মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

স্বর্গীয় সুনানু পাহাড়িকা চাঙমা পোইদ্যানে নানান জনন ফেসবুক স্ট্যাটাস: সুনানু ইনজেব চাঙমা

 

তোমার মত বড় ভাই  পেয়ে সত্যি
অনেক অনেক গর্বিত আমি

সোহেল চাঙমা, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়
পৃথিবীতে খুবই কম মানুষ আছে যারা সমাজের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু যারা সমাজের জন্য কাজ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে তাদের নামও মানুষের হৃদয়ে শতাব্দী থেকে শতাব্দী পরও থেকে যায়।
দাদা, তুমিও নিজের পরিবারে অনেক কিছু অভাব থাকলেও সমাজকে কোনোদিন সেই অভাবে থাকতে দাওনি। সেই ছোটকাল থেকে দেখে আসছি কিভাবে সমাজের জন্য কাজ করে চলতেছ। জুম্মদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য ১৪ ফেব্রুুয়ারি ২০০৭ ইং দিনে নিজের জীবনকেও বিলিয়ে দিতে বসেছিলে। হয়ত ভগবানের অশেষ কৃপায় সেই মৃত্যুর দরজা থেকে রক্ষা পেয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর দরজার থেকেও বেঁচে গিয়েও অনেক বছর পরিবারকে ছেড়ে থাকতে হয়েছিল অনেক কষ্টে। এখনো তুমি বসে নেই। নিজের জুম্ম জাতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছ।
তোমার একটা দিন যায়নি মনে হয় পরিবারের যেকোনো সদস্য থেকে বকা না খেয়ে। বিশেষ করে মা। মা'তো প্রতিনিয়ত বলত যে (পোবু ভালেত ন’ অভ আর, পরভালেত্তি) এই পুত্র টা জীবনে উন্নতি করতে পারবেনা শুধু অন্যর জন্যে। আরও বলত মানুষের কাজ করে কি লাভ এদিকে নাতনিগুলো ভালোভাবে পড়তে পারছেনা। আরও অনেক কিছু। কিন্তু এটাও সত্যি যে, এই পৃথিবীতে খুবই কম মা-বাবা আছে যারা চায় নিজের ছেলে-মেয়েরা সমাজের জন্য কাজ করুক, সংগ্রামী হোক, বিপ্লব করুক।
এটা কোনোদিন আশা করিনি তোমার জীবনে এরকম অবস্থা পরতে হবে। আাজকে ভাবী(ভুজি) যে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে এটা কিন্তু পরিবারের যেকোনো সদস্য থেকে তোমাকে বেশি প্রিয়জন হারনোর আগুনে জ্বলতে হবে। কিছুওতো করার ছিলনা। আসলে জীবনে চলতে গেলে সব কিছু স্বাদ গ্রহন করতে হয়। প্রিয়জন পাওয়ার আনন্দ, হারানো শোক সবকিছু। এগুলা সারা আসলে জীবন অপূর্ণ মনে হয়। তবুও এই হারানোতা কিন্তু ব্যাতিক্রম।
কিন্তু ভাবীও (ভুজি) তো তোমাকে অনেক সাহায্য করেছে তোমার এই সমাজকে সাহায্য করার ব্যাপারে। কোনোদিন  তোমার এই কাজে বাধা সৃষ্টি করেনি। তুমি সাংসারিক কাজে উদাসীন হলেও ভাবী (ভুজি) তোমার যে একটা মেয়ে আর একটা ছেলে তাদেরকে কোনোদিন অভাবে থাকতে দেয়নি। টাকা না থাকলে অন্যর কাছে দৈনিক কাজ করে পরিবারের খরচ, ছেলে- মেয়েদের পড়াশুনা খরচ জুগিয়েছে। এগুলো কি কম!
ভবিষ্যৎ অনেক অন্ধকার। জোনাকিরাও আলো দেখাচ্ছেনা আমাদের। তবুও আমরা চলেছি গুতিকয়েক মানুষের অবদান নিয়ে। যাদের অবদানে আজকে আমি নিজেকে জুম্ম বলে পরিচয় দিতে পারতেছি সারা পৃথিবীর মধ্যে।
আমি মনে করি তুমিও শোক ভুলে আরও বেশি সমাজের জন্য কাজ করে যেতে পারবে।
সবকিছু অন্ধকার হলেও একদিন এই অন্ধকার থেকে আলো ছিনিয়ে আনতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পৃথিবীতে টিকে থাকার মত আলো জুগিয়ে যেতে হবে।
যেহেতু আমাদের মা-বাবা চাকরি করেনা তাই একটু অভাব দিয়ে বড় হয়েছি। জীবনের সবকিছু অভাব পেয়েছি। কিন্তু একটা জিনিষের অভাব মনে হয় কোনোদিন পায়নি, তা হচ্ছে বইয়ের অভাব। জীবনকে যখন থেকে বুঝতে পেরেছি, জীবনকে জানতে চেষ্টা করেছি। এই অভাবটা পেলে হয়ত আজকে আমিও এই জায়গায় আসতে পারতাম না।
ভাবী মরেও মরেনি সে বেঁচে থাকবে তোমার কাজের মাধ্যমে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তুমি যে অবদান রেখে যাচ্ছ একদিন সত্যি ভাবীকেও পাওয়া যাবে সেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্য। এই অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মনে রাখবে।
দিনশেষে, তোমার মত বড়ভাই পেয়ে সত্যি অনেক অনেক গর্বিত আমি।                    

(ইতি তোমার ছোট ভাই, সোহেল চাঙমা, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়)
দূঃখ!


প্রজ্ঞা তাপস চাঙমা, কানাডা
কানাডার সর্ব"েচা বিচারালয? দেখতে গিয?েছিলাম আজকে দেশের রাজধানীতে । সেই এক অনুভূতি নিয?ে ঘরে ফিরলাম। কাজের জন্য দুতাবাসে গেছিলাম। ঘরে ঢুকতেই এক ছোট বোনের বার্তায? জানলাম , আমার অন্যতম সহযোদ্ধার ( ইনজেব দা) দুঃখজনক খবর। বড? তি হয?ে গেল তার যা আর ফিরে পাওয?ার নয?! বা¯-বতা মেনে নিতে হবে সবাইকে। আমরা সবাই এই পথের পথিক। দূঃখ!
ইনজেব দার কাছে ফাগুনের চিঠি:
প্রজ্ঞা আলো চাঙমা, ধুদুকছড়া, পানছড়ি।

ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনদের একটু স্পেশালভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়। এই দিনটি হয়তো হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝে একদিনের জন্য হলেও প্রিয়জনদের নিয়ে চিন্তা করার একটি দিন। কিন্তু সে দিনটি যদি হয় প্রিয়জন হারানোর একটি দিন তখন সেটা কেমন বেদনার তা আমার প্রকাশ করার কোন ভাষা নেই!
ইনজেব দা আপনাকে কতদিন ধরে চিনি তা হয়তো কম কিন্তু যতদিন ধরে চিনি তাতে আপনার প্রতি ভালোবাসাটা অনেক আর অনেক। আজকের এইদিনে আপনার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষটিকে হয়তো চিনিনা এখনো কিন্তু আপনার চির বৈশিষ্টের গুণে আমি জানি উনি কেমন হবেন। আর উনার প্রতি আপনার ভালোবাসাটাও।
আপনার কষ্টের ভাগ হয়তো নেওয়া যাবেনা। অন্যদিকে আপনার এখানে এসে আপনার প্রতি আমার ভালোবাসা প্রকাশের যে সুযোগ সেটাতেও আমি অংশগ্রহণে ব্যর্থ! তাই এখান থেকেই আমার সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারলামনা। তার জন্য আমি খুবই দুঃখিত।
আপনি জানেন পৃথিবীর কোন কিছুই স্থায়ী নয়। কি ফুল কি পশু কি মানুষ! আমরা এই পৃথিবীতে শুধু নিজের কর্মের দ্বারাই নিজেদের চালিত রাখি। আর এটি এমন যে তার জন্য কাউকে ধরেও রাখতে পারিনা কিংবা সঙ্গেও নিতে পারিনা! আমরা ক্ষণিকের জন্য এই পৃথিবীতে এসে দুঃখের সাথে যুদ্ধ করতে থাকি। অনেকেই ভুলে যাই আমার কি করা উচিত! আর বাস্তবতাকে আমরা মেনে নিতে পারিনা, এখানেই আমাদের পরাজয়। শুধু আশার কথা হলো আমরা কিছুদিন পরে হলেও সেই কর"ণ কালো অধ্যায়কে ছুঁড়ে ফেলে দিতে সক্ষম হই। আর নতুন করে স্বপ্ন বানতে পারি আপন গতিতে।
আমি জানে আপনার স্বপ্ন কি। আর এও জানি আপনার স্বপ্নের সাথে আমাকেও গেঁথে ফেলেছেন। কারণ এই স্বপ্ন যে শুধু একজনের নয়! পৃথিবীর প্রতিটি শোষিত জাতির এমন স্বপ্ন থাকে যা হয়তো প্রায় ঘুমন্ত। আপনি আমাদের মাঝে সে ঘুমন্ত স্বপ্নকে জাগিয়ে তুলেছেন। হ্যাঁ, তাই আজ আমরা আমাদের মাতৃভাষায় লেখালিখি করতে জানি। এটা আমাদের অন্য কারোর সাথে যুদ্ধ নয়! যুদ্ধটা বরং আমাদের নিজেদের সাথেই। তাই আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি ধরে রাখার এই যুদ্ধে আবারো আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে পাবো এই প্রত্যাশা রাখি।
পরিশেষে ভাবির আত্মার সৎগতি কামনা রইল। ভালো থাকুন আপনি, ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল প্রাণী।

