শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

আদিবাসী অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ ঘোষণাপত্রঃ ipcalnews

 

অনুচ্ছেদ– ১: জাতিসংঘ সনদ, সার্বজনীন মানবাধিকারঘোষণাপত্র এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনসমূহে স্বীকৃত সকল প্রকার মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা ব্যক্তিগতভাবেই হোক অথবা সমষ্টিগতভাবে হোক, আদিবাসীদের পূর্ণাঙ্গভাবে উপভোগ করার অধিকার রয়েছে।


অনুচ্ছেদ- ২: আদিবাসী জনগোষ্ঠীসমূহ অন্য সকল জনগোষ্ঠী ও ব্যক্তির মতোই স্বাধীন ও সমান এবং তাদের অধিকার উপভোগ করার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে তাদের আদি উৎপত্তি অথবা পরিচয়ের ভিত্তিতে যেকোন বৈষম্য থেকে মুক্তি লাভের
অধিকার রয়েছে।

অনুচ্ছেদ- ৩: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর
আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার রয়েছে। এই অধিকারবলে তারা অবাধে তাদের  রাজনৈতিক মর্যাদা নির্ধারণ এবং  অবাধে তাদের
অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মপ্রয়াস অব্যাহত রাখতে পারবে। 

অনুচ্ছেদ- ৪: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার উপভোগের বেলায়, তাদের আভ্যন্তরীণ ও স্থানীয় বিষয়ে তথা স্বশাসিত কার্যাবলীর অর্থায়নের পন্থা ও উৎস নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাদের স্বায়ত্ত্বশাসন বা স্বশাসিত সরকারের অধিকার রয়েছে। 

অনুচ্ছেদ- ৫: আদিবাসী জনগন যদি পছন্দ করে তাহলে রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক
এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার রেখে
আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক, আইনগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অক্ষুন্ন রাখা ও শক্তিশালীকরণের অধিকার রয়েছে।


অনুচ্ছেদ- ৬: আদিবাসী ব্যক্তির জাতীয়তা লাভের অধিকার রয়েছে। 
 
অনুচ্ছেদ- ৭: ১. আদিবাসী ব্যক্তির তার জীবন, শারীরিক এবং মানসিক মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত
নিরপত্তা লাভের অধিকার রয়েছে।
 
২. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের স্বতন্ত্র জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বাধীনভাবে, শান্তিতে ও নিরাপদ ভাবে জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে এবং জোরপূর্বক একগোষ্ঠীর শিশুদের অন্য কোন গোষ্ঠীতে সরিয়ে নেওয়াসহ গণহত্যা অথবা অন্য কোন প্রকার সহিংস কর্মকান্ডের শিকার করা যাবেনা।
 
অনুচ্ছেদ- ৮: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে জবরদস্তিমূলকভাবে অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে একীভুত করা বা তাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করা যাবে না।
 
২. রাষ্ট্র আদিবাসীদের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত কার্যক্রম নিবৃত্ত ও প্রতিকারের জন্য কার্যকরী কর্মকৌশল গ্রহণ করবে- (ক) তাদের স্বতন্ত্র জনগোষ্ঠীর মর্যাদা বা সাংস্কৃতিক মূলবোধ কিংবা আত্মপরিচয়কে বিপন্ন করার লক্ষ্যে অথবা প্রভাবিত করে এমন যে কোন কার্যক্রম; (খ) তাদের ভূমি, ভূখন্ড অথবা সম্পদ থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে অথবা প্রভাবিত করে এমন যে কোন কার্যক্রম; (গ) তাদের অধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে অথবা প্রভাবিত করে এমন যে কোন জবরদস্তিমূলক জনগোষ্ঠী স্থানান্তর কার্যক্রম; (ঘ) যে কোন প্রকার একীভূতকরণ বা অঙ্গীভূতকরণ কার্যক্রম; (ঙ) তাদের বিরুদ্ধে জাতিগত কিংবা নৃতাত্ত্বিক বৈষম্য ত্বরান্বিত করা বা উস্কে দেয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিত যে কোন অপপ্রচারণা।
 
অনুচ্ছেদ- ৯: আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও ব্যক্তির তাদের ঐতিহ্য ও প্রথা অনুসারে আদিবাসী সম্প্রদায় বা জাতির সদস্য হওয়ার অধিকার রয়েছে। এই অধিকার উপভোগ করার ক্ষেত্রে কোন প্রকার বৈষম্য করা
যাবে না।
 
অনুচ্ছেদ- ১০: আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে তাদের ভূমি কিংবা ভূখন্ড থেকে জবরদস্তিমূলকভাবে উৎখাত করা যাবে না। আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে তাদের স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি ছাড়া কোনভাবে অন্য  এলাকায় স্থানান্তর করা যাবে না এবং ন্যায্য ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে সমঝোতা সাপেক্ষে স্থানান্তর করা হলেও, যদি কোন সুযোগ থাকে, পুনরায় তাদেরকে স্ব-এলাকায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১১: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রথা চর্চা করা ও পুনরুজ্জীবিত করার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে তাদের সংস্কৃতির অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ অভিব্যক্তি, যেমন প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক স্থান, শিল্পকলা, নকশা, অনুষ্ঠানাদি, প্রযুক্তি এবং সচিত্র ও অভিনয়
শিল্প ও সাহিত্য অক্ষুন্ন রাখা, রক্ষা এবং উন্নয়ন করার অধিকার অন্তর্ভূক্ত থাকবে।


২. রাষ্ট্র আদিবাসীদের সাথে যৌথভাবে প্রণীত কার্যকর কর্মকৌশল গ্রহণের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সম্পদ, যা আদিবাসীদের স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি ব্যতীত কিংবা তাদের আইন, ঐতিহ্য ও প্রথা লঙ্ঘন করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে সম্মানজনকভাবে পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে কার্যকর প্রতিবিধানের উদ্যোগ নেবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১২: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য, প্রথা ও উৎসব বিশ্বাস করা, পালন করা, উন্নয়ন করা এবং শিক্ষা প্রদানের অধিকার; তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানসমূহ অক্ষুন্ন রাখা, রক্ষা করা এবং একান্তভাবে চর্চার প্রবেশাধিকার; উৎসব আচারাদির বস্তসামগ্রী ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং তাদের পূর্বপুরুষের দেহাবশেষ ফিরিয়ে পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
 
২. রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে প্রণীত ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও কার্যকর কর্মকৌশলের মাধ্যমে উৎসব আচারাদির বস্তসামগ্রী লাভ করা এবং/কিংবা দেহাবশেষ ফিরিয়ে
পাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৩: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ইতিহাস, ভাষা, অলিখিত প্রথা, দর্শন, লিখিত পদ্ধতি ও সাহিত্য পুনরুজ্জীবিত করা, ব্যবহার করা, উন্নয়ন করা ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে হস্থান্তর করা এবং
জনগোষ্ঠী, স্থান ও ব্যক্তির নিজস্ব নামকরণ করা ও তা বহাল রাখার অধিকার রয়েছে। ২. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার যাতে রক্ষিত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য এবং আদিবাসীরা বুঝতে পারে ও বুঝতে সক্ষম হবে এমন রাজনৈতিক, আইনগত ও প্রশাসনিক কার্যপ্রণালী প্রয়োজনে অনুবাদের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৪: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা প্রদানের জন্য তাদের সাংস্কৃতিক রীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ পাঠদান ও শিক্ষাপদ্ধতি অনুসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং সেসবের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে। ২. আদিবাসী ব্যক্তির, বিশেষ করে আদিবাসী শিশুদের,  বৈষম্যহীনভাবে রাষ্ট্র প্রদত্ত সকল স্তরের ও সকল প্রকারের শিক্ষা লাভের অধিকার রয়েছে।


৩. রাষ্ট্র, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে, যারা তাদের সম্প্রদায়ের বাহিরে বসবাস করছে তাদেরসহ আদিবাসী মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের জন্য সম্ভবক্ষেত্রে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাষায় শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টির কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৫: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের মর্যাদাপূর্ণ ও বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও  আশা-আকাঙ্খা ধারণের অধিকার রয়েছে যা শিক্ষাব্যবস্থায় ও রাষ্ট্রীয় তথ্যভান্ডারে যথাযথভাবে  প্রতিফলিত হয়। ২. রাষ্ট্র আদিবাসী জনগোষ্ঠী এবং সমাজের অন্য সকল অংশের মধ্যে বিদ্বেষ প্রশমন করা ও বৈষম্য দূর করা এবং সহনশীলতা, সমঝোতা ও সুসম্পর্ক ত্বরান্বিত করার জন্য সংশিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনাক্রমে ও যৌথভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৬: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের নিজস্ব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার অধিকার এবং কোনরূপ বৈষম্য ব্যতীত অ-আদিবাসী জনগোষ্ঠী কর্তৃক পরিচালিত সকল প্রকার গণমাধ্যমে  প্রবেশাধিকার রয়েছে। ২. রাষ্ট্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যমে আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র যাতে যথাযথ প্রতিফলিত হয় তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কোনরূপ বাধা ব্যতীত মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে, আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র পর্যাপ্তভাবে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য রাষ্ট্র বেসরকারী মালিকানাধীন গণমাধ্যমগুলোকে উৎসাহিত করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৭: ১. আদিবাসী ব্যক্তি ও জনগোষ্ঠীর বিদ্যমান আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শ্রম আইনে স্বীকৃত সকল প্রকার অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে উপভোগ করার অধিকার রয়েছে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসী শিশুদের
ক্ষমতায়নের নিমিত্তে তাদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও গুরূত্বকে বিবেচনা করে তাদেরকে অর্থনৈতিক শোষণ থেকে এবং তাদের শিক্ষায় অনিশ্চিত কিংবা বাধাগ্রস্ত করে অথবা শিশুদের স্বাস্থ্য বা দৈহিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক বা সামাজিক অগ্রগতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন যে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে রক্ষার জন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনাক্রমে ও যৌথভাবে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৩. আদিবাসী ব্যক্তিকে কাজ, চাকরী বা বেতন-ভাতার ক্ষেত্রে কোন বৈষম্যমূলক শর্তারোপ করা
যাবে না।
 
অনুচ্ছেদ- ১৮: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে, তাদের অধিকারকে প্রভাবিত করবে এমন বিষয়ে, তথা তাদের নিজস্ব আদিবাসী সিদ্ধান্ত-নির্ধারণী
প্রতিষ্ঠান অক্ষুন্ন রাখা ও উন্নয়নের জন্য, সিদ্ধান্ত নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ১৯: রাষ্ট্র আদিবাসীদের প্রভাবিত করতে পারে এমন আইন প্রণয়ন কিংবা প্রশাসন সংক্রান্ত
পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পূর্বে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি নেয়ার জন্য তাদের প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আন্তরিক সদিচ্ছার সাথে আলোচনা ও সহযোগিতা করবে।
 
 অনুচ্ছেদ- ২০: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের জীবন-জীবিকা ও উন্নয়নের নিজস্ব ধারা নিশ্চিত করার জন্য এবং তাদের ঐতিহ্যগত ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্বাধীনভাবে নিযুক্ত থাকার জন্য তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা বা প্রতিস্থান বজায় রাখা ও উন্নয়নের অধিকার রয়েছে।
২. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের জীবন জীবিকা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে বঞ্চনার শিকার হয়েছে তার
ন্যায্য ও নিরপেক্ষ প্রতিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। 
 
অনুচ্ছেদ- ২১: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন তথা শিক্ষা, কর্মসংস্থান, কারিগরি প্রশিক্ষণ, আবাসন, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা লাভের অধিকার রয়েছে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার অব্যাহত উন্নতির নিশ্চয়তা বিধানের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ এবং প্রয়োজন ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আদিবাসী প্রবীণ, যুব, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও প্রয়োজনীয়তার প্রতি সবিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
 
 
অনুচ্ছেদ- ২২: ১. এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের সময় আদিবাসী প্রবীণ, যুব, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের
অধিকার ও প্রয়োজনীয়তার প্রতি সবিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসী নারী ও শিশুরা যাতে সকল প্রকার সহিংসতা ও বৈষম্য থেকে রক্ষা পায় ও তা নিশ্চয়তার সাথে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করে তার নিশ্চিত করার জন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। 
 
