শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১

বানা মুরোল্যা চাদিগাঙ নয়, "চাঙমা সাহিত্য বাহ্"র ছদক ছিদি পরের বাংলাদেঝর্ রাজধানী ঢাকা বুগোত্ ও!


সুনানু সুবর্ণা চাঙমা, ঢাকা: বানা মুরোল্যা চাদিগাঙ নয়, "চাঙমা সাহিত্য বাহ্"র ছদক ছিদি পরের বাংলাদেঝর্ রাজধানী ঢাকা বুগোত্ ও! 

গেল্লে কেল্যা ০২-০৭-২০২১ ইংরেজি,শুক্করবার "চাঙমা সাহিত্য বাহ্  ঢাকা তপ্পেত্তুন গাজীচর চাগালাত্ "জুম্ম কালচারাল একাডেমি"ত দি'খেবর আ সে সমারে ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ চাগালাত "জুম্ম সাহিত্য একাডেমি"ত পোইল্যা খেবর চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স পরিকখে গমে-দোলে অহ্ই গেল।

পরিকখে সেন্টার তলবিচ্ গরানাহ্ত আহ্জিল এলাক "চাঙমা সাহিত্য বাহ্'র ঢাকা ধেলা"র জধানানু- সুনানু মোহন লাল চাঙমা আ এহ্জাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- সুনানু প্রবীণ চাঙমাদাঘি।

মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১

অঝাপাত- সুনানু ইনজেব চাঙমা

অঝাপাদর কয়বো ওক্কোর এ নিনেই নানাঙ জনর নানাঙ মত। সিয়ান দ’ ২০০৭ সালত থুম গরা অয়্যা। ত্যুঅ কোই যায় নানাঙ মত থেই পারে। ইয়োত ১৯০৩ সাল - ২০০৭ সাল সং অঝাপাত নিনেই যে ডুকুমেন্ট পা যিয়ে সিয়ানি তলবিচ গরিবার কুজোলি থেল। আজলে অঝাপাদর কয়বো ওক্কোর?
 অঝাপাত: চাঙমা “অঝা” র’বো বাংলা অলদে প্রথম, প্রধান, ধাত্রী এধক্যে নানাঙান বুঝয়। পল্যা এ ওক্কোরউন শিঘা পরে  কেনেই মনে অয় এ নাঙান অঝাপাত দিয়্যা অয়্যা আ এক সময়  অঝা-বৈদ্যদাঘি এলাক আদামর সাতকাম্য/গুরুত্বপূর্ণ বন্দা। হয়দ’ সিত্তুনও এ অঝাপাদও নাঙান এই পারে।
পিত্তিমীত আহ্’জি যেই যায় ছ’ আজার ন’ ১২য়ান ভাচ আঘে। ইয়ানি কয়েক্কান ভাঝর গুত্তি বা গিরি/পরিবার আঘে। ইন্দো-এরিয়ান (ভারতীয় আর্য্য ভাষা), টিবেটো-চিন আ নানাঙান। চাঙমা ভাচ অহ্লদে ইন্দো-এরিয়ান ভাঝর গুত্তি বা গিরি’র এক্কান ভাচ। তনচঙ্গ্যা, বাংলা, অহমিও ইন্দো-এরিয়ান ভাঝর গুত্তি বা গিরিত পরে আ চাঙমা ভাচ্চান জনম বা উৎপত্তি উয়ে থাইল্যান্ড খেমার ওক্কোরত্তুন (গ্রীয়ারসন, ১৯০৩)।
১৯০০ - ২০০৭ সাল সং নানাঙ জনে নানাঙ ধক্যা গরি অঝাপাত্তো ছাবেয়্যন।

1.      Ajhapat - 33,  by G.A Grierson, Linguistic Sruvey of India in India on 1903

2.      Ajhapat -39,  by Noaram Chakma at Rangmati in 1959

3.      Ajhapat – 37,  by Haro Kishore Chakma in 1960

4.      Ajhapat – 39,  by Biraj Mohan Dewan at Rangmati in 1969

5.      Ajhapat - 40,  by Ven. Shoddhalankar Bhikkhu at Rangamati in 1987

6.      Ajhapat - 39 by Chirojyuti Chakma and Mangal Chakma at Rangmati in 1989

7.      Ajhapat- 39, by Calcutta Chakma Youth and Cultural Association in India on 1993

8.      Ajhapat – 33, by Lakshmi Bhusan Chakma, Arts and Culture Officer, Chakma Autonomus District Council at Mizoram in India on 1994

