শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

১৩ বজর পর “চাঙমা সাহিত্য বা” নুয়ো কমিতি:

এচ্যে ২৩/০২/২০১৮ ইং “চাঙমা সাহিত্য বা” কমিতি বানা অয়্যা। সমারে দিঘীনালা ডিগ্রি কলেজ ধেলা, বাবুছড়া ইউপি ধেলা, বাবুছড়া কলেজ ধেলা আ সাজেক ইউপি ধেলা উগুম দিয়্যা ।
সংমিলনি খলাত খলানানু এল চাঙমা সাহিত্য বা থিদব্বর গচ্ছে ভজমান দাঙগু দেব প্রিয় চাঙমা। তেয়্য এচ্যে চাঙমা সাহিত্য বা নুয়ো গরা কমিতি কাম গরানা উগুম দিয়্যা।
চাঙমা সাহিত্য বা নুয়ো গরা কমিতি:
১। জধানানু- দাঙগু কে.ভি দেবাশীষ চাঙমা,
২। এজাল জধানানু- দাঙগু দেবপ্রিয় চাঙমা,
৩। দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগু ইনজেব চাঙমা,
৪। এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগু সম্বুমিত্র চাঙমা,
৫। বা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু এলিয়েন্স চাঙমা,
৬। ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ- দাঙগু পরেশ চাঙমা,
৭। ফগদাঙ আ সিদানা কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী শ্রেয়সী চাঙমা,
৮। দপ্তর, তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ- সুমন চাঙমা,
৯। আন্তর্জাতিক আ সেমিনার কাবিদ্যাঙ- দাঙগু বিকেন চেগে,
১০। সিক্খা, খারা আ সংস্কৃতি কাবিদ্যাঙ- দাঙগু সুমঙ্গল চাঙমা,
আ ১১। সাবাঙ্গী- দাঙগুবী প্রিয়সী চাঙমা।

এচ্যে ২৩/০২/২০১৮ইং শুক্করবার বেন্যা ৯টা অক্তত দিঘীনালা ডিগ্রি কলেজত চাঙমা সাহিত্য বা অতালিয়ে আওজে ১৩ বজর পর আর’ নুয়ো গরি “চাঙমা সাহ
চাঙমা সাহিত্য বা দিগীনালা ডিগ্রি কলেজ ধেলা:
১। জধানানু- দাঙগু ধর্ম বিকাশ চাঙমা,
২। এজাল জধানানু- দাঙগু নবেল চাঙমা চাঙমা,
৩। দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী লাকী চাঙমা
৪। এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী রাবিনা চাঙমা,
৫। বা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু শ্যামল চাঙমা,
৬। ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ- দাঙগু প্রকৃতি চাঙমা,
৭। ফগদাঙ আ সিদানা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু লক্ষী ধন চাঙমা,
৮। দপ্তর, তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু নয়ন শান্তি চাঙমা,
৯। আন্তর্জাতিক আ সেমিনার কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী টিংকু চাঙমা,
১০। সিক্খা, খারা আ সংস্কৃতি কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী রেশমি চাঙমা,
আ ১১। সাবাঙ্গী- দাঙগুবী এটিনা চাঙমা।

১। জধানানু- দাঙগু সোনা মনি চাঙমা,
২। এজাল জধানানু- দাঙগু সুখেন চাঙমা,
৩। দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী সুনয়না চাঙমা,
৪। এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী টিনা চাঙমা,
৫। বা কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী বিনা চাঙমা,
৬। ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী প্রমিকা চাঙমা,
৭। ফগদাঙ আ সিদানা কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী মানিকা চাঙমা,
৮। দপ্তর, তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী রুনা চাঙমা,
৯। আন্তর্জাতিক আ সেমিনার কাবিদ্যাঙ- দাঙগু বিক্রম চেগে,
১০। সিক্খা, খারা আ সংস্কৃতি কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী বর্ষা চাঙমা,
আ ১১। সাবাঙ্গী- দাঙগুবী জোসিনা চাঙমা।
চাঙমা সাহিত্য বা বাবুছড়া কলেজ ধেলা:
চাঙমা সাহিত্য বা সাজেক ইউপি ধেলা:
১। জধানানু- দাঙগু প্রকৃতি চাঙমা,
২। এজাল জধানানু- দাঙগুবী বৈশাখী চাঙমা,
৩। দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগু লক্ষী ধন চাঙমা,
৪। এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ- দাঙগু সুসম জয় চাঙমা,
৫। বা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু নয়ন শান্তি চাঙমা,
৬। ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী নিষ্কৃতি চাঙমা,
৭। ফগদাঙ আ সিদানা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু জয়ীতা চাঙমা,
৮। দপ্তর, তথ্য আ গবেষণা কাবিদ্যাঙ- দাঙগু বিশাল চাঙমা,
৯। আন্তর্জাতিক আ সেমিনার কাবিদ্যাঙ- দাঙগু রাসেশ চাঙমা,
১০। সিক্খা, খারা আ সংস্কৃতি কাবিদ্যাঙ- দাঙগুবী সপ্না চাঙমা,
আ ১১। সাবাঙ্গী- দাঙগু এলবিন চাঙমা।

বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

সাজেকে সেনা-সেটলার হামলার ৭ বছর


Sajek-hamla-photo2-300x241ডেস্ক রিপোর্ট।। ২০১০ সালের এ দিনে (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে সেনা ও সেটলার বাঙালিরা যৌথভাবে পাহাড়িদের ওপর বর্বরোচিত হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে তাণ্ডবলীলা চালায়। পরদিন ২০ ফেব্রুযারিও পাহাড়িদের উপর হামলা চালানো হয়। সেনা জওয়ানরা নিরস্ত্র পাহাড়ি জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করলে ঘটনাস্থলে নিহত হন বুদ্ধপুদি চাকমা ও লক্ষী বিজয় চাকমা নামে দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা।
হামলার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়িতেও ২২-২৩ ফেব্রুয়ারী সাতভাইয়্যাপাড়া-মা’জনপাড়ায় সেটলাররা সেনা সহায়তায় হামলা চালায়। সাতভাইয়্যাপাড়ায় বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। মা’জনপাড়ায় দোকানপাটসহ পাহাড়িদের বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। পরের দিন খবংপুজ্যায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে নির্বিচারে গ্রামবাসীদের ধরপাকড় চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে।
হামলাকারী দুর্বৃত্তরা সাজেকে ২টি বৌদ্ধ বিহার ও ৩টি গীর্জাসহ ১১টি গ্রামের পাহাড়িদের পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই করে দেয়। এছাড়া শিশুতলি গ্রামের বাসিন্দা রূপন চাকমাকে গুম করে ফেলে। এটা ছিল সাজেকের দ্বিতীয় বারের মত হামলা। এর আগে ২০০৮ সালেও সাজেকে সেনা সহায়তায় সেটলাররা পাহাড়িদের কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল।
সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত লক্ষ্মী বিজয় চাকমা। ফাইল ছবি।
# সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত লক্ষ্মী বিজয় চাকমা। ফাইল ছবি।
সাজেকে হামলার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাহাড়িদের ভূমি বেদখল করে সেখানে সেটলার জনবসতি গড়ে তোলা। মূলতঃ এ ষড়যন্ত্র শুরু হয় বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়। পরে ২০০৭ সালে-২০০৮ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত মঈন উদ্দিন – ফখরুদ্দীনের সরকারের আমলে উক্ত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চুড়ান্ত পদক্ষেপ গৃহীত হয়। সে সময় সেনা সহায়তায় নতুন করে বিভিন্ন এলাকা থেকে সেটলারদের সাজেক এলাকায় পুনর্বাসন করা হয়।
এর আগেও ২০০৮ সালের ২০ এপ্রিল সেনাবাহিনী ও সেটলাররা পাহাড়িদের গ্রামে হামলা চালায়। সে সময় ৪টি গ্রামের ৭৭টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু তারা ফিরে যেতে না যেতেই সেটলাররা সেনা সহায়তায় ৯ আগষ্ট আবার গঙ্গারামদোরের ৪টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এরপর ১৯ আগষ্ট সেটলাররা অপর এক হামলায় রেতকাবা গ্রামের লাদুমনি চাকমাকে কুপিয়ে খুন করে। বাঘাইহাট সেনা জোন এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে প্রধান ভূমিকায় থেকে নেতৃত্ব দেয়।
সাজেক জনগণের প্রতিবাদ। ফাইল ছবি
সাজেক জনগণের প্রতিবাদ। ফাইল ছবি
উক্ত  হামলার  প্রতিবাদে সাজেকের জনগণ ব্যাপক গণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখা দেয়। ভূমি বেদখল বিরোধী আন্দোলনের প্রক্রিয়ায় বাঘাইহাট বাজার বয়কট করে গঙ্গারাম দোরে উজো বাজার নামে একটি জনগণের বাজার গড়ে তোলা হয়। এই উজো বাজার সাজেকের জনগণের সংগ্রামের এক মূর্ত প্রতীক। উজো একটি চাকমা শব্দ, যা যুদ্ধে বা সংগ্রামে রণধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পার্বত্য  চট্টগ্রামের আন্দোলনের ইতিহাসে উজো বাজারের এক বিশেষ তাৎপর্য আছে বলেই সরকার ও সেনাবাহিনী এ বাজারকে ধ্বংস করার জন্য শুরু থেকেই উঠেপড়ে লেগে যায়। তারা জনগণকে ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শনের মাধ্যমে বাজারটি বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে হামলার ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিচার ও শাস্তি হয়নি হামলায় জড়িত সেনা-সেটলারদের। উপরন্তু পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে সাজেক থেকে পাহাড়ি উচ্ছেদসহ নতুন নীল-নক্সা বাস্তবায়ন করছে সরকার-সেনাবাহিনী।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ২, ধৃতদের পক্ষে নেই উকিলরা


দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডিতে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় গ্রেফতার ২, ধৃতদের পক্ষে নেই উকিলরা।
মূল অভিযুক্ত রামপ্রবেশ শর্মাকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে জেরা করে অপর অভিযুক্ত আন্ধারু বর্মনকে মঙ্গলবার ইটাহার থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে অত্যাচারের ঘটনার পর প্রায় ১৮ ঘন্টা ধরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকা যুবতীকে রবিবার বিকেলে উদ্ধার করে মাথায় জল দিয়ে জ্ঞান ফেরান বলে এলাকাবাসীর দাবি। এরপর কুশমণ্ডি হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই যুবতীর জবানবন্দি অনুযায়ী রামপ্রবেশের নাম জানতে পারে পুলিশ। এরপর দেহাবন্ধ এলাকার বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ বছরের কাঠমিস্ত্রি রামপ্রবেশকে পুলিশ পাকড়াও করে। অপর অভিযুক্ত লাগোয়া ইটাহারের পূর্ব নওগাঁ এলাকা থেকে কৃষিজীবী আন্ধারু বর্মনকে এদিন পুলিশ গ্রেফতার করে।
গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে ধৃত ওই দুজনকে তোলা হলে তাদের পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। বিচারক ১১ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আন্ধারুর বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় পুরনো অপরাধের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে রামপ্রবেশ শর্মার গ্রেফতারে এলাকার অনেকেই অবাক। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘‘রামপ্রবেশের কাঠের দোকান রয়েছে। বড় দুটি মেয়ে। এমন জঘন্য ঘটনায় ও জড়িত থাকবেন ভাবলে অবাক হচ্ছি।” রামপ্রবেশের বাড়িতে গিয়ে কাউকে মেলেনি।
সোমবার নির্যাতিতার প্রতিবেশী প্রৌঢ় ধুমা সরেনকে দিয়ে কুশমণ্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে যুবতীকে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টায় মূল অভিযুক্ত বলে রামপ্রবেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতা যুবতী রামপ্রবেশের নাম বলেছেন। তাকে ধরে জেরা করে অপর অভিযুক্ত আন্ধারুর নাম মিলেছে। দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চলছে।”
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবেই হোক তরুণীকে সুস্থ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে কলকাতায় নিয়ে কিংবা কলকাতা থেকে চিকিৎসক দল পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোও হতে পারে। রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকেও দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধৃতদের আরএসপি সমর্থক বলে দাবি করা হয়েছে। আরএসপির দাবি, ‘‘ধৃতরা আগে আরএসপি সমর্থক ছিলেন। এখন তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন।”
সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা, ২১/০২/২০১৮।
http://www.anandabazar.com/district/north-bengal/kushmandi-rape-accused-convicts-got-no-lawyer-in-court-1.759712?ref=north-bengal-new-stry

গেল্লে কেল্যা দীঘিনালা ১নং যৌথ খামারত ইউপিডিএফ’র এক্কো কর্মী মরি গেল

গেল্লে কেল্যা দীঘিনালা ১নং যৌথ খামারত ইউপিডিএফ’র এক্কো কর্মী মরি গেল । তা নাঙান সাইন চাঙমা(সুপার)২০ বাপ নাঙ ভূবন বিজয় চাঙমা, আদাম রস্যামুনি কার্বারী পাড়া দিঘীনালা। বেন্যা ৯ টা বর্মা গ্র্রুপে তারে মারি যিয়োন ইউপিডিএফ’র কয়। সমারে ৩ জন আহত।

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

পাহাড়ি নারীর ধর্ষণ ইতিহাসের কষ্টিপাথরে বিচার করতে হবে



সম্প্রতি রাঙামাটির বিলাইছড়িতে উনিশ বছরের এক মারমা তরুণী ধর্ষিত হয়েছেন আর তাঁর কিশোরী বোনটি যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন৷ অথচ আইরনিক্যালি বিলাইছড়ি থানা বাংলাদেশের একমাত্র থানা যেখানে গত চার বছরে কোনো অপরাধ মামলা হয়নি৷

আদিবাসীদের মূল্যবোধ সেখানকার সমাজকে এতদিন সুরক্ষিত রেখেছে, ঠিক সেখানেই ধর্ষণ হয়েছে আর ধর্ষণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা
কাপেং ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ৩৬৪ জন আদিবাসী নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে৷ তার মধ্যে ১০৬ জন শারীরিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, ১০০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ৬৬ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে৷ চলতি বছরের কেবল জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ১০ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তার মধ্যে তিনজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে৷ ধর্ষণের পর মেরে ফেলা হয়েছিল সবিতা চাকমা, সুজাতা চাকমা, ছবি মারমা আর তুমাচিং মারমাকে৷ এই নামগুলো ইন্টারনেটে বেশ আলোচিত হয়েছিল৷