সবকিছু পেছনে ফেলে রেখে শুরু হোক অবিরাম পথচলা
প্রগতী খীসা, রাঙামাত্যা

সকল আনন্দোজ্জ্বল সৃষ্টি বিলয়ধর্মী
তাই অপ্রমত্ত হও।
ওঠো, জাগো।
তোমার মনের অন্ধ বিবরে জ্বেলে রাখা
কামনা চেরাগ নিভে দাও
প্রজ্জ্বলিত করো প্রজ্ঞার দীপাবলি।
মানব জাতির কাছে এটাই তথাগত শাস্তার অন্তিম শিক্ষা। অতএব, আমাদের কাছে কারোর জীবনপাতে কোন অশ্রুপাত নেই। তবুও মাঝে মধ্যে এমন কারো কারো মৃত্যু ঘটে তাতে শুধু অশ্রুপাত নয়, তার প্রজন্মের হৃদয়াকাশে ঘটে যায় বিনামেঘে বজ্রপাত। চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কর্ণধার স্নেহভাজন শ্রী ইনজেব চাকমা চারু’র সহধর্মীনি পাহাড়ীকা চাকমার অকাল জীবনপাত তারই প্রোজ্জ্বল উপমা। স্নেহভাজন ইনজেব চাকমা’কে আমরা যখন বলি-বিশ্বজুড়ে চলছে মিছিল, আলোর মিছিল, স্বজাতির ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির আবাহন সৃষ্টির মিছিল, চলছে অধিকার আদায়ের বজ্রকন্ঠে চিৎকার, কেওক্রাডং হতে অঝলচুগ পর্যন্ত যে মূহুর্তে চলছে অঝাপাতের মিছিল, আমরা যখন বলি এগিয়ে যাও ইনজেব ভাইয়া আরো সম্মূখে এমনতর সময়ে তার প্রাণ শক্তির মূলস্রোতধারা নিভে যাওয়া সত্যিই বেদনার। তবুও আশায় বুক বাঁধি এই বলে যে, প্রিয় ইনজেবকে যে কিনা অপ্রমত্ত ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ে তিলে তিলে ইমারতের মতো করে গড়ে তুলেছে তার পবিত্র মরদেহের পুষ্পিত কফিন আমাদের কাছে একদীপ্ত প্রত্যয়ের অঙ্গীকার। তার সমস্ত কফিন ভরে ওঠুক ফুলে ফুলে আর চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পতাকার চাদরে মোড়ানো হয়ে ওঠুক পূরোটা কফিন। মানুষ জানুক, দেখুক আর অনুধাবণ করুক একজন সহধর্মীনি স্বামীকে কতটা যোগাতে পারে প্রাণশক্তি? সুপ্রিয় ইনজেব মনের অপূর্ণ আকাংখার দহন বুকে জ্বেলে রেখে আরো এগিয়ে যাও সম্মূখে। থেমে যাওয়া নয়, সবকিছু পেছনে ফেলে রেখে শুরু হোক অবিরাম পথচলা। পরপারে তুমি ভালো থেকো অনেক অনেক বেশি।
১৪-০২-২০২০
আপসোস
প্রত্যাশা চাঙামা
আমি আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন “চাঙমা সাহিত্য বাহ” তে আছি ২০১৭ সাল থেকে, তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়তাম। একদিন হঠাৎ করে ক্লাসে আমাদের এক বন্ধু (সম্পর্কে আমার ভাইও লাগে) এসে বলল “চাঙমা সাহিত্য বাহ্” নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন ঈদের ছুটিতে সাত দিনের চাকমা বর্ণমালা শেখাবে। আমি বললাম, “শুধু শুধু শিখে কি হবে?” আমার ভাই বলল, “শিখলে ক্ষতি কি? তাছাড়া সার্টিফিকেট তো পাবে।” মনে মনে একটু লোভ হল। এরপর আমরা কয়েকজন ওই ক্লাসে যোগ দিলাম। প্রথমদিন ক্লাসে গিয়ে দেখলাম ছোট থেকে বড় প্রায় সবাই শিখতে এসেছে। শুধু তাই নয় আমাদের স্কুলের দুএকজন শিক্ষকও শিখতে এসেছে। বিষয়টি আমার খুব মজা ও ভালো লাগলো। ছাত্র-শিক্ষক, ছোট- বড় সবাই একসাথে শিখবো এরথেকে মজার আর কি-ই বা হতে পারে?  যথারীতি ক্লাস শুরু হল। প্রথমদিনের ক্লাসে আমরা চাকমা বর্ণমালার প্রথম পাঁচটি বর্ণ শিখলাম। এরপর ক্লাস শেষে আমাদের প্রশিক্ষক ইনজেব চাকমা স্যার আমাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলার জন্য দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, “আজ পর্যন্ত আমি যতগুলো স্কুলে ক্লাস করেছি তার মধ্যে তোমরাই সবথেকে মনোযোগ দিয়ে শিখেছ এবং তোমরা সবাই হাসিমুখে - আনন্দে সহিত ক্লাস করেছ। আমার খুব ভালো লেগেছে। “এসব কথা শুনে আমরা খুশিতে আনন্দ ধ্বনিতে হাততালি দিয়েছিলাম। এভাবে ২য় দিনও আনন্দে ক্লাস করলাম এবং চাকমা বর্ণমালার ২য় লাইনের পাঁচটি বর্ণ শিখলাম। এরপর আসল ৩য় দিন। ওইদিন ছিল হরতাল। আমরা ভাবলাম ক্লাস হবে না। আমাদের যেহেতু প্রাকটিক্যাল ক্লাস ছিল তাই আমরা সেদিনও স্কুলে গেলাম। কিন্তু স্কুলে গিয়েই আমরা অবাক হয়ে গেলাম। আমাদের স্কুলের পাশে যে দোকানটা আছে সেই দোকানে বসে নিশ্চিন্তে বসে আছেন তিনি। আমরা সবাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম হরতালের দিনও তিনি কিভাবে স্কুলে আসলেন। তারপর তিনি বললেন, “একদিন যদি তিনি ক্লাসে না আসেন তাহলে আমাদের মনোযোগ হয়তো নষ্ট হতে পারে। তাই তিনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে না খেয়েই দীঘিনালা সদর থেকে উদাল বাগান হাই স্কুলের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছিলেন আমাদেরকে ক্লাস করানোর জন্য। তারপর যাত্রাপথে বড়াদাম নামক স্থানে এসে কেউ একজন নাকি মোটর সাইকেলে করে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছিলেন। একথা শুনে আমি খুব অবাক হয়ে গেছিলাম। যেখানে আমরা দু-এক কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যেতে পারি না সেখানে তিনি দীঘিনালা সদর থেকে আমাদের স্কুলে হেঁটে আসছিলেন যে রাস্তা কিনা অটোরিকশা দিয়ে হেঁটে গেলেও প্রায় আধঘন্টা সময় লাগে। দীঘিনালা সদর থেকে ওই রাস্তা আনুমানিক ১০ কিলোমিটারও হতে পারে। আমি মনে মনে ভাবলাম মানুষ নিজের ভাষাকে এত ভালোবাসতে পারে?  এতদূর থেকে হেঁটে আসা যায়? শুধুমাত্র নিজের ভাষাকে ভালোবেসে নিজের মাতৃভাষার আলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এত বড় কষ্ট সহ্য করা যায়? আমার তো মনে হয় ওইদিন উনার পায়ে খুব ব্যাথা হবে।  

সেদিন আমি ভাবলাম মানুষ নিজের জাতির জন্য কী কী করতে পারে?  স্বার্থপর পৃথিবীতে এরকম একজন মানুষ পাওয়া জাতির জন্য সত্যিই খুব ভাগ্যের বিষয়। উনার স্ত্রীর অসুস্থ হওয়া সত্বেও তিনি হাঁসিমুখে কাজ করে যাচ্ছিলেন যেন কিছুই হয়নি। সবই ঠিক আছে। অথচ সেই মানুষটার আজ সবথেকে বড় দুঃখের সময়। গত ১৪  ফেব্রুয়ারী ভোর ৩:০৬ টার দিকে উনার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন।

তাও ভাষার মাসে? যে মানুষটা সারাজীবন ভাষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন আজ সেই মানুষটার সঙ্গীকে ভাষার মাসেই ভগবান কেড়ে নিলো।
নানান জনর ফেসবুক স্ট্যাটাস

Prakash Changma

১৪ ফেব্রুয়ারি

বিশ্বাস করতেই পারছি না যে, চাকমা ভাষা, সংস্কৃতির উন্নয়ন ও গবেষণা বিষয়ক সংস্থা “চাঙমা সাহিত্য বাহ”র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ওহলবন ঈযধহমসধ র সহধর্মিণী মিসেস “পাহাড়িকা চাকমা” আজ ভালোবাসার দিনে সকল ভালোবাসা ছিন্ন করে আমাদের সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন!! ?? গত রাত ৩:০৬ টার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হসপিতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তার পারলৌকিক আত্মার সদগতি কামনা করছি।

 

Sambhumitra Changma Sambhu

১৫ ফেব্রুয়ারি

 পাহাড়ীকা চাঙমার শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনে --
১. চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কেন্দ্রীয় কমিটি সহ সকল শাখা কমিটি,
২. পার্বত্য ত্রাণ ফাউন্ডেশন,পার্বত্য চট্টগ্রাম, কেন্দ্রীয় কমিটি,
৩. সাম্মাদিঠটি ফাউন্ডেশন,মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা,
৪. মানবিক কল্যাণ সংঘ,পার্বত্য চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
৫. বৌদ্ধ যুব ঐক্য পরিষদ,বাবুছড়া, দীঘিনালা,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
সকলকে “চাঙমা সাহিত্য বাহ্” এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং সে সাথে আগামী ২২-০২-২০২০ ইং রোজ শনিবার পাহাড়ীকা চাঙমার সাপ্তাহিক শ্রাদ্ধক্রিয়া পূণ্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করছি।
অনুরোধক্রমে
সাধারণ সম্পাদক
চাঙমা সাহিত্য বাহ্,
কেন্দ্রীয় কমিটি।
পোড়া হবাল্যে
১৪ ফেব্রুয়ারি

ভালো মানুষকে ভগবান বেশিদিন পৃথিবীতে রাখেন না।
বেগর কোচপেয়ে মানেই #ইনজেব দাদার সহধর্মীনি পাহাড়িকা ভুজি  খুব ভালো ছিলেন। তাইতো ভগবান তাঁকে পৃথীবি থেকে নিয়ে গেলেন।
যে হারায় সে জানে হারানোর কি বেদনা।
শান্তনা দেয়ার ভাষাটুকু আমার নেই।
পরিশেষে কামনা করি ভুজি যেন সুগে থায়।

শ্রেয়সী চাঙমা
১৪ ফেব্রুয়ারি
“চাঙমা সাহিত্য বাহ্”-র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইনজেব দাদার সহধর্মীনি পাহাড়ীকা দিদি আর আমাদের মাঝে নেই।
“চাকমা সাহিত্য বাহ্”-র পক্ষ থেকে গভীর শোক এবং সমবেদনা প্রকাশ করছি।


Supayan Chakma Sujon

১৪ ফেব্রুয়ারি

“চাঙমা সাহিত্য বাহ্” কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইনজেব দাদার সহধর্মীনি পাহাড়িকা (ভাবি) আজ আর আমাদের মাঝে নেই।
আনুমানিক ৩:০৬ এএম চিটাগং হাসপিটালে মৃত্যু বরন করেন।

চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ নান্যাচর উপজেলা ধেলা/শাখার পক্ষ থেকে গভীর শোক এবং সমবেদনা প্রকাশ করছি।
শাক্য চাঙমা জমা
১৪ ফেব্রুয়ারি
কজু পাদা পানি দুক্যেন, মানজ্যর জীংকানি,
বাজি আঘি কক্কে মরিবঙ আমি ন’ জানি।

ভুজি সৎগতি কামনা গরঙ।
যিদু তার ন্যুঅ জনম,
তুজিমপুর’ অনেই জনম ওক
ইয়্যান তবনা গরঙ।

BGV

২৮ ফেব্রুয়ারি, ৮:৪০ চগ

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ও সাঙু পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুনানু ইনজেব চাঙমার সহধর্মিণী মিস পাহাড়ীকা চাঙমা’র অকাল মৃত্যুতে “বৌদ্ধ যুব ঐক্য পরিষদ” এর পক্ষ থেকে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং মৃত পাহাড়ীকা চাঙমার পারলৌকিক আত্নার সৎগতি কামনায় সঞ্চিত পূণ্যরাশি দান করছি।

(Progoti kisha আপডেট থেকে নেওয়া)
সকল আনন্দোজ্জ্বল সৃষ্টি বিলয়ধর্মী
তাই অপ্রমত্ত হও। ওঠো, জাগো।
তোমার মনের অন্ধ বিবরে জ্বেলে রাখা
কামনা চেরাগ নিভে দাও প্রজ্জ্বলিত করো প্রজ্ঞার দীপাবলি। মানব জাতির কাছে এটাই তথাগত শাস্তার অন্তিম শিক্ষা। অতএব, আমাদের কাছে কারোর জীবনপাতে কোন অশ্রুপাত নেই। তবুও মাঝে মধ্যে এমন কারো কারো মৃত্যু ঘটে তাতে শুধু অশ্রুপাত নয়, তার প্রজন্মের হৃদয়াকাশে ঘটে যায় বিনামেঘে বজ্রপাত। চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কর্ণধার স্নেহভাজন শ্রী ইনজেব চাকমা চারু’র সহধর্মীনি পাহাড়ীকা চাকমার অকাল জীবনপাত তারই প্রোজ্জ্বল উপমা। স্নেহভাজন ইনজেব চাকমা’কে আমরা যখন বলি-বিশ্বজুড়ে চলছে মিছিল, আলোর মিছিল, স্বজাতির ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির আবাহন সৃষ্টির মিছিল, চলছে অধিকার আদায়ের বজ্রকন্ঠে চিৎকার, কেওক্রাডং হতে অঝলচুগ পর্যন্ত যে মূহুর্তে চলছে অঝাপাতের মিছিল, আমরা যখন বলি এগিয়ে যাও ইনজেব ভাইয়া আরো সম্মূখে এমনতর সময়ে তার প্রাণ শক্তির মূলস্রোতধারা নিভে যাওয়া সত্যিই বেদনার। তবুও আশায় বুক বাঁধি এই বলে যে, প্রিয় ইনজেবকে যে কিনা অপ্রমত্ত ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ে তিলে তিলে ইমারতের মতো করে গড়ে তুলেছে তার পবিত্র মরদেহের পুষ্পিত কফিন আমাদের কাছে একদীপ্ত প্রত্যয়ের অঙ্গীকার। তার সমস্ত কফিন ভরে ওঠুক ফুলে ফুলে আর চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পতাকার চাদরে মোড়ানো হয়ে ওঠুক পূরোটা কফিন। মানুষ জানুক, দেখুক আর অনুধাবণ করুক একজন সহধর্মীনি স্বামীকে কতটা যোগাতে পারে প্রাণশক্তি? সুপ্রিয় ইনজেব মনের অপূর্ণ আকাংখার দহন বুকে জ্বেলে রেখে আরো এগিয়ে যাও সম্মূখে। থেমে যাওয়া নয়, সবকিছু পেছনে ফেলে রেখে শুরু হোক অবিরাম পথচলা। পরপারে তুমি ভালো থেকো অনেক অনেক বেশি।         