9.      Ajhapat – 39, by Sugata Chakma at Rangmati in 18th Centuary

10.  Ajhapat – 36, by Chitto Kishore Larma at Rangmati in 18th Centuary

11.  Ajhapat – 39, by Surio Talukder at Rangmati in 1999

12.  Ajhapat – 34, by Changma Sahity Patrika in Dhaka on 2001

13.  Ajhapat-  30, by World Chakma Organization Section francaise in France on 2002

14.  Ajhapat-40,  by Sipcharan Sahity Kendra in Dhaka on 2004

15.  Ajhapat – 33,  by Deba Priya Chakma in Dhaka on 2004

16.  Ajhapat  40, by Anadnamohan Chakma at Dighinala, Khagrachari in 2006

17.  Ajhapat – 39,  by Manik Chandra Chakma at Dighibala, Khagrachari in 2006

18.  Ajhapat – 40,  by Ittukgulo Chakma in Dhaka on 2006

19.  Ajhapat – 33, by Khudra-Nrigosti Sangsakritik Institute at Rangmatai in 2007

20.  Ajhapat – 33,  by Chakma Academy at Khagrachari in 2007

21.  Ajhapat – 40,  by Bigyantar Talukder at Rangamati in 2007

22.  Ajhapat – 39, by Priyadarshi Khisa at Rangamati in 2007



সিত্তেই, নানান বির্তক লাগি এল’। সে বির্তকআনি থুম গরিবাত্তে গেলদে ২৫ আ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালত রাঙামাত্যা জেলা পরিষদত দেঝর বেক চাঙমা লেঘা পাচ্যা কাবিলউনরে নিনেই চাঙমা পর্বোয়াউনত্তে এক্কো দ্বি-ভাষিক বই বানেবাত্তে ব্রাকে এক্কো মিলনিখলা বানেয়্য। সিয়োত এস্যে কাবিলউনে বেগে তেম্মাংসল্লা গরিনেই কয়েকআন সুদোম বানা অয়্যা। সিয়ানি অহলদে-
১. অঝাপাতর ৩৩উ ওক্কোর লারচার গরানা।
২. একফুদ, দ্বি’ফুদ আ চানফুদ গায়মাত্তে (স্বরচিহ্ন) মাজারা ইজেবে লারচার গরানা।
৩. মাঝ্যাপাত ১২বো ওক্কোরত লারচার গরানা।
৪. বানানর সুদোম অহলদে এক্কো ওক্কোরত এক্কান মাজারা লারচার গরানা। আ যুনি গরজত পল্লে এক্কো ওক্কোরত দ্বি’আন মাজারা লারছার গরা যেব-তিনান নয়।























বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১

২০৩০ সালর ভিদিরে অঝাপাত্তোই সাহিত্য চচযা দপদবা অভ’- সুনানু জিতেন চাঙমা

চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা ডেক্স: চাঙমা সাহিত্য বাহ্ উদ্যোগে অনলাইনত একদিন সং চাঙমা সাত্থুয়াদাঘিরে নিনেই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন ট্রেনিং অই যেল। 

ভাঙি কনা দরগার- কয়েক দিন আগে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ দাগনি দিয়্যা আদামে আদামে চাঙমা লেঘা শেঘানা। এচ্যে এ দাগনি ১১৪ জন চাঙমা লেঘা পাচ্চে পর্বোয়া সমত দিলাক। তারাদাঘিরে নিনেই ট্রেনিং জুগল গচ্ছে চাঙমা সাহিত্য বাহ্। অহ্’নচুসুক্যা দিনমাধানত্যা তিন দিনং ট্রেনিং চলিবার কধা থেলেয়্যা দংগা পিড়ে করোনাত্যা অনলাইনত ১ দিন গরা অল। এ মাঝর শেজেত্তুন ধরি আদামে আদামে চাঙমা লেঘা কোর্স আরগানি গরা অভ বিলে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু চাঙমা সাহিত্য পত্রিকারে কোইয়্যা।

এ ট্রেনিং খলাবো ফাংফগদাঙ গচ্ছে খাগাড়াছড়ি জেলা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউতর মুর খাম সুনানু জিতেন চাঙমাদাঘি।আ ট্রেনার ইজেবে এল চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু, সুনানু ইনজেব চাঙমা।

সুনানু জিতেন চাঙমা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কামানি বাঙিনি গরি কল’- চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কামানি মর খুব গম লাগে। যে কামানি আমি এ জাগাত্তুন গরিবার কধা সে কামান চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এজাল দের। এ ধগে কাম গরি যেই পারিলে ২০৩০ সালর ভিদিরে অঝাপাত্তোই সাহিত্য চচযা দাপদবা গরিবার আঝা রাঘেয়্যা। 

মুমবাত্তি সান নিজে পুরি পহ্’র ছিদিবং, আগর বাত্তি নিজে আহ্’ঙি তুম্বাচ ধালিবং”- এ মুলুক কধা মুজুঙে রাঘেই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ২০৫০ ভিশন ওলেবাত্যা এ কামান আহ্’দত লোইয়ে। এচ্যে ২৩ জুন ২০২১ ইং বুধবার বেন্যা মাধান ১০ টা ট্রেনিং খলাবো আরগানি অলে বেল্যা মাধান ৪ টা সং থিদ’ অয়। 

চাঙমা অনেই চাঙমা লেঘা ন’ পারি, চাংলা আ চাংলিশ ভাঝে ভরি যার, এ দুক্খান তোরি ন’ পারি ইরুক পিড়িউন জাগি উদিলাক। ইয়ান বাংলাদেঝত্যাই এক্কান সু-খবর।

 


বুধবার, ২ জুন, ২০২১

২০৫০ ভিশন পত্তম গরিবাত্যা গুইমারা উপজেলাত চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স

 

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গুইমারা উপজেলা ধেলা তপ্পেত্তুন পথাছড়া সঃ প্রাইমারি ইক্কুলত চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স ফাংফগদাং গরা অয়্যা।

এ ফাংফগদাং খলাবো নকবাচ্যা গরবা এল’ পথাছড়া আদামর কারবারি সুনানু খোকনা চাঙমাদাঘি, খলানানুগিরি গচ্ছে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গুইমারা উপজেলা ধেলা জধানানু সুনানু রুপান্ত চাঙমাদাঘি।