অনুচ্ছেদ- ২৩: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের উন্নয়নের অধিকার প্রয়োগের জন্য অগ্রাধিকার বিষয় ও কর্মকৌশলের নির্ধারণ ও প্রণয়নের অধিকার রয়েছে। আদিবাসীজনগোষ্ঠীর বিশেষ করে স্বাস্থ্য, আবাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড যা তাদেরকে প্রভাবিত করে, সেগুলোর উন্নয়ন ও নির্ধারণের জন্য এবং যথাসম্ভব তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমে এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য সক্রিয়ভাবে জড়িত হওয়ার অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ২৪: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ঐতিহ্যবাহী ঔষধ ব্যবস্থাপনা এবং অত্যাবশক ঔষধি গাছ, জীবজন্তু ও খনিজ সম্পদ সংরক্ষণসহ তাদের স্বাস্থ্য পরিচর্যার অধিকার রয়েছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কোন বৈষম্য ছাড়া সকল প্রকার সামাজিক ও স্বাস্থ্য সেবা লাভের অধিকার রয়েছে। ২. আদিবাসী ব্যক্তির তাদের প্রাপ্য সর্বোচ্চ মানের দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবা উপভোগের অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্র এই অধিকার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ক্রমাগত অগ্রগতির লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ২৫: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ঐতিহ্যগতভাবে মালিকানাধীন কিংবা দখলীয় ও ব্যবহার্য জমি, ভূখন্ড, জল, সমুদ্র উপকূল ও অন্যান্য সম্পদের সাথে তাদের স্বাতন্ত্র্য আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রাখা ও সুদৃঢ়করণের অধিকার এবং এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট তাদের এসবের দায়িত্বসমূহ সমুন্নত রাখার অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ২৬: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ঐতিহ্যগতভাবে মালিকানাধীন, দখলীয় কিংবা অন্যথায় ব্যবহার্য কিংবা অধিগ্রহণকৃত জমি, ভূখন্ড ও সম্পদের অধিকার রয়েছে। ২. জমি, ভূখন্ড ও সম্পদের উপর, যা আদিবাসীরা ঐতিহ্যগত মালিকানা কিংবা ঐতিহ্যগত ভোগদখল, ব্যবহার, বা অন্যথায় অধিগ্রহণের মাধ্যমে অর্জন করে এসবের উপর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মালিকানা, ব্যবহার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে। ৩. রাষ্ট্র এসব জমি, ভূখন্ড ও সম্পদের আইনগত স্বীকৃতি ও রক্ষার বিধান প্রদান করবে। সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রথা, ঐতিহ্য এবং ভূমি মালিকানা ব্যবস্থাপনা মেনে সেই স্বীকৃতি প্রদান করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ২৭: রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আইন, ঐতিহ্য, প্রথা ও ভূমি মালিকানা ব্যবস্থাপনার যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করে, ঐতিহ্যগত ভাবে মালিকানাধীন কিংবা দখলীয় বা ব্যবহার্য তাদের ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদের উপর গুরুত্ব প্রদান করে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার স্বীকৃতি দেয়া ও নির্ণয় করার লক্ষ্যে একটি অবাধ, স্বাধীন, নিরপেক্ষ, উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া
প্রবর্তন ও বাস্তবায়ন করবে। এই প্রক্রিয়ায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। 
 
অনুচ্ছেদ- ২৮: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদ, যা তাদের ঐতিহ্যগতভাবে মালিকানাধীন কিংবা অন্যথায় দখলকৃত বা ব্যবহারকৃত এবং তাদের স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি ছাড়া বেদখল, ছিনতাই, দখল বা ক্ষতিসাধন করা হয়েছে এসব যাতে ফিরে পায় কিংবা, তা সম্ভব না হলে, একটা ন্যায্য, যথাযথ ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পায় তার প্রতিকার পাওয়ার অধিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর রয়েছে। ২. সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছায়অন্য কোন কিছুতে রাজী না হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে গুণগত, পরিমানগত ও আইনি মর্যাদার দিক দিয়ে সমান ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদ অথবা সমান আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বা অন্য কোন যথাযথ প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
 
অনুচ্ছেদ- ২৯: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পরিবেশ এবং তাদের ভূমি বা ভূখন্ড ও সম্পদের উৎপাদন সক্ষমতা সংরক্ষণ ও রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্র কোন বৈষম্য ছাড়া এ ধরনের সংরক্ষণ ও রক্ষা করার ক্ষেত্রে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তামূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসিদের ভূমি বা ভূখন্ডে কোন প্রকার ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্যসামগ্রী গুদামজাতকরণ বা এর আবর্জনা স্তুপীকরণ যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ৩. রাষ্ট্র আদিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা পরিবীক্ষণ, দেখাশুনা এবং পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত কার্যক্রম, যা উল্লেখিত দ্রব্যসামগ্রী দ্বারা প্রণীত ও কার্যকর হবে তা যাতে যথাযথ ভাবে বাস্তবায়িত হয়, প্রয়োজনানুসারে সেটা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩০: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি কিংবা ভূখন্ডে সামরিক কার্যক্রম হাতে নেয়া যাবেনা, যতক্ষণ না পর্যন্ত উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বার্থের/ জনস্বার্থের প্রয়োজন যুক্তিগ্রাহ্য হবে অথবা যদি সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছায় সম্মতি জ্ঞাপন বা অনুরোধ করে। ২. রাষ্ট্র সামরিক কার্যক্রমের জন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি বা ভূখন্ড ব্যবহারের পূর্বে যথাযথ পদ্ধতি ও বিশেষ করে তাদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে কার্যকর আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩১: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের সাংস্কৃতিক কৃষ্টি, ঐতিহ্যগত জ্ঞান এবং ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি তথা মানব ও বংশবিস্তার বিষয়ক সম্পদ, বীজ, ঔষধ, প্রাণী ও উদ্ভিদ বিষয়ক সম্পদ, মৌখিক ঐতিহ্য, সাহিত্য, নকশা, ক্রীড়া ও ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা এবং সচিত্র ও অভিনয় কলাসহ তাদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতির প্রদর্শনের চর্চা, নিয়ন্ত্রণ, সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের অধিকার রয়েছে। সাংস্কৃতিক কৃষ্টি, ঐতিহ্যগত জ্ঞান এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিসহ তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বজায় রাখা, নিয়ন্ত্রণ, রক্ষা এবং উন্নয়নের অধিকারও তাদের রয়েছে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে এ সকল অধিকারগুলোর স্বীকৃতি ও সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩২: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ভূমি কিংবা ভূখন্ড ও অন্যান্য সম্পদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার বিষয় ও কর্মকৌশল নির্ধারণ ও প্রণয়ণের অধিকার রয়েছে। ২. রাষ্ট্র আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদের উপর প্রভাব বিস্তার করে এমন কোন প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে, বিশেষ করে তাদের খনিজ, জল কিংবা অন্য কোন সম্পদের উন্নয়ন, ব্যবহার বা আহরণের পূর্বে স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি গ্রহণের জন্য তাদের নিজস্ব প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদিবাসীজনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনা ও সহযোগিতা করবে। ৩. রাষ্ট্র উক্তরূপ কোন কার্যক্রমেরন্যায্য ও যথাযথ প্রতিকারের জন্য কার্যকর কর্মকৌশল গ্রহণ করবে এবং মারাত্মক পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক অথবা আধ্যাত্মিক প্রভাব কমানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৩: ১. আদিবাসীজনগোষ্ঠীর তাদের নিজস্ব প্রথা এবং ঐতিহ্য মোতাবেক তাদের আত্মপরিচয় অথবা সদস্যপদ নির্ধারণের অধিকার রয়েছে। এইঅধিকার যে রাষ্ট্রে বাস করে সেইরাষ্ট্রর নাগরিকত্ব লাভ থেকে আদিবাসী ব্যক্তিদেরকে নিবৃত্ত করবে না। ২. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের নিজস্ব পদ্ধতি অনুযায়ী তাদের প্রতিষ্ঠানের কাঠামো নির্ধারণ ও সদস্যপদ মনোনয়নের অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৪: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মান অনুসারে তাদের নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও তাদের স্বতন্ত্র প্রথা, আধ্যাত্মিকতা, ঐতিহ্য, কার্যপদ্ধতি, অভ্যাস এবং যে রাষ্ট্রে তাদের বসবাস রয়েছে উক্ত রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা কিংবা ঐতিহ্যের প্রসার ঘটানো, উন্নয়ন করা ও বজায় রাখার অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৫: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের সমাজে ব্যক্তির দায়িত্বাবলী নির্ধারণের অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৬: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর, বিশেষতঃ যারা আন্তর্জাতিক সীমানা দ্বারা বিভক্ত হয়েছে তারা অন্য প্রান্তের নিজস্ব জনগোষ্ঠী তথা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কার্যক্রমসহ যোগাযোগ, সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় রাখার ও উন্নয়নের অধিকার রয়েছে। ২. রাষ্ট্র এই অধিকার কার্যকরকরণে সহযোগিতা প্রদান ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের জন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কার্যকরপদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৭: ১. আদিবাসীজনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র কিংবা তাদের উত্তরসূরীর সাথে চুক্তি, সমঝোতা স্মারক এবং অন্যান্য গঠনমূলক ব্যবস্থাবলীর স্বীকৃতি, প্রতিপালন এবং বাস্তবায়ন করার অধিকার রয়েছে এবং এসব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও গঠনমূলক ব্যবস্থাবলীরঅবশ্যই রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভের অধিকার রয়েছে। ২. চুক্তি সমঝোতা স্মারক ও অন্যান্য গঠনমূলক ব্যবস্থায় সন্নিবেশিত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকারগুলোকে খর্ব ও বিলুপ্ত করার জন্য এই ঘোষণাপত্রের কোন কিছুরই ব্যাখ্যা করা যাবে না।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৮: রাষ্ট্র এই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনাক্রমে ও সহযোগে আইন প্রণয়নসহ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৩৯: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর এই ঘোষণাপত্রে সন্নিবেশিত অধিকারগুলো উপভোগের জন্য রাষ্ট্র থেকে ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সাহায্য লাভের অধিকার রয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ৪০: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র অন্যান্য পক্ষের সাথে বিদ্যমান সংঘাত ও বিরোধ নিষ্পত্তি, তথা তাদের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিতগত অধিকারের উপর হস্তক্ষেপের কার্যকর প্রতিকারের জন্য ন্যায্য ও নিরপেক্ষ পদ্ধতি গ্রহণ করা এবং তার মাধ্যমে দ্রুত মীমাংসা লাভের অধিকার রয়েছে। এরূপ মীমাংসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রথা, ঐতিহ্য, নিয়মনীতি ও আইনি ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকে যথাযথ বিবেচনায় রাখতে হবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৪১: জাতিসংঘের বিভিন্ন বিভাগ ও বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহ অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতাসহ কর্মোদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এই ঘোষণাপত্রের বিধানাবলী পূর্ণ কার্যরূপদানে ভূমিকা রাখবে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে এমন সব বিষয়ে তাদের নিশ্চিত অংশগ্রহনের জন্য পথ ও পন্থা গড়ে তুলতে হবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৪২: জাতিসংঘ, আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন পরিষদ, জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ, তাদের দেশীয় পর্যায়ের অফিসসমূহ ও রাষ্ট্র এই ঘোষণাপত্রের বিধানাবলীর পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ ও স্বীকৃতি প্রদান করবে এবং এই ঘোষণাপত্রের কার্যকরণের অনুগামী কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
 
