মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

কল্পনা চাকমা অপহরণ: ২৮ বছর পর মামলা খারিজ

প্রতিনিধি, রাঙামাটি, দৈনিক প্রথম আলো
দীর্ঘ ২৮ বছর পর বহুল আলোচিত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলাটি শেষ হয়েছে। আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি কল্পনা চাকমা আবেদন নামঞ্জুর করে মামলাটি অবসানের আদেশ দেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটির জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তা এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের মাধ্যমে কল্পনা চাকমা অপহৃত হলেও কে বা কারা অপহরণ করেছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনই বহাল থাকছে। প্রতিবেদনে কারও দায় পাওয়া না যাওয়ায় ২৮ বছর আগের মামলাটির অবসান হচ্ছে। তবে মামলার বাদী কল্পনার চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা আদালতের এ আদেশে ক্ষুব্ধ। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলার আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মামলার শুনানিতে বাদীর বক্তব্যও শোনেন আদালত। পরে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি আবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদন নথিভুক্ত করেন। এর মাধ্যমে ২৮ বছর চলার পর মামলাটি সমাপ্তি ঘটেছে। তিনি বলেন, 'পুলিশ সুপারের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত আসামিদের নাম উল্লেখ না করে সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দায়মুক্ত করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।'
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ১১ জুন মধ্যরাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার লাইল্যাঘোনায় নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন কল্পনা চাকমা। পরদিন কল্পনার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় অপহরণের মামলা করেন। প্রথমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত। পরে আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য রাঙামাটির পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেন। ২০১৬ সালে মামলার ৩৯তম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার।
পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে কল্পনা চাকমা অপহৃত হলেও কে বা কারা করেছে, তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন জানিয়ে মামলার অধিকতর তদন্তের দাবি জানান বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা। নারাজি আবেদনের ওপর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শুনানি চলে আদালতে। অবশেষে গতকাল পূর্বনির্ধারিত শুনানির দিনে আদালত পুলিশ সুপারের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
মামলার বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা আদালতের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এই বিচারে অসন্তুষ্ট। তিনি উচ্চ আদালতে গিয়ে আবার আবেদন করবেন।

‘চীনে বিক্রি পাহাড়ি তরুণীরা’ বিবিসি বাংলা

 

‘চীনে বিক্রি পাহাড়ি তরুণীরা’

পত্রিকা

নারী পাচার নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘চীনে বিক্রি পাহাড়ি তরুণীরা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চীনে এক সন্তান নীতির মারপ্যাঁচে পড়ে দেশটিতে এখন নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা অনেক বেশি। অনেক পুরুষ বিয়ের জন্য নারী পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশের পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে চীনাদের চেহারার মিল থাকায়, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাচারকারী চক্র উন্নত জীবনযাপনের লোভ দেখিয়ে পাহাড়ি পরিবারগুলোকে রাজি করাচ্ছে।

এরপর তরুণী-কিশোরীদের পাচার করা হচ্ছে চীনে। এ কাজে সুবিধার জন্য অনেক সময় এ দেশেই চীনাদের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বা বিয়ের জাল কাগজ তৈরি করা হচ্ছে।

পত্রিকাটি সূত্রের বরাতে বলছে, এভাবে চক্রের সদস্যরা গত সাত বছরে আট হাজারের বেশি কিশোরী-তরুণীকে চীনে পাচার করেছে।

তাদের কাউকে কাউকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আবার অনেককে বাসায় আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

জীবন বাঁচাতে কেউ কেউ পালিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে।

এ বিষয়ে চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, চীনে নারী পাচারের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

কেননা ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কখনো কোনো অভিযোগ আসে না।

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ নেশন-বিল্ডিং এর সমস্যা নয় কি? - Anurug Chakma

 

রাষ্ট্র কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর ব্যাংক ডাকাতি বুঝে। কিন্ত সন্ত্রাস দমনের নামে গণগ্রেপ্তার, Illegitimate use of force, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, এসব কিছুই বুঝতে চায় না।

রাষ্ট্রযন্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহ বুঝে কিন্ত গায়ের জোরে সংখ্যাগুরুর জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেওয়া এবং পাহাড়িদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসকে বুঝতে চায় না।
রাষ্ট্র অসাম্প্রদায়িক দাবি করতে চায়। কিন্ত পাহাড় থেকে সমতল কোথাও আদিবাসী আছে বলে স্বীকার করতে চায় না।
রাষ্ট্র মিলিটারাইজেশন এবং এথনিক ক্লিনজিং (জাতিগত নিশ্চিহ্নকরণ) বুঝতে চায় না। বরং রাষ্ট্রের প্রবল আগ্রাসনের মুখে পাহাড়িদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়ায়কে রাষ্ট্র দেশদ্রোহ বলতে চায়।
রাষ্ট্র পাহাড়ে ইন্সারজেন্সি দেখতে পায়। কিন্ত পাহাড়িদেরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ডেমোগ্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং বুঝতে চায় না।
সীমান্ত সড়ক, পর্যটন ব্যবসা করাটাকে রাষ্ট্র অর্থনৈতিক উন্নয়ন মনে করে। কিন্ত উন্নয়নের নামে আগ্রাসন, পাহাড়িদেরকে উচ্ছেদ করা যে বৈধ নয় সেটা বুঝতে চায় না।
জনগণ যেমন, রাষ্ট্রও তেমন। এজন্য এদেশের সংখ্যাগুরুদের মধ্যে অনেকে নিজেদের বেলায় স্বাধীনতা চাইতে পারে, কিন্ত অন্যের পরাধীনতা টিকিয়ে রাখতে চায়। এদেশের সংখ্যাগুরুদের মধ্যে অনেকে নিজেদের জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার চাই, কিন্ত অন্যের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অস্বীকার করে।
এখানেই কি শেষ? ঢাকা শহরে পাহাড়িদের দেখলে সংখ্যাগুরুদের মধ্যে অনেকে লাফিয়ে উঠে বলে, “দেখ দেখ চাকমা চাকমা”। আমি নিজেও কয়েকবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। রাষ্ট্র এই রেসিজমকে যেমন বুঝতে চায় না। তেমনি স্বীকারও করতে চায় না। এটাই তো বিশাল সমস্যা!
এভাবেই তো গেল বছরের পর বছর। দশকের পর দশক। এভাবেই সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘুর বৈরি সম্পর্ক দাঁড়িয়ে গেছে। এভাবেই চলছে বাংলাদেশের নেশন-বিল্ডিং! রাষ্ট্রের এই Assimilationist এবং Exclusive Nation-building পাহাড়িদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করেছে। কখনো তাদেরকে করেছে “উপ-জাতি”। কখনোবা তাদেরকে “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী” বানিয়েছে। কিন্ত কখনো তাদেরকে জাতির কাতারে আসতে দেওয়া যাবে না। কি ভয়ংকর রাষ্ট্রের দর্শন!
যাক, আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থাকতে পারে। দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ থাকতে পারে। কিন্ত এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের সামনে একটা রাস্তা ছিল। সেটা হচ্ছে পার্বত্য চুক্তির শতভাগ বাস্তবায়ন করা। কিন্ত সেটাও কি হয়েছে? সেটা নিয়ে রাষ্ট্রের কত মিথ্যাচার! কত ছলচাতুরি! কত প্রতারণা! রাষ্ট্র নিজেই এই চুক্তির প্রধান Spoiler। একদিকে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত, অন্যদিকে পাহাড়িদের মধ্যে জাতিগত দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে রাষ্ট্র উসকে দিতে চায়। রাষ্ট্র শুধু পাহাড়িদের নিয়ে একের পর এক গেম খেলতে চায়। মনে আছে, চুক্তির পরে পাহাড়ে তিন বিদেশী অপহরণের গল্প। এবার কুকি-চিন নিয়ে নাটক শুরু করলেন। এই নাটক দেখে দেশের অনেক বুদ্ধিজীবী নামক “বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীরা” রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশের উস্কানি দেখতে পাচ্ছে। হায় হায় দেশটা গেল গেল! কিন্ত কেউ জোর দিয়ে বলছে না পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কেউ বলছে না, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা পাহাড়ের মানুষদের উপর একটা অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছি। সেখানে লোগাং গণহত্যা, লংগদু গণহত্যা এবং নানিয়াচর গণহত্যা থেকে শুরু করে অনেক ম্যাসাকার হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। শরণার্থী হয়েছে। প্রতি পাঁচজন পাহাড়িদের জন্য একজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত আছে। এই মিলিটারজাইসেশন করতে গিয়ে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুক্ত কারাগারে (Open Prison) বানিয়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে Freedom of Movement কোথায়? সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কল্পনা চাকমারা অপহরণ হচ্ছে কেন? পাহাড়ি মেয়েরা ধর্ষণ হচ্ছে কেন? নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে রমেল চাকমারা নির্মমভাবে হত্যার শিকার হচ্ছে কেন? অথচ, রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের এই ডিসকোর্সটিকে পাশ কাটিয়ে পাহাড়ে সন্ত্রাসী ধরার, পাহাড়ে আন্তর্জাতিক গেম হচ্ছে এসব আজগুবি থিউরি দিয়ে কি প্রমাণ করতে চান? পাহাড়ে সন্ত্রাসী আছে, তাই মিলিটারাইজেশন বাড়াতে হবে, তাই না? পাহাড়ে অস্ত্রবাজি আছে, তাই পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করা যাবে না। এই তো!
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক Christian Davenport বলেছেন, “State repression creates a ‘backlash’ that intensifies mobilisation”। ২০২২ সালে Journal of Policing, Intelligence and Counter Terrorism থেকে “Does State Repression Stimulate Terrorism? A Panel Data Analysis” শিরোনামে একটি পেপার পাবলিশ করেছিলাম। Grievance Theory উপর ভিত্তি করে মূলত আমি এই পেপারের Hypothesisটি ভেভেলপ করেছিলাম। এই Hypothesisটি আমি দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের প্যানেল ডেটাসেট দিয়ে টেস্ট করে দেখেছি। আমার প্রাপ্ত গবেষণার ফলাফলও প্রমাণ করে, রাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন ‘backlash’ হতে পারে। রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন-নির্যাতন বাড়লে, জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়বে, এবং ফলশ্রুতিতে এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে উগ্রপন্থা এবং সন্ত্রাস বাড়বে।
তাই, পার্বত্য চুক্তির শতভাগ বাস্তবায়নই একমাত্র Accommodative Nation-building হতে পারে এবং পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪

বিজু নিয়ে আলাপ করলেই লোগাংয়ের কথা মনে পড়ে

 

বিজু (বা বিঝু) উদযাপনে আমাদের সময় আড়ম্বর এতো হতো না। আমরা বাড়ী বাড়ী যেতাম, পাজন খেতাম। চৈত্র সংক্রান্তিতে সবজি একটা আমাদের ঘরেও হতো, অনুমান করি অনেক বাঙালীর ঘরেই হয়, কিন্তু রাঙামাটিতে চাকমা পাজন যেটা আমাদের ঘরের সবজিটা ঠিক সেটার মতো নয়। একশ রকমের উদ্ভিতজাত ফল, মুল, ফুল, লতা পাতা মিশিয়ে পাজন হয়। সবার ঘরে একরকম স্বাদ হয় না। উপাদান ভেদে বা রান্নার স্টাইলের কারণে একেক রকম স্বাদ হয় একেক ঘরে, কিন্তু সুস্বাদু হয় সবার ঘরেই। বছরের এই তারিখটা, এই দিনের আবহাওয়া এই সবকিছু মিলিয়ে পাজন আর আমাদের শরীরের মধ্যে যে সমীকরণ হয়, সেইটাই বৈশিষ্ট্য।

এখনকার মতো মেলা, কনসার্ট বা এইরকম অন্য কোন বিশেষ গণ-আয়োজন এগুলি হতো না। কারো কারো বাসায় পার্টির মতো হতো। আমাদের উদযাপন ছিল ঐ যে, সকলের ঘরে ঘরে গিয়ে খাওয়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, কিঞ্চিৎ পান করা এইসব। শুধু যে পাজন খেতে দিতো লোকে সেটা নয়, সাথে নানাপ্রকার সুস্বাদু খাবারও থাকতো। ভারি কোন খাবার সাধারণত পরিবেশন করা হতো না।কোন কোন বাড়ীতে ভাত হয়তো দিত সাথে, পোলাও কোরমা এইসব খাবার বিজুর সাথে যুক্ত ছিল না। পাজনের মধ্যে অনিবার্যভাবে কাঁঠাল তো থাকবেই, তীব্র স্বাদের মধ্যে কাঁচা আম থাকতো, আর করলা বা উচ্ছে এইসব। সব মিলিয়ে অমৃত।

আমি যখন রাঙামাটি কলেজ থেকে পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখনো পর্যন্ত আমার মনে একটা সিদ্ধান্ত ছিল যে যেখানেই থাকি বিজুতে অন্তত একদিন আমি যে কোন অবস্থাতেই রাঙামাটি থাকবো। পড়ে যখন বাপু বদলই হয়ে গেলেন রাঙামাটি থেকে কক্সবাজারে, পরিবাররে সবাই চলে গেলে কক্সবাজার তখন থেকে ধীরে ধীরে বিজুর সময় রাঙামাটি যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। বিজু হয় চৈত্র সংক্রান্তিতে আর আমদের পরিবারে আড়ম্বরের সাথে উদযাপিত হয় পহেলা বৈশাখ। নিতান্ত অনিবার্য কোন কারণ না থাকলে পহেলা বৈশাখ পুরো পরিবারের সাথে উদযাপন করতে হয়। আমার মা থাকতেও এটা ছিল, এখনো এই নিয়ম বিদ্যমান আছে।

২.

এখন তো আমার নিজেরই একটা পরিবার হয়েছে প্রিয়তমা স্ত্রী আর দুই কন্যার সাথে এই অধমকে মিলিয়ে। আমরা উৎসব হিসাবে দুই ঈদ, পহেলা বৈশাখ, ক্রিসমাস, ইংরেজি নববর্ষ, দুর্গা পূজা এই সবই উদযাপন করি। এই সবকিছুর মধ্যে পহেলা বৈশাখটা হচ্ছে প্রধান। দুই ঈদের বা অন্য কোন পালা পার্বণের চেয়ে পহেলা বৈশাখটা আমাদের কাছে উদযাপনের হিসাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পহেলা বৈশাখের সুবিধা হচ্ছে যে এর সাথে কোন ধর্মীয় আচার আচরণ জড়িত নাই, আপনি আপনার ইচ্ছামতো যেভাবে চান সেভাবেই উৎসব বা উদযাপন সাজাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সব ভাইবোন ওদের বাচ্চা কাচ্চা সবাই অন্তত এক বেলা একসাথে হতে।

পহেলা বৈশাখ যদি আপনি ঢাকায় উদযাপন করতে চান তাইলে তো বিজুর সময় আর রাঙামাটি যেতে পারবেন না। এই কারণে আমার আর বিজুতে রাঙামাটি যাওয়া হয়না। জেনেছি যে এখন নাকি রাঙামাটিতে বিজু উপলক্ষে অনেক আয়োজন হয়। অনেক মেলা হয়, দোকানপাট বেসে, কনসার্ট হয়, গান বাজনা নাচের অনুষ্ঠান হয়। আমি যদি রাঙামাটি থাকতাম তাইলে সম্ভবত বিজু উপলক্ষে ছোট একটা সাহিত্য সংকলন করতে চেষ্টা করতাম। কেউ কেউ নিশ্চয় সেটা করেন, আমারই হয়তো জানা নেই। বেশী অনুষ্ঠান হতে থাকলে অনেক সময় উৎসবের মুল সুরটা ম্লান হয়ে যায়- বিজু উপলক্ষে রাঙায় এরকম হয় কিনা জানিনা।

সমানে বিজু, রাঙামাটিতে এখন নিশ্চয়ই ছেলে মেয়ে বুড়ো বুড়ী সবাই বিজুর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। উদযাপনের ধরন পাল্টেছে, উৎসবের ব্যাপ্তিও বেড়েছে নিশ্চয়ই। তথাপি মুল সুরটা কখনো পাল্টায় না। চৈত্রের দাবদাহ, বছরের শেষ দিন, পাহাড়ে প্রকৃতির রূপ রঙ পরিবর্তনের সূচনা এই সব মিলিয়ে চাকমা সমাজের এই উৎসবের দিনে চাকমা তরুণ তরুণীরা নিজেদের উৎসের দিকে ফিরে তাকাবেন, আত্ম পরিচয়, জাতিগত অধিকার, বৈষম্য বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই এই সবকিছুই নিশ্চয়ই তরুণদের উৎসব উদযাপনের অনুষঙ্গ হয়ে আছে এখনো। নিজের দিকে ফিরেও তাকাবো এবং নিজের পরিচয়েই আনন্দ করবো।

৩.  