উখিয়ায় আদিবাসী ছাত্রী ইলা রানী চাকমা'কে (১৫) ধর্ষণের চেষ্ঠা

উখিয়ায় আদিবাসী ছাত্রী ইলা রানী চাকমা'কে (১৫) ধর্ষণের চেষ্ঠা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে দুর্বৃত্তরা,তাকে রক্ষা করতে গিয়ে ইলা রানীর বড় বোন মাছাউ চাকমাককেও (২৫) আহত করেছেন দুর্বৃত্তরা।দুর্বৃত্তরা হলেন ইব্রাহিম,আব্দুর রহমান ও রফিক সহ আরো ৪-৫ জন ছিলেন।

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

পিসিপি’র কর্মী ও সমর্থকদের নামে ছাত্রলীগ কর্তৃক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে পিসিপি


February 17, 2018
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে খেলার দু-পক্ষের মারামারিতে সুপায়ন চাকমা আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ সন্ধ্যায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করে। উল্লেখ্য যে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার নগ্ন উদ্দেশ্যে তারা উক্ত কর্মসূচী পালন করেছিল যা তাদের কার্যক্রমে প্রতিফলিত হয়েছে।
জানা গেছে, সেদিন ক্রিকেট খেলায় রান চুরির পর জয়-পরাজয় নির্ধারণ করার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হলে সুপায়ন চাকমা আহত হয়। বস্তুত: সেই ঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কোন সদস্য জড়িত ছিল না এবং খেলায়ও অংশগ্রহণ করেনি। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের যে বক্তব্য তা মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়। রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত মারামারির ঘটনার সাথে কেবল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পিসিপিকে জড়িয়ে ক্ষান্ত থাকেনি, তারা এ ঘটনার প্রতিবাদের নামে ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করে। সাধারণ পথচারী, সাংবাদিক ও পুলিশের উপরও ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা হামলা করে আহত করে।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে পিসিপি’র কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে হেয় এবং হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার জন্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানাচ্ছে।
খেলোয়াড়দের ঘটনাকে রাজনৈতিক মাঠে নিয়ে হীন উদ্দেশ্য সাধন করার ছাত্রলীগের এই ন্যাক্কারজনক ষড়যন্ত্র কখনো শুভ ফল বয়ে আনবে না। হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা না হলে তার জন্য উদ্ভূত যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য ছাত্রলীগই দায়ি থাকবে বলে পাহাড়ি ছাত্র সুস্পষ্টভাবে বলতে চায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি, তারিখ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।। নিতীষ চাকমা, তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, রাঙ্গামাটি জেলা শাখা

মারমা দুই বোনকে ধর্ষণ ও নিপীড়ন করেছে কারা?



১. জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান
২. বিলাইছড়ির ১০ আনসার ব্যাটালিয়নের জোন কমান্ডার আফজল হোসেন
৩. রাঙামাটি জেলার আনসার কমান্ডার আব্দুল আউয়াল
তিনজনের বক্তব্য মিলিয়ে দেখুন। আসল সত্যটা জানতে পারবেন। সেনাবাহিনী যে কিছু ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে সেটা পরিষ্কার!
মারমা কিশোরী ধর্ষণের শিকার ঘটনার #চারদিন_অতিবাহিত_হওয়ার_পর_সেনাবাহিনী_পক্ষ_থেকে_বলা_হচ্ছে!
( পত্রিকায় প্রকাশিত খবর)
ঘটনার ওই রাতেই -
#আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে!
#আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে ব্যাটালিয়ন সদরে ক্লোজড করা হয়েছে!
তাহলে আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে আটক, ব্যাটালিয়ন সদরে ক্লোজড করার কথা তারা গোপন রেখেছিল কেন?
#গিয়াস উদ্দিনকে আটক, ব্যাটালিয়ন সদরে ক্লোজড করা হয়েছে এটার সত্যটা কি?
#আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে কেন পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়নি?
#আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনের বিচার কি তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে হবে না?
গিয়াস উদ্দিন আটক বা ব্যাটালিয়ন সদরে ক্লোজড -এর ঘটনা সব সাজানো নাটক হলেও এ প্রশ্ন আসতেই পারে।

#ঘটনা: -
গত ২২ জানুয়ারি ২০১৮ দিবাগত রাত আনুমানিক ২:৩০ টায় রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ওড়াছড়ি গ্রামে এক মারমা কিশোরী (১৭) ফারুয়া সেনা ক্যাম্পের সেনাসদস্য কর্তৃক নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার এবং তার আরেক ছোট বোন (১৫) শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়।

