মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

জাদর সেবক নোয়ারামা চাঙমা ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষীকি: নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ

 

নোয়ারাম চাঙমার অপ্রকাশিত বই “আঞ্জি” দেখাছেন সুনানু আর্য্যমিত্র চাঙমা, চাঙমা লেখক সদস্য, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ।


চানে সূর্য্যে সদর ভেই

ঝু জানাঙর ভূমিত থেই।

 

আজ ৮ নভেম্বর ২০২২ খ্রি. ২৩ কাদি ১৪২৯ বাংলা, ২৫৬৬ বুদ্ধ বঝর, মঙ্গলবার । সুনানু নোয়ারামা চাঙমা ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষীকি উপলক্ষ্যে নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ এর পক্ষ থেকে মহান ব্যক্তিকে স্মরণ করা হয়েছে অনলাইনে মাধ্যমে।

৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী অনলাইন অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থেকে মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন চাকমা লেখক সদস্য, সাবাঙ্গি, জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ ও চাকমা ভাষা গবেষক, ঔপন্যাসিক  সুনানু আর্য্যমিত্র চাকমা ও নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুনানু ইনজেব চাঙমা।

নোয়ারাম চাকমা জীবনি পাঠ করেন সুনানু রিয়াজ জ্যোতি চাঙমা, নোয়ারাম চাকমাকে নিয়ে কবিতা পাঠ করেন সুনানু সুচিন্তা চাকমা প্রমুখ।

নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পাঠ করেন সুনানু অপনিকা চাঙমা।

বক্তারা বলেন, নোয়ারাম চাকমা এমন একটি ব্যক্তি যিনি নিবেদিত প্রাণ হয়ে চাকমা ভাষা, বর্ণমালা ও সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নিজের অপূর্ণ্যতা রেখে সমাজ ও দেশের তরে কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে ও নোয়ারাম চাঙমাকে নিয়ে গবেষণা কাজ করে যাওয়া অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সুনানু ইনজেব চাঙমা এবং নোয়ারাম চাঙমা নামে পদক আবিষ্কার করাও ঘোষণা করেন।

 

সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

৩৩ বছর পর এম এন লারমার জন্য সংসদে শোক

 


৩৩ বছর পর এম এন লারমার জন্য সংসদে শোক
মৃত্যুর ৩৩ পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা ও সাবেক সাংসদ মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ওপর শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতীয় সংসদ।

আজ রোববার দশম জাতীয় সংসদে দ্বাদশ অধিবেশনের প্রথম দিনের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করলে তা গৃহীত হয়।

শোকপ্রস্তাবে বলা হয়েছে, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এম এন লারমা) ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার খেদারছড়ার থুম এলাকায় ‘বিভেদপন্থী গিরি-প্রকাশ-দেবেন-পলাশ চক্র’ নামের একটি সশস্ত্র গ্রুপের আক্রমণে নিহত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। স্বতন্ত্র হিসেবে তিনি ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের এবং ১৯৭৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র সাংসদ নির্বাচিত হন। এম এন লারমা জনসংহতির বর্তমান নেতা সন্তু লারমার বড় ভাই।

৩৩ বছরে পরে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করার কারণ সম্পর্কে সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক মোতাহের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রেওয়াজ অনুযায়ী কোনো সাংসদ মারা গেলে তা সংসদের পরের অধিবেশনের প্রথম দিনে শোকপ্রস্তাব আকারে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এম এন লারমা মারা যাওয়ার পর কোনো শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। যে কারণে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি সংসদের নথিতে নেই। বিষয়টি সংসদের নজরে আনেন রাঙামাটির স্বতন্ত্র সাংসদ উষাতন তালুকদার। পরে এই অধিবেশনে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি শোকপ্রস্তাব আকারে গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

শোকপ্রস্তাবে বলা হয়েছে, এম এন লারমা ১৯৩৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার মাহাপুরমে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৬৫ সালে একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি বিএড এবং ১৯৬৯ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে ১৯৬৬ সালে তিনি দীঘিনালা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি চট্টগ্রাম রেলওয়ে কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৬৯ সালে আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেন।

এম এন লারমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৬৫ সালে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৫৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে তাঁর উদ্যোগে পাহাড়ি ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন করে এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি এই সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৯৭৩ সালে। এরপর এম এন লারমা ১৯৭৫ সালে বাকশালে যোগদান করেন। তবে ১৯৭৭ ও ১৯৮২ সালে তিনি জনসংহতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

রেওয়াজ অনুযায়ী শোকপ্রস্তাবের একটি অনুলিপি এম এন লারমার পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠানো হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৮: ৩৭ দৈনিক প্রথম আলো
 

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২

আমি চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন পদত্যাগ ন’ গরি, গচ্ছেই দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ত্তুন সুনানু ইনজেব চাঙমা

যে লাম্বা ১৮ বঝর ধুরি চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান এগাচিত্তে এগামনে নিআলচি গরি যার তে অহ্’ল সুনানু ইনজেব চাঙমা। তার জনম ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮১ খ্রি. বাজেইছড়া ২৯ নং ছোট মেরুং মুউজ চাঙমা সার্কেলত। চাঙমা লেঘা শেঘানা সমারে চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা, হিল চাদিগাং, জুম চাব, মেদিনি আ জুম নাঙে ম্যাগাজিন কাবিদ্যাঙ গচ্ছে। তাত্তুন চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা “চাদি” এ এজাল কাবিদ্যাঙ সুনানু বর্ষা চাঙমা আ সুনানু ধর্ম বিকাশ চাঙমাদাঘি মুঝুঙ’ পুজোর জোপ লুয়ন।
 
চাদি: সিঝি বেন্যা মাধান আ ঝু ঝু।
ইনজেব: তমারেও সিঝি বেন্যা মাধান আ অতালিয়ে কোচপানা।

 
চাদি: কেঝান আঘচ দা?
ইনজেব: গাউলি গম আঘং। 


চাদি: চাঙমা সাহিত্য, ভাচ আ ওক্কোর নিনেই যে কাম গরর কেঝানচলের?
ইনজেব: খুপ গম চলের। কিত্তে? ইরুক পিড়িউন ঘুমত্তুন জাগিলাক। তারা আজার দুগর সেরে সেরে নিজ’ গধেল কিঝু অপুরন থানার পরও জাদত্যাই লেঙে লেঙে, ফোবে ফোবে কাম গরি যাদন। 