আনন্দ তো করবই, আনন্দই মুল, কিন্তু যে আনন্দ আমার সাংস্কৃতিক পরিচয় ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে ধারণ করে না সেটা বড়ই নিম্নমানের স্থূল আনন্দ। রাঙাতে তরুণ বন্ধুরা যারা আছেন, আমি জানি এই বিজুতে আপনাদের উদযাপনের সুরেও বিশ্বব্যাপী আদিবাসী মানুষের যে চলমান সংগ্রাম বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সেই সূরও এসে মিশে যাবে। গেংখুলির সুরে দেখবেন একটা প্রলম্বিত উদাসীন সুর অন্তর্ভুক্ত থাকে- সেই সুরটা হচ্ছে পাহাড়ের মানুষের জীবনের আনন্দের সাথে উচ্ছ্বাসের সাথে কান্নার সংযোগ। সেই কন্নাটা, সেটা মনে রাখবেন। 

বিজু নিয়ে আলাপ করলেই লোগাংএর কথা মনে পড়ে। কেননা আমার দেখা মতে সেই একবারই বিজু উৎসব বর্জনের কথা হয়েছিল- সেবারের বিজু ছিল কান্নার বিজু, ক্রোধ ও বেদনার বিজু। আপনি যখন এইবার বিজুতে আনন্দ করবেন, আনন্দ নিশ্চয়ই করবেন- সেটা জীবনেরই অংশ, সারা দিনের আনন্দের এক ফাঁকে অন্তত একটা মিনিটের জন্যে হলেও লোগাং এর কথা স্মরণ করবেন। ভুলবেন না।

সকলেই ভাল থাকুন। আনন্দ হোক।  


লেখক: ইমতিয়াজ মাহমুদ, প্রগতিশীল লেখক ও আইনজীবী। *লেখাটি ফেইসবুক থেকে নেওয়া।

শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

চাঙমা র’/মাত: ইনজেব চাঙমা

 

. কঙাত্যা- মাথা নোয়ানো।

. কঙাত্যা নাদা- গণিত টিক চিহ্ন।

. কচ্যা- কৈশোর, পূর্ণ যৌবনের পূর্বাবস্থা (কচ্যে)