এ বাদেয়্যা কধা কোইয়ন- চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গুইমারা উপজেলা ধেলা দাঙর কাবিদ্যং সুনানু সুমন চাকমা, আন্তর্জাতিক ও সেমিনার কাবিদ্যাং সুনানু অমৃত চাঙমাদাঘি।

তারাদাঘির কধাত চাঙমা লেঘা শিঘানা সাতকাম বিলে উদি এচ্চে। তারা বারবাঙানে কুজোলি গচ্ছো ভিন ভাঝত্তুন নিজ’ ভাচ্চান চচযা গরানা, চাঙমা লেঘা শিঘানা গরচ বিলে মনে গরন। আ এ কামানত বেগে আওজি মনে উজে এবার কুজোলি গচ্ছোন।


[পর্বোয়া ১৭ জন আহ’জিল এলাক]

সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

ভাইরাল - সুনানু ইনজেব চাঙমা

ছবি: ফেসবুক

 বানা একবার দেঘা সে নাকশা লগে সুবুলর। নাকশা প্রেমত পরি যেল সুবুলে। রাঙামাত্যা কলেজত পড়ে সুবুল আ নাকশা খাগাড়াছড়ি কলেজত। এইচএসসি ২য় বর্ষ, এ বঝর পরিক্কে দিবাক। মাত্তর, কভিড-১৯ বা দাংগা পিড়ে করোনাত্যা গেল্লে ১৮ মে ২০২০ ইঙত্তুন ধরি ইক্কুল-কলেজ বন্ধ। সরকারে দাংগা পিড়ে করোনাত্যা লকডাউন দিল। এ জুয়োত তারা চাঙমা লেঘা শিঘদন। সুবুলে যুনিও রাঙামাত্যা কলেজত পড়ে তা ঘর খাগাড়াছড়ি মোনতলা আদামত আ নাকশা ঘর দিঘল ছড়া আদামত। অদামানি কায়-কুয় অলেও বেড়ান-চেরান ন’ থানার সেধক চিনপচ্যে নেই। দিঘলছড়া আদাম প্রাইমারি ইক্কুলত “চাঙমা সাহিত্য বাহ্” নাঙে এক্কো ভাঝা-সাহিত্য উজন্দি গরিয়্যা জধা এক্কো “চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স” জুগল গল্লে তারা দি জনর চাঙমা লেঘা জু অয়।

এ ক্লাজত যেনেই সুবুল পত্থম দেঘিনেই কি গম লাক্যে নাকশারে তে নিজে খবর ন’ পায়। ধগে দাগে সানিচিক্যে আ বারা অজার, কমর চিপ যেন পরি মিলে সান লাগে। এ আগে কন মিলেরে কোচপানা দ’ দুরত, মিলে কায়ও ন’ যায়। ইক্যে নাকশারে দিঘি তা মনান নরম অই এল’। শামুক পরা চিবিদিসান ধল্লে গরি মিলেল। সুবুলর মনান আর গম নেই। নাকশা দেঘি তা মনাত কি যেন কামাড়ে কামাড়ে উদে। মনে মনে সবন বুনে নাকশারে নিনেই ঘর-সংসার গরিব। এধক্যে আঝা আ সবন তার কজমা বুগত অনসুর তুবোল বেই যার।

­­

সুবুলা মা-বাপ চাগুরি গরিলেও নাকশা নাধা মানজোর ঝি, চের বোন তারা। ভেই নেই। কন বাবত্যা গরি বেন্যা-বেল্যা ইদে পাদা ফেলাদন। বেগ দাঙরবো নাকশা। আ সুবুলদাঘি দ্বি ভেই বোন। বেগ দাঙর বো সুবুলে। নাকশা যুনিও খাগাড়াছড়ি শহরত থেদ’ মাত্তর, তে অন্য মিলেসান বিরিকবারাক নয়। নুদি ন’ গরে। সিয়ানি গম ন’ পায়। রাঙা গরি লিপ্টিক গুলনা, নানান বাবত্যা গরি সাজানা সিয়ানি তে ন’ গরে। পিনোন খাদি বাদে অন্য কন’ ড্রেস উরিহ্-পিনিবার তার আওচ নেই। অনসুর পিনোন পিনি থায়। সেনে তা সমাজ্যাউন তারে বুড় মিলে কোই কোই রজনা গরন। সে দিন, চাঙমা লেঘা শেঘা যেনেই কালা পিনোন রাঙা খাদি পিনি যিয়ে। এ রাঙা খাদি আন দিলে বুক্কো এধক্যে গরি জলে বেল‘ ছদক্কানও ধীমে ধীমে অয়।

 চাঙমা লেঘা ক্লাজত তারা দিজনে কায় কুয় গরি বজিলাক। মাত্তর, কধা নেই। বেল্যা ঘরত যেনেই সুবুলনে নাকশা নাঙে ফেসবুকত তোগেই চাই মাত্তর, উদিচ গরি ন’ পারে তা নাকশা উব’। তা কেল্যা সুবুলে বেগত্তুন আগে ক্লাজত যেল আ পল্যে যে জাগানত বলাক সে জাগানত বল’। তার আঝা নাকশা সে জাগানত বব’। মাত্তর, নাকশা বেগ’ জেরে লুমনার তলেদি বোই পেল।

 

পরে নাকশা খবর পেল সুবুলে তারে কোচপায়, বানা কি সুবুলে? নাকশারে কোচ ন’ পান কন’ গাভুজ্যা নেই। নাকশা সিয়ানি বুঝি পারে। মাত্তর, নাকশা কারলোই লকফক (সম্পর্ক) অদ’ ন’ চাই। তে ভাবে, বিএ পাস গরিলে বো চেলে বো যেম। কারলোই লকফক গরি নয়।

 

চাদে চাদে থুম অল চাঙমা লেঘা কোর্স। মাত্তর, সুবুলে কোই ন’ পারিল নাকশারে কোচপানা কধা। যে দিন কোর্স থুম সে দিন চাঙমা লেঘা মাস্টস্যা নাকশাত্তুন পুজোর গরের- “কিত্তে চাঙমা লেঘা শিঘর?”

