শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০
"চাঙমা সাহিত্য বাহ্" ও আমি: সুনানু প্রজ্ঞা আলো তালুকদার
শাক্য বংশ জনম: সুনানু ইনজেব চাঙমা
বিজগত লেঘা আঘে, এত্থে সূর্য বংশউনর পূর্বপুরুষউনর উত্তর মঙ্গোলীয়ত্তুন মধ্য এশিয়া দি গরি হিমালয়’ মোন গোরাত রের্য্য থিদ’ গরন। আ পরেদি সিত্তুন হিমালয় - তিব্বত পদে বেই ভারদত সমান।
এ সূর্য্যবংশর এক্কো রাজা ইক্ষাকুর চেরবো পুঅ আ পাচ্চো ঝি আঘে। তারার সাদাঙা মা কু পাগে অযোধ্যা নাঙে প্রদেঝ’ ইধু বন বাসত পাদা অইয়ে। সিধু তারা কপিল নাঙে এক্কো ঋষির আশ্রয় লন। রাজার পুঅ/ঝিউনর পাজা গম লাগি ঋষি তারারে তা সমারে থেবার হুম দিল। সিত্তুন ধরি এ জাগা নাঙান “কপিলা বস্তু” নাঙে নাঙ বজে।
নগর থিদ’ গরানা পর রাজ কুমরদাঘির জধন গরিবার থিক অহ্’য়। মাত্তর, কারে বানেবাক লগর সমারি? অন্য কিত্যাত্তুন মোক ললে তারার বংশ মিজিল্যা অভাক আ তারার ক্ষত্রিয় ধর্ম অপমান অভ’ ভাবিনেই ভেই-বোনে লোই-লি অভার থিক গরন। তারার বেগ’ দাঙর বোন্নুরে মা সান ভাবন।
এ খবরান তারা বাপ রাজা খবর পেলে রের্য্যত পণ্ডিক আ ধর্মগুরুউনরে দাগি সল্লা চেল- এ “শক্য” বা ধর্ম সুধোম আঘে নিনা? ভেই-বোনে লো-লি অভার। তারা বেগে ধিঙিরি দিলাক, তারা যে দিন মাধানত (পরিস্থিতি) আঘন এ “শক্য” (ধর্ম সুধোমত পরে) ধগে তারা লো-লি অই পারন।
সিত্তুন ধরি শক্য র’বোত্তুন শাক্য বংশ নাঙ পিয়ে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০
দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান: নানান কিয়োঙত ভান্তেদাঘিরে চাঙমা লেঘা চার্ট দান
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা(এওজি, দিঘীনালা): চীবর অহ্’লে ভান্তেদাঘি উরন্দে কাপর। যে দিনত চীবর দান গরিবাক সেদিন বেন্যাত্তুন ধরি তা কেল্যা বেন্যা সং সুদ তুলনা, থেয়ানা, বাজানা, বুনানা, কাপানা, সেলানা, রং গরানা, ধনা আ শুগনা এধক্যে আগাথ্যা কামানি গরানা।
এ বাদেয়্য আর’ কিঝু আগাথ্যা রিদিসুধোম
পালানা সমারে এ চীবর দানান থুম অহ্’য়। সিত্যাই চীবর দানর আগে কঠিন র’বো বাজেই
দিন্যাই কঠিন চীবর দান নাঙ দিয়্যা অহ্’য়।
ইরুক নানান কোম্পানি বানেয়্যা আ
সেলেয়্যা চীবর ভান্তেদাঘিরে দান গরন।
কঠিন চীবর দান অবার আগেদি ভান্দেদাঘি শবাশালত আ নানান জাগাত্তুন কাপড় তোগে উরন –পরন। মাত্তর সিয়ানি বেচ আজর অহ্’না বুদ্ধ হুম দেনায় গম চীবর উরি-পিনন।
ইক্যে ভান্তেদাঘি ধর্মসুধোমে নানাঙ ফাংশান গরি যা যা কিয়োঙত তিনমাঝ্যা বর্ষাবাস থুম গরন, তারার দায়ক-দায়িকাদাঘি এ কঠিন চীবর দান গরন। তিন মাঝ্যা বর্ষাবাস থুম অহ্’লে ধর্মসুধোমে দোলে দোলে প্রবরণা পূর্ণিমা পালান। আ এ প্রবারণা পূর্ণিমা তা কেল্যা দিনত্তুন ধরি কাদি পূর্ণিমা সং এ এক মাস কাঠিন চীবর দান গরিবার সুধোম থায়।