চাদি: চাঙমা লেঘা শিঘানা চিদেয়ান কেনে সমেল?
ইনজেব: আচ্ছা, দোল এক্কান পুজোর। এ কধা কদ’ যেলে পল্যা পিচ্ছে ফিরি চেই পেবং। সে ১৮৬০ সালত ব্রিটিঝে পার্বত্য চট্টগ্রামান দঙল গরানা পর চন্দ্রঘোনা বোর্ডিং ইক্কুল নাঙে এক্কান ইক্কুল চালু গরা অয়। সিয়োত বাংলা, ইংরেজি সমারে চাঙমা আ মারমা ভাচ শেঘেবার এক্কান জু দিয়্যা অয়। মাত্তর! আমা চেলাউন সিয়ান গজি ন’ লন। সে পরে ১৯৩৭/৩৮ সালত মিলান সাপ্যা রাঙামাত্যা মা ভাচ্ছোই লেঘা শিঘেবার চেল’। সিয়োত সক্কে চেলা সুনানু কামিনী মোহন দেবানে ন’ চানার আ ১৯৫৯ সালত পাকিস্তান আমলত সুনানু নোয়ারাম চাঙমা “চাঙমার পত্থম শিক্ষা” বইবো প্রাইমারি ইক্কুলত দিঙিরি পেলেও দেবানদাঘি ন’ চানার, মা-ভাচ্ছোই লেঘা শিঘিবার ন’ চানার আর শেঘা ন’ অয়।
এ গেল’ ব্রিটিশ আমল আ পাকিস্তান আমল। এ পর এল’ বাংলাদেশ আমল। দাঙর আহ্ভিল্যাঝর কধা, যে দেচ মা-ভাঝর পোইদ্যানে লাড়েই গরি এক্কান দেচ, বাবদা পেল সেই দেঝর অন্য ভাঝর বাজার কন’ খবর নেই। লাম্বা এক্কো অক্ত লাড়েই গরি পেলং পার্বত্য চুক্তি। সে পার্বত্য চুক্তিত লেঘা থেলেয়্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে মা-ভাঝে লেঘা শেঘেবার কন’ গরচ মনে ন’ গরে। পাবর্ত্য চুক্তি এক যুক পর মহান জাতীয় সংসদত ২০১০ সালত জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা গচ্ছে। সিয়োত দেঝর যা আদিবাসী আঘন যা যা মা ভাচ্ছোই লেঘা শেঘেবার  কধা এল’ আ কো কোইয়ে- ২০১৪ সালত্তুন ধুরি পল্যাদি বাংলাদেঝর ছ’য়ান আদিবাসী ভাচ্ছোই লেঘা শিঘিবার। মাত্তর! ২০১৪ সাল এনেই দেঘা গেল বাজেট নেই। ইয়ানি ম’ কধা নয়। নানান কিথ্যাত্তুন তথ্য ম’ আহ্’দত আঘে। সেনে কামান চালে ন’ পাত্তন। এ অক্তত কয়েক্কো এনজিও মুজুঙে আক্কোই এলে সংশ্লিষ্ট লেঘিয়্যাউনরে ঢাকাত নিনেই বই বানা ধরল। সক্যেও কো অয়ে ১৫ সালত্তন ধরি বই আহ্’দত তুলি দিব’। সে ১৫ সালতও কন’ বই দেঘা নেই। আর কো কয় ১৬ সাল কধা। সক্কেও দেঘা নেই বই।  
ইন্দি বাংলা ভাচ্ছান মরা মচ্যে গরি ভুগে দের। দিন দিন আমাহ্ ভাচ্ছান চাংলা আ চাংলিশ অই যার। আমি দ’ সরকার আঝায় বোই থেলে ন’ অভ’। ইয়ান আমার কাম। আমাত্তুন গরা পরিব’। এধক্যে এক্কান ভাপ উদি ২০১৪ সালত্তুন ধুরি এঘামার গরি এ চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান গরি যের। যুনি মুই ২০০৪ সালত্তুন ধুরি চাঙমা লেঘা শেঘে থাং। 



চাদি: চাঙমা লেঘা ছিদি দেনা কামান গত্তে কেঝান এজাল পা যিয়্যা?
ইনজেব: এজাল ন’ পেলে এত্তমান কাম আমাহ্ পক্কে গরানা সম্ভব নয়। চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান ২০০৪ সালত্তুন ধুরি আরগানি অলেও মূলত ২০১৫ সালত্তুন ধুরি এঘামার গরি গরা অয়ে। সক্কে দিঘীনালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুনানু সুসময় চাঙমা ১৫০০ তেঙা এজালে ফ্রি চাঙমা লেঘা কোর্স ফাংফগদাঙ গরা অয়। চাঙমা লেঘা শিঘিবার উচ্চোপুক তুলি দিবাত্তে ফ্রি চাঙমা লেঘা ২০১৫-২০১৬ সাল সং দ্বি’বঝর গরা অয়ে। ২০১৭ সালত সুনানু শ্রেয়সী চাঙমা এজালে বাবুছড়া ফ্রেন্ডশীপ ইক্কুলত কোর্স গরানা পর আর’ বেচ চাঙমা লেঘা শেঘানা কামান ভারি যিয়ে। ২০১৮ সালত খাগাড়াছড়ি জেলা পরিষদর সাবাঙ্গি সুনানু শতরুপা চাঙমাদাঘি ১০ হাজার তেঙা এজাল দিলে ৩৩জন চাঙমা লেঘা পর্বোয়াদাঘিরে টিওটি ট্রেনিং দেনার পর ঢাকা, রাঙামাত্যা, বান্দরবানসুমুত্ত নানান জাগাত চাঙমা লেঘা এয সং শেঘে যের।  সে পরে জেএসএস (লারমা) একলাক তেঙা এজাল দিলে আমি দিঘীনালাত অফিস গরি পারির। ২০১৮ সালত ২০ হাজার চাঙমা লেঘা বই ছাবে মাগানা ভাক গরিদিবার উদ্যোগ ললে ইয়োত বহুত মানুঝর এজাল পা যিয়ে। এধক্যে গরি নানান জনর এজালে আমি এয’ মুজুঙে আহ্’দি যের।


চাদি: আমি দেঘিলং বিশেষ গরি তর অবদানে, তর নিআলচি কামর বলে এচ্যে এক ঝাঁক কাম্মো চাঙমা সাহিত্য বাহ্’বো পিত্তিমি বুগত ছিদি পচ্যে। মাত্তর! এধক খাদুনির পর যে বাহ্ শূন্যত্তুন জাগা জুরি দিলা কধ’ গেলে সহ¯্রকোটি গরিনেই কিত্তে পদত্যাগ গরিলা?
ইনজেব: আমি চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন পদত্যাগ ন’ গরি, গচ্ছেই দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ত্তুন। ইয়োত বানা আমি নয়, যারা দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ ভিলিনেই বুঝি পাচ্ছোন তারা পদত্যাগ গচ্ছোন প্রায় ১০০ উগুরে সাবাঙ্গি কাম্মো। ২০২০ সালতও শ্রেয়সী, প্রিয়সী, সম্ভুমিত্র, এলিয়েন্স, বিকেন সুমুত্ত ২০/২৫ জনর এক্কো তম্ভা চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন আহ্’ত ইরি যেলাক।  
বেগে ভাবন চাঙমা সাহিত্য বাহ্ আমাহ্ চাঙমা জাদর এক্কো জধা। মুই ভাবিদুঙ চাঙমা সাহিত্য বাহ্ মানে বেক চাঙমাউনর এক্কো সাহিত্য বাহ্’। সেনে মুই এধক্যে গরি কোচপিয়োং রাধামনে সাপ’ কুদুন খেব’ খবর পেনেও ধনপুদিরে নাকশা ফুল্লো পারি দিয়্যা। এ যে লাঙ, কোচপানা থিক সেধক্যে গরি মুই চাঙমা সাহিত্য বাহ্ লাঙত পচ্ছোং। সেনে মর নিজ’ ঘর সংসার কক্কে উবোত ভচ যিয়ে থাহ্’র গরি ন’ পারং। মর’ সবন আ আঝা এল’ এ চাঙমা সাহিত্য বাহ্’বোত্তুন ঝাক ঝাক কবি, লেঘিয়্যা, শিল্পী নিঘিলি এবাক। সেনে মর দিন রেত সময় দি যেলুং। ঘরত অসুক, ইন্দি চাঙমা সাহিত্য বাহ্ দ্বিদশক পূর্তি ত্যুঅ নিজ’ মোক্কো অসুগত সময় ন’ দিনেই বাহ্’বোত সময় দি যাঙর। ভাবিদুং মর’ বানা দ্বিবে পুঅ, এ বাহ্’বোত শত শত পুঅ। তারা চেদন জাগি তুলি পারিলে আমার অনতন ন’ থেব’। রাহ্’ত ন’ থেব কন’। মাত্তর, যেদক দিন, মাচ, বঝর পর বঝর যার বুঝি পারিলুং ইবে দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্, চাঙমা সাহিত্য বাহ্ নয়। কিত্তে? তার কধালোই বেক্কানি চলে, তারে কন’ জনে কিঝু পুজোর গরিলে তারে খারাপ ভাবে। তা পিচ্ছেদি মানুচ লাগেই দ্যা।  এধক্যে গরি কন’ জধা মুজুঙে আক্কোই ন’ যায়, যেই ন’ পারে আ কন’ জাতয়্য মুঝুঙে আক্কোই যেই ন’ পারে। কমিতি মেয়াদ শেচ ন’ অদে তা মনে মতন ন’ অলে আর কমিতি বানায় আ কন’ কমিতিলোই তেম্মাং নেই, সল্লা নেই গরি।  গঠনতন্ত্র ন’ মানি  তে কাররে কোচপেলে, গম লাগি নীতি নিধারর্ণী কমিতি আনে। তেহ্, তা ধক্যে তে কাম গরেনাত্যাই আমি দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’ত্তুন পদত্যাগ গরিলুং, চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ত্তুন নয়। আমি এজ’ কাম গরি যের। সিয়ান বাদেয়্য তুমি যিবে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ মনে গরর ইবে এক্কো বিশেষ আঞ্চলিক দল’ আঞ্জামে যিয়ে। আমি মনে গরি ইরুক হিলর দিন মাধানে কয় কন’ আঞ্চলিক দলরে কোচ পেলেও কোচপানা দেঘে পারা ন’ যায়। দেঘেলে সক্যে আমাহ্ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সফল ন’ অভ। 

