শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০

তিবুরা : চাঙমা লেঘার পইদ্যানে পরাক পরাক কয়েকখান কধা- সুনানু কুসুম কান্তি চাঙমা, ভারত


আকহধা
    তিবুরাত চাঙমাগউনর লোকসংখ্যা প্রায় এক লাখর ইন্ধি-উন্ধি। ১৯-চো জনজাতি মধ্যে চাঙমাউন লোকসংখ্যাধি দি নম্বর আ গদা তিবুরাত চাঙমাঘান তিন নম্বর দাঙর ভাষা। তিবুরার লোকসংখ্যার ৩% আ আদিবাসঅ লোকসংখ্যার ১২.৫% চাঙমা। বেচভাক চাঙমা তিবুরার দেরগাঙ, মনুগাঙ, ফেনীগাঙর কুরে কারে আদামানিত বজত্তি গত্থন। মোটামুটি রাজা কৃঞ্চ মানিক্যর আমলত্থুন ধরি (১৭ শ শতক) গুমেদত আ ১৮ শতকর শেজত্থুন ধরি দেরগাঙত চাঙমাগুনোর বজত্তির বিজগী মাজারা তোগেই পা’ যায়। পড়া-শুনোধি তিবুরার চাঙমাউন সারেপারা আক্কোলেয়ো উবর কাবর পেশা  বা সরকারী চাগরীত তারা এভ’ লেমপোচ্যে। গদা তিবুরাত বানা ১৫ জন চাঙমা টিসিএস/টিপিএস, চের জন বানা কলেজর মাস্টর, হন’ আইএএস অফিসার নেই, এক জন বানা উকিল - ইয়েনিয়ে গমেদালে চাঙমাগুনোর উনোঘান ফগদাঙ গরে। রাজনীতিদিধ’ তারা আর’ বেচ লেমপোচ্যা। চের পাচ্যান এডিসি/বিধানসভা সিদোত চাঙমাঘুনোর জয়-পরাজয় ঠিক গরিভার ক্ষমতা থেলেয়ো তারা কন’ দিন এক্কানত্থুন বেচ কেন্দ্রত  - সিয়ে এডিসি ওহ্ক বা বিধানসভা, কন’ দিন জু ন’ পা’ন। তিবুরার চাঙমাগুনোর নিজস্ব কন’ রাজনৈতিক দল নেই বা এমন কন’ দলো নেই যিবে চাঙমা কজমা নেতাগুনোরে লারেগরি রাজনীতি শিগি নেতা ওহ্বার জু দিবো। যার ফলে ইধু নেতা অহ্নাগান বেজাদি নেতাগুনোর দয়ের উগুরেই ভর গোচ্যে। সেনত্যায় তারা নিজর জাদর সুখ-দুগোর কধা যেত্তোমান ভাবন সিত্থুন বেচ ভাবদে বাধ্য অহ্ন হি গরিলে ‘উতারা’ খুজি ওহ্বাক। আর ঠিক ইয়োদই তিবুরার চাঙমাগুনোর  বে’ক ফ্রন্টত অহ্দি যেবার শুরু।

চাঙমা লেঘা কিত্তেই দরগার
    আমি যে যে কারনে চাঙমা লেঘার পক্ষে সওয়াল গরিই তার কয়েকখান মুলুক কারন অহ্লদে :-
    ক) চাঙমা লেঘাগান বানা চাঙমাগুনোর নয় গদা ভারদরই পুরোনি পোতপোত্যা সভ্যতার একখান মাজারা। গদা ভারদত প্রায় এক আহ্জারর খাজাখাচ্যা কধা থেলেয়ো উকখোর আঘন ২০ বাবদরো কম। ভারত সরকারে পুরোনি বিজগী মাজারাগানি বাজেই রাগেবাত্যায় যদি কোটি কোটি তেঙা খরচ গরি পারে সালে চাঙমা লেঘা বাজেই রাগেবাত্যায় হেত্তেই হয়েক লাখ টেঙায়ো খরচ গরি ন’পারিবো ? ভালক্কানি ডাঙর ডাঙর ভাষা আঘে যিয়েনির হন’ নিজর অহ্রক নেই। চাঙমা উক্কোরুন আমা জাদর বার গরি পারে পারা পুরোনি বিজগর চিন্নক ভিলি আমি মনে গরিই। সেনত্যায় সিঘুন ধরি রাঘানা আমা জাদর আরাঙ ধক্কান বজায় রাগেবাত্যায় এগ’পরা দরকার। ভারদর সংবিধানর ২৯(১) ধারাত পোতপোত্যা গরি তুলোপারা আঘে যে হন’ জাদর নিজর ধগর ভাষা, লেঘা আ বা সুধোম থেলে সিয়েনি বাজেই রাঘেবার তারার অধিকার থেব’ (29(1) Any section of the citizens residing in the territory of India or any part thereof having a distinct language, script or culture of its own shall have the right to conserve the same.)| সেনত্যায় এ ওকখোরুন বাজেই রাঘেবাত্যায় চাঙমাগুনো লঘে কেন্দ্র আ রেজ্য সরকাররো উজেই এজানা দরকার।
    খ) চিগোন জাত অহ্নার কারনে চাঙমাগুনে বিজগর নাললো নিজ’ সুবিধেমত ফিরেই ন’ পারন। উগুধো বিজগে তারারে থুত্যা বোয়েরর সান বার বার উড়েই নেযেয়ে যিন্নি মনে হয় সিন্নি। ১৪ শতকর আগে একদল আমাত্থুন ছিনি রোয়োন বার্মার (ইক্কুনুর মায়ানমার) আরাকান বামত। তারা দৈংনাক্যা নাঙে পরেধি নাঙ হোলেয়োন। আ আমারে নাঙ দুওন আনক্যা মানে পঝিম কুল্যা। ইক্কুনু যেমন দেঝকুল্যা চাঙমাগুনে তিবুরার চাঙমাগুনোরে হন উত্তর কুল্যা। ১৬-১৭ শতকত দৈংনাক্যা চাঙমাগুনোর ইক্কো দল আরাকানত্থুন এনেই আমা লঘে জুক দুওন্নি। সিগুনোই পরেধি তোঙতোঙ্যা নাঙে চিনপচ্য ওহ্য়োন। ১৯৪৭ সনত ভারত স্বাধীনর লক্কে মনে মনজক্কা গরি আমা দেশচান ভাক গরি দুওন। হিঝু চাঙমা বাম  পচ্ছে তিবুরার লঘে আ হিঝু চাঙমা বাম মিজোরাম (সেক্কেনর আসাম প্রদেশ)-র লঘে। বেচভাক চাঙমা যে বামত রই গেলাক সে হিল চাদিগাঙান সিধুগোর মানুশচুনোর মনর হধা থুবি মারি ফেলেই দিনেই সিয়েন ভরেই দিলাক মুসলিম জাতীয়তাবাদী দেঝ পাকিস্থানর ভিদিরে। সে বাদে বড়গাঙর গধা পানিত ডুবো খেই ১৯৬৪ সনত প্রায় ৪০ আহ্জার চাঙমা (যিঘুন ইক্কুনু ১ লাখ) ভারদত পার ওহ্নেই অরুনাচল প্রদেশ  (সেক্কেনর ঘঊঋঅ ) -ত পরঙ ওহ্ই পেয়োন্নি। একলঘে এই ইধুক্কো মানুঝোর পরঙ অহ্নাঘান ‘বড় পরঙ’ ঈজেবে নাঙ পেয়ে।
    এই যে বিজগর ঘুলোন্যাত পড়ি দেঝে-বিদেঝে চাঙমাঘুন ছিনেছিন্যে ওহ্ই পোচ্যন, যার ফলে তারা পত্তি বামত নাদাগুলেগত পরিনত ওহ্ই পেয়োন। পত্তি বামর ভৌগোলিক ভেইল মজিম তারার খাচ্যেক, উড়োন-পিনোন, হধা বদলি যেয়েগোই। মাত্তর ভেক্কানি বদলি যেনেয়ো দিয়েন জিনিচ এভ’ সঙ তারা বুঘোত আজা গরি রাঘেয়োন - সিত্থুন একখান অহ্লদে বুদ্ধ ধর্মঘান আরক্কান এ চাঙমা লেঘাগান। আমা আনক্যাগুনোসান তোঙতোঙ্যা আ দৈংনাক্যাগুনেয়ো এভ’ সঙ এগই চাঙমা লেঘা লারচার গরন। সেনত্যায় চাঙমা লেঘাঘান আমা গদা পিত্থিমির চাঙমাগুনোর মিলিবার - আনক্যা-তোঙতোঙ্যা-দৈংনাক্যায় মিলিবার একখান দবদবা পধ ওহ্ই পারে।
    গ) ইক্কো জাদর দি বাবদর অহ্রক ওহ্ই ন’পারে। যদি অহ্য় সালে তারার বৌদ্ধিক (ওহঃবষষবপঃঁধষ) সম্পত্তিগানি ভাক ওহ্ই যাদে বাধ্য। আমি যদি বাংলাধি লেঘা-লেঘি গরিই - মিজোরাম আ অরুনাচলর চাঙমাগুনে পড়ি ন’ পারিবাক। আ তারা রোমান অহ্রক্কোই চাঙমা হধা লেগিলে আমি সেত্তোমান জুত গরি পড়ি ন’ পারিবোঙ। ওক্কোর ফারক অহ্লে মনো ফারক ওহ্ই যেব’। সিঙিরি আমা ভিদিরে ফারক্কান আর’ বেচ অঝার অহ্ব’। সিয়েন ন’ ওহ্বাত্যায় আমার হামাক্কায় চাঙমা লেঘাঘান ভেক্কুনোর ঝাদিমাদি লারচার গরিভার আক্যাং গরিভার দরকার।
    ঘ) বে’ক শিক্ষে কাবিলুনে হোই যেয়োন চিগোন অবুঝ গুরোরে শিক্ষের পত্থম হাবত শিক্ষে দেদে নিজর হধার সান গম আর হিচ্ছু ওহ্ই ন’পারে। সেনত্যায় আমি চাঙমা বামর প্রাথমিক স্কুলানিত চাঙমা হধাদি শিক্ষে চালু গরিভার দাবী বার বার তুলিই। আর চাঙমা হধাদি শিক্ষে দেদে হামাক্কায় দরকার চাঙমা লেঘা। যার যে ভাষার একখান নিজস্ব ধক থায়। সে ধকমজিম শদেশত বঝর ধরি আক্যাঙত্থুন তারার নিজস্ব মুওর হধানি লিঘিবাত্যায় নিজে ওকখোর বানান আ নয় হন’ জাদত্থুন গঝি লন। পর’ জাদত্থুন গঝি ললেয়ো পল্লাত পল্লাত সিঘুন লারচার গরানার ফলে তারার এমন একখান ধার বঝে অন্য ওকখোরলোই পরেধি আর ঠে খাবেই ন’পারে। সেনত্যায় পয়নাঙী চাঙমা হধা হাবিল সুনানু জয়ন চাঙমা হয়, চাঙমা লেঘা ছাড়া চাঙমা হধা শুদ্ধ গরি লিঘি ন’পারে। আর চাঙমা লেঘা ছাড়া চাঙমা গ্রামার বানায়ো উদোল দড়িলোই খাচ্যাঙ বুনে পারা অহ্য়। চাঙমা হধার াবৎন-পুনোর যে ৎড়ড়ঃ সিগুন ছাগি লোই পারে একমাত্র চাঙমা লেঘাধি ভাঙিলে। সে বাদেয়ো, বাংলা ভাষা যেমন রোমান অক্ষরেধি শিগেনা আহ্জি এঝে পারা, ইংরেজী ভাষা দেবনাগরী ওক্কোরেধি শিগেনা ভাবি ন’পাচ্ছে, ঠিক সেজান চাঙমা হধায়ো বাংলা ওক্কোরেধি শিগেনা মানি লোই ন’পাচ্ছে। আমা বুদ্ধিজীবীঘুন ভালোকভিলোম ধরি চাঙমা হধা লেঘদে বাংলা অহ্রক লারচার গত্থন হেনেই সিয়েন চোঘোত ন’পরে, মাত্তর ভাবিলে ব্যাপারান এগই।
    ঙ) ভারদর সেন্সাস রিপোর্টত চাঙমাগানরে বাংলা ভাষার একখান ধেলা ঈজেবে দেঘানি অহ্য়। ২৫ জন বানা লোকসংখ্যার আন্দামানিজ ভাষার ভারদর সেন্সাস রিপোর্টত আলাদা গরি নাঙ আঘে, খামিয়াং, গোদাবরী, পশ্চিম গুরুং, ওঙ্গে, মুগোম - এ চিগোন চিগোন ভাষাগানির নাঙ আঘে - ইয়েনির লোকসংখ্যা ভেক্কানির ১০০ -র ভিদিরে, হিন্তুু গদা ভারদত চের লাখ লোকসংখ্যার চাঙমা ভাষাগানর নাঙ নেই। কমিশনার অফ লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটিজ অফ ইন্ডিয়ায়ো চাঙমাগানরে আলাদা ক্লাসিফায়েড ল্যাঙ্গুয়েজ ভিলি মান্য ন’গরে। ইয়েনির ভেক্কানির কারন অহ্লদে আমার বাংলাধি লেঘা-লেঘি গরানা। বেজাদি গবেষক্কুনে চাঙমা হধার নমুনা কালেকশন গরিলে সিয়েনি বাংলাধি লেঘা অহ্নার কারনে তারা সিয়েনি খুব সহজে পড়ি পারন আ দেঘন বেচভাক হধানি বাংলাধি মিলে। যার ফলে তারার উজু সিদ্ধান্ত অহ্য় চাঙমাঘান বাংলার উপভাষা। আমি যদি পত্তমত্থুনধরি চাঙমাধি লেঘা-লেঘি গরিদোঙ সালে নমুনাঘান দেঘানার লগে লগেই - ইয়েন একখান পুরোপুরি জুদো ভাষা - এ হধাগান গবেষক্কুনোর মনত হামাক্কায় জাগিলুন। সেনত্তেই আমা ভাষাগান যে জুদো একখান আলাদা ভাষা, ইয়েন কন’ বাংলার উপভাষা নয় এ হধাগান প্রমান গরিবাত্তেই আমার চাঙমা ওক্কোরুন বেজ গরি লারচার গরিভার দরকার আঘে।   

