শক্তি চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায়। শিশুকাল থেকেই হেলেন কেলার একাধারে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিত্বের শিকার হয়ে বহুমুখী প্রতিবন্ধিত্ব নিয়েই বড় হতে থাকেন। তার বয়স যখন মাত্র ছয় বছর তখন বাবা-মা তাকে ওয়াশিংটনের প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী, টেলিফোন আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের কাছে পরামর্শ গ্রহণের জন্য নিয়ে যান। হেলেন কেলারকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তিনি বলেন, হেলেন আর কোনো দিন চোখে দেখতে পাবে না এবং কানেও শুনতে পাবে না। তবে গ্রাহাম বেল হেলেন কেলারের তীক্ষè বুদ্ধিমত্তা দেখে অনুধাবন করেন পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে স্বাভাবিক জীবনের কাছাকাছি একটি সুন্দর জীবন ফিরে পাওয়া সম্ভব।
সমাজসেবা
নিজে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও সমাজের এই ধরনের মানুষের জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করেছেন। তার জীবদ্দশায় যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রেসিডেন্টের এবং আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, মার্ক টোয়েন, চার্লি চ্যাপলিনের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের সহায়তা পান। হেলেন ১৯১৫ সালে জর্জ কেসলারকে সঙ্গে নিয়ে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থাটি এখনো বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের অনুরোধে হেলেন কেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যুদ্ধাহত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাবিক ও সৈনিকদের দেখতে যেতেন এবং শান্তি ও আশার বাণী শোনাতেন।
রাজনৈতিক জীবন
রাজনৈতিক বিষয়েও অভিজ্ঞ ছিলেন হেলেন কেলার। এই বিষয় নিয়ে তিনি লেখালেখি করেছেন। তিনি ছিলেন আমেরিকান সোশ্যালিস্ট পার্টির সমর্থক। হেলেন সেখানে ১৯০৯ সালে যোগদান করেন। তিনি আয়ের সুষম বণ্টন দেখতে চাইতেন। ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অসমতার শেষ দেখাই ছিল তার ইচ্ছা। তার বই ‘Out of The Dark’-এ এই বিষয়ে বিস্তারিত রচনা লিখেছেন। ১৯১২ সালে তিনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ডে যোগদান করেন। হেলেন ছিলেন একজন শান্তিবাদী এবং তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার জড়িত থাকার বিরুদ্ধে ছিলেন।
সাহিত্যেও ছিল দখল
সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তিনি যেমন সমাজের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তেমনি সাহিত্যাঙ্গনেও রেখেছিলেন দক্ষতার ছাপ। হেলেনের রচিত বইয়ের সংখ্যা ১১টি। প্রধান বই হচ্ছে দি স্টোরি অব মাই লাইফ (১৯০৩), লেট আস হ্যাভ ফেইথ, দি ওয়ার্ল্ড আই লিভ ইন (১৯০৮), ওপেন ডোর ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে হেলেনের খুবই সুসম্পর্ক ছিল। হেলেনের সুখ্যাতি সম্পর্কেও রবীন্দ্রনাথ জ্ঞাত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অভিশপ্ত বিড়ম্বনা জীবনের বিষাদের ওপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রে তার নিজের ভূমিকায় তিনি নিজেই অভিনয় করেছেন। হেলেনর লেখা একটি কবিতা-
‘আমার দৃষ্টিদ্বয় তারা সরিয়ে নিল যেখানে যা হওয়া উচিত ছিল কিন্তু আমি স্মরণ করি মিল্টনের স্বর্গখনি,
আমার শ্রবণদ্বয় তারা সরিয়ে নিল যেখানে যা হওয়া উচিত ছিল বিথোভেন এসে মুছালো আমার চোখের পানি।
আমার জিহ্বা তারা সরিয়ে নিল যেখানে যা হওয়া উচিত ছিল যখন আমি ছোট ছিলাম ঈশ্বরের সাথে কত কথা,
সম্পূর্ণ পোষণ করি তিনি তাদের অনুমতি দেবেন না সরিয়ে নিতে আমার আত্মা।’
স্পর্শের অনুভূতি ছিল সূক্ষ্ম