. কজ্যা - ঝগড়া, বিবাদ, খড়ের স্তুপ

. কজ্যাদাদাল(কাঙকাঙ্যে)- - ঝগড়াটে, ঝগড়াবাজ।

. কবাল্যা- ভাগ্যবান।

. কাক্কাবাচ্যা- কর্কশ শব্দ, রসহীন।

. কাজ্যা- ধানের গোলা।

. কাত্যা- সুতার ক্ষেত্রে কাটা

১০. কারাসত্যা- সহজে

১১.  কিইয়ে পিরে গরানা- গড়িমসি করা, অনিচ্ছা দেখানো।

১২.  কিরব্যা- আদর

১৩. কুত্যা- কাটা অবস্থা

১৪. কুপ্যে- প্রোথিত, তীক্ষè চাহনি

১৫. কুলুক মাজ্যা- শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

১৬. কুল্যং- বেতের ঝুড়ি।

১৭. কেচ্যাবন- কাচবন।

১৮. খচখচ্যা- খসখসে, অমসৃন।

১৯. খাচ্যত- স্বভাব, চরিত্র

২০. খাইদ্যে মিধে- গুড়, আখের গুড়।

২১. খাদ্য- অনুনয় বিনয়

২২. কিল্যা- সমস্তরের আত্মীয়।

২৩. খুলখুল্যা- ফাঁপা।

২৪. খাক্খন্যা- স্বল্প সময়ে

২৫. খুল্যা ঝারা- সর্বশেষ, শেষ সম্বল।

২৬. খেল্যামেল্যা- ঠাট্টা, মস্করা

২৭. খেত্যালি- উৎসাহি কৃষক

২৮. গঙাত্য- একরোখা, একগুয়ে।

২৯. গচ্য/গজ্যা- করা হয়েছে।গচ্যানা- গড়াগড়ি করা,

৩০. গচ্যাপচ্যা- গড়িয়ে শুয়ে পড়া।

৩১.  গজ্যেনা- ভূপাতিত করা, কাটা।

৩২. গাথ্যা- বেপরোয়া

৩৩. গাদাগত্যা- ঠাসাঠাসি।

৩৪. গাহ্ রকখ্যে- নিরাপত্তা

৩৫. গাভিজ্যা- সহনীয়, কোনপ্রকার।

৩৬. গিস্যেক- সত্যি, বাস্তব।

৩৭. গিরগিচ্যা- কাঁপা

৩৮. গিল্যে গরানা- বদনাম গরানা, সমালোচনা করা

৩৯. গুঙুত্যা- টক জাতীয় ফল

৪০. গুত্যা- মগজ

৪১. ঘুত্যা- গাছের গোড়া

৪২. গ্যেন- জ্ঞান,

৪৩. ঘচ্যা- তিল

৪৪. ঘুকঘুচ্য- তীব্র, বেশীমাত্রা

৪৫. চদভত্য- অলস প্রকৃতির

৪৬. চনচন্যা- প্রাণবন্ত

৪৭. চপচপ্যা- বেশি পরিমাণ

৪৮. চাগত্যা- নোংরা

৪৯. চাঙচাঙ্যা- মেঘ মুক্ত আকাশ

৫০. চাত্যানা- নড়াচড়া করা

৫১. চিঙচিঙ্যা- তীক্ষè ধার

৫২. চিরাচির্য্যা- মৃদু ধারা, ঝির ঝিরে

৫৩. চুচ্যাং- সুচালো

৫৪.      চুচ্যেক বাচ- বয়ন কার্যে ব্যবহত বাশ

৫৫.     চোতচোত্য-  চঞ্চল

৫৬.     চুলুভুল্যা- চঞ্চল, পাগলাটে

৫৭.      ছারাল্যা- নিঃসঙ্গ, জামালে মুক্ত

৫৮.     ছেদ্যায়- সেই জন্য,

৫৯.     জনমত্যায়- চিরতরে

৬০.     ছ্যংসমা- সেেন্দহ, মানসিক অস্বস্তি

৬১.      ছনমরজ্যা- অনুভূতি হীন

৬২.     জঘাচ্যা- উপযুক্ত, যথাযথ

৬৩.     জাত্য- প্রকৃত, খাটি

৬৪.     জামাজাম্যা- জমাটবাধা

৬৫.     জাল্যে- জেলে

৬৬.     জিদাজিত্যা- প্রতিযোগীতা

৬৭.     ঝত্যেল- ঝুটি

৬৮.     ঝোকঝেক্যা- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন

৬৯.     ঝোগেইয়্যা- তাড়ানো

৭০.      দকদক্যা- তীব্র বা গাঢ়

৭১.       ধেমাধেম্যা- অনৈক্য

৭২.      ধলধল্য- আলগা, নরম

৭৩.      ধাগাধাক্যা- পাশা-পাশি

৭৪. ধাক্যা পাধাজ্যা- এলোপাথারি।

৭৫. ধেবন্যা- বদ্ধ জলা¯্রােত

৭৬. ধেবল্যে- নিঃস্ব, সম্বলহীন

৭৭. তচ্যা- বিরক্ত

৭৮. তরাতাঙচ্য- দ্রæ, তাড়াতাড়ি

৭৯. তরপ্যা কামার- সিলেট থেকে সচরাচর শীতকালে যে কামার আসে।

৮০.      তলেয়্যা- পরিলক্ষিত, যাচাই করা।

৮১.      তাক্যা- নিশানা, তাক করা

৮২.     তাখ্যা- আচ্ছাদন

৮৩.     তালাতাল্যা- অনৈক্য, একতাহীন

৮৪.      তিদিক্যা- হালকা-পাতলা

৮৫.     তিক্যা- তামাকে আগুণ ধরা কয়লা

৮৬.     তিন্যা- লেংটি

৮৭.      তেগাতেক্যা- অতি বেকায়দা।

৮৮.     তেনেয়্যা- ভিজা ভিজা

৮৯.     তোকতোক্যা- কর্মত

৯০.      তোলপল্যা- বিশ্রামহীন

৯১.      দঙেয়্যা- দমনকারী

৯২.      দরজ্য- সমুদ্র

৯৩.     দামপজ্যে- মেদবহুল

৯৪.      দিবুজ্যা- দুপুর বেলা

৯৫.     দুক্যা- দুঃখি

৯৬.     দুক্যে- পেষা, গুরা করা, বদলে

৯৭.      দুক্যাবাপভেই- সাধরণ মানুষ

৯৮.     দুমদুম্যা- প্রবল

৯৯.      দেচ পেরেত্যা- দেশ প্রেমিক

১০০.    দুরদর্য্যা- অবিরাম প্রবল

১০১.     ধচদ্যা- সীমানা দেওয়া

১০২.    ধক্যান- অনুসারে

১০৩.    ধলস্যে- সাদাটে

১০৪.    ধরাধজ্যা- সম্মিলিত ভাবে

১০৫.    ধাকপাত্যা- আক্রমণাত্মক ভঙ্গি

১০৬.   ধল্যা ভূই- বালির জমি, মরুপ্রান্ত

১০৭.    নরুচ্যা- অনাগ্রহের ভাব

১০৮.    নিদিঙ্যা- জ্যোতিষী

১০৯.    নিরাতিত্যা- অনটন; অভাব

১১০.     নন্যাশীল- বেলে পাথর

১১১.     নাঙ বাজেয়্যা- বিখ্যাত, নামজাদা

১১২.    নাঙ ডুবেয়্যা- কুখ্যাত

১১৩.    নিরাতিত্যা- অনটন, অভাব

১১৪.     পরাকবাল্য- হতভাগা

১১৫.    পতপত্য- সতেজ, তাজা

১১৬.    পত্যানা- অনুশোচনা করা

১১৭.     পত্য- বিশ্বাস

১১৮.    পত্যছাড়া- বিশ্বাসহীন

১১৯.    পত্যা- ভোর বেলা

১২০.    পাচ্যাং- চরিত্র, স্বভাব

১২১.    পাগল্যা বাচ-

১২২.    পালাপাল্যা- ক্রমানুযায়ী

১২৩.   পুজ্যা বিগুন- সমস্ত দায়

১২৪.    পুচ্ছ্যা সম্মানীত, পুজিত

১২৫.   পুচপুচ্যা- নরম

১২৬.   পুল্যাং- মাঝারি ধরনে ঝুড়ি

১২৭.    প্রæরুং পারাং- দুবোর্ধ

১২৮.   পেগেয়্যে- সুপ্রস্তুত

১২৯.    পেগাথ্যা- বিতৃঞ্চা

১৩০.    পোজ্যান- প্রতিত্তোর, যে সুতা বয়নের সময় বুনন করা হয়

১৩১.    ফাকফাক্যা- বাচাল, দিল খোলা; গোপন না করিয়া

১৩২.   ফুত্যা- ফুতন্ত, বিকশিত

১৩৩.   ফোর ফোর্জ্যা- সদালাপি, শুকনা ঝরঝরে।

১৩৪.    বজচ্যা- সমসাময়ীক

১৩৫.   বত্যা- মোচরানো অবস্থা

১৩৬.   বলাবল্যা- পরস্পর সাহায্য

১৩৭.    বলেয়্যা- যে নিমন্ত্রণ দেয়

১৩৮.   বাঙেপিচ্যা- আড়াআড়িবাচ্যে- ঘনিষ্ঠ

১৩৯.   বাচ্যে থানা- অপেক্ষা করা

১৪০.    বাজন্য পানি- ঘা বা ক্ষত থেকে নিসৃত রস

১৪১.     বাজাবাচ্যে- সংশ্লিষ্ট, ঘনিষ্ঠ, অত্যন্ত কাছে

১৪২.    বাবাবাপ্যা- পরোক্ষ, সরাসরি নয়

১৪৩.    বাবত্যা- রকম

১৪৪.    বারা বার্য্যা- বাড়াবাড়ি

১৪৫.    বাল্যা- বাবুই পাখি

১৪৬.   বিদিল্যা- বখাটে

১৪৭.    বুক লাঙলাঙ্যা- হৃদয়ে শূন্যতা, বিরহ লাগা

১৪৮.    বেকচ্যা- অসুবিধা

১৪৯.    বিতিরিক্যে- অসুবিধা, অন্য রকম

১৫০.    বিরবিক্যা- চঞ্চল স্বভাব

১৫১.    বেবেরাদ্যে- প্রচুর, পর্যাপ্ত

১৫২.   ভরদ্যা- নির্ভরশীল

১৫৩.   ভর কারজ্যা- নির্ভরশীল

১৫৪.    ভাগ্য দুঝে-  দুভাগ্য জনক ভাবে

১৫৫.   ভাচ্যং ছারা- যোগ্যাতাহীন

১৫৬.   ভারাল্যা- পেটুক

১৫৭.    ভুল ভুল্যা- দ্রæ বর্ধনশীল

১৫৮.   ভেনভেন্যা- বাচাল, ভন ভন শব্দ

১৫৯.   ভেগেদাল্যা- অগোছালো

১৬০.   ভিরা বির্য্যা- ঘনিয়ে আসা

১৬১.    মুইজ্যাং- শ্রমন (অস্থায়ী)

১৬২.   মক্যা চঙর- ভুট্টা কেশ।

১৬৩.   মচ্যা- পরিবর্তে

১৬৪.   মত্যা- বাঘের দেবতা

১৬৫.   মদামত্যা- ষ্পষ্টবক্তা

১৬৬.   মইয়্যা- অবলম্বন কেন্দ্র

১৬৭.   মল্যা- মামা

১৬৮.   মাল্যেং- এক ফলের ঘাছ লতা

১৬৯.   মুখ্যা- দিকে

১৭০.    মুত ভিজ্যা- কৃপন

১৭১.     মরামর্য্যা- পরিশ্রম সহকারে

১৭২.    মুরোল্যা- পাহাড়বাসী

১৭৩.    মেইয়্যা দারি- মমতাবান

১৭৪.    মন গুর্য্যা- মনের ভাব(শোক; দুঃখ ঈর্ষা ইঃ) চাপিয়ে রাখা এমন

১৭৫.    যঘ্য- যক্ষ

১৭৬.   রাঙচ্যা- লালচে রং

১৭৭.    লাক্যা- মত, ন্যায়

১৭৮.    লাত্যে- লাতি দেওয়া

১৭৯.    লাঙলাঙ্যা- শূন্যতা, বিরহ

১৮০.    সন্য- সৈনিক

১৮১.    সন্য হরিন- চিত্রা হরিন

১৮২.   সন্যত্- এমনি, আরে

১৮৩.   সচঝ্য- সহ্য; ধর্য্য

১৮৪.    সয়সমাজ্যা- সঙ্গীসাথী

১৮৫.   সাক্যসলা- উচ্চরক্ত চাপে ব্যবহার করা হয় বনৌষধি

১৮৬.   সাগজ্যা- প্রচুরসাঙ্যা- যুবক, অবিবাহিতা, স্ত্রী

১৮৭.    সাচজ্যে- সেজেছে

১৮৮.   সাত ভেদাম্য মানুচ- নানা প্রকৃতির স্বভাবের মানুষ

১৮৯.   সাংসাঙ্যা- নির্মল; পরিচ্ছন্ন

১৯০.    সাজিক্যা- রক্ষাণাবেক্ষণ কারি

১৯১.    সিজ্যে অভিজ্ঞ, সিদ্ধ

১৯২.    সিজ্যে তাগল- অভিজ্ঞ ব্যক্তি

১৯৩.   সিমেয়্যে- কৃপন

১৯৪.    সুচ্যা- শোধ করা

১৯৫.   সুধ্যা- সুস্বাদু খাবার

১৯৬.   সুরআহত্যা- সারিবদ্ধ

১৯৭.    হ্জ্যো হ্জ্যো- এড়িয়ে এড়িয়ে চলা।

১৯৮.   খরান্যা বগা- প্রতীক্ষামান ব্যক্তি

১৯৯.    খেরখেত্যা- হালকা- পাতলাব্যক্তি

২০০.   অতিততিয়্যা- অগত্যা, নামেমাত্র,

২০১.    অনতিত্যা- অসুবিধা

২০২.   আউলত্যা- প্রথম, প্রথমে

২০৩.   অক্যা আক্যা- এড়িয়ে চলা

২০৪.   আত্যাবরাত্যা- অনিশ্চিত

২০৫.   আদাঙ্যা- সন্ত্রাসীআদাম্য- প্রতিবেশী

২০৬.   আদিক্যা- হঠাৎ

২০৭.   আনদাজ্যে- অনুমানে

২০৮.   আবাদাস্যে- অহেতুক

২০৯.   আভাত্যা- দরিদ্র, গরীব, নিঃস্ব

২১০.    আরাং বাস্যে- মান সম্মত

২১১.    আল্যাং- আবদার

২১২.    উঙুল্যা- একটু আগে

২১৩.   উঙুচ্যা- ভেপসা গরম

২১৪.    উত্যে- উন্মুক্ত, বাধাঁহীন

২১৫.   উমচাজ্যা- পেটে গ্যাস জমানো

২১৬.   উরঘুন্যা- বাতামহীন

২১৭.    রেনারেন্যা- পরস্পর শত্রæতা মনোভাবপন্ন অবস্থা।

২১৮.   লরখর্য্যা- দীর্ঘসূত্র

২১৯.    লকধক্যা- নড়েবড়ে

২২০.   লামালাম্যা- সমান নয়

২২১.    লাক্য- মত, ন্যায়

২২২.   সচঝ্য- সহ্য

২২৩.   বাভাবাপ্যা- সরাসরি নয়, পরোক্ষ

২২৪.   আথ্যা- অনর্থক

২২৫.   আদিক্যা- হঠাৎ

২২৬.  আল্যাং- আবদার

২২৭.   আমন্যা- শারীরিক বা ¯œায়বিক দুর্বলতা

২২৮.   ইত্যায়- কারনে

২২৯.   উদ্যা- উন্মক্ত, উদাস

২৩০.   উর উজ্যাঝর- মুষলধারে বৃষ্টি

২৩১.   এগাচাজ্যা- অসামাজিক

রা- দিলে(-ফলা) বানানা:

২৩২. ক্রেরেইং- হাতির ডাকার শব্দ।

২৩৩. খেত্রী- তেজি, ক্ষত্রিয়য়োচিত

আহ্- দিলে(-ফলা) বানানা:

২৩৪.   গরাহ্- মদ তৈরির পর পরিত্যাক্ত অংশ

২৩৫.  গরহ্- অবলম্বন

২৩৬.  গাহ্ মাজি- সহচর, দেহরক্ষী।

২৩৭.   গাহ্ক- ক্রেতা

২৩৮.  সারাহ্- সারহীন

২৩৯.   ছারাহ্- নির্জন, জনমানবহীন

২৪০.   বানাহ- ধা ধা

২৪১.    পারাহ্- সমান

২৪২.   বহ্ গরানা- চুরি করা

২৪৩.   বহ্- ভূতের বা দৈর কারণ

২৪৪.   বহ্ যানা- ব্যর্থ হওয়া

২৪৫.   বহ্নি- বহন

২৪৬.   বালাহ্- বংশ, অস্তিত্ব

২৪৭.   বেআহ্ল- দুরবস্তা; দুর্শশা গ্রস্থ

২৪৮.   মালাহ্- প্রজনন ক্ষমতাহীন শুকর।

২৪৯.   মেলাহ- প্রশস্থ

২৫০.   মেহ্ল- বিষ

২৫১.   মেহ্ত- গুপ্তধন

২৫২.   মেনাহ্- বাকানো

২৫৩.  মুহ্লুক- পরিপুষ্ট, প্রধান ব্যক্তিগণ

২৫৪.   রহ্ -থাক

২৫৫.  রাহ্- ব্যাবস্থা

২৫৬.  লিহ্ লেচ্যা- পেট খালী

২৫৭.   আহ্ল্যানা- রোপিত চারা সতেজ হওয়া

২৫৮.  রুহ্ং রাহ্ং- শিলাময়; বন্ধুর পার্বত্য ভূমি

২৫৯.   রাহ্দত- দুর্ভিক্ষে

২৬০.   রঘরুখ্যে- বিদ্বেষ ভাবাপন্ন

২৬১.   রেনারেন্যা- পরস্পর মুখোমুখি অবস্থা

২৬২.  লাহ্দিঘলী- দীর্ঘ সূত্র

২৬৩.  লুরহ্- মশাল

২৬৪.   লুংগুরুঙ্যা- অতিশয়

২৬৫.  আহ্দানা- অনুকরণ করা, হাাঁটা

২৬৬.  আত্তুব- ডগা ভাঙিয়া গিয়েছে

২৬৭.   আদিক- এমনিে

২৬৮.  আদেই- গুপ্তধন

২৬৯.  আধাগবা- সুসম্পন্ন নয়, অপরিপূর্ণ

২৭০.   আদারানা- সরিয়া যাওয়া, সরিয়ে ফেলা

২৭১.    আদালং ফাদালং- আজে বাঝে, অনভিজ্ঞতা

২৭২.   অনাল- দুরবস্থা, অসহায় অবস্থা,

২৭৩.   আনেঘানে- আকারে ইঙ্গিতে

২৭৪.   আপঝাপ- কাজের চাপ, বিপদ

২৭৫.   আবরখানা- আশ্রয় লওয়া

২৭৬.   আবেদি- অপরিপক্ষ, কচি বয়স

২৭৭.   আবিচজনে- পরোক্ষ,

২৭৮.   অবেলত- ভাল, সুন্দর

২৭৯.   আভাকবাক- অতি বড় ঘা

২৮০.   আমক- আশ্চার্য, বিস্ময়

২৮১.   আমন- নিজ

২৮২.   আমল- আসক্তি, সময় কাল

২৮৩.  আমত- ঘর

২৮৪.   আমাত- নির্বাক, বাকশক্তি হারা

২৮৫.  আমিজে- সবসময়

২৮৬.  আলজে দেনা- উস্কানি দেয়া

২৮৭.   আলাঝে- এমনিতে, সর্বমোট

২৮৮.  আলাঝালা- প্রচুর

২৮৯.   আলাম- চিত্র, সূত্র

২৯০.   আয়ছায়- প্রচুর

২৯১.    আরচাল্লো- শক্ত, রুক্ষ স্বভাবে

২৯২.   আরা- জঞ্জাল

২৯৩.   আরালা- অসমাপ্ত

২৯৪.   আরি- সুযোগ

২৯৫.   আলগে চানা- ওজন করা

২৯৬.  আরকানি- প্রস্তুতি, সূচনা

২৯৭.   আললো- অনর্থক

২৯৮.   ইগিলে- সময়ে

২৯৯.   ইলভিল- শৃঙাখলা

৩০০.   ইমে- শপথ, প্রতিজ্ঞা

৩০১.    উচ- সর্তক

৩০২.   উজ- এগিয়ে যাওয়া

৩০৩.   উঝোল- আদায়, বোঝা

৩০৪.   উদিচ- উদ্দেশ্য

৩০৫.   উদোর- ধার

৩০৬.  উদোত থুধোত পানি নেই- চরম ব্যস্ততা

৩০৭.   উন- তম

৩০৮.   উবলফাল- প্রচন্ড উৎসাহী

৩০৯.   উভনা- শেষ

৩১০.    উরজারা- নিঃস্ব

৩১১.    উলমত্ত- চঞ্চল চিক্ত

৩১২.   এওজি- প্রতিনিধি

৩১৩.   একছলা- এক সময়

৩১৪.    এক হ্রো- একই রক্ত সম্পর্ক

৩১৫.   এগজা- অবিরাম

৩১৬.   এগামার- একাগ্রতা

৩১৭.    এগেম- একাগ্রতা

৩১৮.   এগাবল- নিজবল

৩১৯.   এগোত গরি- হঠাৎ

৩২০.   এরাবেরা- জটিল, আকাবাকা

৩২১.   এতানে উতানে- সব কিছু মিলিইয়া

৩২২.   এত্থে- অতীতে

৩২৩.  এজাল- সাহায্য

৩২৪.   এরানা- ছড়ানা, পরিত্যাগ করা

৩২৫.  এদা জুরনা- ভয় পাওয়া

৩২৬.  ওচ- ইচ্ছা, আগ্রহ

৩২৭.   ওজে- ইচ্ছা করে

৩২৮.  ওজোদি- অযথা জেদ

৩২৯.   ওল- বিভ্রান্ত(পদত ওল উয়ং)

৩৩০.   ওলমত্ত- প্রচন্ড উৎসাহি

৩৩১.   ওলিপ- গাফলতি

৩৩২.  কক্কবেই ধরানা- আগলে ধরা

৩৩৩.  কচ কচ- অসন্তÍুষ্ট

৩৩৪.   কমত- কমপক্ষে

৩৩৫.  করকরা- অস্ত্রসস্ত্রসহ ন্দায়মান

৩৩৬.  করম- কাজ

৩৩৭.   কল নাড়ানা/লারানা- যড়যন্ত্র করা

৩৩৮.  কেলকালা- বোকা প্রকৃতির

৩৩৯.  কাঙকাঙ- ঝগড়াটে

৩৪০.   কদগী- রসযুক্ত কথায় পারদর্শী

৩৪১.    কানসুক- শ্রæতমধুর

৩৪২.   কান উভ উভ- সবসময় সর্তক

৩৪৩.   কাবুক- ফাঁদ

৩৪৪.   কাবিল- দক্ষ, পট

৩৪৫.   কামমো- যে কাজ করে, শ্রমজীবি

৩৪৬.  কারি- কাজ হওয়, কার্যকরি, ফলদায়ক

৩৪৭.   কালকাদা- দুঃসময়, দুর্বস্থা

৩৪৮.   কিদিঙ- হাত-পা কাঁপা

৩৪৯.   কাডাকাডা- বিপুল সংখ্যক, কন্টকাকীর্ণ

৩৫০.   কাত- পারদর্শী, চৌক

৩৫১.   কিদুক- কত (তমা ইদু কিদুক বের্যাম্মি)

৩৫২.  কিরিক কারাক- খামখেয়ালী, তামাশা

৩৫৩.  কিরিমিরি- ঝামেলা, খেয়ালিপন

৩৫৪.   কিয়েচ- অনুমান

৩৫৫.  কু- খারাপ

৩৫৬.  কুচ- নকশা

৩৫৭.   খুচ- পদক্ষেপ, চিহ্ন

৩৫৮.  কুজানা- বপন কর

৩৫৯.  কুজোলী- অনুনয়, বিনয়, অনুরোধ

৩৬০.  কুজোক- বাগ, ক্ষোভ

৩৬১.   কুৎ- সর্বশান্ত, নিঃশেষ

৩৬২.  করুক- জব্দ

৩৬৩.  কুলুক- ঘোলা

৩৬৪.  কচ্ছা- বাজে, তুচ্ছ

৩৬৫.  কেচ্ছা কুচ্ছ- নগণ্য/সামাণ্য

৩৬৬.  কেজানা- মাজা, ঘষা

৩৬৭.  কেধা কেধা- ছিন্ন ভিন্ন

৩৬৮.  কেধা পুরানা- সর্বনাশ করা, নিকাশ করা

৩৬৯.  কেবার- দরওয়াজা

৩৭০.   কেলচ- দুঃখ

৩৭১.    কোয়াচ- সুবিধা, সুযোগ(জুৎ)

৩৭২.   খম- ভয়(খম দেঘায়)

৩৭৩.   খরম- পাদুকা:(বাচ খরম)