তিবুরাত চাঙমা লেঘা আন্দোলন
    ভাবিলে অক্তে অক্তে আমক ওহ্ই পায় যে, জিয়েনত্তে আঝলে আমার হন’ আন্দোলনরই দরকার ন’ এল’ সিয়েনত্তে আমি আন্দোলন গরি পে’র। আর ইয়েনো সত্য যে আন্দোলন বলতে জিয়েন বুঝোয় সে বাবদর হন’ আন্দোলন চাঙমাগুনোর তপ্পেত্তুন এভ’সঙ তিবুরাত হন’ দাবী আদায়ত্তেই হন’ কালেই ন’ অহ্য়। জিয়েন ওহ্ইয়ে সিয়েন অহ্লদে অক্তে অক্তে ঈদোত তুলি তুলি হয়েক জনে মিলিনেই মন্ত্রীগুনোসিধু ডেপুটেশন দেনা। সিত্তুন বেচ আক্কোদে পাদারা চাঙমা মনত পুঝোর জাগে, ‘‘ও তারা হি ভাবিবাক ?’’ যা ওহ্ক, আন্দোলন গরা ন’পরে হঙর এ কারনে :-
    ১) স্কুলোত চাঙমা হধা চালু অহ্লেদ’ গারেগায় চাঙমা লেঘা চালু ওহ্বার হধা। ইংরেজচুনে হি ভারদত পত্থম সলাত ইংরেজী শিক্ষে চালু গরদে হন’ প্রচলিত ওক্কোরলোই ইংরেজী শিগেবার চেষ্ঠা গচ্যন ? নাহি হন’ ভারতীয় ভাষা সে ভাষার ওকখোর ফেলেনেই জুদো বাবদর ওকখোরদি শিগেনা শুরু গচ্যন ? ভাষা চালু অহ্লে সে ভাষার যদি নিজস্ব ওকখোর থান সিঘুন চালু ওহ্বাগোই।
    ২) তিবুরা সরকারর মন্ত্রীত্থুন ধরি আমলাসঙ বেঘে বার বার হোয়োন চাঙমা ভাষা ভালেদী শল্লাদারী কমিটিয়ে (অফারংড়ৎু ঈড়সসরঃঃবব ভড়ৎ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ ঈযধশসধ খধহমঁধমব) সুপারিশ গরিলে তারার চাঙমা লেঘা চালু গত্তে হন’ আপত্তি নেই। সে শল্লাদারী কমিটির মানুচ্যুন ভেক্কুন চাঙমা। আমার আমন’ মানুচ। সেনত্যায় আমাত্তুনোই আমি চাঙমা লেঘাগান মাঘি পে’র। জিয়েন আঝলে আমনরে চিতপুরেপারা।
    এবার তেকহাবাগরি চাঙমা লেঘা দাবীর পত্থান এক্কেনা পিঝেদি ফিরি রিনি চা’ যোক। পত্থম সলাত ১৯৭৪-৭৫ সনত যেক্কে সুনানু মোহিনী মোহন চাঙমাদাঘি স্কুলোত প্রাইমারী থরত চাঙমা সাবজেক্ট চালু গরিভার দাবীঘান তুল্যন সেক্কেনে বাংলা অহ্রক্কুন হিয়ো জনর মনদো ন’এলাক। এ জাগুলুক্কান পত্থম ভেদা দিয়ে ১৯৮৩ সনর ১১ নভেম্বর যেক্কে সরকারে পত্থম বারত্তেই অনিল কুমার চাঙমারে সভানানু গরি চাঙমা ভাষা ভালেদী শল্লাদারী কমিটি বানেয়ে। সেক্কে তে পত্থম বারত্তেই এডিসি মেম্বার ওয়ে। গাবুচ্যা, তোকতোক্যা কার্বারী। সিইএম নারায়ন রুপিনী আ শিক্ষেমন্ত্রী দশরথ দেবর লগে দোল উধন-বঝন। শল্লাদারী কমিটির সভানানু ওহ্নেই তে আরকানি নেযেল’ ইস্কুলোত চাঙমা ভাষা চালু গরিভার। মাত্তর জোল বোদিলো বই ছাবেবার হধা উধিনেই। হিঙিরি ছাবেব’ চাঙমা বই ? চাঙমা লেঘা ছাবেবার হন’ প্রেসধ’ নেই ? সে বারদই পত্থম প্রস্তাব উত্থে চাঙমা লেঘার বদলে নাহি বাংলা অহ্রক লুও অহ্ব’ ? জাগুলুক সির নেযেবাত্যায় শল্লাদারী কমিটিয়ে ১৯৮৪ সনর ২১ আ ২২ জানুয়ারী মাছমারাত  বিরেট গরি সম্মেলন ডাগিলো। সম্মেলনত দেঘা গেল’ বাংলা অহ্রগর পক্ষে হন’ জন নেই, ভেক্কুনে চাঙমা লেঘার হিত্যাধিই রায় দিলাক। অনেগে এমনই হুমকি দিলাক যদি বাংলা ওকখোরধি বই ছাবানি অহ্য় সালে সিঘুন তারা পুড়ি ফেলেই দিবাক। সে গন্ডগুলোত অনিল চাঙমা তার এডিসি মেম্বার থেবার সময়ানত (১৯৮৩-৮৮) আর চাঙমা লেঘা চালু গরি ন’পারিলো।
    ১৯৮৮-৯২ সঙ তিবুরার ক্ষমতাত এল’ কংগ্রেস-টিইউজেএস জোট সরকার। চাঙমাগুনোত্থুন এমএলএ এল’ ধনীছড়ার সুশীল কুমার চাঙমা। তে চাঙমা লেঘা চালু ন’ অহ্নার কারন আমলাগুনোর তাল বাহানা ভিলি মনে গরে। সে সময়দই শুনো যেয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে নুও ওকখোর চালু গরদে ভিলে হি কেন্দ্রর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকর অনুমোদন লাগে। এমএলএ নানুর নেতৃত্বেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক’ লঘে যোগাযোগ গরি জানা গেল’ নুও ওকখোর যদি সে জনগোষ্ঠীয়ে চান্নে অহ্য় সালে তারার হন’ আপত্তি নেই। হিন্তু সুশীল কুমার চাঙমায়ো তা আমলত চাঙমা লেঘা চালু গরি ন’পারে।
    ১৯৯৩ সনত আর’ ফিরি এল’ অনিল কুমার চাঙমার আমল। এবার তে এডিসি মেম্বার নয় এমএলএ। এর মধ্যে অভিজ্ঞতা তার যেমন বাচ্যে ক্ষমতায়ো বাচ্যে। এ সময়দই তার নেতৃত্বে নুও দমগে চাঙমা লেঘা চালু গরিভার আরকানি গরিবাত্যায় যেনেই ঘদি গেল’ তিবুরার চাঙমা লেঘা আন্দোলনর বেঘত্থুন রহস্যজনক ঘটনাঘান।
    ঘটনার শুরু ০৮-১০-১৯৯৩ তারিগোত। সেদিনর শল্লাদারী কমিটির বৈঠগত চেরান সিদ্ধান্ত লুও ওয়ে। ১) চাঙমা লেঘাদি প্রাথমিক থরর বই বানানা আ চাঙমা অহ্রক্কুন স্বীকৃতি দিবাত্যায় সরকাররে হোজলী গরানা, ২) চাঙমা লেঘা চালু গরিভার পইদ্যানে দোলেই জানিবাত্যায় ইক্কো টিম সিএডিসি পাধানা, ৩) চাঙমা টেকস্ট বই বানেবাত্যায় দি জন চাঙমা ভাষা কাবিল ডেপুটেশনে লেঙ্গুয়েজ সেলত আনানা আ ৪) ট্রাইবেল লেঙ্গুয়েজ সেলর অফিসচান নুও জাগাত নেযানা। (সেক্কেনে টিএলসি অফিসচান উমাকান্ত হোস্টেলর হুরে উমাকান্ত স্কুলোরই দিব্যা-তিন্নো গুধি লোনেই এল’)
    মাত্তর আমক ওহ্বার হধা, এ সিদ্ধান্তগানির শেজর দিয়েন কার্য্যকরী অহ্লেয়ো পত্থম দিয়েন আঝল সিদ্ধান্ত আর বহন’ দিন বাস্তবায়ন ন’ অহ্য়।  হেত্তেই ন’ অহ্য় সে  পইদ্যানে জেরর মিটিঙানিত বার বার হধা তুলো ওয়ে। মাত্তর সিয়েনি বাস্তবায়ন গরিবাত্যায় শল্লাদারী কমিটিয়ে সরকাররে চাপ ন’দিনেই উগুধো শিক্ষে দপ্তরর মাধ্যমে ঘড়.ঋ.১৯(৮-১১)-উঝঊ/৮৮(২-৩)/৮৫০-৫৮, ফধঃবফ, অমধৎঃধষধ, ঃযব ০৫-০৯-১৯৯৫ নং চিধিমূলে ঘোষনা গরিলো যে চাঙমা সাবজেক্ট স্কুলোত বাংলা লেঘাদি চালু অহ্ব’। খবরান শুনোনার লঘে লঘে চেরোপালাত্থুন জগার উধিলো। মায়-মুরুব্বীগুনে শল্লাদারী কমিটির সভানানু অনিল চাঙমারে বেরেই বেরেই ধরিলাক। অজমনে ১১-১২ নভেম্বর’১৯৯৫ তারিগোত এল’ পেজাত্তলত অল ইন্ডিয়া চাকমা কালচার‌্যাল কনফারেন্সর সম্মেলন। ইন্ধি এডিসি ইলেকশন এঝঙ এঝঙ। শুনো যেয়ে, বিবদত্থুন উদ্ধোর ওহ্বত্যায় অনিল চাঙমা দুমুরি যেয়ে মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেবর সিধু। তাত্থুন মু নপে’ই লুহ্ঙেগোই শিক্ষে মন্ত্রী অনিল সরকারর সিধু। এবার অনিল সরকারে তা মিস্টার অনিল চাঙমারে বাজেবাত্যায় যেনেই গরিলো একখান বিরেট ভুল। তে চাঙমা লেঘা চালুর পইদ্যানে ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নিভার আরকানি ন’ গরিনেই সরাসরি নিজ’ ক্ষমতা বলে অনিল চাঙমারে হোই দিলো তোমা চাঙমা অহ্রক্কুন শিক্ষে ক্ষেত্রে ক্লাস থ্রি সঙ চালু গরা অহ্ল’। সরকারী নোটিস নিহ্গিলিলো। যার নাম্বার ঘড়.ঋ.১৯(৮-১১)-উঝঊ/৮৮(খ-৩)/১০৬১-৭৩, ফধঃবফ, অমধৎঃধষধ, ঃযব ০২-১১-১৯৯৫। এ খবরান অনিল চাঙমা শল্লাদারী কমিটির ১৩-১১-১৯৯৫ তারিগোর মিটিঙোত জানেলে সুওদ খুজির বরব’ খেলি যায়। সে দিনোর মিটিঙোত ‘চাঙমা পত্থম পইধ্যা’ নাঙে বইভো শিক্ষে দপ্তরর সিধু অনুমোদনত্তেই পাধানি অহ্য়। সভাত্থুন মুখ্যমন্ত্রীর উদিঝে মাননামা  আ প্রেস রিলিজো দিয়ে অহ্য়। রেডিওত, পত্র-পত্রিকাত হুর হুর গরি খবর নিহ্গিলিলো চাঙমা লেঘা চালু ওয়ে ভিলি। মাত্তর না ছাবা অহ্ল’ ‘চাঙমা পত্থম পইধ্যা’ না চালু অহ্ল’ চাঙমা লেঘা। এক বঝর পরে ৩১-০৮-১৯৯৬ তারিগোর শল্লাদারী কমিটির মিটিঙোত জানি পারা গেল’ যে ‘চাঙমা পত্থম পইধ্যা’ বইভোর আহ্দে লেকখে কপি সুমুত্তো গদা চাঙমা ভাষা ভালেদী ফাইল্লো অফিসত্থুন আহ্জি যেয়েগোই।  