১৪-০২-২০২০
         “পাহাড়ীকা”
কালায়ন তালুকদার

দিন শেষে কান্তিহীন পাখির মতো আপন নীড়ে পৌঁছালাম,
কত স্বজন পরিজন স্বপ্নের সারথিদের নয়নে নয়ন সন্ধি হলো,
বসন্তের আগমনে ঝরাপাতা অসহায় বিচ্ছেদ সূচনা হলো নতুন পত্র পল্লবের হাতছানিতে,
ঐ নতুনের কেতন উড্ডীন জীবন সংগীত পাহাড়ের ঝর্ণার অশ্রু সিক্ত স্রোত বয়ে চলছে পাহাড়ের চূড়ায়।

বাজেই ছড়ার আকাশ বাতাস গাছ-গাছালির শোকাবহ দিনে,
পাখিরাও মৃত্যুর মিছিলে পাহাড়ীকার শবদাহে অগ্নিসংযোগ করেছিলো,
কালজয়ী, মানবজ্যোতি তোমাদের নাম খচিত হবে অঝাপাতে,
ভারত, বাংলাদেশ, বার্মা, বিশ্বব্যাপী স্মরণ করবে অঝাপাতের প্রারম্ভে,
পাহাড়ীকা তুমি মৃত্যুহীন মহাপ্রান।

চলে যাওয়া মানে তিরোভাব নয়,
তিরোভাবে তুমি আবির্ভাব,
তুমি বাজেইছড়ার সমুন্নত পাহাড়ের পাহাড়ীকা,
তুমি নেই তো বাজেছড়ার স্রোত আজ মৃত্যু।
                                                         (বাজেইছড়া,  মেরুং, দিঘীনালা থেকে ফিরে। ১৬/০২/২০২০)
জুম্মা এডিসন

প্রায় হারিয়ে যেতে বসা চাকমা বর্ণমালাগুলিকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন একজন ব্যক্তি। নাম “ইনজেব চাকমা”। ফেইসবুক মারফত জানতে পারলাম, উনার স্ত্রী মৃত্যবরন করেছেন।
ইনজেব দাদাকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। শুধুমাত্র এটুকুই বলব, বিজ্ঞান এখনো মানুষের মৃত্যু রুখে দিতে পারে এমন কিছু এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি । তাই জন্মিলে মরিতে হবে এটি এখনো চিরন্তন সত্য । তারাতারি শোক কাটিয়ে উঠবেন, এই প্রত্যাশা রইল ।
গাজে গাজে পেগো র’
কোগিলোর গীত শুনিলে এঝে বানা কানানি।

Indigenous Boy Jepulin

১৬ ফেব্রুয়ারি


চাঙমা সাহিত্য বাহ্-র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুনানু ইনজেব চাঙমা চারু দার সহধর্মিণী সুনানু পাহাড়ীকা চাঙমার অকাল প্রয়ানে গভীর ভাবে শোকাহত, ঢাকা সাভার বাসী চাঙমা সাহিত্য পক্ষ থেকে?

Deba Priya Chakma

১৬ ফেব্রুয়ারি

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সভাপতি ইনজেব চাঙমা তার আওজোর সামরীবোরে আহ্রেল’। গেল্লে কিল্যে শ^শানত শেষ বিদেয় দিল’ তারে। আমা বেক্কনত্তুন মরা পরিব একদিন। সিয়ান ভাবিনে ইনজেব চাঙমা - এ মোক আহ্রানা দুক্কান কাদেই উদি পারিব খামাক্কাই।

ইনজেব বাবু তুই মনান দর’ গরি থেইচ। ধারাচ গরং এ দুক্কান তুই কাদেই উদি পারিবে।

পরান্তু চাঙমা
১৬ ফেব্রুয়ারি
ওহলবন ঈযধহমসধ দাদা পিত্তিমিত জন্ম মাত্রই মৃত্য।
এচ্যা বানা তর নই এ চোখ পানি, এ পরা কপাল, এ বুক ভরা কষ্ট,, পিত্তিমিত যেক্কুন প্রাণী জন্ম উয়েই বেক্কুনত্তুন এই কর্মআন মানি নেজা পরিব’।
বাস্তবতা বড়ই কঠিন, বাস্তবতা মানি চলা পরিবো।
ধর্য্য হারা ন’ গুরিচ দাদা, মনান শক্ত গুরি থেইচ।

Charly Chakma

১৬ ফেব্রুয়ারি


ওহলবন ঈযধহমসধ দাদা তোমারে সমবেদনা জানেবার ভাষা মর জানা নেই, তরে দেঘি অজান্তে কক্কে চোগ’ পানি পজ্জেগি হবর ন’পাং। মানুচ মাত্রই মরণশীল। অন’ জন আগে অনজন পরে, মরিলে আভিল্যাচ খানা ছাড়া কিচ্ছু উবোই ন’ থায় মানজোর। এজাবত নিজ জাদত্তেই বিলি জেদোক্কানি ভালেদি কাম গরি এজর দাদা, ভুজি জদি সাপোর্ট ন’ গরিদ হ্য়দ সম্ভব ন’ ওলুন তর সে কামানি গরানা, সে হামানিত সময় দেনা। পরিবারত সময় ন’ দিনে তুই জাত ভালেদি কামত সময় দোচ। অন্য কেয়োই হ্য়দ’ মোক ইজেবে মানি ন’ নেজেলাক্কুন মাত্তর! ভুজি বেক্কানি মানি নেজেয়ে মুই মনে গরং ভুজি নিজেই সে কামানিত এজাল দ্যে বেক্কুনোরে। সেত্তেই কোম ভুজি মরিলেও নমরে, চাঙমা বিজগত এক্কো তারা ইজেবে জ্বলি থেব’ সবসময়। ভুজি জিদু থেদে সাহ্ত খুপ সুগে থেইচ দোলে তেজ। আভিল্যচ মর জীবনত তরে একবারও চোগত দেঘা চেই ন’পেলুং।

শান্তিময় চাঙমা
১৫ ফেব্রুয়ারি

যে শোক প্রকাশের ভাষা নেই?
চাঙমা সাহিত্য বাহ্-র কেন্দ্রীয় সভাপতি ওহলবন ঈযধহমসধ নামক মহতী এক গুণীজনের সহধর্মিণী সদ্য প্রয়াতা পাহাড়িকা চাঙমা আমাদের ছেড়ে পরলোকগমন করেছেন যা আমার ভাবতেও অবাক লাগছে। কখনো শুনিনি দাদার সহধর্মিণী অসুস্থ বা রোগাছন্ন! ওহলবন ঈযধহমসধ দাদার অভিব্যক্তিতেও দেখিনি কোন দুঃখের ছাপ! এইতো দু'য়েক সাপ্তাহ আগে ৩১ জানুয়ারীতে ইনজেব দাদা মানবিক কল্যাণ সংঘ ৩য় প্রতিষ্টা বার্ষিকীতে স্ব-শরীরে এসে যোগদান করেছেন। দাদা কখনো বুঝতে দেননি তাঁর পরিবারে বৌদির অসুস্থতার কথা! আমার খুব শখ ছিলো-
সময় করে ইনজেব চাঙমা নামক এই দাদার বাড়ীতে হঠাৎ করে আমি একদিন যাবো। জাতির সেবার তরে যার অদম্য সাহস ও অবদান সেই সেবকের পত্নীকে দু’ চোখ ভরে একটু দেখবো। কারন যারা সেবা দেয় বা সেবক হয় তাদের স্ত্রীরা প্রচুর অন্যরকম নারী হয়। আমার দেখা ও জানামতে স্বামীদের এমন অলাভজনক সেবার কর্মে গুটিকয়েক নারী বাদে অধিকাংশ নারীর তেমন একটা ভুমিকা থাকেনা।
 হে শ্রদ্ধাভজন দাদা-
আমার মোবাইলের ব্যাটারী সমস্যা জনিত কারনে সঠিক সময়ে ও আপনার শোকাবহ বিশেষ এইদিনে স্ব-শরীরে উপস্থিত হতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি/আমরা মাকস পরিবারের পে বৌদির পারলৌকিক সুখ শান্তি ও নির্বাণ কামনা করছি।

Kalayon Talukder

১৫ ফেব্রুয়ারি


ইনজেব চাকমা চারু শুধু একজন ব্যক্তি নন একটি প্রতিষ্ঠানও।চাকমা কবিতার চারণ কবি থেকে চাকমা ভাষার সৈনিক। এই ভাষার মাসে সকল ভাষার সৈনিকদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।চাকমা ভাষা গবেষণাধর্মী সংগঠন “চাকমা সাহিত্য বাহ্” এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও পার্বত্য ত্রাণ ফাউন্ডেশন এর দীঘিনালা শাখা কমিটির সহ-সভাপতি ওহলবন ঈযধহমসধ এর সহধর্মিণী আমাদের সকলের প্রিয়স্পদ বৌদি পাহাড়ীকা চাকমা অকাল মৃত্যুতে পার্বত্য ত্রাণ ফাউন্ডেশন (পিটিএফ)গভীরভাবে শোকাভিভূত। আজ ইনজেব চাকমার সহধর্মিণীর পাহাড়ীকা চাকমা বৌদির শেষকৃত্য (দাহক্রিয়া) বিদায় অনুষ্ঠানে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে পার্বত্য ত্রাণ ফাউন্ডেশন (পিটিএফ) পার্বত্য ত্রাণ ফাউন্ডেশনের (পিটিএফ)এর খাগড়াছড়ি,পানছড়ি,মহালছড়ি,দীঘিনালা ও লংগুদু একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল উদীয়মান সমাজকর্মীদের উপ¯ি'তি বৌদির পারলৌকিক সদ্গতি কামনা করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । জবংঃ রহ ঢ়বধপব বৌদি। পরকালেও ভালো থাকবেন। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহ জয় করলেও মৃত্যুকে জয় পারেনি। উৎপত্তি মাত্র বিলয়প্রাপ্ত হয়। জাগতিক অমোঘ নিয়মে সকলের এই মায়াবীা পৃথিবীর মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে চলে যেতে হবে সবার তবে কেউ আগে, কেউ পরে। ইনজেব দা শোককে শক্তিতে পরিনত করুন। পার্বত্য ত্রাণ ফাউন্ডেশন (পিটিএফ) আপনার পাশে আছে সবসময়, সবখানে...। আপনার মেয়ে কালজয়ী চাকমা ও ছেলে আর্য্যঋদ্ধি মানব জ্যোতি চাকমার প্রতি রইল শুভ কামনা ও ভালবাসা।

Titan Dewan 

১৫ ফেব্রুয়ারি

Injeb Changma  দাদা ছবিবো দিগিনেই কক্কে চেগোপানি পুজ্জেগি খবর ন’ফেলোঙ। লেঘিবার ভাচ আহ্রে ফেলেলুং দা? জন্ম অলে নাহি মরা পরে। যা ওক ভুজির সৎগতি কামনা করে আমার সমস্ত পুর্ন্যরাশি দান গরিলুং।


Sâmåptî Çhâñgmà

১৫ ফেব্রুয়ারি

দাদা, আমার আমার বলার ভাষা হারিয়ে গেছি। কী বলে স্বান্তনা দেবো, আমি নিজে বুঝতে পারছিনা। যোগাযোগ না থাকার কারণে সব কিছু এলোমেলা হয়ে গেছে। শুধু এতটুকু ভগবানের কাছের প্রার্থনা করবো ভাবি যেখানে থাকুক সুখে শান্তিতে থাকুক।  