#সেনা_সন্ত্রাস!
> ২২ জানুয়ারি ২০১৮ দিনের বেলায় ফারুয়া ক্যাম্পের একদল সেনা ওড়াছড়িতে ভিকটিমের বাবার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন এবং কেউ এসে জানতে চাইলে ‘ধর্ষিত হয়েছে’ বলে কেউ যাতে না বলে তা নির্দেশ দিয়ে আসেন। বললে #মেরে_ফেলা_হবে_বলে_হুমকি_দেন। তবে ‘শুধু একটু গায়ে ধরে টানাটানি করা হয়েছে’ বলতে বলা হয়!
> ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ রাংগামাটি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল ওড়াছড়িতে গিয়ে ভিকটিমের মা বাবার ও এলাকার মুরুব্বিদের সাথে কথা বলেন এবং ভিডিও করেন বলে জানা যায়। এ সময়ে ভিকটিমের মা বাবা সেনাবাহিনীর শিখিয়ে দেয়া কথাগুলো বলতে বাধ্য হন।
> ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ রাত ১১.০০ টায় আবার ভিকটিমের বাবার বাড়িতে সেনাবাহিনী যায়। তবে সেখানে গিয়ে কি বলেছে সেটা জানা না গেলেও কি বলতে পারে সেটা অনুমান করা যায়। ভিকটিমদের রাঙ্গামাটি হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করতে ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ সারাদিন গাছকাবাছড়া ক্যাম্পের চেকপোস্টে সেনা সদস্যরা তল্লাসী চালিয়ে যাত্রীবাহী বোট ও নৌকায় কোন মারমা লোকজন আছে কিনা খুঁজতে থাকে!
> ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ দুপুর ১২:০০ টার দিকে ভিকটিমকে রাঙ্গামাটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর স্থানীয় প্রশাসন ও প্রশাসনের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়। সন্ধ্যার পর থেকেই একদল পুলিশ এসে ভিকটিমদেরকে সার্বক্ষণিক প্রহরায় রাখে। এরপর রাত ৮:০০ টার দিকে দুইজন পুরুষ পুলিশ এসে দুই ভিকটিমকে হাসপাতালের অফিস কক্ষে নিয়ে যায়। প্রায় একঘন্টা ধরে উক্ত দুইজন পুলিশ ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেসময় উক্ত কক্ষে কোন নার্স বা চিকিৎসক কিংরা মহিলা পুলিশ রাখা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই টিভটিমকে হাসপাতালের বেডে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশকে না জানিয়ে ভিকটিমের জন্য কোন খাবার বা ঔষধ অন্য কাউকে দিয়ে নিয়ে না আসার জন্য নার্সদেরকে পুলিশ নির্দেশ দেয়!
>> ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ভোরে একদল সেনা সদস্য ভিকটিমদের বাড়িতে গিয়ে তাদের মাতা-পিতা, স্থানীয় এক হেডম্যান ও এক কার্বারীকে দীঘলছড়ি সেনা জোনে নিয়ে যায়। পরে হেডম্যান ও কার্বারীকে ছেড়ে দিলেও ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের মা-বাবাকে জোর করে এনে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রাম চরণ মারমা ওরফে রাসেল মারমাকে দিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রেস ক্লাবে #গত ২৪_জানুয়ারি_২০১৮ সকালে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ছোট ভাই জানান( মারমা ভাষায়) - সেই রাতে তাদের বাড়িতে যারা ঢুকেছিল তারা-
১. সেনাবাহিনীর পোশাক পড়া ছিল
২. কথা বলতে চাইলে মাথায় বন্দুকের নল তাক করে
=============================
#আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিলাইছড়ির ওড়াছড়ি গ্রামের একটি বাড়িতে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল তল্লাশি চালাচ্ছিল। এ সময় পাশের আরেকটি বাড়ি থেকে একটি চিৎকারের শব্দ শুনে সেনা সদস্যরা সেখানে যান এবং একজন আনসার সদস্যকে দেখতে পান। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই আনসার সদস্যকে স্থানীয় আনসার কমান্ডারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।’
#বিলাইছড়ির ১০ আনসার ব্যাটালিয়নের জোন কমান্ডার আফজল হোসেন বলেন, ‘অপরাধীদের ধরতে ২০ জনের একটি টহল দল সন্দেহজনক বাড়িগুলোয় অভিযান চালাচ্ছিল। টহল দলে ছিলেন সেনাবাহিনীর ১৪ জন ও আনসারের ৬ জন সদস্য। অভিযানের অংশ হিসেবে সেদিন একটি বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছিল। একজন আনসার সদস্য বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়লে পোশাক পরা দেখে একটি মেয়ে চিৎকার করে ওঠে। সেখানে আর কিছুই হয়নি, হওয়ার সুযোগও ছিল না। আমরা পাহাড়ের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত। কিছু লোক আছে যারা পাহাড়কে অশান্ত করতে এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
# বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেলার আনসার কমান্ডার আব্দুল আউয়াল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তল্লাশি অভিযানের সময় একটি মেয়ের চিৎকারে শুনে সবাই সেখানে যায়। কিন্তু সন্দেহজনক কিছুই পায়নি। এরপরও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই আনসার সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে ব্যাটালিয়ন সদরে ক্লোজড করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে সেখানে আদৌও কিছু ঘটেছিল কিনা।’


বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪:২৩, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮ |সর্বশেষ আপডেট: ০৮:২৭, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮

রাঙামাটি সদর হাসপাতালরাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ওড়াছড়ি গ্রামে মারমা পরিবারের এক বোনকে ধর্ষণ ও আরেক বোনকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা এক আনসার সদস্যকে আটক করে তার ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে ক্লোজড করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  ২২ জানুয়ারি গভীর রাতে বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ওড়াছড়ি গ্রামে সেনাবাহিনী ও আনসারের সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় এক মারমা পরিবারের বড় বোনকে (১৮) ধর্ষণ এবং ছোট বোনকে (১৩) যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার দুই বোনকে ২৩ জানুয়ারি রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুই কিশোরীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়, রানি য়েন য়েন, রাঙামাটির এমপি ঊষাতন তালুকদার ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
এরপর চাকমা রাজা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “গতকাল (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটির সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম ধর্ষণ ও যৌন হামলার শিকার দুই বোনকে দেখতে ও তাদের সঙ্গে কথা বলতে। ঘটনায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলাটা সম্ভব হলো ‘নিরাপত্তা’ বাহিনীর বিশেষ পোশাকধারী ও ওয়াকি-টকিওয়ালা এবং ওয়াকি-টকিবিহীন বিশেষ পোশাকবিহীন ব্যক্তিদের বিরোধিতার মুখে। প্রথম বাধা ছিল দর্শনার্থী সংখ্যা নিয়ে। আমার সঙ্গে ছিলেন প্রফেসর বাঞ্চিতা,রানি য়েন য়েন। দ্বিতীয় বাধা ছিল ভাষা। তৃতীয় বাধা ছিল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি আছে কিনা। আমি বললাম, চাকমা সার্কেলের প্রধান হিসেবে অবশ্যই আমার অধিকার আছে আমার সার্কেলের অধিবাসীর খোঁজ-খবর নেওয়ার। আর মানিবাধিকারের বিষয়ে প্রফেসর বাঞ্চিতার রয়েছে দেশের যেকোনও নাগরিকের মানবাধিকার বিষয়ে তদারকি করার। পালটা প্রশ্ন করলাম যে আমাদের দেখা করার ও কথা বলার বিপক্ষে কি কোনও আইন-আদেশ আছে কিনা? উত্তপ্ত ব্যক্তি পরামর্শ দিলেন, এসপি বা ওসি সাহেবের অনুমতি নিতে। আমিও উত্তপ্তভাবে বললাম, তাদের আপত্তি থাকলে যেন তারাই আমাকে কথাটি জানায়।  গরজ তাদের, আমাদের নয়। দুই বোনের মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা যে আতঙ্কগ্রস্ত, তা স্পষ্ট। ভাগ্যিস রানি য়েন য়েন মারমা ভাষাভাষী। এতে অন্তত জড়তা পুরোপুরি দূরীভূত না হলেও তারা কিছুটা মাত্রায় হলেও স্বস্তিবোধ করছিলেন।’

খাগড়াছড়িতে নব্য মুখোশ বাহিনী সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবারো এক ইউপিডিএফ কর্মী খুন

শনিবার, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮, আপডেট: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার হরিণাথ পাড়ায় সেনা সৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবারো এক ইউপিডিএফ কর্মী খুন হয়েছেন। আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউপিডিএফ কর্মীর নাম দীলিপ কুমার চাকমা ওরফে বিনয় (৪২)। তিনি পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের পুজগাঙের মুনিপুর (লেন্দিয়া পাড়া) গ্রামের সন্তোষ কুমার চাকমার ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নব্য মুখোশ বাহিনীর ৯ জনের একটি সশস্ত্র দল ইউপিডিএফ’র স্থানীয় কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় প্রাণ রক্ষার জন্য দৌঁড়ে পালানোর সময় পেছন থেকে সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার করলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দিলীপ কুমার চাকমা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ জানুয়ারি নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ইউপিডএফ সংগঠক মিঠুন চাকমাকে বাড়ির গেইট থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে এবং ২৬ জানুয়ারি শান্তিময় চাকমা নামে অপর এক ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।