নাকশা কল’- “আমি এক্কো তজিমপুর জাত। আমার ওক্কোর আঘন, ভাচ আঘে অর্থাৎ এক্কো তজিমপুর জাদর যা থানা দরগার সিয়ানি বেক আমার আঘে। যা পিত্তিমীত দাঙর দাঙর জাদত্তুন নেই।  মাত্তর, মুই চাঙমা লেঘা ন’ পারং। চাঙমা অইনেই চাঙমা লেঘা ন’ পারানা এক্কান লাজর কধা। সেনে মুই চাঙমা লেঘা শিঘঙর।”

 

এ কধানি কধে চলাত ভিডিও গরা অয়্যা। বেল্যা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পেজত্তুন আপলোড দিলে ভিডিওবো ভাইরাল অয়। বেগে চাঙমা লেঘা শিঘিবার আওচ আ উচ্চোমি উদি গেল। মাত্তর, দুগর কধা নাকশারে কোচ পেদ আর এক্কো পুঅ। তে এক্কা এক্কা রাজনীতি ভেইল দিদ’। তা নাঙান বিজক। নাকশাদাঘি আদামত্তুন। নাকশারে কয়েকবার বো চেবাত্যা তা মা-বাপ্পোনে খু ধরিলাক। নাকশা মা-বাপ্পুনেও বৌ দিবার চান। মাত্তর নাকশা যদক্কন বিএ পাস গরি ন’ পারে তদক্কন বৌ যেদ’ ন’ চাই। নাকশা তা মামারে কোই দিল’– “মরে বলে বলে বৌ দিলে ম’ মরা মুয়ান চেই পেবা।” তা সে কধা তা মা বাপ্পুনে আওজি মনে গজি নিলাক। কিত্তে, নাকশা অন্য মিলেসান সিবিলিক ছাবালাক নয়। আদামত প্রাইভেট পোড়ে পোড়ে তা খরচ তে গরে আ বোনুনরেও খরঝর এজাল দের। ইক্যে তারে বৌ দিলে ডেন আহ্ত ভাঙে পা অভ।

 

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পেজত্তুন পিয়ে ভিডিও বোত্তুন নাকশা ছবি এডিট গরি ফেসবুকত আপলোড দিল বিজগে। এডিট গরা অয়্যা এক্কো বাঙাল্লোই ছবি উত্তে (সেলপি)। আ সিয়োত ক্যাপসন লেঘা অয়্যা- “এ মিলেবোরে আগে ধরি ব্যাবস্থা ন’ গরিলে বাঙালে সমারে ধেই যেব।”  এ এডিট গরা ছবিবো এমন শেয়ার আ কমেন্ট গরা অয়্যা কারর চোগত ন’ পরে কন’ মানুচ নেই। ত্যুঅ খবর ন’ পায় নাকশা। কিত্তে, তে ফেসবুক ন’ লারে। ফেসবুক সুলি খান না পুরি খান খবর ন’ পায়। তার কন ফোন নেই। তা বাবা ফোনান্নোই কাররে দরগার থেলে কধা কয়। এধক্যে এক্কো মিলেরে ফেসবুগত ভাইরাল অনা সুবুলে বিশ্চেচ ন’ গরে।

সে দিন্যা বেল্যা মাধানা নাকশা কুও গাঙত গেল। তার আগে কয়েক জন সমাজ্যা কুও গাঙত যেলাক। তারা কোই-কি গত্তন- “নাকশা ভিলে এক্কো বাঙাল্লোই প্রেম গরের।” আর’ একজনে কয়- “নাকশারে দ’ সেধক্যে ন’ লাগে।” তারাতাঙুরি আর একজনে কল- “ফাপাক্যে মানচ্যে  জাল মারে সুধু আহ্ত্যা এযে, নিম্মো মানচ্যে জাল মারে ধুলত ভরে আনে।” ইয়ানি নাকশা শুন্নে। নাকশারে দেঘি এক্কা ধীমে ধীমে অলাক। নাকশা পুজোর লল’- কি কোই গরর নিনা বোন? একজনে কল- “তুই ভিলে বাঙাল্লোই প্রেম গরত্তে বোন। ফেসবুকত ত’ ছবি ভাইরাল অয়্যা। সে কধা কোই-কি গরির।” কধায়ান শুনি নাকশা আগাচ ভাঙি পরিল। ভাবিনেই কুল ন’ পার। কি অল’! মাত্তর, নাকশা মন বল আঘে তে কারলোই এয’ ছবি ন’ উদে। কারলোই প্রেম ন’ গরের। যুনিও মান বল থায় মাত্তর, তা সমাজ্যাদাঘিলোই আর কন’ কধা কোই ন পারে। জোপ বন অই এল। জীবন সেধক্যে কধা এয’ ন’ শুনে। এচ্যে শুনিল’।  ধাবা ধাবা ঘরত এল’। তা মামা তা ধক বুঝি পাচ্যে। তা বাবে শুন্নে সে কধা। বিজগে এক ঝাক গাভুজ্যা পাদেল। তারা কলাক্কি তা ঝিবো বৌ দিলে যাদি বৌ দোক। ন’ অলে দাঙর লাচ পেব। নাকশা বাবে বিশ্চেচ যেই ন’ পারে। কিত্তে, তা ঝি খবর তে পায়। মানচ্চো সান কন’ তিনেংপালাং নয়। এ যাবত কন’ মরত্তোই কধা কধে চোগত ন’ পরে। তা দগে তে থায়। পরে তারে সে ছবিবো দেঘেলাক। দেঘিনেই আমক!