বুদ্ধ ধর্ম মতে, পিত্তিমীত যেধক্কানি দান আঘে সে দান সেরে কঠিন চীবর দান অহ্’লদে দাঙর দান। বেক দান’ পারমি জমা গরিলেয়্য এ এক্কান চীবর দানর সমান পূণ্য পা ন’ যায়। কঠিন চীবর দান দিন্যাই যে ফল পা যায় জনমে জনমে সে দানর সুফল আ নির্বাণ লাগত পেবার হেতু উৎপন্ন অহ্’য়। সেনে তারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান নাঙ দিয়্যা অইয়ে।
কঠিন চীবর দানর ন’ পুরেয়্যা পূণ্য আ নানান বাবত্যা গুন কধা মাধাত রাঘেই এ দংগাপিড়ে করোনা ভাইরাসর সেরে সেরেয়্য উহ্’জে উহ্’জে দোলে দালে নানান কিয়োঙত কঠিন চীবর দান গরা অইয়ে।
এ দিন বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-মঙ্গলাচরণ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা তুলনা, বেন্যা পৈনাল গরি বুদ্ধ পূজা, অষ্ট -সংঘদান, পূজ্য ভান্তেদাঘিরে পিন্ডদান, পঞ্চশীল/অষ্টশীল লনা, কঠিন চীবর দান আ কল্পতরু উৎসর্গ, ফানাচ উড়ানা, আজার বাত্তি জ্বালানা, বিশ্বশান্তি আ দেঝর মঙ্গলত্যাই তবনা আ বিদর্শন ভাবনা গরা অহ্’য়।
এ কঠিন চীবর দান’ অক্তত চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নানান কিয়োঙত চাঙমা লেঘা চার্ট দান গচ্ছে। যা কন’ কালে এ দানান গরা ন’ অহ্’য়।
1. শ্রীমৎ চন্দ্র কীর্তি ভান্তেদাঘি মিঙিনি চাগালাত অনুত্তর পূণ্যক্ষেত্র পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ নকবাচ অহ্’নার পোইদ্যানে: চাঙমা লেঘা চার্ট আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে। সামরে শ্রীমৎ তেজ বংশ ভান্তেদাঘিরেয়্য চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিসার্শত্তুন পত্থম ফগদাঙ অইয়ে “ঘিলে ফুল” (চাঙমা ছড়া বই, লেঘিয়্যা: সুনানু রনজিত চাঙমা) আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে।– ৭ নভেম্বর ২০২০ ইং।
2.
সাধনাটিলা বন বিহার থিদ গরিয়্যা শ্রীমৎ বুদ্ধ বংশ ভান্তেদাঘিয়ে চাঙমা লেঘা চার্টলোই মান গজা অইয়ে। সামরে শ্রীমৎ নন্দ পাল ভান্তেদাঘিরেয়্য চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিসার্শত্তুন পত্থম ফগদাঙ অইয়ে “ঘিলে ফুল” (চাঙমা ছড়া বই, লেঘিয়্যা: সুনানু রনজিত চাঙমা) আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে। আ যার এজালে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ২০ বঝরত খুচ দিল সে স্বর্গীয় সুনানু পাহাড়ীকা চাঙমা উদিজে চীবন দান গরা অইয়ে। - ১৩ নভেম্বর ২০২০ ইং।
3.