Khisa Chakma Paresh

১৪ ফেব্রুয়ারি

ইনজেব দা, আহ্দিক্যে গরি কি সাম্বাত দেঘিলুং, জানে পরানান চিকচিক্যা অহল। ইনজেব তরে কবার মর রহ/ভাচ নেই। বানা হম্মে বেগ কর্মফল। কর্মফলরে বিশ্ব্সে গুনিন্যায় মুজুঙে দিনুনর কধা চিদে নিনেই যেদকদিন পারে বাজি তাহ পুরিবু। যাহ ওগ বুজি যিদু থ্যাদ সাদ সুগে থোক্কোই গোজেনদু এ তবনা গরং।

Rupashi Chakma,

১৪ ফেব্রুয়ারি


ভুজি শোক সাগরত রাঘেনেই ফেলে গেলে আমারে সে অচেনা দেঝত...। তুই জেদু থেদে সাহ্ত গমে থেইচ.. সুখে থেইচ এ কামনা রাঘাঙর... । হ্য়দ ন’ দিগিম আর তরে কিন্তু ম; ইদু তুই এক্কে গরি যুগলবন্দি অনেই থেবে সারাজীবন।

Emmy Chakma

১৪ ফেব্রুয়ারি


কি কোইনেই পরান জুরে দিম দা খবর ন’ পাঙর, তবে ইদিক্কে অসময়ত ভুজির জানাআন মানি ন’ পারঙর। কন’ ভাবেই মানি লোই ন পারঙর।

প্রবীণ চাঙমা,  
১৪ ফেব্রুয়ারি

(চাঙমা সাহিত্য বাহ্ র) বেক্কুনর পরিচিত জধানানু মা ভাজর লারেহ্ত (ইনজেব চাঙমা) দাদার মোক্কু পাহাড়িকা চাঙমা (ভুজি) গেল্লে রেদোত ৩:০৬ টা বাজে মারা পুজ্যা, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ র (লংগদু ধেলা) গভীরভাবে শোক প্রকাশ করতেছি। আর (ভুজি জিদু থাচ সিধু গমে থেজ্জোই। পৃত্থিমীত জন্ম অহ্লে মরনানও অই পরে।
গভীরভাবে শোকাহত।
ঝযধহঃর ঈযধশসধ
১৪ ফেব্রুয়ারি

ভুজির সদগতি কামনা আ সমারে সমবেদনা।

প্রাচুর্যী চাকমা

১৪ ফেব্রুয়ারি

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কমিটির সভাপতি সকলের প্রিয় ইঞ্জেব দাদার ঘরের লক্ষী পাহাড়ীকা চাকমা (ভুজি) অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি ? ভুজির সৎগতি কামনা করছি, যেখানে থাকো অনেক ভালো থেকো ভুজি।

Bi Joy Boy Chakma

১৪ ফেব্রুয়ারি


বাস্তবকে মেনে নেওয়া কঠিন থেকে কঠিনতর। তারপরেও মেনে নিতে হয়। দুদিনের সংসারের লেলিহান আর মৃত্যু দেবতা এসে কখন কিভাবে গ্রাস করে নেয় তার নির্দিষ্ট সময়টুকু কেউই বলতে পারেনা।

আদিক্যা গরি রিয়া বেবের এ পোস্ট আন ফবহবর জার কাদা উদিলাক। মানি লোই ন’ পারঙর বেতাল্যে দিন মাধাত ভুজি লুকদি জানা। তেমন কিঝু লিঘিবার সেদামে ন’ কুলার। এ যাবৎ যত পূণ্য গরি এজঙর ভুজির ভালেদি তবনা গরি গোদেল গোদেল পূণ্য ধন ধালি দঙর।
আওজোর কোচপেয়ে দাঙর দাদ,া ইন্জেব দাদার গিরিত্তির প্রতি মন ভাঙি ন’ পরিবাত্তেই ভালেদি গোজেলুং দা।

Sumen TU Chakma ১৪ ফেব্রুয়ারি

বাংলাদেঝত চাঙমা অঝাপাত লারচার, ফগদাঙ গরানা কামত আ চেরোকিত্তে ছিদি দেনা কামত যে মানুচ্চু নিআলচি গরি কাম গরি জার তে অহ্লদে ইনজেব চাঙমা। সে কোচপেয়ি মানবলা মানুচ্চোর সমারি তা মোক্কু পাহাড়িকা চাঙমা অসময়ে মরি জানায় মুই ভারী গরি দুঃখ প্রকাশ গরঙর। মরি যেয়ি মানুচ্চোর সৎগতি ওক।

Jagat Jyoti Jummo ১৪ ফেব্রুয়ারি


সং মনত দুক দাদাহ্! ভুজির সৎগতি ওক...।

পি. কান্তি চাঙমা  ১৪ ফেব্রুয়ারি

পৃথিবী আমাদের সবার কিন্তু কিছু কিছু সময় বয়ে যায়, যা কারোর বেচেঁ থাকার সম্ভাবনাকে প্রতিহত (রোধ) করে। ঠিক তেমনি আজ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এর বর্তমান কার্যকরী কমিটির সভাপতি বাবু ইনজেব চাঙমার সহধর্মীনি মিসেস পাহাড়িকারও। সামান্য অসুখ দিয়ে কাটানো দিনগুলো চলতে থাকে। যদিও অনেক ধরনের ডাক্টার, বৈদ্য দেখানো হয়েছে। কিন্তু তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তাই বরাবরের মতে, গত ১২ তারিখ রাতে অসুখটি বাড়ায় খাগড়াছড়ি হাসপাতালে আনলেও, দায়িত্বরত চিকিৎসকরা চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেপার করেন। কিন্তু ১৩ তারিখ রাতটা ওনার জন্য শেষ রাত হবে তা বোধয় কেউ কল্পনাও করতে পারে নি।
যা হোক উনি যেখানে থাকুক না কেন, যেন ভালো করে থাকতে পারে সেই প্রার্থনায়।

Nikel Chakma Jummo ১৪ ফেব্রুয়ারি


ভুজির সৎগতি কামনা গরংগর।
আর পরিবারর থেল’ সমবেদনা।

Samuel Sam ১৪ ফেব্রুয়ারি


সান্তনা দিবার ভাষা নেই, ইনজেব দা।
 

Saki Chakma 14 †deªæqvwi

Vogoban Buddha kase sotgothi pereattona korsi. vabi, hodok vat Rani habeuj. more je hoj peuj buji ..... , buji are konodin dagi nw pem are ..


Koko Chakma ১৪ ফেব্রুয়ারি


ভালোবাসার দিনে বিয়োগের ব্যথা।
চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও পার্বত্য ত্রাণ ফাউন্ডেশন, দীঘিনালা শাখার সহ-সভাপতি আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই ইনজেব দাদার সহ-ধর্মীনি পাহাড়ীকা চাঙমার অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। শোকসš'প্ত পরিবারের প্রতি #চাঙমা সাহিত্যথবাহ্, দীঘিনালা ডিগ্রী কলেজ শাখা ও  পার্বত্য ত্রান ফাউন্ডেশন, দীঘিনালা শাখার পক্ষ থেকে সমবেদনা প্রকাশ করছি। ভুজির আত্মার সৎগতি কামনা করছি।

প্রজ্ঞা তাপস
১৪ ফেব্রুয়ারি
ইনজেব দা, জুম্ম জাধর ভালেধী তোগেয়ে , তর দুগর দিনত তরে কি কোম ভাবি ন’ পাঙর।

Tejo Vante

শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং প্রয়াতার প্রতি পারলৌকিক সদগতি কামনা করছি।

হালাবি চাঙমা
হালাবি চাঙমা আমার পক্ষ আর চাঙমা সাহিত্য বাহ্ লংগদু শাখা পক্ষ থেকে গভীর শোক এবং সমবেদনা জানাচ্ছি।

Subodhy Lanker Bhante

মনান হানি উদিলে ও কারোর কিচ্ছু গরিবার নেই। সংস্কার মাত্রেই অনিত্য। সেই অনিত্যরে বেগত্তুন মানিলোনেই পরপার যাত্রা গরা পরে।
পরলোক গত জ্ঞাতিবোর উদিজে মর জনমে জনমে থুবেয়ে বেক পুন্যয়ানি দান গরিলুং। মর পুন্যয়ানি পেনেই দুগোর জাগাত থেলেও  সুগি ওক আর সুগোর জাগাত থেলেগোই আরো তার সুক বারোক।

Apollo Aldrin Chakma AC

পাহাড়ীকা চাঙমারে অতালিয়্যে পূণ্যরাশি দান গরঙর।


Sambhumitra Changma Sambhu

১৪ ফেব্রুয়ারি

এভাবে আর যুগলবন্দী হয়ে ছবির ফ্রেমে কখনো দেখবো না তোমায়!
শোক সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলে অজানা কোন এক পরপারের ঠিকানায়।

Deba Priya Chakma

Bhajaman dukko pelung. Injeb e je nialji gori Kam gorer, sei pijedi je manusso Bes bol de te esse nei. Sugati sorgo lagat pok ei bor magang.

 

Lalan Chakma

চিতপুরের,

মনত কি উদের
কি পরের
সিয়েনও কোই ন জানঙর।
এক্কা চেম্মোয়, চেম্মোয়
গরি ভুজি আর চানা ন’ অহ্ল!
এধক যাদিমাদি জুক্কোল অইওচ
সিয়েনও দ’ মেহ্ত ন’ পেলুং।
ভুজি তর আত্মার সদগতি ওক
এ কামনা গরং।

Sambhumitra Changma Sambhu

১৩ ফেব্রুয়ারি


দৈনন্দিন কাজের রুটিন অনুযায়ী সকালে কর্মস্থলে কাজ করার সময়ে মোবাইলে রিংটোন বেজে উঠলো। রিসিভ করতে গিয়ে দেখি “চাঙমা সাহিত্য বাহ্”র সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেবের কল।
হ্যালো, ঝু ঝু বলাতেই বুঝতে বাকি হয়নি যে নিশ্চয় কোন দুঃসংবাদ। কারণ গলার আওয়াজ আধো আধো। আওয়াজটা এলো এভাবে---
: ইনজেব দাদা কিছু বলেছিলো?
: না।
প্রতি উত্তরে আসলো বৌদির শারীরিক অবস্থা খুবই বেগতিক। কিছুক্ষণ পরেই খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চলে যাবে। আর দেরি না করেই বাসায় চলে এলাম। দু'মুঠো লবণ ভাত খাওয়ার সময়ে “চাঙমা সাহিত্য বাহ”র অর্থ সম্পাদকের রিং। খবরটা একই। তিনজনেই যাবো বলে যেই না আলাপ করেছিলাম ঠিক তার আগেই ইনজেব দাদার দূরালাপনী তারা বৌদিকে নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছে। না জানি বৌদির কি হয় এখন! ফিরে পাবো কি আমাদের প্রাণপ্রিয় ভাষাভিত্তিক সংগঠন "চাঙমা সাহিত্য বাহ্"-র সভাপতি ইনজেব দাদার সহধর্মীনি পাহাড়ীকা বৌদিকে??
চট্টগ্রামে অবস্থানরত বন্ধু সুধীজনদের সাহায্য কামনা করছি।
বিঃদ্রঃ পাহাড়ীকা চাকমা দীর্ঘদিন ধরে অসুখ ছিলেন।কয়েকবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েও কোন সুফল পাননি।



সুনানু পাহাড়িকা চাঙমা মরানা এক বঝর: চাঙমা সাহিত্য বাহ্

যার এজালে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এক কুরি বঝর তজিমপুর অয়্যা তে অহ্’লদে স্বগীয় সুনানু পাহাড়িকা চাঙমা।  তার অবদানর কধা ইধোত তুলি গেল্লে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং, ১ ফাগোন ১৪২৭ বাংলা ররিবার তারা গিরিত আকবারানা, সংঘদান, বুদ্ধমুত্তি দানসমুত্ত নানান দানর ফাংশান জুগল গরা অয়্যা। আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কাম ঘরত তারে ফুল দিন্যাই ইধোত তুলা অয়্যা। 

