মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪

বাংলাদেশের মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রিভিউ মামলার বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেলের রীতি-বিরুদ্ধ ভূমিকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০-এ অন্তর্ভুক্ত আদিবাসীদের বিশেষ অধিকার হরণের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বরাবর পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত নেতৃবৃন্দ ও সর্বসাধারণের স্মারকলিপি



মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত নেতৃবৃন্দ সর্বসাধারণের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আপনি অবগত আছেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম রেডলেশন ১৬০০ যা হিল ট্র্যাটস ম্যানুয়াল শামেও পরিচিত, যেটি ফিশা ১৯ জানুয়ারী ১৯০০ সালে ফার্যকর হয়। আরপর থেকে এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশাসন সংক্রান্ত প্রধান আইশী দলিল হিসেবে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এই প্রবিধানে বিভিন্ন বিধানসমূহ রয়েছে যা এই অঞ্চলের সুশাসন, ভূমি প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ এবং এই অঞ্চলের জনগণের সংস্কৃতি ঐতিহ্যের সুরক্ষা এবং আন্তঃপ্রজন্মগত চন্ডীর জন্য অপরিহার্য।

বলাবাহুল্য ২০০৩ সালে তৎকালীন বিএসপি সরফারের অ্যাটর্নি জেনারেল . এফ. হাসান আরিফের আবেদনের ভিডিতে হাইকোর্টের এফটি বিভাগীয় বেঞ্চ ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে এফাটি "মৃত আইন'' হিসাবে ঘোষণা ফরেন (Rangamati Food Products v. Commissioner of Customs & Others, 10 BLC (2005), 525) পরবর্তীফালে এই প্রেক্ষিতে অংফালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ২০১৭ সালে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুনানি শেষে "পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০০- ফে এফটি সম্পূর্ণ "জীবিত বৈধ' আইন হিসেবে বলবৎ রাবেন (Wagachara Tea Estate Ltd. v. Muhammad Abu Taher & Others, 16 BLD (AD) (2016), 36]

কিন্তু ২০১৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি এবং বাগড়াছড়ি জেলার বসতি স্থাপনকারী, যথাক্রনে আব্দুল আজিজ আখন্দ এবং আব্দুর মালেক শামের দুই ব্যক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন, ১৬০০ বিষয়ক সুপ্রিম ফোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে দুটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন (যার সিভিল পিটিশন শম্বর যথাক্রমে 54/2018 এবং 192/2018) আদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন অৎফালীন বিএনপি সরকারের পূর্বেকার নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব এ. এফ. হাসান আরিফ। উল্লেখ্য যে, রিভিশনকারী ব্যক্তিত্তর এই রেগুলেশন সংক্রান্ত উপরোক্ত মামলা সমূহে ফোশ পক্ষভুক্ত ছিলেন না।


সাধারণ রীতি অনুসারে সরকারের অনুকূলে মহামান্য সুপ্রিম ফোর্টের দেওয়া উনে রায়ের পক্ষে বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেলের অবস্থান গ্রহণ করার কথা। কিন্তু আর পরিবর্তে তিনি "Raja", "Indigenous Peoples" শব্দসহ আরো কিছু শব্দ ও বাব্যাংশ বাদ দেওয়াসহ প্রথাগত আইনের (Customary Law) বিস্তারিত ব্যাখ্যা সম্বলিত সর্বমোট দশটিরও অধিক অনুচ্ছেদ বাদ দেয়ার জন্য আদালতের কাছে নৌবিফ ও লিবিয়ভাবে প্রার্থনা করেছেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, বিগত ২৬ জুলাই ২০২৩ আরিবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি শাগরিক সমাজের ৩২ (বত্রিশ) ম্য বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাদের মধ্যে ছিলেন চাকমা সাফেলের প্রধান রাজা দেবাশীষ রায় এবং প্রাক্তন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যাশ গৌতম দেওয়াশ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সমীপে স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেই স্মারকলিপিতে আঁরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এর আপিল বিভাগে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ সংক্রান্ত চলমান দুটি রিজিড মামলায়, রেডলেশন ও এতে স্বীকৃত আদিবাসীদের অধিকার সম্বলিত প্রচলিত আইশ, প্রথা ও রীতির মোয়ালো ও চলমান ফার্যফারিআর পক্ষে অবস্থান গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেলকে যথাযথ নির্দেশের প্রার্থনা মানান।

আঁদের ক্ষোভের ফারণ হল, সংশ্লিষ্ট রিভিউ মামলায়, বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের অবস্থান, যা ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিধান এবং বহু সাংস্কৃতিক, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা সংক্রান্ত সাংবিধানিক বিধানেরও পরিপন্থী।




বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল লিখিতভাবে যে শব্দসমূহ, বাব্যাংশ ও প্রথাগত আইনের অনুচ্ছেদসমূহ বাদ দেয়ার জন্য মহামান্য সুপ্রিম ফোর্টকে আবেদন করেছেন, আ আবেদনকারীগণের দাবী অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বহু সাংস্কৃতিক ও ধর্ম নিরপেক্ষ অভিন্নবিআকে দুর্বল করবে যার দ্বারা বাংলাদেশ সংবিধানের ২কা, ১২ ও ২৩ফ অনুচ্ছেদে শিহিত বৌলিফ অভিপ্রায়ের পরিপন্থী হবে।

উল্লেখ্য যে, গত ৯ যে ২০২৪ আরিবে মামলাগুলি অনাদির আলিফার শীর্ষে আসলে বিজ্ঞ অ্যাটর্সি জেনারেল আদালতফে আবারও আর পূর্বের আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শব্দসমূহ, বাক্যাংশ ও প্রথাগত আইনের অনুচ্ছেদসমূহ বাতিল ফরার জন্য প্রার্থশা করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আপনার কাছে বিশী আবে আবেদন মামাচ্ছি, যাতে বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেলফে এই মর্মে নির্দেশ পরামর্শ প্রদান করা হয়, যাতে তিনি সংশ্লিষ্ট মামলাসমূহে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ এর পক্ষ অবলম্বন ফরেন, যার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের মনমানুষের অধিকার রক্ষিত হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯৯৭ এর শাস্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়া যায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ সমগ্র দেশের বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা হয়।

আরিখঃ জুলাই, ২০২৪

বিশীত নিবেদক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...