অনুচ্ছেদ- ৪৩: এই ঘোষণাপত্রে স্বীকৃত অধিকারগুলো বিশ্বের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব রক্ষা, মর্যাদা ও সমৃদ্ধির জন্য ন্যূনতম মান গঠন/ প্রদর্শন করে। 
 
অনুচ্ছেদ- ৪৪: এই ঘোষণাপত্রে স্বীকৃত সকল অধিকার ও স্বাধীনতা আদিবাসী নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।
 
অনুচ্ছেদ- ৪৫: এই ঘোষণাপত্রের কোন কিছুরই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিদ্যমান ও ভবিষ্যতে অর্জিত কোন অধিকার হ্রাসকরণ ও বিলুপ্তকরণ হিসেবে ব্যাখ্যা প্রদান করা যাবে না।
 
অনুচ্ছেদ- ৪৬: ১. এই ঘোষণাপত্রেরকোন কিছুরই এমন ব্যাখ্যা প্রদান করা যাবে না যার অর্থ দাঁড়ায় যে, জাতিসংঘ সনদের বিরোধাত্মক কোন তৎপরতায় প্রবৃত্ত হওয়া বা কোন কার্য সম্পাদন করার অধিকার কোন রাষ্ট্র, জনগোষ্ঠী, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির রয়েছে অথবা সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখন্ডতা বা রাজনৈতিক ঐক্যের, সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ, অঙ্গচ্ছেদ বা ক্ষতি করবে এমন কোন কার্যের অধিকার রয়েছে। ২. এই ঘোষণাপত্রে ঘোষিত অধিকারগুলো উপভোগের ক্ষেত্রে, সকলের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে। এই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত অধিকারগুলো উপভোগের ক্ষেত্রে কেবল আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের দায়বদ্ধতা অনুসারে আইন দ্বারা নির্ধারিত সেসব সীমাবদ্ধতাগুলো কার্যকর হবে। এসব সীমাবদ্ধতাগুলো অন্যদের অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার যথাযথ স্বীকৃতি প্রদানে ও সম্মান প্রদর্শনে নিশ্চয়তা বিধানের উদ্দেশ্যে এবং গণতান্ত্রিক সমাজের ন্যায্য ও অতীব বাধ্যবাধকতা প্রয়োজনীয়তা পরিপূরণের জন্য একমাত্র অবৈষম্যমূলক ও কঠোর আবশ্যকতার ক্ষেত্রে বলবৎ হবে। ৩. এই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত বিধানাবলী ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সমতা, বৈষম্যহীনতা, সুশাসন এবং আন্তরিক সদিচ্ছা অনুসারেব্যাখ্যা করা যাবে।