  
চাদি: চাঙমা সাহিত্য বাহ্ আ দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্ কধান ভাঙি কবে?
ইনজেব: চাঙমা নাঙান গোদা চাঙমা জাত্তোরে প্রতিনিধিত্ব গরে আ দেবপ্রিয় বানা এক্কো বন্দা। মুই ভাগ্যবান যে, যে জাদে এক অক্তত সাগুচ্যা দেচ জয় গচ্ছে, যে জাদে এক অক্তত রাজা এল’ যে জাদত্তুন গৌতম বুদ্ধ আ এম.এন লারমা সান দাঙর দাঙর মানুচ জনম অন সে জাদর মুইও এক্কো সাবাঙ্গি। মাত্তর! আহ্’ভিল্যাচ থায়, আমি যেম্বা শিক্ষিত অই না কেন আমাহ্ মনানি ভারি চিগোন। এ চিগোন মন্নোই মুঝুঙে আক্কোই যে ন’ পারে। বিশ্চেচ রাঘা পরে, কোচপানা রাঘা পরে। সে জিনিচ্ছান দেবপ্রিয় চাঙমদাঘির নেই। যুনিও তে এক্কো লেখক। লেখকর ধর্ম সিয়ান নয়।       কিত্তে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ এক্কান চিদে এল’ লাম্বা এক্কান অক্তত নমিজিল্যা(সামন্ত) সমাচ্ছোই লুদু পুদু গরি এলং। কবি সুনানু আলোময় চাঙমা লেঘা, সুনানু কে.ভি দেবাশীষ চাঙমা লেঘা ছাবা ন’ যেব’। আ লেঘিয়্যা সুনানু আর্য্যমিত্র চাঙমাদাঘিরে কন ফাংশানত ফাং গরা ন’ যেব’। ইয়ানি চাঙমা সাহিত্য বাহ্’বোরে ন’ মানায়। এ ন’ মিজিল্যা খাজ্যাক্কোত্তুন নিঘিলি আনানা আমার ধর্ম। মাত্তর, সুনানু দেবপ্রিয় চাঙমাদাঘি সিয়ান গরন। সিয়ান বাদেও চাঙমা সাহিত্য বাহ্ বানা আমি কাম গরি ভিলে আমার নয়, ইবে বেক চাঙমাউনর এক্কো বাহ্’। আ সে বিপরিত দেবপ্রিয় সাহিত্য বাহ্’। মুই বিশ্চেচ আ অমহদ’ গরি কোচপেদুং সুনানু দেবপ্রিয় চাঙমাদাঘিরে। ম’ সাঙু বইবো তারে উৎসর্গ গরিলুং। মনে গত্তুং তেও পারিব’ জাদত্যাই কিঝু গরি। মাত্তর! যদ’ দিন, মাস, বঝর পর বঝর ভিদি যার সেধক ম’ মনত তার এধক্যে কারবারলোই মর চিদমুরুত্তুন বিশ্চেচ উদি যেল’। ইয়ান সত্য দেবপ্রিয় চাঙমা এ বাহ্’বোত যক্কে আহ্’ত ন’ দ্যা সক্কে আমি দোলে কাম গরি যিয়েই। সে কামত তেজে তার চোগত যক্কে উদিল’ সক্যে নানান সল্লা-পরামর্শ দি যার আর আমাহ্ জধা ভাঙি যা ধরল’।  


চাদি: কে.ভি. দেবাশীষ চাঙমা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ গরা কমিতি জধানানু এল?
ইনজেব: এল’। মুই যক্যে ফ্রি চাঙমা লেঘা কোর্স দিঘীনালা বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদত ফাং গরঙর সক্যে তে সে ফাংশানত যিয়ে। মুই তারে সক্যে ন’ চিনং যুনিও তার বই পড়ি থাং। সিয়োত চিনপচ্যা অহ্ল’। সিত্তুন ধুরি এক্কো রেগা অল’। সে রেগা নালে ২০১৮ সাল তারে জধানানু বানে আ মুই দাঙর কাবিদ্যাঙ ইজেবে কাম চালে নেযা অয়ে। মাত্তর, দেবপ্রিয় চাঙমা একবুচ্ছে সিদ্ধান্তত্যাই মেয়াদ থুম ন’ অদে আর’ কমিতি বানা অয়ে। আহ্’ভিল্যাঝর কধা সুনানু দেবাশীষ দাও খবর ন’ পায় কমলে কমিতি অহ্ল। ফেসবুকত দেঘিনেই এক্কান কমেন্ট গচ্ছে কে.ভি দা- কমলে কমলে মেয়াত থুম অল খবর ন’ পাং, বঝরউন এক্কি বাদি? সিয়োত দেবপ্রিয় দা চাঙমা সাহিত্য বাহ্ পেজত্তুন কমেন্ট গচ্ছে
।           

 ত্রৈমাসিক চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা “চাদি”  পল্যা পয়ধে পল্যা বঝর                          [ধারাদিঘীলি চলিব]

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২

চাঙমা গান- সাত্তো: সুনানু ইনজেব চাঙমা


 ১
স্বাক্ষি থেব’ বিজগত
যুক যুক ধরি তোমা নাঙ
স্বাক্ষি থেব’ বিজগত
তোমা গুনে আন্ধার রেত
ফুদি গেল’ পহ্’র।