৩৭৪.   খত্তাল- দজ্জাল, ঝগড়াতে

৩৭৫.   খদাত্তালাক- মহা বিপদ বা দুগর্তি

৩৭৬.  খরল্লুয়- ক্ষতি, ঝগড়াতে

৩৭৭.   খদা দেন- দোষারোপ করা;

৩৭৮.   খদার পাদারী- প্রচন্ড বিরোধী

৩৭৯.   খাউজ উরানা- ধরতে চেষ্টা করা

৩৮০.   খাপদেনা- ঘাপতি মেরে থাকা

৩৮১.   খামখানা- স্বীকার করা

৩৮২.  খিলখিলিনা- নিভয়ে বিচরণ করা

৩৮৩.  খুচখজানা- মনের অস্থিরতা

৩৮৪.   খুমও- নিষিদ্ধ কাজ

৩৮৫.  খুয়ানি- অনুপস্থিতি, কামাই

৩৮৬.  খেমানা- ক্ষান্ত হওয়া

৩৮৭.   খিরিচ- আলাদা

৩৮৮.  খিলা- অকর্ষিত জমি

৩৮৯.  খুন্ধ- শস্যদির মৌসুম

৩৯০.   গজক- অধীকারি

৩৯১.   গজেন- সৃষ্টি কর্তা

৩৯২.   গজাং গজাঙ- ক্ষিপ্রগতিতে

৩৯৩.  গধা- বাধ

৩৯৪.   গপগবেই- দপদপ করে

৩৯৫.  গধেল- অনেক

৩৯৬.  গর্বা- অতিথি

৩৯৭.   গরচ- প্রয়োজন

৩৯৮.  গধে গধে- জনে জনে

৩৯৯.   গবলা- বেনামি চিঠি

৪০০.    গভীন- গভীর, গহিন

৪০১.    গাঝিক- ফাকা

৪০২.   গাউলি- শারিরীক অবস্থা

৪০৩.   গাঅদামি- গোয়ারর্ত্তুমি

৪০৪.    গাপ্পেই- গড়িমসি ভাব

৪০৫.   গানে গানে- কোন রকমে

৪০৬.   গিগির গাগার- হাটার সময় কাপা

৪০৭.    গুলেক- কিছু, সমান্য কিছু

৪০৮.   গুঝি গুঝি- গুমরিয়া কাদা

৪০৯.   গুদি- অবস্থা

৪১০.    গুনঝেত- গুপ্ত বিষয়, গুপ্ত রহস্য

৪১১.     গুমেই যানা- অতিবাহিত করা

৪১২.    গুর্লেক- গুটি কয়েক

৪১৩.    গোর আহদা- নির্বেশেষে, বাছ-বিচার না করে

৪১৪.    ঘদমদ- জটিল, গোলমাল

৪১৫.    ঘজা খারাপ- অবস্থা খারাপ

৪১৬.   ঘাচ্ছারা- কথা প্রকৃতি,সুর

৪১৭.    ঘাদু ভাঙা- অনভিজ্ঞ

৪১৮.    ঘান্দা দোর- সীমানা, কাছে

৪১৯.    ঘাজানা- কাহাও, অনুরূপ

৪২০.   ঘিলাদাত- সাহসী

৪২১.    ঘিলা জবর- দুঃসাহসী

৪২২.   ঘুঞ্চিমুঞ্চি- ঘনিষ্ট ভাবে

৪২৩.   ঘুপ- নির্জন লোকান্তরাল

৪২৪.   ঘুর- গোলা, অস্বচ্ছ

৪২৫.   ঘেচগেজে- দ্বিধাহীন চিক্তে

৪২৬.   চাগলা চগলা- ভাসা ভাসা

৪২৭.   চিদাচজ্জা- ভাবনাচিন্তা

৪২৮.   চচজানা- পরচর্চা

৪২৯.   চত্তা পাগল- মানসিক বিকার গ্রস্থ

৪৩০.   চদু- অতবাক

৪৩১.    চাঘীচানা- পরীক্ষা করা

৪৩২.   চবা- ছিবড়া, অসার পদার্থ

৪৩৩.   চাগালা- এলাকা

৪৩৪.   চরামের- অজান্তে আঘাত

৪৩৫.   চর- কম গভীর, গোয়েন্দা, আরোহন

৪৩৬.  চাদি- বাতি

৪৩৭.   চিচিক্যা- তীব্র

৪৩৮.   চিগুত- ব্যাখ্যা

৪৩৯.   চিলেপিত্তে- ডিগবাজি

৪৪০.    চিতজুরানা- মনের আনন্দ লাভ, চমৎকার

৪৪১.    চিত পাগল- সহজে ভুলে যায়

৪৪২.   চিতমরা- ভগ্ন হৃদয়

৪৪৩.   চিবুঙ- ছায়া শীতল স্থান

৪৪৪.    চিতদিঘোল- প্রাণপণ

৪৪৫.   চিমোর- শক্ত, কঠিন

৪৪৬.   চিলিবিলি- অস্থির চাল চলন

৪৪৭.    চিয়োবলা- সাহসী(চো বলা)

৪৪৮.   চুদা চুদা- অনর্থক

৪৪৯.   চুনাভুনা- লজ্জায় মুখ লাল

৪৫০.   চেগেলেং- অনভ্যাস

৪৫১.    চেগে- উপদেষ্টা মন্ত্রী

৪৫২.   চেরে¯তা- চেষ্টা; পরিচর্যা

৪৫৩.   চোক খুলনা- মতেন হওয়া

৪৫৪.   চৈদাল- উচ্ছঙ্খল, ্উদ্দাম নৃত্য

৪৫৫.   চৌসামা- পটু

৪৫৬.  পু পু- সংখ্যা বৃদ্ধি

৪৫৭.   ছলা ছলা- বার বার

৪৫৮.   ছলং- ছন্মবেশছদক- অলোর ছটা

৪৫৯.   ছরবো- ভাসা ভাসা

৪৬০.   ছারানাধা- বিপর্যস্ত

৪৬১.   ছিরেকাবা- সম্পর্ক শেষকরা

৪৬২.   ছিনালি- নরনারি অবৈধ সম্পর্ক

৪৬৩.  ছেজা- পিটুনি

৪৬৪.   ছেম- অঙ্কুর

৪৬৫.  জঘা- পরিমাপ(জঘার)

৪৬৬.  জধন- বিাহ বন্ধন

৪৬৭.   জনমকাল- জীবনকাল

৪৬৮.  জবান- প্রতিশ্রæতি

৪৬৯.   জৎ- জটিল

৪৭০.    জাঙি- পাখি ধরার ফাঁদ

৪৭১.    জাত্যা- প্রকৃত

৪৭২.   জায় জুক্কল- প্রস্তুতি লওয়

৪৭৩.   জাঙার- মরিচিকা

৪৭৪.    জাবিন- জামিন

৪৭৫.   জিতবাত- প্রতিযোগীতা (জিদাজিত্যা)