গেল্লে বঝর ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং, পল্যা ফাগোন মাঝত চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালত তেয়্যা মানেই কুলত্তুন বিধেয় নিল। 

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২১

যাত্রা মণি কারবারি পাড়ার সরকারি প্রাইমারি ইক্কুল রুমত ২৮ জন চাঙমা পর্বোয়াদাঘিরে সার্টিফিকেট দিয়্যা ওয়ে

 


২০৫০ ভিশন ভালেদি ওক-
“ত্রিশতিন জাদির ভাচ পারানা এক্কান দাঙর গুন মাত্তর, তার আগে নিজ’ ভাচ, নিজ’ লেঘা পারানা সাতকাম”
এ মুলুক কধায়ান মুজুঙে রাঘেই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নান্যাচর উপজেলা ধেলা উদ্যোগে যাত্রা মণি কারবারি পাড়ার সরকারি প্রাইমারি ইক্কুল রুমত ২৮ জন চাঙমা পর্বোয়াদাঘিরে সার্টিফিকেট দিয়্যা ওয়ে।

এ জুগলিয়্যা খলাবোত খলানানু গিরি গচ্ছে যাত্রা মণি কারবারি পাড়া গাভুজ্যা জধা মুখপাত্তি, সুনানু সমিরণ চাঙমাদাঘি আ নকবাচ্যা গরবা গিরি গচ্ছে ২নং নান্যাচর ইউনিয়ন পরিষদও সাবাঙ্গী সুনানু দিগন্ত চাঙমাদাঘি, মুলুক গরবা ইজেবে আহ্’জিল এলাক সমাচ ভালেদি কাম্মো সুনানু তুলি চাঙমাদাঘি, মাওরুম কলেজর প্রভাষক, সুনানু রনাল চাঙমাদাঘিসুমুত্ত চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু, সুনানু ইনজেব চাঙমাদাঘি, ভান্ডালি কাবিদ্যাং, সুনানু রিমি চাঙমাদাঘি আ দিঘীনালা উপজেলা ধেলা সাবাঙ্গী, সুনানু সূচনা চাঙমাদাঘি।
চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নান্যাচর উপজেলা ধেলা এজাল জধানানু, সুনানু পাভেল চাঙমাদাঘি পাত্তুরুতুরু কধগি আ হিমেল চাঙমা খলাপজ্জোনীগিরিলোই খলাবো আরগানি গরা অহ্’য়।
সরিত ওয়ে গরবাদাঘি চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কামানি বাইনি গরি কলাক তারা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ কায় থেই যার যার জাগাত্তুন ধন’ আ মন এজাল দি যেবার ইমে গরিলাক। আ গোদা নান্যাচর উপজেলাত চাঙমা লেঘা সার্টিকেট কোর্স  জুগল গরানা গরচ ভিলে মনর কধা ভাঙি কলাক। তারাদাঘি বেগত্তুন আঘে ভাচ্ছান থিদ’ গরিবার সল্লায়্য দিলাক।

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২১

সুনানু রনজিৎ দেবান চাঙমাদাঘি দিঘীনালা খুচ দেনা পোইদ্যানে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তু অতালিয়ে কোচপানা আ ঝু ঝু জানেলাক

এওজি, দিঘীনালা, চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: সুনানু রনজিৎ দেবানদাঘিরে বেগে চিনন, তে চাঙমা জাদর বাজিথিয়্যা বিজক। ঝিমিত ঝিমিত জুনি জ্বলন......., ন’ চাং যেবার জাগান ........., আমা দেচ্চান এধক কি দোল ......, উত্তন পেইগে মেঘে মেঘে, ........মুরোহ্-মুরিহ্ ফারিনেই....., এধক্যে স্ব-সাগুচ্যা দোল দোল আ কালজয়ী গান তে গিয়্যা। তারার গানর গজার ফুদি উদে চাঙমা জাদর সুক-দুক। তে গেল্লে কেল্যা জুবা এক্কো মিলনি খলা সরিত অভাত্যা রাঙামাত্যাত্তুন দিঘীনালাত খুচ দিল। 

এ খবর পেই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন এচ্যে ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ইং, ১২ মাঘ ১৪২৭ বাংলা মঙ্গলবার বেন্যা মাধান ৯ টায় দিঘীনালা বাঘাইছড়ি দুয়োর (চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার,  জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেচ এ চাঙমা লেঘিয়্যা সাবাঙ্গী সুনানু আনন্দ মোহন চাঙমাদাঘি ঘরত) ইধু  ফুল দিন্যা অতালিয়ে কোচপানা আ ঝু ঝু গজেলাক। 


চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এওজি দলত এলাক ৪ নং দিঘীনালা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সুনানু প্রজ্ঞান জ্যোতি চাঙমাদাঘি, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার,  জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেচ এ চাঙমা লেঘিয়্যা সাবাঙ্গী সুনানু আনন্দ মোহন চাঙমাদাঘি, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু, সুনানু ইনজেব চাঙমাদাঘি, ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ, সুনানু রিমি চাঙমাদাঘি আ গাই গেইয়্যা, সমাচ ভালেদি কাম্মো, সুনানু জেকি চাঙমাদাঘি।

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১

আমি কন বেলান বেচ গম পেই? বেন্যা বেলান বেচ আমি গম পেই। তুমি সেই বেন্যা বেলান- চাঙমা পর্বোয়াদাঘিরে সার্টিফিকেট দেনা পোইদ্যানে তেম্মাং খলাবোত এ কধান কোই কোইয়ে


আমি কন বেলান বেচ গম পেই? বেন্যা বেলান বেচ আমি গম পেই। তুমি সেই বেন্যা বেলান। আমার আহ্’লিয়্যা বেল আহ্’লে যেল’। তুমি আমার, চাঙমা জাদর সবন, মুজুঙর দিন্নোরে দোল পোতপোত্যা গরি তুলিবার সে আহ্’ত্যার তুমি।


এচ্যে ২৪ জানুয়ারি ২০২১ ইং, বাংলা ১০ মাঘ ১৪২৭ বেন্যা মাধান ১১ টায় দ্যা হিলম্যান যুব ক্লাব এজালে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ উদ্যোগে দ্যা হিলম্যান যুব ক্লাবত জুগলিয়্যা চাঙমা  পর্বোয়াদাঘিরে সার্টিফিকেট দেনা পোইদ্যানে জুগয়্যিা তেম্মাং খলাবোত সরিত অইয়ে গরবাদাঘি এ কধায়ান কলাক। 


খলাবোত খলানানুগিরি গচ্ছে, দ্যা হিলম্যান যুব ক্লাব জধানানু, সুনানু কিংশক চাঙমা পিন্টুদাঘি, খলাবোত নকবাচ্যা গররা ইজেবে কধা কোইয়ে ৫নং ভেই-বোনছড়া ইউনিয়নত বিদি যিয়্যা চেয়ারম্যান সুনানু কান্তি লাল চাঙমা দাঘি, আ মুলুক গরবা ইজেবে আহ্’জিল এলাক, সমাচ ভালেদি কাম্মো সুনানু সুমঙ্গল চাঙমাদাঘি আ খাগাড়াছড়ি জেলা পৈনাঙি সাত্থুয়া, কুকিছড়া সরকারি প্রাইমারি ইক্কুলর মুর খাম সুনানু সুমনা চাঙমাদাঘি। 

চাাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন কধা কোইয়ে গরা কমিতি জধানানু সুনানু ইনজেব চাঙমাদাঘি। তে কোইয়ে আমি বারবাঙানে ভুল গরানা এচ্যে আমি আমার ভাচ আ ওক্কোর বেক আহ্’রে ফেলেলং। এ ভুলত্তুন শিক্কে লোই আমাত্তুন মুজুঙর দিনর নিআলচি গরি কাম গরিবার কুজোলী গচ্ছে। 

খলাবোত আর’ আহ’জিল এলাক চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি ভান্ডালি কাবিদ্যা, সুনানু রিমি চাঙমাদাঘি, খাগাড়াছড়ি জেলা এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ সুনানু তোষী চাঙমাদাঘি। 

২৬ জন চাঙমা পর্বোয়া দাঘিরে সার্টিফিকেট দেনা খলাবোত খলা পজ্জোনী গিরি গচ্ছে দ্যা হিলম্যান যুব ক্লাবর দাঙর কাবিদ্যাঙ সুনানু লিটন চাঙমাদাঘি।  

 

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২১

ফেনীত চাঙমা লেঘা আ ভাঝর কোর্স

 


“দুখ্যে অঝাপাত ”... এচ্যে ধনি, গরিব, নেয়্যা - নাধা  বেগর পুঅ ঝিউন পড়দন বাংলা। অঝাপাত তারা ইধু অচেনা। ন’ চিনন অঝাপাত কি?  এধক্যে এক অক্তত চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নানান জাগাত অঝাপাত শিঘানা কামান গরি যার। 

গেল্লে ডিসেম্বর মাঝত্তুন ধুরি ফেনী কুলত হরিচন পাড়া কেন্দ্রত চাঙমা লেঘা শিঘা কোর্স চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি উপজেলা ধেলা তপ্পেত্তুন আরগানি গরা অইয়ে। ইয়োত চাঙমা লেঘা পর্বোয়াদাঘিরে বই কিনি দিয়্যা পজগাঙর সুনানু মৌসুমি চাঙমাদাঘি। 


 

গৈরিকা

গৈরিকা  পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের (বর্তমান রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাত্রয়) প্রথম সাময়িকপত্র গৈরিকা। রাঙ্গামাটির চাকমা রাজবাড়ি থেকে এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল। চাকমা রাণী (পরে রাজমাতা) বিনীতা রায় রাঙ্গামাটি থেকে একটি সাময়িক পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তখন রাঙ্গামাটিতে ছাপাখানা ছিল না। তাই সাময়িকী প্রকাশ করা কঠিন ছিল। লেখকের সংখ্যাও ছিল কম। বিনীতা রায়ের পিতা ব্যারিস্টার সরলচন্দ্র সেন (ব্রাহ্মধর্ম প্রচারক কেশবচন্দ্র সেনের পুত্র) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধু ছিলেন। সে সুবাদে বিনীতা রায় পত্রিকার নামকরণের জন্য রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখেন। তিনি  পত্রিকার নাম রাখেন গৈরিকা। পত্রিকাটির প্রথম বর্ষ প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে (এপ্রিল-মে ১৯৩৬)। চিত্রশিল্পী চুনীলাল দেওয়ানের আঁকা সুদৃশ্য প্রচ্ছদপট প্রথম সংখ্যা গৈরিকার প্রধান আকর্ষণ ছিল। প্রথম বর্ষে গৈরিকা দু’সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সংখ্যা দুটি সম্পাদনা করেন প্রভাত কুমার দেওয়ান। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে বৎসরে একটি করে সংখ্যা গৈরিকা প্রকাশিত হয় এবং এ সংখ্যাগুলো সম্পাদনা করেন কবি অরুণ রায়। গৈরিকার প্রচ্ছদে সম্পাদকের নামের পাশে ‘পরিচালিকা-রাণী বিনীতা রায়’ লিখা থাকত। গৈরিকার শেষ সংখ্যাটি প্রকাশিত হয় রাজা নলিনাক্ষ রায়ের মৃত্যুর (৭ অক্টোবর ১৯৫১) অব্যবহিত পরে ১৩৫৮ বঙ্গাব্দে। ১৩৪৩-১৩৫৮ এ ষোল বৎসরে পত্রিকাটির কমপক্ষে চৌদ্দটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।