-এডমিন
Indigenous culture and lifestyle    

শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১

অঝাপাত আ মাঝ্যাপাত লারচার - সুনানু ইনজেব চাঙমা

অঝাপাত: চাঙমা “অঝা” র’বো বাংলা অলদে প্রথম, প্রধান, ধাত্রী এধক্যে নানাঙান বুঝয়। পল্যা এ ওক্কোরউন শিঘা পরে কেনেই মনে অয় এ নাঙান অঝাপাত দিয়্যা অয়্যা। এক সময় আদামত অঝা-বৈদ্যদাঘি এলাক আদামর সাতকাম্য/গুরুত্বপূর্ণ বন্দা। হয়দ’ সিত্তুনও এ অঝাপাদও নাঙান এই পারে।
পিত্তিমীত আহ্’জি যেই যায় ছ’ আজার ন’ ১২য়ান ভাচ আঘে। ইয়ানি কয়েক্কান ভাঝর গুত্তি বা গিরি/পরিবার আঘে। ইন্দো-এরিয়ান (ভারতীয় আর্য্য ভাষা), টিবেটো-চিন আ নানাঙান। চাঙমা ভাচ অহ্লদে ইন্দো-এরিয়ান ভাঝর গুত্তি বা গিরি’র এক্কান ভাচ। তনচঙ্গ্যা, বাংলা, অহমিও ইন্দো-এরিয়ান ভাঝর গুত্তি বা গিরিত পরে আ চাঙমা ভাচ্চান জনম বা উৎপত্তি উয়ে থাইল্যান্ড খেমার ওক্কোরত্তুন (গ্রীয়ারসন, ১৯০৩)।
দেঘা যিয়্যা ১৯০০ সালত্তুন ২০০৭ সাল সং অঝাপাত্তো নানান জনে নানান ধক্যে গরি ছাবেলাক। কেও ৩৩, আ কেও ৪০ চ্চু। যেমেন-
1. Ajhapat - 33, by G.A Grierson, Linguistic Sruvey of India in India on 1903
2. Ajhapat -39, by Noaram Chakma at Rangmati in 1959
3. Ajhapat – 37, by Haro Kishore Chakma in 1960
4. Ajhapat – 39, by Biraj Mohan Dewan at Rangmati in 1969
5. Ajhapat - 40, by Ven. Shoddhalankar Bhikkhu at Rangamati in 1987
6. Ajhapat - 39 by Chirojyuti Chakma and Mangal Chakma at Rangmati in 1989
7. Ajhapat- 39, by Calcutta Chakma Youth and Cultural Association in India on 1993
8. Ajhapat – 33, by Lakshmi Bhusan Chakma, Arts and Culture Officer, Chakma Autonomus District Council at Mizoram in India on 1994
9. Ajhapat – 39, by Sugata Chakma at Rangmati in 18th Centuary
10. Ajhapat – 36, by Chitto Kishore Larma at Rangmati in 18th Centuary
11. Ajhapat – 39, by Surio Talukder at Rangmati in 1999
12. Ajhapat – 34, by Changma Sahity Patrika in Dhaka on 2001
13. Ajhapat- 30, by World Chakma Organization Section francaise in France on 2002
14. Ajhapat-40, by Sipcharan Sahity Kendra in Dhaka on 2004
15. Ajhapat – 33, by Deba Priya Chakma in Dhaka on 2004
16. Ajhapat 40, by Anadnamohan Chakma at Dighinala, Khagrachari in 2006
17. Ajhapat – 39, by Manik Chandra Chakma at Dighibala, Khagrachari in 2006
18. Ajhapat – 40, by Ittukgulo Chakma in Dhaka on 2006
19. Ajhapat – 33, by Khudra-Nrigosti Sangsakritik Institute at Rangmatai in 2007
20. Ajhapat – 33, by Chakma Academy at Khagrachari in 2007
21. Ajhapat – 40, by Bigyantar Talukder at Rangamati in 2007
22. Ajhapat – 39, by Priyadarshi Khisa at Rangamati in 2007
সিত্তেই, নানান বির্তক লাগি এল’। সে বির্তকআনি থুম গরিবাত্তে গেলদে ২৫ আ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালত রাঙামাত্যা জেলা পরিষদত দেঝর বেক চাঙমা লেঘা কাবিলউনরে নিনেই চাঙমা পর্বোয়াউনত্তে এক্কো দ্বি-ভাষিক বই বানেবাত্তে ব্রাকে এক্কো মিলনিখলা বানেয়্য। সিয়োত এস্যে কাবিলউনে বেগে তেম্মাংসল্লা গরিনেই কয়েকআন সুদোম বানা অয়্যা। সিয়ানি অহলদে-
১. অঝাপাতর ৩৩উ ওক্কোর লারচার গরানা।
২. একফুদ, দ্বি’ফুদ আ চানফুদ গায়মাত্তে (স্বরচিহ্ন) মাজারা ইজেবে লারচার গরানা।
৩. মাঝ্যাপাত ১২বো ওক্কোরত লারচার গরানা।
৪. বানানর সুদোম অহলদে এক্কো ওক্কোরত এক্কান মাজারা লারচার গরানা। আ যুনি গরঝত পল্লে এক্কো ওক্কোরত দ্বি’আন মাজারা লারচার গরা যেব-তিনান নয়।
মাঝ্যা পাদর বানান রীতি-
ইয়ান বাংলা, ইংরেজি, আরাকানী, আ অন্য অহ্’ন’ ভাঝর সুধোমত্তুন আলাদা সেনত্তে চাঙমা মাঝ্যাপাত এক্কান সাতকাম্যা অধ্যায়।
১৯০৩ সালত ড. গ্রিয়ার্সনে ১২ বো ওক্কোরত মাঝ্যা দেঘেয়্যা, ১৯৫৯ সালত সুনানু নোয়াম চাঙমা তা’ “পত্থম শিক্ষা” বইবোত বেক ওক্কোরউনত মাঝ্যা দিয়্যা আ সে ধকে “চাঙমা আগ্ পুদি”(১৯৮২) বইবোত সুনানু চিরজ্যোতি আ সুনানু মঙ্গল চাঙমাদাঘিয়্য বেক ওক্কোরুনত মাঝ্যা দেঘেলাক। আ সতীশচন্দ্র ঘোষ লেঘা “চাকমা জাতি বইবোত ১১ বোত ওক্কোরত মাঝ্যা দিয়্যা আঘে। সুনানু দেবপ্রিয় দা ১২বো ওক্কোরত মাঝ্যা দিয়্যা (২০০৪ সাল) আ সুনানু আর্য্য মিত্র দা ১১ ওক্কোরত মাঝ্যা দিয়্যা অহ্’য় কর। ইক্যে গরি গধেল গধেল সুধোম আঘে।  বেক্কানি তলবিচ গরি এক্কান সুদোম বানা অয়্যা (আহ্’ভিল্যাচ খাঙর বাংলা ভাঝে লেঘঙর) ।
১। খাঁটি চাকমা শব্দের জন্য:
চাকমা ভাষায় প্রচলিত নিয়ম অনুসারে কেবল (কা, ঙা, চা, ঞা, তা, না, পা, মা, রা, লা, ওয়া আ য়া)এই ১২টি বর্ণের উপরে মাজ্যা বসে। তাই প্রচলিত চাকমা শব্দগুলোর বানান লিখতে গিয়ে আমরা কেবল উপরোক্ত বর্ণগুলোর উপরে মাজ্যা দিয়ে লিখব। যেমন- 𑄇𑄇𑄴𑄇, 𑄛𑄚𑄴𑄏, 𑄘𑄘𑄣𑄴 ইত্যাদি।
২। বিকৃত বিদেশি শব্দের জন্য:
যেসব বিদেশি শব্দের বিকৃত রূপগুলোই আমাদের চাকমা ভাষায় প্রচলিত, সেগুলোতে মাজ্যা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা উপরোক্ত নিয়মই অনুসরণ করব, কেননা বিদেশি শব্দ হলেও তারা তাদের আদি রূপ হারিয়ে ফেলেছে অথবা কিঞ্চিত বিকৃত হয়ে গেছে।
একটা কথা- পরিবর্তিত বিদেশি শব্দগুলোতে প্রায়ই শ, ষ, স এবং ট বর্গের বর্ণগুলো ব্যবহৃত হয়। কিন্তু চাকমা ভাষায় ট বর্গের ব্যবহার হয়ই না। আর শ, ষ এবং স এর জায়গায় কেবল একটা স ব্যবহৃত হয়। তাই চাকমা ভাষায় লেখার ক্ষেত্রে আমরা সেই পরিবর্তিত বিদেশি শব্দগুলোকে চাকমা বানানরীতি অনুযায়ী বদলে নেব। এক্ষেত্রে চাকমা বানানরীতি অনুযায়ী,
𑄥 (স,শ,ষ) হবে (𑄌)
𑄑 (ট) হবে (𑄖)
𑄒(ঠ) হবে (𑄗)
𑄓 (ড) হবে (𑄘)
𑄔 (ঢ) হবে (𑄙)
𑄕(ণ) হবে (𑄚)
উদাহরণস্বরূপ:
𑄟𑄥𑄴𑄑𑄢𑄴(মাস্টার) আমরা লিখব’ 𑄟𑄌𑄴𑄑𑄧𑄢𑄴 (মাচ্তর ) 𑄚𑄧𑄥𑄴𑄑𑄧 (নষ্ট) আমরা লিখব 𑄥𑄧𑄌𑄴𑄖𑄧 (নচ্ত) ইত্যাদি।
৩। অবিকৃত বিদেশি শব্দের জন্য:
কিন্তু যেসব বিদেশি শব্দগুলো আমাদের চাকমা ভাষায় অবিকৃত রূপেই প্রচলিত, সেইসব শব্দের ক্ষেত্রে মাজ্যা দেওয়ার সময়
আমরা চাকমা মাজ্যারীতির ধরাবাঁধা নিয়মের বাইরে চলে যাব, শব্দটার অবিকৃত রূপ তুলে ধরার স্বার্থে।
উদাহরণস্বরূপ,
𑄝𑄪𑄘𑄴𑄙𑄧 (বুদ্ধ) 𑄘𑄪𑄙𑄴(দুধ)𑄡𑄪𑄘𑄴𑄙𑄧 (যুদ্ধ) ইত্যাদি।
৪। চাঙমাতে যুক্তবর্ণ না থাকা বা কোন শব্দ দ্বিত্ব করতে আমরা মাজ্যা প্রয়োগ করতে পারি- যেমন, পজ্জন (𑄛𑄧𑄎𑄴𑄧𑄚𑄴), 𑄬𑄥𑄬𑄇𑄴 ইত্যাদি।

বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১

চাঙমা সাহিত্য আগাজত এক্কো দকধক্যে বোম্বা, লেঘিয়্যা, কবি আ গবেষক সুনানু আনন্দ মোহন চাঙমার ৬৭ বঝর জনম দিন পালা অয়্যা কবিদ্যা কনা, গান বাজনা আ তেম্মাং খলা মদ্দে দিনেই

এচ্যে ৮ জুলাই ২০২১ইং ২৪ আজার ১৪২৮ বাংলা বিসুপবার চাঙমা সাহিত্য আগাজত এক্কো ধকধক্যে বোম্বা,  লেঘিয়্যা, কবি আ গবেষক সুনানু আনন্দ মোহন চাঙমার ৬৭ বঝর জনম দিন। এ দিনত ১৯৫৪ সালত মিঙিনি চাগালাত বাঘেইছড়ি দুয়োর নাঙে আদাম সুনানু চিত্রজিত চাঙমা আ সুনানু রঞ্জিতা চাঙমা সুক-দুগর সংসারত জনম অয়।


এ পোইদ্যানে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন ২০১৭ সালত্তুন ধরি নানান ফাংশান গরি পালে এযের। এ বঝর গোদা পিত্তিমি দংগাপিড়ে করেনাত্যাই এগত্তর অই ন’ পারানার অনলাইনত এগত্তর অই দিন্নো পালা অয়্যা বিলেন চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু সুনানু ইনজেব চাঙমা হিল পজ্জনরে জানেয়ে। 

 


চাঙমা সাহিত্য আগাঝত এক্কো ধকধক্যে বোম্বা,  লেঘিয়্যা, কবি আ গবেষক সুনানু আনন্দ মোহন চাঙমার ৬৭ বঝর জনম দিন  পালানা পোইদ্যানে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন কবিদ্যা কনা,  গান বাজনা আ তেম্মাং খলা জুল গরা অয়্যা।

এ ফাংশানানত সরিত এলাক কাচালং কলেজ’ প্রভাষক আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার কবি, লেঘিয়্যা সুনানু লালন কান্তি চাঙমাদাঘি। চাঙমা সাহিত্য বাহ্ শিল্পী গোষ্ঠী সাবাঙ্গী, বাংলাদেঝর উদন্দি শিল্পী সুনানু প্রত্যাশা চাঙমা আ সুনানু লিটিনা চাঙমাদাঘি। তারা বানা কণ্ঠ শিল্পী নয়, নানাঙ মানবিক জধা সমারে কাম গরি জানা সমারে অভিনয়ও গরি যান। এচ্যে তারা গলালোই ভরি তুলিলাক ফেসবুক’ আদাম।


সুনানু আনন্দ মোহন চাঙমা জিংকানি লামা পড়ে শুনিয়্যা চাঙমা সাহিত্য বাহ্  লংগদু ধেলা ভান্ডালি কাবিদ্যাং সুনানু বর্ষা চাঙমাদাঘি। সমারে লংগদু ধেলা তপ্পেত্তুন তারা উদিজে রজিয়্যা কবিদ্যাবো মাদে শুনেল। 

এ ফাংশানাত সরিত অই কবিদ্যা মাদেল চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিশার্স এ দাঙর কাবিদ্যাঙ সুনানু লব্দ চাঙমা শাক্যদাঘি। আ সুনানু ইনজেব চাঙমা আনন্দ মোহন চাঙমাদাঘি নিনেই লেঘা পড়ে শুনেল। লেঘায়ান লেঘা অয়্যা ২০০৩ সালত। লেখ্যে সুনানু রেখী চাঙমা জীবনর দুগর কধা নাঙে।