 

রাক উদি গেল। নাকশা মারে দাগের। ইয়েন কি দেঘঙর নাকশা মা। সিত্তেই বো যা কলে বৌ ন’ যায়। ইয়ানি গরিবাত্তে। নাকশা আর দেরি ন’ গরি এক্কান দাঙর কাজি লোই কুও গাঙ মুখ্যে চুর গরি ধেই যেল। ইন্দি নাকশা আ নাকশা বাবে কোজ্জে বাজেলাক।

 

বিজগে দুরত্তুন তারার কধা শুনি আঘে। মনে মনে ভাবের এবার বৌ যে পেবে। মরে লোই পেবে। কুধু যেবে এবার নাকশা। মুই বাদে তরে কন জনে ন’ লবাক।

 

ইয়ান গচ্ছে বিজগে। কিত্তে, তে ভাবে নাকশালোই সুবুলে প্রেম গত্তন। ইয়ান যুনি ন’ গরে তে নাকশা ন’ পেব। সুবুলররে লব। সুবুলর মা-বাপ বেক চাগুরি বলা।

 

বেল্যা সাচ লামি রেত অল’। নাকশা এয’ দেঘা নেই। বেগর সন্দেহ বাঙাল্যালোই ধেই যিয়ে। মাত্তর, বানা নাকশা মা বিশ্চেচ ন’ গরে, নাকশা বাঙাল লব’ ভিলেন।  কিত্তে, নাকশা তা মামালোই বেক শেয়ার গরে, তা সবন কধা কয়। বেগে তগাদন নাকশারে। বেগর এক্কান কধা নাকশা কুধু যেই পারে? বেক জাগানিত ফুরমারিলাক। নেই কন জাগাত ন’ পেলাক। রেত গমি যেই পহ্’র অল’। নাকশা দিবে বোন গাঙত যেনেই এক্কো গাঝত তারার বেবেহ্’রে তাঙা তাঙা গরি দিলাক। নাকশা সে লাজত্তুন বাজিবাত্যা তার দোল,সবন-আঝা থুম গরি দিল।

তে এক্কান চিদি লেঘি যিয়্যা-

মা, আহ্’ভিল্যাচ ন’ খেইয়ো। তোমার আর’ তিন্নো ঝি আঘন। তারারে নিনেই তমা সবনাননি তজিম পুর গরি পারিবা। এ সমাচ মরে জাদর সবন আ তমা সবনানি পত্থমে গরিবার ন’ দিল। এ সমাজত গমত জাগা নেই। মিজে বতনাঙ পানাত্তুন মরি যানাআন গম। সেধক্যে এক্কান মর চিদে বুগত সম্যে সেনে তমা কোচপানা বুগত গরি মুই পর পারত যাঙর মা।

ঝু ঝু

তমা কলঙ্গিত

নাকশা   

১৭ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে চাকমা বর্ণমালা শেখাচ্ছেন ইনজেব চাকমা (মাছরাঙ্গা এর রাঙা সকাল)

১৭ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে চাকমা বর্ণমালা শেখাচ্ছেন আমাদের আজকের অতিথি ইনজেব চাকমা। তাঁর উদ্যোগের ফলে এরই মধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিনেছে চাকমা বর্ণমালা। ২০০৪ সাল থেকে বর্ণমালা শেখানোর কাজ তিনি চালিয়ে নিচ্ছেন আনন্দচিত্তে। যুক্ত রয়েছেন ‘চাঙমা সাহিত্য বা’ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে। সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তাঁর নেতৃত্বে সংগঠনের ৪৫ সদস্য চাকমা বর্ণমালা শেখানোর কাজ করে যাচ্ছেন। চাঙমা সাহিত্য বা সংগঠন থেকে ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৫৩টি কেন্দ্রে ১৬৩টি ব্যাচে ১০ হাজার ৩ জনকে চাকমা বর্ণমালা শেখানো হয়েছে। ৪ হাজার ৮৩ জনকে সনদ দেওয়া হয়েছে। শুধু দীঘিনালার ৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে চাকমা বর্ণমালার পাঠদান দেওয়া হয়ে থাকে। তিনি চাকমা বর্ণমালার বই ‘সাঙু’, ‘পত্তম আদি পুদি’ প্রকাশ করেছে। শুধু বর্ণমালার বই নয়, চাকমা সাহিত্য পত্রিকাসহ গল্প, ছড়া ও কবিতার বইও প্রকাশ করে থাকে তিনি। 

রাঙা সকাল’
পর্ব: ৩২৪৪
প্রসারিত: বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ ২০২১ইং, ২৬ ফাগোন ১৪২৭ বাংলা) সকাল ৭.০০টায়
অতিথি:  শিক্ষানুরাগী ইনজেব চাকমা ও সংগীতশিল্পী ফারজানা ববি লিনা
প্রযোজক: রকিবুল আলম রুশো ও জোবায়ের ইকবাল
গ্রন্থনা ও গবেষণা: জাহিদুল ইসলাম জিন্নাহ্ ও সানজিদা সুলতানা
উপস্থাপনা: কিবরিয়া ও নন্দিতা 

রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ অনলাইন তেম্মাং:

এচ্যে ২৩ এপ্রিল ২০২১ ইং, ১০ চোত ১৪২৮ বাংলা শুক্কও বার বেন্যা মাধান ৯ টায় চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি আ নীতিনির্ধারণী কমিতি https://meet.google.com/szw-rqpv-ryu িমলি এক্কো তেম্মাং খলাত সরিত অলাক। যে পোইদ্যানে তেম্মাং: ১. তজিমপুর সল্লাদার কমিতি দিঙিরি দেনা। ২. গঠনতন্ত্র ধগে নীতিনির্ধারণী কমিতি দিঙিরি দেনা। আ ৩. নানান পোইদ্যানে। চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু বেক্কুনরে ভালেদি, কোচপানা, পাত্তুরুতুরু আ ঝু ঝু জানেই উগুরেদি পোইদ্যানে কধা তুলি ধরে। এ পোইদ্যানে যারা তেম্মাং খলাত সরিত অলাক তারাদাঘি যার যার মন কধা ভাঙি কোই দোল সল্লামজিম এক্কান সিদ্ধান্ত গজি ললাক। সিদ্ধান্ত ১: চাঙমা সাহত্যি বাহ্- এর গঠনতন্ত্রর ১২ নং ধারা মজিম তজিমপুর সল্লাদার কমিতি বানা অল। এ কমিতি মেয়াদ ৯.৯.২০-৯.৯.২২ পর্যন্ত। নং নাঙ চিনপুচ্চো ০১ সুনানু শতরুপা চাঙমা মাননীয় সদস্য, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। ০২ সুনানু অনুপম চাঙমা এ্যাডভোকেট,খাগড়াছড়ি জেলা জর্জ কোর্ট। ০৩ সুনানু আনন্দ মোহন চাঙমা চাঙমা লেখক সদস্য, জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ; কবি, সাহিত্যিক। ০৪ সুনানু সুজন চাঙমা সফল উদ্যোক্তা, জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত (কৃষি)। ০৫ সুনানু লালন কান্তি চাঙমা প্রভাষক, কাচালং সরকারি কলেজ ০৬ সুনানু রমেল চাঙমা সাধারণ সম্পাদক, রেগা ক্লাব ০৭ সুনানু সবিতা চাঙমা শিক্ষক, পানছড়ি বাজার হাই স্কুল সিদ্ধান্ত ২: চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গঠণতন্ত্র ১০ নং ধারা মজিম ৫ জন সাবাঙ্গীলোই নীতি নির্ধারণী কমিতি বানানা। নীতি নির্ধারণী কমিটিঃ আগষ্ট ১০, ২০১৯- আগষ্ট ১০, ২০২১ খ্রিঃ ১) জধানানু: দেবপ্রিয় চাঙমা (উন্নয়ন কর্মী) ২) এজাল জধানানু: জুনেল চাঙমা(শিক্ষক, সঃপ্রাঃবিঃ) ৩) সাবাঙ্গী: ইনজেব চাঙমা (কৃষি) ৪) সাবাঙ্গী: কৃতি চাঙমা(ইংরেজি প্রভাষক, খাগাড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ) ৫) সাবাঙ্গী: রনজিত চাঙমা (কবি, সাহিত্যিক ও ব্যাংকার) যারা অনলাইন তেম্মাং খলাত সরি অই পারিলক- ০১ সুনানু ইনজেব চাঙমা জধানানু, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি ০২ সুনানু প্রজ্ঞা আলো চাঙমা দাঙর কাবিদ্যাঙ, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি ০৩ সুনানু মঞ্জু চাঙমা বাহ্ কাবিদ্যাঙ, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি ০৪ সুনানু রিমি চাঙমা ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি ০৫ সুনানু উদয় শঙ্কর চাঙমা দপ্তর, তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি ০৬ সুনানু চিত্তি চাঙমা সাবাঙ্গী, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি ০৭ সুনানু দেবপ্রিয় চাঙমা জধানানু, চাঙমা সাহিত্য বাহ্, নীতিনির্ধারণী কমিতি

সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১

“বিঝু” - সুনানু ইনজেব চাঙমা

ফুল বিঝু দিনে গঙ্গামা উদ্দেশ্য ফুল পূজা ও প্রার্থনা রত
চৈত্র শেষে দুই দিন আর পহেলা বৈশাখ এই তিনদিন ব্যাপি চাঙমারা বিঝু উৎসব পালন করে থাকেন। প্রথম দিনকে বলে ফুল বিঝু, দ্বিতীয় দিনকে বলে মুর বিঝু আর তৃতীয় দিনকে বলে গজ্যে-পজ্যে দিন।
ফুল বিঝু: চৈত্র মাসের ২৯ তারিখ দিনটিকে “ফুল বিঝু” হিসেবে পালন করে। ছেলে মেয়েরা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফুল সংগ্রহ করে এনে নদীতে গোসল করতে যায়। গোসল/স্নান শেষ করে  গঙ্গামা উদ্দেশ্য করে  সে সংগৃহীত ফুল কলা পাতায় সুন্দর করে সাজায়। তারপর নদীর তীরে সাজানো ফুল দিয়ে নতজানু হয়ে বসে হাত জোড় করে প্রার্থনা করে থাকে। এরপর গ্রামে যদি বিহার থাকে বিহারে গিয়ে বুদ্ধকেও ফুল পূজা দিয়ে প্রার্থনা করে। তারপর বাড়িতে এস ফুল দিয়ে বাড়িকে নানান ফুল দিয়ে সাজায়। দুপুরে  পাহাড়ে- নদীতে পাজন তরকারি সংগহে দল বেধে যায়। বিকালে সবাই নানান খেলা খেলে সময় পাড় করে  থাকেন। কোন কোন গ্রামে গেংখলি আসর বসে।
মুর বিঝু: চাঙমারা চৈত্র শেষ দিন “মুর বিঝু” পালন করে থাকে। এ দিনে অন্ততঃ পাঁচ পদেও তরকারির উপকরণ মিশ্রিত বিশেষ ধরণের “পাজন তরকারি” রান্না করা হয়। এ ছাড়া প্রায় ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরণে পিঠা- সান্দি পিঠা, বরা পিঠা, কলা পিঠা, বেং পিঠা, খৈ, বিনিভাত ঘাত্তে, কোন ভাত প্রভৃতি তৈরি করা হয়। সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাঁস মুরগিকে খাবার (চাঙমা ভাষায় আদার)  দেয়া পর বিঝু খাওয়া শুরু হয়। মুর বিঝুতে প্রধান আকর্ষণ হলো পাজন, মদ-জগরা খেয়ে আনন্দে সহিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে গান বাজনা করে পুরান বছরকে বিদায় দেয়। সন্ধ্যা হলে বাড়ির প্রধান দরজায় (সাঙু দুয়োর), বিহারে, ঢেঙি শাল, কুরো ঘর, গাঙে, গোয়াল ঘরে প্রদ্বীপ জ¦ালি সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রার্থনা করে  থাকে। কেউ কেউ রাত ভর ফুর্তি করে থাকে।
গেজ্যে-পজ্যে দিন: নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখকে গেজ্যে-পজ্যে দিন বলে। এই দিনে যুবক যুবতিরা দল বেধে গ্রামে বুড়-বুড়ি স্নান করিয়ে আর্শীবাদ গ্রহণ করে। এই দিনে কেউ কাজ করে না। সারা দিন গড়াগড়ি করে  কাটিয়ে দেয়। তাদের  বিশ^াস, বছরের প্রথম দিনটি ভালো খাওয়া দাওয়া করে হাঁিস গল্পে কাটাতে পারলে বছরের বাকি দিনগুলোও তেমনি ভালোভাবে কাটাতে পারা যায়। সে জন্য ঘরে ঘরে  ভালো ভালো খাবার রান্না করে মা-লক্ষি মাকে পুজা দেয় এবং বুড়-বুড়ি/অথিতি নিমন্ত্রন করে।  

শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১

নিজ’ লেঘালোই নিজ’ ভাচ রাঘেবং আমি ধরি, এয বেগে চাঙমা লেঘা আওচ গরি শিঘি: ঢাকা সাভার চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স

চা.সা.বা ঢাকা ধেলা জধানানু, সুনানু মোহন চাঙমা কধা কর: ছবি: জিকো চাঙমা

২০৫০ ভিশন ভালেদি ওক-

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ঢাকা ধেলা উদ্যোগে গেল্লে কেল্যা ৫ মার্চ ২০২১ইং, ২০ ফাগোন ১৪২৭ বাংলা শুক্করবার বেন্যামাধান ১০ টায় ঢাকা সাভার পল্লি বিদ্যুৎ চাগালত জুম্ম সাহিত্য একাডেমিত তিন মাজ্যা চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স ফাংফগদাঙ গরা অয়্যা।
 
ফাংফগদাঙ খলাবোত কধগিদাঘি কলাক, বাংলাদেঝত জনসংখ্যাদি দি নম্বরত অলেয়্য আমা মা-ভাচ এচ্যে ভচ যেবার অক্তত। তার একমাত্র কারণ আমি অসচেদন। পিত্তিমী অন্য জাদর কিথ্যা রেনি চেলে দেঘি তারা মা-ভাচ কোচ পান সেনে, মা-ভাচ বাদে অন্য ভাঝে কধা ন’ কন। বাংলাদেঝত্তুন যনি আমি চীনত চাগুরি গরা যেই খামাক্কাই চীন’ লেঘা-ভাচ শিঘা পরে। আ তারা বাংলা দেঝত এলেয়্য কন’ দিন বাংলাদি কধা ন’ কন। সেনে, এচ্যা তারার সাধীন, তারার কি নেই? বেক আঘে। মাত্তর! আমি? পরা কবাল্যা চাঙমা জাত্তো যুক যুক ধরি ধরা, পরা খাদে খাদে পিত্তোমরা। তারাদাঘি বেক্কুনে আহ্দে নিজ’ নিজ’ মা- ভাচ শিঘিবার আ আহ্দে আহ্ত ধরা-ধচ্যে গরি মুজুঙে খুচ পেলানা কুজোলী গরিলাক।
 