    গদা চাঙমাঘুন রাগে-ধুন্দুগে-আমগে অলর ওহ্লাক। এবার হাম চলিলো তলে তলে, লারে লারে। শল্লাদারী কমিটিয়ে ঠিক দিবঝর পরে ১০-০৮-১৯৯৮ তারিগোত চুর গরি সিদ্ধান্ত গরিলো বাংলা অহ্রক গঝি লোভার। সিয়েন সরকারে তার টঙ.ঘড়.২৫৬/গরহ/ঊফহ/৯৯ ফধঃবফ ০১-০৪-৯৯ চিধি মোতাবেক মানি ল’ল। সে অনুযায়ী ২০০৪ সনর ২১ মে পত্থম বারত্যায় ৯ য়ান  স্কুল লোনেই বাংলা লেঘাদি চাঙমা হধা চালু গচ্ছোন। সে পরেধি সিয়েনি একবার ২০ য়ান, আরেকবার ২৯ য়ান - এ দি দফায় বাড়েনেই ইক্কুনু ৫৮ য়ান চাঙমা বামর স্কুলোত বাংলা লেঘাধি চাঙমা ভাষা চালু আঘে। নাঙে চালু অহ্লেয়ো সে স্কুলানিত পড়েবাত্যায় এচ্চে সঙ হন’ মাস্টর রিক্রুট গরা ন’ অহ্য়। সে স্কুলানিত ঘেচ্চেকগরি চাঙমা সাবজেক্ট পড়ানি অহ্র না ন’অহ্র সে উধো লোভারো হন’ গরচ শল্লাদারী কমিটিয়ে মনে ন’গরে।
    এই যে ২৭ বঝর ধরি চাঙমা ভাষা ভালেধির নাঙে চিগোনগুরো খারা চলের ইয়েনিত্যাই দায়ী হন্না ? তিবুরার বে’ক চাঙমাঘুনে একলঘে হোভাক,  দায়ী শল্লাদারী কমিটি। সরকারে ন’ মানে, আমলাগুনে নানা বাবদর গর দুওন, চাঙমা লেঘার মাস্টর নেই, চাঙমা বই ছাবেই ন’পারে, ফাইল আহ্জি যেয়েগোই, বই আহ্জি যেয়েগোই, লারে লারে চেষ্ঠা গরির - এ বাবদর হন’ যুক্তি দিনেই তারা তারার পাপত্থুন রেহাই ন’ পা’ন। চাঙমা লেঘা চালু ন’ অহ্নার পিঝেধি আঝল কারনানি তলেধি ছাগি লোভার চেষ্ঠা গরা অহ্ল’ -
    ১) চাঙমাগুনোর ঔপনিবেশিক মানসিকতা ঃ রোগ চাবি থলে গম নয়। পরাক পরাক গরি হলে ভালা যে, যুগ যুগ ধরি চাঙমাঘুন পরর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক অধীনত্তল থাগদে থাগদে ইক্কুনু শিঙোরসঙ ঔপনিবেশিক মানসিকতালোই আক্রান্ত। যার ফলে আমি ‘রাধামন’রে বানেই ‘রাধা মোহন’ আ ‘ফেজাত্তল’রে বানেই ‘পেঁচারথল’। আমা তেম্মাঙসভাত একজন বেজাদি গরবা এলে আর আমা মুওত্থুন চাঙমা হধা ন’ নিহ্গিলে। যা হিঝু পন্ডিগি জিনিচ আমি তারার ভাষাধি লেঘিবার চেষ্ঠা গরিই কারন ‘তারা’ ন’ বুঝিলে হিচ্ছু লাভ নেই, চাঙমাঘুনদ’ হিচ্ছু নয়। ঠিক এ কারনেই হন’ মিটিঙ সেমিনারত চাঙমা লেঘার দাবী গরিলে আমা শল্লাদারী কমিটির সজাগ চাবাঙীগুনে মনত তুলি দুওন, ‘‘ভেজাল গরিলে ইক্কুনু পেত্তেই সিয়েনিয়ো আর ন’ পেভঙ।” যেন চিগোন গুরোরে বুঝোই পারা, ‘‘পেজাল গরিলে মামা আর পিধে ন’দিবো!” ইয়েনর কারনে চাঙমাগুনে বানা চাঙমা লেঘা নয়, অন্য হন’ দাবীই আদায় গরি ন’ পারন।
    ২)রুধুকমরা শল্লাদারী কমিটি ঃ তিবুরাত সরকার বদলে, শাসক দল বদলান, শল্লাদারী কমিটির সভানানু আ অন্যান্য মেম্বারুন বদলি যান - মাত্তর একজন ন’বদলে - সে মহা শক্তিশালী মেম্বারবোই বকলমে শল্লাদারী কমিটির সভানানু। বাগী চাবাঙীগুনোরে তে তার মনেমনজক্কাগরি ভরাই। সিগুনোর বেচভাগর হন’ লেঘা-লেগি গরিভার অভিজ্ঞতা নেই। তারাত্থুন সেত্তোমান শল্লাদারী কমিটিত থেবারো মন নেই। সে বলবান মেম্বারবোই কমিটিত তার বলবলা বজায় রাঘেবাত্যায় দুনিয়ে উধিচ নপেয়ে মেম্বারুন গদা তিবুরাত্থুন তোগেই নিহ্গিলায়। গদা তিবুরার চাঙমাগুনোর সমর্থন আঘে, সে বাবদর কাবিল  মেম্বারলোই কমিটিবো নুও গরি বানেলে আমার আঝা, মিছিল-মিটিঙ-আন্দোলন হিচ্ছু ন’গচ্ছে গরিই চাঙমা লেঘা চালু অহ্ব’।
    ৩) মেম্বারুনোর চাঙমা লেঘা ন’ জানানা ঃ বেচভাক মেম্বারেই চাঙমা লেঘা ন’জানন। যার ফলে তারার চাঙমা লেঘার হিত্যা দয়ে নেই, মেয়েয়ো নেই। থেলেদ’ তারা হন আমলত চাঙমা লেঘা শিগিলাক্কুন। এবার সে চাঙমা লেঘা ন’ জান্যে মানুচ্যুনোর আহ্দত যুদি চাঙমা লেঘাদি টেক্সট বই বানেবার ভার পরে তারাধ’ চোঘেদি আন্ধার দেবাগোই। পরর আহ্দদো দায়িত্ব দিবার ন’চান, সালে তারার নাঙর ভুদিবো এক্কা অহ্লে হমিবো। ইন্ধি বাংলাধি অহ্লে তারা চোখ হাহ্দিয়ো লিঘি পারন। সালে পথ বানা একখান, সরকাররে বাঝেই দিনেই চাঙমা লেঘাগান যিঙিরি সিঙিরি ঠেগেই রাঘানা। লাগিলে জমা দিয়ে টেক্সট বোয়ুনো ঘুবেই দেনা। এ নাঙ লোনেই সলাসলি গরানার কারনে বানা চাঙমা লেঘাদি লেকখে বই নয়, বাংলাধি লেকখে চাঙমা টেক্সট বইয়ো ট্রাইবেল ল্যাঙ্গুয়েজ সেলর অফিসত্থুন আহ্জি যেয়োন্নোই একমাত্র বোয়ুন সে মহা শক্তিশালী চাবাঙীবোর লেকখে ন’অনার কারনে। চিত্রা মল্লিকা চাকমা আ গঙ্গ্াজয় চাকমা লেকখে ‘সদরক’ আ অনিল কুমার চাকমা আ ফুলেশ্বর চাকমা লেকখে ‘গণিত’ - এ দিব্যা ক্লাস ওয়ানর বোয়োরে শল্লাদারী জধার ১৫-১০-১৯৮৭ তারিগোর মিটিঙোত অনুমোদন দিয়ে অহ্য়, মাত্তর সিঘুন আর পরেধি তোগেই সুক পা’ ন’যায়।
    ইক্কু দেঘা যোক চাঙমাগুনোর নিজস্ব সুধোমর লেঘা থানা সত্বেয়ো হেত্তেই সরকারে বাংলা অহ্রক গঝি লোয়ে সে পইদ্যানে হনে হি হন। ইয়োত আঝল তিন্নো দলর হধা তুলি ধরা অহ্ল’ ঃ-
    ১) ঝঈঊজঞ ঃ- চাঙমা ভাষা ভালেদী শল্লাদারী কমিটিবো মূলতঃ এ ঝঈঊজঞ-র আহ্নজামে হাম গরে। বাংলা, ককবরক, চাঙমা, বিঞ্চুপ্রিয়া মনিপুরী, মনিপুরী এ ভাষাগানির যার যে লাক স্কুলোত পড়িভার বই বানানা তার কাম। তারার মতামত মানবলা ডিরেক্টরে জঞও -র আহ্নজামে এক পুঝোরর জুওবত ঘড়.ঋ.২১(৩-১)-ঞখঈ/ঝঈঊজঞ/৯৭(খ)/৬০৪৯, ফঃ.২৫-০৩-২০০৮ চিধি দিনেই তিবুরা চাঙমা ছাত্র জধার কাবিদ্যাঙরে জানেয়ে, বাংলা অহ্রক গঝি লুও ওয়ে চাঙমা ভাষা ভালেদী শল্লাদারী কমিটির হধা মজিম। ১৭ অক্টোবর ২০০৭ সনত সেক্কেনর স্কুল শিক্ষে মন্ত্রী কেশব মজুমদারে চাঙমা ছাত্র-গাবুচ্যার ইক্কো দল তা সিধু চাঙমা লেঘা দাবী গরিনেই ডেপুটেশন দিবাত্যায় গেলে তেয়ো এগই হধা হোয়ে। তা মতে, তোমার (মানে চাঙমাগুনোর) শল্লাদারী কমিটির হধা মজিম তিবুরা সরকােের চাঙমা ভাষার পইদ্যানে বে’ক কামসিরি আহ্দত লয়। তারা যদি চান্নে অহ্য় চাঙমা অহ্রক গঝি লোভার সালে সরকারর হন’ আপত্তি নেই।
    ২) শল্লাদারী কমিটির চাবাঙীগুনোর মতামত ঃ- ন’জন চাবাঙী, একজন সভানানু আ একজন কনভেনর (শ্যামলী দেববর্মা, ডেপুটি ডিরেক্টর, এসসিইআরটি), জন গদে গদে হন’ জনেই চাঙমা লেঘার মুজুঙো-মুজুঙি বিরোধ ন’গরন। তারা বেচভাগে হন্নে তারায়ো চা’ন চাঙমা লেঘা চালু ওহ্ক, মাত্তর সরকারে ন’মানিলে আমি তারা হি গরিভাক ?
    ৩) শল্লাদারী কমিটির সভানানুর মতামত ঃ- শল্লাদারী কমিটির সভানানু মানবলা এমএলএ সাহেবে। তেয়ো হধা তুলিলে উগুধো ন’গরে, মাত্তর ইক্কো না ইক্কো দেম অনসুর তুলে। যেমন, ১৭ অক্টোবর ২০০৭ সনত কেশব মজুমদারর হধাঘান শুনোনার হয়েকদিন পরেই সেক্কেনর ‘মাদি’-র কাবিদ্যাঙ কুসুম চাঙমা, সেক্কেনর চাঙমা ছাত্র জধার কাবিদ্যাঙ অনিরুদ্ধ চাঙমা, প্রদীপ চাঙমা সমেত  হয়েক জনে তাল্লোই তার মাছমারার ঘরত তেম্মাঙ গরিবাত্যায় যেয়োন। তারে যেক্কে হোয়োন্নোই তিবুরা সরকারে ভিলে তোমা শল্লাদারী কমিটিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেই চাঙমা লেঘা চালু গরি দিবো, তদা তাঙরি তে হলেদে, ‘‘চাঙমা লেঘা চালু অহ্লে হন্না পড়েভ’ ? দুও না মরে সার্টিফিকেটবলা চাঙমা মাস্টর। মুই ইক্কে চাঙমা লেঘা চালু গরি দোঙর।” তার এ হধাগানর উগুরে ভর দিনেই তিবুরাত ঈঅউঈ-র বলাবলে পেজাত্তল লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলোত তিনমাস্যা চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স ২০০৮ সনর ৫ জানুয়ারী ফাঙ গরা ওয়ে আ সিত্তুন ৩৮ জন মাধ্যমিক পাশ ছাত্র/ছাত্রী গমেদালে পাশগরি নিহ্গিলি এচ্যন। আগেধি হোয়েধে সার্টিফিকেটবলা চাঙমা মাস্টর পেলেই তে চাঙমা লেঘা চালু গরি দিবোদে হধাগান পুরি ফেলেই গেল্লে ১২ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিগোত গদা তিবুরা চাঙমা ছাত্র জধার হজমা গঝি ল’না ফাঙ সভাত তে মতামত দিলঘিদে চাঙমা লেঘার ভিলে বিশারদ নেই। যে জাগাত তিবুরাত চলন্দি ককবরক, বিঞ্চুপ্রিয়া মনিপুরী এ ভাষাগানি পড়েবাত্যায় উজু উজু মাধ্যমিক পাশ বা ফেল অহ্লেই চলে, আমা এমএলএ নানুর হেত্তেই চাঙমা লেঘা পড়েবাত্যায় তিনমাস্যা সার্টিফিকেট কোর্সে ন’হুলোর ? হেত্তেই তার চাঙমা লেঘাদি বিশারদ পরানে মাঘের ?