৪৭৬.   জিতগিন- প্রতিযোগিতা মনোভাব

৪৭৭.    জুচ- আস্তে

৪৭৮.   দক- তেজ, তীব্র

৪৭৯.   ধক- চেহারা

৪৮০.   দঙল- অধিকারি

৪৮১.    দগুলা খের- দুর্বাঘাস

৪৮২.   দঙানা- দমন করা

৪৮৩.   দজামরা- অসম্পন্ন খাওয়া

৪৮৪.   দজর- পৃথক, আলাদা

৪৮৫.   দঝা- বিপদ, দমা

৪৮৬.  দথ্যা- খুব, অত্যন্ত, প্রকৃত

৪৮৭.   দরপ- দ্রব্য

৪৮৮.   দাঙা আগুন- দাবানল

৪৮৯.   দাঙর মু- আশাবাদিতা

৪৯০.   দায়খামারা- নিশ্চিত করা

৪৯১.    দারিত- দুষ্ট, দুরন্ত

৪৯২.   দাদন- অগ্রীম

৪৯৩.   দানা- ভাগ্য; সৌভাগ্য

৪৯৪.   দারখা- দূর্গতি

৪৯৫.   দীঘলি- দৈর্য্য বরাবর

৪৯৬.   দিককাবুল- দিশাহার

৪৯৭.   দিঝা- সুবিধা; উপায়; সুযোগ

৪৯৮.   দিতদেরি- অসুবিধা; বিরক্তি

৪৯৯.   দিন পানা- সুদিন, সুক্ষণ

৫০০.   দিন ভাক- দিনের বেলায়

৫০১.    দুঘুত- হৃদপিন্ডের জোরে কম্প

৫০২.   দিচতি- নজর

৫০৩.   ধের গরানা- অসম্পর্নকাজ সম্পর্ন করা

৫০৪.   দুক দরপ- দুঃখ, কষ্ট

৫০৫.   দুরত- দুরত্ব

৫০৬.  দেবংসী- দেবতার অংশ

৫০৭.   দেচ ফাত্তা- দেম ভ্রমণকারি

৫০৮.   দেম তলনা- কোনকিছু অজুহাতে তেজাল সৃষ্টি কারি

৫০৯.   ধগর- রকমে; প্রকারে

৫১০.    ধচ- সীমানা

৫১১.    ধাপ- আগ্রহ

৫১২.   ধারাদিঘলি- ক্রমান্বয়ে, ধীরে ধীরে

৫১৩.   ধারাচ- আকাঙ্খা

৫১৪.    ধারানে- তুলনা

৫১৫.   ধারামজিম- নিয়ম মাপিক

৫১৬.   ধুঝানা- লক্ষ্যে পৌছানো

৫১৭.    ধন্ধুক- অনুতাপ; দুঃখ

৫১৮.   ধুর- পথ

৫১৯.   ধেঞ্ঝাংমেঞ্ঝাং- আনাড়ি কাজ

৫২০.   ননেই- সোহাগ

৫২১.   নাক অজল- গর্বিত

৫২২.   নাখাচ- অবজ্ঞা; উপেক্ষা

৫২৩.  নাগ কুচকুচ- খিটখিটে

৫২৪.   নাদান- পেটুক

৫২৫.  নাধা- নিঃস্ব

৫২৬.  নানু- প্রভু; মালিক

৫২৭.   নাবুংনাবাং- নাবালক প্রকৃতির

৫২৮.  নাল- নালা; সুব্যবস্থা

৫২৯.   নিঝানি- নিশানা

৫৩০.   নাঙবাচ- চিহ্ন, ছায়া

৫৩১.   নাঙেচাঙে- নামেমাত্র

৫৩২.  নিত্তো- প্রতিদিন

৫৩৩.  নিত্তোকাল/ নিত্তো সমার- প্রতিদিনকার; পার্থিব; নিত্য সহচর

৫৩৪.   নিধুর- নিষ্ঠুর

৫৩৫.  নিম্মো- মৌন

৫৩৬.  নিচিদা- চিন্তাহীন

৫৩৭.   নিবিলি- রুদ্ধ; নিঃছিদ্র

৫৩৮.  নলোচ- তোষামোদ

৫৩৯.  নিধকতুক- একমাত্র; সর্বশেষ

৫৪০.   নিবির- চুপচাপ; শান্তশিষ্ট

৫৪১.    পত্থমে- বাস্তবে; প্রথমে

৫৪২.   পদর- জ্ঞান, বুদ্ধি

৫৪৩.   পদে ঘাদে- এখানে সেখানে

৫৪৪.   পরছাল্লুয়া- পরগাছা

৫৪৫.   পরং- পরিবর্তন; বাসস্থান ত্যাগ

৫৪৬.  পর্বোয়া পুনদিক- জ্ঞানি শিক্ষিত লোক

৫৪৭.   পরাক- স্পষ্ট ভাবে

৫৪৮.   পলিম- প্রথমে

৫৪৯.   পল্লা- স্তর; বার  (খেপ)

৫৫০.   পাংখা- দক্ষ; নিপুণ; পাকা

৫৫১.   পরোল্লো- মনোমানিন্য

৫৫২.  পাওনদি- প্রাপ্তি, পাওনা

৫৫৩.  পাকচক্কর- কলা কৌশল, বুদ্ধি

৫৫৪.   পাত্তলি- দাড়; হাল

৫৫৫.  পাত্তলি- মাঝি; চালক

৫৫৬.  পাত্তুরুতুরু- স্বাগতম

৫৫৭.   পাবা- এক চতুর্থাংশ, পোয়া

৫৫৮.  পার- তীর; সক্ষম; নামানো

৫৫৯.  পারজার- বিনিময়

৫৬০.  পারং চৌধুরি- বড়াই; আত্মম্ভিরিতা

৫৬১.   পালং- নেশা (আমল)

৫৬২.  পিচ্ছবারি- প্রতিক্রিয়া

৫৬৩.  পিতবাহোলী- পশ্চাদচরন

৫৬৪.  পুজুং পাজারাং- আজে বাজে খাদ্য

৫৬৫.  পুদি পুদি- পদে পদে; খুঁটি নাটি; পুংখানুপুংখ ভাবে

৫৬৬.  পুর- নির্ধারীত দিনক্ষণ

৫৬৭.  পেদেরা পেদেরি- সুপ্রচুর

৫৬৮.  পের পেরেই- দ্রæ

৫৬৯.  পুল, পোল দেনা- প্রতিস্থাপন

৫৭০.   পেজাল- জামেলা

৫৭১.    ফগদাং- প্রভাত

৫৭২.   ফদক- বাবুগিরি

৫৭৩.   ফাগত সমানা- অংশ নেয়া

৫৭৪.   ফাত্তুয়- ভব ঘুড়ে

৫৭৫.   ফির্তি- জলাশয়

৫৭৬.  ফুল ফুল চাং চাং- অত্যন্ত আদরে

৫৭৭.   ফেধা- বাজে; অপদার্থ

৫৭৮.   ফের্য্যা- বাক পটু, কথাবার্তায় স্বচ্ছন্দ

৫৭৯.   ফিবলক- পাশ কেটে যাওয়া

৫৮০.   ফালত পড়ানা- বিপদে পড়া

৫৮১.   ফিরি ফিরি- বার বার

৫৮২.  ফাবি- অসতী

৫৮৩.  ফুলু ফালা- আবোল; তাবোল

৫৮৪.   ফুরি উদনা- ভেদ করে উঠা

৫৮৫.  ফেচ- নিন্দা

৫৮৬.  ফেজেরা- অসুস্থতা; আগাছা পূর্ণ

৫৮৭.   ফো- ধন্যবাদ, প্রশংসা

৫৮৮.  বকলম- নিরক্ষর

৫৮৯.  বজং- বাজে; খারাপ

৫৯০.   বর্তা- বর; আর্শীবাদ

৫৯১.   বঙপাদার- বিস্তৃত ছড়িয়ে ছিটিয়ে

৫৯২.   বতনাঙ- দৃনার্ম

৫৯৩.  বাইনি প্রংশসা

৫৯৪.   বচঅনা- বশীভুত হওয়া

৫৯৫.  বল্লুয়া মুল্লুক- অনুন্নত; জোড়যার মুল্লুক তার

৫৯৬.  বরামত- অভিযোগ

৫৯৭.   বাক্কুয়া- শ্রমিক; শ্রমজীবি

৫৯৮.  বরগিরি- অভিজাত্য পরিবার

৫৯৯.   বাচ অনা- মনকষাকষি

৬০০.   বাচ পাদা খবর- ভিত্তিহীন কথা

৬০১.   বাজুক বাজাক- অসুবিধা

৬০২.   বানিমর- ক্ষণস্থায়ী

৬০৩.  বাবদে বাবদে- পদে পদে

৬০৪.   বাম- এলাকা

৬০৫.  বার- অহংকার

৬০৬.  বিজক- বংশ বৃত্তান্ত

৬০৭.   বিধু- প্রিয়া

৬০৮.  বিনোন- বিলাপ; অনুতাপ

৬০৯.   বিমু- অনিচ্ছুক

৬১০.   বিরিক বারাক- অদ্ভূত

৬১১.    বিনি আধা- নাছোড় বান্দা

৬১২.   বিরিযানা- এড়িয়ে  যাওয়া;