মা-বোন মেয়্যা বেক ছারি
লাম্মো জাত ভিলি
ফেলে যেয়ো ঘর
ঝাগে ঝাগে সুর গরি।

সুক কি জিনিচ ন’ পেলা
ন’ দ’ চিনিলা
ঝারে ঝারে ঘুরিলা
রোত পুরি ঝরত ভিজি।

পরান দিলা আমাত্যাই
জুম্ম জাদত্যাই
পিড়ির পর পিড়ি বাজি থেবা
তুমি জুম্ম জাদ’ ইধু।


আমাহ্ত্যাই যারা
আমাহ্ত্যাই যারা ফেলাদন ঘাম
তারারে দ্যুঙর মুই ঝু ঝু
মা-ভোন, বাপ -ভেই জাদর চিদেই
নহ্ পাদন তারা ঘুম।

পথ দেঘে দিয়্যা যে আমাহ্’রে
ঝু দ্যুঙর লারমারে
বর মাগঙর দিবাত্যাই
আমাহ্’রে তা তেজআন।

লারমা নীতিআন ধরিনেই
গাভুজ্যা পুঅ/ছা মিলিনেই
ঘাম পুজিবার সময় নেই
কোজে যাদন রান।

আতলাক বন্দার এক্কান ইমে
সরান পেবার লাড়েই
ন’ খেমিবং কন’ জন
থাক্কে পরানান।


সমক খেই
সমক খেই উজেবং মুঝুঙে
মরন আমি ন’ দরেবং
আর কয়দিন গায়সুয়েবং
ভারি বেচ গত্তন।

তাগল কুরোল জাদি চ’
মুঝুঙত যিয়ান সিয়ান ল’
শুন’ ভেই-ভোন লক
মা-ভোন কানদন।

পিত ন’ লামিবং কন’ জন
জীবন যেক্কে গোচ্ছেই পন
শুনি থাগ’ দাগি কধন
মা-বোন ঝাবাদন।

নহ্ বাজিবং কিঙুরি
মুরি জুনি ন’ পারি
উজে এজ’ ধারাদিঘলি
জম্ম জনগণ।


যেই যেই যেই
যেই যেই যেই
জাগি উদ’ জুম্ম ভেই
বোই থেবার আর সময় নেই
আহ্’ত্যার ধুরি উজে যেই
এজ’ ভেই-বোনলক যেই।

রুকসেক ভুগি আহ্’ত্যার ধুরি
যুদ্ধত যেবং সাহচ গরি
দেঝত্যাই আমি পারন দিবং
বাজি থোক জাত ভেই।

সিদিরেউনর পেরাসারে
বাপ-ভেই মত্তন ঝারে ঝারে
বুগর লোই ধালি দেদন
আর্মি গুলি খেই।

ঘুমত এলং এদক দিন
সজ্য গত্তং কদক দিন
আমার জাগা আমি লবং
শত্রæমারি নেই।

মা-ভোনর ইজ্জোত্তানি
বাপ-ভেইয়োর চোগ পানি
ন’ দিবং আর ফেলেবার
বেক্কুন আমি উজে যেই।


মগ তিবিরে চাঙমা ভেই
মগ তিবিরে চাঙমা ভেই
মুরত পুরি ভাবি চেই
মাছ কাঙারা তোগেই খেবার
আরদ’ সময় নেই।

বর ভেই অলং আমি তিনজন
গুও ভেই আঘন আত্তোজন
এগার ভেইয়ে এক্কান কধায়
চলি ফিরি থেই।

আগে আমি ন’ বুঝি
সিত্তেই আমাহ্’র এ গুদি
ঘর তুলিবার ভূই ভিদে
হ্ারেই ফেলেয়েই।



ন’ থেবং আর ঘরত বুজি
ন’ থেবং আর ঘরত বুজি
বাপ-ভেই দেদন ফাঁসি
নিজ’ দেঝত পরবাসী
ইয়ান কি জ¦ালা।

সময় নেই বোই থেবার
যা বুঝিলুং মুই এবার
এধক কিত্তে অনাচার
রেজ্য ভাঙালা।

বুক ফুলেনেই উজে যেই
জাদর কধা ভাবি চেই
আমাহ্ জাদর কিচ্ছুন নেই
বেক্কুন মু কালা।

ম’ কধানি শুননা
মনত বানি রাঘনা
সং সমারে উজনা
মুক্তি গরি চট্টলা।


ভুলি ন’ যেবং
ন’ যেবং লারমা তরে ভুলি
থেব’ জনম্মো ত নিঝেনি
তরে জুনি ইধোত উদে
চিত্তান যায় আহ্’ঙি।

ন’ দেখ্যা জিনিচ দেঘেয়োচ
ন’ শুন্নে কধা শুনেয়োচ
পুঅ/ছা সান পালেয়োচ
দচ্চো জাত ভেই আওচ গরি।

জাত ভেই বিপদত পরিলে
সাতগাঙ সাজুরি তুই যেদে
তারারে উদ্ধোর তুই গত্েেত
ইক্যে কন্না চেব’ ফিরি
দিলান দিনেই খুলি।

পুজুন মনা চোগত কুদিলাক
বুক চেই জাত্তোরে লাত্থেলাক
ভাবি চিন্তে ন’ চেলাক
মা-বাপ, ভেই-বোন কানেলাক
সিয়ান না উদে জ্বলি জ্বলি।

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২

ধনপুদির আল্যাঙ

 

ধনপুদির আল্যাঙ

বা-রা বেগে বানান্দৈ
বাজার গোরি আন্যন্দৈ
পোহ্’ত্যা দগল্য মোনবগা
কেল্যা যেবাক  জুম কাবা।
তেম্মাং যেক্কে ফুরেল
ধন্নুয়া রাধারে দাগিল।
বরগি সুদ’ তুম গোচ্যা
বোচ্যন ইজরত জুন পোরজ্য।
পুগ’ কেত্যা চানন্দি
মুয়োমুয়ি বোচ্যান্দি
উত্তে চানান পুগেদি
দোল অইয়েদে পহ্’রেদি।
জুন’ পহ্’র রেদোমায়
কোচ্যা মাদানান ভাঝি যায়।
ফুল’ বিজন বিজিনে
কধা কধন দ্বিজনে।
বোচ্যে ধন্নুয়া সাজিপের
দাদা রাধারে বিজি দের।
দেব’ ধর্ম মানিচ্ছোই
সচ্চেক তাগলক লোই দিচ্ছোই।
ফুল’ গামছার বেইন গরং
সাত আঙুল্যা খেংগরং।
মিদিঙ্যা বাঝর লোই দিবে।
ধুমো উজু  থোই দিবে।
ফুনি শলা কাবি দিচ
হ্্েইল সাম্মুয়া  বুনি দিচ।
পার্বুয়া বাঝর দিপ্যাবুয়া
ব’ কাদি  লোই দিবে শুল’বুয়া ।
রেদোত লামের জুন’ পহ্’র
শুনিচ দাদু হ্ােচ্ছান  মর।
ঝাগে জুনি উরি যার
ফুল’ খাদি বুনিবার।
বাগে থেগে গাং যেব।
জনমত্যে নাঙ থেব’।
খোল্যা মেলি পান খেলু’
রাধামনে খাম খেল’।
জুন’ পহ্’রান ফুরেই যার
কধা ভূয়া ন’ ফুরার।
নানান কধা কোই লাক
জেরে দ্বিজনে ঘুম গেলাক।

রাধামন ধনপুদির জন্ম

 