পান ছড়ি সংঘ মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার নানু শ্রীমৎ তেজ জ্যোতি ভান্তেদাঘিয়ে চাঙমা লেঘা চার্টলোই মান গজা অইয়ে। সামরে খাগাড়াছড়ি জেলাপরিষদর নানু কংজোরি চৌধুরীদাঘিরেয়্য চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিসার্শত্তুন পত্থম ফগদাঙ অইয়ে “ঘিলে ফুল” (চাঙমা ছড়া বই, লেঘিয়্যা: সুনানু রনজিত চাঙমা) আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে।– ১৪ নভেম্বর ২০২০ ইং।
4. কুকিছড়া ত্রিরত্নাংকুর বৌদ্ধ বিহার’ নানু শ্রীমৎ অনিত্য লোক ভান্তেদাঘিয়ে চাঙমা লেঘা চার্টলোই মান গজা অইয়ে। ১৪ নভেম্বর ২০২০ ইং।
5. গোলাবাড়ি আর্য্য গিরি অরন্য কুঠির’ নানু শ্রীমৎ জ্ঞান আনন্দ ভান্তেদাঘিরে চাঙমা লেঘা চার্ট আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিসার্শত্তুন পত্থম ফগদাঙ অইয়ে “ঘিলে ফুল” (চাঙমা ছড়া বই, লেঘিয়্যা: সুনানু রনজিত চাঙমা) আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে। - ২০ নভেম্বর ২০২০ ইং।
6.
তেঁতুলতলা অগ্রমৈত্রী বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র থিদ’ গরিয়্যা শ্রীমৎ তেজ বংশ ভান্তেদাঘিরে চাঙমা লেঘা চার্টলোই মান গজা অইয়ে। - ২০ নভেম্বর ২০২০ইং।
7. আর্য গিরি বন বিহার থিদ গরিয়্য শ্রীমৎ অমর রত্ন ভান্তেদাঘিরে চাঙমা লেঘা চার্টলোই মান গজা অইয়ে। সমারে শ্রীমৎ শাসন রক্ষিত ভান্দেদাঘিরে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিসার্শত্তুন পত্থম ফগদাঙ অইয়ে “ঘিলে ফুল” (চাঙমা ছড়া বই, লেঘিয়্যা: সুনানু রনজিত চাঙমা) আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে।– ২৪ নভেম্বর ২০২০ ইং।
নির্বাচনী ইশতেহার ও আদিবাসী: মঙ্গল কুমার চাকমা
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮
শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০
শ্রীমৎ চন্দ্র কীর্তি ভান্তে দাঘিরে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন মান গজানা
এধক্যে চেদনত্তুন এচ্যে অনুত্তর পূর্ণ্যক্ষেত্র মহান পার্বত্য ভিক্ষু সংঘর মিঙিনি চাগালা জধানানু অনার পোইদ্যানে শ্রীমৎ চন্দ্রকীর্তি ভান্তেদাঘিরে মান গাজেয়্যা। এচ্যে এল’ সিদ্ধানন্দ বৌদ্ধ বিহারত দানত্তম শুভ কঠিন চীবর দান। সে ফাংশান’ সেরেদি ভান্তেদাঘিরে মান গজা অইয়ে।
চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বিশ্চেস গরের- বেক তরেহ্ তরেহ্ নানান সমাজ ভালেদি কাম্মোউন জাদর, দেঝর কধা ভাবি কাম গত্তন। ভান্তেদাঘিয়্য নানান ধক্যে গরি কামা গরি যাদন। যেধক্যে গরি বুদ্ধ আমলত বুদ্ধ জাদর কধা ভাবি দপদভা বৈদিক আ সংস্কৃতি ভাচ্ছোই ধর্ম ফগদাঙ ন’ গরি পালি আ মগদি ভাচ্চোই তা ধর্ময়ান ফগদাঙ গচ্ছে আ দ্বি দ্বিবার তা জ্ঞাতিউনরে বাজেয়্যা।
শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
অপহরণে শিকার সুজিৎ চাকমা
বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
মাত্র ২৩ দিন ব্যবধানে আবারও দলবেধে ধর্ষণের শিকার আদিবাসী নারী (৩৬)