শেজে ফিদে কাবি সাভার বন বিহার মুখাম ঝু পিয়্যা লাক
ধর্মানন্দ মহাস্থবির ভান্তেদাঘি চাঙমা লেঘা কোর্স ফাংফগদাং গচ্ছে।ইয়োত আহ্’জিল এলাক পল্লীবিদ্যুৎ ধর্ম আ সমাচ্ কমিটির জধানানু (সভাপতি)সুনানু সুনীল চাঙমা,দাঙর কাবিদ্যাঙ (সাধারণ সম্পাদক) সুনানু সুখীময় চাঙমা, সাভার বন বিহারর গরা কমিটির বাহ্ কাবিদ্যাঙ (সাংগঠনিক সম্পাদক) সুনানু জগদীশ চাঙমা আ চাগালার গণ্য মান্য মুরুব্বিগুন। আহ্জিল এলাক "চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ঢাকা ধেলা" কমিটির জধানানু-সুনানু মোহন লাল চাঙমা,দাঙর কাবিদ্যাঙ সুনানু স্মৃতি বিকাশ চাঙমা, এজাল কাবিদ্যাং-সুনানু প্রবীণ চাঙমা(রতন),বাহ্ কাবিদ্যাং- সুনানু সুবর্ণা চাঙমা, ভান্ডালী কাবিদ্যাং-সুনানু তপন চাঙমা (মাস্টর), ফগদাং কাবিদ্যাং-সুনানু জিকো চাঙমা, শিক্ খে আ রিদিসুদোম কাবিদ্যাঙ- সুনানু রিটন চাঙমা(মাস্টর), দপ্তর কাবিদ্যাং- সুনানু রিট্যাইন চাঙমা দাঘি।
 

সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১

পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সন্তু লারমা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক By Hill Voice -মার্চ 1, 2021

 



হিল ভয়েস, ১ মার্চ ২০২১, বিশেষ প্রতিবেদক: অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে কিভাবে শান্তি স্থাপন ও টেকসই করা যায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, এ নিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পার্বত্য চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) এর মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বেলা ১১:৩০ টার দিকে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে এই বৈঠক শুরু হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। প্রথমে সন্তু লারমার সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রায় ২০ মিনিট একান্তে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আরও এক ঘন্টাব্যাপী দ্বিতীয় দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে সন্তু লারমা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান অশান্তি ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে এবং শান্তিপ্রক্রিয়া কিভাবে আরও টেকসই করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে চুক্তির পর ছেড়ে আসা বিভিন্ন সেনাক্যাম্পে সেনাবাহিনীর পরিবর্তে পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্যই পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। কিন্তু চুক্তি তো যথাযথভাবেই বাস্তবায়িত হয়নি। চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই বলে শ্রী লারমা জানান।
সন্তু লারমা আরো বলেন যে, ‘অপারেশন উত্তরণ’ নামক এক প্রকার সেনাশাসনসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সকল অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার না করে কেবল পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে কাক্সিক্ষত শান্তি ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। চুক্তি বাস্তবায়ন না করে কেবল পুলিশ মোতায়েন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন ১৯৯৮ এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ যথাযথভাবে কার্যকরকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে ‘পুলিশ’ ও ‘আইন-শৃঙ্খলা’ বিষয়টি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর, পার্বত্য চুক্তির সঙ্গতি বিধানকল্পে ১৮৬১ সালে পুলিশ আইন, পুলিশ রেগুলেশন এবং ১৯০০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি সংশোধন, ‘ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা’ বিষয়টি হস্তান্তরসহ ভূমি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে অহস্তান্তরিত বিষয়সমূহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর ইত্যাদি বিষয়সমূহ তুলে ধরেন। পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী অধিবাসীদেরকে তিন পার্বত্য জেলায় পোস্টিং দেওয়ার কথাও তিনি তুলে ধরেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সন্তু লারমা আরো বলেন যে, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহের নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটি। তাই চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এই কমিটির সম্পৃক্ততা অত্যাবশ্যক বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে পার্বত্য চুক্তির কোন কোন ধারাবাস্তবায়িত হয়েছে, কোন কোন ধারা বাস্তবায়িত হয়নি সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এ সময় সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের উপর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রকাশিত ২০১৯ সালের প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষে সিদ্ধান্ত হয় যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিয়ে আবারও অতিশীঘ্রই বৈঠক হবে এবং উক্ত বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটিকে সম্পৃক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সন্তু লারমার সাথে বৈঠকের তাগিদ দিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে এই বৈঠকের উদ্যোগ নেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে আন্তরিক পরিবেশে গুরুত্ব সহকারে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়। পূর্বের মতো চুক্তি বাস্তবায়নে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা দিয়ে যাবেন বলে সন্তু লারমা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বাস প্রদান করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও রাজনৈতিক উপায়ে সমাধান এবং জুম্মসহ স্থায়ী অধিবাসীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু বিগত ২৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও সরকার চুক্তিটি পূর্ণাঙ্গরূপে ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেনি। উপরন্তু সাম্প্রতিককালে সরকার ও প্রশাসন চুক্তি বাস্তবায়ন না কওে এবং চুক্তি বাস্তবায়ন বন্ধ রেখে চুক্তি স্বাক্ষরকারী জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মী ও জুম্ম জনগণের উপর দমন-পীড়নের পথ অবলম্বন করে। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ক্রমাগত পূর্বের মত অস্থিতিশীল, অশান্ত ও জটিল পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হতে থাকে।
আরো উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ সভায় কমিটির অন্যতম সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন যে, পার্বত্য চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী সন্তু লারমাকে মাইনাস করে যে প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে তা কখনোই সঠিক নয়। সন্তু লারমাকে বাদ দিয়ে কখনোই পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
ছবি: সন্তু লারমা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...