রাঙামাটির এসপি ভিক্টিমদের নাম ও ছবি প্রকাশ

রাঙমাত্যা পুলিশ সুপার।
Dipo Chakma
রাঙামাটির এসপি ভিক্টিমদের নাম ও ছবি প্রকাশ করে আজ নিজের চরিত্র উম্মোচন করেছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা রাঙামাটির পুলিশের প্রধান হিসেবে তার ন্যূনতম দায়িত্বজ্ঞান ও বিবেকবান নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন আমরা তাই তুলছি। এসব মানুষ রাষ্ট্রের বড় দায়িত্বগুলোতে বসে থাকেন বলে দেশের আজ এই অবস্থা।
আর প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণঃ
আপনারা জানেন, গতকাল রাঙামাটি হাসপাতালে মারমা বোনদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং রাণী ইয়েন ইয়েন সহ বাকিদের মারধর করা হয়েছে। এর আগে হাসপাতালের সমস্ত লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়, শুধুমাত্র মহিলা ওয়ার্ড ছাড়া যেখানে ভিক্টিমদের সাথে অবস্থান করছিলেন রাণী ও ভলান্টিয়াররা।
লাইট অফ করে ১০-১২ জন মহিলা (মুখে কাপড় পেঁচানো) আর সাথে ৬-৭ জন পুরুষ ওয়ার্ডে প্রবেশ করে। এদের সকলের নেতৃত্বে ছিল রমেল চাকমার হত্যাকারী মেজর তানভীর। এসেই তারা ভলান্টিয়ারদের অন্য রুমে আটকে রাখে। রাণীর সাথে তখন ছিল মাত্র একজন ভলান্টিয়ার যে সেখান থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এরপর তারা সমন্বিতভাবে রাণী ও অন্য একজন ভলান্টিয়ারের উপর আক্রমণ করে। দুইজনকেই মাটিতে ফেলে পেটানো হয়। রাণীর মাথায় কিল-ঘুষি দিয়ে আঘাত করা হয় অনেকবার। লাথি মারা হয়েছে বেশ কয়েকটি। এরপর তাদের মারতে মারতে হাসপাতালের দোতলা থেকে নিচতলায় নিয়ে আসা হয়। ভলান্টিয়ার মেয়েটিকে সামনের দরজায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাণীকে পিছনের দরজার দিকে। নিয়ে যাওয়ার সময় রাণী ও অন্য ভলান্টিয়ারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল তারা বারবার।
ওয়ার্ডের মধ্যে রাণীর ফোন ছিনতাই করার চেষ্টাও চলে। আর মেয়ে ভলান্টিয়ারটি সে ফোনটি নিয়ে ধস্তাধস্তি করে আর্মি-পুলিশের সাথে। ফলে তাকে সবচেয়ে বেশি মারধর করা হয়।
মেয়ে ভলান্টিয়ারকে ভিক্টিমদের সাথে গাড়িতে তুলে নেয়ার প্রথমে চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে সে সিদ্ধান্ত বাতিল করে তারা। এ সুযোগে মেয়েটি সেখান থেকে পালিয়ে দোতলায় একটি স্টোররুমে নিয়ে আটকে রেখে নিজেকে রক্ষা করে। পরবর্তীতে জানা গেছে যে, মেয়েটিকে খুঁজতে পুলিশ আর রাত ১১টার দিকে আর্মির একটি দল হাসপাতালে গিয়েছিল। তবে এর আগে মেয়েটি সেখান থেকে সরে পড়ে।
আর রাণীকে যখন পিছনের দরজা দিয়ে ঠেলে দেয়া হয় তখন অন্ধকারের সুযোগে তিনি দেয়াল টপকে হাসপাতালের পিছনের লেকের পাড়ে আশ্রয় নেন। আশ্রয় নেয়ার আগে তিনি হাসপাতালের মেইন গেইটের দিকে এগিয়ে যান এবং হাসপাতালের কম্পাউন্ডে সিলভার কালারের একটি মাইক্রোবাস (যেখানে করে মেয়েদের নেয়া হয়েছিল) এবং সে গাড়ির আগে পিছে আর্মির ভ্যান দেখতে পেয়েছিলেন। কাউকে তখন হাসপাতাল এরিয়ায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না তাই হাসপাতাল ছিল একেবারে খাঁ খাঁ। এরপর রাণী নিজেকে রক্ষার
সেখানে তিনি অনেকগুলো লাইট দেখতে পেয়েছিলেন। প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট পরে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন এবং সিএনজি দিয়ে রাজবাড়িতে চলে যান।
সর্বশেষঃ এসপির আপলোড দেয়া ছবিতে বাড়ির যে ঠিকানা দেয়া হয়েছে সেখানে আর মেয়েগুলো নেই। আর আমরা তাদের দেখবো কিনা জানি না, তবে একটি বিচারের বাণী এভাবে নিভৃতে হারিয়ে গেল। দেখিয়ে দিয়ে গেল, পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোর জন্য রাষ্ট্রের আইন ইচ্ছে মতো পরিবর্তন করা যায়, নিজেদের সুবিধা মতো ব্যবহার করা যায়। আর এই অন্যায়টি ধামাচাপা দেয়া হল আরেকটি অন্যায়ের হোতা রমেল চাকমার হত্যাকারী মেজর তানভীরের মাধ্যমে।
এই রাষ্ট্রকে ঘৃণা ছাড়া আমাদের আর দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রাণী য়েন য়েন ও ভলান্টিয়ারদের হামলার প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


।।বিনয় চাকমা।। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং
গত বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চাকমা সার্কেলের রাণী য়েন য়েন, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার দুই মারমা তরুণীদের এবং ভলান্টিয়ারদের উপর বর্বরোচিত হামলায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, হিমাওয়ান্তি, উইমেন্স রিসোর্স নেটওয়ার্ক, পার্বত্য চট্টগ্রাম হেডম্যান নেটওয়ার্ক, পার্বত্য চট্টগ্রাম কার্বারী নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতারা।
আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় শহরের রাজবাড়ীস্থ সাবারাং রেস্টুরেন্সটে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সের পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই ৬ সংগঠন ’নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে এ প্রেস কনফারেন্সে আয়োজন করে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টায় রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের বিলাইছড়িতে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার দুই মার্মা তরুণীর সাথে অবস্থানরত চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রাণী য়েন য়েন ও ভলান্টিয়ারদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। এতে রাণী সহ কয়েক জন ভলান্টিয়ার আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে এক নারী ভলান্টিয়ারকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ করেছেন নেতারা। নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা রহ্মাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঐদিন একই সময়ে দুই মারমা তরুনীকে তুলে নেয় হাসপাতাল থেকে।
এই ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবাহিনীকে দায়ি করে রাঙ্গামাটির ৬ সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রেস কনফারেন্সে অভিযোগ করা হয় হাইকোটের এক আদেশ মোতাবে গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টায় দিকে ইউনিফর্মধারী পুলিশ ও সদাপোশাকধারী নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ( পুরুষ ও নারী ) ভ’ক্তভোগীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদেরকে মা-বাবার হেফাজতে দেওয়ার কথা বলে হাসপাতাল থেকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার অযোগ করেছে নেতরা ।
৬ সংগঠনের নেতারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় ওয়ার্ডের পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের বিভিন্ন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন এবং এর সাথে আরো সাদা পোশাকধারী অনুমানিক ১০ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ ছিল । এদের মধ্যে নারীরা ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকা ও পুরুষেরা মাস্ক পরা অবস্থায় ছিল।
নেতারা আরো বলেন, প্রশাসনে এহেন জবরদস্তিমূলক আচারণে নাগরিক সমাজ মনে করে পার্বত্য চুক্তির অভিপ্রায়ের সাথেও সাংঘর্ষিক।
সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গামাটির ৬ সংগঠনের নেতারা ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন,
দাবীগুলো হলো—বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় স¦াধীন, নিরপেক্ষ ও যথাযথ ক্ষমতা সম্পূন্ন একটি তদন্ত কমিটি দ্রুত গঠন করা , হামলার ঘটনার জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার ও শাস্তির প্রদান করা, ভ’ক্তভোগী মার্মা দুই তরুণীর বর্তমান অবস্থান নিরুপন করে তার একটি সুস্পষ্ট প্রতিবেদন মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে প্রেরণ করা , দুই মার্মা তুরণী সহ পরিবারের নিরাপত্তা বিধান করা, চাকমা রাজপরিবার সহ সংশ্লিষ্ট সকল শুভাঙ্খীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত দাবি জানিয়েছেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনের পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ানে নেতৃন্দ্রেীদের ৬ সংগঠনে নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা মারমা তরুণীদের কোন হদিস মিলাতে পারছেনা এবং নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রহ্মাকারী বাহিনীর সদস্যরা কোথায় রেখেছে এ ব্যাপাওে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, দুই মারমা তরুণী সাবেক রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য তাদের পিতা-মাতার সঙ্গে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

রাঙামাটি হাসপাতাল থেকে দুই মারমা মেয়েকে নিয়ে গেছে সেনাবাহিনী, রাণী য়েন য়েন নিঁখোজ!


রাঙামাটি : বিলাইছড়িতে ধর্ষণ যৌন নিপীড়নের শিকার দুই মারমা মেয়েকে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮) রাত ৭টা ২৫মিনিটের দিকে রাঙামাটি সদর হাসপাতাল থেকে সেনাপুলিশবিজিবি’র যৌথ দল জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে। মেয়েদের সাথে থাকা রাণী য়েন য়েনকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে মেয়েদের দেখাশুনার কাজে নিয়োজিত এক নারী স্বেচ্ছাসেবক তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর দলের সদস্যরা প্রথমে মেয়েদের দেখাশুনার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের মারধর করে তাদের একটি রুমে আটকে ফেলে। পরে হাসপাতালের বাতি নিভিয়ে দিয়ে হাসপাতালে থাকা ধর্ষণ যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বোনকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
সময় মেয়েদের সাথে থাকা রাণী য়েন য়েনকেও সেনারা তুলে নিয়ে গেছে এবং তাঁকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। মেজর তানভীর ঘটনায় নেতৃত্ব দেন বলেও সূত্রটি জানায়।
তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  তা জানা যায়নি।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...