৬১৩.   বুগি- বোঝা

৬১৪.   বুত্থি- বর্তিকা

৬১৫.   বুক ভাঙানা- আশাহীন হওয়া

৬১৬.   বুক আঙানা- হৃদয় দগ্ধ হওয়া

৬১৭.   বুক ভরানা- আশান্বিত হওয়া

৬১৮.   বুগ পাাদা- সাহস

৬১৯.   বুদ্ধি দিপ- বুদ্ধিজীবি

৬২০.   বুর পারানা- নামে মাত্র কিছু দিয়ে দায় এড়ানো

৬২১.   বেকভাক- অধিকাংশ

৬২২.  বেদমা- বোকা

৬২৩.  বেবুলা- বিভ্রান্ত

৬২৪.   বেগেদো- অনেক; প্রচুর

৬২৫.  বেলক- পৃথক; বিধায়

৬২৬.  বেলে কধা- ভিত্তিহীন কথা

৬২৭.   -বুঝানা- অবস্থা ভাব বুঝা

৬২৮.  ভচ- নিভিয়া যাওয়া; ভম্ম হওয়া; বিলুপ্ত হওয়া

৬২৯.  ভজানা- প্রার্থনা

৬৩০.  ভাক যুক- ভাগা ভাগি

৬৩১.   ভঙচঙ- সৌন্দর্য

৬৩২.  ভজি পরানা- আত্মসমর্পন করা

৬৩৩.  ভারান- প্রতারণা

৬৩৪.  ভান্নেই- খারাপ

৬৩৫.  ভরন- পূর্ণ

৬৩৬.  ভরন গাভুর- পূর্ণ যৌবন

৬৩৭.  ভরন পুজোন- ভরণ পোষণ

৬৩৮.  ভরপু- পুরোদমে; পূর্ণ মাত্রায়

৬৩৯.  ভরি- এক তোল ব্যাপি; জনম জীংহানি

৬৪০.   ভাক্কা- রীতি নিয়ম; প্রথা

৬৪১.   ভরন পিরোন- ভরপুর; স্বাস্থ্যাবান

৬৪২.   ভাক ভাগেই- গপাগপ গোগ্রা¯েত; দ্বিধাহীন

৬৪৩.  ভাঙা কপাল- দৈবৎ; ভাগাচক্রে

৬৪৪.   ভগাজুক- আলাদা প্রকৃতি

৬৪৫.  ভনা- বড় আকারে

৬৪৬.  ভান্দাল- ভান্ডার

৬৪৭.   ভাপ উধে- মানসিক চিন্তে ভেসে উঠে

৬৪৮.  ভালেত- সফল; উন্নয়ন; ভাল

৬৪৯.   ভালেত দিন- সুদিন

৬৫০.  ভিধা উধানা- নির্মূল; ধ্বংস হওয়া

৬৫১.   ভিরুং ভিরুং- মানসিক অস্থিরতা; চঞ্চল

৬৫২.  ভিলি- জন্য; কারণে

৬৫৩.  ভুকলনা- ডুবে মরা

৬৫৪.  ভুজুত- হঠাৎ

৬৫৫.  ভুজুমো- খুব বড়

৬৫৬.  ভুক- ক্ষুধা; রুচি; ভোগ

৬৫৭.  ভুভুকছারা- প্রয়োজনাতিরিক্ত

৬৫৮.  ভেচ- বেশ; ছদ্মবেশ

৬৫৯.  ভেদ- খবর; তত্ত¡

৬৬০.  ভেদানা- সাক্ষাৎ করা

৬৬১.   ভেল দেনা- মানাইয়া চলা

৬৬২.  ভেদাম- সক্ষমতা

৬৬৩.  ভেদেলাম- তথ্য সয়বাদ তত্ত¡

৬৬৪.  মজিমমত; সুবিধা অনুযায়ী

৬৬৫.  মঙচা- বিমর্ষ; চিন্তা যুক্ত

৬৬৬. মচজাভাঙা- স্পষ্ট

৬৬৭.  মন মজিম- মনের মত

৬৬৮.  মত্তন- মাত্র; অমনি; পর্যন্ত

৬৬৯.  মধংমাধাং- হৃষ্ট; পুষ্ট

৬৭০.   মনগজা- মনের ইচ্ছা অনুসারে

৬৭১.   মন জকি- ইচ্ছা; অভিলাষ

৬৭২.   মধা- কৃপণ

৬৭৩.  মনজুর- মানসিক অবস্থা

৬৭৪.   মন কাদা কাদি- মনোমালিন্য

৬৭৫.  মন ভাঙা- হতাশ

৬৭৬.  মন জক্খা- ইচ্ছামত

৬৭৭.   মন বাঝি থানা- আকর্ষণীয়

৬৭৮.  মন কামারানা- মনে বেদনা বা আঘাত দেওয়া

৬৭৯.   মরা মরা- দুর্বল

৬৮০.  মাজারা- চিহ্ন

৬৮১.   মেলিক- সামাজিক

৬৮২.  মুঝুঙ- সামনে

৬৮৩.  মুর ধুজি- গভীর, মনযোড় বা আগ্রহের

৬৮৪.  মু তুলনা- উঠে দাড়াঁন

৬৮৫.  মহ্- সম্ভাব্য

৬৮৬.  মুধেমাধে- একত্রে, সর্বমোট

৬৮৭.  মোর ফিরিল- অবস্থা পরিবর্তন

৬৮৮.  যমসম- তীব্র; ভয়ঙ্কর

৬৮৯.  যাঙাল- পথ

৬৯০.  রনদুক- সংগ্রাম দুঃখ; শ্রম কষ্ট

৬৯১.  রিপরিপ- দূরত্ব: বশতঃ

৬৯২.  রন কাবানা- উত্তেজনা

৬৯৩.  রবা- মীমাংসা

৬৯৪.   রিনান- লক্ষ্য করা

৬৯৫.  রিবেং পঝা- অন্তসারহীন

৬৯৬.  রিবেং দর- কঠিন মূল বিশিষ্ট

৬৯৭.   রুখি থানা- প্রতিশোধ নেবার অপেক্ষা থাকা

৬৯৮.  রেপ- খাড়া পাহাড়ে সমান শিলাময় স্থান

৬৯৯.  রেচ- কোজের যোগসূত্র (জের)

৭০০.    রেনা রেনি- দৃষ্টি; চাওয়া

৭০১.    লকফক- সং¯্রব; সম্পর্ক

৭০২.   লঙগা পরা- ধূর্ত

৭০৩.   লজরফজর- গোলমাল

৭০৪.    লক্খ- প্রিয়

৭০৫.   লজ্ঝেই ধজ্ঝেই- দুর্বল বা আহত অবস্থার অত্যন্ত কষ্টে সৃষ্টে নড়াচড়া করিয়া।

৭০৬.   লবিয়ত- অভ্যর্থনা; অথিতি পরিচর্যা

৭০৭.    লত- যাত্রা

৭০৮.   ললচ- মেলা মেশা (ললচ ফলচ)

৭০৯.   লাক- যোগ্য; সমর্থ; উপযুক্ত

৭১০.    লাগর পোয়া- সামাথ্যবান; কর্মক্ষম

৭১১.     লাক্কুয়া- শর্তাধীন; লগ্নী

৭১২.    লাচ্ছার- বিনিময়ে; তবে(তা লাচ্ছার মুই এযঙর)

৭১৩.    লালচ- আগ্রহ

৭১৪.    লালা বাজি- অনর্থক কালক্ষেপ

৭১৫.    লিয়ং লিয়ং- উদ্দেশ্যহীন ভাবে বেড়ানো

৭১৬.   লুদুপুদু- জড়িত; মেলামেশা

৭১৭.    লুদু- ভাল স্বভাবের

৭১৮.    লুদু চাল চলন- সৌজন্য মূলক

৭১৯.    লুদুরুং ফুদুরুং- অপ্রয়োজনীয়

৭২০.   লেঙুর- শয়তান

৭২১.    লেদা- দুর্বল

৭২২.   লেবা- নাবালক

৭২৩.   লেম পেদানা- অজুহাত খোজা; সুযোগ খোজা

৭২৪.   লেদাপেদা- দৈহিক সংসগে; ঘনিষ্ঠতা

৭২৫.   লেম্বানা- লাগিেেয় থাকা; অনুসরন করা

৭২৬.   সচ দেনা- সুযোগ দেওয়া

৭২৭.   সচচদনা- ছটপট করা

৭২৮.   সচ্চরম- হালকা; দুঃখ লাঘব

৭২৯.   সজাক- সর্তক

৭৩০.   সত নেই- চেতনাহীন

৭৩১.    সপ্পানত- সবসময়; সব ব্যাপার

৭৩২.   সমত- সহ; প্রয়োজনে

৭৩৩.   সমানে- সব সময়

৭৩৪.   সলা সলা- থেমে থেমে

৭৩৫.   সয় সম্পত্তি- সহায় সম্বল

৭৩৬.  সলে সাত- সহজে; সল্প সময়ে পরিশ্রমে

৭৩৭.   সাতকাম- বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজ

৭৩৮.   সাধা- ভাগ্য; সাধ

৭৩৯.   সাবাক- পরিষ্কার

৭৪০.    সাল্টিং- খাটি

৭৪১.    সাত বিলত উড়িনে এক বিলত দুঅ শুগানা- নানা অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ; ধূর্ত

৭৪২.   সাদত- প্রারম্ভে; শুরুতে

৭৪৩.   সাপসুপ- পরিষ্কার; দ্বিধাহীন ভাবে

৭৪৪.    সার গরানা- ত্যাগ করা; দৃঢ় প্রতিজ্ঞা হওয়া

৭৪৫.   সিউলি- বিয়েতে যে টাকা উপহার দেয়া হয়

৭৪৬.   সিদিম- কষ্ট; দুরবস্থা

৭৪৭.    সিঙোর কাবা- অকৃজ্ঞতার কাজ করা

৭৪৮.   সিচজোত-- দুযোর্গ; দুবস্থা

৭৪৯.   সিয়ং সামা- দুচিন্তা; সন্দেহ

৭৫০.   সিধুগা- তথাকার

৭৫১.    সুনজুক- সরঞ্জাম; আরাম

৭৫২.   সুল্লুক- শলা পরামর্শ

৭৫৩.   সেদাম- সাধ্য; সমর্থ্য

৭৫৪.   সুয়োল- তর্ক; প্রতিবাদ

৭৫৫.   সগার- প্রচুর

৭৫৬.  অহ্ভা অহ্ভা কবা কবা- অসহায় অবস্থা

৭৫৭.   আহ্ঙানা- জ্বলা

৭৫৮.   আহ্ঞ্জাম- নিয়ন্ত্রণাধীন

৭৫৯.   আহ্লি- মালা

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...