রাধামন ধনপুদির জন্ম

সেক্থে  দিন মাধান যেজান্যা
মনদি শুন’ কং কেঝান্যা।
ঝুরি পরে রেই গুলা
দেবায় গরেহ্ মেগুলা।
দ্যা ধোরিব’ রেত্তো ঝর
ভাদে পানিয়ে পোত্তি ঘর।
পিজি ছরা থুপ ভান্দি
সেকথে মিলা মদ্দর সুক শান্দি।
খালে নালে ঘাত্তানি
দেঝত উন নেই ভাত পানি।
ধুধুক  বেইয়া তেত্রেতুক
পরানি দিন মাধান সত্যযুক।
ঘরত বান্যা এল সুক
লাগত নহ্ পান কন’ দুক।
ছরা ছরিত মাছ ইজা
সেকথে সুদা মন পাচ্চিগা।
ধানে তুলি বয় ঝারি
তেঙ্গাত  ধান পেধ’ দচ আরি।
মুখত ভাজেইয়া পুদি পুদি
অশ^ পুদি লোই ক’ পুদি।
জয়মংগল খীজা মেনগা
এলাক তারাহ্ কন’ জাগা?
পানিত ন’ এল’ খজাত্তি
চম্পক নগরত বজথি।
সপ্পান  পুরা তারাহ্ মন
মেনগা গর্ভে ওল রাধামন।
বঝর চেরেক যায় বিদি
গর্ভিদা অহ্’লগোই ক’ পুদি।
দিনে মাহ্’ঝে পুরা ওল
অঝা খজা চলাবাপ ধরা পোল।
ভাত পানি খেই লল’ গোই
খিজাখিজ্যা লর দিলো গোই।
ফোবেই ফোবেই তে যেইয়ে,
চিদ্রসুখী অঝাওে লাক পেইয়ে।
ঘর পেজাঙত  বোই আঘে
চিত্রসুখী নেক ছয় যুগে।
মাঘ’ শেঝত পরের ঈন
মোক ইর নদের কন দিন।
চলাবাবে বুঝেই নায়
ছয় যুগ মনান ধরি নায়।
নজর এক তেঙা দি পেল
রাজি ছয় যুগে অহ্ই গেল।
চালোন পানি ঘনাত্যা
ঝিয়্যঘর’ নাদিন সমাজ্যা
খিজাখিছ্যায় পথ গেলাক,
যখন আদামত লুমিলাক
বঘ’ দওে লয় তাগল,
অহ্’ল চলামার মন দাঙর।
ধল্যা যঘন শুলপীরা,
গরের কপুদিও পেত পীরা।
নেয়্যত তেলফুদা দি দিল’,
মিলা অহ্’ভদে কোই দিল।
স্বর্গ রংগ ভংগ দি
ভূয়্যত পলঘি ধনপুদি।


রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২

“মা, মরোক, বাপ মরোক কাল পরানে খা গরোক” - ইনজেব চাঙমা

কধা আঘে- “মা, মরোক, বাপ মরোক কাল পরানে খা গরোক”
এ কধা মজিম ম’ মল্লে, জেত্তা, জেদেঙা, ভেই, ভোচ, বরঙা, মত্যালা, মল্লে শোওর, জেদেঙা শুরি মরানা পরও তারার কন’ সাপ্তাক্রিয়া, দাহক্রিয়া মিলানা জু ন’ অহ্’য়। শেজে লগর সমারি মরি যানার পরও, আজার অনটনর সেরে বেগর সেপবত্তালোই কাম গরি যাঙর।
“মা, মরোক, বাপ মরোক কাল পরানে খা গরোক” অর্থাৎ মা-বাপ মরিলেও পরান বাজেবাত্তে খা পরিব। তত্তুন বাজা পরিব’। জিংকানিত ইয়ান বুঝি এলুং-
আমি যে বাজি আঘি ইয়ান বাজানা নয়। পিত্তিমিত গধেল গধেল পরান বলা বাজি আঘন। মাত্তর, জাত ইজেবে, চাঙমা জাত ইজেবে বাজদে জেনেই যে আরাং আধিগার দরগার সিয়ান নেই। আর বেচ দিন দিন আগাচুজো অই এযের। এ অক্তত মর ইমে ঘর সংসার যিধু যেব’ যোক আমা জাদর শিঙোর দরমর গরা পরিব। আমা জিংকানিয়ানি দ’ আহ্’লেয় যেল’। মুজুঙে যে পিরিহ্‌উন উদদন, এত্তন, এবাক তারা যেন নিজ’ ভাঝে, মন কধা কোই পারন, নিজ’ ওক্কোরে গান, গল্প, উপন্যাস, কিত্তে লেঘি পারন যে জু অহ্’য় মর এ ঘাম ঝরানাত, মর এ সময় দেনাত। ইয়ান মর সবন।

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২

বর্তমানে আদিবাসীরা খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেনঃ ফজলে হোসেন বাদশা

 

১৮ আগস্ট ২০২২, ঢাকা: ঢাকায় ‘আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সুরক্ষা’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেছেন, বর্তমানে সমতল ও পাহাড়ের আদিবাসীরা খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তারা সবক্ষেত্রে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদেরকে নিজ ভূমি থেকেও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে বাধ্য হচ্ছেন।

গতকাল ১৭ আগস্ট ২০২২ সিরডাপ মিলনায়তনে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কালেক্টিভ (আরডিসি) ও ইউএনডিপির হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রাম আয়োজিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে হোসেন বাদশা এমপি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও আরডিসির চেয়ারপার্সন মেসবাহ কামাল।
মূল প্রবন্ধের উপর আরো আলোচনা করেন প্রতিথযশা নাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের টেকনোক্র্যাট সদস্য জান্নাত-ই-ফেরদৌসী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর সুস্মিতা পাইক, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব নির্মল রোজারিও, ভদন্ত সানন্দপ্রিয় ভিক্ষু প্রমুখ।
নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশে যত আইনই থাকুক না কেন, বাঙালি জাতি মূলত আইন অমান্যকারী জাতি। সর্বপ্রথম আইন অমান্য করে রাষ্ট্র নিজেই। এদেশের এমপি, মন্ত্রীরা রাস্তার উল্টোদিক দিয়ে গাড়ি চালায়। তাদের সঙ্গে দানব হয়ে যুক্ত হয়েছে ব্যবসায়ী ও আমলারা। তারা সকলে মিলে লুটপাট করে যাচ্ছে। নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। বাঙালি জনগোষ্ঠী ও আদিবাসীদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য, সহমর্মিতাই আইন, রীতি-নীতি ভাঙার অবসান ঘটাতে পারে। আর এমন অবস্থা সৃষ্টির জন্য সবাইকে মিলে আন্দোলনে নামতে হবে।
দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, আদিবাসীরা দেশের সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠী। আদিবাসীরা নির্যাতিত হলে পুলিশও তাদের পাশে থাকে না। এভাবে চলতে পারে না। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে আদিবাসীদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। আদিবাসীদের এই সংগ্রামে আদিবাসীদের সুহৃদ বাঙালিদেরকে সঙ্গে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে এক শ্রেণির লোক লুটপাট করে দ্রুত ধনী হচ্ছে। তারা দুর্বলের সম্পদ লুটপাট করছে।
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও আদিবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। আদিবাসীরা তাদের পরিচয় আদিবাসী হিসেবে দিতে পারছে না। জাতীয় সংসদে ২২ জন সংখ্যালঘু এমপি থাকলেও তারা আদিবাসীদের পক্ষে কথা বলেন না। তাদের কাছে এ নিয়ে বললে তারা বলেন, তারা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, তারা এই বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের স্বাধীনতার ১১ বছরের মধ্যে দেশটির আদিবাসীদের আলাদা নীতিমালা তৈরি করেছে। আর এ দেশের স্বাধীনতার ৫১ বছরেও আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কোনো নীতিমালা হয়নি। তিনি বলেন, দেশের সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তারা পদে পদে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষাব্যবস্থা চালুর যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার মধ্যে পাঁচটি গোষ্ঠী নিজেদের মাতৃভাষায় পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। এটি প্রশংসার দাবি রাখে। এর বাইরে অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর নিজেদের ভাষায় শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। তিনি সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠনের তাগিদ দেন। 
By Hill Voice -আগস্ট 18, 2022

বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২

রাবিপ্রবি’র প্রথম ভিসি ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা’র প্রয়াণ

হিলর পচ্জন নিউজ ডেক্স(রাখাবা):  পাহাড়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম  উপাচার্য ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা মারা গেছেন। আজ বুধবার সকাল ৮ টার দিকে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পাহাড়ে।

প্রয়াত প্রদানেন্দুর পারিবারিক সূত্র জানায়,  গত ৬ দিন আগে ডায়রিয়া জনিত অসুখে তিনি খাগড়াছড়ির একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসায় বেশ সুস্থও হচ্ছিলেন। পরে তাকে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়া হয়। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন। গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রদানেন্দুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে প্রেরণ করে। কিন্তু জেলায় শীর্ষ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধির অনুরোধে তাকে খাগড়াছড়িতে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়।  কিন্তু মঙ্গলবার তাঁর হঠাৎ সুগার ও অক্সিজেন লেভেল কমে যায়।  এক পর্যায়ে বুধবার সকাল ৮ টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

প্রদানেন্দুর মরদেহ হাসপাতাল থেকে খাগড়াছড়ি শহরের খবং পড়িয়ায় নেওয়া হয়েছে এবং সেখানেই তার শেকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে  জানা গেছে।

এদিকে সাবেক উপচার্যের ,মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে রাঙামাটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্য প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আদিবাসী শিক্ষার্থী পরিবারও শোক জািনিয়েছে এই শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে। ড. প্রদানেন্দু  ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ১ম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে তিনি পুনঃনিয়োগ লাভ করেন এবং ২০২২ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে রাবিপ্রবি’র উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজমেন্ট) বিভাগে দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন।

 

শেয়ার করুন

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২

চেদন এক্কান দাঙর আহ্’ত্যার - ইনজেব চাঙমা

এক্কো গল্পলোই কধুং চাং “চেদন এক্কান দাঙর আহ্’ত্যার। একজন চেদন বলা মানেই পিত্তিমিত এক্কো এক্কো নক্ষত্র। তারার পহ্’রে পিত্তিমিয়ান ঝিমিত ঝিমিত জ¦লের। তারার তেজে এচ্যে পিত্তিমিয়ান বলবলা। তারা বানা মুঝুঙেন্দি আক্কোই যেবার সবন দেঘন, পিচ্চে পরি থেবান ন’ চান। মাত্তর, আমা সমাজত এধক্যে মানেই খুউপ কম।
সেধক্যে এক্কো মানেই পান্নো মা কধা কোই যায়। প্ল্যানিশনত পান্নো বাপ নাঙে এ মানেব’ থেদ’। তে একদিনে জুমচাব বেড়া যিয়্যা, কা ধানান বেচ দোল অয়্যা সে পোইদ্যানে। সোনার রঙর পাগানা ধানানি পিবির পিবির বোইয়েরে নাজে, মোন-মুড় ঝিমিত ঝিমিত জ¦লের সে সোনার রঙর পাগানা ধানর রঙে। তে নাঙেল পিদিত্তুন চেই আঘে। পাগানা ধানর তম্বাজে তা মনান আহ্’ওল-পাওল অই উদিল’।
অক্তমজিম ঘরত ফিরিল’। পান্নোমা নোন্যাশিল কুও জুর’ পানি কুত্তিবো আ দাবাবো বাজেয় আনি দিল’। লারে লারে  দাবাবো তানে আ গপ দেও পান্নোবাবে।  শিরেবো কাচ্ছোল’।  চাইদ্যে শিরেবোত্তুন এক্কো ধান পচ্চে। খুইপ দোল। রূপ রঙর সান।  দোলে খুউপ ফিরে ফাগে চেলাক দ্বি জনে। মাত্তর সিনি ন’ পারন। পান্নো বাবে মনে মনে ভাবের জুমত খুজিলে ভারি দোল অভ’। তে, পান্নো মারে ধান্নোরে  দোলে সুমরি থোবার কুজোলি গরিল’। পান্নো মা দোলে সুমরি তল’।
অক্ত এনেই জুমত কাবি, পুরি, আরা কারি, আনুনি সুলি সে ধান্নো কুজিলাক। সে ধান্নোত্তুন ১৫/২০ বো ধান গাচ উদিলাক। সিত্তুন যা ধান পিয়োন সিউন বেক্কুন বিচধান গচ্চোন। তা মুজুঙে বঝর সেধক্যে গরি জুমত কুজিলাক। ইক্যে গরি ৪/৫ বঝর যাদে যাদে ৩০/৪০ আরি ধান উতপন্ন উয়োন।
 সে ধান্নো এল’ বিনি ধান। নরম, তুম্বাচ, খাদে খুউপ গম। আদাম্যা-পাড়াল্যা মানুচ্চোনত্তুন আওচ এই যেল’ সে ধান্নো বীজ গরিবার। তারা  সে ধান্নো নাঙান দি ন পারন। সেনে পান্নো মাত্তুন সে ধান্নো আনেøান কেনেই পান্নো মা বিনি ধান কন’। এচ্যে এ নাঙে এ এক্কো ধানত্তুন গোদা পিত্তিমিত ছিদি পজ্যে। আ সমাওে পান্নো মাও বিজক অই আঘে।
এ যে চেদন।  এক্কো ধানত্তুন এচ্যে গোদা পিত্তিমিত। তে এ মানেইবোত্তুন আমার শিক্’খে লদে সালেন দুচ কি? সালেন আমি কি ন’ পারি আমা অঝাপাত্তো কোনা সেরেত্তুন নিঘিলেই বেগ বুগত, চিদত ছিদি দি’? তারা দ’ বেক্কুনদোই কুদুম জুরিবার দরপরাদন। ক’ দিন আর আন্দারত থেবাক। তারা দ’ পিত্তিমিআন ঘুরিবার সবন দেঘন। আঝা আঘে মানেউনর নিশুলি বুগত আহ্’ভর খেই সাতনাল সুধোলই বেড়াবেজ্যা গরি থেবার।
চেদন মানুজর দাঙর আহ্’ত্যার। চেদন নেই আমাত্তুন। সপ্পানত বানা লাভ তোগেই। লাভ ছারা কিচ্ছুন ন’ বুঝি। স্বার্থপর দুনিয়েত কারে কি বা কব’। নক অজল গরি কোই আমি বুদ্ধ জাতি, যুনিও জাদে চাঙমা অই। বুদ্ধ দ’ চাঙমা জাদত্তুন। রাজ কুমর এল’।  এ রেজ্য, রাজ প্রাসাদ কিচ্ছু গম ন’ লাগি মানব মুক্তিত্যাই রাজ ঘর, দোল মোক, পুঅ আ ইত্তোকুদুম নিশি রেদোত ফেলে যেল’। সিয়ানও মানবর ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম বানেল।  সে চাঙমা জাত অই আমি বানা লাভ তোগেই। এ লাভ তগানত্যাই এচ্যে আমি কুধু পুরি আঘি ভাবদে আনউদোর লাগে। অথচ দেঘি চোগ’ মুজুঙে পিত্তিমিআন নিজর আল্যাক (সাহিত্য), রিদিসুধোমলই মুঝুঙে আক্কোই যার। সে জাগাত আমি নিজত্তুন ওক্কোর, ভাচ থাগত্যা পর দোলে দোল অবার চেই। নিজ’ গীত থাগত্যা পরর গীত দাত ভাঙি জিল বেঙা অহ্’য় সং গলা ফাদি পেলেই। ইক্যে অহ্’ল কি চুচ্যাঙ্যা কা দাঘিরে মাদাদে দাত ভাঙি যেবার অক্ত। সেনত্যাই আমি পিচ্চে পরি, লেম পুরি আঘি। দেঘা যায় আমার বানা মুও ধাপ, মনর ধাপ নেই। নেই গরচ। সরকাস্যারে চেই থেলে কি আমি আমার জাদর লেঘা থিদব্বরী গরি পারিবং? তে দ’ মনে পরানে চেরেচতা গরি যার আমারে তারার জাদর সমারে মিজে দিবার। সিয়ান দিঘির, পারির বুঝি। সালেন মন পুজোর এযে কিত্যা এধক আহ্’ত থোঙ আঙুরো গরি চোক ফ্যালে ফ্যালে চেই আঘি? এ মেইত ন’ বুঝি না অয় চেদন নেই। দ্বিয়ানত্তুন এক্কান দুরি পারির। না মুই সিয়ান কদুং ন’ চাং। মুই কোম ক্যাপিটালিজমে আমারে লেদারা পুক সান খেই যার। এচ্যে সমাজর তেঙা বলা মানুচ বহুত দেঘা যায়। তারার মদ ভাঙ খাদে তেঙা থান মাত্তর এক্কো জাদর সাহিত্য বই কিনদে তেঙা ন’ থান। আ কন’ সাহিত্য জধারে মনত্তুন ছাগি তুলি কি ধন’ এজাল, কি মন’ এজাল ন’ দ্যুন। বানা মুঝুঙত পরিলে দোল কাম কোই তারা দায় ইরি যান। ইয়ানও আমা জাদও ফাজা অই এল’। এ ক্যাপিটালিজমত্যাই পিত্তিমি বুগত ১ম আ ২য় বিশ^ যুদ্ধ গমি যেল’। অমার সমাজত বারবাঙানে ঘর লাড়েই অই যার। যা আমা জাদত্যাই শুভ নয়। আমারেকি প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কোইয়ে,