এ পিত্তিমী নাঙে গ্রহবোত পত্তিক বন্দা নিজর সেদাম অন্য মঙ্গলত্যাই বিলেই দ্যুন। মোমবাত্তি সান নিজে আঙি পহ্’র সিদি দ্যুন চেরোপালা।। এক্কো মানুচ পিত্তিমীত জনম অনার সমারে তা জীংকানিত নানাঙ কাম’ সমারে মিজি থান। এ মানেই কুলত এলে মানুচ দোল দোল কাম গরি সাংসারান দোলত্তুন দোল গরি সাজেবার চান। তারার কাম’ গুনে বাজি থান বিজগর পাদাত। এ সভ্যতাত চাঙমা জাদর অঝাপাত, ভাচ, সাহিত্য, রিদিসুদোম ভালেদি এযানা পোইদ্যানে আমা সমাজর লেঘিয়্যা, কবি, সাহিত্যিক আ সমাচ
ভালেদি কাম্মোউন অবদান আঘে। সেধক্যে এক্কো দাঙর, অজল, কাবিল, চাঙমা সাহিত্য আগাজত এক্কো ধকধক্যে বোম্বা, লেঘিয়্যা, কবি আ গবেষক সুনানু আনন্দ মোহন চাঙমা (আনন্দ ময়)  জনম অয় ৮ জুলাই ১৯৫৪ ইংরেজি মিঙিনি চাগালাত বাঘাইছড়ি দুঅর নাঙে এক্কান আদামত। তা বাবা নাঙান চিত্রজিৎ চাঙমা আ মা’বো নাঙান রঞ্জিতা চাঙমা। 

আহ্’ভিল্যাচ: চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন আহ্’ভিল্যাচ খা অয় যে, দিঘীনালা কারেন আ নেদর মান গম ন’ থানার ফাংশানান দোল গরি ন পারানার। সেনে তারা বেক পর্বোয়া আ শুনিয়ে লক্কুনত্তুন খেমা চাদন। 


 

শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১

বানা মুরোল্যা চাদিগাঙ নয়, "চাঙমা সাহিত্য বাহ্"র ছদক ছিদি পরের বাংলাদেঝর্ রাজধানী ঢাকা বুগোত্ ও!


সুনানু সুবর্ণা চাঙমা, ঢাকা: বানা মুরোল্যা চাদিগাঙ নয়, "চাঙমা সাহিত্য বাহ্"র ছদক ছিদি পরের বাংলাদেঝর্ রাজধানী ঢাকা বুগোত্ ও! 

গেল্লে কেল্যা ০২-০৭-২০২১ ইংরেজি,শুক্করবার "চাঙমা সাহিত্য বাহ্  ঢাকা তপ্পেত্তুন গাজীচর চাগালাত্ "জুম্ম কালচারাল একাডেমি"ত দি'খেবর আ সে সমারে ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ চাগালাত "জুম্ম সাহিত্য একাডেমি"ত পোইল্যা খেবর চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স পরিকখে গমে-দোলে অহ্ই গেল।

পরিকখে সেন্টার তলবিচ্ গরানাহ্ত আহ্জিল এলাক "চাঙমা সাহিত্য বাহ্'র ঢাকা ধেলা"র জধানানু- সুনানু মোহন লাল চাঙমা আ এহ্জাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- সুনানু প্রবীণ চাঙমাদাঘি।

মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১

অঝাপাত- সুনানু ইনজেব চাঙমা

অঝাপাদর কয়বো ওক্কোর এ নিনেই নানাঙ জনর নানাঙ মত। সিয়ান দ’ ২০০৭ সালত থুম গরা অয়্যা। ত্যুঅ কোই যায় নানাঙ মত থেই পারে। ইয়োত ১৯০৩ সাল - ২০০৭ সাল সং অঝাপাত নিনেই যে ডুকুমেন্ট পা যিয়ে সিয়ানি তলবিচ গরিবার কুজোলি থেল। আজলে অঝাপাদর কয়বো ওক্কোর?
 অঝাপাত: চাঙমা “অঝা” র’বো বাংলা অলদে প্রথম, প্রধান, ধাত্রী এধক্যে নানাঙান বুঝয়। পল্যা এ ওক্কোরউন শিঘা পরে  কেনেই মনে অয় এ নাঙান অঝাপাত দিয়্যা অয়্যা আ এক সময়  অঝা-বৈদ্যদাঘি এলাক আদামর সাতকাম্য/গুরুত্বপূর্ণ বন্দা। হয়দ’ সিত্তুনও এ অঝাপাদও নাঙান এই পারে।
পিত্তিমীত আহ্’জি যেই যায় ছ’ আজার ন’ ১২য়ান ভাচ আঘে। ইয়ানি কয়েক্কান ভাঝর গুত্তি বা গিরি/পরিবার আঘে। ইন্দো-এরিয়ান (ভারতীয় আর্য্য ভাষা), টিবেটো-চিন আ নানাঙান। চাঙমা ভাচ অহ্লদে ইন্দো-এরিয়ান ভাঝর গুত্তি বা গিরি’র এক্কান ভাচ। তনচঙ্গ্যা, বাংলা, অহমিও ইন্দো-এরিয়ান ভাঝর গুত্তি বা গিরিত পরে আ চাঙমা ভাচ্চান জনম বা উৎপত্তি উয়ে থাইল্যান্ড খেমার ওক্কোরত্তুন (গ্রীয়ারসন, ১৯০৩)।
১৯০০ - ২০০৭ সাল সং নানাঙ জনে নানাঙ ধক্যা গরি অঝাপাত্তো ছাবেয়্যন।

1.      Ajhapat - 33,  by G.A Grierson, Linguistic Sruvey of India in India on 1903

2.      Ajhapat -39,  by Noaram Chakma at Rangmati in 1959

3.      Ajhapat – 37,  by Haro Kishore Chakma in 1960

4.      Ajhapat – 39,  by Biraj Mohan Dewan at Rangmati in 1969

5.      Ajhapat - 40,  by Ven. Shoddhalankar Bhikkhu at Rangamati in 1987

6.      Ajhapat - 39 by Chirojyuti Chakma and Mangal Chakma at Rangmati in 1989

7.      Ajhapat- 39, by Calcutta Chakma Youth and Cultural Association in India on 1993

8.      Ajhapat – 33, by Lakshmi Bhusan Chakma, Arts and Culture Officer, Chakma Autonomus District Council at Mizoram in India on 1994