গৈরিকা একটি উন্নতমানের পত্রিকা ছিল। এতে স্থানীয় লেখকদের রচনাই বেশি প্রকাশিত হত। গৈরিকায় লিখে অনেকেই হাত পাকিয়েছিলেন। এ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে সর্বপ্রথম একটি সাহিত্যিক গোষ্ঠীর উদ্ভব হয়। একাদশ বর্ষ দ্বাদশ সংখ্যায় প্রকাশিত চুনীলাল দেওয়ানের ‘চাকমা কবিতা’ বাংলা হরফে মুদ্রিত প্রথম চাকমা কবিতা। রাণী বিনীতা রায় কৃত বঙ্গানুবাদ কবিতাটির পাশাপাশি ছাপা হয়েছিল। পরবর্তী সংখ্যায় মুকুন্দ তালুকদারের চাকমা কবিতা ‘পুরান কদা’ প্রকাশিত হয়। সলিল রায় কৃত কবিতাটির বঙ্গানুবাদও পাশাপাশি প্রকাশিত হয়। গৈরিকা চট্টগ্রামের চিটাগাং প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং হাউজ লিমিটেড, লক্ষ্মী নারায়ণ প্রেস ও চট্টগ্রাম প্রবর্তক প্রেসে এবং শেষে মডার্ণ প্রেসে মুদ্রিত হয়েছে। প্রতি সংখ্যার মূল্য প্রথমে ছিল ছয় আনা, পরে তা আট আনায় উন্নীত হয়। গৈরিকায় ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য, সমাজ ও শিল্প সম্বন্ধীয় প্রবন্ধ এবং ভ্রমণকাহিনী কবিতা, গল্প ও উপন্যাস প্রকাশিত হয়। গৈরিকায় কিছু বেসরকারি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। গৈরিকার উল্লেখযোগ্য লেখক হলেন বিনীতা রায়, প্রভাতকুমার দেওয়ান, অরুণ রায়, বঙ্কিমকৃষ্ণ দেওয়ান, কুমার কোকনদাক্ষ রায়, ঘনশ্যাম দেওয়ান, ভগবানচন্দ্র বর্মণ, কুমার বিরূপাক্ষ রায়, গোপালচন্দ্র গুর্খা, মাধবচন্দ্র চাকমা কর্মি, বিপুলেশ্বর দেওয়ান, শরৎচন্দ্র তালুকদার, যোগেশচন্দ্র সিংহ, রাজেন্দ্রনাথ তালুকদার প্রমুখ। গৈরিকা ৪র্থ বর্ষ ৫ম সংখ্যায় (অগ্রহায়ণ ১৩৪৬) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মহাজাতি সদন’ নামে একটি ভাষণ প্রকাশিত হয়েছিল। গৈরিকায় ইংরেজি কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

সাহিত্যপত্রিকা হলেও গৈরিকায় কিছু কিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম সংখ্যায় ‘সাময়িক প্রসঙ্গ’ শিরোনামে পাঁচটি স্থানীয় এবং একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় সংখ্যা থেকে বিশ্বপ্রবাহ বিভাগে সংক্ষিপ্ত বিশ্বসংবাদ ছাপা হতে থাকে। চতুর্থ সংখ্যা থেকে বিশ্বপ্রবাহ, পার্বতীয় প্রসঙ্গ (হিলট্রেক্টস বার্তা) ছাড়া ‘ভারতীয় প্রসঙ্গ’ নামে নতুন সংবাদ কলাম খোলা হয়। ষষ্ঠ সংখ্যা থেকে বিশ্বপ্রবাহ ও ভারতীয় প্রসঙ্গ বিভাগ তুলে দেয়া হয়। নবম সংখ্যার পর হিলট্রেক্টস বার্তাও বন্ধ হয়ে যায়। [নন্দলাল শর্মা]

পাঠক সংখ্য বারানা দ মনে কলে বারে ন পারে। নিয়মিত পাঠচক্র গরা পরে- সুনানু মুকুন্দ চাঙমা

মুজুঙ পুজোর-জোব:  চাঙমা সাহিত্য যা আহত ধুরিনে আধৃুনিক যুগত সুম্মে তে অলদে চুনিলাল দেবান। আর চুনিলাল দেবানর পরেদি যে চাযমা সাহিত্যরে উজন্দি গুচ্চে তে অলদে- দাঙগু কবি মুকুন্দ চাঙমা। দাঙগু কবি মুকুন্দ চাঙমা মিঙিনী কুলর দীঘিনালার মিলনপুর থাই। চাঙমা সাহিত্য পত্রিকার পক্ষত্তুন দেবপ্রিয় চাঙমা দাঙগু কবি মুকুন্দ চাঙমা মুজুঙ পুজোর-জোব লোইয়ে

চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা পক্ষত্তুন তরে ঝু জানের।
মুকুন্দ চাকমা: মুইয়্য তমারে ঝু জানাঙর।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: তর লেখ্যে বই তিন্নো আঘন হবর পেই।
মুকুন্দ চাকমা: হিল ট্র্যাকসর দুঃখ(৮৭) লেখ্যং।ধর্ম ছদক নাঙে চাঙমা ভাজন্দি লেখ্যং ২০০৩/০৪ সালত। নন্দপাল ভান্তে জীবনী লেখ্যং ( স্মপাদক)। হিল ট্র্যাকসর দুখ সুখ লেখ্যং। The Life of Buddha (২য় খন্ড) অনুবাদ বুদ্ধের জীবন কথা। জীবনের মায়া (অনুবাদ সাহিত্য)।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: লেঘিয়ে (লেখক) ইজেবে তর কেনজান লাগে (অনুভূতি)?
মুকুন্দ চাকমা:  লেঘানা কামান সৃষ্টিধর্মী কাম। সৃষ্টির মধ্যে আনন্দ আঘে, বেদনা আঘে। লেঘি পাল্লে গম লাগে। সময় কাদেবাত্তেইয়্য লেঘি পাল্লে গম লাগে।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: লেঘি ন পাল্লে কিত্তেই বেদনা?
মুকুন্দ চাকমা:  লেঘিবার আগ’ মুহুর্তআন ঠিকমত ফগদাঙ গরি ন পাল্লে বেদনা অয়। লেঘি পাল্লে তৃপ্তি পা যায়।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: পরবোলগর কন মতামত আর অনুভূতি কেনজান পেইয়চ?
মুকুন্দ চাকমা: হিল ট্র্যাকসর পাঠক সমাজ ভারি কম। দুগর বিষয় কন সমালোচকয়্য ন’ পাং। কনজনে কনকিজু ন’ কন।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: পরবো (পাঠক) সংখ্যা বারেবাত্তে কি কাম গরা যায়?
মুকুন্দ চাকমা: পরবো (পাঠক) সংখ্যা মনে কলে বারা ন’ যায়। নিয়মিত পাঠচক্র অনা উচিত। চিগন দাঙর স্টাডি পরিবেচ থানা উচিত। গার্জিআনুনে বানা পাঠ্যবই পরিবাত্তে উচ্চোপুক তুলি দোন। দেঝ বারে বা দেঝত ব্যবস্থা থানা উচিত। আমা সময়ত ম’ বাবাহ অল্পশিক্ষিত অলেয়্য বর বর গরিনে বই পরিদ’। পত্তিদিন নিয়মিত বই পরিদ’। সেক্কেনে বসুমতি প্রিন্টার্স কম খরচে বই বিজিদ’। আজু নানুদাঘি মহাভারত পরিদাক। ৩-৪ দিন শুনি শুনি মহাভারত শেষ গুচ্চং। সেত্তে বই পরিবাত্তে মুই এজাল পেইয়ং। ইক্কিনে পরিবার পরিবেচ, লাইব্রেরি, পাঠচক্র থেদ’ গম অদ’।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: চাঙমা সাহিত্যওে কন ধগে মূল্যায়ন গরচ?
মুকুন্দ চাকমা: আমাত্তুন প্রাচীন চাঙমা সাহিত্য খুব কম। বারমাসী, লোকসাহিত্য আঘে। চুনিলাল দেবান মাধ্যমে চাঙমা সাহিত্য আধুনিক যুগত সুম্মে- যিয়ান গৈরিকা মাধ্যমে ফগদাঙ অয়ে। রাঙামাত্যা স্কুলত তা (চুনিলাল) কবিতা দেঘিনে মুইয়্য কবিতা লেখ্যং। মুই ১৯৪৫ সালত্তুন ধরি কবিতা লেখ্যং।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: চাঙমা সাহিত্য উজন্দি কিত্তেই দেরি অল?
মুকুন্দ চাকমা: চাঙমা সাহিত্য বিকাশর প্রতিবন্ধক এলাক্কে আমা মুরুব্বীউন। ১৮৬০ সালত আমার নুঅ জেলা স্কুলত চাঙমা লেঘা শেঘেবার উদ্দোগ এল সরকারর। কালিক আমা নেতা-মুরুব্বীউনে গুজি ন’ লন সেই চাঙমা লেঘা শিঘানাআন। ১৯৪০ সালত মি. মিলার এ চাঙমা লেঘা শেঘেবার চেষ্টা গচ্চে। মুই হবর পাং- সেক্কেনে রাজবাড়ীত দেবান, হেডমেনে প্রতিবাদ জানেয়ন- “কিত্তেই আমারে মাতৃভাষায় শেঘেবাক”। চুনিলাল দেবানর পর কনজনে ন’ পারন। ১৯৫২ সালর ভাষা অন্দোলনর পর পেইনে নোয়ারাম বাবু চাঙমা প্রাইমার লেখ্যে। কলেজ পড়ূয়া পুঅউনে চাঙমা সাহিত্য রচনা শুরু গল্লাক। ১৯৬০ সালত স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিত চাঙমা সাহিত্য চচ্চা শুরু অল। ]
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: চাঙমা সাহিত্য কোন ওক্কোরলোই লেঘানা উচিত?
মুকুন্দ চাকমা: যে কোন ওক্কোরলোই চলে। সৃষ্ঠি ধর্মী কাম সেনত্তেই। চাঙমা ভাচ অগ্রাধিকার দেনা দরকার।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: চাঙমা কবিতা কোন ওক্কোরলোই লেঘা অব?
মুকুন্দ চাকমা: পরবোলগর সুবিধাত্তেই বাংলা ওক্কোরলোই অলেয়্য লেঘানা দরকার- ন’ অলে সাহিত্য আঝি যেবগোই।  সিয়ান বাদেয়্য বাঙাল পরবোলগয়্য আঘন।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: লেঘিয়ে/নুঅ লেঘিয়েউন উদিজে তর উপদেচ?
মুকুন্দ চাকমা: যার ধাচে তে লেঘিব। যার বক্তব্য তে কব। স্বাধীনভাবে লেঘিবার প্রস্তাব গরং, উপদেচ দিবার চাং।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: চাঙমা লেঘারবইছাবেনে দ’ প্রকাশকউনেলাভতুলি ন পাত্তন। তর মতামত কি?
মুকুন্দ চাকমা: চাঙমা লেঘার বই ছাবেনে লাভ ন উদিলেয়্য কামান চালে নেযা পরিব (বইছাবাপরিব)।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: চাঙমা লেঘারবই/চাঙম াসাহিত্যও বই দ ছাবে বার প্রকাশক নেইবাভারি কম।
মুকুন্দ চাকমা: চাঙমা সাহিত্যও প্রকাশক গড়ে ন উদন। ব্যবসা ইজেবে গড়ে ন উদিলে পাঠক সৃষ্টি গরানা আগাত্যা অব’। পাঠক সৃষ্টি গরা পরিব।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: নুঅ চাঙমা সাহিত্যও প্রকাশক গড়ে তুলিবাত্তে কি গরা পরিব?
মুকুন্দ চাকমা: প্রাইমারি স্কুলত বাধ্যতা মূলক গরি চাঙমা লেঘা শিঘেলে সিয়ান সম্ভব অব। ছিটেফোটা গরিনে বাসাময়িক কন ম্যাগাজিন, বই ছাবেলে ন অব। নিয়মিত সংবাদ (সংবাদ সাহিত্য) থানা উচিত। নিজ’ চাঙমা ভাচলোই যদি ১ বা ২ আন সংবাদপত্র থেলে চাঙমা সাহিত্যও প্রকাশক গড়ে উদিবাক।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: ত্রিপিটক বইবো বন বিহার ভান্তে উনে (ত্রিপিটক পাবলিশিং সোসাইটির মাধ্যমে) ছাবেয়ন। তর মতামত কি?
মুকুন্দ চাকমা: ত্রিপিটক এক্কো বিরাটবই। বৃটিশ আমলত চেচতা গরা অইয়ে বাংলা অনুবাদ গরিবাত্তে। অথনৈতিক কারনেয়্য ন পারন। দিতিয়বিশ্ব যুদ্ধত ছাবেরার মেশিনয়্য ধ্বংস অইনে ন পারন। তবে ত্রিপিটক ছাবে বার গৌরব-আন চাঙমাউনে লুইয়ন।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: চাঙমা লেঘা আর চাঙমা ভাজন্দি ত্রিপিটক কি ছাবেপারা যেব বিলি মনে অয়?
মুকুন্দ চাকমা: চাঙমান্দি ত্রিপিটক অনুবাদ অদুর ভবিষ্যদও কধা। চাঙমা লেঘিয়েউনে অনুবাদ গরিবাক কিনা-সিয়ান এক্কান কধা। সম্ভবত চাঙমা লেঘিয়েউনর এত শক্তি অর্জন ন অয়।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: চাঙমা সাহিত্য ২০ বজর পর কন জাগাত থানা উচিত?
মুকুন্দ চাকমা: চাঙমা গাবুজ্জেউনর চাঙমা সাহিত্য রজেবার আওজ পেইয়ন ১৯৬০ সালত্তুন ধরি। ইয়ানর ৫০ বঝর পর কয়বো বই চাঙমা ভাজন্দি ফগদাঙ অইয়ন, কুদুক্কো পরবোলক সিরিত্তি অইয়ন আর কুদুক্কো মানযে চাঙমা সাহিত্য চজ্জা গুচ্চন? এযেত্তে ২০ বঝর পর চাঙমা সাহিত্য কন জাগাত যেব- সিয়ান আন্দাজ গরি পারা যায়।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: হিল চাদি গাঙর চাঙমা সাহিত্য পরবো(পাঠকসমাজ) কেনজান?
মুকুন্দ চাকমা: দুগর বিষয় হিল চাদিগাঙর চাঙমা সাহিত্যও পাঠক সমাজ ভারি কম। মুই এধক গরিনে ম বোইউন সমালোচনা গরিবার কোজুলী গরং- কালিক কন জনে ন গরন। ভুলানি ঠিক গরি পাত্তুং। লেঘিয়ে ইজেবে উন আনি ধরিনে সংযত অই পাত্তুং।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: পাঠক সংখ্যা বারেবাত্তেই কি কাম গরাযায়।
মুকুন্দ চাকমা: পাঠক সংখ্য বারানা দ মনে কলে বারে ন পারে। নিয়মিত পাঠচক্র গরা পরে। চিগনত্তুনধরি বোই পরিবার অভ্যাস থানা দরকার। অভিভাবক্কুনে বানা পাস পরিবাত্তেই বোই পরিবাত্তে কন- সিয়তবারে বোইদিবার ন চান।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: চাঙমা ওক্কোর আ চাঙমা সাহিত্য উজন্দিত্তেই কন্না কন্না অবদান রাঘে পারে?
মুকুন্দ চাকমা: যাত্তুন মানসিকতা অ্যাডভান্স তেগরিবদে। যারাত্তুন মানসিক উৎসাহ নেই- তারার কি আর চাঙমা সাহিত্য? চাঙমা অলেয়্য নিজর চাঙমা সাহিত্য অলেয়্য অবদান ন রাঘেবাক।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: বাংলা সাহিত্য উজন্দিত্তেই ত্রিপুরা রাজ পরিবাওে অবদান রাঘেইয়ে। আর চাঙমা সাহিত্য উজন্দিত্তেই কি ধনী মানুচ বা চাঙমা রাজপরিবাওে অবদান রাঘে ন পারে?
মুকুন্দ চাকমা: তারাত্তুন যদি সে বিষয়ে ইন্টারেস্ট ন থায়, সালেন কিত্তেই দিবাক? ধনীমানুচ থেলেয়্য তারা যদি ভাবন- ইয়ান দ অপচয়, সালেন কিত্তেই দিবাক? বত্তমান চাঙমা রাজাবো আধুনিক, তে নিজে চাঙমা সাহিত্য চজ্জা গরে। খালিক তার আদ্যা আমলত (রাজা নলিনাক্ষ রায়) এ মানসিকত ন এল’।
চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা: ইক্কে হিল চাদিগাঙত চেরবো রাজনৈতিক দল সক্রিয় আঘন। তর মন্তব্য কি?
মুকুন্দ চাকমা: ম মন্তব্যআনহিল ট্র্যাকসর দগ-সুখ বোইবোতআঘে।
চাঙম াসাহিত্য পত্রিকা: চাঙমাসাহিত্য পত্রিকাওে সময় দেনাত্তেই বহুত বহুত ধন্যবাদ।
মুকুন্দ চাকমা: তমা চাঙমা সাহিত্য পত্রিকারেয়্য ধন্যবাদ।
(থুম)

চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা ১৫ আ ১৬ পয়ধে ফগদাঙ গরা অইয়ে।

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২১

ঢাকাত আরগানি অহ্’ল চাঙমা ভাঝর কোর্স

 


চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ঢাকা ধেলা তপ্পেত্তুন মা-ভাচ, চাঙমা ভাচ শেঘানা কোর্স আরগানি গরা অইয়ে। গেল্লে ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ইং কোর্স ফাংফগদাং গচ্ছে ধর্ম মন্ত্রনালয় এসিটেন্ট ডিরেক্টর, সুনানু অছ্য কুমার
তঞ্চঙ্গা
দাঘি।
জুম্ম কালচারাল একাডেমি, বুড়ির বাজার, ডি, ই, পি, জেড, সাভার, ঢাকা বুগত চাঙমা লেঘা সার্টিফিকেট কোর্স আরগানি গরা অইয়ে। সাপ্তায় একদিন ক্লাশ গরা অহ্’য়।


কোর্স ফগদাঙ পর গেল্লে কেল্যা ২২ জানুয়ারি কোর্স আরগানি গরা অইয়ে।
চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ঢাকা ধেলা জধানানু, সুনানু মোহন লাল চাঙমাদাঘি চাঙমা সাহিত্য পত্রিকারে কলাক, করোনা দিন মাধান গম আভা ফিরিলে গোদা ঢাকাত চাঙমা যিদু যিদু আঘন চাঙমা লেঘা শেঘা অভ। 

তারাদাঘি কলাক, ভাচ অহ্’দে একজনদোই আর’ একজনে মনর ভাপ ফগদাাঙ গরানা এক্কান দাঙর আহ্’ত্যার। মাত্তর, আমা সে আহ্’ত্যারান ভাঙা। এ ভাঙা আহ্’ত্যার, জাঙারে ধচ্ছে আহ্’ত্যারান তুনিবাত্যা আমা ইয়ানয়্য দাঙর সাতকাম ভিলে মনে গরে। 

 

পত্তিক মাঝত চাঙমা কবিদ্যা কনা খলা আ পাঠচক্র জুগল: চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি উপজেলা ধেলা

চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা, এওজি, পানছড়ি: এচ্যে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি উপজেলা ধেলা উদ্যোগে সংঘ মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারত দাঙর এক্কান তেম্মাং অই যেল। জুগলিয়্যা  খলাবোত খলানানু গিরি গচ্ছে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি উপজেলা ধেলা জধানানু, সুনানু বিভাস চাঙমাদাঘি। 

এ খলাবোত চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি তপ্পেত্তুন সরিত অলাক জধানানু, সুনানু ইনজেব চাঙমা, দাঙর কাবিদ্যাং, সুনানু প্রজ্ঞা আলো তালুকদার আ সাবাঙ্গী, সুনানু চিত্তি চাঙমা দাঘি।  

খলা পজ্জোনি গিরি গচ্ছে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পানছড়ি ধেলা দাঙর কাবিদ্যাং, সুনানু পলাশ চাঙমাদাঘি। 

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ ২০২০ সালত পানছড়ি চাগালত যে কামানি গরা অইয়ে সিয়ানি পড়ে শুনেয়্যা সুনানু দেবায়তন চাঙমা দাঘি আ বঝরর আয় ব্যয়  ইজেব য়্য পড়ে শুনেল। ভান্ডালি কাবিদ্যাং সুনানু রেনি চাঙমাদাঘি নানান অনটনে আহ্’জিল সরিত অই ন পারানা সুনানু দেবায়তন চাঙমা দাঘি পড়ে শুনেল। 

তেম্মাং খলাত সরিত অইয়ে বেগর সল্লামজিম এযেত্তে মার্চ মাঝত্তুন ধরি মাঝর পল্যা শুক্করবারে কবিদ্যা কনা খলা আ পাঠচক্র জুগল গরিবার সুধোম গরা অইয়ে।

 

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট তপ্পেত্তুন গুণীজনদাঘিরে মান গজানা আ সেমিনার

 


চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা:
খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটর আহ্’ঞ্জামে মারমা, ত্রিপুরা, চাঙমা জাত্তোনর রিদিসুধোমর ঐতিহ্যবাহী গীত, বিজক  নিনেই অবদান রাঘানার ৬জন গুণীজনরে মান গজা অইয়ে। 
এচ্যে বেন্যা মাধান ফাংশানত নকবাচ্যা গরবাগিরি গচ্ছে খাগাড়াছড়ি জেলা পরিষদর নুয়ো চেয়ারম্যান মানবলা সুনানু মংসুই প্রু চৌধুরী অপু দাঘি। 
পাত্তুরুতুরু কধগি এলাক খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটর মরখাম মানবলা সুনানু জিতেন চাঙমাদাঘি, মুল প্রবন্ধ কোইয়ে/পড়চ্ছে  বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রাপ্ত লেঘিয়্যা, গবেষক আ  চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রত ভিদি যিয়ে  প্রযোজক প্রভাংশু ত্রিপুরাদাঘি আ খলানানুগিরি গচ্ছে খাগাড়াছড়ি জেলা পরিষদর নুয়ো সাবাঙ্গী সুনানু নিলোৎপল খীসাদাঘি।

আ আহ্’জিল এলাক নানান জাগাত্তুন লেঘিয়্যা, কবি, গান লেঘিয়্যা, গান গাজ্জারা দিয়্যা আ গান গেইয়্যা। বেগে যার যার বুগর ভিদিরে মন’ আহ্’ল্যাজর কধা ভাঙি কোই উপজেলাসং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ধেলা বারেবার তুদি গরা অহ্’য়।

আহ্’জিল অইয়ে নানান গুনীজনর সেরে আর’ কধা কলাক জাবারাঙর নির্বাহী পরিচালক মথুরা লাল ত্রিপুরা, মারমা সাংস্কৃতিক সংগঠনর জধানানু নিয়ংগ্য মারমা, কাচালং কলেজ সাত্থু সুনানু লালন কান্তি চাঙমা, নাট্য পরিচালক তাপস ত্রিপুরা, চাঙমা সাহিত্য বাহ গরা কমিতি জধানানু, সুনানু ইনজেব চাঙমা, সুনানু সুমংগল চাঙমা, শিল্পী ক্রায়োরী মারমা, সমাজকর্মী চামেলী ত্রিপুরা, নৃত্য শিল্পী ডিনা ত্রিপুরা, শিল্পী মৌসুমী ত্রিপুরা, শিল্পী রতন ত্রিপুরাদাঘি সুমুত্ত নানান জনদাঘি।
মান দিয়্যা অইয়ে: গুণীজনদাঘির সেরে ত্রিপুরা জাদত্তুন সঙ্গীদত রতন কুমার ত্রিপুরা, গবেষণায় মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, সাহিত্যে শোভা রাণী ত্রিপুরা, পাঙখুং (মারমা গীতিনাট্য)-এর সংগঠক থুইহ্লাঅং মারমা, তহ্লা নৃত্য সংগঠক জংজশিং মারমা, ‘নিবেং নেসু’ লোক ঐতিহ্যে মংক্যচিং মগদাঘি আহ্’দত মান তুলি দেনা সমারে ১০ আজার তেঙা দিয়্যা অইয়ে।  