ÒAsk not what your country can do for you, ask what you can do for your cantry..(দেচ তরে কি দি পারে ইয়ান পুজোর ন’ গচ্ছো তুই দেচ্ছানরে কি দি পারচ ইয়ান ভাব’)” এ কধাআন নিশুলি বুগত আহ্’ভেওে আমাত্তুন কাম গরি যা পরিব’। নিজ’ কধা নয়, দেচ আ সমাজর কধা ভাবি মুজুঙে আক্কোই যা পরিব’। দেচ বাজিলে সমাজ বাজে, সমাচ বাজিলে মানেই লক বাজন আ ওক্কোর, ভাচ, আল্যাক (সাহিত্য), রিদিসুধোম (সংস্কৃতি) থিদব্বরি অলে সমাচ মুজুঙে আক্কোই যায়। সিত্তেই নিজ’ ওক্কোর, ভাচ, সাহিত্য সংস্কৃতি ধরি রাঘান খামাক্কায় গরচ অই পচ্যে এ অক্তত।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২

পার্বত্য চট্টগ্রাম এয’ অভেদর জাগা, খিলে ভূই আঘে যা সেটেলার বাঙালুন পুনর্বাসন গরা যেব’: মাচাং কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (এমপি)


বাংলাদেঝর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, পুলিশ লাইন্সে ১৮ এপিবিএন রাঙ্গামাটি, ১৯ এপিবিএন বান্দরবান আ ২০ এপিবিএন খাগড়াছড়ির সদর দপ্তর আ ডিআইজি, এপিবিএন (পার্বত্য জেলাসমূহ) এ কার্যালয়র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন গরিবাত্যা রাঙামাত্যাত এলে এ পোইদ্যানে ২৬ মে ২০২২ খ্রি. এক্কো তেম্মাং খলা অহ্’য় । এ তেম্মাং খলাবোত কধা কলাক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়র মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি; ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি; খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, এমপি; সংরক্ষিত নারী আসন-৯ এর সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ সাইফুল আবেদীন, RAB মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন বিপিএম (বার), খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদর চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদর চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদর চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বোমাং সার্কেলর সার্কেল চিফ উ চ প্রু চৌধুরী, মং সার্কেলের সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী আ চাকমা সার্কেলর সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়দাঘি।
আ এ দাঙর তেম্মাং খলাবো খলানানুগিরি গচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়র জননিরাপত্তা বিভাগর সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেনদাঘি।