মুজুঙোর পধ
    উগুরোর বে’ক হধানি থুবেনেই রিনি চেলে আমাত্থুন শল্লাদারী কমিটির গাফিলতি বার বার নজরত এঝে। যে জাগাত গদা তিবুরার চাঙমাগুনোর তপ্পেত্তুন চাঙমা লেঘাগান স্বীকৃতি পেভার লাড়েয়োত তারা মুজুঙোর সুরোত থেবার হধা এল’ সে জাগাত শল্লাদারী জধার সভানানুভো হাক্কে ইয়েন হাক্কে উভোন হোনেই চাঙমা লেঘার দাবীঘান বিজিদি ফেলেই দেগোই। হয়েকজন মেম্বারেধ’ চাঙমা লেঘার হধা তুলোদেই ডরান। যদি ডরান সালে সিত্তুন পদত্যাগ গরিলেই তারা পারন। আ একজন মেম্বারেধ’ উল্লোগরি চাঙমা লেঘার হধা তুলিলে সভামায় হন’ জনরে অগমান গরদেয়ো তুদি পড়ি ন’থায়। সেয়ান্যা গরি সভামায় তা অগমান গরা হাহ্নাত্থুন বিমল মমেন চাঙমা, ফুলেশ্বর চাঙমা (দুওজন শল্লাদারী কমিটির আগরির চাবাঙী), কুসুম কান্তি চাঙমা - হন’ জন বাদ ন’যান। অথচ তার জানা আঘে, এক হালে মনিপুরীগুনে বাংলা অহ্রক গঝি লোনেই হি ভুল গচ্যন। ইক্কু তারা সরকার সুমুত্তো তারার নিজস্ব ওকখোরুন মনিপুরোত চল গরিভার চাধন, মাত্তর ন’পাত্তন।
    সেনত্যায় আমার ইক্কুনু যিয়েন পত্থম দরকার সিয়েন অহ্লদে শল্লাদারী কমিটিত্থুন চাঙমা লেঘার দাবীঘান আদায় গরানা। তাত্তেই কামসিরি এতাভিদিরে শুরু ওয়ে। গেল্লে অক্টোবর মাহ্জর ৩১ তারিখ পত্তি শল্লাদারী কমিটির চাবাঙীগুনোসিধু মুকপাত্তি (জবঢ়ৎবংবহঃধঃরাব) ডেপুটেশন দিয়ে ওয়ে। নভেম্বর মাহ্জর ২৮ তারিখ গণ স্বাক্ষর লোনেই আ ডিসেম্বর মাহ্জর ২৫ তারিখ গণ ডেপুটেশন দিয়ে অহ্ব’। তুও ন’ অহ্লে ইঙিরি লারে লারে গরি আন্দোলন গিয়ের গরিনেই চাবাঙীগুনো ঘর’ মুজুঙে গণ অবস্থান, অনশন এমনকি আমরন অনশন সঙ দরকারমজিম আন্দোলনান টানি নেযা পরিবো। এর মধ্যে ফেব্র“য়ারী মাহ্জর শেজাশেজিত পারিলে গদা তিবুরার চাঙমা বামানিত একখান বাইক র‌্যালী গরিভার আরকানিয়ো ঈজেবর ভিদিরে রাঘা ওয়ে। আন্দোলনর চাবত পড়ি শল্লাদারী কমিটি চাঙমা লেঘা চালু গরিভার সুপারিশ গরিনেই রেজিলিউশন পাশ গরিনেই শিক্ষা দপ্তরর আহ্দত জমা দিলেতে সেক্কে শুরু অহ্ব’ আন্দোলনানর পরর পইদ্যাবো।