হেলেন কেলারের অসামান্য কিছু প্রতিভা ছিল। যেমন- তিনি বাদ্যযন্ত্রের ওপর হাত রেখেই তাতে কী সুর বাজছে তা বলতে পারতেন। অথচ তিনি কিছুই শুনতে পেতেন না। বাদ্যযন্ত্রের তরঙ্গের সঙ্গে স্থাপিত হয় হেলেনের নিবিড় যোগাযোগ। ১০ বছর বয়সে নরওয়েতে উদ্ভাবিত পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে কথা বলা শেখেন হেলেন। এমনকি দীর্ঘদিন পরও কারও সঙ্গে হাত মেলালে বলে দিতে পারতেন লোকটি কে। তার স্পর্শের অনুভূতি ছিল অত্যন্ত সূক্ষ্ম। নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হেলেনের হাত স্পর্শ করে তাকে কবিতা পড়ে শোনাতেন। হেলেন বিশ্বকবির হাতের স্পর্শে অনুভব করতেন কবিতার শব্দমালা। এমনকি হেলেন কেলার নৌকাও চালাতে পারতেন। শুধু তাই নয়, নকশিকাঁথা সেলাই করতে পারতেন হেলেন। আর একজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই তিনি দাবা, তাস খেলতে পারতেন। বরং তার সঙ্গে বিপরীতে খেলাটা মোটেই খুব সহজ ছিল না। এই হেলেন অন্ধদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে গড়ে তোলেন নতুন নতুন সমিতি ও স্কুল। সমাজের বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও গণমানুষের সহায়তা অর্জনে আজীবন প্রচেষ্টা চালান। ‘হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল’ নামে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি এখনো কাজ করে যাচ্ছে। তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ১৯৭৭ সালে ‘আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দি ওভারসিজ ব্লাইন্ড’ গঠিত হয়। হেলেন এই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও পৃথিবীর বহু দেশের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সভা-সমিতিতে বক্তৃতা দিয়ে যা অর্থ পাওয়া যেত তা দিয়ে বিভিন্ন দেশে অন্ধদের কল্যাণার্থে ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন হেলেন। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য পেয়ে হাজার হাজার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ শিক্ষালাভ করেছে। নিজেকে সফলভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে। একজন সুস্থ সবল মানুষের জন্যও হেলেন একজন অনুপ্রেরণীয় ব্যক্তিত্ব।
কর্মযজ্ঞে অবিস্মরণীয়
প্রাথমিকভাবে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যখন জানা গেল হেলেন আর কোনোদিন চোখে দেখতে এবং কানে শুনতে পারবেন না। কিন্তু গ্রাহাম বেল হেলেনের তীক্ষè বুদ্ধিমত্তা দেখে বাবা আর্থারকে বলেন বোস্টনের পার্কিনস ইনস্টিটিউশনে হেলেনকে ভর্তি করে দেওয়ার জন্য। ডাক্তার হোর এই প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ ছিল অন্ধদের শিক্ষাদান। ডাক্তার নিজেই হেলেনকে স্নেহ দিয়ে লেখাপড়া শেখাতে শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ ডাক্তার হো মারা গেলে অ্যানি সুলিভ্যান ম্যানসফিল্ড নামের এক শিক্ষিকার হাতে যায় হেলেনের দায়িত্ব। অ্যানি অন্ধ এই শিশুকে স্পর্শের মাধ্যমে জগৎ চেনাতে লাগলেন। আলোর ছোঁয়া এবং অন্ধকারের অনুভূতির তফাৎ বোঝালেন। কল চালিয়ে হাতের ওপর বয়ে যাওয়া তরলকে চেনালেন ‘জল’ বলে। একে একে পরিচয় ঘটল তার সঙ্গে বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র, টেবিল, চেয়ার, বিছানা ইত্যাদির সঙ্গে। আস্তে আস্তে হেলেন অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সব শিখে নিতে থাকেন। লুই ব্রেইল আবিষ্কৃত ব্রেইল পদ্ধতির মাধ্যমে হেলেন লেখাপড়া শিখতে শুরু করেন। কয়েক বছরেই হেলেন ইংরেজি, ল্যাটিন, গ্রিক, ফরাসি এবং জার্মান ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তিনি ব্রেইল টাইপ রাইটারে লিখতে শেখেন। হেলেন ১১ বছর বয়সে এক বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে কথা বলার চর্চা করতে থাকেন। ধীরে ধীরে চিকিৎসার মাধ্যমে তার বাকশক্তি অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। ২০ বছর বয়সে হেলেন সাহিত্য, দর্শন, ধর্ম, ইতিহাসে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, ভর্তি হন র্যাডক্লিফ কলেজে। কলেজে পড়াকালীন তিনি লেখেন তার প্রথম আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘Optimism’। চার বছর পর তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিএ পাস করেন। কলেজে স্নাতক হওয়ার পর তিনি লেখেন তার জীবনের নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সাংবাদিক পেশায় তার কর্মজীবন শুরুর কথা। ১৯২২ সালে ডাক্তার বেলের মৃত্যুর পর তারই শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী হেলেন বেলের প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। অন্ধ শিশুদের নিয়ে কাজ করতে প্রায়ই হেলেন অন্ধদের জন্য নির্মিত বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শনে যেতেন। ১৯৩৫ সালে হেলেনের শিক্ষয়িত্রী ও সহযোগী অ্যানি সুলিভ্যান মৃত্যুবরণ করেন। অ্যানির এই মৃত্যুকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না হেলেন। জীবনের চলার পথের সঙ্গীকে হারিয়ে তার প্রায় পাগল পাগল অবস্থা। এর মধ্যেই শুরু হয় বিশ্বযুদ্ধ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের অনুরোধে হেলেন কেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যুদ্ধাহত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাবিক ও সৈনিকদের দেখতে যেতেন। তাদের শান্তি ও আশার বাণী শোনাতেন। যুদ্ধ শেষ হলে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বব্যাপী এক আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। ১৯৫০ সালে হেলেনের ৫০ বছরের কর্মময় জীবনকে সম্মান জানাতে প্যারিসে এক বিরাট সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। তখন তার বয়স পৌঁছে গেছে সত্তর এর কোঠায়। ১৯৫৯ সালে হেলেন জাতিসংঘ কর্তৃক বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ১১টি বই রচনা করেছেন তিনি। হেলেন কেলার এমনই এক নাম যা অন্ধ, বিকলাঙ্গ, প্রতিবন্ধী মানুষের কাছে আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। যুগে যুগে এই মহীয়সী নারীর রেখে যাওয়া দৃষ্টান্তই হোক সবার পথচলার মন্ত্র। প্রচ- ইচ্ছাশক্তি মানুষকে যে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হেলেন কেলার। শারীরিক সব অক্ষমতাকে প্রচ- মানসিক শক্তি দিয়ে জয় করে হেলেন হয়ে উঠেছিলেন একজন চিন্তাশীল-সৃষ্টিশীল মানুষ।
দ্য মিরাকল ওয়ার্কার
১৪ বছর বয়সে হেলেন কেলার ‘রাইট হামসন’ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর বিশ্ববিখ্যাত লেখক মার্ক টোয়েনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মার্ক টোয়েন তার বর্ণনায় হেলেন কেলারকে উল্লেখ করেছিলেন মিরাকল ওয়ার্কার হিসেবে। সারা বিশ্বের জন্য অনুপ্রেরণীয় এই মহীয়সী নারীকে নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি হয় ১৯৬২ সালে। যেখানে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন পেটি ডিউক। চলচ্চিত্রটির নামকরণ করা হয় মার্ক টোয়েনের সেই রচনা থেকে ‘দ্য মিরাকল ওয়ার্কার’। এই চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে। যার ফলে পরবর্তীতে দুইবার ছবি নির্মাণ করা হয় ১৯৭৯ ও ২০০০ সালে। যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে টেলিভিশনেও রিলিজ পায়। হেলেন কেলারের জীবনের সবচেয়ে কঠিন দিকগুলো অবলোকন করেছেন এবং নিজের মেধা আর অধ্যবসায় দিয়ে জয়ও করে নিয়েছিলেন। সেটাই চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয় চলচ্চিত্রে। হেলেনের শিক্ষয়িত্রী ও সহযোগী অ্যানি সুলিভ্যান চরিত্রটি পরবর্তীতে চিত্রায়ণ করেন পেটি ডিউক। প্রথম চলচ্চিত্রে এই চরিত্রে কাজ করেছিলেন অ্যানি বেনক্র্যাফট। সব চলচ্চিত্রই দর্শক এবং সমালোচকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।
রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১
ইধোত উদে তরে- সুনানু ইনজেব চাঙমা
পজিম মোনত রাঙা গরি পহ্’র ছিদিলে
ইধোত উদে তরে,
কুধু আঘচ কেঝান আগচ
সবন দেঘেচ মরে।
ও ও আওজোর কোচপানাবি
কুধু ফেলে যেলে মরে।
ঝুপঝুপ্যা দেবা ঝরত সাজি নালত
তুই মুই দ্বিজনে গাদিলং কধক
দেবাবো ঝর দিলে
সাজি পানি আহ্’দিলে
ইধোত উদে তরে।
ও ও আওজোর কোচপানাবি
কুধু ফেলে যেলে মরে।
চিকচিক্যা রাঙা বেলান
পজিম মোনত এলান দিলে
বুগত আঝা বানে
কাল্লো বুগি ফিরি এভে তুই।
ফাওনর আভা ফিরিলে বিঝু কায় এলে,
শুনং ত’ মিধে র’বো
পাজন তোন তগা যেবার
কুজোলী গরর মরে।
কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?
বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...
-
"পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন-১৯০০" চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট (পার্বত্য চট্টগ্রাম) রেগুলেশন ১৯০০ এখনো কার্যকর একটি আইন। এ রেগুলেশনটির ...
-
১ বাবুছড়া ক্যাম্পের অপরিসর আঙিনায় সৈনিকরা জলপাই রঙের ম্যাট বিছিয়ে রাইফেল পরিষ্কারে ব্যস্ত। প্রতিমাসে একবার গোটা ক্যাম্প জুড়ে চলে পরিষ্কার ঘষ...
-
বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...