9.      Ajhapat – 39, by Sugata Chakma at Rangmati in 18th Centuary

10.  Ajhapat – 36, by Chitto Kishore Larma at Rangmati in 18th Centuary

11.  Ajhapat – 39, by Surio Talukder at Rangmati in 1999

12.  Ajhapat – 34, by Changma Sahity Patrika in Dhaka on 2001

13.  Ajhapat-  30, by World Chakma Organization Section francaise in France on 2002

14.  Ajhapat-40,  by Sipcharan Sahity Kendra in Dhaka on 2004

15.  Ajhapat – 33,  by Deba Priya Chakma in Dhaka on 2004

16.  Ajhapat  40, by Anadnamohan Chakma at Dighinala, Khagrachari in 2006

17.  Ajhapat – 39,  by Manik Chandra Chakma at Dighibala, Khagrachari in 2006

18.  Ajhapat – 40,  by Ittukgulo Chakma in Dhaka on 2006

19.  Ajhapat – 33, by Khudra-Nrigosti Sangsakritik Institute at Rangmatai in 2007

20.  Ajhapat – 33,  by Chakma Academy at Khagrachari in 2007

21.  Ajhapat – 40,  by Bigyantar Talukder at Rangamati in 2007

22.  Ajhapat – 39, by Priyadarshi Khisa at Rangamati in 2007



সিত্তেই, নানান বির্তক লাগি এল’। সে বির্তকআনি থুম গরিবাত্তে গেলদে ২৫ আ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালত রাঙামাত্যা জেলা পরিষদত দেঝর বেক চাঙমা লেঘা পাচ্যা কাবিলউনরে নিনেই চাঙমা পর্বোয়াউনত্তে এক্কো দ্বি-ভাষিক বই বানেবাত্তে ব্রাকে এক্কো মিলনিখলা বানেয়্য। সিয়োত এস্যে কাবিলউনে বেগে তেম্মাংসল্লা গরিনেই কয়েকআন সুদোম বানা অয়্যা। সিয়ানি অহলদে-
১. অঝাপাতর ৩৩উ ওক্কোর লারচার গরানা।
২. একফুদ, দ্বি’ফুদ আ চানফুদ গায়মাত্তে (স্বরচিহ্ন) মাজারা ইজেবে লারচার গরানা।
৩. মাঝ্যাপাত ১২বো ওক্কোরত লারচার গরানা।
৪. বানানর সুদোম অহলদে এক্কো ওক্কোরত এক্কান মাজারা লারচার গরানা। আ যুনি গরজত পল্লে এক্কো ওক্কোরত দ্বি’আন মাজারা লারছার গরা যেব-তিনান নয়।























বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১

২০৩০ সালর ভিদিরে অঝাপাত্তোই সাহিত্য চচযা দপদবা অভ’- সুনানু জিতেন চাঙমা

চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা ডেক্স: চাঙমা সাহিত্য বাহ্ উদ্যোগে অনলাইনত একদিন সং চাঙমা সাত্থুয়াদাঘিরে নিনেই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন ট্রেনিং অই যেল। 

ভাঙি কনা দরগার- কয়েক দিন আগে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ দাগনি দিয়্যা আদামে আদামে চাঙমা লেঘা শেঘানা। এচ্যে এ দাগনি ১১৪ জন চাঙমা লেঘা পাচ্চে পর্বোয়া সমত দিলাক। তারাদাঘিরে নিনেই ট্রেনিং জুগল গচ্ছে চাঙমা সাহিত্য বাহ্। অহ্’নচুসুক্যা দিনমাধানত্যা তিন দিনং ট্রেনিং চলিবার কধা থেলেয়্যা দংগা পিড়ে করোনাত্যা অনলাইনত ১ দিন গরা অল। এ মাঝর শেজেত্তুন ধরি আদামে আদামে চাঙমা লেঘা কোর্স আরগানি গরা অভ বিলে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু চাঙমা সাহিত্য পত্রিকারে কোইয়্যা।

এ ট্রেনিং খলাবো ফাংফগদাঙ গচ্ছে খাগাড়াছড়ি জেলা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউতর মুর খাম সুনানু জিতেন চাঙমাদাঘি।আ ট্রেনার ইজেবে এল চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু, সুনানু ইনজেব চাঙমা।

সুনানু জিতেন চাঙমা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কামানি বাঙিনি গরি কল’- চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কামানি মর খুব গম লাগে। যে কামানি আমি এ জাগাত্তুন গরিবার কধা সে কামান চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এজাল দের। এ ধগে কাম গরি যেই পারিলে ২০৩০ সালর ভিদিরে অঝাপাত্তোই সাহিত্য চচযা দাপদবা গরিবার আঝা রাঘেয়্যা। 

মুমবাত্তি সান নিজে পুরি পহ্’র ছিদিবং, আগর বাত্তি নিজে আহ্’ঙি তুম্বাচ ধালিবং”- এ মুলুক কধা মুজুঙে রাঘেই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ২০৫০ ভিশন ওলেবাত্যা এ কামান আহ্’দত লোইয়ে। এচ্যে ২৩ জুন ২০২১ ইং বুধবার বেন্যা মাধান ১০ টা ট্রেনিং খলাবো আরগানি অলে বেল্যা মাধান ৪ টা সং থিদ’ অয়। 

চাঙমা অনেই চাঙমা লেঘা ন’ পারি, চাংলা আ চাংলিশ ভাঝে ভরি যার, এ দুক্খান তোরি ন’ পারি ইরুক পিড়িউন জাগি উদিলাক। ইয়ান বাংলাদেঝত্যাই এক্কান সু-খবর।

 


বুধবার, ২ জুন, ২০২১

২০৫০ ভিশন পত্তম গরিবাত্যা গুইমারা উপজেলাত চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স

 

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গুইমারা উপজেলা ধেলা তপ্পেত্তুন পথাছড়া সঃ প্রাইমারি ইক্কুলত চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স ফাংফগদাং গরা অয়্যা।

এ ফাংফগদাং খলাবো নকবাচ্যা গরবা এল’ পথাছড়া আদামর কারবারি সুনানু খোকনা চাঙমাদাঘি, খলানানুগিরি গচ্ছে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গুইমারা উপজেলা ধেলা জধানানু সুনানু রুপান্ত চাঙমাদাঘি।

এ বাদেয়্যা কধা কোইয়ন- চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গুইমারা উপজেলা ধেলা দাঙর কাবিদ্যং সুনানু সুমন চাকমা, আন্তর্জাতিক ও সেমিনার কাবিদ্যাং সুনানু অমৃত চাঙমাদাঘি।

তারাদাঘির কধাত চাঙমা লেঘা শিঘানা সাতকাম বিলে উদি এচ্চে। তারা বারবাঙানে কুজোলি গচ্ছো ভিন ভাঝত্তুন নিজ’ ভাচ্চান চচযা গরানা, চাঙমা লেঘা শিঘানা গরচ বিলে মনে গরন। আ এ কামানত বেগে আওজি মনে উজে এবার কুজোলি গচ্ছোন।


[পর্বোয়া ১৭ জন আহ’জিল এলাক]

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...