শেজহধা
    তবে ইয়েনো সত্য হধা যে, বানা সরকারীভাবে চাঙমা লেঘা চালু গরিভার দাবীঘান আদায় গরানাই শেজ হধা নয়। যদি আমি বেচভাগে চাঙমা লেঘা পড়ি ন’পারিই, লেখক-সাহিত্যিক্কুনে চাঙমা লেঘা লারচার ন’গরন আ চাঙমা লেঘাদি পত্র-পত্রিকা, বই-পত্র অনসুর গরি ন’ নিহ্গিলে সালে চাঙমা লেঘা আন্দোলনর আঝল উদ্দেশ্যগানই শিঙোরসঙ বজঙ ওহ্ই যেবগোই।
      

"চাঙমা সাহিত্য বাহ্" ও আমি: সুনানু প্রজ্ঞা আলো তালুকদার

 

ভাষা একটি জাতির পরিচিতিও বটে! তাই প্রত্যেক জাতির নিজ নিজ ভাষাকে আমি খুবই সম্মান করি।

আমাদেরও আছে নিজস্ব ভাষা, চাঙমা(চাকমা) ভাষা! কিন্ত ছোটবেলা থেকেই চাঙমা ভাষাটাকে যত না চর্চা করেছি তার চেয়ে বেশি চর্চা করেছি বাংলা ভাষাকে! রাষ্ট্রভাষা হিসেবে হযতো বাংলা ভাষাটা শেখা অত্যন্ত জরুরি কিন্তু তার পাশাপাশিও নিজের ভাষাটা চর্চা করার সুযোগ যদি থাকতো তাহলে সেটা হতো আমাদের দেশের সেরা কাজের মধ্যে একটি। কিন্তু অনগ্রসর পাহাড়ি উপত্যকায় বাস করা এ জনগোষ্ঠী কতটুকু সে সুযোগ পেয়েছি! একদিকে সরকারের সহযোগিতার অভাব অন্যদিকে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিলুপ্তপ্রায় ভাষার চর্চা শুরু করাটাও ছিলো একটি প্রধান অন্তরায়। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা থাকলেও আমরা হয়তো শিখতে কিংবা চর্চা করতে পারতাম না! তার কারণ হিসেবে বলতে পারি বর্তমান অবস্থা। মায়ের ভাষায় লেখা বই অন্তত কিছুটা হলেও প্রাথমিক স্কুলগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু সেগুলো শেখানোর জন্য শিক্ষক কই!! না আছে শেখানোর মন মানসিকতা!
বাংলা ভাষাটা শিখেছি ব্যবহার করছি এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো বলা যায়। কিন্তু যেখানে বাঙ্গালির উপস্থিতিই নেই, যেখানে কোনদিন বাঙালির প্রয়োজনই নেই এমন অনেক সভা সমাবেশেও কেনো আমরা নিজেদের চাঙমা ভাষাকে ব্যবহার না করে বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করছি সেটার জন্যই আমার যতো আফসোস ও আপত্তি।
আমাদের কি নিজস্ব ভাষা নেই?
সরকার শিখতে বাধা দিচ্ছে?
নাতো! আমরাই শিখতে পারছিনা, শিখতে উৎসাহী হচ্ছি না! এর দায় আমরা কখনো সরকারের নিকট চাপাতে পারি না। দুঃখজনক হলেও এর দায় এখনো আমাদের।
নিজস্ব ভাষা থাকা সত্ত্বেও আমরা সেটা ব্যবহার করতে পারছিনা তার দুইটি প্রধান কারণঃ
১) নিজের ভাষাটাকে না জানা
২) নিজের ভাষাটা কোন কাজে লাগবেনা এটা ভাবা।
★ আমার ভাষাটা শিখার দায়িত্ব আমার আবার শেখানোর দায়িত্বও আমার। আজ থেকে কিছু বছর আগে নাহয় শেখানোর কেউ ছিলো না! কিন্তু আজ? বিভিন্নজনে নানাভাবে শিখিয়ে যাচ্ছে।
"চাঙমা সাহিত্য বাহ্" প্রতিটি যায়গায় যায়গায় খুব কব মুল্যে চাঙমা ভাষা শেখাচ্ছে। শেখাচ্ছে আর ভাষার উন্নয়নে কাজ করছে। সুতরাং যারা এই ভাষাটাকে পারেনা তাদের বর্তমানে শিখে নেওয়ার সুযোগ আছে।
★দ্বিতীয়টার জন্য আমার কোন বাক্য রাখার নেই। যে জাতি নিজের জাতীয়তাকে লালন করতে চায়বে তার মাথায় সে চিন্তাটা থাকার কথা না। তবে যারা এখনো এতটুকু বোঝার ক্ষমতা হয়নি তাদের কে বোঝানো খুবই জরুরী। "চাঙমা সাহিত্য বাহ্" আজকে সে কাজটিও করছে।
চাঙমা সাহিত্য বাহ্'র সেসব কাজে অংশগ্রহণ করছি কেবলমাত্র আমার সেই আফসোস থেকেই।
ধন্যবাদ।


শাক্য বংশ জনম: সুনানু ইনজেব চাঙমা

 

বিজগত লেঘা আঘে, এত্থে সূর্য বংশউনর পূর্বপুরুষউনর উত্তর মঙ্গোলীয়ত্তুন মধ্য এশিয়া দি গরি হিমালয়’ মোন গোরাত রের্য্য থিদ’ গরন। আ পরেদি সিত্তুন হিমালয় - তিব্বত পদে বেই ভারদত সমান। 

এ সূর্য্যবংশর এক্কো রাজা ইক্ষাকুর চেরবো পুঅ আ পাচ্চো ঝি আঘে। তারার সাদাঙা মা কু পাগে অযোধ্যা  নাঙে প্রদেঝ’ ইধু বন বাসত পাদা অইয়ে। সিধু তারা কপিল নাঙে এক্কো ঋষির আশ্রয় লন। রাজার পুঅ/ঝিউনর পাজা গম লাগি ঋষি তারারে তা সমারে থেবার হুম দিল। সিত্তুন ধরি এ জাগা নাঙান “কপিলা বস্তু” নাঙে নাঙ বজে।

নগর থিদ’ গরানা পর রাজ কুমরদাঘির জধন গরিবার থিক অহ্’য়। মাত্তর, কারে বানেবাক লগর সমারি? অন্য কিত্যাত্তুন মোক ললে তারার বংশ মিজিল্যা অভাক আ তারার ক্ষত্রিয় ধর্ম অপমান অভ’ ভাবিনেই ভেই-বোনে লোই-লি অভার থিক গরন। তারার বেগ’ দাঙর বোন্নুরে মা সান ভাবন। 

এ খবরান তারা বাপ রাজা খবর পেলে রের্য্যত পণ্ডিক আ ধর্মগুরুউনরে দাগি সল্লা চেল- এ “শক্য” বা ধর্ম সুধোম আঘে নিনা? ভেই-বোনে লো-লি অভার। তারা বেগে ধিঙিরি দিলাক, তারা যে দিন মাধানত (পরিস্থিতি) আঘন এ  “শক্য” (ধর্ম সুধোমত পরে) ধগে তারা লো-লি অই পারন। 

সিত্তুন ধরি শক্য র’বোত্তুন শাক্য বংশ নাঙ পিয়ে।

বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০

দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান: নানান কিয়োঙত ভান্তেদাঘিরে চাঙমা লেঘা চার্ট দান


চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা(এওজি, দিঘীনালা): চীবর অহ্’লে ভান্তেদাঘি উরন্দে কাপর। যে দিনত চীবর দান গরিবাক সেদিন বেন্যাত্তুন ধরি তা কেল্যা বেন্যা সং সুদ তুলনা, থেয়ানা, বাজানা, বুনানা, কাপানা, সেলানা, রং গরানা, ধনা আ শুগনা এধক্যে আগাথ্যা কামানি গরানা।


এ বাদেয়্য আর’ কিঝু আগাথ্যা রিদিসুধোম পালানা সমারে এ চীবর দানান থুম অহ্’য়। সিত্যাই চীবর দানর আগে কঠিন র’বো বাজেই দিন্যাই কঠিন চীবর দান নাঙ দিয়্যা অহ্’য়।


ইরুক নানান কোম্পানি বানেয়্যা আ সেলেয়্যা চীবর ভান্তেদাঘিরে দান গরন।

 

কঠিন চীবর দান অবার আগেদি ভান্দেদাঘি শবাশালত আ নানান জাগাত্তুন কাপড় তোগে উরন –পরন। মাত্তর সিয়ানি বেচ আজর অহ্’না বুদ্ধ হুম দেনায় গম চীবর উরি-পিনন।



ইক্যে ভান্তেদাঘি ধর্মসুধোমে নানাঙ ফাংশান গরি যা যা কিয়োঙত তিনমাঝ্যা বর্ষাবাস থুম গরন, তারার দায়ক-দায়িকাদাঘি এ কঠিন চীবর দান গরন। তিন মাঝ্যা বর্ষাবাস থুম অহ্’লে ধর্মসুধোমে দোলে দোলে প্রবরণা পূর্ণিমা পালান। আ এ প্রবারণা পূর্ণিমা তা কেল্যা দিনত্তুন ধরি কাদি পূর্ণিমা সং এ এক মাস কাঠিন চীবর দান গরিবার সুধোম থায়।

বুদ্ধ ধর্ম মতে, পিত্তিমীত যেধক্কানি দান আঘে সে দান সেরে কঠিন চীবর দান অহ্’লদে দাঙর দান। বেক দান’ পারমি জমা গরিলেয়্য এ এক্কান চীবর দানর সমান পূণ্য পা ন’ যায়। কঠিন চীবর দান দিন্যাই যে ফল পা যায় জনমে জনমে সে দানর সুফল আ নির্বাণ লাগত পেবার হেতু উৎপন্ন অহ্’য়। সেনে তারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান নাঙ দিয়্যা অইয়ে।



কঠিন চীবর দানর ন’ পুরেয়্যা পূণ্য আ নানান বাবত্যা গুন কধা মাধাত রাঘেই এ দংগাপিড়ে করোনা ভাইরাসর সেরে সেরেয়্য উহ্’জে উহ্’জে দোলে দালে নানান কিয়োঙত কঠিন চীবর দান গরা অইয়ে।

 

দিন বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-মঙ্গলাচরণ, জাতীয় ধর্মীয় পতাকা তুলনা, বেন্যা পৈনাল গরি  বুদ্ধ পূজা, অষ্ট -সংঘদান, পূজ্য ভান্তেদাঘিরে পিন্ডদান, পঞ্চশীল/অষ্টশীল লনা, কঠিন চীবর দান কল্পতরু উৎসর্গ, ফানাচ উড়ানা, আজার বাত্তি জ্বালানা, বিশ্বশান্তি   দেঝর মঙ্গলত্যাই তবনা আ  বিদর্শন ভাবনা গরা অহ্’য়।

 

এ কঠিন চীবর দান’ অক্তত চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নানান কিয়োঙত চাঙমা লেঘা চার্ট দান গচ্ছে। যা কন’ কালে এ দানান গরা ন’ অহ্’য়।

1.      শ্রীমৎ চন্দ্র কীর্তি ভান্তেদাঘি মিঙিনি চাগালাত অনুত্তর পূণ্যক্ষেত্র পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ নকবাচ অহ্’নার পোইদ্যানে: চাঙমা লেঘা চার্ট আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই)  মান গজা অইয়ে। সামরে শ্রীমৎ তেজ বংশ ভান্তেদাঘিরেয়্য চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিসার্শত্তুন পত্থম ফগদাঙ অইয়ে “ঘিলে ফুল” (চাঙমা ছড়া বই, লেঘিয়্যা: সুনানু রনজিত চাঙমা) আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে।– ৭ নভেম্বর ২০২০ ইং।

2.     


সাধনাটিলা বন বিহার থিদ গরিয়্যা শ্রীমৎ বুদ্ধ বংশ ভান্তেদাঘিয়ে চাঙমা লেঘা চার্টলোই মান গজা অইয়ে। সামরে শ্রীমৎ নন্দ পাল ভান্তেদাঘিরেয়্য চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিসার্শত্তুন পত্থম ফগদাঙ অইয়ে “ঘিলে ফুল” (চাঙমা ছড়া বই, লেঘিয়্যা: সুনানু রনজিত চাঙমা) আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে। আ যার এজালে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ২০ বঝরত খুচ দিল সে স্বর্গীয় সুনানু পাহাড়ীকা চাঙমা উদিজে চীবন দান গরা অইয়ে। - ১৩ নভেম্বর ২০২০ ইং।

3.     


পান ছড়ি সংঘ মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার নানু শ্রীমৎ তেজ জ্যোতি ভান্তেদাঘিয়ে চাঙমা লেঘা চার্টলোই মান গজা অইয়ে। সামরে খাগাড়াছড়ি জেলাপরিষদর নানু কংজোরি চৌধুরীদাঘিরেয়্য চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিসার্শত্তুন পত্থম ফগদাঙ অইয়ে “ঘিলে ফুল” (চাঙমা ছড়া বই, লেঘিয়্যা: সুনানু রনজিত চাঙমা) আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে।– ১৪ নভেম্বর ২০২০ ইং।

4.      কুকিছড়া ত্রিরত্নাংকুর বৌদ্ধ বিহার’ নানু শ্রীমৎ অনিত্য লোক ভান্তেদাঘিয়ে চাঙমা লেঘা চার্টলোই মান গজা অইয়ে। ১৪ নভেম্বর ২০২০ ইং।

5.      গোলাবাড়ি আর্য্য গিরি অরন্য কুঠির’ নানু শ্রীমৎ জ্ঞান আনন্দ ভান্তেদাঘিরে চাঙমা লেঘা চার্ট আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিসার্শত্তুন পত্থম ফগদাঙ অইয়ে “ঘিলে ফুল” (চাঙমা ছড়া বই, লেঘিয়্যা: সুনানু রনজিত চাঙমা) আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে। - ২০ নভেম্বর ২০২০ ইং।

6.     


তেঁতুলতলা অগ্রমৈত্রী বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র থিদ’ গরিয়্যা শ্রীমৎ তেজ বংশ ভান্তেদাঘিরে চাঙমা লেঘা চার্টলোই মান গজা অইয়ে। - ২০ নভেম্বর ২০২০ইং।

7.      আর্য গিরি বন বিহার থিদ গরিয়্য শ্রীমৎ অমর রত্ন ভান্তেদাঘিরে চাঙমা লেঘা চার্টলোই মান গজা অইয়ে। সমারে শ্রীমৎ শাসন রক্ষিত ভান্দেদাঘিরে  চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিসার্শত্তুন পত্থম ফগদাঙ অইয়ে “ঘিলে ফুল” (চাঙমা ছড়া বই, লেঘিয়্যা: সুনানু রনজিত চাঙমা) আ সাঙু (চাঙমা লেঘা শিঘিবার বই) মান গজা অইয়ে।– ২৪ নভেম্বর ২০২০ ইং।

 

 

 








 

 

নির্বাচনী ইশতেহার ও আদিবাসী: মঙ্গল কুমার চাকমা

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮



নির্বাচনী ইশতেহার ও আদিবাসী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো একে একে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনী ইশতেহার অনেকাংশে একটা কাগুজে দলিল হলেও জাতীয় নির্বাচনকালে এর গুরুত্বকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। বলাবাহুল্য, নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন দল বা বিরোধী দল অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রতিপালনে আশানুরূপ আগ্রহ দেখায় না। তবুও জাতীয় নির্বাচন এলে আপামর দেশবাসীর সঙ্গে আদিবাসীরাও রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতি গভীরভাবে দৃষ্টিপাত করে থাকে।
ক্ষমতাসীন দলের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়, 'লক্ষ্য ও পরিকল্পনা'র মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ নেই। পার্বত্য চুক্তির ২১ বছরের মাথায় চুক্তি স্বাক্ষরকারী একটি দলের ইশতেহারে চুক্তি বাস্তবায়নের ইস্যুটি না থাকার বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবতা হচ্ছে তাই। এর মধ্য দিয়ে 'এ সরকার আর চুক্তি বাস্তবায়ন করবে না' বলে সন্তু লারমার যে আশঙ্কা- তা অনেকটা প্রমাণিত হতে বসেছে; বলা যেতে পারে। অপরদিকে 'সাফল্য ও অর্জন' অংশে 'পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে চুক্তির বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় আঞ্চলিক পরিষদ এবং জেলা পরিষদের নিকট ন্যস্ত করা হয়েছে' এবং 'ক্ষমতায়নের এই ধারা চুক্তির শর্তানুযায়ী অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে' বলে উল্লেখ রয়েছে। অথচ এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, এসব পরিষদে এখনও সাধারণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ (স্থানীয়), ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, বন ও পরিবেশ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ স্বশাসনের অনেক বিষয় ও কার্যক্রম এখনও ন্যস্ত করা হয়নি। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, চুক্তির পর ২১ বছর ধরে এসব পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ নির্বাচন বিধিমালা ও ভোটার তালিকা বিধিমালা প্রণয়ন কাজ আগের মতো বিগত ১০ বছরেও সরকার সম্পূর্ণভাবে ঝুলিয়ে রাখে।
বিগত এক দশক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে সরকার তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে কতিপয় বিষয় ও কর্ম হস্তান্তর, ৩৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার, ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ, ২০১৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন ইত্যাদি বিষয় বাস্তবায়ন করলেও ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিপূর্বক আদিবাসীদের বেহাত হওয়া ভূমি ফেরতদান, ভূমি ইজারা বাতিল, ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তুদের তাদের স্ব স্ব জায়গা-জমি প্রত্যর্পণপূর্বক পুনর্বাসন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ, চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি বিধানকল্পে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রযোজ্য জাতীয় ও বিশেষ আইন সংশোধন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সেটেলার বাঙালিদের যথাযথ পুনর্বাসন ইত্যাদি বিষয় বাস্তবায়নের কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি।
বিগত এক যুগ ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা অন্যতম দল বিএনপির ইশতেহারে 'ক্ষুুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়' শিরোনামে দুটি লক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো- 'পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন, সম্পদ, সল্ফ্ভ্রম ও মর্যাদা সুরক্ষা করা হবে। অনগ্রসর পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সব সুবিধা এবং পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করা হবে।' এবং 'দল, মত, জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে ক্ষুদ্র-বৃহৎ সকল জাতি গোষ্ঠীর সংবিধান প্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মকর্মের অধিকার এবং জীবন, সল্ফ্ভ্রম ও সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করা হবে। এই লক্ষ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।'
আগের মতো এবারের ইশতেহারেও বিএনপি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের ভূমি অধিকারের মূল বিষয়গুলো সযত্নে এড়িয়ে গেছে। এ থেকে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, আদিবাসী জাতিগুলোর সমস্যার প্রধান দিকগুলো, যেমন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ও সমতলের আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান, সর্বোপরি আদিবাসী ভূমি সমস্যা সমাধানে বিএনপি একেবারেই অনাগ্রহী। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরকালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট পার্বত্য চুক্তির বিরোধিতা করেছিল। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে পার্বত্য চুক্তি বাতিল করবে মর্মে ১৯৯৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষরকালে বিএনপি ঘোষণা করলেও ২০০১ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে বিএনপি অবশ্য পার্বত্য চুক্তি বাতিল করেনি। 'জেলা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়' রাঙামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর করলেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং চারদলীয় জোট সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে নানাভাবে ক্ষুণ্ণ করে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে '২৭. ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী' শিরোনামে উল্লেখ করা হয়, 'সংখ্যালঘুদের মানবিক মর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা এবং সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নূ্যনতম ঘাটতি খুব গুরুত্বের সাথে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোনো রকম হামলার বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। পাহাড় এবং সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সংস্কৃতি রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা হবে।'
সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোনো রকম হামলার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের লক্ষ্য নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বলে বিবেচনা করা যায়। তবে নির্বাচনী ইশতেহারের বয়ান থেকে এটা বলা যেতে পারে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা ও দেশের আদিবাসীদের সমস্যাকে কেবল অর্থনৈতিক সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করতে আগ্রহী।
জাতীয় পার্টির (এরশাদ) ১৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহারে আদিবাসী বা ক্ষুুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নামে পৃথক কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তবে 'ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা' শিরোনামে ১৮তম দফায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ৩০টি আসন সংরক্ষণ, চাকরি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির ইশতেহারেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও আদিবাসীদের অন্যতম প্রধান সমস্যা ভূমি সমস্যার বিষয়টি উল্লেখ নেই। বরাবরের মতো জাতীয় পার্টির ইশতেহারের অন্যতম স্বাতন্ত্র্য বিষয় হচ্ছে, দেশে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং ফেডারেল সরকার। প্রাদেশিক ব্যবস্থায় এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে নিয়ে পৃথক একটি প্রদেশের প্রস্তাব থাকলেও পরে তা তুলে দেওয়া হয়। এবারের ইশতেহারেও সেই প্রস্তাব পুনর্বহাল করা হয়নি।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের ইশতেহারে '১৮. বিভিন্ন জাতিসত্তা, আদিবাসী সমাজ ও দলিতদের যথাযথ স্বীকৃতি ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করা' শিরোনামে আদিবাসী হিসেবে বিভিন্ন জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও জাতিসংঘের আদিবাসী অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্রের অনুস্বাক্ষর; ভূমি কমিশনের মাধ্যমে আদিবাসীদের জমি ফেরত দেওয়া, পর্যায়ক্রমে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারসহ পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন; সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠন ও খাস জমি বণ্টনে তাদেরকে অগ্রাধিকার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাম গণতান্ত্রিক জোটের এই ইশতেহারে মোটামুটি আদিবাসীদের সমস্যার মৌলিক ইস্যুগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়েছে; বলা যেতে পারে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পাহাড়ে প্রথাগত প্রতিষ্ঠানের শোষণ নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা ইত্যাদি বিষয় অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রতীয়মান।
এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির 'ভিশন-মুক্তিযুদ্ধ ৭১' নামে ইশতেহারে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, মাতৃভাষায় শিক্ষা, পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, অন্যায়-অবিচার বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। একই ধারায় ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিও ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
এবারের নির্বাচনী ইশতেহারগুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ইত্যাদি নতুন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছে। এটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক এবং আদিবাসী ও সংখ্যালঘু অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক ধাপ অগ্রগতি বলা যায়। তবে আদিবাসীসহ সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার পরিষদগুলোয় আসন সংরক্ষণের বিষয়টি জাতীয় পার্টি ব্যতীত অন্য কোনো দলের ইশতেহারে ঠাঁই পায়নি।
তথ্য ও প্রচার সম্পাদক, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি

শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০

শ্রীমৎ চন্দ্র কীর্তি ভান্তে দাঘিরে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন মান গজানা

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এক্কো সাহিত্য সাংস্কৃতি আ চাঙমা ভাচ-ওক্কোর নিনেই লাম্বা কুরিবো বঝর কাম গরি যার। ২০৫০ ভিশন ভালেদি আঝা বুগত বানি নিঝেত আভাচ নেই গরি নানান জাগাত চাঙমা লেঘা শেঘানা সমারে জাদর রিদিসুধোম পোইদ্যানে সচেদন গরের। চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ফাউন্ডেশন জুগল গরি এযেত্তে বঝরত্তুন ধরি শিবচরণ শিক্ষা বৃত্তির কাম আরগারি গরিদ’ যার, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিশার্স বানেই বেগত্তুন বেচ কম দামে বই পর্বোয়াউনর আহ্’দত তুলি দি দ’ চার। সমারে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ শিল্পী গোষ্ঠী আ পত্তিক ইউনিয়নত ধেলা জুগল গরি লাইব্রেরী থিদ গরিবার আঝা গরের আ চাঙমা সাত্যি সংস্কৃতিয়ান বিশ্বদরবার থিদ’ গরিদ চার।

এধক্যে চেদনত্তুন এচ্যে অনুত্তর পূর্ণ্যক্ষেত্র মহান পার্বত্য ভিক্ষু সংঘর মিঙিনি চাগালা জধানানু অনার পোইদ্যানে শ্রীমৎ চন্দ্রকীর্তি ভান্তেদাঘিরে মান গাজেয়্যা। এচ্যে এল’ সিদ্ধানন্দ বৌদ্ধ বিহারত দানত্তম শুভ কঠিন চীবর দান। সে ফাংশান’ সেরেদি ভান্তেদাঘিরে মান গজা অইয়ে।


চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বিশ্চেস গরের- বেক তরেহ্ তরেহ্ নানান সমাজ ভালেদি কাম্মোউন জাদর, দেঝর কধা ভাবি কাম গত্তন। ভান্তেদাঘিয়্য নানান ধক্যে গরি কামা গরি যাদন। যেধক্যে গরি বুদ্ধ আমলত বুদ্ধ জাদর কধা ভাবি দপদভা বৈদিক আ সংস্কৃতি ভাচ্ছোই ধর্ম ফগদাঙ ন’ গরি পালি আ মগদি ভাচ্চোই তা ধর্ময়ান ফগদাঙ গচ্ছে আ দ্বি দ্বিবার তা জ্ঞাতিউনরে বাজেয়্যা। 

 

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

অপহরণে শিকার সুজিৎ চাকমা

 


আজ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং রাঙ্গামাটি জেলার লংগুদু উপজেলা বাজারের সাপ্তাহিক হাট বার।

প্রতি সপ্তাহের ন্যায় মানুষ স্হল ও জলপথে বাজারে করার জন্য আছে,ঠিক মি: সুজিৎ চাকমা(২৯) ও এসেছিল বাজারে, । পিতা:- মঙ্গল মোহন চাকমা। সাং:- ভাইবোন ছড়া, গোলাছড়ি। ৭ নং লংগুদু ইউ পির ৫নং ওয়ার্ডের স্হায়ী বাসিন্দা কে বাজার ঘাট থেকে সকাল আনুমানিক সাড়ে আট ঘটিকার সময়ে, সেনাসৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনীর সর্দার কনক চাকমা কতৃক অপহরন করে নিয়ে যায়।
অপহরনের পর কোথায় এবং কি কারনে আটক রাখা হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মাত্র ২৩ দিন ব্যবধানে আবারও দলবেধে ধর্ষণের শিকার আদিবাসী নারী (৩৬)

 গত ৩১ আগস্ট ২০২০ ইং সোমবার খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে চার বাঙালি সেটেলার যুবক কর্তৃক রাতভর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এক মারমা কিশোরী (১৪) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মাত্র ২৩ দিন ব্যবধানে আবারও নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হন খাগড়াছড়ি বলপিয়্যা আদামের এক প্রতিবন্ধি আদিবাসী নারী (৩৬)। 

আজ ২৪/০৯/২০২০ ইং রোজ বৃহষ্পতিবার খাগড়াছড়ি সদরস্হ "বলপিয়ে আদাম" গ্রামে নিজ বাড়ীতে সেতলার বাঙালী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হওয়া ভিক্টিমের (৩৬) সাথে সরাসরি সাক্ষাতে কথা বলে জানা গেল, অদ্য রাত ২.২৬ মিনিটে ৯ জন সেতলার বাঙালী বাড়ীর মেইন গেইটের উপরের দিকে বেয়ে উঠে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ঘটনা ঘটান এবং চলে যাবার সময় নগদ ৮,০০০ টাকা ও কয়েক ভরি সোনা গহনা লুট করে নিয়ে যান। সেতলার বাঙালীদের হাতে ছিল দা, ছুঁড়ি ও পোড়াবাড়ি।
ভিক্টিমের আরও বয়ানমতে, দুষ্কৃতিকারী সেতলারদের কারোর নাম জানা না থাকলেও কিন্তু তাদের সকলের চেহারা পরিচিত এবং তাদের প্রত্যেকের বাড়ী হলো খাগড়াছড়ি সদরস্হ গঞ্জপাড়ার বাঙাল হাটি মৌজা গ্রামে। তাদের ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়।

এ দিকে সাধারণ জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, নিজ বাড়িতে  যখন নিরাপত্তা নাই , দেশের আইন বলে কিছু নাই।

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

“ঘিলে ফুল” ছড়া বইটি কেন পড়ব? - ইনজেব চাঙমা


“ঘিলে ফুল” সুনানু রনজিত চাঙমা (ব্যাংকার), চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পাবলিশার্স হতে প্রথম প্রকাশিত বই (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ইং)

Reading is to the mind what exercise is to the body ”

– Joseph Addison

এই কথাটি বলে গিয়েছেন ৩০০ বছর পূর্বে । আর বর্তমান মডার্ন সায়েন্স গবেষণার দ্বারা এই কথাটির সত্যতা প্রমাণ করেছে । ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখতে পারি । একটি ভালো বই মানুষের মনশ্চক্ষু যেমন খুলে দেয় তেমনি জ্ঞান ও বুদ্ধিকে প্রসারিত ও বিকশিত করে মনের ভিতরে আলো জ্বালাতে সাহায্য করে ।

বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না , তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে । 

যাক, এখন আছি ঘিলেফুল ছড়া বইটি কেন পড়ব। আপনারা শুনে থাকবেন “ঘিলেফুল” দেবংশী মানে সাধারণ চোখে দেখা যায় না। জনশ্রুতি আছে ঘিলেফুল দেখলে নাকি সেই ব্যক্তি অবশ্যই সুনাম অর্জিত হয়। 

এমনই চিন্তা চেতনা নিয়ে লেখক ঘিলেফুল নামক ছড়া বইটি লিখেছেন। বইটিতে চাঙমা জাতির সাহিত্য সংস্কৃতি, ভাষা এবং একটি শিশু মেধা বিকাশের বড়ই ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস রাখি। 

   
ঘিলে ফুল ঘিলে ফুল



         মরে দেনা তুই দেঘা,
কিত্তে তুই লুগি থাচ?
         মনর ভুলান ভাঙি দেনা।

তরে দেলে রাজা অহ্ন
         নয় দ’ ভিলে যান মরি,
সেনত্তেই তুই লুগি থাচ
          অইনে ভিলে দেবংশি ?

তুই কি নয় ফুল সালে?
         সেনত্তেই তুই থাচ লুগি?
কধক দিন আর বেলাপ দিবে
         দেনা মরে ভুল ভাঙি।

বই পড়া থেকে আনন্দ, বুদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জিত হয়। বই পড়তে হয় একাকী এবং তাতে অবসর ভরে ওঠে নির্মল আনন্দে, বুদ্ধি আসে বইয়ের কথামালা থেকে, আর সক্ষমতা আসে গ্রন্থগত বিদ্যার সঙ্গে বিষয়বুদ্ধির সংশ্লেষে।

১) জ্ঞান বৃদ্ধি করে

২) মানসিক উদ্দীপনা তৈরি করে

৩) মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে

৪) অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ

৫) কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি করে  

৬) স্মরণ শক্তির বৃদ্ধি ঘটে

৭) শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি

৮) লেখনী শক্তি বৃদ্ধি

৯) Critical thinking বৃদ্ধি করে

১০) একাগ্রতা বৃদ্ধি করে ও মানসিক প্রশান্তি দান করে

১১) সহানুভূতি বোধ

১২) আত্মসম্মান বোধ তৈরি করে

১৩) সংলাপ দক্ষতা
১৪) ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে

তাহলে এসো বন্ধুরা , আমরা এবার কিছু বই সংগ্রহ করে জীবনের সঙ্গে জুড়ে নিয়ে একটা বড়সড় বদল আনি ।

* পানছড়িত পা যার
উদ’ ল’- 01537430172- সুনানু পিংকি চাঙমা, 01517113664- বিভাস চাঙমা আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গীউনত্তুন।
* বাঘাইছড়িত পেব: সুনানু স্বর্ণ চাঙমাদাঘিদু/ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গিউনর আহ্’দত। 01554792700
* মহালছড়িত পেব: সুনানু টুটুল চাঙমাদাঘিদু/চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গীউনর আহ্’দত। - 01517185352
* সাজেক: সুনানু প্রকৃতি চাঙমা আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাজেক ইউপি ধেলা সাবাঙ্গীদাঘিদু।- 01869963852
লংগদু: শ্লোক চাঙমা আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সাবাঙ্গীদাঘিদু।- 01551987188
এজাল দর/দাম: বানা ১০০ তেঙা।
ঘিলেফুল চেবার অলে যাদি যাদি লবার কুজোলী থেল।

 

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

এবার বাসন্তী রেমার কলাবাগান উজাড় মধুপুরে জমি উদ্ধারের নামে গারোদের সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে প্রকাশ: মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

 

টাঙ্গাইলের মধুপুরে কয়েক দিন ধরেই জমি উদ্ধারের নামে স্থানীয় গারোদের মাঠের ফসল ট্রাক্টর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযান চালাচ্ছে বন বিভাগ। উপজেলার আরণখোলা ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে এরই মধ্যে ১০ গারো পরিবারের পাঁচ একর জমির আনারস, পেঁপে, আদা, হলুদ, কলা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের পেগামারীতে দরিদ্র বাসন্তী রেমার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন কলাবাগানটিও কেটে উজাড় করে দিয়েছে বন বিভাগ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গারো সম্প্রদায়ের লোকজন বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

স্থানীয় গারোদের অভিযোগ- বন বিভাগের জমি দাবি করে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই গত ২৪ আগস্ট পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে তাদের জমির ফসল মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। ওই সময় তাদের পাঁচ একর জমির ফসল এভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। করোনা মহামারির এই সময়ে বন বিভাগের এমন 'অমানবিক আচরণে' তারা এখন পথে বসার উপক্রম। গারোরা জানান, যুগ যুগ ধরে দখলি সত্ত্বেও এই জমিতে চাষ করে আসছেন তারা। কেউ উত্তরাধিকার, আবার কেউ 'বাংলা দলিল' (রেজিস্ট্রিবিহীন) মূলে এই জমির মালিক।

অবশ্য বন বিভাগের বক্তব্য, সিএস ১০৪ দাগের বনভূমির জবরদখল হওয়া জায়গা তারা উদ্ধার করছে। এই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকালে শোলাকুড়ি ইউনিয়নের পেগামারীতে বাসন্তী রেমার কলাবাগানটি কেটে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। গেতিস জেত্রার স্ত্রী বাসন্তী রেমা জানান, তার পূর্বপুরুষ এক শতাব্দী ধরে এ জমি চাষ করে আসছে। উত্তরাধিকার সূত্রে ভোগদখলকারী হিসেবে দেড় বিঘা জমিতে ঋণ করে তিনি পাঁচশ' সবরি কলার চারা রোপণ করেছেন। সদ্য সমাপ্ত বনরক্ষা সংশ্নিষ্ট প্রকল্পের কর্মী বাহিনীর সদস্য (সিএফডব্লিউ) হিসেবে তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু বন বিভাগ দখলমুক্ত করার নামে হঠাৎ তার বাগানের কলাগাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। আর্থিক সংকটের এ সময়ে এমন আচমকা ঘটনায় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় মান্দি (গারো) নেতা উইলিয়াম দাজেল জানান, বিনা নোটিশে বন বিভাগের এমন ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ দুঃখজনক। বন বিভাগের সঙ্গে কাজ করা লোকজন যদি এমন অবস্থার শিকার হন, তবে বন রক্ষায় বন বিভাগের পাশে কেউ থাকতে চাইবে না।

এদিকে, কলাবাগান কাটার খবরে স্থানীয় গারোরা বন বিভাগের কর্মীদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে তারা দোখলা রেঞ্জ কার্যালয়ের কাছে ডাকবাংলোতে আশ্রয় নেন। সেখানে রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল আহাদসহ একাধিক কর্মকর্তা অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ গারোরা সেখানে গিয়ে ফসল কাটার প্রতিবাদে কার্যালয় অবরোধসহ বিক্ষোভ করেন। তারা নানা স্লোগান দিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করেন।

রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল আহাদ বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা তাদের এক শ্রমিককে মারধর করেছে। তার বাসাসহ গার্ড রফিকের বাসায় ভাঙচুর চালিয়েছে। রেঞ্জ কার্যালয়ের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। সহকারী বন সংরক্ষক জামাল উদ্দিন তালুকদারও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে গারো নেতাদের মধ্যস্থতায় বুধবার (আগামীকাল) বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। এমন প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।

সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, 'বন বিভাগের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জবরদখল হওয়া বনভূমি দখলমুক্ত করার কাজ চলছে। দখলমুক্ত করতে গিয়ে আজ এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। ডিএফওর উপস্থিতিতে গারোদের পরিস্থিতির কথা জানানোর দাবিতে বুধবারের বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। মীমাংসা অনেকটাই হয়ে গেছে।'

স্থানীয় কৃষক সুরুজ আলী বলেন, 'এই জমির পাশে বন বিভাগের ২০০৭-০৮ সালের দিকে আগর চাষের প্রকল্প ছিল। ওই প্রকল্পের বাইরে থাকা আমাদের এ জমিতে তখনও ফসল ছিল। তখন আগর চাষ ব্যর্থ হয়। আগের ব্যর্থ প্রকল্পের জমির সঙ্গে আমাদের জমি দেখিয়ে বন বিভাগ এখন নতুন করে কাজুবাদাম চাষের প্রকল্প নিয়েছে। এ কারণে আমাদের ক্ষতি করছে তারা।'

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...