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১

১৯০১ সাল: আদমশুমারি রিপোর্ট: ‘চাকমা জাতি’ - সতীশ চন্দ্র ঘোষ

১৯০১ সাল: আদমশুমারি রিপোত (‘চাকমা জাতি’ - সতীশ চন্দ্র ঘোষ ) দেঘা যিয়ে  ‘সরকারী কাগজপত্রত প্রায় অর্ধলক্ষ অধিবাসীর সেরে ২১৫৬ জন মরত আ ৪৪ জন মিলে বানা শিক্ষিত। তা সেরে ৭৮৮ জন মরত আ ২৪ জন মিলে বাঙালা আ ৫৫ জন মরত বানা ইংরেজী জানন। বাগিউন চাঙমাভাচ লিঘি পড়ি পারন।  আ বাঙালাভাঝর শিক্ষিত সেরে ২৯০ জন মরত আ ৪ জন  চাকমা পর্বোয়া লেঘাপড়াত কাবিল ........।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন খাগাড়াছড়ি জেলা পরিষদ নুয়ো চেয়ারম্যান মানবলা মংসুই প্রু চৌধুরী অপু আ সাবাঙ্গী আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার মানবলা সুনানু শুতরুপা চাঙমাদাঘিরে ফুললোই কোচপানা আ ঝু ঝু গজেলাক

 

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন খাগাড়াছড়ি জেলা পরিষদ নুয়ো চেয়ারম্যান মানবলা মংসুই প্রু চৌধুরী অপু আ সাবাঙ্গী আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার মানবলা সুনানু শুতরুপা চাঙমাদাঘিরে ফুললোই কোচপানা আ ঝু ঝু গজেলাক।

এচ্যে ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ইং বেন্যা দিপজ্যা মাধান ১২ টা গরি চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তপ্পেত্তুন  খাগাড়াছড়ি জেলা পরিষদ নুয়ো চেয়ারম্যান মানবলা মংসুই প্রু চৌধুরী অপু আ সাবাঙ্গী আ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার মানবলা সুনানু শুতরুপা চাঙমাদাঘিরে ফুললোই কোচপানা আ ঝু ঝু গজেলাক।

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এওজি দলত মুপাত্তি ইজেবে এল চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু সুনানু ইনজেব চাঙমা, এজাল জধানানু আ নান্যাচর ধেলা জধানানু সুনানু সুপায়ন চাঙমা, গরা কমিতির ভান্ডালি কাবিদ্যাঙ, সুনানু রিমি চাঙমা আ খাগাড়াছড়ি জেলা এজাল দাঙর কাবিদ্যাঙ সুনানু তোষী চাঙমাদাঘি।

ভাঙি কনা গরচ যে, পার্বত্য চুক্তি সুধোম ন’ মানি সরকাররে নকবাচ গরি এভসং পার্বত্য জেলা পরিষদর কামানি গরি যার। তার পরয়্য চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বিশ্চেস গরে চাগালা দুখ্যে মানেই লগ সমারে কায় থেই আ আদিবাসীউনর আল্যাক, রিদিসুধোম আ ভাচ থিদ’ গরিবার দাঙর অবদান রাঘেবাক।

চাঙমা সাহিত্য বাহ্ তিতীয় ফগদাঙ “জুমচাব” কবিদ্যা ম্যাগাজিন তারাদাঘির আহ্’দত তুলি দি লোবিয়ত গরা অইয়ে।

রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১

ভারতীয় উপমহাদেশে আদিবাসীদের মধ্যে প্রথম ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মিঃ মুকুর কান্তি খীসার সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জিঃ সুনানু ধীমান খীসা


 মুকুর কান্তি খীসার 
রাষ্ট্রদূত মুকুর কান্তি খীসা (Mukur Kanti Khisha) ১৯৩৫ সালের ২৭শে নভেম্বর বর্তমান খাগড়াছড়ি উপজেলাধীন খবংপুজ্যা(খবংপড়িয়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম গগণ চন্দ্র খীসা ও মাতার নাম ক্ষেমতি খীসা। তাঁর পিতামহ বিরাজমুনি ১৮শতকের শেষের দিকে খবংপুজ্যা গ্রামের গোড়াপত্তন করেন এবং তাঁর মাথা থেকে শিরোস্ত্রাণ বা 'খবং' পড়ে যাওয়ায় গ্রামটি 'খবংপুজ্যা ' নামকরন হয়।
চার ভাই তিন বোনের মধ্যে মিঃ মুকুর কান্তি খীসা ছিলেন সবার কনিষ্ঠ। তিনি অামার বাবা বিপত্তারণ খীসার অাপন ছোট ভাই। অদম্য মেধাবী এ ব্যক্তিটির শৈশব কেটেছে খবংপুজ্যার নির্মল প্রকৃতি ও অালো বাতাসের সান্নিধ্যে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হওয়ার সময় তিনি তৎকালীন খাগড়াছড়ি জুনিয়র হাইস্কুলে ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তখন অামার বড় জ্যাঠা(বাবার বড় ভাই) বিঘ্নবিনাশন খীসা ভারতে ফরেস্ট অফিসার পদে চাকুরী করতেন। দেশ ভাগ হওয়ার সময় তাকে ভারত বা পাকিস্তান যে কোন একটি দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের অপশন দেয়া হলে তিনি ভারতে থেকে যান এবং লেখাপড়ার জন্য ছোটভাই মুকুর কান্তি খীসাকেও ভারতে নিয়ে যান।
শিক্ষাজীবনঃ
সস্ত্রীক মিঃ মুকুর কান্তি খীসা

শৈশবে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় Khabong Paria Lower Primay School(বর্তমানে খবংপড়িয়া সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়)এ। সেখান থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তিনি খাগড়াছড়ি মিডল ইংলিশ স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি এবং উক্ত স্কুলটি ১৯৪৭ সালে জুনিয়র হাই স্কুল (বর্তমানে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়)এ উন্নীত হলে সেখানে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর বড় ভাইয়ের সাথে ভারতে চলে গেলে তৎকালীন কোলকাতায় বিখ্যাত Hare Schoolএ অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং ঐ স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন (ম্যাট্রিক) পাশ করেন। কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিক পাশ করলে তিনি The Telegraph School Awards of Excellence, Bishop Thoburn Award সহ কোলকাতার চারটি সেরা স্টুডেন্ট'স এওয়ার্ড লাভ করেন। অতপর তৎকালিন সময়ের কোলকাতার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান Presidency College (বর্তমানে Presidency University) থেকে বিএ অনার্স(ইংলিশ), এমএ(পলিটিকাল সায়েন্স) ও এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।
কর্মজীবনঃ
ইন্ডিয়ান এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস(আইএএস) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ২৭তম স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন এবং ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস(অাইএফএস) পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৮ম স্থান অর্জন করলে ১৯৫৯সালে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। চাকুরীজীবনে তাঁর সর্বপ্রথম পোস্টিং হয় Spain এর রাজধানী Madridএ। সেখানে গ্লোরিয়া লংবার্ডো নামে এক স্প্যানিশ মহিলার সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহ সম্পাদনে তাঁরা বেশ কিছু জটিলতার সম্মূখীন হন। তৎকালীন সময়ে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে চাকুরীরতদের বিদেশী নাগরিক বিবাহ করার ক্ষেত্রে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা ছিলো। চাকুরিতে যোগদানের পূর্বে অারোপিত শর্তসমূহ প্রতিপালনের জন্য অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করতে হতো। মিঃ খীসার ক্ষেত্রেও সে শর্ত প্রযোজ্য ছিলো। মাদ্রিদে চাকুরিকালীন সময়ে গ্লোরিয়া লংবার্ডোর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তিনি বিবাহের অনুমতি চেয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অাবেদন করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তাঁর সে অাবেদন অনুমোদন করারতো দূরের কথা বরং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তল্পিতল্পাসহ দিল্লীতে ফিরে অাসার নির্দেশ দেন। পরে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর নির্দেশে তাঁর বদলী স্থগিত হয় এবং তাঁর অনুমতিতে তাঁদের বিবাহ সম্পাদন হয়। তাদের ঔরসে দুই কণ্যা সন্তানের জন্ম হয়।
দীর্ঘ অনেক বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত (সরকারি সর্বোচ্চ গ্রেডের কর্মকর্তা) হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালনের পর তিনি ১৯৯৩সালে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ইন্ডিয়ান এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস(IAS) ও ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস(IFS) পরীক্ষায় তিনি যে রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতের কোন সিডিউল ট্রাইব বা সিডিউল কাস্ট অদ্যাবধি সে রেকর্ড ভাঙতে পারেননি।
অত্যন্ত ব্রিলিয়ান্ট খাগড়াছড়ির এই কৃতী সন্তানটি ছাত্রজীবনে "Why I best in India" বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতায় সমগ্র ভারতে ১ম স্থান অর্জন করে স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন। ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট হিসেবে কর্মজীবনে তার বিশাল সুপরিচিতি ছিল। লেখালেখিতে তিনি খুবই ভালো ছিলেন। Hare Schoolএ পড়াকালীন সময়ে তিনি 'মনের ফসল' নামে সাহিত্য পত্রিকাটি সম্পাদনা করতেন। জীবনে তিনি অসংখ্য ছোটগল্প ও প্রবন্ধ লিখেছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট, কাপ্তাই বাঁধের কারনে সৃষ্ট পাহাড়িদের সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশার কাহিনী, নির্যাতিত-নিপীড়িত পাহাড়িদের শোষন ও বঞ্চনার ইতিহাস এবং তাদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলন, চাকমা সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, ১৯৪৭ সালের দেশ বিভক্তি ও সমকালীন রাজনীতি এবং তৎসময়ে উপমহাদেশের ক্ষমতাধর শাসকদের চরিত্রের নেতিবাচক দিকসমূহ উপস্থাপনের মাধ্যমে ন্যারেটিভ স্টাইলে তার লেখা All That Glisters ও Time and Again উপন্যাসগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাঠকদের কাছে খুবই সমাদৃত হয়েছে। বিরল তথ্য সম্বলিত তাঁর বইগুলি বর্তমানে অনেক লেখক ও গভেষক পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে লিখতে গিয়ে রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহার করছেন। অত্যন্ত সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা বইগুলিতে জন্মভূমির প্রতি তাঁর গভীর টান ও অাত্মিক সম্পর্কের বিষয়টি বার বার গুরুত্বারোপ করেছেন। ১৯৪৭ সালের দেশবিভক্তিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়েও বেশি ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করে উক্ত কারনে শত সহস্র পরিবারের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে দুঃখের সমুদ্রে নিমজ্জিত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন এবং নিজের ক্ষেত্রেও অাজীবন এ সীমাহীন বেদনা বয়ে বেড়ানোর অাক্ষেপ প্রকাশ করেন।
বিদেশীনি বিয়ে করলেও জন্মভূমি ও শিকড়ের প্রতি তাঁর গভীর টান সবসময় অবিচল ছিল। তাইতো তিনি সবসময় আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক রেখেছেন এবং সাধ্যানুযায়ী বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিতে কার্পন্য করেননি। তাছাড়া তাঁর লেখা বইগুলিতে চাকমা জাতির কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে বিরল তথ্য সংযোজনের মাধ্যমে স্বাজাত্য সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধাবোধ পরিলক্ষিত হয়।
আকস্মিকভাবে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ক্ষণজন্মা এ ব্যক্তিটি ২০০৭ সালের ২০ ডিসেম্বর স্ত্রী ও দুই কণ্যা(রিতা খীসা ও অনিতা খীসা)কে রেখে Spain এর রাজধানী Madridএ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি গলফ খেলতে খুবই ভালোবাসতেন। মৃত্যুর চারদিন আগেও তিনি গলফ খেলেছিলেন।

আঝা থায় বুগত- সুনানু ইনজেব চাঙমা


এক বুক আঝা বুগত বানি এযং ফিরি
দিঘিম তরে ঘরত
তুই দ’ নেই, নেই পিত্তিমীত
বানা আঘে, আঘে তর নিঝেনী।
চোগে রিনি ন’ পাচ্যে পদত আহ্’জি গেলে তুই
ফিরি ন’ এভে কন’ দিন, কন’ কাল
ত্যুঅ বুগত থায় আঝা
দ্বিচোগত থায় সবন
দিঘিম তরে মর ভাঙা ঘরত।
[১৭ জানুয়ারি ২০২১ খাগাড়াছড়ি কলছড়িত্তুন ফিরি]

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...