গত ৩১ আগস্ট ২০২০ ইং সোমবার খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে চার বাঙালি সেটেলার যুবক কর্তৃক রাতভর
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এক মারমা কিশোরী (১৪) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে
অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাত্র ২৩ দিন ব্যবধানে আবারও নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হন খাগড়াছড়ি বলপিয়্যা আদামের এক প্রতিবন্ধি আদিবাসী নারী (৩৬)।
আজ ২৪/০৯/২০২০ ইং রোজ বৃহষ্পতিবার খাগড়াছড়ি সদরস্হ "বলপিয়ে আদাম" গ্রামে
নিজ বাড়ীতে সেতলার বাঙালী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হওয়া ভিক্টিমের (৩৬) সাথে
সরাসরি সাক্ষাতে কথা বলে জানা গেল, অদ্য রাত ২.২৬ মিনিটে ৯ জন সেতলার
বাঙালী বাড়ীর মেইন গেইটের উপরের দিকে বেয়ে উঠে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর
প্রবেশ করে ঘটনা ঘটান এবং চলে যাবার সময় নগদ ৮,০০০ টাকা ও কয়েক ভরি সোনা
গহনা লুট করে নিয়ে যান। সেতলার বাঙালীদের হাতে ছিল দা, ছুঁড়ি ও পোড়াবাড়ি।
ভিক্টিমের আরও বয়ানমতে, দুষ্কৃতিকারী সেতলারদের কারোর নাম জানা না থাকলেও
কিন্তু তাদের সকলের চেহারা পরিচিত এবং তাদের প্রত্যেকের বাড়ী হলো খাগড়াছড়ি
সদরস্হ গঞ্জপাড়ার বাঙাল হাটি মৌজা গ্রামে। তাদের ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায়
মামলা করা হয়।
এ দিকে সাধারণ জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, নিজ বাড়িতে যখন নিরাপত্তা নাই , দেশের আইন বলে কিছু নাই।
সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
“ঘিলে ফুল” ছড়া বইটি কেন পড়ব? - ইনজেব চাঙমা
Reading is to the mind what exercise is to the body ”
– Joseph Addison
এই কথাটি বলে গিয়েছেন ৩০০ বছর পূর্বে । আর বর্তমান মডার্ন সায়েন্স গবেষণার দ্বারা এই কথাটির সত্যতা প্রমাণ করেছে । ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখতে পারি । একটি ভালো বই মানুষের মনশ্চক্ষু যেমন খুলে দেয় তেমনি জ্ঞান ও বুদ্ধিকে প্রসারিত ও বিকশিত করে মনের ভিতরে আলো জ্বালাতে সাহায্য করে ।
বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না , তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে ।
যাক, এখন আছি ঘিলেফুল ছড়া বইটি কেন পড়ব। আপনারা শুনে থাকবেন “ঘিলেফুল” দেবংশী মানে সাধারণ চোখে দেখা যায় না। জনশ্রুতি আছে ঘিলেফুল দেখলে নাকি সেই ব্যক্তি অবশ্যই সুনাম অর্জিত হয়।
এমনই চিন্তা চেতনা নিয়ে লেখক ঘিলেফুল নামক ছড়া বইটি লিখেছেন। বইটিতে চাঙমা জাতির সাহিত্য সংস্কৃতি, ভাষা এবং একটি শিশু মেধা বিকাশের বড়ই ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস রাখি।
ঘিলে ফুল ঘিলে ফুল
মরে দেনা তুই দেঘা,
কিত্তে তুই লুগি থাচ?
মনর ভুলান ভাঙি দেনা।
তরে দেলে রাজা অহ্ন
নয় দ’ ভিলে যান মরি,
সেনত্তেই তুই লুগি থাচ
অইনে ভিলে দেবংশি ?
তুই কি নয় ফুল সালে?
সেনত্তেই তুই থাচ লুগি?
কধক দিন আর বেলাপ দিবে
দেনা মরে ভুল ভাঙি।
বই পড়া থেকে আনন্দ, বুদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জিত হয়। বই পড়তে হয় একাকী এবং তাতে অবসর ভরে ওঠে নির্মল আনন্দে, বুদ্ধি আসে বইয়ের কথামালা থেকে, আর সক্ষমতা আসে গ্রন্থগত বিদ্যার সঙ্গে বিষয়বুদ্ধির সংশ্লেষে।
১) জ্ঞান বৃদ্ধি করে
২) মানসিক উদ্দীপনা তৈরি করে
৩) মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
৪) অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ
৫) কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি করে
৬) স্মরণ শক্তির বৃদ্ধি ঘটে
৭) শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি
৮) লেখনী শক্তি বৃদ্ধি
৯) Critical thinking বৃদ্ধি করে
১০) একাগ্রতা বৃদ্ধি করে ও মানসিক প্রশান্তি দান করে
১১) সহানুভূতি বোধ
১২) আত্মসম্মান বোধ তৈরি করে
১৩) সংলাপ দক্ষতা
১৪) ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে
তাহলে এসো বন্ধুরা , আমরা এবার কিছু বই সংগ্রহ করে জীবনের সঙ্গে জুড়ে নিয়ে একটা বড়সড় বদল আনি ।
* মহালছড়িত পেব: সুনানু টুটুল চাঙমাদাঘিদু/চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গীউনর আহ্’দত। - 01517185352
* সাজেক: সুনানু প্রকৃতি চাঙমা আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাজেক ইউপি ধেলা সাবাঙ্গীদাঘিদু।- 01869963852
লংগদু: শ্লোক চাঙমা আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গীদাঘিদু।- 01551987188
এজাল দর/দাম: বানা ১০০ তেঙা।
ঘিলেফুল চেবার অলে যাদি যাদি লবার কুজোলী থেল।
সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
এবার বাসন্তী রেমার কলাবাগান উজাড় মধুপুরে জমি উদ্ধারের নামে গারোদের সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে প্রকাশ: মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মধুপুরে কয়েক দিন ধরেই জমি উদ্ধারের নামে স্থানীয় গারোদের মাঠের ফসল ট্রাক্টর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযান চালাচ্ছে বন বিভাগ। উপজেলার আরণখোলা ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে এরই মধ্যে ১০ গারো পরিবারের পাঁচ একর জমির আনারস, পেঁপে, আদা, হলুদ, কলা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের পেগামারীতে দরিদ্র বাসন্তী রেমার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন কলাবাগানটিও কেটে উজাড় করে দিয়েছে বন বিভাগ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গারো সম্প্রদায়ের লোকজন বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
স্থানীয় গারোদের অভিযোগ- বন বিভাগের জমি দাবি করে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই গত ২৪ আগস্ট পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে তাদের জমির ফসল মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। ওই সময় তাদের পাঁচ একর জমির ফসল এভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। করোনা মহামারির এই সময়ে বন বিভাগের এমন 'অমানবিক আচরণে' তারা এখন পথে বসার উপক্রম। গারোরা জানান, যুগ যুগ ধরে দখলি সত্ত্বেও এই জমিতে চাষ করে আসছেন তারা। কেউ উত্তরাধিকার, আবার কেউ 'বাংলা দলিল' (রেজিস্ট্রিবিহীন) মূলে এই জমির মালিক।
অবশ্য বন বিভাগের বক্তব্য, সিএস ১০৪ দাগের বনভূমির জবরদখল হওয়া জায়গা তারা উদ্ধার করছে। এই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকালে শোলাকুড়ি ইউনিয়নের পেগামারীতে বাসন্তী রেমার কলাবাগানটি কেটে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। গেতিস জেত্রার স্ত্রী বাসন্তী রেমা জানান, তার পূর্বপুরুষ এক শতাব্দী ধরে এ জমি চাষ করে আসছে। উত্তরাধিকার সূত্রে ভোগদখলকারী হিসেবে দেড় বিঘা জমিতে ঋণ করে তিনি পাঁচশ' সবরি কলার চারা রোপণ করেছেন। সদ্য সমাপ্ত বনরক্ষা সংশ্নিষ্ট প্রকল্পের কর্মী বাহিনীর সদস্য (সিএফডব্লিউ) হিসেবে তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু বন বিভাগ দখলমুক্ত করার নামে হঠাৎ তার বাগানের কলাগাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। আর্থিক সংকটের এ সময়ে এমন আচমকা ঘটনায় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় মান্দি (গারো) নেতা উইলিয়াম দাজেল জানান, বিনা নোটিশে বন বিভাগের এমন ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ দুঃখজনক। বন বিভাগের সঙ্গে কাজ করা লোকজন যদি এমন অবস্থার শিকার হন, তবে বন রক্ষায় বন বিভাগের পাশে কেউ থাকতে চাইবে না।
এদিকে, কলাবাগান কাটার খবরে স্থানীয় গারোরা বন বিভাগের কর্মীদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে তারা দোখলা রেঞ্জ কার্যালয়ের কাছে ডাকবাংলোতে আশ্রয় নেন। সেখানে রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল আহাদসহ একাধিক কর্মকর্তা অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ গারোরা সেখানে গিয়ে ফসল কাটার প্রতিবাদে কার্যালয় অবরোধসহ বিক্ষোভ করেন। তারা নানা স্লোগান দিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল আহাদ বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা তাদের এক শ্রমিককে মারধর করেছে। তার বাসাসহ গার্ড রফিকের বাসায় ভাঙচুর চালিয়েছে। রেঞ্জ কার্যালয়ের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। সহকারী বন সংরক্ষক জামাল উদ্দিন তালুকদারও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে গারো নেতাদের মধ্যস্থতায় বুধবার (আগামীকাল) বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। এমন প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, 'বন বিভাগের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জবরদখল হওয়া বনভূমি দখলমুক্ত করার কাজ চলছে। দখলমুক্ত করতে গিয়ে আজ এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। ডিএফওর উপস্থিতিতে গারোদের পরিস্থিতির কথা জানানোর দাবিতে বুধবারের বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। মীমাংসা অনেকটাই হয়ে গেছে।'
স্থানীয় কৃষক সুরুজ আলী বলেন, 'এই জমির পাশে বন বিভাগের ২০০৭-০৮ সালের দিকে আগর চাষের প্রকল্প ছিল। ওই প্রকল্পের বাইরে থাকা আমাদের এ জমিতে তখনও ফসল ছিল। তখন আগর চাষ ব্যর্থ হয়। আগের ব্যর্থ প্রকল্পের জমির সঙ্গে আমাদের জমি দেখিয়ে বন বিভাগ এখন নতুন করে কাজুবাদাম চাষের প্রকল্প নিয়েছে। এ কারণে আমাদের ক্ষতি করছে তারা।'
মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও বোডোল্যান্ড চুক্তি: একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা - শক্তিপদ ত্রিপুরা
সবাই বাঙালি : বিদ্রোহের সূচনা
আমরা বাঙালি না বাংলাদেশি ? জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় , তখনই এই বিতর্কের সঙ্গে মানুষ পরিচিত হলেন। বাম এবং আওয়ামী বুদ্ধ...

-
১ বাবুছড়া ক্যাম্পের অপরিসর আঙিনায় সৈনিকরা জলপাই রঙের ম্যাট বিছিয়ে রাইফেল পরিষ্কারে ব্যস্ত। প্রতিমাসে একবার গোটা ক্যাম্প জুড়ে চলে পরিষ্কার ঘষ...
-
বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...
-
উপেন্দ্র লাল চাকমার ভূমিকা [i] পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি আলোচনায় উপেন্দ্র লাল চাকমা সরকার ও শান্তিবাহিনীর মধ্যে দূতিয়ালি...