এ খলাবো ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (এমপি) কোইয়ে, ………….. বাঙ্গালিরা যেবাক কুধু। ……………গুচ্ছ গ্রামত কধক, কধক চ্যালেঞ্জ মধ্যে থেবাক। ………………… পার্বত্য চট্টগ্রামত এয’ বহুত খিলে ভূই আঘে। সিয়ানি তারারে পুনর্বাসন গরিবার প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ইধু তুদি (আবেদন) গচ্ছে (তথ্য: Hilar Songbad-হিলর সংবাদ 26 মে2022 •)।
ব্রিটিশউনে পার্বত্য চট্টগ্রামান শাসন গরিবাত্তে ১৯০০ সালত পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়েল বানেলাক। সে পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়েলত ৩৪ নং ধারা মজিম দেঘা যিয়্যা, পার্বত্য চট্টগ্রামত কন’জনে ২৫ একরত্তুন বেচ জমি বন্দোবস্তি বা দঙল গরি ন’ পারিবাক বা ন’ পেবাক। সক্যে পার্বত্য চট্টগ্রামত মুদেমাদে মানুচ এলাক বানা ১,২৪,৭৬২ জন।
পাকিস্তান আমলত ৬০ দশকর পল্যাদি বরগাঙ উগুরে গধা দেনা কাম থুম অহ্’নার পর পার্বত্য চট্টগ্রামত মুদেমাদে কৃষি ভূই ৪০ ভাক অর্থাৎ ৫৪ হাজার একর ভূই গধা পানিত তলে ধুবি যায়। ইয়োত ১ লাখ মানুচ অর্থাৎ সে অক্তত এত তৃতীয়াংশ করোল্লো (ক্ষতিগ্রস্থ) অহ্’ন। এ একলাখ মানজ্যারে পুনর্বাসনর জু গরি দিবাত্তে আর’ পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়েলও সোর (সংশোধন) গরা অহ্’য়। সোর গচ্ছে বিধিত আঘে, কন’ গিরি (পরিবার) ১০ একরত্তুন বেচ কৃষি জমি বন্দোবস্ত বা কিনিবার জু দিয়্যা ন’ অহ্’য়। তারপরও এক লাখ করোল্লো (ক্ষতিগ্রস্থ) মানুচউনরে বেক্কুনরে পুনর্বাস গরি পারা ন’ যায় জমি অনতনে। সেনত্তেই পুনর্বাসন গরি ন’ পারানার ৪০ হাজার মানুচ ভারদত ধেই যান।
বাংলাদেচ অহ্’নার পর আর’ পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়েলও সোর গরিলাক আ ইক্যে বানা পত্তিক গিরি ৫ একর সং কৃষি জমি রন্দোবস্ত পেব( চাকমা, শেখর শরদিন্দ, আমরা এদেশের নাগরিক এ দেশেই থাকতে চাই)।
ইরুক বহুত গাঙ পানি গঙে যেল’। পার্বত্য চট্টগ্রামত আগত্তুন বহু গুণ মানুচ বারি যেলাক। ইরুক সেটেলার বাঙাল কমেদি ৯ লাখ অবাক। সালেন, সুনানু খাগড়াছড়ি (আস- ২৯৮ নং) এমপি মাচাং কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাদাঘি কোন চোগেদি, কন’ ইনজেবদি সেটেলাব বাঙালুনরে হিলত পুনর্বাসন গরিবার সুনানু প্রধানমন্ত্রী আ মন্ত্রী ইধু তুদি গরে।
এ খলাবোত চাঙমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশিষ রায় বাদে চুক্তি বাস্তবায়ন পক্ষে কন’ জনে কন’ কধা ন’ কোই নানাঙ ধক্যে গরি হুমকি দি যেলাক।
যা ওক যারা এ কধানি কলাক তারার কনজনর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ আদর্শ নেই, নেই বঙ্গবন্ধু চিন্দেবাচও। যনিও তারা বঙ্গবন্ধুর গুণ গান গেই গেই বেড়ান। কিত্তেই?
সক্যে রাঙামাত্যা জেলা প্রশাসক জিন্নত আলী সুপারিশ মজিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে যুনিও পার্বত্য চট্টগ্রামত ১০ লাখ সেটেলার বাঙাল ভরে দিবার হুমকি দি থায়, সিয়ান পরেদি ভুল ভাঙি দি রাঙামাত্যা জেলা প্রশাসক আবদুল কাদের আ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ.কে.এম ফজলুল হক মিঞাদাঘি। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে বোঝে পাচ্ছুন পার্বত্য চট্টগ্রামর আদিবাসীউন অমহদ’ সহজ সরল। বানা সাধিনতা যুদ্ধত ত্রিদিব রায় আ অংশু প্রু চৌধুরীদাঘি পাকিস্তানর পক্ষে যেনেই বেক জুম্ম জাত্তোরে বাংলাদেচ বিরোধী মনে গরিবার কন’ যুক্তি নেই। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে সেটেলার বাঙাল আনিবার প্রস্তাব নাকচ গরি দিয়্যা। পার্বত্য চট্টগ্রামর আদিবাসীউনলাই দোল এক্কান মন জাগে তুলি পার্বত্যচট্টগ্রামর আদিবাসীউনর পুঅ/ঝিউনত্যাই “বঙ্গবন্ধু স্টাইপেন্ড” চালু গচ্ছে। মাত্তর, বঙ্গবন্ধুরে মারে ফেলানার “বঙ্গবন্ধু স্টাইপেন্ড”ও মুরি যেল’।
মাত্তর, আহ্’ভিল্যাঝর কধা, ইরুক পার্বত্য চট্টগ্রামর আওমী লীগর নেতাউন বানা নিজর স্বার্থত্তেই পার্বত্য চট্টগ্রামত জাগুল পাদেবার কধা কন। যিয়েন বঙ্গবন্ধু চিদে ন’ গরে আ গম ন’ পায়। আজল ভেজাল কুত্তন উদিল, পার্বত্য চুক্তি মজিম বাস্তবায়ন অহ্’লে, সে ভেজালানি চিদে গরিলে পার্বত্য চট্টগ্রামত শান্দি ফিরি এব’ তার আঘে নয়।
আমি চেই শান্দি আঘে, সে পরে উন্নয়ন। উন্নয়নে শান্দি ন’ এব’ যুনি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ন’ অহ্’য়।




 

শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

মা ভাচ্চোই লেঘা শিঘানা কি বানা বাঙালুনর? সুনানু ইনজেব চাঙমা


আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা দশক'এযেত্তে ২০৩২ খ্রি. শেচ অব’। ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদত ২০২২-৩২ সময়কালরে 'আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা দশক' িইজেবে  ঘোষণা দিয়্যা অহ্’য়। কয়বো শিক্কে বঝর আ কয়বো আন্তজার্তিক ভাঝর দিন/দিবস অই যেলাক সত্যি, মাত্তর! আদিবাসী গুরোইনরে ইক্কুলত মা-ভাচ্চোই লেঘা শিঘানা অগুর সাগরত পুরি আঘে। ২০১৪ খ্রি. ধুরি লেঘা শিঘানা কধা থেলেও ২০১৬ খ্রি. এনেই আদিবাসী গুরইনত্যাই বই ছাবে ন’ পারন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- বাংলাদেশ (এনসিটিবি)। অথচ বে-সরগারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তপ্পেত্তুন আদিবাসী গুরইনত্যাই মা-ভাচ্ছোই প্রাইমারিত শিক্কে চলি যিয়ে আ কিঝু পাঠ্য বইও ছাবেলাক।


মা ভাচ দিঙিরি (স্বীকৃতি) পেবাত্যা যে দেচ লাড়েই গচ্ছে সে বাংলাদেশ দেঝর অন্য মা ভাঝত্যাই এধক্যে উরংউরং(উদাসীন) অনার মনত খামাক্কাই দুক এযে, এযে আহ্’ভিল্যাচ। ভাঝর শিক্কে অধিগার আন্তজাতিক ভাবে দিঙিরি (স্বীকৃতি) পেলেও বাংলাদেশ সংবিধানত এ পোইদ্যানে কন’ ধারা নেই। তবে জাতীয় শিক্ষা নীতিমালাত  মা ভাচ্ছোই আদিবাসী গুরউনর শিক্কে পেবার আধিগারর কধা লেঘা আঘে। এ বাদেও পার্বত্য চুক্তি  এক্কো ধারাত জুম্ম জাত্তোনর মা-ভাচ্চোই লেঘা শিঘানা পোতপোত্যা গরি লেঘা আঘে। এ নালে গেল্লে ২০১৭ খ্রি. প্রাক-প্রাথমিকত বই দিয়্যা অয়ে দেঝর পাচ্ছো আদিবাসী জাদর গুরউনরে। সিত্তুন ধুরি ২০২৩ খ্রি. কেলাচ ত্রীত সং বই দিলেও এব’ তারা শিঘিবার জু ন’ অহ্’য়। মাত্তর, ইয়ান কি ওচ গরি দেরি বা অলিপ গরানা নয়? যে জাগাত নাক অজল গরি সরগার’ তপ্পেত্তুন রাজদাগি কোই কোইয়ে ২০১৪ সালত্তুন ধুরি লেঘা শিঘানা আরগানি গরিবার কধা এচ্যে ২০২৩ সালত এনেই সে পহ্’র মু ন’ দিঘির।


গেল্লে ২০১৬ খ্রি. ব্রাকর এক গবেষণা রেফারেন্স নালে খবর পেলং, বাংলাদেঝর ৭৩চো আদিবাসী জাদর ভাঝর সেরে চেরান ভাচ ভচ যেবার অক্ত আ মরাধরা, পিড়িল্যা গরি আঘে ৫০আন ভাচ। এ ভাচ্চানি রক্কে গরিবাত্তে অন্তত প্রাইমারি লেভেরত মা-ভাচ্চোই লেঘা শিঘানা খামাক্কাই গরচ অই পচ্ছে। সে সমারে লাগর সাত্থুয়া (যোগ্য শিক্ষক) বানা পরিব।

লেঘিয়্যা: সুনানু ইনজেব চাঙমা, (injebchangma1981@gmail,com) 

তথ্য: দৈনিক প্রথম আলো।

কেন আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন?

বাংলাদেশ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার দাবীর- আবেদন পত্র গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভাবী ...